নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০৮:০৪ পিএম, ১২ জানুয়ারী, ২০১৮
আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচন নিয়ে বিএনপির বাইরের দলগুলোর সাথে আলোচনা শুরু করেছে সরকার। এই আলোচনার মূল লক্ষ্য দলগুলোকে নির্বাচনের পথে নিয়ে আসা। তবে এই আলোচনা আওয়ামী লীগের কোনো নেতা করছেন না, করছেন সরকারের কিছু প্রভাবশালী ব্যক্তিরা।
সরকারের একাধিক সূত্র বলছে, প্রধানমন্ত্রীর একজন উপদেষ্টার নেতৃত্বে প্রভাবশালী কয়েকজন কর্মকর্তা প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশে কয়েকটি রাজনৈতিক দলও ব্যক্তির সাথে কথা বলা শুরু করেছেন। ইতিমধ্যে অধ্যাপক ডা. বদরুদ্দোজা চৌধুরী, আ.স.ম আবদুর রব এবং কর্নেল (অব:) অলি আহমেদের সঙ্গে কথা বলেছেন সরকারের একাধিক ব্যক্তি। বঙ্গবীর কাদের সিদ্দিকীর সাথে সরাসরি কথা বলবেন শেখ হাসিনা ও শেখ রেহানা। যাদের সাথে কথা হয়েছে তারা সবাই দলীয় সরকারের অধীনে নির্বাচনে যেতে রাজী হয়েছেন। তবে এক্ষেত্রে সবাই কিছু শর্ত দিয়েছেন।
সরকারের দায়িত্বশীল সূত্রগুলো বলছে, অধ্যাপক ডা. বদরুদ্দোজা চৌধুরীর সাথে ইতিমধ্যে তিন দফা আলাপ হয়েছে। প্রথম বৈঠকটি হয়েছে তার বারিধারার বাড়িতে। সূত্রগুলো বলছে, শর্ত সাপেক্ষে অধ্যাপক চৌধুরী বর্তমান সাংবিধানিক কাঠামোতে আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনে রাজি হয়েছেন। এক্ষেত্রে তিনি তিনটি শর্ত দিয়েছেন, প্রথমত: নির্বাচন কমিশনকে পূর্ণাঙ্গ স্বাধীনতা ও ক্ষমতা দিতে হবে। দ্বিতীয়ত সরকারকে রুটিন কাজের মধ্যে থাকতে হবে। তৃতীয়ত: নির্বাচন প্রচারণায় সমান সুযোগ দিতে হবে।
সূত্রগুলো বলছে, তৃতীয় বৈঠকে সরকারের পক্ষ থেকে অধ্যাপক চৌধুরীর এই দাবীর সাথে একমত পোষণ করা হয়েছে। সদ্য গঠিত যুক্তফ্রন্টের আরেক নেতা আ.স.ম আবদুর রবের সাথেও সরকারের দুদফা বৈঠক হয়েছে। সরকারী সূত্রগুলো বলছে, আ.স.ম আবদুর রব তত্ত্বাবধায়ক সরকারের দাবীর সাথে একমত নন বলেই জানিয়েছেন। তবে তিনি সরকারের বেশ কিছু বিষয়ে সমালোচনা মুখর। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একজন মধ্যস্থতাকারী বলেছেন, তার (আ.স.ম আবদুর রবের) কিছু ক্ষোভ আছে। এগুলো আলোচনার মাধ্যমে সমাধান হবে।
এলডিপি নেতা কর্নেল (অব:) অলি আহমেদের সঙ্গেও সরকারের প্রতিনিধিরা আলোচনা শুরু করেছে। সরকারী সূত্রগুলো বলছে, এই আলোচনাগুলো এখনও প্রাথমিক পর্যায়ে। তবে, সরকার আশা করছে, কর্নেল (অব:) অলি আগামী নির্বাচনে অংশ নেবেন।
সরকার যুক্তফ্রন্ট, এলডিপি, জামাত এবং হেফাজতের আগামী নির্বাচনে অংশগ্রহণ নিশ্চিত করতে চায় যেন বিএনপি, মাহমুদুর রহমান মান্নার নাগরিক ঐক্য এবং ড. কামাল হোসেনের গণফোরাম ছাড়া সকল রাজনৈতিক দল আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনে অংশ নেয়।
