চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ডের বিএম কনটেইনার ডিপোতে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় তদন্ত সাপেক্ষে কারো গাফিলতি পেলে আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল। তিনি বলেন, কেউ যদি জড়িত থাকে, সে যে দলেরই হোক না কেন তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
মঙ্গলবার (৭ জুন) দুপুরে রাজধানীর ফুলবাড়ীয়ায় ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স অধিদপ্তরের সদর দপ্তরে সীতাকুণ্ডে অগ্নিকাণ্ডে নিহত ফায়ার ফাইটার মো. শাকিল তরফদারের জানাজা শেষে এ কথা বলেন তিনি।
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, চট্টগ্রামে আমাদের উচ্চ পর্যায়ের তদন্ত টিম কাজ করছে। তদন্ত শেষ না হওয়া পর্যন্ত কার গাফিলতি, কোনো উদ্দেশ আছে কি না, কেউ পুড়িয়েছে কি না কিছুই বলা যাচ্ছে না। নিশ্চয়ই কিছু একটা ঘটেছে, না হলে এতগুলো প্রাণ যায় না। সেটা আমি বিশ্বাস করি।
তিনি বলেন, তারা (ফায়ার ফাইটার) যে অকুতোভয় সেটা তারা সব সময় প্রমাণ দিয়েছেন। আপনারা জঙ্গি দমনেও দেখেছেন সিলেটে একজন জীবন দিয়েছেন। বনানীর এফ আর টাওয়ারেও আপনারা দেখেছেন। তারা জানে এখানে ঝুঁকি আছে, তারপরও তারা এক মুহূর্ত দেরি করেনি। তারা ছুটে গিয়েছেন যথাযথ চেষ্টা করেছেন, এতে তাদের ৯ জন শাহাদৎবরণ করেছেন। আরও তিন জনকে আমরা এখনও শনাক্ত করতে পারিনি এবং ডেড বডিও পাইনি।
আসাদুজ্জামান খান কামাল বলেন, এখন পর্যন্ত আমরা ৪১টি মরদেহ পেয়েছি। এখনও ফায়ার সার্ভিসের দুটি গাড়ি আটকে আছে। আমরা এখনও কোনো কিছু ক্লিয়ার না। কি পরিমাণ ক্ষয়ক্ষতি হয়েছিল সে বিষয়ে আমরা এখনও জানতে পারিনি। আমাদের শুধু নিহত নয়, আহত এখনও ১৫ জন রয়েছেন। তারা সিএমএইচসহ বিভিন্ন হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আছেন। আমরা তাদের জন্য দোয়া চেয়েছি।
এক প্রশ্নের জবাবে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, আমরা কিন্তু ঘণ্টা বাজানো ফায়ার সার্ভিস থেকে আধুনিক ফায়ার সার্ভিসে নিয়ে এসেছি। আজ ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা ঘটনার সঙ্গে সঙ্গে উপস্থিত হয়। আগে ফায়ার সার্ভিস আগুন নেভানোর পরে উপস্থিত হতো। এখন আর সেই ফায়ার সার্ভিস নেই— ডিফারেন্সটা এখানেই। আমরা প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশে একটি সক্ষম ফায়ার সার্ভিস হিসেবে পরিণত করতে পেরেছি। ক্রমাগতভাবে আমরা তাদের আরও সক্ষমতা বৃদ্ধি করব। আমরা সর্বোচ্চ চেষ্টা করব যাতে অগ্নিনির্বাপণের ভূমিকা রাখতে পারে, সে বিষয়টিও আমরা দেখব।
