পুলিশের সাবেক অতিরিক্ত আইজি বীর মুক্তিযোদ্ধা এ কে এম সামসুদ্দিন বার্ধক্যজনিত কারণে ইন্তেকাল করেছেন (ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন)। আইজি এ কে এম সামসুদ্দিনের মৃত্যুতে শোক জানিয়েছেন আইজিপি ড. বেনজীর আহমেদ।
শুক্রবার (২৭ মে) ভোর সাড়ে তিনটায় রাজধানীর এভারকেয়ার হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় শেষ নিশ্বাস ত্যাগ করেন তিনি।
পুলিশ সদর দপ্তরের এআইজি (মিডিয়া অ্যান্ড পিআর) মো. কামরুজ্জামান এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। মৃত্যুকালে তিনি স্ত্রী, দুই পুত্রসহ বহু আত্মীয়-স্বজন ও গুণগ্রাহী রেখে গেছেন।
পুলিশ সদর দপ্তর জানায়, এ কে এম সামসুদ্দিন বিসিএস (পুলিশ) ১৯৭৩ ব্যাচের কর্মকর্তা ছিলেন। চাকরিজীবনে তিনি মৌলভীবাজার জেলার পুলিশ সুপার, খুলনা রেঞ্জের ডিআইজি, ডিএমপি কমিশনারসহ বিভিন্ন পদে দায়িত্ব পালন করেন। সর্বশেষ তিনি স্পেশাল ব্রাঞ্চের (এসবি) প্রধান হিসেবে চাকরি থেকে অবসর গ্রহণ করেন।
তিনি ১৯৪৪ সালে লক্ষ্মীপুর জেলার চন্দ্রগঞ্জ থানার পশ্চিম লতিফপুর গ্রামে এক সম্ভ্রান্ত মুসলিম পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন। তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে অর্থনীতিতে স্নাতক ও স্নাতকোত্তর ডিগ্রি লাভ করেন।
শুক্রবার জুমার নামাজের পর তার জানাজা রাজারবাগ পুলিশ লাইনসে এসআই শিরু মিয়া মিলনায়তনে অনুষ্ঠিত হয়। পুলিশের মহাপরিদর্শক (আইজিপি) ড. বেনজীর আহমেদ, ঢাকার পুলিশের বিভিন্ন ইউনিটের প্রধানরা, ঊর্ধ্বতন পুলিশ কর্মকর্তারা, পুলিশ সদস্যরা এবং মরহুমের আত্মীয়-স্বজন জানাজায় অংশ নেন।
জানাজা শেষে আইজিপি ড. বেনজীর আহমেদ, ডিএমপি কমিশনার মোহা. শফিকুল ইসলাম, বাংলাদেশ পুলিশ সার্ভিস অ্যাসোসিয়েশন, বাংলাদেশ রিটায়ার্ড পুলিশ অফিসার্স ওয়েলফেয়ার অ্যাসোসিয়েশন মরহুমের কফিনে পুষ্পস্তবক অর্পণ করে তার প্রতি শ্রদ্ধাজ্ঞাপন করেন।
তার মরদেহ রাজধানীর উত্তরা ৪ নম্বর সেক্টর কবরস্থানে রাষ্ট্রীয় মর্যাদায় দাফন করা হয়েছে।
আইজিপির শোক
বীর মুক্তিযোদ্ধা সাবেক অতিরিক্ত আইজি এ কে এম সামসুদ্দিনের মৃত্যুতে আইজিপি ড. বেনজীর আহমেদ গভীর শোক ও দুঃখ প্রকাশ করেছেন।
আইজিপি এক শোক বার্তায় বলেন, মরহুম এ কে এম সামসুদ্দিন সুদক্ষ কর্মকর্তা ছিলেন। একজন পেশাদার পুলিশ কর্মকর্তা হিসেবে তিনি অত্যন্ত দক্ষতা, নিষ্ঠা, সততা ও সুনামের সঙ্গে দায়িত্ব পালন করেন।
আইজিপি মরহুমের রুহের মাগফেরাত কামনা করেন এবং শোকসন্তপ্ত পরিবারের সদস্যদের প্রতি গভীর সমবেদনা জানান।
আইজি সামসুদ্দিনের মৃত্যুতে আইজিপির শোক
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
সিরাজগঞ্জে গণমাধ্যম কর্মীদেরকে নিয়ে ভাষায় লিঙ্গীয় বৈষম্য নারী পক্ষ নামে একটি সংগঠন সিরাজগঞ্জ ও পাবনার সাংবাদিকদের সাথে মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়।
