ইনসাইড বাংলাদেশ

দেশে ১০ বছরে আড়াই কোটির বেশি বেড়েছে জনসংখ্যা

প্রকাশ: ১০:০৮ এএম, ২৭ জুলাই, ২০২২


Thumbnail দেশে ১০ বছরে আড়াই কোটির বেশি বেড়েছে জনসংখ্যা

দেশে জনসংখ্যা বৃদ্ধির হার আগের বছরগুলোর তুলনায় কমেছে। ২০১১ সালের সর্বশেষ আদমশুমারি ও গৃহগণনার প্রাথমিক প্রতিবেদন অনুযায়ী দেশের জনসংখ্যা ছিল ১৪ কোটি ২৩ লাখ ৯ হাজার। বর্তমানে এ সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ১৬ কোটি ৯১ লাখের  ওপরে। অর্থাৎ গত ১০ বছরে দেশের জনসংখ্যা বেড়েছে কমবেশি ২ কোটি ৬৮ লাখের মতো। মঙ্গলবার (২৭ জুলাই) দেশের বর্তমান জনসংখ্যার সত্যিকার চিত্র তুলে ধরতে বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরোর (বিবিএস) প্রথম ডিজিটাল জনশুমারি ও গৃহগণনা, ২০২২-এর প্রাথমিক প্রতিবেদন প্রকাশ করা হচ্ছে।

মঙ্গলবার (২৭ জুলাই) বেলা ১১ টায় রাজধানীর বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রের সেলিব্রেটি হলে প্রতিবেদন প্রকাশ করা হবে।

আয়োজিত প্রতিবেদন প্রকাশ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি থাকবেন জাতীয় সংসদের স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী। এতে সভাপতিত্ব করবেন পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নান। বিশেষ অতিথি থাকবেন জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী ফরহাদ হোসেন, পরিকল্পনা প্রতিমন্ত্রী ড. শামসুল আলম, মন্ত্রিপরিষদ সচিব খন্দকার আনোয়ারুল ইসলাম ও প্রধানমন্ত্রীর মুখ্য সচিব ড. আহমদ কায়কাউস।

বিবিএস সূত্র জানিয়েছে, পরিসংখ্যান আইন, ২০১৩ অনুযায়ী আদমশুমারিকে ‘জনশুমারি’ হিসেবে অভিহিত করা হয়। সে অনুযায়ী সাধারণত দেশে প্রতি ১০ বছর পর জনসংখ্যার হিসাব করা হয়। দেশে সর্বশেষ শুমারি হয়েছিল ২০১১ সালের ১৫ থেকে ১৯ মার্চ পর্যন্ত। ওই আদমশুমারি ও গৃহগণনার প্রতিবেদনে বলা হয়েছিল, দেশের জনসংখ্যা ১৪ কোটি ২৩ লাখ ৯ হাজার। সে অনুযায়ী ২০২১ সালে নতুন করে আদমশুমারি করার কথা থাকলেও করোনাভাইরাস মহামারিসহ বিভিন্ন কারণে তা পিছিয়ে চলতি বছরের জুনে এ কার্যক্রম শুরু হয়।

এর আগে ‘জনশুমারি ও গৃহগণনা, ২০২১’ শীর্ষক প্রকল্প ২০১৯ সালের ২৯ অক্টোবর জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটির (একনেক) বৈঠকে অনুমোদন পায়। শুরুতে এ খাতে মোট ব্যয় ধরা হয় ১ হাজার ৭৬১ কোটি ৭৯ লাখ টাকা। পরে প্রকল্পের সংশোধনীতে ব্যয় কিছুটা কমে দাঁড়ায় ১ হাজার ৫৭৫ কোটি টাকা। ১৫ জুন শুরু হওয়া এ গণনা চলে ২১ জুন পর্যন্ত। দেশের ষষ্ঠ এই জনশুমারির মাধ্যমে জানা যাবে দেশের মোট জনসংখ্যা এখন কত। জনসংখ্যার বিষয়ে নাম প্রকাশ করে কোনো কথা বলতে রাজি হননি পরিসংখ্যান ব্যুরোর দায়িত্বশীল কর্মকর্তা।

