সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুক, ইউটিউব ইত্যাদিসহ গণমাধ্যম পর্যবেক্ষণে চার সদস্যের ‘মিডিয়া মনিটরিং’ কমিটি গঠন করছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। এতে ইসির যুগ্মসচিব ও পরিচালক (জনসংযোগ) এসএম আসাদুজ্জামানকে আহ্বায়ক করা হয়েছে।
কমিটির অন্য তিন সদস্য হলেন- সিনিয়র সহকারী সচিব মো. আছলাম, গ্রন্থাগারিক বেগম নাছিমা আক্তার ও সহকারী পরিচালক (জনসংযোগ) মো. আশাদুল হক।
বৃহস্পতিবার (২৬ মে) এই কমিটি গঠন করা হয়। ইসির জনসংযোগ শাখার সহকারী পরিচালক মো. আশাদুক হক স্বাক্ষরিত কমিটি গঠনের অফিস আদেশে এসব তথ্য জানা যায়।
জানা গেছে, সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুক, ইউটিউব ইত্যাদিসহ গণমাধ্যম পর্যবেক্ষণে এই মিডিয়া মনিটরিং কমিটি। এই কমিটি প্রতিদিন ইসিকে নিয়ে যেকোনো খবর, প্রচার-প্রচারণা পর্যবেক্ষণ করে প্রধান নির্বাচন কমিশনারসহ অন্য কমিশনারদের কাছে প্রতিবেদন দাখিল করবে।
কমিটির কার্যপরিধিতে বলা হয়েছে
১. কমিটি বিভিন্ন প্রিন্ট মিডিয়া, টেলিভিশন চ্যানেল, অনলাইন নিউজ পোর্টাল, ফেসবুক, ইউটিউব মনিটর করবে।
২. কমিটির সদস্যরা তাদের দায়িত্বাধীন নির্ধারিত মিডিয়ায় ২৪ ঘণ্টায় কী খবর ছাপানো বা প্রকাশিত হয়েছে, তা বেলা ১১টার মধ্যে কমিটির আহ্বায়কের নিকট রিপোর্ট করবে।
৩. আহ্বায়ক তা প্রধান নির্বাচন কমিশনার, নির্বাচন কমিশনারবৃন্দের এবং সচিব মহোদয়ের নিকট উপস্থাপন করবেন।
৪. কমিটি প্রয়োজনে যেকোনো কর্মকর্তাকে কো-অপ্ট করতে পারবে।
জানা গেছে, মিডিয়া মনিটরিং কমিটিই ইসির সংক্রান্ত খবর, প্রচার-প্রচারণা পর্যবেক্ষণ করবে তা নয়, মাঠ পর্যায়ে সব কর্মকর্তাকেও বিষয়টি সম্পর্কে সচেতন থাকতে হবে। এক্ষেত্রে দেশের যে স্থানে যে কোনো কিছু হলে তা কমিটিকে অবহিত করতে হবে।
এতে আরও বলা হয়েছে, মাঠ কর্মকর্তাদের পাঠানো এই সংক্রান্ত নির্দেশনায় বলা হয়- প্রতিনিয়ত নির্বাচন ও নির্বাচন কমিশন সংশ্লিষ্ট সংবাদ বিভিন্ন সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম, প্রিন্ট মিডিয়া ও ইলেকট্রনিক মিডিয়ায় প্রকাশিত হচ্ছে। বিভিন্ন সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে (ফেসবুক, ইউটিউব ইত্যাদি) প্রচারিত নির্বাচন ও নির্বাচন কমিশন সংশ্লিষ্ট কোনো তথ্য/ভিডিও কোনো কর্মকর্তার নজরে এলে তা মিডিয়া মনিটরিং কমিটিকে অবহিত করবেন।
সোস্যাল মিডিয়া পর্যবেক্ষণে ইসির কমিটি
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
সিরাজগঞ্জে গণমাধ্যম কর্মীদেরকে নিয়ে ভাষায় লিঙ্গীয় বৈষম্য নারী পক্ষ নামে একটি সংগঠন সিরাজগঞ্জ ও পাবনার সাংবাদিকদের সাথে মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়।
রবিবার (১৯ মে') দুপুরে শহরের এস. এস রোডস্থ নর্থ টাউন রেস্তোরাঁয় প্রোগ্রাম ফর উইম্যান ডেভোলপমেন্ট (পি ডাব্লিউডি) সার্বিক সহযোগিতা ও নারীপক্ষ আয়োজনে ভাষায় লিঙ্গীয় বৈষম্য দিনব্যাপী মতবিনিময় সভার শুভ উদ্বোধন করেন নারীপক্ষ চেয়ার পারসন গীতা দাস।
