ইনসাইড বাংলাদেশ

রোহিঙ্গাদের ফেরাতে এশিয়ার দেশগুলোর সহযোগিতা চান প্রধানমন্ত্রী

প্রকাশ: ০৪:২৪ পিএম, ২৭ মে, ২০২২


Thumbnail রোহিঙ্গাদের ফেরাতে এশিয়ার দেশগুলোর সহযোগিতা চান প্রধানমন্ত্রী

মিয়ানমার থেকে বাস্তুচ্যুত হয়ে বাংলাদেশে আশ্রয় নেওয়া রোহিঙ্গাদের নিজ দেশে ফেরত পাঠাতে এশিয়ার দেশগুলোর নেতাদের সহযোগিতা চেয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। পাশাপাশি এশিয়ার দেশগুলোর মধ্যে যে কোনো সংকট তা আলোচনার মাধ্যমে সমাধান করার পরামর্শ দিয়েছেন তিনি।

শুক্রবার (২৭ মে) এক ভিডিও বার্তায় জাপানের রাজধানী টোকিওতে অনুষ্ঠিত ভবিষ্যৎ এশিয়াবিষয়ক ২৭তম আন্তর্জাতিক সম্মেলনে তিনি এ কথা বলেন। দুই দিনব্যাপী সম্মেলন স্ট্রিমিং এবং অন-সাইট উপস্থিতি উভয় ক্ষেত্রেই অনুষ্ঠিত হচ্ছে। 

শেখ হাসিনা জাপান ও অর্গানাইজেশন ফর ইকোনমিক কো-অপারেশন অ্যান্ড ডেভেলপমেন্টের (ওইসিডি) দেশগুলোর প্রতি বাংলাদেশকে সহজে স্বল্পোন্নত দেশ থেকে উন্নয়শীল দেশে উত্তরণে এবং ২০৩০ সালের মধ্যে টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা (এসডিজি) অর্জনে অন্তত ২০২৯ সাল পর্যন্ত অগ্রাধিকারমূলক সুবিধাগুলো অব্যাহত রাখার আহ্বান জানিয়েছেন।

তিনি বলেন, ‘আমরা গভীরভাবে কৃতজ্ঞ থাকবো যদি জাপান এবং অন্যান্য ওসিডি’র দেশগুলো কমপক্ষে ২০২৯ সাল পর্যন্ত অগ্রাধিকার সুবিধাগুলো প্রসারিত করে। যাতে ২০৩০ সালের মধ্যে টেকসই উন্নয়নের সর্বোচ্চ লক্ষ্য অর্জন আমাদের পক্ষে সম্ভব হয়।’

প্রধানমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশ জাতিসংঘের প্রক্রিয়ার মাধ্যমে বন্ধুদেশ ও অংশীদারদের প্রতি ২০২৬ সালের পরও বর্ধিত সময়ের জন্য বাংলাদেশকে অগ্রাধিকারমূলক সুযোগ-সুবিধা বাড়ানোর কথা বিবেচনা করার আহ্বান জানিয়েছে।

বাংলাদেশ বেশ কয়েকটি দেশের সঙ্গে মুক্ত বাণিজ্য চুক্তি (এফটিএ) নিয়ে আলোচনার বিভিন্ন পর্যায়ে রয়েছে এবং জাপানসহ অন্যান্য দেশের সঙ্গে এফটিএ এবং কমপ্রিহেনসিভ ইকোনমিক পার্টনারশিপ এগ্রিমেন্ট (সিইপিএ) নিয়ে আলোচনার দ্বার উন্মুক্ত করেছে।’

এশিয়াকে বিশ্বের সর্ববৃহৎ ও জনবহুল মহাদেশ হিসেবে বর্ণনা করে তিনি বলেন, এখানে বিশ্বের জনসংখ্যার প্রায় ৬০ শতাংশ বাস করে। এটি বিশ্বের অধিকাংশ দরিদ্র মানুষেরও আবাসস্থল। অতএব আলোচনার মাধ্যমে মতপার্থক্য মিটিয়ে বিরোধপূর্ণ দেশগুলোর মধ্যে শান্তি নিশ্চিত করা অপরিহার্য। শুধু শান্তি ও স্থিতিশীলতার পরিবেশ সৃষ্টি করেই এশিয়ার দেশগুলো জনগণের আর্থ-সামাজিক অবস্থার উন্নতি ঘটাতে পারে বলেও তিনি অভিমত ব্যক্ত করেন।

