রাজধানীর নিউ মার্কেট এলাকার ব্যবসায়ী ও দোকান কর্মচারীদের সঙ্গে ঢাকা কলেজের শিক্ষার্থীদের সংঘর্ষের ঘটনায় পুলিশের কাজে বাধা, ককটেল বিস্ফোরণ ও দুটি হত্যা মামলার পর অ্যাম্বুলেন্স ভাঙচুরের ঘটনায় আরও একটি মামলা হয়েছে। নিউমার্কেট থানায় বাদী হয়ে অজ্ঞাতনামা ১৫০-২০০ জনকে আসামি করে মামলাটি করেছেন অ্যাম্বুলেন্সটির মালিক মো. সুজন।
এ নিয়ে সংঘর্ষের ঘটনায় মোট পাঁচটি মামলা দায়ের করা হয়েছে। এর মধ্যে সংঘর্ষ চলাকালীন সময় পুলিশের কাজে বাধা, ককটেল বিস্ফোরণের দায়ে পুলিশ বাদী হয়ে দুটি মামলা ও ঘটনায় নিহতদের পরিবার বাদী হয়ে দুটি হত্যা মামলা দায়ের করে। সর্বশেষ গত ২৩ এপ্রিল অ্যাম্বুলেন্স ভাঙচুরের ঘটনায় একটি মামলা দায়ের করা হয়।
সোমবার (২৫ এপ্রিল) রাতে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) নিউমার্কেট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শ ম কাইয়ুম বলেন, ঢাকা কলেজের শিক্ষার্থী ও নিউমার্কেটের ব্যবসায়ী-কর্মচারীদের সংঘর্ষের সময় মঙ্গলবার (১৯ এপ্রিল) দুপুর ১২টার দিকে রোগীবাহী একটি অ্যাম্বুলেন্স ভাঙচুর করা হয়। এ ঘটনায় অ্যাম্বুলেন্স প্রতিষ্ঠানের ব্যবস্থাপক মো. সুজন বাদি হয়ে অজ্ঞাতনামা অন্তত ১৫০-২০০ জনকে আসামি করে একটি মামলা দায়ের করেন।
থানায় দায়ের করা পাঁচটি মামলা নিয়ে আমরা কাজ করছি। এ ঘটনার ইন্ধনদাতা, প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে জড়িতদের গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে বলেও জানান পুলিশের এই কর্মকর্তা।
গত ১৮ এপ্রিল রাত ১২টার দিকে ঢাকা কলেজের শিক্ষার্থীদের সঙ্গে নিউমার্কেটের ব্যবসায়ী ও কর্মচারীদের সংঘর্ষ শুরু হয়। প্রায় আড়াই ঘণ্টা সংঘর্ষ চলার পর রাতে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আসে। কিন্তু মঙ্গলবার সকাল ১০টা থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত ফের দফায় দফায় সংঘর্ষ চলে উভয়পক্ষের মধ্যে।
এ ঘটনায় উভয়পক্ষের অর্ধ শতাধিক আহত হয়ে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন। তাদের মধ্যে কয়েকজনের অবস্থা গুরুতর। এছাড়াও সংঘর্ষের ঘটনায় এখন পর্যন্ত দুজন চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা গেছেন। তাদের একজন ডেলিভারিম্যান, অন্যজন দোকান কর্মচারী।