মতবিনময় সভায় নারীপক্ষ চেয়ারপার্সন গীতা দাস বলেন, মানুষ কোনো ভালো কর্ম করলে তাকে বিশেষায়িত করা যায়। কিন্তু নারীরা নির্যাতিত হলেও তাদেরকে বিশেষায়িত করা হয়। যেমন ধর্ষণের শিকার হলে তাকে ধর্ষিতা, নির্যাতনের শিকার হলে নির্যাতিতা বলা হয়। অথচ ধর্ষণের শিকার, নির্যাতনের শিকার লিখলেও হয়।’ একজন নারীকে মানুষ হিসেবে দেখলে এ অবস্থার পরিবর্তন ঘটবে বলেও উল্লেখ করেন তিনি।
এসময়ে উপস্থিত ছিলেন কামরুন নাহার, ফেরদৌসী আখতার, পিডাব্লিউডি নির্বাহী পরিচালক হুসনে আরা জলি।
এছাড়াও আরো উপস্থিত ছিলেন বেসরকারি চ্যানেল টুয়েন্টিফর সিনিয়র রিপোর্টার সাংবাদিক হীরুকগুণ, এনটিভি জেলা প্রতিনিধি শরিফুল ইসলাম ইন্না, দৈনিক মানবজমিন পত্রিকার সিরাজগঞ্জ প্রতিনিধি সুজন সরকার, বৈশাখী টেলিভিশন সিরাজগঞ্জ প্রতিনিধি সুজিত সরকার, দীপ্ত টিভির সিরাজগঞ্জ প্রতিনিধি শিশির, দীপ্ত টিভি পাবনা জেলা প্রতিনিধি শামসুল আলম সহ অনেকে।
মন্তব্য করুন
পাবনার আটঘরিয়া উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান প্রার্থী সাইফুল ইসলাম কামালের বিরুদ্ধে জীবন্ত ঘোড়া নিয়ে প্রচারণার অভিযোগ উঠেছে। শুক্রবার (১৭ মে) বিকেলে উপজেলার একদন্ত ইউনিয়নের শিবপুর বাজার এলাকা থেকে জীবন্ত ঘোড়া নিয়ে নির্বাচনী প্রচারণা করেন চেয়ারম্যার প্রার্থী সাইফুল ইসলাম কামাল।
ষষ্ঠ উপজেলা পরিষদের তৃতীয় ধাপে আটঘরিয়া উপজেলা পরিষদের নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। এই উপজেলা চেয়ারম্যান পদে ২ জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। এদের মধ্যে সাইফুল ইসলাম ঘোড়া প্রতীক নিয়ে নির্বাচনে অংশ নিচ্ছেন।
এ বিষয়ে উপজেলা চেয়ারম্যান ও মোটরসাইকেল প্রতীকের চেয়ারম্যার প্রার্থী তানভীর ইসলাম বলেন, সাইফুল ইসলাম কামালের গুন্ডা সন্ত্রাসীরা প্রতিনিয়ত আমার কর্মী, সমর্থক, ভোটারদের ভয়ভীতি, হুমকী, উচ্ছৃঙ্খল আচরণ করে ভোট দিতে নিরুৎসাহিত করছে। ফলে নির্বাচন কমিশনের ষষ্ঠ উপজেলা পরিষদ নির্বাচন আচরণবিধি সাইফুল ইসলাম কামাল বারবার লঙ্ঘন করে উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে ক্ষমতার প্রভাব বিস্তার করছেন।
অভিযোগের বিষয়ে জানতে চাইলে চেয়ারম্যান প্রার্থী সাইফুল ইসলাম কামাল বলেন, ‘ঘোড়া নিয়ে প্রচার প্রচারণা করিনি। তবে আমি ঘেড়ার গাড়ি নিয়ে প্রচার প্রচারণা করেছি। এটাও যদি বিধি নিষেধ থাকে তাহলে এটাও পরিহার করবো।’
পাবনার অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্টেট ও রিটার্নিং অফিসার আব্দুল্লাহ আল মামুন বলেন, জীবন্ত ঘোড়া নিয়ে নির্বাচনী প্রচারণায় চেয়ারম্যান প্রার্থী এমন একটি অভিযোগ পেয়েছি আমরা। তদন্ত পূর্বক প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে জানান তিনি।
মন্তব্য করুন