ইনসাইড বাংলাদেশ

তরুনদেরকে উপযুক্ত শিক্ষায় শিক্ষিত করে গড়ে তুলতে হবে: শিক্ষামন্ত্রী

প্রকাশ: ০৮:১২ পিএম, ০১ জুন, ২০২২


Thumbnail তরুনদেরকে উপযুক্ত শিক্ষায় শিক্ষিত করে গড়ে তুলতে হবে: শিক্ষামন্ত্রী

তরুনদেরকে উপযুক্ত শিক্ষায় শিক্ষিত করে গড়ে তোলার আহ্বান জানিয়েছেন শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি। তিনি বলেন, তরুণরাই পারবে বঙ্গবন্ধুর স্বাধীন বাংলাদেশকে সোনার বাংলায় পরিণত করতে।

বুধবার (১ জুন) সকালে গাজীপুরের কালিয়াকৈরে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ডিজিটাল ইউনিভার্সিটিতে নবীন বরণ ও বিশ্ববিদ্যালয়ের উদ্ভাবিত ব্লেন্ডেড লার্নিং সল্যুশনের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।  

শিক্ষামন্ত্রী বলেন, তরুণরা যেন বাংলাদেশকে সামনের দিকে এগিয়ে নিয়ে যেতে পারে, সেজন্য তথ্যপ্রযুক্তি এবং বিজ্ঞানের অবাধ সুযোগ করে দিতে হবে। তরুণরা শুধু নিজেদের কাজের এবং চাকরির জন্য তৈরি করবে তা নয়, তারা উদ্যোক্তা হয়ে আরও বহু মানুষের চাকরির ব্যবস্থা করবে। তেমন করেই তাদের তৈরি করার স্বপ্ন দেখছেন বঙ্গবন্ধুকন্যা জননেত্রী শেখ হাসিনা এবং সেই পরিবেশটি তৈরিও করছেন।

তিনি বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর বিশ্ব র‌্যাংকিংয়ে আমরা এতদিন নজর দেইনি। কিন্তু আমরা যখন নজর দিলাম তখনি বুয়েট, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় বিশ্ব র‌্যাংকিংয়ে অনেক দূর এগিয়েছে। এখন আমাদের অনেক বিশ্ববিদ্যালয় বিশ্ব র‌্যাংকিংয়ে উন্নতি করবে।

দীপু মনি বলেন, আমাদের নতুন শিক্ষা কারিকুলাম তৈরি করা হচ্ছে। যা আগামী বছর থেকেই চালু করা হবে। নতুন কারিকুলামে শিক্ষা কার্যক্রম চালু করা একটি চ্যালেঞ্জ। সব চ্যালেঞ্জ মোকাবিলার জন্য আমাদের সাহসী পদক্ষেপ নিতে হবে।

শিক্ষামন্ত্রী বলেন, মাত্র চার বছর সময়ে এই বিশ্ববিদ্যালয়টি প্রথমবারের মতো ভার্চুয়াল মেশিনে অফিস পরিচালনা করছে। শিক্ষার্থীদের একাডেমিক কার্যক্রম পরিচালনার জন্য আইসিটি নির্ভর ক্লাসরুম, ই-লাইব্রেরি সুবিধা প্রদান এবং কম্পিউটার ও ল্যাংগুয়েজ ল্যাবরেটরি, ফিজিক্স ল্যাবরেটরি, আইওটি ল্যাবরেটরি, ইলেক্টনিক্স ল্যাবরেটরি, ডাটা সেন্টার, ইন্টারেক্টিভ ডিজিটাল বোর্ড, লার্নিং ম্যানেজমেন্ট সিস্টেম (এলএমএস), ম্যাসিভ ওপেন অনলাইন কোর্স (মুক), মাই বিডিইউ মোবাইল অ্যাপস, এক্সাম ম্যানেজমেন্ট সিস্টেম (ইএমএস) স্থাপন, শিক্ষার্থীদের এক্সেস কার্ড প্রদান, ওয়েব হোস্টিং এবং ডোমেইন, গুগল জি-স্যুট ফর এডুকেশন প্রদান, প্রক্টরড রিমোট এক্সাম সিস্টেম সফটওয়্যার তৈরি, ডাটা ম্যানেজমেন্ট অ্যান্ড এনালাইটিকস ল্যাবরেটরি স্থাপন আইওটি ল্যাবরেটরি স্থাপন, ব্লেন্ডেড ক্লাসরুম সল্যুশন প্রদান, ব্লেন্ডেড শিক্ষা সহায়ক লাইভ ক্লাস রুম চালু করেছে। সেজন্য অভিনন্দন জানাই। 

