প্রবীণ সাংবাদিক, কলাম লেখক, অমর একুশে গানের রচয়িতা আবদুল গাফ্ফার চৌধুরীর মরদেহে শ্রদ্ধা জানিয়েছেন মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হক।
শনিবার (২৮ মে) বেলা ১১টা ৫ মিনিটে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের একটি ফ্লাইটে তার মরদেহ ঢাকার হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে আনা হয়।
সরকারের পক্ষে মরদেহ গ্রহণ এবং শ্রদ্ধা নিবেদন করেন মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হক। এসময় কৃষিমন্ত্রী ড. মো. আব্দুর রাজ্জাক, রেলমন্ত্রী নূরুল ইসলাম সুজন, বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন প্রতিমন্ত্রী মাহবুব আলী, সংস্কৃতি প্রতিমন্ত্রী কে এম খালিদ, সাবেক মন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য মোফাজ্জল হোসেন চৌধুরী মায়া, বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন সচিব মো. মোকাম্মেল হোসেন, লন্ডনে নিযুক্ত বাংলাদেশের হাইকমিশনার সাইদা মুনা তাসনীম, আওয়ামী লীগের দপ্তর সম্পাদক ও প্রধানমন্ত্রীর বিশেষ সহকারী ব্যারিস্টার বিপ্লব বড়ুয়া প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
বিমানবন্দরে আনুষ্ঠানিকতা ও শ্রদ্ধা নিবেদন শেষে দুপুর ১২টায় একটি অ্যাম্বুলেন্সে করে মরদেহ কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে নেওয়া হয়। বিকেল তিনটা পর্যন্ত কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে আবদুল গাফ্ফার চৌধুরীর মরদেহ রাখা হবে। সেখানে সর্বস্তরের মানুষের শ্রদ্ধা এবং গার্ড অব অনার দেওয়া হবে।
উল্লেখ্য, গত ১৯ মে যুক্তরাজ্যের লন্ডনের বার্নেট হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান গাফ্ফার চৌধুরী। মৃত্যুকালে তার বয়স ছিল ৮৮ বছর। ডায়াবেটিস, কিডনি রোগসহ বার্ধক্যজনিত নানা জটিলতায় ভুগছিলেন তিনি।
গত শুক্রবার (২০ মে) পূর্ব লন্ডনের ব্রিকলেইন মসজিদে তার প্রথম জানাজার নামাজ অনুষ্ঠিত হয়। জানাজা শেষে পূর্ব লন্ডনের ঐতিহাসিক শহীদ আলতাব আলী পার্কের শহীদ মিনারে রাষ্ট্রীয় মর্যাদায় ব্রিটিশ-বাংলাদেশি কমিউনিটির সদস্যসহ সর্বস্তরের মানুষ তার প্রতি শেষ শ্রদ্ধা নিবেদন করা হয়। ২৩ মে লন্ডনের বাংলাদেশ হাইকমিশন গাফ্ফার চৌধুরী স্মরণে পূর্ব লন্ডনে এক মিলাদ মাহফিল ও শোকসভার আয়োজন করে।