ঘটনার সঙ্গে যদি কোনো প্রভাবশালী ব্যক্তি জড়িত থাকে তাহলে আপনারা নমনীয় হবেন কি না— সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নের জবাবে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, আপনারা কি কখনো দেখেছেন আমাদের মাননীয় প্রধানমন্ত্রী কাউকে ছাড় দিয়েছেন। সংসদ সদস্যকেও ছাড় দেননি। আমাদের মেসেজ স্পষ্ট, যদি কারও সম্পৃক্ততা এবং কারও গাফিলতি পাওয়া যায় অবশ্যই তাদের শাস্তি পেতে হবে না।
মন্তব্য করুন
বাংলাদেশে পরমাণু শক্তি কমিশন প্রতিষ্ঠার মূল কারিগর ও বিশিষ্ট
পরমাণু বিজ্ঞানী এবং প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার স্বামী ড. এম এ ওয়াজেদ মিয়ার ১৫তম মৃত্যুবার্ষিকী
আজ। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জ্যেষ্ঠ জামাতা ওয়াজেদ মিয়া ১৯৪২ সালের ১৬ ফেব্রুয়ারি
রংপুরের লালদিঘীর ফতেহপুর গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন। সৎ, নির্লোভ ও নিখাদ দেশপ্রেমিক
এ পরমাণু বিজ্ঞানী ১৯৬৭ সালের ১৭ নভেম্বর বঙ্গবন্ধুর জ্যেষ্ঠকন্যা বর্তমান প্রধানমন্ত্রী
শেখ হাসিনার সঙ্গে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হন। ২০০৯ সালের আজকের এ দিনে তার বর্ণাঢ্য কর্মময়
জীবনের সমাপ্তি ঘটে।
মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে ঢাকা ছাড়াও রংপুর মহানগরী, পীরগঞ্জ উপজেলা
প্রশাসন, ওয়াজেদ মিয়ার পরিবার, উপজেলা আওয়ামী লীগ ও বিভিন্ন সংগঠন কবর জিয়ারত, মিলাদ
মাহফিল ও গরিবদের মধ্যে খাবার বিতরণসহ নানা কর্মসূচি গ্রহণ করেছে। এ দিন সকালে ওয়াজেদ
মিয়ার কবরে পুষ্পমাল্য অর্পণের মধ্য দিয়ে কর্মসূচির শুরু হয়।
ড. ওয়াজেদ মিয়া বাংলাদেশ পরমাণু শক্তি কমিশনের চেয়ারম্যান ছিলেন।
১৯৬১ সালে তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের পদার্থবিজ্ঞান বিভাগের স্নাতক পরীক্ষায় এবং ১৯৬২
সালে স্নাতকোত্তর পরীক্ষায় প্রথম শ্রেণিতে কৃতিত্বের সঙ্গে উত্তীর্ণ হন। ঢাবিতে অধ্যয়নকালে
ফজলুল হক হলের আবাসিক ছাত্র ছিলেন। ছাত্রলীগ মনোনীত প্রার্থী হিসেবে ১৯৬১-৬২ শিক্ষা
বছরের জন্য হল ছাত্র সংসদের সহসভাপতি নির্বাচিত হন। ১৯৬২ সালে শিক্ষা কমিশন বিরোধী
আন্দোলনে গ্রেপ্তার হন। ১৯৬৩ সালের ১ এপ্রিল তিনি তৎকালীন পাকিস্তান আণবিক শক্তি কমিশনের
চাকরিতে যোগ দেন। ১৯৬৩-৬৪ শিক্ষা বছরে কৃতিত্বের সঙ্গে লন্ডনের ইম্পেরিয়াল কলেজের
‘ডিপ্লোমা অব ইম্পেরিয়াল কলেজ কোর্স’ সম্পন্ন করেন। ১৯৬৭ সালের সেপ্টেম্বরে যুক্তরাজ্যের
‘ডারহাম বিশ্ববিদ্যালয়’ থেকে পদার্থবিজ্ঞানে ডক্টরেট ডিগ্রি লাভ করেন। তিনি বাংলাদেশ