অনুষ্ঠানে সভাপতির বক্তব্যে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মুনাজ আহমেদ নূর বলেন, বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের সোনার বাংলার আধুনিক রূপই হচ্ছে আজকের ডিজিটাল বাংলাদেশ। ১৯৭৩ সালে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান আন্তর্জাতিক টেলিকমিউনিকেশন ইউনিয়নের সদস্য পদ গ্রহণের মধ্য দিয়ে প্রযুক্তিমুখী অভিযাত্রা শুরু করেন। ১৯৭৫ সালে ১৪ জুন বঙ্গবন্ধু বেতবুনিয়া ভূ-উপগ্রহ কেন্দ্র স্থাপনের মধ্য দিয়ে ডিজিটাল বাংলাদেশের স্বপ্নের যাত্রা শুরু করেছিলেন। এরই ধারাবাহিকতায় মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে প্রতিষ্ঠিত হয়েছে আজকের ডিজিটাল বাংলাদেশ।

বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষা বিভাগের বিভাগীয় প্রধান (অতিরিক্ত দায়িত্ব)মো. আশরাফুজ্জামান এবং তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগের বিভাগীয় প্রধান (ভারপ্রাপ্ত) ফারজানা আক্তারের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে ধন্যবাদ জ্ঞাপন করেন বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার (অতিরিক্ত দায়িত্ব) মো.আশরাফ উদ্দিন। 

শিক্ষামন্ত্রী   দিপু মনি   গাজীপুর   বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ডিজিটাল ইউনিভার্সিটি  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড বাংলাদেশ

প্রধানমন্ত্রীর কাছে এসএসসির ফল হস্তান্তর

প্রকাশ: ১০:৩৭ এএম, ১২ মে, ২০২৪


Thumbnail

এসএসসি-২০২৪ সালের ও সমমান পরীক্ষার ফল প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। 

রোববার (১২ মে) সকাল ১০টার দিকে প্রধানমন্ত্রীর সরকারি বাসভবন গণভবনে বিভিন্ন শিক্ষাবোর্ডের চেয়ারম্যানরা প্রধানমন্ত্রীর কাছে ফলের সারসংক্ষেপ হস্তান্তর করেন। 

দুপুরে সংবাদ সম্মেলন করে ফলাফলের বিস্তারিত তুলে ধরবেন শিক্ষামন্ত্রী। দুপুরের পর থেকে পরীক্ষার্থীরা ফলাফল জানতে পারবেন।

গণভবনে আয়োজিত অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন, শিক্ষামন্ত্রী ব্যারিস্টার মুহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেল ও প্রতিমন্ত্রী শামসুন্নাহার চাঁপা।

গত ১৫ ফেব্রুয়ারি এসএসসি ও সমমানের পরীক্ষা শুরু হয়। এবার মোট ১১টি শিক্ষা বোর্ডের অধীনে ২০ লাখ ২৪ হাজার ১৯২ জন পরীক্ষার্থী এসএসসি ও সমমানের পরীক্ষায় অংশ নিয়েছেন। এর মধ্যে ৯টি সাধারণ শিক্ষা বোর্ডের অধীনে পরীক্ষার্থী ছিলেন ১৬ লাখ ৬ হাজার ৮৭৯ জন। মাদরাসা শিক্ষা বোর্ডের অধীনে দাখিল পরীক্ষা দিয়েছেন মোট ২ লাখ ৪২ হাজার ৩১৪ জন। কারিগরি শিক্ষা বোর্ডের অধীনে এসএসসি (ভোকেশনাল) ও দাখিল (ভোকেশনাল) পরীক্ষায় অংশ নেন ১ লাখ ২৬ হাজার ৩৭৩ জন।


এসএসসি   প্রধানমন্ত্রী  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড বাংলাদেশ

