ইনসাইড বাংলাদেশ

জোবায়দা আসছেন বিএনপির হাল ধরতে?

নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রকাশ: ০৮:০০ পিএম, ০৯ জানুয়ারী, ২০১৮


Thumbnail

মামলার জালে জড়িয়ে পড়া বেগম খালেদা জিয়া এখন বিএনপিতে বিকল্প নেতৃত্ব নিয়ে কথাবার্তা শুরু করেছেন। তাঁর অবর্তমানে তারেক জিয়া নয় জোবায়দা রহমানই যে বিএনপির হাল ধরবেন এমন স্পষ্ট ইঙ্গিত তিনি দলের একাধিক সিনিয়র নেতার কাছে দিয়েছেন।

গত সোমবার সরকার বেগম জিয়ার বিরুদ্ধে আরও ১৪ টি মামলা সচল করেছে। আইনমন্ত্রী এই ১৪ টি মামলাই পুরাণ ঢাকার বকশী বাজারের অস্থায়ী আদালতে শুনানি হবে বলে জানিয়েছেন। সোমবার সরকার এ সংক্রান্ত প্রজ্ঞাপনও জারি করেছে। ইতিমধ্যে বকশী বাজারের ওই অস্থায়ী আদালতে বেগম জিয়ার বিরুদ্ধে দুটি মামলার শুনানি চলছে।

বিএনপির শীর্ষস্থানীয় একজন নেতা বলেছেন, ‘বেগম জিয়ার বিরুদ্ধে আরও ১৪ টি মামলা সচল করার মধ্যে দিয়ে স্পষ্ট হলো সরকারের নীল নকশা।’ তাঁর মতে, ‘সরকার বেগম জিয়াকে বাইরে রেখে নির্বাচন করতে চায়। বেগম জিয়াকে অযোগ্য করে আওয়ামী লীগ নির্বাচনী বৈতরণী পার হওয়ার ষড়যন্ত্র করছে।’

সোমবারের সরকারি সিদ্ধান্তের পর বেগম জিয়াও নড়েচড়ে বসেছেন। তিনি দলের কয়েকজন নেতাকে বলেছেন, ‘ আমাকে জেলে রেখে নির্বাচন পার করতে চায় আওয়ামী লীগ, যাতে কোনো আন্দোলন না হয়, কেউ কোনো টু শব্দ না করে।’ বেগম জিয়া এবং তাঁর ছেলে তারেক জিয়া মনে করেন, তাঁদের অনুপস্থিতিতে দলের অন্য কোনো নেতার পক্ষে বড় ধরনের আন্দোলন গড়ে তোলা সম্ভব না। একটি মামলায় ইতিমধ্যে দন্ডিত তারেক জিয়ার আপাতত দেশে ফেরার কোনো সম্ভাবনা নেই। এ কারণেই বেগম জিয়া তার বড় পুত্রবধু ডা. জোবায়দা রহমানকে দেশে এনে বাজিমাত করতে চায়। বিএনপির একাধিক সূত্র বলছে, চলতি মাসেই ব্রিটেনে স্থায়ীভাবে বসবাসের অনুমতি পেতে পারেন ডা. জোবায়দা। ফেব্রুয়ারির শুরুতেই ডা. জোবায়দা ব্রিটিশ পাসপোর্ট পেতে পারেন বলেও বিএনপির একাধিক নেতা জানিয়েছেন। তাঁদের মতে, ব্রিটিশ পাসপোর্ট নিয়ে দেশে এলে তাঁকে গ্রেপ্তার বা হয়রানি করা সহজ হবে না। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একজন বিএনপি নেতা বলেছেন, ‘জোবায়দা রহমান দেশে ফিরলেই একটি গণজোয়ার তৈরি হবে। কর্মীরা মনোবল ফিরে পাবে। সবচেয়ে বড় কথা, তাঁর আগমনে দলে যাঁরা দল ভেঙ্গে নির্বাচন করতে চায়, তারা কোনঠাসা হয়ে যাবে।

