এক হাজার মাদরাসার তথ্য-উপাত্ত নিয়ে ‘ধর্ম-ব্যবসায়ীদের’ দুর্নীতি তদন্ত করা হয়েছে। এই শতাধিক ‘ধর্ম ব্যবসায়ী’র দুর্নীতির তদন্ত চেয়ে দুর্নীতি দমন কমিশনে (দুদক) তালিকা জমা দিয়েছে ঘাতক দালাল নির্মূল কমিটির সমন্বয়ে গঠিত গণকমিশন।
বুধবার (১১ মে) দুদক চেয়ারম্যান মঈনউদ্দীন আবদুল্লার কাছে শ্বেতপত্র ও সন্দেহভাজন শতাধিক ব্যক্তির তালিকা তুলে দেওয়া হয়। গণকমিশনের চেয়ারম্যান বিচারপতি শামসুদ্দিন চৌধুরী মানিক ও সদস্য সচিব ব্যারিস্টার তুরিন আফরোজের নেতৃত্বে পাঁচ সদস্যের প্রতিনিধিদল এ সময় উপস্থিত ছিল।
এর আগে, বুধবার সকালে নামের তালিকা জমা দেওয়ার পর গণমাধ্যমের সঙ্গে আলাপকালে বিচারপতি শামসুদ্দিন চৌধুরী মানিক বলেন, আমরা ৯ মাস তদন্ত করেছি। বহু ভুক্তভোগীর সাক্ষ্য নিয়েছি। ২২শ পৃষ্ঠার প্রতিবেদন গত মার্চে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীকে দিয়েছি। তিনি ব্যবস্থা নেবেন বলে আমাদের আশ্বস্ত করেছেন। ধর্মান্ধ গোষ্ঠীর বিরুদ্ধে আমরা দুর্নীতির প্রমাণ পেয়েছি। তারা মানিলন্ডারিং করেছে। জামায়াত ও ধর্ম ব্যবসায়ী গোষ্ঠীকে অর্থায়ন করা হচ্ছে। সেই দুর্নীতির তথ্য দিলাম। তাদের বাড়তে দেওয়া যায় না।
দুদক চেয়ারম্যানের বক্তব্য তুলে ধরে সাবেক এ বিচারপতি বলেন, দুদক চেয়ারম্যান জানিয়েছেন, অর্ধশতাধিক ওয়াজ ব্যবসায়ীর দুর্নীতির খোঁজ শুরু করা হয়েছে। দুদক আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা নেবে। যারা অপরাধ করেছে, তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। মামনুল হকসহ যারা আছে, তাদের বিরুদ্ধে তদন্ত চলমান রয়েছে।
মানিক বলেন, আমাদের শ্বেতপত্র দুদকের কাজে আসবে। ডিসি, এসপি ও ইউএনওসহ যারা এসব গোষ্ঠীকে উসকানি দেয়, তাদের নাম উল্লেখ করেছি। বিশেষ করে নোয়াখালীর এসপির বিরুদ্ধে বলেছি। তাদের বিরুদ্ধে মামলা করতে হবে।
গণকমিশনের সদস্য সচিব ব্যারিস্টার তুরিন আফরোজ বলেন, আমরা এক হাজার মাদরাসা ও ওয়াজকারীদের ওপর তদন্ত করেছি, শ্বেতপত্রে বিস্তারিত আছে। সাম্প্রদায়িক গোষ্ঠী ও হেফাজতের কর্মকাণ্ড উঠে এসেছে। তাদের অর্থনৈতিক জবাবদিহিতার আওতায় আনা হবে বলে আমরা প্রত্যাশা করছি।
গণকমিশনের তালিকায় ১১৬ জনের নাম রয়েছে।
তালিকায় যাদের নাম রয়েছে—