এ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, বাংলাদেশ জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের পররাষ্ট্রনীতির মূল কথা হচ্ছে– সবার সঙ্গে বন্ধুত্ব, কারো সঙ্গে বৈরিতা নয়। পন্থা অনুসরণ করে।

তিনি বলেন, এটি জাতিসংঘের একটি প্রস্তাব দ্বারা স্বীকৃত, ‘শান্তির সংস্কৃতি’ যা ১৯৯৯ সালে গৃহীত হয়েছে এবং এর পর থেকে প্রতি বছর এটাকে স্বীকৃতি দেওয়া হচ্ছে।

ভবিষ্যৎ এশিয়া গড়ার জন্য সম্মেলনে পাঁচটি ধারণা শেয়ার করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘ভবিষ্যৎ এশিয়ার প্রতিফলনের জন্য কিছু ধারণা আপনাদের সঙ্গে শেয়ার করে শেষ করছি।’

শেখ হাসিনা তার প্রথম প্রস্তাবে বলেন, এশিয়ার দেশগুলোকে একে অপরের প্রতি বন্ধুত্ব, বোঝাপড়া ও সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দিতে হবে এবং বিভাজন মোকাবিলায় সংহতি প্রচার করতে হবে।

দ্বিতীয় এবং তৃতীয় প্রস্তাবে, তিনি বলেন, কীভাবে আইসিটির (তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি) ‘সফ্ট পাওয়ার’কে আমাদের দেশ এবং এশীয় দেশগুলো সম্মান, ন্যায়বিচার, অন্তর্ভুক্তি এবং অন্তর্ভুক্তি রক্ষার প্রয়োজনীয়তার মধ্যকার ব্যবধান পূরণের জন্য একটি শক্তিশালী হাতিয়ার হিসেবে সর্বোত্তমভাবে ব্যবহার করতে পারে। আমাদের কাজের মধ্যে সমতা আনয়ন করতে পারে এবং তারা তা অন্বেষণ করতে পারে।

প্রধানমন্ত্রী তার চতুর্থ এবং পঞ্চম ধারণার বর্ণনা করার সময় অভিমত ব্যক্ত করেন যে এশিয়ার ভবিষ্যৎ নির্ভর করবে টেকসই ও ভারসাম্যপূর্ণ উন্নয়ন, আন্তর্জাতিক শৃঙ্খলার উন্নতি এবং উভয়পক্ষের জন্য সুবিধাজনক আন্তর্জাতিক সম্পর্ক স্থাপনের ওপর এবং এশিয়ার দেশগুলোর অভিন্ন উন্নয়ন চ্যালেঞ্জ রয়েছে এবং তাদের তা ঐক্যবদ্ধভাবে মোকাবিলা করা উচিত।

তিনি বলেন, এশিয়া-প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলে আমাদের অভিন্ন চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় সাহায্য করার জন্য ভালো অনুশীলন, জ্ঞান ও প্রযুক্তি ভাগ করে নিতে আমাদের বাহিনীকে একত্রিত করতে হবে।

প্রধানমন্ত্রী আরও বলেন, আমাদের ভবিষ্যৎ প্রজন্মের জন্য একটি শান্তিপূর্ণ, টেকসই বিশ্ব ও সমৃদ্ধ এশিয়া নিশ্চিত করতে বাংলাদেশ সব বন্ধু এবং অংশীদারদের সঙ্গে কাজ করার জন্য সর্বদা সচেষ্ট থাকবে।