সরকারের একজন দায়িত্বশীল ব্যক্তি বলেছেন, বিএনপি অংশগ্রহণ না করলেও যে অংশগ্রহণমূলক এবং উৎসবমুখর নির্বাচন করা সম্ভব সেটার জন্য আমরা কাজ করছি। ২০১৪র অভিজ্ঞতা কাজে লাগিয়ে এখন থেকেই দলগুলোকে নির্বাচনের দৌড়ে আনতে চায় আওয়ামী লীগ। এর ফলে বিএনপির সহায়ক সরকারের দাবী অকার্যকর হয়ে যাবে।
Read in English- http://bit.ly/2CYaPuA
বাংলা ইনসাইডার/টিবি
মন্তব্য করুন
সিরাজগঞ্জের উল্লাপাড়ায় এনজিওর টাকা তুলতে গিয়ে সড়ক দুর্ঘটনায় এক গৃহবধূ নিহত হয়েছেন। এঘটনায় নিহত গৃহবধূ আকলিমা সলঙ্গা কুমাজপুর গ্রামের শরীফুল ইসলামের স্ত্রী৷
রবিবার (২৮ এপ্রিল) বিকাল ৪ টার সময় উপজেলার হাটিকুমরুল পাবনা মহাসড়কে চড়িয়া শিকার উত্তর পাড়া খেজুর তলা নামক স্থানে অজ্ঞাত ট্রাকের ধাক্কায় ২ সন্তানের জননী আকলিমা (৩২) নামের এক গৃহবধূ নিহত হয়েছেন।
জানা যায় শরিফুল ইসলাম ও তার স্ত্রী আকলিমা গাক এনজিও থেকে টাকা নিয়ে সাইকেলে করে ফেরার সময় ট্রাকের ধাক্কায় আকলিমা খাতুন পড়ে গেলে চাকায় পিষ্ট হয়ে ঘটনা স্থলেই মারা যান৷
হাটিকুমরুল হাইওয়ে থানার ভারপ্রাপ্ত (ওসি) এম এ ওয়াদুদ বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, ঘাতক ট্রাকটি চাপা দিয়েই ঘটনাস্থলে থেকে পালিয়ে যায়৷
মন্তব্য করুন
রাজশাহীর পবা উপজেলার কাটাখালী পৌরসভার মেয়র পদে উপ-নির্বাচনের মেয়র নির্বাচিত হয়েছেন একমাত্র নারী প্রার্থী মোসা. রাবেয়া সুলতানা মিতু। হেঙ্গার প্রতীক নিয়ে তিনি পেয়েছেন ৬ হাজার ৩০৮ ভোট। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী স্বতন্ত্র আবু শামা নারিকেল গাছ প্রতীকে পেয়েছেন ৩ হাজার ৪৮৭ ভোট। আর মিজানুর রহমান চামচ প্রতীকে ২ হাজার ৯১৭ ভোট পেয়ে তৃতীয় হয়েছেন।
রবিবার (২৮ এপ্রিল) সকাল ৮টা থেকে বিকাল ৪টা পর্যন্ত ৯টি কেন্দ্রে বিরতিহীনভাবে ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিনে (ইভিএম)-এর মাধ্যমে ভোটগ্রহণ চলে। ভোটগ্রহণ শেষে কেন্দ্র থেকেই ফল ঘোষণা করেন সহকারী রিটার্নিং কর্মকর্তারা। ৯টি কেন্দ্র থেকে পাওয়া তথ্যমতে ভোটের এই ফল জানা গেছে।
এই নির্বাচনে মেয়র নির্বাচিত হওয়া মোসা. রাবেয়া সুলতানা মিতু কাটাখালী পৌরসভার সাবেক মেয়র আব্বাস আলীর স্ত্রী।
নির্বাচনে মেয়র পদে মোট সাতজন প্রার্থী অংশ নেন। অন্য স্বতন্ত্র প্রার্থী জহুরুল ইসলাম রিপন মোবাইল ফোন প্রতীকে ১ হাজার ৩৩৯ ভোট, মোতাহার হোসেন রেল ইঞ্জিন প্রতীকে ১ হাজার ৮৮ ভোট, সিরাজুল ইসলাম জগ প্রতীকে ৩৮৪ ভোট এবং জিয়ারুল ইসলাম ক্যারাম বোর্ড প্রতীকে ১২৭ ভোট পেয়েছেন।
উৎসবমুখর পরিবেশে ভোট দেন ভোটাররা। তাছাড়া নির্বাচনের ভোটগ্রহণ চলাকালে কোথাও কোন গোলযোগের খবর পাওয়া যায়নি। এই নির্বাচনে মেয়র পদে সাতজন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন। নির্বাচনে ১৫ হাজার ৬৫০ জন ভোটার তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করেছেন। এই পৌর সভায় ভোটার ছিলেন ২৩ হাজার ৫৪১ জন। যার মধ্যে নারী ভোটার ১১ হাজার ৭৭৬ এবং পুরুষ ভোটার ১১ হাজার ৮৮৬ জন।