পরমাণু শক্তি কমিশনের সাবেক চেয়ারম্যান।
পরমাণু বিজ্ঞানী ওয়াজেদ মিয়া মৃত্যুবার্ষিকী
মন্তব্য করুন
ময়মনসিংহের হালুয়াঘাট উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছেন
বিএনপি নেতা মোহাম্মদ আব্দুল হামিদ। তিনি উপজেলা বিএনপির সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক ও
উত্তর জেলা বিএনপির সাবেক সদস্য ও সাবেক সদর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান ছিলেন।
দলের সিদ্ধান্তের বাইরে গিয়ে প্রথমবারের মতো উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে
চেয়ারম্যান পদে অংশ নিয়ে জয় পান তিনি। এর আগে তিনি ২ বার পৌর নির্বাচনে মেয়র ও ইউপি
নির্বাচনে প্রতিদ্ধন্দ্বিতা করে হেরেছিলেন।
গত মাসে বিএনপির দপ্তর সম্পাদক রুহুল কবির রিজভী স্বাক্ষরিত এক
বিজ্ঞপ্তিতে মোহাম্মদ আব্দুল হামিদকে দল থেকে বহিষ্কার করা হয়।
আওয়ামী লীগের শক্ত ঘাটি হিসেবে পরিচিত সীমান্তবর্তী এই উপজেলা নির্বাচনে
চেয়ারম্যান প্রার্থী মোহাম্মদ আব্দুল হামিদ (আনারস) প্রতীকে পেয়েছেন ৩৪ হাজার ১৮৫ ভোট।
তার প্রতিদ্ধন্দ্বী প্রার্থী উপজেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সহ-সভাপতি মো. নাজিম উদ্দিন
(দোয়াত কলম) ২৮ হাজার ৭৭ ভোট, প্রকৌশলী মো. কামরুজ্জামান কামরুল (হেলিকপ্টার)
পেয়েছেন ১২ হাজার ৮৮৪ ভোট, কৈচাপুর ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান পদ থেকে পদত্যাগ করে আসা
সাবেক উপজেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সম্পাদক জাহিদ আহম্মেদ সারোয়ার জাহান (মোটর সাইকেল)
৬ হাজার ৭২ ভোট ও বিএনপির আরেক বহিষ্কৃত নেতা আইনজীবী আবুল হাসনাত তারেক (ঘোড়া) প্রতীক
নিয়ে পেয়েছেন ১ হাজার ২১১ ভোট। চেয়ারম্যান পদে মোট ৫ জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা
করেন ।
এদিকে উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান (পুরুষ) নির্বাচিত হয়েছেন শেখ রাসেল।
তিনি (তালা) প্রতীকে পেয়েছেন ২৫ হাজার ৫৮৩ ভোট। তার প্রতিদ্বন্দ্বী বিএনপির বহিষ্কৃত
নেতা এ বি এম কাজল সরকার (টিয়া পাখি) পেয়েছেন ২০ হাজার ৬০২ ভোট, হুমায়ুন কবির (টিউবওয়েল)
১৬ হাজার ৭৮৬ ভোট, শাখাওয়াত হোসেন ফকির (চশমা) ১০ হাজার ৩০০ ভোট, সাইফুর রহমান (মাইক)
৭ হাজার ৬০৩ ভোট। উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান (পুরুষ) পদে মোট ৫ জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা
করেন।
মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে বিজয়ী হয়েছেন ময়মনসিংহ উত্তর জেলা মহিলা