বিএনপির একাধিক নেতার সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, কদিন আগেও বেগম জিয়া মনে করতেন তাঁর কিছুই হবে না। চলমান মামলা দুটি থেকেও তিনি খালাস পাবেন। কিন্তু ১৪টি মামলা সচল করার মধ্যে দিয়ে সরকার এই ব্যাপারে যে হার্ডলাইনে তা বুঝিয়ে দিলো। বিএনপি নেতাকর্মীরাও মনে করছেন, বেগম জিয়াকে হয়তো কারাগারেই যেতে হবে এবং সেটা লম্বা সময়ের জন্যই। এর মধ্যেই এ নিয়ে নেতাকর্মীদের মধ্যে হতাশা নেমে এসেছে। বেগম জিয়া গ্রেপ্তার হলে সংগঠনের নেতা কর্মীদের মনোবল একেবারেই ভেঙে যাবে। এরকম পরিস্থিতি সৃষ্টি করে বিএনপির একটি খন্ডিত অংশকে নির্বাচনে আনাই সরকারের লক্ষ্য। সরকারের এই পরিকল্পনার পাল্টা হিসেবেই বিএনপি ডা. জোবাইদাকে মাঠে নামাচ্ছে। বিএনপির একজন নেতা বলছেন, ‘এমনও হতে পারে, জোবায়দার নেতৃত্বে আমরা আন্দোলনের অংশ হিসেবে নির্বাচনে গেলাম`।



Raed In English- http://bit.ly/2mdgVAl

বাংলা ইনসাইডার/জেডএ



মন্তব্য করুন


ইনসাইড বাংলাদেশ

আরও ৮৮ মিয়ানমার সীমান্তরক্ষীর বাংলাদেশে অনুপ্রবেশ

প্রকাশ: ০৫:২২ পিএম, ০৫ মে, ২০২৪


Thumbnail

কক্সবাজারের টেকনাফ সীমান্ত দিয়ে নতুন করে আরও ৮৮ জন মিয়ানমার সীমান্তরক্ষী বাহিনীর (বিজিপি) সদস্য অস্ত্রসহ বাংলাদেশে অনুপ্রবেশ করেছে। তারা নৌকায় নাফ নদী পেরিয়ে টেকনাফের সাবরাং সীমান্তে টেকনাফ কোস্ট গার্ড সদস্যদের কাছে আত্মসমর্পণ করে। 

রোববার (৫ মে) দুপুরে টেকনাফের শাহপরীর সাবরাং ইউনিয়ন এবং নাজিরপাড়া সীমান্ত দিয়ে বাংলাদেশে অনুপ্রবেশ করে তারা।

স্থানীদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, সকালে নাফ নদী পেরিয়ে টেকনাফের সাবরাং সীমান্তে অস্ত্রসহ বিজিপির ৮৮ সদস্য টেকনাফ কোস্ট গার্ড সদস্যদের কাছে আত্মসমর্পণ করেন। গতকাল শনিবারও (৪ মে) অন্তত ৩৬ বিজিপি পালিয়ে বাংলাদেশে আশ্রয় নেন। এর মধ্যে সাবরাং আচারবুনিয়া সীমান্ত দিয়ে ১৪ জন, নাজিরপাড়া সীমান্ত দিয়ে ২২ এবং নাজিরপাড়া সীমান্ত দিয়ে দুইজন প্রবেশ করেন।

এর আগে বাংলাদেশে পালিয়ে আসা বিজিপি ছাড়াও দেশটির সেনাবাহিনীর ৬১৮ জনকে দুই দফায় মিয়ানমারে ফেরত পাঠানো হয়। এর মধ্যে গত ২৫ এপ্রিল ২৮৮ বিজিপি ও সেনা সদস্য এবং গত ১৫ ফেব্রুয়ারি ৩৩০ বিজিপি, সেনা ও কাস্টমস কর্মকর্তাকে মিয়ানমারে ফেরত পাঠায় বাংলাদেশ।