মন্তব্য করুন
তীব্র গরমে টাঙ্গাইলের গোপালপুর উপজেলা পরিষদের মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান
প্রার্থী মরিয়ম আক্তার মুক্তা মারা গেছেন। শুক্রবার (২৬ এপ্রিল) ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ
হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান তিনি।
রবিবার (২৮ এপ্রিল) নির্বাচন কমিশন গোপালপুর উপজেলা পরিষদের সকল
পদের নির্বাচন স্থগিত ঘোষণা করেছে মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান প্রার্থীর মৃত্যুতে।
মরিয়ম আক্তার মুক্তার স্বামী মো. আরিফুল ইসলাম আরিফ বলেন, মরিয়ম
তীব্র গরমে অসুস্থ হয়ে পড়লে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। পরে সেখানে
চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যায় সে।
নির্বাচন কমিশনের নির্বাচন পরিচালনা-২ এর উপসচিব মো. আতিয়ার রহমান
স্বাক্ষরিত এক প্রজ্ঞাপনে নির্বাচন স্থগিতের তথ্য জানানো হয়।
প্রজ্ঞাপনে বলা হয়েছে, ষষ্ঠ উপজেলা পরিষদের প্রথম ধাপে ৮ মে টাঙ্গাইলের
গোপালপুর উপজেলা পরিষদের নির্বাচন হওয়ার কথা। কিন্তু ভোটগ্রহণের পূর্বে মহিলা ভাইস
চেয়ারম্যান পদে একজন বৈধ প্রার্থীর মৃত্যু হওয়ায় সকল পদের নির্বাচন স্থগিত করা হলো।
প্রজ্ঞাপনে আরও বলা হয়েছে, পুনঃতফসিল ঘোষণার মাধ্যমে চতুর্থ ধাপে
৫ জুন এ উপজেলা পরিষদ নির্বাচন সম্পন্ন করার জন্য নির্বাচন কমিশন সিদ্ধান্ত প্রদান
করেছেন। মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে ইতোপূর্বে যারা মনোনয়নপত্র দাখিল করেছিলেন তাদেরকে
নতুন করে মনোনয়ন দাখিলের প্রয়োজন হবে না।
তবে পূর্বে মনোনয়নপত্র দাখিলকারীদের প্রত্যাহারের সুযোগ দেওয়া যাবে।
চেয়ারম্যান ও ভাইস চেয়ারম্যান পদে পূর্বের মনোনয়ন বহাল থাকবে এবং উক্ত পদের বিদ্যমান
প্রার্থীদের মধ্যেই নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। শুধু মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে নতুনভাবে
মনোনয়নপত্র দাখিল করা যাবে।
মরিয়ম আক্তার টানা দুবারের নির্বাচিত মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান ছিলেন। আওয়ামী লীগের প্রতিষ্ঠাতা সদস্য, বঙ্গবন্ধুর ঘনিষ্ঠ সহচর এবং সাবেক সংসদ সদস্য হাতেম আলী তালুকদারের নাতনি মরিয়ম আক্তার মুক্তা এবারও একই পদে প্রার্থী ছিলেন।
তীব্র দবদাহ মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান প্রার্থী মৃত্যু
মন্তব্য করুন