দলের বহিষ্কৃত সহ-সভাপতি ও সাবেক মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান মোছা. মনোয়ারা খাতুন ময়না।
তিনি হাঁস প্রতীকে পেয়েছেন ৩১ হাজার ৮৪৬ ভোট। তার প্রতিদ্বন্দ্বী বিএনপির বহিষ্কৃত
নেত্রী সুমি (সেলাই মেশিন) পেয়েছেন ৩০ হাজার ১১৩ ভোট, বর্তমান উপজেলা পরিষদের ভারপ্রাপ্ত
চেয়ারম্যান ঝর্ণা ঘোষ (কলস) ১৫ হাজার ১৯৮ ভোট, মোছা. হালিমা খাতুন (ফুটবল) ৩ হাজার
৯৪৫ ভোট।
উপজেলায় মোট ভোটার সংখ্যা ২ লাখ ৮১ হাজার ৮৮১ জন। উপজেলায় মোট ৯৪ টি কেন্দ্রে ভোটগ্রহণ
অনুষ্ঠিত হয়।
উপজেলা চেয়ারম্যান বহিষ্কৃত বিএনপি
মন্তব্য করুন
পাবনার ঈশ্বরদী উপজেলার মুলাডুলিতে লাইনচ্যুত বুড়িমারি এক্সপ্রেস ট্রেনের বগি উদ্ধার করা হয়েছে। এতে ৫ ঘন্টা পর ঢাকার সাথে উত্তরবঙ্গের রেল যোগাযোগ স্বাভাবিক হয়। পশ্চিমাঞ্চল পাকশী বিভাগীয় রেলওয়ের ব্যবস্থাপক শাহ সুফি নুর মোহাম্মদ এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
তিনি বলেন, দুর্ঘটনার পর ঈশ্বরদী থেকে রিলিফ ট্রেন এসে উদ্ধার কাজ শুরু করে। ৫ ঘন্টা উদ্ধার কাজ শেষে বৃহস্পতিবার (৯ মে) সকাল ৮ টা দশ মিনিটে রেল যোগাযোগ স্বাভাবিক হয়। এ ঘটনায় ৩ সদস্যের একটি তদন্ত কমিটি গঠন করেছে রেল কর্তৃপক্ষ।
এর আগে লালমনিরহাটের বুড়িমারি থেকে ঢাকার উদ্দেশ্যে যাচ্ছিল যাত্রীবাহি আন্ত:নগর ট্রেন বুড়িমারি এক্সপ্রেস।
পশ্চিমাঞ্চল পাকশী বিভাগীয় রেলওয়ের ব্যবস্থাপক শাহ সুফি নুর মোহাম্মদ বলেন, প্রাথমিকভাবে ট্রেনের চাকার যান্ত্রিক ত্রুটির কারণে এই লাইনচ্যুতির ঘটনা ঘটেছে বলে ধারণা করা হচ্ছে। এ ঘটনায় পাকশী পশ্চিমাঞ্চল বিভাগীয় পরিবহন কর্মকর্তা আনোয়ার হোসেন কে প্রধান করে তিন সদস্যের একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। কমিটিকে আগামী ৩ দিনের মধ্যে প্রতিবেদন দিতে নির্দেশ দেয়া হয়েছে।
রেল লাইন লাইন চ্যুত বগি উদ্ধার
মন্তব্য করুন
চলতি বছর চূড়ান্ত আনুষ্ঠানিকতায় শুরু
হলো বাংলাদেশীদের হজযাত্রা। বৃহস্পতিবার (৯ মে) দিবাগত রাত ৪ টা ৫ মিনিটে পবিত্র হজ
পালনের উদ্দেশ্যে ঢাকা ত্যাগ করেন ৪১৩ জন বাংলাদেশী। সৌদিয়া এয়ারলাইন্সের প্রথম ফ্লাইটে
সৌদি আরবের উদ্দেশ্যে ঢাকা ত্যাগ করেন তারা।
এরপর পর্যায়ক্রমে ৭ টা ২০ টি বংলাদেশ
বিমানের ফ্লাইটে সৌদি যান ৪১৭ জন এবং সকাল ৮ টায় ফ্লাইনাস এয়ারের আরেকটি ফ্লাইটের উদ্বোধন করেন ধর্মমন্ত্রী মো. ফরিদুল হক খান।
ধর্ম মন্ত্রণালয়ের তথ্য অনুযায়ী, বৃহস্পতিবার (৯ মে) প্রথম দিনে সাতটি ফ্লাইট ঢাকা থেকে সৌদি আরবের উদ্দেশে ছেড়ে যাবে। এর মধ্যে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের তিনটি ছাড়াও