মিয়ানমার   সীমান্তরক্ষী   অনুপ্রবেশ  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড বাংলাদেশ

বৃষ্টি-তাপপ্রবাহ: কারও পৌষ মাস, কারও সর্বনাশ

প্রকাশ: ০৫:১৭ পিএম, ০৫ মে, ২০২৪


Thumbnail

গত মাসে তীব্র তাপপ্রাহে পুড়েছে পুরো দেশ। দফায় দফায় হিট এ্যালার্ট জারি করেছে আবহাওয়া অধিদপ্তর। এমনকি গতকাল শনিবার সন্ধ্যা ৬টা থেকে পরবর্তী ২৪ ঘণ্টার জন্য তাপপ্রবাহের সতর্কতা দেয় সংস্থাটি। এদিকে তীব্র দাবদাহ যখন স্বাভাবিক হয়ে আসছে তখন রাজধানীসহ দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে হয়েছে বজ্রসহ ভারি বৃষ্টিপাত। ইতোমধ্যে কালবৈশাখী ঝড়ে দেশের বেশ কয়েকটি অঞ্চলে মারা গেছেন নারী ও শিশুসহ অনেকেই।

আবহাওয়া অফিস সতর্কবার্তা দিয়ে বলছে- রাজশাহী, ঢাকা, খুলনা ও বরিশাল বিভাগের ওপর দিয়ে চলমান মৃদু থেকে মাঝারি তাপপ্রবাহ অব্যাহত থাকতে পারে। একইসঙ্গে জলীয়বাষ্পের আধিক্যের কারণে অস্বস্তিকর পরিস্থিতিও অব্যাহত থাকতে পারে। আর চলতি মে মাসে তিন থেকে পাঁচদিন হালকা ধরনের কালবৈশাখী ঝড় হতে পারে। আর দুই থেকে তিন দিন বজ্র ও শিলাবৃষ্টিসহ মাঝারি ও তীব্র কালবৈশাখী হতে পারে বলে জানিয়েছে আবহাওয়ার পূর্বাভাসে।

এপ্রিলের পুরো মাসজুড়েই ছিল তীব্র তাপপ্রবাহ, যা ৭৬ বছরের রেকর্ড ভেঙেছে। গত মাসের এই তীব্র তাপপ্রবাহের ফলে জনজীবন হয়েছে নাভিশ্বাস। তপ্ত গরম থেকে স্বস্তির দিতে সরকার যেমন নানান পদক্ষেপের মাধ্যমে মোকাবিলা করেছে তেমনি জনগণও তাদের স্বস্তির জন্য তপ্ত গরমেও সতর্ক ভাবেই করেছে মোকাবিলা। কিন্তু দেশেরে মানুষ তাপপ্রবাহ মোকাবিলা করতে পারলেও পারছে না ঝড়-বৃষ্টির মোকাবিলা করতে!

গণমাধ্যমের তথ্যমতে, গতকাল শনিবার (৪ মে) কিশোরগঞ্জের করিমগঞ্জে কালবৈশাখী ঝড়ে ঘরের নিচে চাপা পড়ে ৯ মাসের অন্তঃসত্ত্বা মা ও তার ৫ বছর বয়সী ছেলের মৃত্যু হয়েছে। রোববার (০৫ মে) খাগড়াছড়ির রামগড়ে বজ্রসহ ঝড়বৃষ্টির সময় বাড়ির উঠানে দুটি গরুসহ গনজ মারমা (৫০) নামে এক কৃষকের মৃত্যু হয়েছে। শুধু চলতি মাসেই নয়, এপ্রিলের কিছু কিছু অঞ্চলেও কালবৈশাখী ঝড় ও বজ্রপাত হয়। সেই ঝড়ে ছয় জেলায় অন্তত ১১ জন নিহত ও দুজন নিখোঁজ হয়েছেন।