রবিবার (১৯ মে') দুপুরে শহরের এস. এস রোডস্থ নর্থ টাউন রেস্তোরাঁয় প্রোগ্রাম ফর উইম্যান ডেভোলপমেন্ট (পি ডাব্লিউডি) সার্বিক সহযোগিতা ও নারীপক্ষ আয়োজনে ভাষায় লিঙ্গীয় বৈষম্য দিনব্যাপী মতবিনিময় সভার শুভ উদ্বোধন করেন নারীপক্ষ চেয়ার পারসন গীতা দাস।
মতবিনময় সভায় নারীপক্ষ চেয়ারপার্সন গীতা দাস বলেন, মানুষ কোনো ভালো কর্ম করলে তাকে বিশেষায়িত করা যায়। কিন্তু নারীরা নির্যাতিত হলেও তাদেরকে বিশেষায়িত করা হয়। যেমন ধর্ষণের শিকার হলে তাকে ধর্ষিতা, নির্যাতনের শিকার হলে নির্যাতিতা বলা হয়। অথচ ধর্ষণের শিকার, নির্যাতনের শিকার লিখলেও হয়।’ একজন নারীকে মানুষ হিসেবে দেখলে এ অবস্থার পরিবর্তন ঘটবে বলেও উল্লেখ করেন তিনি।
এসময়ে উপস্থিত ছিলেন কামরুন নাহার, ফেরদৌসী আখতার, পিডাব্লিউডি নির্বাহী পরিচালক হুসনে আরা জলি।
এছাড়াও আরো উপস্থিত ছিলেন বেসরকারি চ্যানেল টুয়েন্টিফর সিনিয়র রিপোর্টার সাংবাদিক হীরুকগুণ, এনটিভি জেলা প্রতিনিধি শরিফুল ইসলাম ইন্না, দৈনিক মানবজমিন পত্রিকার সিরাজগঞ্জ প্রতিনিধি সুজন সরকার, বৈশাখী টেলিভিশন সিরাজগঞ্জ প্রতিনিধি সুজিত সরকার, দীপ্ত টিভির সিরাজগঞ্জ প্রতিনিধি শিশির, দীপ্ত টিভি পাবনা জেলা প্রতিনিধি শামসুল আলম সহ অনেকে।
মন্তব্য করুন
পাবনার আটঘরিয়া উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান প্রার্থী সাইফুল ইসলাম কামালের বিরুদ্ধে জীবন্ত ঘোড়া নিয়ে প্রচারণার অভিযোগ উঠেছে। শুক্রবার (১৭ মে) বিকেলে উপজেলার একদন্ত ইউনিয়নের শিবপুর বাজার এলাকা থেকে জীবন্ত ঘোড়া নিয়ে নির্বাচনী প্রচারণা করেন চেয়ারম্যার প্রার্থী সাইফুল ইসলাম কামাল।
ষষ্ঠ উপজেলা পরিষদের তৃতীয় ধাপে আটঘরিয়া উপজেলা পরিষদের নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। এই উপজেলা চেয়ারম্যান পদে ২ জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। এদের মধ্যে সাইফুল ইসলাম ঘোড়া প্রতীক নিয়ে নির্বাচনে অংশ নিচ্ছেন।
এ বিষয়ে উপজেলা চেয়ারম্যান ও মোটরসাইকেল প্রতীকের চেয়ারম্যার প্রার্থী তানভীর ইসলাম বলেন, সাইফুল ইসলাম কামালের গুন্ডা সন্ত্রাসীরা প্রতিনিয়ত আমার কর্মী, সমর্থক, ভোটারদের ভয়ভীতি, হুমকী, উচ্ছৃঙ্খল আচরণ করে ভোট দিতে নিরুৎসাহিত করছে। ফলে নির্বাচন কমিশনের ষষ্ঠ উপজেলা পরিষদ নির্বাচন আচরণবিধি সাইফুল ইসলাম কামাল বারবার লঙ্ঘন করে উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে ক্ষমতার প্রভাব বিস্তার করছেন।
অভিযোগের বিষয়ে জানতে চাইলে চেয়ারম্যান প্রার্থী সাইফুল ইসলাম কামাল বলেন, ‘ঘোড়া নিয়ে প্রচার প্রচারণা করিনি। তবে আমি ঘেড়ার গাড়ি নিয়ে প্রচার প্রচারণা করেছি। এটাও যদি বিধি নিষেধ থাকে তাহলে এটাও পরিহার করবো।’
পাবনার অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্টেট ও রিটার্নিং অফিসার আব্দুল্লাহ আল মামুন বলেন, জীবন্ত ঘোড়া নিয়ে নির্বাচনী প্রচারণায় চেয়ারম্যান প্রার্থী এমন একটি অভিযোগ পেয়েছি আমরা। তদন্ত পূর্বক প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে জানান তিনি।
মন্তব্য করুন