১. মাওলানা নূরুল ইসলাম ওলিপুরী, ২. মাওলানা সাজিদুর রহমান, ৩. মুফতি রেজাউল করিম, ৪. মুফতি সৈয়দ ফয়জুল করিম, ৫. মাওলানা খোরশেদ আলম কাসেমী, ৬. মাওলানা আবুল কালাম আজাদ (বাশার), ৭. মাওলানা জুনায়েদ আল হাবিব, ৮. মুফতি দিলওয়ার হোসাইন সাইফী, ৯. মাওলানা সাইয়্যেদ কামাল উদ্দিন জাফরী, ১০. মাওলানা মাহমুদুল হাসান ভূজপুরী, ১১. মাওলানা মাহমুদুল হাসান ফতেহপুরী, ১২. মাওলানা মুহিব খান, ১৩. মুফতি সাঈদ আহমদ কলরব, ১৪. মুফতি দিলাওয়ার হোসাইন, ১৫. মাওলানা গিয়াস উদ্দিন তাহেরী, ১৬. মাওলানা আব্দুর রহিম বিপ্লবী, ১৭. মাওলানা আরিফ বিল্লাহ, ১৮. মাওলানা বজলুর রশিদ, ১৯. মুফতি নাজিবুল্লাহ আফসারী, ২০. মাওলানা ওয়াসেক বিল্লাহ নোমানী, ২১. মুফতি নূর হোসেন নুরানী, ২২. মুফতি কাজী ইব্রাহিম, ২৩. মাওলানা গোলাম রাব্বানী, ২৪. মাওলানা মুজাফফর বিন মহসিন, ২৫. মাওলানা মোস্তফা মাহবুবুল আলম, ২৬. মাওলানা মাহমুদুল হাসান গুনবি, ২৭. মাওলানা শায়েখ সিফাত হাসান, ২৮. মাওলানা মোহাম্মদ রাকিব ইবনে সিরাজ, ২৯. মাওলানা ফয়সাল আহমদ হেলাল, ৩০. মাওলানা মতিউর রহমান মাদানী, ৩১. মাওলানা মুজিবুর রহমান, ৩২. মাওলানা খালেদ সাইফুল্লাহ আইয়ুবী, ৩৩. মাওলানা হাফিজুর রহমান ছিদ্দীকী, ৩৪. মাওলানা আজিজুল ইসলাম জালালী, ৩৫. মাওলানা মেরাজুল হক কাসেমী, ৩৬. মুফতি মুহসিনুল করিম, ৩৭. মাওলানা আব্দুল বাসেত খান, ৩৮. মাওলানা আবদুল খালেক সাহেব শরিয়তপুরী, ৩৯. মুফতি মাহমুদ উল্লাহ আতিকী, ৪০. মুফতি উসমান গণি মুছাপুরী, ৪১. মাওলানা আবু নাঈম মুহাম্মাদ তানভীর, ৪২. মুফতি শিহাবুদ্দীন, ৪৩. মুফতি মুসতাঈন বিল্লাহ আল-উসওয়ায়ী, ৪৪. মাওলানা আশরাফ আলী হরষপুরী, ৪৫. মাওলানা জাকারিয়া, ৪৬. মুফতি আমজাদ হোসাইন আশরাফী, ৪৭. মুফতি আনোয়ার হোসাইন চিশতী, ৪৮. মাওলানা আতিকুল্লাহ, ৪৯. মাওলানা বশির আহমদ, ৫০. মাওলানা সিরাজুল ইসলাম মিরপুরী, ৫১. মাওলানা রিজওয়ান রফিকী, ৫২. মাওলানা আবরারুল হক হাতেমী, ৫৩. মাওলানা রাফি বিন মুনির, ৫৪. মাওলানা আনোয়ারুল ইসলাম জাবেরী, ৫৫. মাওলানা মোতাসিম বিল্লাহ আতিকী, ৫৬. মুফতি শেখ হামিদুর রহমান সাইফী, ৫৭. মাওলানা আজহারুল ইসলাম আজমী, ৫৮. মাওলানা কামাল উদ্দিন দায়েমী, ৫৯. মাওলানা কামাল উদ্দিন কাসেমী, ৬০. মাওলানা মুফতি রুহুল আমিন নুরী, ৬১. মাওলানা মাজহারুল ইসলাম মাজহারী, ৬২. মাওলানা মাহমুদুল হাসান ফেরদাউস, ৬৩. মুফতি এহসানুল হক জিলানী, ৬৪. মাওলানা মাহবুবুর রহমান জিহাদি, ৬৫. মুফতি আব্দুল হক, ৬৬. মুফতি শাহিদুর