যেখানে গেল মাসের দাবদাহ মোকাবিলায় যেমন মানুষ নিজেদের সুরক্ষার্থে সর্তক হয়ে স্বস্তির খোঁজে বিভিন্ন পদক্ষেপ ও ব্যবস্থা গ্রহণ করে তা কার্যকর করেছে ঠিক, সেখানে ঝড়ো বৃষ্টিতে কিংবা বজ্রসহ বৃষ্টিপাতের সময় নিজেরা সচেতন হয়ে তা মোকবিলা করতে পারছে না। তবে কি সাধারণ মানুষ নিজেদেরে সুরক্ষার্থে সচেতন হতে পারে না। শুধু সাধারণ মানুষ নয় সরকারের উপরও কিছু দায়িত্ব থেকে যায়। যাতে করে দেশের প্রান্তিক জনগোষ্ঠেী থেকে সকলেই সতর্ক হয়ে তা মোকাবিলা করে নিজেদের এবং পরিবারের সুরক্ষা নিতে পারে।

বজ্রসহ বৃষ্টিপাতের মোকবিলায় জনগণের প্রতি দিকনির্দেশনা
সাধারণত কালবৈশাখী ঝড়ের সময়ে দেশকে জনস্বার্থে কিছু ব্যবস্থা নেওয়া উচিত। কালবৈশাখী ঝড়ের আগেই মেটারোলজি বিভাগ এবং অঞ্চলের নিকটস্থ সংস্থার পূর্বাভাস করে বিপদগ্রস্ত হলে পূর্বেই পর্যবেক্ষণ করা উচিত। সরকার সংগঠন বা প্রশাসনিক সংস্থাগুলো আগাম বিপদ জনস্বার্থে জনগণকে সাবধানতা প্রকাশ করতে পারে। প্রয়োজনে সরকারী অথবা অন্য সংস্থা গুলি মানুষদের নিরাপত্তার জন্য তথ্য দিতে পারে। এবংকি সকল প্রয়োজনীয় সাহায্য ও সহযোগিতার ব্যবস্থা করা উচিত যার মধ্যে খাবার, পানি, ও প্রাথমিক চিকিৎসা। বিশেষ করে বিভিন্ন সরকারী অথবা অর্গানাইজেশ সংস্থা সহযোগিতা করে সাহায্যের অভিযান চালাতে পারে। সময়ে ও সঠিকভাবে বাস্তবায়নের পর্যায়ে সাবধানতা অবলম্বন করা উচিত। শুধু তাই নয় বাস্তবায়নের পর্যায়ে মানুষদের সঠিক তথ্য প্রদান করলেও জনগণ কালবৈশাখী ঝড়ের বিপদ থেকে নিজেদের সুরক্ষা করার জন্য সহায়তা হবে।

মানুষকে সচেতন হওয়া উচিত
জলবায়ুর প্রভাবে দেশের ঝড়ো বৃষ্টি ও বজ্রসহ বৃষ্টির একটি প্রবল আবহাওয়া ঘটনা যা ধারাবাহিকভাবে দেশের বিভিন্ন অংশে প্রভাব ফেলতে পারে। এই সময়ে মানুষকে সাবধান থাকা অতিব জরুরী। পূর্বানুমানিক নিরাপদ অঞ্চলে থাকা। আকাশের দিকে লক্ষ্য রাখা ও আবহাওয়া অফিসের দিক নির্দেশনা মেনে মেনে চলা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। কালবৈশাখী ঝড়ের সময় নিজ কাজেস্থলে বা কর্মক্ষেত্রে বা প্রয়োজনে নিরাপ স্থান থেকে বের হওয়া যাবে না। আবার, কৃষি কাজের জন্য প্রস্তুতি নিয়ে যাওয়ার জন্য অনেক মানুষ বাসা থেকে বের হতে পারেন। সুতরাং, সাবধানে থাকা জরুরি। প্রয়োজনে কালবৈশাখী ঝড়ের সময় আশ্রয় নিতে হবে। এটি আপনাকে সুরক্ষিত করতে সাহায্য করতে পারে। বিদ্যুৎ, পানি, ও অন্যান্য নিত্যপ্রয়োজনীয় সেবাগুলো বন্ধ না হওয়ার জন্য নির্দিষ্ট সময়েরি মধ্যে যত্ন নেওয়া উচিত। এবংকি আপনার পোষা প্রাণী থাকলে তার যত্ন নিন। প্রাণীর জন্য যত্ন নেওয়া উচিত, যেমন পাখি, বিড়াল, ও গরুর জন্য আবাস পরিষ্কার করা, অবশ্যই খাদ্য ও পানি খাওয়ানো ও সংরক্ষিত করা উচিত। কেননা, কালবৈশাখী ঝড়ের সময়টাতে নিজেদের সুরক্ষাটা যেমন জরুরী তেমনি বিপরীতে প্রাণীর সুরক্ষাটাও জরুরী।