নাম প্রকাশ না করার শর্তে একজন কর্মকর্তা বলেন, ‘এবারের শুমারিতে দেশের জনসংখ্যা হয়েছে প্রায় ১৭ কোটি।’ একটু সুনির্দিষ্ট করে বলার অনুরোধ জানালে তিনি ১৬ কোটি ৭০ থেকে ৮৫ লাখের ইঙ্গিত দেন। এর আগে গত বছর ২৮ জুন বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরোর এক জরিপে বলা হয়েছিল, দেশে মোট জনসংখ্যা ১৬ কোটি ৯১ লাখ ১ হাজার। ২০২০ সালে দেশে মোট জনসংখ্যা ছিল ১৬ কোটি ৮২ লাখ ২ হাজার জন। ওই সময় জরিপে বলা হয়েছিল, এবার জনসংখ্যা বৃদ্ধি কমেছে, যেখানে স্বাভাবিক বৃদ্ধির হার ১ দশমিক ৩০ শতাংশ। আগের বছর ছিল ১ দশমিক ৩২ শতাংশ। এর আগের বছর ছিল ১ দশমিক ৩৩ শতাংশ। জনসংখ্যার ঘনত্ব আগের বছরের তুলনায় বেড়েছে। এখন প্রতি বর্গ কিলোমিটারে বসবাস করে ১ হাজার ১৪০ জন। আগের বছর ছিল ১ হাজার ১২৫ জন। ২০২১ সালের জানুয়ারি পর্যন্ত দেশে মোট জনসংখ্যা ১৬ কোটি ৯১ লাখ ১ হাজার। জনসংখ্যা বাড়ার হার ১ দশমিক ৩০ শতাংশ। গড় আয়ু ৭২ দশমিক ৮ বছর। নারীদের প্রত্যাশিত গড় আয়ু ৭৪ দশমিক ৫ বছর, পুরুষের গড় আয়ু ৭১ দশমিক ২ বছর। তবে সরকারের এ তথ্য নিয়ে ভিন্নমত রয়েছে খোদ সরকারি প্রতিষ্ঠানগুলোতেই। জনসংখ্যাবিদের মতে, দেশে মোট জনসংখ্যার সঙ্গে প্রতিবছর ২৪ থেকে ২৫ লাখ মানুষ যুক্ত হয়। প্রধানত দুটি উৎস থেকে দেশের জনসংখ্যাবিষয়ক তথ্য-উপাত্ত পাওয়া যায়। প্রথমত বিবিএস নিয়মিত জনসংখ্যা-সংশ্লিষ্ট নানা তথ্য-উপাত্ত প্রকাশ করে। দ্বিতীয়ত পরিবার পরিকল্পনা অধিদফতর জনসংখ্যার কিছু তথ্য দেয়।

প্রতিবছর ১১ জুলাই বিশ্বের অন্যান্য দেশের সঙ্গে বাংলাদেশও ‘বিশ্ব জনসংখ্যা দিবস’ পালন করে। কিন্তু এ বছর দেশে ১১ জুলাই পবিত্র ঈদুল আজহার ছুটি থাকায় বাংলাদেশে দিবসটি পালিত হয় ২১ জুলাই। সেদিন পরিবার পরিকল্পনা অধিদফতরের সম্মেলনকক্ষে আয়োজিত অনুষ্ঠানে অনলাইনে যুক্ত হয়ে স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক বলেছিলেন, বাংলাদেশের জনসংখ্যা সাড়ে ১৬ কোটি বা তার কিছু বেশি। তবে গোল বাধে জনসংখ্যা নিয়ে পরিবার পরিকল্পনা অধিদফতরের মহাপরিচালকের দেওয়া তথ্যে। ওই দিন সভাস্থলে উপস্থিত সাংবাদিকদের একটি বিশেষ প্রকাশনা দেওয়া হয়। এতে পরিবার পরিকল্পনা অধিদফতরের মহাপরিচালক সাহান আরা বানুর লেখায় বলা হয়, বাংলাদেশ বিশ্বের অষ্টম জনবহুল দেশ। দেশের জনসংখ্যা ১৮ কোটি। অন্যদিকে জনসংখ্যা নিয়ে পরিসংখ্যান ব্যুরো দিচ্ছে ভিন্ন তথ্য। ‘কভিড-১৯ ভ্যাকসিনের উদ্দিষ্ট জনগোষ্ঠীর সংখ্যা নির্ধারণের সুবিধার্থে প্রাক্কলিত জনসংখ্যা’র তথ্য স্বাস্থ্য অধিদফতরকে দিয়েছিল পরিসংখ্যান ব্যুরো।