রহমান মাহমুদাবাদী, ৬৭. মাওলানা ইসমাঈল বুখারী, ৬৮. মাওলানা জয়নুল আবেদীন হাবিবী, ৬৯. মাওলানা ইউসুফ বিন এনাম, ৭০. মাওলানা শাববীর আহমদ উসমানী, ৭১. মুফতি জাহিদুল ইসলাম যায়েদ, ৭২. মাওলানা আব্দুল কাইয়ুম জামী, ৭৩. মাওলানা আবুল কালাম আজাদ, ৭৪. মাওলানা ইসমাইল হোসাইন, ৭৫. মুফতি আব্দুর রহিম হেলালী, ৭৬. মুফতি ওমর ফারুক যুক্তিবাদী, ৭৭. মাওলানা মুশাহিদ আহমদ উজিরপুরী, ৭৮. মাওলানা কাজিম উদ্দীন (অন্ধ হাফেজ), ৭৯. মাওলানা ফেরদাউসুর রহমান, ৮০. মুফতি হারুনুর রশিদ, ৮১. মাওলানা আবুল কাসেম, ৮২. মুফতি ওয়ালী উল্লাহ, ৮৩. মাওলানা আবু নাঈম মুহাম্মাদ তানভীর, ৮৪. মাওলানা জাকারিয়া নাটোর, ৮৫. মাওলানা আবুল হাসান (সাদী), ৮৬. মুফতি রুহুল আমিন নুরী, ৮৭. মুফতি মামুনুর রশিদ কামালী, ৮৮. মাওলানা আবদুল কালাম আজাদ, ৮৯. মাওলানা ডা. সিরাজুল ইসলাম সিরাজী (নওমুসলিম), ৯০. মাওলানা শামসুল হক যশোরী (নওমুসলিম), ৯১. মুফতি হাবিবুর রহমান মিসবাহ, ৯২. মাওলানা মুফতি ওলিউল্লাহ, ৯৩. মাওলানা বেলাল হুসাইন ফারুকী, ৯৪. মুফতি ওমর ফারুক যুক্তিবাদী, ৯৫. মাওলানা আমির হামজা, ৯৬. মাওলানা মিজানুর রহমান আযহারী, ৯৭. মাওলানা তারেক মনোয়ার, ৯৮. মাওলানা আব্দুল হালিম বোখারী, ৯৯. মাওলানা আতাউল্লাহ হাদেমী, ১০০. মাওলানা আফম খালিদ হোসেন, ১০১. মাওলানা মামুনুল হক, ১০২. মুজিবুর রহমান হামিদী, ১০৩. মাওলানা মুশতাকুন্নবী, ১০৪. মাওলানা সালাহ উদ্দীন নানুপুরী, ১০৫. মাওলানা কুতুব উদ্দীন নানুপুরী, ১০৬. মাওলানা বেলাল উদ্দীন, ১০৭. মাওলানা রফিকুল ইসলাম মাদানী, ১০৮. মাওলানা রুহুল আমিন যুক্তিবাদী, ১০৯. মাওলানা আবুল কালাম বয়ানী, ১১০. মাওলানা রফিকুল্লাহ আফসারী, ১১১. মাওলানা আব্দুল্লাহ আল-আমিন, ১১২. মাওলানা মোয়াজ্জেম হোসাইন সাইফী, ১১৩. মাওলানা আলাউদ্দীন জিহাদি, ১১৪. মাওলানা আবু বকর মোহাম্মদ জাকারিয়া, ১১৫. জৈনপুরী সিলসিলার মাওলানা এনায়েতুল্লাহ আব্বাসী এবং ১১৬. মাওলানা মাহবুবুর রহমান জৈনপুরী।
দুদকে জমা দেওয়া এসব নাম শ্বেতপত্রের ৭৬০ ও ৭৬১ পৃষ্ঠায় রয়েছে বলে গণকমিশনের একজন নির্বাহী সদস্য নিশ্চিত করেছেন।
১১৬ জন ‘ধর্ম-ব্যবসায়ী’র তালিকা দুদকে
মন্তব্য করুন
এসএসসি-২০২৪ সালের ও সমমান পরীক্ষার ফল প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার
কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।