এছাড়া সারাদেশে দিনের তাপমাত্রা সামান্য কমে যেতে পারে এবং রাতের তাপমাত্রা ১ থেকে ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস হ্রাস পেতে পারে। দেশের আবহাওয়ায় যখন এমন দূর্বিসহ যাচ্ছে তখন সরকার থেকে সাধারণ মানুষ সকলের পদক্ষেপেই মিলতে পারে স্বস্তি। দেশের জনগণকে নিজেদেরে সচেতন হয়ে তাপপ্রবাহ, বজ্র, বৃষ্টি, কালবৈশাখী ঝড় মোকাবিলা নিতে হবে। বিশেষ করে দেশপ্রেমের ভাবনা থেকেও সাধারন মানুষ সরকারের দিক নির্দেশনা মেনে সহযোগিতা করতে হবে। এতে করে কমবে কালবৈশাখী ও বজ্রে নিহতের সংখ্যা, মারা যাবে না আর হিট স্ট্রোকে মানুষ। বাড়বে জনসচেতনতা। স্বস্তিতে থাকবে পুরো দেশের জনগণ।


ঝড়   বজ্রসহ বৃষ্টি   আবহাওয়া   তীব্র তাপপ্রবাহ  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড বাংলাদেশ

আবারও রিমান্ডে মিল্টন সমাদ্দার

প্রকাশ: ০৪:৫০ পিএম, ০৫ মে, ২০২৪


Thumbnail

মানবপাচার আইনে করা মামলায় ‘চাইল্ড এন্ড ওল্ড এইজ কেয়ার’র চেয়ারম্যান মিল্টন সমাদ্দারের চারদিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত।

রোববার (৫ মে) ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট বেগম শান্তা আক্তারের আদালত শুনানি শেষে রিমান্ডের আদেশ দেন।

এর আগে জাল মৃত্যু সনদ জালিয়াতির অভিযোগে মিরপুর মডেল থানার মামলায় তিন দিনের রিমান্ড শেষে মিল্টন সমাদ্দারকে আদালতে হাজির করেন তদন্ত কর্মকর্তা মিরপুর জোনাল টিমের সাব-ইন্সপেক্টর মোহাম্মদ কামাল হোসেন। এরপর তাকে মানবপাচার আইনের মামলায় গ্রেপ্তার দেখানোসহ ৭ দিনের রিমান্ড চেয়ে আবেদন করেন ডিবি পুলিশের পরিদর্শক শিকদার মাইতুল আলম।

প্রথমে তাকে গ্রেপ্তার দেখানোর বিষয়ে শুনানি অনুষ্ঠিত হয়। ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মেহেরা মাহবুব তাকে গ্রেপ্তার দেখানোর আবেদন মঞ্জুর করেন।

এরপর রিমান্ডের বিষয়ে শুনানি অনুষ্ঠিত হয়। মিল্টন সমাদ্দারের পক্ষে আব্দুস সালাম শিকদার রিমান্ড বাতিল চেয়ে জামিন আবেদন করেন।

মিরপুর মডেল থানার (মানবপাচার) আদালতের সাধারণ নিবন্ধন শাখার সাব-ইন্সপেক্টর সাইফুল ইসলাম এ তথ্য জানান।