১৯৭১ সালে আমাদের স্বাধীনতার পর থেকে বাংলাদেশ ও জাপানের মধ্যে চমৎকার সম্পর্ক রয়েছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘আমরা আমাদের মুক্তিযুদ্ধের সময় স্কুল-শিশুসহ জাপান ও সে দেশের জনগণের অমূল্য সমর্থন ও অবদানের জন্য গভীরভাবে কৃতজ্ঞ। সদ্য স্বাধীন বাংলাদেশকে প্রথম স্বীকৃতি দেওয়া দেশগুলোর অন্যতম জাপান। তারা ১৯৭২ সালের ১০ ফেব্রুয়ারি এ স্বীকৃতি দেয়।

তারা বাংলাদেশে গত ১৩ বছরে উন্নয়নকে জনমুখী ও অন্তর্ভুক্তিমূলক করেছেন উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, জ্ঞানভিত্তিক, সমৃদ্ধ ও আধুনিক জাতি গঠনের লক্ষ্যে নেতৃত্ব ও দৃষ্টিভঙ্গি নিয়ে এগিয়ে যেতে আমরা আমাদের আর্থ-সামাজিক দৃষ্টিভঙ্গি পুনর্নির্ধারণ করেছি।

তিনি বলেন, ‘যেমন, আমরা ভিশন ২০২১ এবং ভিশন ২০৪১ এর পরে ডেল্টাপ্ল্যান ২১০০ প্রণয়ন করেছি।’

শেখ হাসিনা বলেন, বাংলাদেশ বিশ্বের দ্রুত বর্ধনশীল অর্থনীতি এবং এশিয়া-প্যাসিফিক অঞ্চলের বৃহত্তর অর্থনীতির একটিতে পরিণত হয়েছে। এই যাত্রা জাপান এবং আমাদের বন্ধু এবং অংশীদারদের দ্বারা সমর্থিত।’

বিশ্বের অন্যান্য অংশের মতো বাংলাদেশও চলমান কোভিড-১৯ দ্বারা ব্যাপকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, ২০১৯ সালে মহামারির আগে বাংলাদেশের জিডিপি (মোট দেশজ উৎপাদন) প্রবৃদ্ধির হার ছিল ৮ দশমিক ১৫ শতাংশ। ২০২০ সালে এটি ৩ দশমিক ৫১ এবং ২০২১ সালে ৬ দশমিক ৯৪ শতাংশ। তিনি বলেন, ‘আমরা চলতি অর্থবছরে ৭ শতাংশের বেশি প্রবৃদ্ধির হার অর্জনের আশা করছি।’

তিনি বলেন, মহামারির প্রভাব মোকাবিলা করার সময় তারা জীবন এবং জীবিকার মধ্যে ভারসাম্য তৈরি করার চেষ্টা করেছেন। প্রকৃতপক্ষে, তুলনামূলকভাবে আমরা সফলভাবে মহামারির চ্যালেঞ্জগুলো পরিচালনা করতে পেরেছি।

তিনি সন্তোষ প্রকাশ করে বলেন, ‘আমাদের প্রচেষ্টা ২০২২ সালের এপ্রিলের জন্য নিক্কেই-এর কোভিড-১৯ পুনরুদ্ধার সূচকে স্বীকৃত হয়েছে। যেখানে বাংলাদেশ ১২১টি দেশের মধ্যে পঞ্চম স্থানে রয়েছে এবং কোভিড ব্যবস্থাপনা ও পুনরুদ্ধারের ক্ষেত্রে দক্ষিণ এশিয়ার সেরা পারফরম্যান্সকারী দেশ হয়েছে।’

তিনি আরও বলেন, ২০২২ সালের জুনে শেষ হওয়া অর্থবছরে বাংলাদেশের জিডিপি ৪৬৫ বিলিয়ন মার্কিন ডলারে পৌঁছানোর, পণ্য রপ্তানি আয় ৫২ বিলিয়ন মার্কিন ডলারের বেশি, রেমিট্যান্স ২১ বিলিয়ন মার্কিন ডলার এবং মাথাপিছু আয় ২ হাজার ৮২৪ মার্কিন ডলারে উন্নীত হওয়া প্রত্যাশিত।

