ইনসাইড বাংলাদেশ

ঈদের ৩ দিনে সড়কে প্রাণ গেলো ৪৫ জনের

প্রকাশ: ০১:০০ পিএম, ০৬ মে, ২০২২


Thumbnail ঈদের ৩ দিনে সড়কে প্রাণ গেলো ৪৫ জনের

ঈদ মানে আনন্দ, ঈদ মানে খুশি। কিন্তু ঈদের এই আনন্দ অনেকের কাছে রূপ নিয়েছে বিষাদে। মঙ্গলবার (০৩ মে) ঈদের দিন থেকে বৃহস্পতিবার (০৫ মে) পর্যন্ত তিনদিনে সড়ক দুর্ঘটনায় দেশজুরে ৪৫ জন প্রাণ হারিয়েছেন। আহত হয়েছেন অন্তত দুই শতাধিক। এদের মধ্যে সবচেয়ে বেশি ঈদের দিন ১৮ জন, ঈদের দ্বিতীয় দিন ১৫ জন ও তৃতীয় দিন ১২ জন সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত হন। এসব দুর্ঘটনায় হতাহতদের বেশিরভাগই ঈদে ঘুরতে বের হয়েছিলেন। বাস, পিকআপ, মাইক্রোবাস, অটোরিকশা ও মোটরসাইকেলের সংঘর্ষে এসব দুর্ঘটনা ঘটে।

কুমিল্লা
কুমিল্লার চান্দিনা ও চৌদ্দগ্রামে পৃথক সড়ক দুর্ঘটনায় তিনজন নিহত হয়েছেন। নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে প্রাইভেটকার খাদে পড়ে একজন ও প্রাইভেটকারের ধাক্কায় দুজন নিহত হন।

মঙ্গলবার (০৩ মে) দুপুর আড়াইটার দিকে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের চৌদ্দগ্রাম উপজেলার আমানগন্ডা এলাকায় এ দুর্ঘটনা ঘটে।

নিহত ব্যক্তিরা হলেন- মাধাইয়া এলাকার সোহেল (২৫), মাখাইয়ায় এলাকার নাজমা বেগম (৪৬) ও বরিশাল সদর উপজেলার কাশিপুর এলাকার মৃত সিরাজুল হক তালুকদারের ছেলে মঞ্জুরুল হক তালুকদার (৩৫)।

টাঙ্গাইল
টাঙ্গাইলের ধনবাড়ীতে সড়ক দুর্ঘটনায় দুজন নিহত হয়েছেন। এ ঘটনায় আহত হয়েছেন আরও একজন। মঙ্গলবার (০৩ মে) বিকেলে উপজেলার রুপশান্তি কুচামারা সেতু এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।

নিহতরা হলেন-উপজেলার যদুনাথপুর ইউনিয়নের হরিপুর গ্রামের রিপন ওরফে আলামিন (১৬) এবং রিপন (১৬)। আহতের নাম আমিনুল ইসলাম (১৪)।

মানিকগঞ্জ
মানিকগঞ্জ সদর উপজেলার বেউথা এলাকায় মোটরসাইকেল দুর্ঘটনায় মহিদুর রহমান (৩০) নামের এক ব্যক্তি নিহত হয়েছেন। তিনি ছোট ভাইয়ের স্ত্রীকে নিয়ে মোটরসাইকেলে ঘুরতে বের হয়েছিলেন। মঙ্গলবার (০৩) দুপুরের দিকে এ দুর্ঘটনা ঘটে।

নিহত মহিদুর রহমান মানিকগঞ্জ সদর উপজেলার সরুন্ডি এলাকার মহিদুর রহমান বাসিন্দা।

মাদারীপুর
মাদারীপুরের রাজৈরে বাস-মোটরসাইকেল সংঘর্ষে রোমান মিনা (১৬) নামের এক স্কুলছাত্র নিহত হয়েছে। মঙ্গলবার (০৩ মে) বেলা ১১টার দিকে ঢাকা-বরিশাল মহাসড়কের উপজেলার টেকেরহাট বন্দরের শিমুলতলা এলাকায় এ দুর্ঘটনা ঘটে।

নিহত রোমান উপজেলার তাতিকান্দা গ্রামের নান্নু মিনার ছেলে। সে টেকেরহাট পপুলার হাইস্কুল অ্যান্ড কলেজের এসএসসি পরীক্ষার্থী ছিল। তার পরিবার স্বরমঙ্গল গ্রামে বসবাস করে।

সিরাজগঞ্জ
সিরাজগঞ্জের তাড়াশে মোটরসাইকেল নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে সেতুর অ্যাপ্রোচে ধাক্কা লেগে এক কিশোর নিহত হয়েছে। এ ঘটনায় গুরুতর আহত হয়েছে আরও দুই কিশোর। মঙ্গলবার (০৩ মে) সন্ধ্যায় উপজেলার তাড়াশ-রানীহাট আঞ্চলিক সড়কের ধোপাগাড়ি এলাকায় এ দুর্ঘটনা ঘটে।

নিহত কিশোরের নাম মেহেদি হাসান (১৭)। সে উপজেলার পাড়িল গ্রামের আবু বক্কারের ছেলে।

নারায়ণগঞ্জ
নারায়ণগঞ্জের বন্দর উপজেলায় মাইক্রোবাসচাপায় এক নারী পথচারী নিহত হয়েছেন। মঙ্গলবার (০৩ মে) সন্ধ্যায় উপজেলার কেওঢালা এলাকায় ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়ক পারাপার হওয়ার সময় ওই ঘটনা ঘটে।