এর আগে এদিন বেলা ১টার দিকে তাকে ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট (সিএমএম) আদালতে হাজির করা হয়। তাকে সিএমএম আদালতের হাজতখানায় রাখা হয়। শুনানিকালে তাকে এজলাসে তোলা হয়।

গত ২ মে তার তিন দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন আদালত। এর আগে ১ মে রাতে রাজধানীর মিরপুর এলাকায় অভিযান চালিয়ে মিল্টন সমাদ্দারকে গ্রেপ্তার করে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা (ডিবি) পুলিশ। তার বিরুদ্ধে জাল মৃত্যু সনদ তৈরি, টর্চার সেলে মানুষজনকে নির্যাতন ও মানবপাচারের অভিযোগে তিনটি মামলা করা হয়েছে।

মিল্টন সমাদ্দার   ডিবি   চাইল্ড অ্যান্ড ওল্ড এজ কেয়ার  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড বাংলাদেশ

চাকরিতে প্রবেশের বয়সসীমা ৩৫ করার বিষয়ে যা জানালেন জনপ্রশাসন মন্ত্রী

প্রকাশ: ০৪:৩২ পিএম, ০৫ মে, ২০২৪


Thumbnail

সরকারি চাকরিতে প্রবেশের বয়সসীমা ৩০ থেকে বাড়িয়ে ৩৫ বছর করার জন্য সুপারিশ জানিয়ে গত মঙ্গলবার (৩০ এপ্রিল) জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ে চিঠি পাঠান শিক্ষামন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী। 

রোববার (৫ মে) এর জবাবে জনপ্রশাসন মন্ত্রী ফরহাদ হোসেন জানিয়েছেন, শিক্ষা মন্ত্রণালয় চাকরির বয়সসীমা ৩৫ নিয়ে যে সুপারিশ পাঠিয়েছে তা সরকারের নীতিগত সিদ্ধান্ত। এটা নিয়ে প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে আলোচনা করে ব্যবস্থা নেয়া হবে। আজ দুপুরে সাংবাদিকদের এই কথা জানান তিনি। 

এর আগে শিক্ষামন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী তার পাঠানো চিঠিতে বলেন, বর্তমানে সরকারি, আধা-সরকারি, বেসরকারি ও স্বায়ত্তশাসিত প্রতিষ্ঠানে সব ধরনের চাকরিতে প্রবেশে বয়সসীমা ৩০ বছর মানদণ্ড হিসেবে অনুসরণ করা হয়। এ অবস্থায় চাকরিতে আবেদনের বয়সসীমা আন্তর্জাতিক মানদণ্ড অনুযায়ী ৩৫ বছর করার দাবিতে শিক্ষার্থীরা দীর্ঘদিন ধরে রাজপথে আন্দোলন চালিয়ে আসছেন।

সরকার বিষয়টি উপলব্ধি করে ২০১৮ সালে আওয়ামী লীগের নির্বাচনী ইশতেহারে পাতা নম্বর ৩৩-এর শিক্ষা, দক্ষতা ও কর্মসংস্থান বৃদ্ধি অনুচ্ছেদে ‘সরকারি চাকরিতে প্রবেশের বয়সসীমা বাড়ানোর বিষয়ে মেধা ও দক্ষতা বিবেচনায় রেখে বাস্তবতার নিরিখে যুক্তিসঙ্গত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে’ বলে উল্লেখ করা হয়েছিল।

দীর্ঘদিন ধরে চাকরিপ্রার্থী শিক্ষার্থীদের একটি অংশ চাকরিতে আবেদনের সর্বোচ্চ বয়সসীমা ৩৫ বছর করার দাবিতে আন্দোলন করে আসছেন। তারা বলে আসছেন বিশ্বের বিভিন্ন দেশে চাকরিতে আবেদনের বয়সসীমা ৩৫ থেকে ৫৯ বছর পর্যন্ত। অর্থাৎ বয়স নয়, যোগ্যতাই একজন প্রার্থীর একমাত্র মাপকাঠি। ওই দেশের আলোকে বাংলাদেশেও চাকরিতে প্রবেশের সর্বোচ্চ বয়সসীমা ৩৫ বছর করা দাবি করে আসছেন। দাবি আদায়ের লক্ষ্যে ওই সব শিক্ষার্থী দফায় দফায় কর্মসূচি পালন করে এলেও এখন পর্যন্ত সরকারের পক্ষ থেকে ইতিবাচক সাড়া পাওয়া যায়নি। এখন শিক্ষামন্ত্রীও একই ধরনের সুপারিশ করলেন।