উখিয়ার রাজাপালং বালুর মাঠ সংলগ্ন রোহিঙ্গার বসতঘরে অভিযান চালিয়ে ০৫ জন রোহিঙ্গা সন্ত্রাসীকে ০৫টি পিস্তল, ০২টি ওয়ান শুটারগান, ১৬ রাউন্ড বিভিন্ন ধরণের গুলি, ০২টি শর্ট গানের কার্তুজ ও নগদ ৫০ হাজার টাকাসহ গ্রেফতার করেছে ১৪ এপিবিএন।
বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন ১৪ এপিবিএনের অধিনায়ক অতিরিক্ত ডিআইজি মোঃ ইকবাল।
রবিবার (২৮ এপ্রিল) রাত ১ টা ৩০ মিনিটের সময় গোপন সংবাদের ভিক্তিতে ১৪ এপিবিএনের সহ অধিনায়ক পুলিশ সুপার অহিদুর রহমানের তত্বাবধানে ইরানী পাহাড় পুলিশ ক্যাম্প কমান্ডার সহকারী পুলিশ সুপার অংশু কুমার দেব এর নেতৃত্বে অভিযান চালানো হয় রোহিঙ্গা ক্যাম্প ২/ওয়েস্ট, ব্লক ডি/৯ এর জোবায়ের বসতঘরে। সেখান থেকে উদ্ধার করা হয়েছে ৫ টি বিদেশি পিস্তল, ২ টি ওয়ান শুটারগান, ৩ রাউন্ড বড় ফাইভস্টারের গুলি, ৯ রাউন্ড মাঝারি ফাইভস্টারের গুলি,৪ রাউন্ড রাইফেলের গুলি, ২ রাউন্ড শর্টগানের কার্তুজ ও নগদ ৫০ হাজার টাকা।
এ সময় গ্রেফতার করা হয় বাড়ির মালিক মৃত কবির আহমদের ছেলে রোহিঙ্গা যুবক মোঃ জোবায়ের (২২), ব্লক ডি / ৯ এর আবদুল জলিলের ছেলে দিল মোহাম্মদ (২৩), একই ক্যাম্পের ব্লক সি/২ এর আব্দুস ছালামের ছেলে মোঃ খলিল (৩৪), ব্লক সি/ ২ এর মতিউর রহমানের ছেলে মোঃ ইদ্রিস (৩২) এরা ক্যাম্প ২ এর বাসিন্দা। অপর ব্যক্তি হচ্ছে ক্যাম্প ১৩ ব্লক ব্লক- এ/৬ এর বাসিন্দা মৃত সব্বির আহমদের ছেলে মোহাম্মদুল্লাহ (২৫) ।
তাদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন বলে জানিয়েছেন পুলিশ।
রোহিঙ্গা ক্যাম্প অস্ত্র উদ্ধার গোলাবারুদ রোহিঙ্গা সন্ত্রাসী
মন্তব্য করুন
দেশে চলমান তাপপ্রবাহের কারণে আজ সোমবার (২৯ এপ্রিল) ঢাকা, চুয়াডাঙ্গা,
যশোর, খুলনা ও রাজশাহী জেলার সব মাধ্যমিক স্কুল, কলেজ, মাদ্রাসা ও কারিগরি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান
বন্ধ থাকবে।
এক বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় ও আবহাওয়া অধিদপ্তরের
সঙ্গে পরামর্শক্রমে এ সিদ্ধান্ত নিয়েছে মন্ত্রণালয়। তবে যেসব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে শীতাতপ
নিয়ন্ত্রণ ব্যবস্থা আছে সেসব প্রতিষ্ঠান চাইলে খোলা রাখতে পারবে। এ বিষয়ে পরবর্তী সিদ্ধান্ত
জানানো হবে।
প্রভাতী শাখায় ক্লাস হওয়ায় প্রাথমিক স্কুল খোলা থাকবে বলে প্রাথমিক
ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয় সূত্র জানিয়েছে।
মন্তব্য করুন
রাজশাহীর পবা উপজেলার কাটাখালী পৌরসভার মেয়র পদে উপ-নির্বাচনের মেয়র নির্বাচিত হয়েছেন একমাত্র নারী প্রার্থী মোসা. রাবেয়া সুলতানা মিতু। হেঙ্গার প্রতীক নিয়ে তিনি পেয়েছেন ৬ হাজার ৩০৮ ভোট। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী স্বতন্ত্র আবু শামা নারিকেল গাছ প্রতীকে পেয়েছেন ৩ হাজার ৪৮৭ ভোট। আর মিজানুর রহমান চামচ প্রতীকে ২ হাজার ৯১৭ ভোট পেয়ে তৃতীয় হয়েছেন।