গাজীপুর
গাজীপুরের কালিয়াকৈর উপজেলার সফিপুরে সিএনজিচালিত অটোরিকশা ও বাসের পৃথক সংঘর্ষে ছয়জন নিহত হয়েছেন। মঙ্গলবার (০৩ মে) বিকেল ৪টার দিকে এসব দুর্ঘটনা ঘটে।

নিহত ব্যক্তিরা হলেন-কুড়িগ্রামের উলিপুর উপজেলার সাদুল্লাপুর গ্রামের মৃত আলতাব হোসেনের স্ত্রী রেণু বেগম (৫০), গাজীপুরের দক্ষিণ সালনা এলাকার রমিজ উদ্দিনের ছেলে মো. হোসেন (৪৫), জামালপুরের দেওয়ানগঞ্জ থানার সানন্দবাড়ী গ্রামের শরিফ হোসেন (২৮) ও সাথী আক্তার। এছাড়া অজ্ঞাতপরিচয় আরও দুইজন।

গাইবান্ধা
ঈদের দিন গাইবান্ধায় পৃথক সড়ক দুর্ঘটনায় দুজন নিহত হয়েছেন। নিহত ব্যক্তিরা হলেন-গাইবান্ধা সদর উপজেলার গিদারী ইউনিয়ানের শরিফ উদ্দিনের ছেলে আহসান হাবীব (২২) এবং সদর উপজেলার খোলাহাটি ইউনিয়নের আহসান হাবীবের ছেলে লাবণ্য (১৮)।

মঙ্গলবার (০৩ মে) দুপুর থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত সময়ের মধ্যে এ দুর্ঘটনা ঘটে।

পঞ্চগড়
পঞ্চগড়ে দুই মোটরসাইকেলের সংঘর্ষে তিনজন নিহত হয়েছেন। এসময় আহত হয়েছেন আরও দুজন। বুধবার (০৪ মে) বিকেল সাড়ে ৪টায় শহরের সদর উপজেলার অমরখানা ইউনিয়নের মডেলহাট এলাকায় এ দুর্ঘটনা ঘটে।

চুয়াডাঙ্গা
চুয়াডাঙ্গার দর্শনায় মোটরসাইকেল নিয়ে ঘুরতে বের হয়ে মাথায় গাছের ডাল পড়ে কৌশিক আলম খান (২৫) নামের এক যুবক নিহত হয়েছেন। এ সময় আহত হয়েছেন তার চাচাতো ভাই।

বুধবার (০৪ মে) বিকেল ৪টার দিকে দর্শনা বাসস্ট্যান্ডের অদূরে একটি কালভার্টের সামনে এ দুর্ঘটনা ঘটে।

রংপুর
রংপুরের গঙ্গাচড়া উপজেলার শলেয়ালাহ বাজার এলাকায় মাইক্রোবাস ও মাহিন্দ্রার মুখোমুখি সংঘর্ষে পাঁচজন নিহত হয়েছেন। এরমধ্যে ঘটনাস্থলে তিনজন এবং হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় দুজন মারা যান।

বুধবার (০৪ মে) সন্ধ্যা ৭টার দিকে ওই এলাকার রংপুর-সৈয়দপুর মহাসড়কে এ দুর্ঘটনা ঘটে।

নিহত পাঁচজনের মধ্যে দুজন হলেন-ছেয়াদুল ইসলাম (৩৫) এবং নাজমা বেগম (৪৫)। ছেয়াদুল তারাগঞ্জ উপজেলার ইকরচালী ইউনিয়নের দোহাজারী গ্রামের মৃত কফিল উদ্দিনের ছেলে।

মাদারীপুর
মাদারীপুরের রাজৈরে ঢাকা-বরিশাল মহাসড়কের মোল্লাকান্দি এলাকায় একটি যাত্রীবাহী বাসের ধাক্কায় ব্যাটারিচালিত ভ্যানের চালকসহ তিনজন নিহত হয়েছেন। এ ঘটনায় আহত হয়েছেন কমপক্ষে পাঁচজন। এ সময় নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে বাসটি খাদে পড়ে যায়।

নিহত ব্যক্তিরা হলেন-উপজেলার নড়ারকান্দি গ্রামের শাজাহান শেখের ছেলে আমির শেখ (৩৫) ও একই উপজেলার দুর্গাবতী গ্রামের মজিদ তপাদারের ছেলে শান্ত তপাদার (২৩)। নিহত অপরজনের পরিচয় পাওয়া যায়নি।

বুধবার (০৪ মে) রাত ৮টার দিকে রাজৈর উপজেলার সানেরপাড় এলাকায় এ দুর্ঘটনা ঘটে।

যশোর
যশোরের চৌগাছার ইলিশমারী ও ঝিনাইদহের মহেশপুর উপজেলার মদদুইনপুর সীমানা এলাকায় বিদ্যুতের খুঁটির সঙ্গে মোটরসাইকেলের ধাক্কায় মোটরসাইকেল আরোহী দুই বন্ধু নিহত হয়েছেন।

তারা হলেন-চৌগাছা উপজেলার নারায়ণপুর ইউনিয়নের হাজরাখানা গ্রামের সাহেব আলীর ছেলে শাহিনুর রহমান (২২) ও একই গ্রামের বাবর আলীর ছেলে সাগর হোসেন (১৮)।

বুধবার (০৪ মে) সন্ধ্যায় উপজেলার ইলিশমারী এলাকায় চৌগাছা-বিদ্যাধরপুর সড়কে এ দুর্ঘটনা ঘটে।