সাম্প্রতিক কপ-২৬ সহ সব আলোচনায় জলবায়ু পরিবর্তনের বিষয়ে বাংলাদেশ সক্রিয় এবং সোচ্চার হয়েছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘আমরা জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে সবচেয়ে বেশি হুমকির মুখে থাকা ৪৮-সদস্যের দেশগুলোর একটি কণ্ঠস্বর হিসেবে কাজ করতে ২০২০-২০২২ সালের জন্য ক্লাইমেট ভালনারেবল ফোরামের (সিভিএফ) সভাপতির দায়িত্ব পালন করেছিলাম।’

তিনি বলেন, বাংলাদেশ সার্ক, বিমসটেক, আইওআরএ, ওআইসি, ন্যাম, এআরএফ, আসেম, সিকা, কমনওয়েলথের মতো আঞ্চলিক ও বহুপাক্ষিক প্ল্যাটফর্মের মাধ্যমে সহযোগিতার জন্য সংলাপ প্রচারে সক্রিয় রয়েছে।


রোহিঙ্গাদের   ফেরাতে   এশিয়ার   সহযোগিতা   চান   প্রধানমন্ত্রী  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড বাংলাদেশ

আইএমএফের চাপে এমপিদের শুল্কমুক্ত গাড়ি সুবিধা বাতিলের চিন্তায় এনবিআর

প্রকাশ: ১১:০০ এএম, ০৯ মে, ২০২৪


Thumbnail

নির্বাচিত হওয়ার পর কোনোরকম শুল্ক ছাড়াই বিদেশ থেকে গাড়ি আমদানি করতে পারেন সংসদ সদস্যরা। তবে এবার আইনপ্রণেতাদের এমন সুবিধা বাতিলের চিন্তা করছে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর)। শুল্কমুক্ত ব্যবস্থা তুলে দিয়ে সংসদ সদস্যদের গাড়ি আমদানিতে ৫ থেকে ২৫ শতাংশ পর্যন্ত শুল্ক আরোপের পরিকল্পনা করা হচ্ছে বলে জানিয়েছেন সংশ্লিষ্টরা।

জানা গেছে, মূলত আইএমএফের চাপের কারণেই সংসদ সদস্যদের শুল্কমুক্ত গাড়ি আমদানি সুবিধা তুলে দেওয়ার পথে হাঁটছে এনবিআর। এনবিআরের সঙ্গে বৈঠকে আইএমএফ প্রতিনিধিরা শুল্কমুক্ত সুবিধা দেওয়ার বিরোধিতা করেন। এ ছাড়া রাজস্ব ঘাটতি পূরণে এনবিআরের কী ধরনের প্রস্তুতি বা কৌশল, তা জানতে চান।

এনবিআরের এক ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা বলেন, ‘আইএমএফ সাধারণত শুল্কমুক্ত সুবিধার বিপক্ষে। তারা চায় সরকারের রাজস্ব আহরণ বাড়ানো হোক। এজন্য অব্যাহতি সুবিধা প্রত্যাহারের পরামর্শ দিয়েছে তারা। সবদিক বিবেচনায় নিয়ে সংসদ সদস্যদের গাড়ি আমদানিতে তুলনামূলক কম হারে শুল্ক আরোপ করা হতে পারে।’

তবে এমপিদের শুল্কমুক্ত গাড়ি আমদানি সুবিধা তুলে দেওয়ার চিন্তা শেষ পর্যন্ত কার্যকর হবে কি না—দুটি বৈঠকের সিদ্ধান্তের ওপর তা নির্ভর করছে। এর মধ্যে আগামী রোববার অর্থমন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠক করবেন এনবিআর চেয়ারম্যানসহ বাজেট সংশ্লিষ্টরা। এরপর আগামী ১৪ মে বাজেট নিয়ে প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠকের কথা রয়েছে। মূলত প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠকের পর এ বিষয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত আসবে বলে সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে।