পরিসংখ্যান ব্যুরোর মহাপরিচালক মোহাম্মদ তাজুল ইসলামের সই করা চিঠিতে বলা হয়েছিল, ২০২১ সালের ১ জুলাই দেশের জনসংখ্যা ছিল ১৭ কোটি ৩ লাখ ১৭ হাজার ৭৭। ২০২১ সালের ১ জুলাইয়ের পর এক বছর পার হয়েছে। দেশে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের উদ্যোগে প্রথম আদমশুমারি অনুষ্ঠিত হয় ১৯৭৪ সালে। তখন দেশের মোট জনসংখ্যা ছিল ৭ কোটি ১৫ লাখ। দ্বিতীয় আদমশুমারি ও গৃহগণনা অনুষ্ঠিত হয় ১৯৮১ সালে। সে সময় মোট জনসংখ্যা ছিল ৮ কোটি ৯৯ লাখ।

জনসংখ্যা   আড়াই কোটি   বেশি বেড়েছে  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড বাংলাদেশ

ঝিনাইদহে মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান হলেন তৃতীয় লিঙ্গের বর্ষা

প্রকাশ: ০২:৩১ পিএম, ০৯ মে, ২০২৪


Thumbnail

ঝিনাইদহ সদর উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে তৃতীয় লিঙ্গের বর্ষা বিপুল ভোটে জয়ী হয়েছেন। বুধবার (৮ মে) রাতে ঝিনাইদহ সদর উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তা মো. কামরুজ্জামান ভোট গণনা শেষে বেসরকারিভাবে এ ফলাফল ঘোষণা করেন।

বর্ষা নির্বাচনে তিনজন নারী প্রার্থীকে হারিয়ে জয়ী হন। তিনি ঝিনাইদহ পৌর এলাকার আরাপপুর মাস্টারপাড়ার আলীজান মীরের সন্তান। এর আগেও ঝিনাইদহ জেলা থেকে তৃতীয় লিঙ্গের দুজন জনপ্রতিনিধি হিসেবে নির্বাচিত হয়েছেন।

প্রজাপতি মার্কা প্রতীকে বর্ষা পেয়েছেন ৫৪ হাজার ২৫৮ ভোট। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী হাঁস মার্কা প্রতীকের প্রার্থী আরতী দত্ত পেয়েছেন ২৩ হাজার ৫৫২ ভোট। ৩০ হাজার ৯০৬ ভোটের বিরাট ব্যবধানে বিজয়ী হয়েছেন বর্ষা। এ ছাড়াও অপর দুই প্রার্থী কলস প্রতীকের পাপিয়া সমাদ্দার পেয়েছেন ১৪ হাজার ৭৩৪ ভোট ও ফুটবল মার্কা প্রতীকের প্রার্থী মাহফুজা তাহের পেয়েছেন ১০ হাজার ৯১৯ ভোট।

 

 

 

 

 

 