শরীয়তপুর
শরীয়তপুরের জাজিরা উপজেলার রুববাবুর হাট এলাকায় মোটরসাইকেল দুর্ঘটনায় আইয়ূব মাহমুদ নয়ন (৩২) নামের এক যুবক নিহত হয়েছেন। তিনি ঢাকায় প্রেস’র ব্যবসা করতেন। মঙ্গলবার (০৩ মে) রাত ১০টার দিকে এ দুর্ঘটনা ঘটে।

পাবনা
পাবনার ঈশ্বরদীতে সড়ক দুর্ঘটনায় দুজন নিহত হয়েছেন। এ ঘটনায় আহত হয়েছেন আরও দুজন। বৃহস্পতিবার (০৫ মে) সকাল সাড়ে ৭টায় লালন শাহ সেতু সংযোগ সড়কের চাঁদ আলী মোড়ে এ ঘটনা ঘটে।

নিহত ব্যক্তিরা হলেন-ঈশ্বরদীর চরমিরকামারী গ্রামের সুজন আলীর ছেলে মোটরসাইকেল চালক মেহেদী হাসান ও ট্রাকের হেলপার (তার পরিচয় জানা যায়নি)।

ময়মনসিংহ
মোটরসাইকেলে ঘুরতে বেরিয়ে ময়মনসিংহের ফুলবাড়ীয়ায় পিকআপ চাপায় দুই বন্ধু নিহত হয়েছে। এ ঘটনায় গুরুতর আহত হয়েছে আরও একজন।

বৃহস্পতিবার (০৫ মে) বেলা সাড়ে ১১টার দিকে উপজেলার ফুলবাড়ীয়া শিবগঞ্জ সড়কের ছলির বাজার নামক স্থানে এ ঘটনা ঘটে।

নিহত কিশোররা হলো-উপজেলার চকরাধাকানাই গড়পাড়া গ্রামের প্রবাসী মজিবর রহমানের ছেলে আ. হান্নান (১৭) ও আলা উদ্দিনের ছেলে নয়ন (১৬)।

এর আগে সোমবার (২ মে) দিনগত রাতে মোটরসাইকেল দুর্ঘটনায় জাকারিয়া মিয়া (২০) নামের এক তরুণ মারা যান। তিনি নান্দাইল উপজেলার ইউনিয়নের চরশ্রীরামপুর গ্রামের মৃত আ. ছামাদের ছেলে।

গোপালগঞ্জ
গোপালগঞ্জের মুকসুদপুরে মাইক্রোবাসের ধাক্কায় হুমায়ুন শেখ (৩৮) নামের এক বাইসাইকেল আরোহী নিহত হয়েছেন। তার বাড়ি মুকসুদপুর উপজেলার দাসেরহাট গ্রামে।

বৃহস্পতিবার (০৫ মে) সকাল ৭টার দিকে মুকসুদপুর উপজেলার ঢাকা-খুলনা মহাসড়কের কদমপুর ব্রিজ এলাকায় এ দুর্ঘটনা ঘটে।

লালমনিরহাট
লালমনিরহাটের হাতীবান্ধায় চাচার সঙ্গে ঘুরতে বের হয়ে সড়ক দুর্ঘটনায় মামুন হোসেন (২২) নামের এক যুবকের মৃত্যু হয়েছে। এ ঘটনায় চাচা রিয়াজ হোসেন (৩৫) আহত হয়েছেন। তিনি হাতীবান্ধা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসাধীন।

বৃহস্পতিবার (০৫ মে) দুপুরে উপজেলা সাব-রেজিস্ট্রার অফিসের সামনে বুড়িমারী-লালমনিরহাট মহাসড়কে এ দুর্ঘটনা ঘটে।

দিনাজপুর
দিনাজপুরের নবাবগঞ্জ উপজেলায় মোটরসাইকেল নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে গাছের সঙ্গে ধাক্কা লেগে সেলিম হোসেন (১৮) নামের এক তরুণ নিহত হয়েছেন।

বৃহস্পতিবার (০৫ মে) বিকেল সাড়ে ৫টায় উপজেলার হায়াতপুর বাজার এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। নিহত সেলিম উপজেলার জগন্নাথপুর কলেজপাড়া গ্রামের মৃত ময়েন উদ্দিনের ছেলে।

নারায়ণগঞ্জ
নারায়ণগঞ্জের আড়াইহাজার এলাকায় ঘুরতে বের হয়ে মাইক্রোবাসের ধাক্কায় প্রাণ হারিয়েছেন দুই মোটরসাইকেল আরোহী।

বৃহস্পতিবার (৫ মে) বিকেল সাড়ে ৪টায় ঢাকা-আড়াইহাজার মহাসড়কের ব্রাহ্মন্দি এলাকায় এ দুর্ঘটনা ঘটে।

নিহত ব্যক্তিরা হলেন লাদেন (২০) ও হৃদয় (২২)। তাদের বাড়ি নরসিংদীর সাহেপ্রতাপ এলাকায় বলে জানা গেছে।

ঢাকা
ধামরাইয়ে মোটরসাইকেল-বাস মুখোমুখি সংঘর্ষের ঘটনায় এক কিশোর নিহত হয়েছে। আহত হয়েছে আরেক মোটরসাইকেল আরোহী।

মঙ্গলবার (০৩ মে) বিকেল ৪টার দিকে ঢাকা-আরিচা মহাসড়কের ধামরাইয়ের সূতিপাড়া বাসস্ট্যান্ড এলাকায় এ দুর্ঘটনা ঘটে।