সিরাজগঞ্জে দু’টি তাঁত ফ্যাক্টরিতে আগুন

প্রকাশ: ১০:০০ এএম, ১২ মে, ২০২৪


Thumbnail সিরাজগঞ্জে আগুনে ভষ্মিভূত দু’টি তাঁত ফ্যাক্টরী

সিরাজগঞ্জের বেলকুচিতে দুটি তাঁত কারখানায় অগ্নিকান্ডের ঘটনা ঘটেছে। এতে প্রায় অর্ধকোটি টাকা ক্ষতি হয়েছে বলে মালিক পক্ষ দাবি করেছে। নিবার্চন পরবর্তী সহিংসতায় কারনে এমন ঘটনা ঘটাতে পারে বলে মনে করছেন ফ্যাক্টরি মালিক পক্ষ। তাদের ধারনা গত ৮ মে অনুষ্ঠিত উপজেলা নির্বাচনে দোয়াত কলম প্রতীকের পক্ষে নিবার্চন করায় এমন ঘটনা ঘটাতে পারে প্রতিপক্ষ।

 

এঘটনায় ফ্যাক্টরিতে থাকা ৩২ টা বিদ্যুতিক পাওয়ারলুমসহ দুটি ফ্যাক্টরি ঘর পুরে ভস্মীভূত হয়ে যায়। এলাকাবাসী ও বেলকুচি ফায়ার সার্ভিসের ইউনিট প্রায় দুই ঘণ্টা চেষ্টার পর আগুন নিয়ন্ত্রণে আসে।

 

ক্ষতিগ্রস্ত কারখানার মালিকের দাবি এতে তার প্রায় অর্ধকোটি টাকার ক্ষতি হয়েছে। গত শুক্রবার (১০ মে) রাতে বেলকুচি দৌলতপুর ইউনিয়নের আজুগড়া জামাতমোড় এলাকার হাজী মোতালেব মুন্সীর তাঁত ফ্যাক্টরিতে এ ঘটনা ঘটে। তবে কিভাবে অগ্নিকান্ডের ঘটনা ঘটেছে তার সঠিক কারণ জানা যায়নি।

 

এলাকাবাসী সূত্রে জানা যায়, আনুমানিক রাত দেড়টায় হঠাৎ মোতালেব মুন্সীর বাড়ির তাঁত ফ্যাক্টরি ঘরে অগ্নিকান্ডের লেলিহান শিখা দেখতে পান। পরে বেলকুচি ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্সের কর্মীরা প্রায় দুই ঘণ্টা চেষ্টার পর আগুন নিয়ন্ত্রণে আনেন।

 

বেলকুচি ফায়ার সার্ভিসের ষ্টেশন ইনচার্জ নাসির উদ্দিন বলেন, ‘রাত দেড়টার দিকে খবর আসে আমরা খবর পাওয়ার মাত্র আমাদের ইউনিট নিয়ে ঘটনাস্থলে যাই।’

 

রাত প্রায় ৪টার দিকে আগুন নিয়ন্ত্রনে আসে। প্রাথমিক ভাবে ধারনা করা হচ্ছে বিদ্যুতিক সটসার্কেট থেকে আগুনের সুত্রপাত হতে পারে। তবে কি ভাবে হয়েছে তা নিশ্চিত করতে তদন্ত করছে পুলিশ।

এ ব্যাপারে বেলকুচি থানার ওসি আনিছুর রহমান জানান, ‘আমরা ঘটনা জানার পর আমাদের ফোর্স নিয়ে উপস্থিত হই। ফায়ার সার্ভিস এসে দুই ঘন্টার চেস্টায় আগুন নিয়ন্ত্রনে আনে। আগুন কিভাবে লাগছে এখনো বোঝা যাচ্ছে না। ফ্যাক্টরি মালিক একটি অভিযোগ করেছে। তবে এখনই কত টাকার ক্ষতি হয়েছে তা বলা যাচ্ছে না। এটি তদন্ত করে জানা যাবে।' 


তাঁত ফ্যাক্টরি   আগুন  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড বাংলাদেশ

মাদরাসা ছাত্রের ওপর শিক্ষকের এ কেমন বর্বরতা!