ফ্লাইনাস এয়ার ও
সৌদি এয়ারলাইন্স এর দুটি
করে ফ্লাইট রয়েছে।
প্রথম দিনের শিডিউল অনুযায়ী, বৃহস্পতিবার প্রথম দিনে সাতটি ফ্লাইটে সৌদি আরব যাওয়ার কথা রয়েছে মোট দুই হাজার ৭৮৫ জন।
ধর্ম মন্ত্রণালয়ের আরো জানিয়েছে, চলতি বছর হজে যাওয়ার উদ্দেশ্যে নিবন্ধন করেছেন ৮৩ হাজার ৩১১ জন। এর মধ্যে সরকারি ব্যবস্থাপনায় চার হাজার ৪১৬ জন এবং বেসরকারি ব্যবস্থাপনায় নিবন্ধন করেছেন ৭৮ হাজার ৮৯৫ জন। তবে, বুধবার (৮ মে) পর্যন্ত হজে যেতে ভিসা পেয়েছেন ৪২ হাজার ৮৪৬ হজযাত্রী।
চাঁদ দেখা সাপেক্ষে আগামী ১৬ জুন পবিত্র হজ পালিত হতে পারে। চলতি বছর হজযাত্রীদের ভিসার জন্য আবেদনের সময় নির্ধারিত ছিল ২৯ এপ্রিল পর্যন্ত। তবে ২৫৯টি বেসরকারি হজ এজেন্সির মধ্যে অনেকেই এই সময়ের মধ্যে ভিসার কার্যক্রম শেষ করতে না পারায় প্রথম ধাপে ৭ মে পর্যন্ত সময় বাড়ানো হয়। এরপর দ্বিতীয়বারের মতো ১১ মে পর্যন্ত ভিসার কার্যক্রম শেষ করতে সময় বাড়ানোর
সিদ্ধান্ত নেই ধর্ম মন্ত্রণালয়।
মন্তব্য করুন
চলতি বছরের জুলাইয়ের প্রথম সপ্তাহে বেইজিং সফরে যাচ্ছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
দিল্লি সফরের পরই সরকারপ্রধান বেইজিং সফর করবেন। পাঁচ বছর পর দেশটিতে সফরে যাবেন প্রধানমন্ত্রী।
ঢাকা-বেইজিংয়ের কূটনৈতিক সূত্রগুলো প্রধানমন্ত্রীর বেইজিং সফরের তথ্য নিশ্চিত করেছে।
বেইজিংয়ের একটি কূটনৈতিক সূত্র বলছে, জুলাইয়ে প্রথম সপ্তাহে প্রধানমন্ত্রী
বেইজিং সফরে যাবেন। সরকারপ্রধানের সফরটি তিনদিনের হতে পারে।
ঢাকার একটি কূটনৈতিক সূত্র জানায়, শেখ হাসিনা ভারতের লোকসভা নির্বাচনের
পর দিল্লি সফর করার কথা রয়েছে। আশা করা হচ্ছে, জুনের কোনো একটা সময়ে দিল্লি সফরে যাবেন
সরকারপ্রধান। তবে সফরটি জুনের শেষ নাগাদ হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।
টানা চতুর্থ মেয়াদে সরকার গঠনের পর শেখ হাসিনা প্রথম বিদেশ সফর
করেন জার্মানিতে। গত ফেব্রুয়ারিতে তিনি দেশটিতে অনুষ্ঠিত মিউনিখ সিকিউরিটি কনফারেন্সে
যোগ দেন।
বহুপক্ষীয় ফোরামের বাইরে বঙ্গবন্ধুকন্যা প্রথম দ্বিপক্ষীয় সফরে
কোন দেশে যাবেন, দিল্লি না বেইজিং-এ নিয়ে কূটনৈতিক মহলে বেশ আলোচনা ছিল।
তবে সব আলোচনাকে পেছনে ফেলে সরকারপ্রধান গত মাসের (এপ্রিলের) শেষের
দিকে ব্যাংককে প্রথম দ্বিপক্ষীয় সফর করেন।
বাংলাদেশের দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের আগে প্রধানমন্ত্রীকে বেইজিং
নেওয়ার পরিকল্পনা ছিল চীনের।
গত বছরের (২০২৩) ২৩ সেপ্টেম্বর চীনে অনুষ্ঠিত এশিয়ান গেমসের উদ্বোধনী