নিহত ওই কিশোরের নাম সিয়াম (১৭)। সে আশুলিয়া আউকপাড়া এলাকার মো. হানিফ মিয়ার ছেলে।

রাজধানীর দারুস সালাম থানার দারুস সালাম টাওয়ারের সামনে গাড়ির ধাক্কায় মো. আবু বক্কর সিদ্দিক (৫৬) নামে এক বৃদ্ধের মৃত্যু হয়েছে।

আবু বক্কর সিদ্দিক বান্দরবান সদর উপজেলার বাসিন্দা বলে জানা গেছে। বুধবার (৪ মে) রাতে এ দুর্ঘটনা ঘটে।

রাজধানীর উত্তরা পশ্চিম থানা এলাকায় প্রাইভেটকারের ধাক্কায় সিএনজি চালকসহ দুজন নিহত হয়েছেন। নিহত ব্যক্তিরা হলেন-সিএনজি চালক মো. তৈয়ব আলী (৬৫) ও সিএনজি আরোহী মো. তাইফুর খন্দকার রাতুল (৪০)।

বৃহস্পতিবার (০৫ মে) ভোরে উত্তরা ১৩ নম্বর সেক্টরের সিঙ্গার মোড় এলাকায় এ দুর্ঘটনা ঘটে।

চট্টগ্রাম
চট্টগ্রাম-কক্সবাজার মহাসড়কের ভাইয়ার দীঘি এলাকায় সৌদিয়া পরিবহনের সঙ্গে সিএনজির মুখোমুখি সংঘর্ষে রনধীর বড়ুয়া (৬৮) নামে একজন নিহত হয়েছেন। এ সময় সিএনজি চালকসহ তিনজন আহত হন।

বৃহস্পতিবার (৫ মে) দুপুর পৌনে ১২টার দিকে ফোর স্টার কমিউনিটি সেন্টারের সামনে এ দুর্ঘটনা ঘটে।

ঈদ   সড়ক   পবিত্র ঈদুল ফিতর   দুর্ঘটনা  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড বাংলাদেশ

সুশীল সমাজের সঙ্গে ডোনাল্ড লু’র বৈঠক

প্রকাশ: ১০:৪৭ পিএম, ১৪ মে, ২০২৪


Thumbnail

রাজধানীর গুলশানে মার্কিন রাষ্ট্রদূত পিটার হাসের বাসায় সুশীল সমাজের প্রতিনিধিদের সাথে বৈঠক করেছেন ঢাকা সফররত মার্কিন সহকারী পররাষ্ট্রমন্ত্রী ডোনাল্ড লু। বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন গণমাধ্যমকর্মী, মানবাধিকারকর্মী, শ্রমিক নেতা ও জলবায়ুকর্মী। মূলত নির্বাচন পরবর্তী সময়ে বাংলাদেশের সমসাময়িক অবস্থা নিয়ে আলোচনা করেছেন তারা।

বৈঠকে আমেরিকার পক্ষ থেকে উপস্থিত ছিলেন ডোনাল্ড লু, চিফ অফিস স্টাফ ন্যাথানিয়াল হাফট, ব্যুরো অব ইন্টেলিজেন্ট অ্যান্ড রিসার্চের বিশ্লেষক সারাহ আল্ডরিচ, পিটার হাস, ইউএসএআইডি’র মিশন ডিরেক্টর রীড এসলিম্যান, পলিটিক্যাল কাউন্সিলর আর্তুরো হাইনস, ডেপুটি পলিটিক্যাল অ্যান্ড ইকোনমিক কাউন্সিল শ্যারন ফিটজগ্যারল্ড, পলিটিক্যাল অ্যাটাচ ম্যাথিউ বেহ। এছাড়া ঢাকায় নিযুক্ত জার্মান রাষ্ট্রদূত আছিম ট্রোস্টারও ছিলেন।

বাংলাদেশের সুশীল সমোজের প্রতিনিধিদের মধ্যে ছিলেন ডেইলি স্টারের সম্পাদক মাহফুজ আনাম, শ্রমিক নেত্রী কল্পনা আখতার, শ্রমিক নেতা বাবুল আখতার, জলবায়ুকর্মী সোহানুর রহমান ও মানবাধিকারকর্মী নুর খান লিটন।

আজ রাতে প্রধানমন্ত্রীর বেসরকারি শিল্প ও বিনিয়োগ উপদেষ্টা সালমান এফ রহমানের বাসায় নৈশভোজে অংশ নেবেন ডোনাল্ড লু। আগামীকাল বুধবার সকালে পরিবেশমন্ত্রী সাবের হোসেন চৌধুরীর সঙ্গে ডোনাল্ড লুর সৌজন্য সাক্ষাৎ করার কথা রয়েছে। পরে পররাষ্ট্র সচিব মাসুদ বিন মোমেনের সঙ্গে দ্বিপাক্ষিক বৈঠক হবে। পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদের সঙ্গেও পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে সৌজন্য সাক্ষাত করবেন তিনি।

সুশীল সমাজ   ডোনাল্ড লু  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড বাংলাদেশ