সূত্র জানায়, আগামী (২০২৪-২৫) অর্থবছরের বাজেটে সংসদ সদস্যদের গাড়ি আমদানির শুল্কমুক্ত সুবিধা বাতিল করে নতুন করে শুল্কারোপ করার প্রস্তাব করা হতে পারে। এ ক্ষেত্রে শুল্কহার হতে পারে ৫ থেকে ২৫ শতাংশ পর্যন্ত। দেশে গাড়ি আমদানিতে বিদ্যমান শুল্ক হারের তুলনায় এটিও অনেক কম। বর্তমানে গাড়ি আমদানির জন্য সিসিভেদে ৮৯ শতাংশ থেকে ৮৫০ শতাংশ পর্যন্ত শুল্ক পরিশোধ করতে হয়। সেই হিসেবে একটি গাড়ির দাম ১ লাখ টাকা হলে সেটি আমদানির জন্য কমপক্ষে আরও ৮৯ হাজার টাকা শুল্ক পরিশোধ করতে হয়। আর সর্বোচ্চ হার ধরা হলে শুল্ক দাঁড়ায় ৮ লাখ ৫০ হাজার টাকা।

সূত্র আরও জানায়, আগামী ২০২৪-২৫ অর্থবছরে শুল্ক খাতে রাজস্ব আহরণ বাড়াতে হবে সাড়ে ৮ হাজার কোটি টাকা। এর মধ্যে বড় অংশ আসবে বকেয়া আদায় ও শুল্কহার পুনর্বিন্যাসের মাধ্যমে। এ ক্ষেত্রে কোনো ধরনের শুল্ক ছাড় চায় না আইএমএফ। বিভিন্ন খাতে বিদ্যমান শুল্ক অব্যাহতি তুলে দেওয়ার পরামর্শ দিয়েছে তারা।


আইএমএফ   এমপি   শুল্কমুক্ত গাড়ি   এনবিআর  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড বাংলাদেশ

উপজেলা নির্বাচন: প্রথম নারী চেয়ারম্যান হলেন তারা

প্রকাশ: ১০:৫৩ এএম, ০৯ মে, ২০২৪


Thumbnail

ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নাসিরনগর উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে রোমা আক্তার বিজয়ী হয়েছেন। রোমা আক্তার নাসিরনগর উপজেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি। নাসিরনগরে এই প্রথমবারের মতো কোনো নারী উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান হিসেবে নির্বাচিত হলেন।

প্রাপ্ত ফলাফল অনুযায়ী, বেসরকারিভাবে নির্বাচিত রোমা আক্তার পেয়েছেন ৩৪ হাজার এক ভোট। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী সাবেক বিএনপি নেতা ওমরাও খান পেয়েছেন ১৮ হাজার ৩৮০ ভোট।

এদিকে নীলফামারীর ডোমার উপজেলা পরিষদে সাত প্রার্থীকে হারিয়ে প্রথম নারী চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছেন সরকার ফারহানা আখতার সুমি। তিনি টেলিফোন প্রতীকে পেয়েছেন ৩১ হাজার ৪২১ ভোট। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী তোফায়েল আহমেদ (আনারস) পেয়েছেন ২৩ হাজার ১৩৪ ভোট। সরকার ফারহানা আখতার সুমি জেলা আওয়ামী লীগের সদস্য।

বুধবার (৮ মে) সুষ্ঠু পরিবেশে এই দুই উপজেলাতে ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হয়। সকালে ভোটার উপস্থিতি কম থাকলেও বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে ভোটার উপস্থিতি বাড়তে থাকে। মূলত ধান কাটার মৌসুমের কারণে ভোটার উপস্থিতি অপেক্ষাকৃত কম ছিল বলে অনেকে মতামত ব্যক্ত করেছেন।


উপজেলা নির্বাচন   নারী চেয়ারম্যান  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড বাংলাদেশ

‘ভবিষ্যৎ প্রজন্মের কাছে অনুপ্রেরণার উৎস হিসেবে বেঁচে থাকবেন ড. ওয়াজেদ মিয়া’

প্রকাশ: ১০:৪৫ এএম, ০৯ মে, ২০২৪


Thumbnail

রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন বলেছেন, ড. ওয়াজেদ মিয়া তার কর্মের জন্য ভবিষ্যৎ প্রজন্মের কাছে অনুপ্রেরণার উৎস হিসেবে বেঁচে থাকবেন। তিনি ছিলেন দেশে আণবিক গবেষণার পথিকৃৎ। পরমাণু গবেষণায় তিনি উল্লেখযোগ্য অবদান রেখে গেছেন এবং বাংলাদেশ আণবিক শক্তি কমিশনের চেয়ারম্যানসহ বিভিন্ন পদে দক্ষতা ও সাফল্যের সঙ্গে দায়িত্ব পালন করেছেন। তার গবেষণা কর্মের পরিধি ছিল অত্যন্ত ব্যাপক।