অনুষ্ঠানে শেখ হাসিনাকে অতিথি করতে চেয়েছিল চীন।
তবে ওই সময়ে জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদের অধিবেশনে যোগ দেবেন বলে সরকারপ্রধান
চীনে যেতে পারবেন না বলে বেইজিংকে জানানো হয়েছিল।
পরে ৭ জানুয়ারির নির্বাচনে আওয়ামী লীগ সরকার গঠনের পর থেকে প্রধানমন্ত্রীকে
চীন সফরে নিতে মরিয়া হয়ে ওঠে দেশটি। গত রমজানের মধ্যেও প্রধানমন্ত্রীকে চীন সফর করার
একটা ‘তড়িঘড়ি’ প্রস্তাব দেওয়া হয়। কিন্তু ঢাকার পক্ষ থেকে বেইজিংকে জানানো হয়েছিল,
সরকারপ্রধান রমজান মাসে বিদেশ সফর করেন না।
গত মাসের (এপ্রিল) শুরুর দিকে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে
সৌজন্য সাক্ষাৎ করেন ঢাকায় নিযুক্ত চীনের রাষ্ট্রদূত ইয়াও ওয়েন। রাষ্ট্রদূত বেইজিংয়ের
পক্ষ থেকে আগামী জুলাইয়ে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রীকে চীন সফরের আমন্ত্রণ জানান। সেই
আমন্ত্রণপত্র গ্রহণ করেছেন সরকারপ্রধান।
বুধবার (৮ মে) দুই দিনের সফরে সন্ধ্যায় ঢাকায় এসেছেন ভারতের পররাষ্ট্রসচিব
বিনয় কোয়াত্রা। ভারতীয় পররাষ্ট্রসচিব বৃহস্পতিবার (৯ মে) প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার
সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করবেন। কোয়াত্রা প্রধানমন্ত্রীকে দিল্লি সফরের আমন্ত্রণ পৌঁছে
দিতে পারেন।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ২০১৯ সালের জুলাইয়ে সর্বশেষ চীন সফর করেছিলেন।
তখন বিশ্ব অর্থনৈতিক ফোরামের সম্মেলনে অংশ নেওয়ার পর চীনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিংয়ের
সঙ্গে দ্বিপক্ষীয় বৈঠক করেন।
গত বছরের আগস্টে দক্ষিণ আফ্রিকার জোহানেসবার্গে ব্রিকস শীর্ষ সম্মেলনের
ফাঁকে বৈঠক করেন হাসিনা-শি। ২০১৯ সালের পর দুই শীর্ষ নেতা ওই বৈঠকে বসেন।
মন্তব্য করুন
বাংলাদেশে পরমাণু শক্তি কমিশন প্রতিষ্ঠার মূল কারিগর ও বিশিষ্ট পরমাণু বিজ্ঞানী এবং প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার স্বামী ড. এম এ ওয়াজেদ মিয়ার ১৫তম মৃত্যুবার্ষিকী আজ। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জ্যেষ্ঠ জামাতা ওয়াজেদ মিয়া ১৯৪২ সালের ১৬ ফেব্রুয়ারি রংপুরের লালদিঘীর ফতেহপুর গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন। সৎ, নির্লোভ ও নিখাদ দেশপ্রেমিক এ পরমাণু বিজ্ঞানী ১৯৬৭ সালের ১৭ নভেম্বর বঙ্গবন্ধুর জ্যেষ্ঠকন্যা বর্তমান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হন। ২০০৯ সালের আজকের এ দিনে তার বর্ণাঢ্য কর্মময় জীবনের সমাপ্তি ঘটে।