সিলেটে নতুন গৃহকর বাতিলের দাবিতে আন্দোলন অব্যাহত

প্রকাশ: ০৯:৩৬ পিএম, ১৪ মে, ২০২৪


Thumbnail

সিলেট নগরে নির্ধারিত নতুন গৃহকর বাতিলের দাবিতে আন্দোলন কর্মসূচি অব্যাহত রয়েছে। মঙ্গলবার (১৪ মে) একাধিক সংগঠন মানববন্ধন, সমাবেশসহ বিভিন্ন কর্মসূচির মাধ্যমে ‘অযৌক্তিক ও অস্বাভাবিক’ গৃহকর বাতিলের দাবি জানিয়েছে। এসব কর্মসূচিতে বক্তারা জনস্বার্থে দ্রুত নগরবাসীর দাবি মেনে নিতে মেয়রকে অনুরোধ জানান।

আন্দোলনকারীরা বলছেন, নগরবাসীর ওপর অস্বাভাবিক গৃহকর বাড়িয়ে দেওয়া হয়েছে, যা সম্পূর্ণ অযৌক্তিক। সিলেটে এমন কী হয়ে গেল যে হঠাৎ গৃহকর বাড়াতে হবে? এটা জনগণকে মেরে আঙুল ফুলে কলাগাছ হওয়ার ধান্দা। জনগণের ওপর এ গৃহকর বৃদ্ধি হবে অত্যন্ত জুলুম। এ জুলুম নগরবাসী সহ্য করবে না। শিগগির এ গৃহকর স্বাভাবিক পর্যায়ে আনতে হবে।

জানা গেছে, সিলেট সিটি করপোরেশনের (সিসিক) হোল্ডিং ট্যাক্স বা গৃহকর পুনর্মূল্যায়ন (রি-অ্যাসেসমেন্ট) শেষে কর ধার্য করে দুই বছর আগে পরিষদে পাস করিয়েছিলেন তৎকালীন মেয়র আরিফুল হক চৌধুরী। তাঁর সময়ে ২৭টি ওয়ার্ডের ৭৫ হাজার ৪৩০টি গৃহ থেকে ১১৩ কোটি ২৭ লাখ ৭ হাজার টাকা কর আদায় নির্ধারণ করা হয়েছিল। নতুন গৃহকর ধার্যের সময় ধরা হয় ২০২১-২২ অর্থবছর। মেয়র আরিফ নতুন করের বিষয়টি প্রকাশ করেননি, বাস্তবায়নও শুরু করে যাননি। 

নতুন মেয়র আনোয়ারুজ্জামান চৌধুরী দায়িত্ব গ্রহণের চার মাসের মাথায় গত এপ্রিলে নতুন করের বিষয়টি প্রকাশ করেন। তাঁর পরিষদ নগর ভবনের সামনে ৩০ এপ্রিল থেকে ‘হোল্ডিং ট্যাক্স অ্যাসেসমেন্ট’ ক্যাম্প শুরু করে। এতে শুরু হয় হইচই। গৃহ মালিকদের অনেকেরই করের পরিমাণ দেখে চোখ ছানাবড়া। যাঁর ৩০০ টাকা বার্ষিক কর ছিল তাঁর এখন ৩০ হাজার টাকা। এমনকি কোনো কোনো ক্ষেত্রে কয়েকশ গুণ বাড়ানো হয়েছে গৃহকর। এতে প্রতিবাদমুখর হয়ে ওঠেন গৃহ মালিকসহ বিভিন্ন পেশার নাগরিকরা। তারা নতুন কর বাতিলের দাবি তুলে স্মারকলিপি দেন। 

সিলেট   গৃহকর  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড বাংলাদেশ

চলতি মাসে অবসরে যাচ্ছেন ৪ জন: সচিব পদে আসছে ১৫তম ব্যাচ

প্রকাশ: ০৮:০০ পিএম, ১৪ মে, ২০২৪


Thumbnail

চলতি মাসেই সরকারের গুরুত্বপূর্ণ চারটি মন্ত্রণালয়ের সচিবরা অবসরে যাচ্ছেন। আর তাদের অবসরের পর শূন্য সচিব পদে বেশ কয়েকটি শূন্যপদ হচ্ছে। আর এই শূন্যপদ পূরণের জন্য প্রথমবারের মত ১৫তম ব্যাচের অভিষেক হচ্ছে।

অবশ্য ১৫তম ব্যাচের খাইরুল ইসলাম ইতোমধ্যে সচিব হয়েছেন। তবে তিনি অবসরে যাওয়ার শেষ মুহূর্তে তাকে সচিব পদমর্যাদা দেওয়া হয়। এখন তিনি বিডার নির্বাহী পরিচালক হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন। খায়রুল ইসলামের সচিব পদোন্নতিটা ছিল রাজনৈতিক বিবেচনায় বলেই অনেকে মনে করেন। এখন নিয়মিতভাবে ১৫তম ব্যাচ থেকে সচিব পদে পদায়ন শুরু হতে পারে বলে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের দায়িত্বশীল সূত্র নিশ্চিত করেছেন।

সচিব পদে যারা অবসরে যাচ্ছেন তাদের মধ্যে আগামী ১৮মে চুক্তিভিত্তিক নিয়োগে থাকা বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব তপন কান্তি ঘোষ অবসরে যাচ্ছেন। তপন কান্তি ঘোষের মেয়াদ গত বছর ১৮মে শেষ হয়েছিল। তাকে এক বছরের জন্য চুক্তিভিত্তিক নিয়োগ দেওয়া হয়েছিল। আগামী ১৬মে তিনি শেষ কর্মদিবস পালন করবেন। তার চুক্তিভিত্তিক নিয়োগ আর হচ্ছে না বলে একাধিক সূত্র নিশ্চিত করেছে।