Thumbnail

একদিন মাদরাসায় না যাওয়ায় অভিযোগে সুনামগঞ্জের তাহিরপুরে দারুল আযহার বাদাঘাট ক্যাডেট মাদরাসার এক শিক্ষক বেত দিয়ে বেধরকভাকে মারপিট করেছে ১৩ বছরের এক ছাত্রকে। শরীরের বিভিন্ন স্থানে নির্যাতনের চিহ্ন নিয়ে নৌরভ হাসান নামে নামের ওই শিশুটিকে শনিবার (১১ মে) সন্ধ্যায় স্থানীয়ভাবে প্রাথমিক চিকিৎসাসেবা দেয়া হয়েছে। নৌরভ উপজেলার কামড়াবন্দ গ্রামের বাসিন্দা নিজাম উদ্দিনের ছেলে। 

মাদরাসা ছাত্রের বাবা নিজাম উদ্দিন জানান, ‘ছেলেকে হাফেজ তৈরির আশায় ওই মাদরাসায় দেয়া হয়। সেখানে পড়াকালীন সময়ে সে মাদরাসায় অনুপস্থিত থাকত না, শুধু শুক্রবার (১০ মে) রাতেই মাদরাসায় যায়নি। শুক্রবার রাতে সে মাদরাসায় না যাওয়ায় পরদিন শনিবার (১১ মে) বেলা ১১টায় সে মাদরাসায় গেলে মাদরাসা শিক্ষক হাফেজ সায়েম তাকে বেত (জালিবেত) দিয়ে বেধরকভাবে পিঠিয়ে শরীরের দুই হাত-পা-পিঠে জখম করে মাদরাসায় তিন ঘন্টা আটকে রাখেন।

শনিবার (১১ মে) বিকালে খবর পেয়ে তিনি মাদরাসায় গিয়ে দেখতে পান ছেলে কান্নাকাটি করছে। সময় তার কাছে শিক্ষকদের নির্যাতনের বর্ণনা শুনেন। তার শরীরের বিভিন্ন স্থানে ওই শিক্ষকের নির্যাতনের চিহ্ন দেখে দ্রুত স্থানীয়ভাবে প্রাথমিক চিকিৎসার ব্যবস্থা করেন। ব্যাপারে তিনি আইনের আশ্রয় নেবেন বলে জানান।

বিষয়ে শিশু নৌরভ জানান, ‘মাদরাসার হাফেজ সায়েম হুজুরের মারপিঠের ভয়েই আমি শুক্রবার রাতে মাদরাসায় যাইনি। তিনি শুধু আমাকেই না প্রায়ই অনেক ছাত্রকেই বেধরকভাবে বেত দিয়ে মারধর করেন।’

অভিযুক্ত শিক্ষক হাফেজ সায়েম জানান, ‘মাদরাসায় শুক্রবার রাতে না আসা পরদিন বিলম্ভে মাদরাসায় আসায় আমি রাগের মাথায় তাকে কিছুটা বেশী শাসন করেছি।

বিষয়ে তাহিরপুর থানার ওসি মোহাম্মদ নাজিম উদ্দিন জানান, ‘মাদরাসা ছাত্রের পরিবারের পক্ষ থেকে লিখিত অভিযোগ দিলে আমরা অবশ্যই আইনি ব্যবস্থা নেব।


মাদ্রাসা শিক্ষক   ছাত্র   নির্যাতন  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড বাংলাদেশ

সিলেটে আনোয়ার-আরিফের বৈঠক নিয়ে ধূম্রজাল

প্রকাশ: ০৯:১৫ এএম, ১২ মে, ২০২৪


Thumbnail

সিলেট মহানগরীতে নতুন গৃহকর নিয়ে কয়েকদিন ধরে্‌ই ব্যাপক আলোচনা-সমালোচনা চলছে। নগরীর বাড়িওয়ালাদের এক ধরনের তোপের মুখে রয়েছেন সিটি মেয়র আনোয়ারুজ্জামান চৌধুরী।এ পরিস্থিতিতে ‘গোপন বৈঠক’ করেছেন সিলেটের বর্তমান ও সাবেক মেয়র।

শুক্রবার (১০ মে) বিকেলে নগরীর চৌহাট্টা এলাকায় একটি স্থানীয় পত্রিকা অফিসে এ বৈঠক হয়। এ ‘গোপন বৈঠক’ নিয়ে নতুন করে আলোচনায় এসেছেন সিলেট সিটি করপোরেশনের (সিসিক) বর্তমান মেয়র আনোয়ারুজ্জামান চৌধুরী ও সাবেক মেয়র আরিফুল হক চৌধুরী। যদিও তারা এটিকে সৌজন্য সাক্ষাৎ বলছেন।