রোববার (১২ মে) সকাল ১০টার দিকে প্রধানমন্ত্রীর সরকারি বাসভবন গণভবনে
বিভিন্ন শিক্ষাবোর্ডের চেয়ারম্যানরা প্রধানমন্ত্রীর কাছে ফলের সারসংক্ষেপ হস্তান্তর
করেন।
দুপুরে সংবাদ সম্মেলন করে ফলাফলের বিস্তারিত তুলে ধরবেন শিক্ষামন্ত্রী।
দুপুরের পর থেকে পরীক্ষার্থীরা ফলাফল জানতে পারবেন।
গণভবনে আয়োজিত অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন, শিক্ষামন্ত্রী ব্যারিস্টার
মুহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেল ও প্রতিমন্ত্রী শামসুন্নাহার চাঁপা।
গত ১৫ ফেব্রুয়ারি এসএসসি ও সমমানের পরীক্ষা শুরু হয়। এবার মোট ১১টি
শিক্ষা বোর্ডের অধীনে ২০ লাখ ২৪ হাজার ১৯২ জন পরীক্ষার্থী এসএসসি ও সমমানের পরীক্ষায়
অংশ নিয়েছেন। এর মধ্যে ৯টি সাধারণ শিক্ষা বোর্ডের অধীনে পরীক্ষার্থী ছিলেন ১৬ লাখ ৬
হাজার ৮৭৯ জন। মাদরাসা শিক্ষা বোর্ডের অধীনে দাখিল পরীক্ষা দিয়েছেন মোট ২ লাখ ৪২ হাজার
৩১৪ জন। কারিগরি শিক্ষা বোর্ডের অধীনে এসএসসি (ভোকেশনাল) ও দাখিল (ভোকেশনাল) পরীক্ষায়
অংশ নেন ১ লাখ ২৬ হাজার ৩৭৩ জন।
মন্তব্য করুন
সিরাজগঞ্জের বেলকুচিতে দুটি তাঁত কারখানায় অগ্নিকান্ডের ঘটনা ঘটেছে। এতে প্রায় অর্ধকোটি টাকা ক্ষতি হয়েছে বলে মালিক পক্ষ দাবি করেছে। নিবার্চন পরবর্তী সহিংসতায় কারনে এমন ঘটনা ঘটাতে পারে বলে মনে করছেন ফ্যাক্টরি মালিক পক্ষ। তাদের ধারনা গত ৮ মে অনুষ্ঠিত উপজেলা নির্বাচনে দোয়াত কলম প্রতীকের পক্ষে নিবার্চন করায় এমন ঘটনা ঘটাতে পারে প্রতিপক্ষ।
এঘটনায় ফ্যাক্টরিতে থাকা ৩২ টা বিদ্যুতিক পাওয়ারলুমসহ দুটি ফ্যাক্টরি ঘর পুরে ভস্মীভূত হয়ে যায়। এলাকাবাসী ও বেলকুচি ফায়ার সার্ভিসের ইউনিট প্রায় দুই ঘণ্টা চেষ্টার পর আগুন নিয়ন্ত্রণে আসে।
ক্ষতিগ্রস্ত কারখানার মালিকের দাবি এতে তার প্রায় অর্ধকোটি টাকার ক্ষতি হয়েছে। গত শুক্রবার (১০ মে) রাতে বেলকুচি দৌলতপুর ইউনিয়নের আজুগড়া জামাতমোড় এলাকার হাজী মোতালেব মুন্সীর তাঁত ফ্যাক্টরিতে এ ঘটনা ঘটে। তবে কিভাবে অগ্নিকান্ডের ঘটনা ঘটেছে তার সঠিক কারণ জানা যায়নি।
এলাকাবাসী সূত্রে জানা যায়, আনুমানিক রাত দেড়টায় হঠাৎ মোতালেব মুন্সীর বাড়ির তাঁত ফ্যাক্টরি ঘরে অগ্নিকান্ডের লেলিহান শিখা দেখতে পান। পরে বেলকুচি ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্সের কর্মীরা প্রায় দুই ঘণ্টা চেষ্টার পর আগুন নিয়ন্ত্রণে আনেন।