এছাড়া, ৩১মে অবসরে যাচ্ছেন প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের সচিব গোলাম মোহাম্মদ হাসিবুল ইসলাম। তবে তিনি শেষ পর্যন্ত চুক্তিভিত্তিক নিয়োগ পেতে পারেন এমন গুঞ্জন রয়েছে। আবার জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের একটি সূত্র বলছে যে, না তার চুক্তিভিত্তিক নিয়োগ পাওয়ার তেমন কোনও সম্ভাবনা নেই।

অন্যদিকে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জননিরাপত্তা বিভাগের সচিব জনাব মুস্তাফিজুর রহমানের চুক্তিভিত্তিক মেয়াদ শেষ হয়ে যাচ্ছে ২৫মে এবং তার চুক্তি নবায়ন করা হচ্ছে না বলেই একাধিক সূত্র নিশ্চিত করেছে। নির্বাচন কমিশনের সচিব জাহাঙ্গীর আলমের এই পদে আসার সম্ভাবনা রয়েছে বলে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের একাধিক সূত্র জানিয়েছে। তবে এ ব্যাপারে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেবেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। শেষ পর্যন্ত জাহাঙ্গীর আলম হবে কি না তা বোঝা যাবে প্রজ্ঞাপন জারির পরপরই।

এছাড়াও, বহুল আলোচিত আর্থিক খাতের সচিব শেখ মোহাম্মদ সলীম উল্লাহ অবসরে যাচ্ছেন চলতি মাসের ২০মে এবং তারও চুক্তিভিত্তিক নিয়োগ আর হচ্ছে না বলেই জানা গেছে। আর্থিক খাতের নতুন সচিব কে হবেন তা নিয়ে বিভিন্নমুখী আলোচনা চলছে।

দায়িত্বশীল একাধিক সূত্র বলছে যে, চলতি মাসে এই চারজন গুরুত্বপূর্ণ সচিবের অবসর ছাড়াও সামনের দিনগুলোতে বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ সচিবের পদ খালি হচ্ছে। পরিকল্পনা বিভাগের সচিব সত্যজিত কর্মকারের চাকরির মেয়াদ শেষ হয়ে যাচ্ছে আগামী ১২জুন। তাকে চুক্তিভিত্তিক নিয়োগ দেওয়া হতে পারে বলে প্রশাসনের মধ্যে গুঞ্জন রয়েছে।

এছাড়া, পাবলিক সার্ভিস কমিশনের সচিব হাসানুজ্জামান কল্লোল এর চাকরির মেয়াদ শেষ হয়ে যাচ্ছে আগামী ১৫জুন। হাসানুজ্জামান কল্লোল চুক্তিভিত্তিক নিয়োগ পেতে পারেন বলে গুঞ্জন রয়েছে। তবে অনেকে মনে করছেন যে, তিনি শেষ পর্যন্ত চুক্তি ভিত্তিক নিয়োগ পাবেন না।

তবে প্রধানমন্ত্রীর মুখ্যসচিব তোফাজ্জল হোসেন মিয়ার চুক্তির মেয়াদ শেষ হয়ে যাচ্ছে ৫ জুলাই। তিনি চুক্তিভিত্তিক নিয়োগ পাবেন কিনা তা নিয়ে নানামুখী আলোচনা আছে। তবে শেষপর্যন্ত যদি তার চুক্তিভিত্তিক নিয়োগ না হয় সেক্ষেত্রে প্রধানমন্ত্রীর মুখ্যসচিব হিসেবে দুজন জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তার নাম আছে। তার মধ্যে রয়েছে নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব মোস্তফা কামাল এবং শিল্পমন্ত্রণালয়ের সচিব জাকিয়া সুলতানা। তবে প্রধানমন্ত্রীর মুখ্যসচিব কে হবেন এই সিদ্ধান্ত চূড়ান্তভাবে নিবেন প্রধানমন্ত্রী‌।


সচিব   জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়   বাংলাদেশ সিভিল সার্ভিস  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড বাংলাদেশ

তারাই ছিলেন মূল কারিগর?

প্রকাশ: ০৭:০০ পিএম, ১৪ মে, ২০২৪


Thumbnail

মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের দক্ষিণ পূর্ব এশিয়ার সহকারী পররাষ্ট্রমন্ত্রী ডোনাল্ড লু এখন বাংলাদেশ সফর করছেন। সফরের প্রথমেই তিনি প্রধানমন্ত্রীর উপদেষ্টা সালমান এফ রহমানের বাসভবনে নৈশভোজে আমন্ত্রিত হচ্ছেন। এরপর তার বিভিন্ন রকমের কর্মসূচী আছে। বাংলাদেশ সফরে তিনি যাদের সাথে সাক্ষাৎ করবেন সেই তালিকায় সালমান এফ রহমান ছাড়াও রয়েছেন জলবায়ু ও পরিবেশমন্ত্রী সাবের হোসেন চৌধুরী। এই দুইজন ব্যক্তির সঙ্গে সাক্ষাৎকার নিয়ে রাজনৈতিক অঙ্গনে নানারকম আলাপ-আলোচনা হচ্ছে।

অনেকেই মনে করছেন যে, গত বছরে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে আওয়ামী লীগের সম্পর্ক উন্নয়ন এবং মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র যেন বাংলাদেশের নির্বাচনের ব্যাপারে একটি নিরপেক্ষ অবস্থানে থাকেন সেজন্য যারা কাজ করেছেন তাদের মধ্যে এই দুইজন ব্যক্তি শীর্ষস্থানীয়। বিশেষ করে সালমান এফ রহমান মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে সম্পর্ক উন্নয়নে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছেন বলেই বিভিন্ন সূত্র থেকে জানা গেছে।

