বিদেশগামী যাত্রীদের বিমানের আগাম টিকিট কেটে দুদিন পর রিফান্ড করে উধাও হয়ে যাওয়া বেশ কয়েকটি প্রতারক ট্যুর অ্যান্ড ট্রাভেল এজেন্সির সন্ধান পেয়েছে গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি)। এসব এজেন্সি বিভিন্ন মাধ্যমে প্রচারণা চালিয়ে জানায়, যে কোনো এয়ারলাইন্সের নিশ্চিত টিকিট পাইয়ে দেবে। যাত্রীরা তাদের নির্ধারিত তারিখে গন্তব্য নিশ্চিত করার জন্য দ্বারস্থ হন এসব এজেন্সির। কখনো যাত্রীরা সরাসরি আবার কখনো সাব এজেন্টের মাধ্যমে টিকিট ক্রয় করেন।
কিন্তু বিপত্তি ঘটে যাত্রার তারিখে। যাত্রীরা বিমানবন্দরে গিয়ে জানতে পারেন তাদের টিকিটটি ভুয়া। টিকিটের টাকা আগেই রিফান্ড করে নেওয়া হয়েছে। অভিযোগের ভিত্তিতে এসব এজেন্সি ওই যাত্রীদের আবার নতুন করে টিকিট দেয়। কিন্তু সেই টিকিটেও যাত্রীরা গন্তব্য যেতে পারেন না। বেশকিছু যাত্রী ও এজেন্টের অভিযোগের ভিত্তিতে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা (ডিবি) পুলিশ তদন্ত শুরু করে। এরপর টিকিট প্রতারণার সঙ্গে জড়িত বেশ কয়েকটি এজেন্সিকে শনাক্ত করেছে ডিবি।
অনুসন্ধানে জানা যায়, বিমানের টিকিট নিয়ে কিছু প্রতিষ্ঠান যেভাবে প্রতারণা শুরু করছে আসন্ন হজ মৌসুমে এ প্রতারণা আরও ভয়ংকর রূপ নেবে। এসব প্রতিষ্ঠান দুবাই এয়ারওয়েজ, এয়ার আরবিয়া, এমিরেটস এয়ার, কাতার এয়ারওয়েজ, এয়ার ইন্ডিয়াসহ বিভিন্ন এয়ারলাইন্সের টিকিট পাসপোর্ট দিয়ে বৈধভাবে বুকিং করে যাত্রীদের প্রিন্ট কপি দিয়ে প্রতারণা করছে। তাদের প্রতারণার শিকার হয়েছেন খোদ বিমান বাংলাদেশের এক কর্মকর্তা।
অ্যাসোসিয়েশন অব ট্রাভেল এজেন্সি বাংলাদেশের তথ্যমতে, সারাদেশে বৈধ ট্র্যাভেল এজেন্সি রয়েছে সাড়ে তিন হাজার। এর বাইরে ১৮ হাজার অবৈধ এজেন্সি আছে। এসব এজেন্সির শুধু সাইনবোর্ড ও ভিজিটিং কার্ড আছে। কিন্তু কোনো লাইসেন্স নেই। তাদের নেই কোনো নির্দিষ্ট বসার স্থান বা অফিস। দুদিন পর পর তারা অফিস পরিবর্তন করে। এক স্থানে অফিস নিয়ে কিছু মানুষের সঙ্গে প্রতারণা করে আবার নতুন স্থানে গিয়ে অফিস খুলে। তারা টিকিটের টাকা নিয়ে নিজেরাই ফটোশপে বসে ভুয়া টিকিট তৈরি করে যাত্রীদের ই-মেলে পাঠায়।
ডিবির তদন্ত সংশ্লিষ্ট সূত্র বলছে, প্রতারক এজেন্সিগুলো নামে-বেনামে কাজ করছে। ঢাকার বিভিন্ন স্থানে তারা অস্থায়ী অফিস খুলে বসেছে। যে কোনো দেশের ভ্রমণ ও ওয়ার্কিং ভিসা প্রসেস এবং টিকিট কেটে দেওয়ার নিশ্চয়তা দিয়ে তারা প্রচারণা চালায়। ব্যক্তিগত অথবা সাব এজেন্টের কাছে মধ্যপ্রাচ্য, ইউরোপ, উত্তর আমেরিকা, আফ্রিকার দেশগুলোর যাত্রীদের কাছে টিকিট আগাম বিক্রি করে। টিকিটের মূল্যের সমপরিমাণ টাকা দেওয়ার পরে তারা যাত্রীদের ই-টিকিটের একটি কপি দেয় ই-মেইলে। যেখানে যাত্রীর নাম, জন্ম তারিখ, পাসপোর্ট নম্বর, ট্রানজিটসহ সবকিছু উল্লেখ থাকে। যাত্রী তখন ই-টিকিট নিয়ে নিশ্চিন্ত থাকে।
ভ্রমণের নির্ধারিত তারিখে যাত্রীরা পরিবার ও স্বজনদের কাছ থেকে বিদায় নিয়ে ব্যাগ, লাগেজসহ বিমানবন্দরে হাজির হন। কিন্তু বোডিং পাসে গিয়ে আটকে যান তারা। সংশ্লিষ্ট বিমানের কর্মকর্তারা টিকিট চেক করে জানান, টিকিটের বুকিং ঠিক ছিল, কিন্তু বুকিং দেওয়ার পরে টিকিটের টাকা রিফান্ড করে নেওয়া হয়েছে। ওই টিকিটের আর কোনো বৈধতা নেই।