বেলকুচি ফায়ার সার্ভিসের ষ্টেশন ইনচার্জ নাসির উদ্দিন বলেন, ‘রাত দেড়টার দিকে খবর আসে আমরা খবর পাওয়ার মাত্র আমাদের ইউনিট নিয়ে ঘটনাস্থলে যাই।’
রাত প্রায় ৪টার দিকে আগুন নিয়ন্ত্রনে আসে। প্রাথমিক ভাবে ধারনা করা হচ্ছে বিদ্যুতিক সটসার্কেট থেকে আগুনের সুত্রপাত হতে পারে। তবে কি ভাবে হয়েছে তা নিশ্চিত করতে তদন্ত করছে পুলিশ।
এ ব্যাপারে বেলকুচি থানার ওসি আনিছুর রহমান জানান, ‘আমরা ঘটনা জানার পর আমাদের ফোর্স নিয়ে উপস্থিত হই। ফায়ার সার্ভিস এসে দুই ঘন্টার চেস্টায় আগুন নিয়ন্ত্রনে আনে। আগুন কিভাবে লাগছে এখনো বোঝা যাচ্ছে না। ফ্যাক্টরি মালিক একটি অভিযোগ করেছে। তবে এখনই কত টাকার ক্ষতি হয়েছে তা বলা যাচ্ছে না। এটি তদন্ত করে জানা যাবে।'
মন্তব্য করুন
একদিন মাদরাসায় না যাওয়ায় অভিযোগে সুনামগঞ্জের তাহিরপুরে দারুল আযহার বাদাঘাট ক্যাডেট মাদরাসার এক শিক্ষক বেত দিয়ে বেধরকভাকে মারপিট করেছে ১৩ বছরের এক ছাত্রকে। শরীরের বিভিন্ন স্থানে নির্যাতনের চিহ্ন নিয়ে নৌরভ হাসান নামে নামের ওই শিশুটিকে শনিবার
(১১ মে) সন্ধ্যায় স্থানীয়ভাবে প্রাথমিক চিকিৎসাসেবা দেয়া হয়েছে। নৌরভ উপজেলার কামড়াবন্দ গ্রামের বাসিন্দা নিজাম উদ্দিনের ছেলে।
মাদরাসা ছাত্রের বাবা নিজাম উদ্দিন জানান, ‘ছেলেকে হাফেজ তৈরির আশায় ওই মাদরাসায় দেয়া হয়। সেখানে পড়াকালীন সময়ে সে মাদরাসায় অনুপস্থিত থাকত না, শুধু শুক্রবার (১০ মে) রাতেই মাদরাসায় যায়নি। শুক্রবার রাতে সে মাদরাসায় না যাওয়ায় পরদিন শনিবার
(১১ মে) বেলা ১১টায় সে মাদরাসায় গেলে মাদরাসা শিক্ষক হাফেজ সায়েম তাকে বেত (জালিবেত) দিয়ে বেধরকভাবে পিঠিয়ে শরীরের দুই হাত-পা-পিঠে জখম করে মাদরাসায় তিন ঘন্টা আটকে রাখেন।
শনিবার (১১ মে) বিকালে খবর পেয়ে তিনি মাদরাসায় গিয়ে দেখতে পান ছেলে কান্নাকাটি করছে। এ সময় তার কাছে শিক্ষকদের নির্যাতনের বর্ণনা শুনেন। তার শরীরের বিভিন্ন স্থানে ওই শিক্ষকের নির্যাতনের চিহ্ন দেখে দ্রুত স্থানীয়ভাবে প্রাথমিক চিকিৎসার ব্যবস্থা করেন। এ ব্যাপারে তিনি আইনের আশ্রয় নেবেন বলে জানান।
এ বিষয়ে শিশু নৌরভ জানান, ‘মাদরাসার হাফেজ সায়েম হুজুরের মারপিঠের ভয়েই আমি শুক্রবার রাতে মাদরাসায় যাইনি। তিনি শুধু আমাকেই না প্রায়ই অনেক ছাত্রকেই বেধরকভাবে বেত দিয়ে মারধর করেন।’