উল্লেখ্য যে, ২০১৮ সালের নির্বাচনের পর মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে আস্তে আস্তে বাংলাদেশের সম্পর্কের অবনতি ঘটতে থাকে এবং মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে নির্বাচনে জো বাইডেন প্রেসিডেন্ট হয়ে বাংলাদেশের গণতন্ত্র, মানবাধিকার ইত্যাদি বিষয়ে নানামুখী চাপ প্রয়োগ করতে থাকেন। বাংলাদেশকে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র গণতন্ত্র সম্মেলনে আমন্ত্রণ জানায়নি। একই সাথে বাংলাদেশের র‌্যাবের উপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হয়। সবকিছু মিলিয়ে বাংলাদেশের উপর একধরনের চাপ সৃষ্টির চেষ্টা শুরু থেকেই লক্ষ্য করা গিয়েছিল বাইডেন প্রশাসনের মধ্যে।

বাংলাদেশের নির্বাচন নিয়ে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের একধরনের আগ্রহ ছিল প্রকাশ্য। বাংলাদেশে নির্বাচন যেন অবাধ, সুষ্ঠু, নিরপেক্ষ হয় এবং সকল যেন নির্বাচনে অংশগ্রহণ করে সেজন্য মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র রীতিমত চাপ প্রয়োগ করছিল। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের পক্ষ থেকে বারবার বাংলাদেশের জন্য ভিসা নীতি ঘোষণা করা হয়েছিল এবং এই ভিসা নীতির আওতায় যারা অবাধ, সুষ্ঠু, নিরপেক্ষ নির্বাচনের পথে অন্তরায় হবেন তাদেরকে আনা হবে বলে জানিয়ে দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু ২৮ অক্টোবরের পর থেকে আস্তে আস্তে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের মনোভাব পাল্টাতে থাকে এবং ৭ জানুয়ারী নির্বাচনের পর মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র বাংলাদেশের ব্যাপারে সম্পূর্ণ নমনীয় একটি অবস্থান গ্রহণ করে।

বিভিন্ন সূত্র থেকে পাওয়া খবরে দেখা গেছে যে, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে সম্পর্ক উন্নয়নের জন্য যিনি মূখ্য ভূমিকা পালন করেছিলেন তিনি হলেন, প্রধানমন্ত্রীর উপদেষ্টা সালমান এফ রহমান। তিনি একাধিকবার মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে গিয়েছিলেন। তিনি মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের নিরাপত্তা উপদেষ্টা জ্যাক সুলিভানের সঙ্গে বৈঠক করেছেন, আফরিন হকের সঙ্গে তিনি বৈঠক করেছেন এবং পররাষ্ট্র দপ্তরের একাধিক কর্মকর্তার সাথেও তিনি বৈঠক করেন।

সালমান এফ রহমান ছাড়াও সাবের হোসেন চৌধুরীও আওয়ামী লীগের সঙ্গে সম্পর্ক উন্নয়ন এবং নির্বাচন নিয়ে মার্কিন অবস্থান পরিবর্তনের ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছেন বলে বিভিন্ন সূত্রগুলো নিশ্চিত করেছেন। বিশেষ করে ২৮ অক্টোবরের পর সাবের হোসেন চৌধুরীর পরীবাগের বাস ভবনে গিয়েছিলেন মার্কিন রাষ্ট্রদূত পিটার ডি হাস। আর এই সমস্ত ব্যক্তিরা আলাদাভাবে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক বজায় রেখে চলেছেন। আর এই কারণেই কি ডোনাল্ড লু তাদের সঙ্গে সাক্ষাৎ করছেন?


ডোনাল্ড লু   সালমান এফ রহমান   সাবের হোসেন চৌধুরী  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড বাংলাদেশ

বাংলাদেশের রাজনীতিতে চীনের নেটওয়ার্ক বাড়ছে

প্রকাশ: ০৬:০০ পিএম, ১৪ মে, ২০২৪


Thumbnail

চীন এতদিন বাংলাদেশের অর্থনৈতিক অংশীদার ছিল। বাংলাদেশের উন্নয়ন প্রকল্পগুলোতে তাদের বড় ধরনের অবদান রয়েছে। আর এ কারণেই বাংলাদেশ ভারতের সঙ্গে সম্পর্ক অক্ষুন্ন রেখেই চীনের সঙ্গে সম্পর্ক উন্নয়নের কাজ করে যাচ্ছিল। কিন্তু সাম্প্রতিক সময়ে চীন বাংলাদেশের রাজনীতিতেও নেটওয়ার্ক বিস্তার করার চেষ্টা করছে এবং বাংলাদেশের ক্ষমতাসীন রাজনৈতিক দলের সাথে রাজনৈতিকভাবে ঘনিষ্ঠ হওয়ার চেষ্টা করছে।

গত সোমবার আওয়ামী লীগ নেতৃত্বাধীন ১৪ দলীয় জোটের শরীকদের ৯ সদস্যের একটি দল চীনে গেছেন। এতে ওয়ার্কার্স পার্টির রাশেদ খান মেনন, সাম্যবাদী দলের সাধারণ সম্পাদক দিলীপ বড়ুয়া, জাতীয় সমাজতান্ত্রীক দলের (জাসদ) সাধারণ সম্পাদক শিরীন আক্তারসহ শীর্ষ নেতারা রয়েছে। বামদলগুলো বিভিন্ন সময়ে চীনের সঙ্গে অত্যন্ত ঘনিষ্ঠ এবং তাদের এই সফরের ব্যাপারে রাজনৈতিক কোন বাক পরিবর্তনের ইঙ্গিত নেই। কিন্তু এই সময় ১৪ দলের শরীকদেরকে চীনে নিয়ে যাওয়া রাজনীতিতে বেশ গুরুত্ব বহন করে বলেই অনেকে মনে করছেন।