বৃহস্পতিবার (৯ মে) আন্তর্জাতিক খ্যাতিসম্পন্ন পরমাণু বিজ্ঞানী ড. এম এ ওয়াজেদ মিয়ার ১৫তম মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে দেওয়া এক বাণীতে তিনি এ কথা বলেন। রাষ্ট্রপতি এ উপলক্ষে ওয়াজেদ মিয়ার স্মৃতির প্রতি নিবেদন করেন গভীর শ্রদ্ধা।

মো. সাহাবুদ্দিন বলেন, ড. ওয়াজেদ মিয়া ১৯৪২ সালের ১৬ ফেব্রুয়ারি রংপুরের পীরগঞ্জে জন্মগ্রহণ করেন। তার ডাক নাম ছিল সুধা মিয়া। অসাধারণ মেধার অধিকারী সুধা মিয়া শৈশব থেকেই ছিলেন শিক্ষানুরাগী, যার প্রতিফলন ঘটে তার শিক্ষা ও কর্মজীবনে।

রাষ্ট্রপতি আরও বলেন, ড. এম এ ওয়াজেদ মিয়া বাংলাদেশ আণবিক শক্তি বিজ্ঞানী সংঘের দুইবার সাধারণ সম্পাদক ও পাঁচবার সভাপতির দায়িত্ব পালন করেন। এ ছাড়া তিনি বাংলাদেশ পদার্থবিজ্ঞানী সমিতি, বাংলাদেশ বিজ্ঞান উন্নয়ন সমিতি, বাংলাদেশ বিজ্ঞানী ও বিজ্ঞানজীবী সমিতিসহ বিভিন্ন সংগঠনের সঙ্গে যুক্ত ছিলেন। ১৯৯৭ সালে তারই পরামর্শ ও পৃষ্ঠপোষকতায় জাতীয় সমন্বিত উন্নয়ন ফাউন্ডেশন প্রতিষ্ঠিত হয়। ড. ওয়াজেদ মিয়া তার কর্মের জন্য ভবিষ্যৎ প্রজন্মের কাছে অনুপ্রেরণার উৎস হিসেবে বেঁচে থাকবেন। বিজ্ঞানমনস্ক জাতি গঠনে ড. ওয়াজেদ মিয়ার আদর্শ নতুন প্রজন্মের জন্য পাথেয় হয়ে থাকবে।

রাষ্ট্রপতি বলেন, ড. ওয়াজেদ মিয়া বিজ্ঞান গবেষণার পাশাপাশি জাতীয় রাজনীতিতে নীরবে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখে গেছেন। ষাটের দশকে তিনি ছাত্রলীগের সঙ্গে সম্পৃক্ত হন। ১৯৬২ সালে আইয়ুব খানের সামরিক শাসনের বিরুদ্ধে আন্দোলন করতে গিয়ে তিনি গ্রেপ্তার হন এবং কিছুদিন জেলে কাটান। ১৯৬৭ সালের ১৭ নভেম্বর জাতির পিতার জ্যেষ্ঠ কন্যা শেখ হাসিনার সঙ্গে তিনি বিবাহবন্ধনে আবদ্ধ হন। ১৯৭১ সালে মহান মুক্তিযুদ্ধকালীন চরম অনিশ্চয়তার মধ্যে তিনি বঙ্গবন্ধু পরিবারের পাশে থেকে তাদের সাহস ও শক্তি জুগিয়েছেন। ক্ষমতার কাছে অবস্থান করলেও ড. ওয়াজেদ ছিলেন নির্লোভ, নির্মোহ ও নিভৃতচারী একজন সহজ-সরল মানুষ।

 


রাষ্ট্রপতি   মো. সাহাবুদ্দিন   ড. ওয়াজেদ মিয়া  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড বাংলাদেশ