অভিযুক্ত শিক্ষক হাফেজ সায়েম জানান, ‘মাদরাসায় শুক্রবার রাতে না আসা ও পরদিন বিলম্ভে মাদরাসায় আসায় আমি রাগের মাথায় তাকে কিছুটা বেশী শাসন করেছি।’
এ বিষয়ে তাহিরপুর থানার ওসি মোহাম্মদ নাজিম উদ্দিন জানান, ‘মাদরাসা ছাত্রের পরিবারের পক্ষ থেকে লিখিত অভিযোগ দিলে আমরা অবশ্যই আইনি ব্যবস্থা নেব।’
মাদ্রাসা শিক্ষক ছাত্র নির্যাতন
মন্তব্য করুন
সিলেট মহানগরীতে নতুন গৃহকর নিয়ে কয়েকদিন ধরে্ই ব্যাপক আলোচনা-সমালোচনা চলছে। নগরীর বাড়িওয়ালাদের এক ধরনের তোপের মুখে রয়েছেন সিটি মেয়র আনোয়ারুজ্জামান চৌধুরী।এ পরিস্থিতিতে ‘গোপন বৈঠক’ করেছেন সিলেটের বর্তমান ও সাবেক মেয়র।
শুক্রবার (১০ মে) বিকেলে
নগরীর চৌহাট্টা এলাকায় একটি স্থানীয় পত্রিকা অফিসে এ বৈঠক হয়। এ ‘গোপন বৈঠক’ নিয়ে নতুন
করে আলোচনায় এসেছেন সিলেট সিটি করপোরেশনের (সিসিক) বর্তমান মেয়র আনোয়ারুজ্জামান চৌধুরী
ও সাবেক মেয়র আরিফুল হক চৌধুরী। যদিও তারা এটিকে সৌজন্য সাক্ষাৎ বলছেন।
তবে সূত্র বলছে, নতুন নির্ধারিত গৃহকর নিয়ে উদ্ভূত পরিস্থিতি থেকে উত্তরণে
নিজেদের মধ্যে আলোচনা করতেই এ বৈঠকে বসেছিলেন। বর্তমান মেয়র আনোয়ারুজ্জামানের হাত ধরে
নতুন গৃহকর বাস্তবায়ন হলেও ২০১৯-২০ সালে মাঠপর্যায়ে অনুসন্ধান শেষে হোল্ডিং সংখ্যা
পুনর্নির্ধারিত করা হয়েছিল। সেসময় সিসিকের দায়িত্বে ছিলেন আরিফুল হক চৌধুরী।
যে
কারণে নতুন গৃহকর নিয়ে কেউ বলছেন বিদায়ী মেয়র আরিফুল হক চৌধুরী দায়িত্ব হস্তান্তরের
আগে গৃহকর নির্ধারণ করেছেন। আবার কেউ কেউ বলছেন, বিদায়ী মেয়রের স্থগিত রাখা গৃহকরের
সিদ্ধান্ত বাস্তবায়ন করে সমালোচনার মুখে পড়েছেন নতুন মেয়র মো. আনোয়ারুজ্জামান চৌধুরী।
এর
আগে পঞ্চবার্ষিক কর পুনর্মূল্যায়নের পর গত ৩০ এপ্রিল থেকে নতুন নির্ধারিত বার্ষিক গৃহকর
(হোল্ডিং ট্যাক্স) অনুযায়ী ভবনমালিকদের গৃহকর পরিশোধের নোটিশ দেওয়া শুরু করে সিলেট
সিটি করপোরেশন। এরপর নগরের প্রায় পৌনে এক লাখ ভবনমালিকের গৃহকর ৫ থেকে ৫০০ গুণ পর্যন্ত
বাড়ানো হয়েছে বলে অভিযোগ উঠে। এ নিয়ে নগরবাসীর মধ্যে দেখা দিয়েছে ক্ষোভ ও অসন্তোষ।
এটি বাতিলের দাবিতে প্রতিদিনই বিভিন্ন সংগঠন প্রতিবাদ কর্মসূচি পালন করে যাচ্ছে।
এ
পরিস্থিতিতে শুক্রবার বিকেলে সিলেটের স্থানীয় একটি পত্রিকা অফিসে গোপনে বৈঠকে বসেন
বর্তমান মেয়র আনোয়ারুজ্জামান চৌধুরী ও সাবেক মেয়র আরিফুল হক চৌধুরী। এ সময় তারা গৃহকর