আগামী ২৫ মে আওয়ামী লীগের সহযোগী সংগঠনগুলোর কেন্দ্রীয় নেতাদের ৫০ সদস্যের একটি দল চীন সফরে যাবে। জানা গেছে, চীনের কমিউনিস্ট পার্টির আমন্ত্রণে তারা যাচ্ছেন। এ দলের নেতৃত্ব দিবেন স্বেচ্ছাসেবকলীগের সহ-সভাপতি এবং সিরাজগঞ্জ-১ আসনের সংসদ সদস্য তানভীর শাকিল জয়। ২৫ জুন আওয়ামী লীগের আরেকটি উচ্চ পর্যায়ের দল চীন সফর করবে এবং এ দলটির নেতৃত্ব দেয়ার দায়িত্ব দেয়া হয়েছে আওয়ামী লীগের সভাপতি মন্ডলীর সদস্য ও গত জাতীয় সংসদ নির্বাচনের জন্য গঠিত নির্বাচন পরিচালনা কমিটির কো-চেয়ারম্যান কাজী জাফরউল্লাহকে। ১০ সদস্যের এ দলে আওয়ামী লীগের বেশ কয়েকজন কেন্দ্রীয় নেতা থাকবেন বলেও ধারণা করা হচ্ছে।

আওয়ামী লীগ এবং তার অঙ্গ সহযোগী সংগঠনের নেতাদের এই চীন সফর রাজনীতির অঙ্গনে নতুন মেরুকরণ সৃষ্টি করেছে। শুধু তাই নয়, চীন এখন বিএনপির সঙ্গেও এক ধরনের সম্পর্ক উন্নয়নের চেষ্টা করছে বলে দায়িত্বশীল একাধিক সূত্র আভাস দিয়েছে। বিশেষ করে বিএনপির বিভিন্ন চীনপন্থি নেতাদের সঙ্গে তারা নতুন করে সম্পর্ক ঝালিয়ে নিচ্ছে।  এতদিন ধরে চীন বাংলাদেশের অর্থনৈতিক বলয়ে প্রভাব বিস্তারের চেষ্টা করছিল এবং এখন অর্থনৈতিক বলয়ে মোটামুটি প্রভাব বিস্তার শেষ করেছে। এখন চীন রাজনৈতিক বলয়েও প্রভাব বিস্তারের চেষ্টা করছে বলেও ধারণা করা হচ্ছে।

চীন শুধু বাংলাদেশে নয়, এই কৌশল মালদ্বীপ, শ্রীলঙ্কা এবং নেপালেও গ্রহণ করেছিল। যেখানে তারা প্রথমে অর্থনৈতিকভাবে দেশটির উপর একধরনের প্রভাব বিস্তার করার চেষ্টা করে এবং অর্থনৈতিকভাবে তাদেরকে নির্ভরশীল করে তোলে। অর্থনৈতিক নির্ভরতার পর তারা আস্তে আস্তে রাজনীতিমুখী হয় এবং রাজনৈতিক বিষয়ে তারা একধরনের প্রভাব বলয় সৃষ্টি করার চেষ্টা করে। বিশেষ করে মালদ্বীপে চীন অর্থনৈতিক আধিপত্যের মাধ্যমে এখন রাজনৈতিক প্রভাব নিশ্চিত করেছে। ঠিক একই ঘটনা বাংলাদেশে ঘটছে কিনা এনিয়ে অনেকের মধ্যে প্রশ্ন উঠেছে।

চীন বাংলাদেশের অন্যতম ঋণদাতা এবং বাংলাদেশ এখন ক্রমশ চীনের ঋণের উপর নির্ভরশীল হয়ে পড়ছে। শুধু তাই নয়, বাংলাদেশের বিভিন্ন অর্থনৈতিক কর্মকান্ডের উপরও চীনের প্রভাব বাড়ছে। যদিও বর্তমান সরকার এখন চীনের কাছ থেকে নতুন করে ঋণ গ্রহণ এবং চীনা প্রকল্পগুলোর ব্যাপারে সতর্ক অবস্থান নিয়েছে। কিন্তু তারপরও সরকারের ভিতর একটি অংশের চীনের সঙ্গে ব্যবসা বানিজ্য করার আগ্রহ বেড়েছে। এটির অন্যতম কারণ হলো চীনের কাছ থেকে সহজেই কমিশন পাওয়া যায়, চীনের প্রকল্পগুলোতে উপরি আয়ের সুযোগ বেশি- ইত্যাদি নানা বাস্তবতায় চীন নির্ভরতা আমাদের অর্থনীতিতে বেড়েছে এবং তারই সূত্র ধরে এখন চীন বাংলাদেশের রাজনৈতিক দলগুলোর প্রতি আগ্রহী হয়েছে বলেই মনে করা হচ্ছে।


চীনা রাষ্ট্রদূত ইয়াও ওয়েন   চীনা পররাষ্ট্রমন্ত্রী ওয়াং ই   বাংলাদেশ   রাজনীতি  


মন্তব্য করুন


বিজ্ঞাপন