তবে সূত্র বলছে, নতুন নির্ধারিত গৃহকর নিয়ে উদ্ভূত পরিস্থিতি থেকে উত্তরণে নিজেদের মধ্যে আলোচনা করতেই এ বৈঠকে বসেছিলেন। বর্তমান মেয়র আনোয়ারুজ্জামানের হাত ধরে নতুন গৃহকর বাস্তবায়ন হলেও ২০১৯-২০ সালে মাঠপর্যায়ে অনুসন্ধান শেষে হোল্ডিং সংখ্যা পুনর্নির্ধারিত করা হয়েছিল। সেসময় সিসিকের দায়িত্বে ছিলেন আরিফুল হক চৌধুরী।

যে কারণে নতুন গৃহকর নিয়ে কেউ বলছেন বিদায়ী মেয়র আরিফুল হক চৌধুরী দায়িত্ব হস্তান্তরের আগে গৃহকর নির্ধারণ করেছেন। আবার কেউ কেউ বলছেন, বিদায়ী মেয়রের স্থগিত রাখা গৃহকরের সিদ্ধান্ত বাস্তবায়ন করে সমালোচনার মুখে পড়েছেন নতুন মেয়র মো. আনোয়ারুজ্জামান চৌধুরী।

এর আগে পঞ্চবার্ষিক কর পুনর্মূল্যায়নের পর গত ৩০ এপ্রিল থেকে নতুন নির্ধারিত বার্ষিক গৃহকর (হোল্ডিং ট্যাক্স) অনুযায়ী ভবনমালিকদের গৃহকর পরিশোধের নোটিশ দেওয়া শুরু করে সিলেট সিটি করপোরেশন। এরপর নগরের প্রায় পৌনে এক লাখ ভবনমালিকের গৃহকর ৫ থেকে ৫০০ গুণ পর্যন্ত বাড়ানো হয়েছে বলে অভিযোগ উঠে। এ নিয়ে নগরবাসীর মধ্যে দেখা দিয়েছে ক্ষোভ ও অসন্তোষ। এটি বাতিলের দাবিতে প্রতিদিনই বিভিন্ন সংগঠন প্রতিবাদ কর্মসূচি পালন করে যাচ্ছে।

এ পরিস্থিতিতে শুক্রবার বিকেলে সিলেটের স্থানীয় একটি পত্রিকা অফিসে গোপনে বৈঠকে বসেন বর্তমান মেয়র আনোয়ারুজ্জামান চৌধুরী ও সাবেক মেয়র আরিফুল হক চৌধুরী। এ সময় তারা গৃহকর নিয়ে উদ্ভূত পরিস্থিতি মোকাবিলায় একান্তে কথা বলেন।

বৈঠকের বিষয়ে বর্তমান মেয়র আনোয়ারুজ্জামান চৌধুরী বলেন, ‘এটি একটি সৌজন্য সাক্ষাৎ ছিল। সাক্ষাৎকালে নগরীর বিভিন্ন বিষয়সহ গৃহকর নিয়েও আলোচনা হয়েছে। নাগরিক থেকে শুরু করে সুশীল সমাজসহ সবার সঙ্গে আলোচনা করেই গৃহকর পুনরায় নির্ধারণ করা হবে।’


সিলেট   আনোয়ার   আরিফ   ধূম্রজাল  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড বাংলাদেশ

আজ বিশ্ব মা দিবস

প্রকাশ: ০৮:৫২ এএম, ১২ মে, ২০২৪


Thumbnail

আজ রোববার (১২ মে) সারা বিশ্বে পালন করা হচ্ছে মা দিবস। এই দিনটি মাকে বিশেষভাবে ভালোবাসা এবং শ্রদ্ধা জানানোর দিন। প্রতি বছর মে মাসের দ্বিতীয় রোববার পালন করা হয় বিশ্ব মা দিবস।

মাকে নিয়ে দারুণ কবিতা লিখেছেন বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর। তিনি লুকোচুরি নামক কবিতায় বলেছেন, ‍আমি যদি দুষ্টুমি করে চাঁপার গাছে চাঁপা হয়ে ফুটি, ভোরের বেলা মা গো, ডালের পরে কচি পাতায় করি লুটোপুটি, তবে তুমি আমার কাছে হারো, তখন কি মা চিনতে আমায় পারো। তুমি ডাক, খোকা কোথায় ওরে।