জনপ্রশাসন মন্ত্রী   শিক্ষামন্ত্রী   মহিবুল হাসান চৌধুরী   সরকারি চাকরি  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড বাংলাদেশ

ট্রেনের শিডিউলে ভয়াবহ বিপর্যয়, ঠিক হতে লাগবে আরও দু’দিন

প্রকাশ: ০৩:৫০ পিএম, ০৫ মে, ২০২৪


Thumbnail

রাজধানীর কমলাপুর থেকে উত্তর পশ্চিমাঞ্চলগামী প্রতিটি ট্রেনই ছাড়ছে ৮ থেকে ১০ ঘণ্টা দেরিতে। গাজীপুরে ট্রেন দুর্ঘটনায় লাইনচ্যুত বগির উদ্ধারকাজ শেষ হলেও এখনো স্বাভাবিক হয়নি রেল চলাচল। ভ্যাপসা গরমে দীর্ঘ অপেক্ষায় চরম ভোগান্তিতে পড়েছেন যাত্রীরা। শিডিউল ঠিক হতে আরও দুয়েকদিন লাগবে বলে জানিয়েছে কর্তৃপক্ষ।

রোববার (৫ মে) দুপুরে সরেজমিনে দেখা গেছে, কমলাপুরের প্ল্যাটফর্ম জুড়ে মানুষের ভিড়। দীর্ঘ অপেক্ষায় চোখে মুখে ক্লান্তির ছাপ যাত্রীদের। কাঙ্ক্ষিত ট্রেনের জন্য কারও অপেক্ষা ৫ ঘণ্টার, কারও অপেক্ষা ছাড়িয়েছে ৮ ঘণ্টারও বেশি।

উত্তরবঙ্গের ট্রেন ধূমকেতু, বুড়িমারী, রংপুর এক্সপ্রেসের যাত্রীদের অপেক্ষা যেন শেষই হওয়ার নয়। দাঁড়িয়ে থেকে ক্লান্ত মানুষ। উপায় না পেয়ে শুয়ে পড়েন অনেকেই।
 
ভ্যাপসা গরমে দীর্ঘ অপেক্ষায় ভোগান্তি চরমে উঠেছে। শিশুদের নিয়ে বেশি বিপাকে অভিভাবকরা। বসার জায়গা সংকট আর মালপত্র নিয়ে ভোগান্তি দূর পথের যাত্রীদের।
 
স্টেশনে আসার পর যাত্রীরা জানতে পারেন রংপুর এক্সপ্রেস ১০ থেকে ১২ থেকে ঘণ্টা দেরিতে ছাড়বে। বাকিগুলোর যাত্রাতেও দেরি ৫ থেকে ৬ ঘণ্টা। এতে অনেকেই বাড়ির পথ ধরতে রওনা দেন বাস কাউন্টারে। কেউ আবার টিকিট ফেরত দিয়ে বুঝে নেন টাকা। যাত্রীরা বলছেন, রেল কর্তৃপক্ষের একটু স্বদিচ্ছার অভাবেই তীব্র গরমে এই অসহনীয় দুর্ভোগ তাদের।
 
দেশের তিন হাজার কিলোমিটার রেলপথে ৪ ধরনের সিগন্যাল বিদ্যমান, যার ৮০ শতাংশই পুরনো অ্যানালগ পদ্ধতির।

ট্রেন   শিডিউল বিপর্যয়   কমলাপুর  


মন্তব্য করুন


বিজ্ঞাপন