নিয়ে উদ্ভূত পরিস্থিতি মোকাবিলায় একান্তে কথা বলেন।
বৈঠকের বিষয়ে বর্তমান মেয়র আনোয়ারুজ্জামান চৌধুরী বলেন, ‘এটি একটি সৌজন্য সাক্ষাৎ ছিল। সাক্ষাৎকালে নগরীর বিভিন্ন বিষয়সহ গৃহকর নিয়েও আলোচনা হয়েছে। নাগরিক থেকে শুরু করে সুশীল সমাজসহ সবার সঙ্গে আলোচনা করেই গৃহকর পুনরায় নির্ধারণ করা হবে।’
মন্তব্য করুন
আজ
রোববার (১২ মে) সারা বিশ্বে পালন করা হচ্ছে মা দিবস। এই দিনটি মাকে বিশেষভাবে ভালোবাসা
এবং শ্রদ্ধা জানানোর দিন। প্রতি বছর মে মাসের দ্বিতীয় রোববার পালন করা হয় বিশ্ব মা
দিবস।
মাকে নিয়ে দারুণ কবিতা লিখেছেন বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর। তিনি লুকোচুরি নামক কবিতায় বলেছেন, আমি যদি দুষ্টুমি করে চাঁপার গাছে চাঁপা হয়ে ফুটি, ভোরের বেলা মা গো, ডালের পরে কচি পাতায় করি লুটোপুটি, তবে তুমি আমার কাছে হারো, তখন কি মা চিনতে আমায় পারো। তুমি ডাক, খোকা কোথায় ওরে।
মা-পৃথিবীর
মধুরতম ডাক। মা শব্দের অতলে লুকানো গভীর স্নেহ, মমতা আর পৃথিবীর সবচেয়ে অকৃত্রিম ভালোবাসা।
শৈশব থেকে আনন্দ-বেদনা-ভয় কিংবা উদ্দীপনা-প্রতিটি মানবিক অনুভূতিতে জড়িয়ে থাকে মায়ের
নাম। জন্ম থেকে মৃত্যু পর্যন্ত মানুষের সবশেষ আশ্রয়স্থল মমতাময়ী মায়ের আঁচল।
বিশেষ
এই দিবসটি কীভাবে এলো তা হয়তো অনেকেরই অজানা। ইতিহাস বলছে, অনেক পথ পেরিয়ে এই দিবসটি
নতুন রূপ পেয়েছে। ধারণা করা হয়, মা দিবসের সূচনা প্রাচীন গ্রিসের মাতৃরূপী দেবী সিবেলের
এবং প্রাচীন রোমান দেবী জুনোর আরাধনা থেকে।
এ
ছাড়া ইউরোপ ও যুক্তরাজ্য অনেক আগে থেকেই মায়েদের এবং মাতৃত্বকে সম্মান জানানোর জন্য
একটি নির্দিষ্ট রোববারকে বেছে নিয়েছিল। ষোড়শ শতকে এটি ইংল্যান্ডে মাদারিং সানডে বলে
পরিচিতি লাভ করে।
তবে
ইতিহাসবিদদের মতে, জুলিয়া ওয়ার্ড হোই রচিত "মাদার্স ডে প্রক্লামেশন" বা
"মা দিবসের ঘোষণাপত্র" মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে মা দিবস পালনের গোড়ার দিকের
প্রচেষ্টাগুলোর মধ্যে অন্যতম।
১৮৭০
সালে আমেরিকার গৃহযুদ্ধের পৈশাচিকতার মাত্রা ছাড়িয়ে গেলে শান্তির প্রত্যাশায় জুলিয়া
একটি ঘোষণাপত্র লেখেন। এরপর যুদ্ধ শেষে পরিবারহীন অনাথদের সেবায় ও একত্রীকরণে নিয়োজিত
হন মার্কিন সমাজকর্মী আনা রিভিজ জার্ভিস ও তার মেয়ে আনা মেরি জার্ভিস।
এ
সময় তারা জুলিয়া ওয়ার্ড ঘোষিত মা দিবস পালন করতে শুরু করেন। কিন্তু শারীরিক অসুস্থতার