মা-পৃথিবীর মধুরতম ডাক। মা শব্দের অতলে লুকানো গভীর স্নেহ, মমতা আর পৃথিবীর সবচেয়ে অকৃত্রিম ভালোবাসা। শৈশব থেকে আনন্দ-বেদনা-ভয় কিংবা উদ্দীপনা-প্রতিটি মানবিক অনুভূতিতে জড়িয়ে থাকে মায়ের নাম। জন্ম থেকে মৃত্যু পর্যন্ত মানুষের সবশেষ আশ্রয়স্থল মমতাময়ী মায়ের আঁচল।

বিশেষ এই দিবসটি কীভাবে এলো তা হয়তো অনেকেরই অজানা। ইতিহাস বলছে, অনেক পথ পেরিয়ে এই দিবসটি নতুন রূপ পেয়েছে। ধারণা করা হয়, মা দিবসের সূচনা প্রাচীন গ্রিসের মাতৃরূপী দেবী সিবেলের এবং প্রাচীন রোমান দেবী জুনোর আরাধনা থেকে।

এ ছাড়া ইউরোপ ও যুক্তরাজ্য অনেক আগে থেকেই মায়েদের এবং মাতৃত্বকে সম্মান জানানোর জন্য একটি নির্দিষ্ট রোববারকে বেছে নিয়েছিল। ষোড়শ শতকে এটি ইংল্যান্ডে মাদারিং সানডে বলে পরিচিতি লাভ করে।

তবে ইতিহাসবিদদের মতে, জুলিয়া ওয়ার্ড হোই রচিত "মাদার্স ডে প্রক্লামেশন" বা "মা দিবসের ঘোষণাপত্র" মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে মা দিবস পালনের গোড়ার দিকের প্রচেষ্টাগুলোর মধ্যে অন্যতম।

১৮৭০ সালে আমেরিকার গৃহযুদ্ধের পৈশাচিকতার মাত্রা ছাড়িয়ে গেলে শান্তির প্রত্যাশায় জুলিয়া একটি ঘোষণাপত্র লেখেন। এরপর যুদ্ধ শেষে পরিবারহীন অনাথদের সেবায় ও একত্রীকরণে নিয়োজিত হন মার্কিন সমাজকর্মী আনা রিভিজ জার্ভিস ও তার মেয়ে আনা মেরি জার্ভিস।

এ সময় তারা জুলিয়া ওয়ার্ড ঘোষিত মা দিবস পালন করতে শুরু করেন। কিন্তু শারীরিক অসুস্থতার কারণে আনা রিভিজ জার্ভিস ১৯০৫ সালের ৫ মে মারা যান।

মায়ের মৃত্যুর পর আনা মেরি জার্ভিস মায়ের শান্তি কামনায় ও তার সম্মানে সরকারিভাবে মা দিবস পালনের জন্য প্রচারণা চালান। তিন বছর পর ১৯০৮ সালের ১০ মে পশ্চিম ভার্জিনিয়ার আন্দ্রেউজ মেথডিস্ট এপিসকোপাল চার্চে আনুষ্ঠানিকভাবে প্রথম মা দিবস পালন হয়।

এরপর ১৯১২ সালে এই দিবসটিকে জাতীয় ও আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি দেওয়ার জন্য ব্যাপক প্রচার শুরু হয়। এই প্রচার ধীরে ধীরে ছড়িয়ে পড়ে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রসহ কানাডা, মেক্সিকো, চীন, জাপান, দক্ষিণ আমেরিকা ও আফ্রিকায়।

এই প্রচারের পরিপ্রেক্ষিতে ১৯১৪ সালে তৎকালীন মার্কিন প্রেসিডেন্ট উড্রো উইলসন মে মাসের দ্বিতীয় রোববারকে মা দিবস ও জাতীয় ছুটির দিন হিসেবে ঘোষণা করেন। এরপর থেকেই প্রতিটি দেশে মায়েদের সম্মান ও শ্রদ্ধা জানানোর জন্য এই দিনটি উৎসর্গ করা হয়। দেশে দেশে পালন করা হয় বিশ্ব মা দিবস। 


বিশ্ব   মা  


মন্তব্য করুন


বিজ্ঞাপন