এই কথা শোনার পর যাত্রীদের মাথায় আকাশ ভেঙে পড়ে। এভাবেই প্রতিনিয়ত আর্থিক ক্ষতির শিকার হচ্ছেন যাত্রীরা। অনেকেই মানসিক ও শারীরিকভাবে ভেঙে পড়েন। উপায় না পেয়ে যাত্রীরা ওই এজেন্সি বা মিডিয়ার সঙ্গে যোগাযোগ করেন। তখন এজেন্সি বিভিন্নভাবে ওই যাত্রীকে বুঝ দিয়ে ফের টিকিট কেটে দেওয়ার আশ্বাস দেয়। এজন্য আবার ৫০ থেকে ১৫০ ডলার পর্যন্ত ফ্রি নেন তারা। টাকা নেওয়ার পরও দ্বিতীয়বার যে টিকিট দেওয়া হয় যাত্রীরা বিমানবন্দরে যাওয়ার পর সেটিও ভুয়া টিকিট বলে প্রমাণিত হয়। তখন যাত্রীদের চাপে পড়ে একটা পর্যায়ে এজেন্সির লোকেরা মোবাইল ও অফিস বন্ধ করে লাপাত্তা হয়ে যায়।
টিকিট প্রতারণার বিষয়ে জানতে চাইলে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) গুলশান বিভাগের উপ-পুলিশ কমিশনার (ডিসি) মশিউর রহমান বলেন, বিদেশগামী যাত্রীদের টিকিট নিয়ে নতুন এক প্রতারণা শুরু হয়েছে। আগাম টিকিট কেটে দিয়ে আবার টাকা রিফান্ড করছে কিছু এজেন্সি। যেসব এজেন্সি এরকম করছে তাদের শনাক্ত করে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের চেষ্টা চলছে। এই এজেন্সিগুলোর সঙ্গে যারা কাজ করে সেই সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ যাত্রীদের দুর্দশা লাঘব করার জন্য কিছু প্রো-অ্যাক্টিভ (সক্রিয়) কাজ করতে পারে। প্রতারক এজেন্সিগুলোর সদস্যদের গ্রেফতারে অভিযান অব্যাহত রয়েছে।
মন্তব্য করুন
ড. এম এ ওয়াজেদ মিয়া প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা
মন্তব্য করুন
ডোনাল্ড লু পররাষ্ট্রসচিব মাসুদ বিন মোমেন
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
ডেঙ্গু প্রতিরোধে ময়মনসিংহ সিটি কর্পোরেশন (মসিক) গৃহীত নিয়মিত কার্যক্রমের অংশ হিসেবে বৃহস্পতিবার (৯ মে) দুপুরে পরিচালিত অভিযানে ময়মনসিংহ সিটি কর্পোরেশন এলাকার আমিরাবাদ হাউজিং ও পলিটেকনিক এলাকায় নির্মাণাধীন ভবনে জমে থাকা পানিতে এডিস মশার লার্ভা পাওয়ায় ভবন মালিকগণকে ২ মামলায় ৭ হাজার টাকা জরিমানা করেছে ভ্রাম্যমাণ আদালত।
মসিক আঞ্চলিক নির্বাহী কর্মকর্তা ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট এস এম মাজহারুল ইসলাম এ ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করেন। তিনি জানান,নির্মাণাধীন ভবন বা প্রতিষ্ঠানে এডিস মশার লার্ভা পাওয়া গেলে তা জরিমানার আওতায় আনা হবে। এ অভিযান চলমান থাকবে বলেও তিনি জানান।
অভিযানকালে খাদ্য ও স্যানিটেশন কর্মকর্তা দীপক মজুমদার,স্যানিটারি ইন্সপেক্টর জাবেদ ইকবাল,আইন শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যবৃন্দ প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
উল্লেখ্য,ময়মনসিংহ সিটি কর্পোরেশনের উদ্যোগে ডেঙ্গু প্রতিরোধে মশক নিধন কার্যক্রম চলমান রয়েছে। এডাল্টিসাইড ও লার্ভিসাইড প্রয়োগের পাশাপাশি ও পরিস্কার-পরিচ্ছন্নতা ও সচেতনতা কার্যক্রম পরিচালনা করছে ময়মনসিংহ সিটি কর্পোরেশন। সচেতনতা বৃদ্ধিতে মাইকিং ও লিফলেট বিতরণ করা হচ্ছে।
মন্তব্য করুন
ডেঙ্গু প্রতিরোধে ময়মনসিংহ সিটি কর্পোরেশন (মসিক) গৃহীত নিয়মিত কার্যক্রমের অংশ হিসেবে বৃহস্পতিবার (৯ মে) দুপুরে পরিচালিত অভিযানে ময়মনসিংহ সিটি কর্পোরেশন এলাকার আমিরাবাদ হাউজিং ও পলিটেকনিক এলাকায় নির্মাণাধীন ভবনে জমে থাকা পানিতে এডিস মশার লার্ভা পাওয়ায় ভবন মালিকগণকে ২ মামলায় ৭ হাজার টাকা জরিমানা করেছে ভ্রাম্যমাণ আদালত।