আজ পরমাণু বিজ্ঞানী ওয়াজেদ মিয়ার মৃত্যুবার্ষিকী

প্রকাশ: ১০:২২ এএম, ০৯ মে, ২০২৪


Thumbnail

বাংলাদেশে পরমাণু শক্তি কমিশন প্রতিষ্ঠার মূল কারিগর ও বিশিষ্ট পরমাণু বিজ্ঞানী এবং প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার স্বামী ড. এম এ ওয়াজেদ মিয়ার ১৫তম মৃত্যুবার্ষিকী আজ। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জ্যেষ্ঠ জামাতা ওয়াজেদ মিয়া ১৯৪২ সালের ১৬ ফেব্রুয়ারি রংপুরের লালদিঘীর ফতেহপুর গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন। সৎ, নির্লোভ ও নিখাদ দেশপ্রেমিক এ পরমাণু বিজ্ঞানী ১৯৬৭ সালের ১৭ নভেম্বর বঙ্গবন্ধুর জ্যেষ্ঠকন্যা বর্তমান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হন। ২০০৯ সালের আজকের এ দিনে তার বর্ণাঢ্য কর্মময় জীবনের সমাপ্তি ঘটে।

মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে ঢাকা ছাড়াও রংপুর মহানগরী, পীরগঞ্জ উপজেলা প্রশাসন, ওয়াজেদ মিয়ার পরিবার, উপজেলা আওয়ামী লীগ ও বিভিন্ন সংগঠন কবর জিয়ারত, মিলাদ মাহফিল ও গরিবদের মধ্যে খাবার বিতরণসহ নানা কর্মসূচি গ্রহণ করেছে। এ দিন সকালে ওয়াজেদ মিয়ার কবরে পুষ্পমাল্য অর্পণের মধ্য দিয়ে কর্মসূচির শুরু হয়।

ড. ওয়াজেদ মিয়া বাংলাদেশ পরমাণু শক্তি কমিশনের চেয়ারম্যান ছিলেন। ১৯৬১ সালে তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের পদার্থবিজ্ঞান বিভাগের স্নাতক পরীক্ষায় এবং ১৯৬২ সালে স্নাতকোত্তর পরীক্ষায় প্রথম শ্রেণিতে কৃতিত্বের সঙ্গে উত্তীর্ণ হন। ঢাবিতে অধ্যয়নকালে ফজলুল হক হলের আবাসিক ছাত্র ছিলেন। ছাত্রলীগ মনোনীত প্রার্থী হিসেবে ১৯৬১-৬২ শিক্ষা বছরের জন্য হল ছাত্র সংসদের সহসভাপতি নির্বাচিত হন। ১৯৬২ সালে শিক্ষা কমিশন বিরোধী আন্দোলনে গ্রেপ্তার হন। ১৯৬৩ সালের ১ এপ্রিল তিনি তৎকালীন পাকিস্তান আণবিক শক্তি কমিশনের চাকরিতে যোগ দেন। ১৯৬৩-৬৪ শিক্ষা বছরে কৃতিত্বের সঙ্গে লন্ডনের ইম্পেরিয়াল কলেজের ‘ডিপ্লোমা অব ইম্পেরিয়াল কলেজ কোর্স’ সম্পন্ন করেন। ১৯৬৭ সালের সেপ্টেম্বরে যুক্তরাজ্যের ‘ডারহাম বিশ্ববিদ্যালয়’ থেকে পদার্থবিজ্ঞানে ডক্টরেট ডিগ্রি লাভ করেন। তিনি বাংলাদেশ পরমাণু শক্তি কমিশনের সাবেক চেয়ারম্যান।


পরমাণু বিজ্ঞানী   ওয়াজেদ মিয়া   মৃত্যুবার্ষিকী  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড বাংলাদেশ

উপজেলা চেয়ারম্যান হলেন বহিষ্কৃত বিএনপির নেতা

প্রকাশ: ১০:২০ এএম, ০৯ মে, ২০২৪


Thumbnail

ময়মনসিংহের হালুয়াঘাট উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছেন বিএনপি নেতা মোহাম্মদ আব্দুল হামিদ। তিনি উপজেলা বিএনপির সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক ও উত্তর জেলা বিএনপির সাবেক সদস্য ও সাবেক সদর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান ছিলেন। 