কারণে আনা রিভিজ জার্ভিস ১৯০৫ সালের ৫ মে মারা যান।
মায়ের
মৃত্যুর পর আনা মেরি জার্ভিস মায়ের শান্তি কামনায় ও তার সম্মানে সরকারিভাবে মা দিবস
পালনের জন্য প্রচারণা চালান। তিন বছর পর ১৯০৮ সালের ১০ মে পশ্চিম ভার্জিনিয়ার আন্দ্রেউজ
মেথডিস্ট এপিসকোপাল চার্চে আনুষ্ঠানিকভাবে প্রথম মা দিবস পালন হয়।
এরপর
১৯১২ সালে এই দিবসটিকে জাতীয় ও আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি দেওয়ার জন্য ব্যাপক প্রচার শুরু
হয়। এই প্রচার ধীরে ধীরে ছড়িয়ে পড়ে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রসহ কানাডা, মেক্সিকো, চীন,
জাপান, দক্ষিণ আমেরিকা ও আফ্রিকায়।
এই প্রচারের পরিপ্রেক্ষিতে ১৯১৪ সালে তৎকালীন মার্কিন প্রেসিডেন্ট উড্রো উইলসন মে মাসের দ্বিতীয় রোববারকে মা দিবস ও জাতীয় ছুটির দিন হিসেবে ঘোষণা করেন। এরপর থেকেই প্রতিটি দেশে মায়েদের সম্মান ও শ্রদ্ধা জানানোর জন্য এই দিনটি উৎসর্গ করা হয়। দেশে দেশে পালন করা হয় বিশ্ব মা দিবস।
মন্তব্য করুন
এসএসসি-২০২৪ সালের ও সমমান পরীক্ষার ফল প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। রোববার (১২ মে) সকাল ১০টার দিকে প্রধানমন্ত্রীর সরকারি বাসভবন গণভবনে বিভিন্ন শিক্ষাবোর্ডের চেয়ারম্যানরা প্রধানমন্ত্রীর কাছে ফলের সারসংক্ষেপ হস্তান্তর করেন। দুপুরে সংবাদ সম্মেলন করে ফলাফলের বিস্তারিত তুলে ধরবেন শিক্ষামন্ত্রী। দুপুরের পর থেকে পরীক্ষার্থীরা ফলাফল জানতে পারবেন।
সিরাজগঞ্জের বেলকুচিতে দুটি তাঁত কারখানায় অগ্নিকান্ডের ঘটনা ঘটেছে। এতে প্রায় অর্ধকোটি টাকা ক্ষতি হয়েছে বলে মালিক পক্ষ দাবি করেছে। নিবার্চন পরবর্তী সহিংসতায় কারনে এমন ঘটনা ঘটাতে পারে বলে মনে করছেন ফ্যাক্টরি মালিক পক্ষ। তাদের ধারনা গত ৮ মে অনুষ্ঠিত উপজেলা নির্বাচনে দোয়াত কলম প্রতীকের পক্ষে নিবার্চন করায় এমন ঘটনা ঘটাতে পারে প্রতিপক্ষ।
একদিন মাদরাসায় না যাওয়ায় অভিযোগে সুনামগঞ্জের তাহিরপুরে দারুল আযহার বাদাঘাট ক্যাডেট মাদরাসার এক শিক্ষক বেত দিয়ে বেধরকভাকে মারপিট করেছে ১৩ বছরের এক ছাত্রকে। শরীরের বিভিন্ন স্থানে নির্যাতনের চিহ্ন নিয়ে নৌরভ হাসান নামে নামের ওই শিশুটিকে শনিবার (১১ মে) সন্ধ্যায় স্থানীয়ভাবে প্রাথমিক চিকিৎসাসেবা দেয়া হয়েছে। নৌরভ উপজেলার কামড়াবন্দ গ্রামের বাসিন্দা নিজাম উদ্দিনের ছেলে।