দলের সিদ্ধান্তের বাইরে গিয়ে প্রথমবারের মতো উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে অংশ নিয়ে জয় পান তিনি। এর আগে তিনি ২ বার পৌর নির্বাচনে মেয়র ও ইউপি নির্বাচনে প্রতিদ্ধন্দ্বিতা করে হেরেছিলেন।

গত মাসে বিএনপির দপ্তর সম্পাদক রুহুল কবির রিজভী স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে মোহাম্মদ আব্দুল হামিদকে দল থেকে বহিষ্কার করা হয়। 

আওয়ামী লীগের শক্ত ঘাটি হিসেবে পরিচিত সীমান্তবর্তী এই উপজেলা নির্বাচনে চেয়ারম্যান প্রার্থী মোহাম্মদ আব্দুল হামিদ (আনারস) প্রতীকে পেয়েছেন ৩৪ হাজার ১৮৫ ভোট। তার প্রতিদ্ধন্দ্বী প্রার্থী উপজেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সহ-সভাপতি মো. নাজিম উদ্দিন (দোয়াত কলম) ২৮ হাজার ৭৭ ভোট, প্রকৌশলী মো. কামরুজ্জামান কামরুল (হেলিকপ্টার) পেয়েছেন ১২ হাজার ৮৮৪ ভোট, কৈচাপুর ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান পদ থেকে পদত্যাগ করে আসা সাবেক উপজেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সম্পাদক জাহিদ আহম্মেদ সারোয়ার জাহান (মোটর সাইকেল) ৬ হাজার ৭২ ভোট ও বিএনপির আরেক বহিষ্কৃত নেতা আইনজীবী আবুল হাসনাত তারেক (ঘোড়া) প্রতীক নিয়ে পেয়েছেন ১ হাজার ২১১ ভোট। চেয়ারম্যান পদে মোট ৫ জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন ।

এদিকে উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান (পুরুষ) নির্বাচিত হয়েছেন শেখ রাসেল। তিনি (তালা) প্রতীকে পেয়েছেন ২৫ হাজার ৫৮৩ ভোট। তার প্রতিদ্বন্দ্বী বিএনপির বহিষ্কৃত নেতা এ বি এম কাজল সরকার (টিয়া পাখি) পেয়েছেন ২০ হাজার ৬০২ ভোট, হুমায়ুন কবির (টিউবওয়েল) ১৬ হাজার ৭৮৬ ভোট, শাখাওয়াত হোসেন ফকির (চশমা) ১০ হাজার ৩০০ ভোট, সাইফুর রহমান (মাইক) ৭ হাজার ৬০৩ ভোট। উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান (পুরুষ) পদে মোট ৫ জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন।

মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে বিজয়ী হয়েছেন ময়মনসিংহ উত্তর জেলা মহিলা দলের বহিষ্কৃত সহ-সভাপতি ও সাবেক মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান মোছা. মনোয়ারা খাতুন ময়না। তিনি হাঁস প্রতীকে পেয়েছেন ৩১ হাজার ৮৪৬ ভোট। তার প্রতিদ্বন্দ্বী বিএনপির বহিষ্কৃত নেত্রী সুমি (সেলাই মেশিন) পেয়েছেন ৩০ হাজার ১১৩ ভোট, বর্তমান উপজেলা পরিষদের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান ঝর্ণা ঘোষ (কলস) ১৫ হাজার ১৯৮ ভোট, মোছা. হালিমা খাতুন (ফুটবল) ৩ হাজার ৯৪৫ ভোট।
উপজেলায় মোট ভোটার সংখ্যা ২ লাখ ৮১ হাজার ৮৮১ জন। উপজেলায় মোট ৯৪ টি কেন্দ্রে ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হয়।


উপজেলা চেয়ারম্যান   বহিষ্কৃত   বিএনপি  


মন্তব্য করুন


বিজ্ঞাপন