ঝিনাইদহ  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড বাংলাদেশ

প্রধানমন্ত্রীর কাছে ‘বিএফডিসি রেডি টু কুক ফিশ’ ও মিল্কিং মেশিন হস্তান্তর

প্রকাশ: ০২:১৮ পিএম, ০৯ মে, ২০২৪


Thumbnail

মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রী মোঃ আব্দুর রহমানের নের্তৃত্বে গণভবনে প্রধানমন্ত্রীর নিকট ‘বিএফডিসি রেডি টু কুক ফিশ’ সামগ্রী আনুষ্ঠানিকভাবে হস্তান্তর করা হয়।

বৃহস্পতিবার (৯ মে) সকালে প্রাণিসম্পদ মন্ত্রীর নের্তৃত্বে একটি প্রতিনিধি দল প্রধানমন্ত্রীর কাছে গরুর দুধ আহরণের কাজে ব্যবহৃত একটি মিল্কিং মেশিন হস্তান্তর করেন।

এসময় প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘এ ধরণের কার্যক্রম বিশেষত রেডি টু কুক ফিস কার্যক্রমের ফলে কর্মজীবী মহিলারা অনেক উপকৃত হবেন’।



তিনি কর্মজীবী মহিলাদের রান্না সহজীকরণে রেডি-টু-কুক ফিশ প্রস্তুতকরণ, বাজারজাতকরণ ও বাজার সম্প্রসারণের উপর গুরুত্বারোপ করেন এবং দূরদর্শী দিক নির্দেশনা প্রদান করেন।

প্রধানমন্ত্রী ‘বিএফডিসি রেডি টু কুক ফিশ’ বাজারজাতকরণের উদ্যোগ গ্রহণ করায় বাংলাদেশ মৎস্য উন্নয়ন কর্পোরেশনকে বিশেষভাবে ধন্যবাদ জানান।

উল্লেখ্য, মোট ৪০ প্রজাতির মাছ ‘রেডি টু কুক হিসেবে স্থায়ীভাবে’ ঢাকার কারওয়ান বাজারে অবস্থিত বিএফডিসি ভবনের মৎস্য বিতান, যাত্রাবাড়ীর মৎস্য অবতরণ কেন্দ্র এবং চট্রগ্রাম মৎস্য বন্দর বিপণন করা হচ্ছে।

এছাড়া ঢাকা শহরের ১৬ টি স্পটে ০৬ টি ফ্রিজিং ভ্যানের মাধ্যমে ভ্রাম্যমান ভিত্তিতে 'বিএফডিসি রেডি ফিস' বাজারজাত করা হচ্ছে।

ভ্রাম্যমাণ স্পট গুলো হলো- মিরপুর ডিওএইচএস, ২৭ নম্বর রোড; বনানী, নেভী হেডকোয়াটার ও গুলশান (আজাদ মসজিদ সংলগ্ন); সচিবালয় এর দক্ষিণ গেইট; মিরপুর ডিওএইচএস, মিরপুর; স্বপ্ন নগর আবাসিক এলাকা, ক্যান্টনমেন্ট; মিরপুর অপরাজিতা ভবন, মিরপুর; ধানমন্ডি ৬ নম্বর; আজিমপুর কলোনী আজিমপুর; লেডিস ক্লাব, ইস্কাটন; সচিব কোয়াটার, ইস্কাটন (বুধবার ও শনিবার); দুদক অফিস সংলগ্ন, সেগুনবাগিচা; এজিবি কলোনী, মতিঝিল; শংকর, ধানমন্ডি; সেচভবন, মানিক মিয়া এভিনিউ (শুক্রবার ও শনিবার); ধানমন্ডি ২৮; মোহাম্মদপুর মা ও শিশু হাসপাতাল সংলগ্ন, মোহাম্মদপুর।



এছাড়া অনলাইন, ই- কমার্স প্ল্যাটফর্মের মাধ্যমেও ‘বিএফডিসি রেডি টু কুক ফিশ’ বাজারজাত করা হচ্ছে।

মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের সম্মানীয় সচিব জনাব মোহাং সেলিম উদ্দিন, বাংলাদেশ মৎস্য উন্নয়ন কর্পোরেশনের চেয়ারম্যান ও অতিরিক্ত সচিব জনাব সাঈদ মাহমুদ বেলাল হায়দর, প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক ডা. মোহাম্মদ রেয়াজুল হক, প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরের আওতাধীন প্রাণিসম্পদ ও ডেইরি উন্নয়ন প্রকল্পের চিফ টেকনিক্যাল কোঅর্ডিনেটর ডা. মোঃ গোলাম রব্বানী এসময় উপস্থিত ছিলেন।

প্রধানমন্ত্রী   ‘বিএফডিসি রেডি টু কুক ফিশ’   মিল্কিং   মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রী   মোঃ আব্দুর রহমান  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড বাংলাদেশ

তিস্তা প্রকল্পে অর্থায়নে আগ্রহী ভারত: পররাষ্ট্রমন্ত্রী

প্রকাশ: ০২:০০ পিএম, ০৯ মে, ২০২৪


Thumbnail

তিস্তা প্রকল্পে ভারত অর্থায়ন করতে আগ্রহী বলে জানিয়েছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ।

বৃহস্পতিবার (৯ মে) পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে ঢাকা সফররত ভারতের পররাষ্ট্র সচিব বিনয় কোয়াত্রা হাছান মাহমুদের সঙ্গে বৈঠক করে তিস্তায় দেশটির অর্থায়ন আগ্রহের কথা জানান।

ভারতের পররাষ্ট্র সচিবের সঙ্গে তিস্তা নিয়ে আলোচনা হয়েছে কি না জানতে চাইলে হাছান মাহমুদ বলেন, ‘তিস্তা নিয়ে আলোচনা হয়েছে। তিস্তায় আমরা একটা বৃহৎ প্রকল্প হাতে নিয়েছি। ভারত সেখানে অর্থায়ন করতে চায়। আমি বলেছি, তিস্তায় যে প্রকল্পটি হবে সেটা আমাদের প্রয়োজন অনুযায়ী হবে। আমাদের প্রয়োজন যেন পূরণ হয়।

তিস্তায় ভারতের মতো চীনও অর্থায়ন করতে চাচ্ছে এ বিষয়ে বাংলাদেশের অবস্থান জানতে চাইলে পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ভারত যে এক্ষেত্রে সহায়তা করতে চাচ্ছে, সে বিষয় নিয়েই আজকে আলোচনা হয়েছে’।


তিস্তা প্রকল্প   অর্থায়ন   ভারত   পররাষ্ট্রমন্ত্রী  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড বাংলাদেশ

পাবনার তিন উপজেলায় চেয়ারম্যান হলেন যারা

প্রকাশ: ০১:৫৫ পিএম, ০৯ মে, ২০২৪


Thumbnail

প্রথম ধাপে পাবনার সুজানগর, বেড়া সাঁথিয়া এই তিনটি উপজেলায় বুধবার ( মেইভিএম ভোটগ্রহণ শান্তিপূর্নভাবে অনুষ্ঠিত হয়। এর মধ্যে দু'টি উপজেলায় এসেছে নতুন মুখ। আর একটিতে রয়েছে পুরোনো মুখ।

ঘোষিত বেসরকারি ফলাফলে সুজানগর উপজেলায় আব্দুল ওহাব, বেড়া উপজেলায় রেজাউল হক বাবু সাঁথিয়া উপজেলায় সোহেল রানা খোকন চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছেন। এর মধ্যে সুজানগর সাঁথিয়া উপজেলায় নতুন মুখ নির্বাচিত হয়েছেন। পাবনা সিনিয়র জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা জেলা রিটার্নিং কর্মকর্তা মাহবুবুর রহমান বুধবার (৮ মে) মধ্যরাতে তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

সুজানগরে ৭২টি কেন্দ্রের ফলাফলে উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি আব্দুল ওহাব মোটর সাইকেল প্রতীকে ৬২ হাজার ৭৫২ ভোট পেয়ে বেসরকারিভাবে চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছেন।

তার একমাত্র নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বর্তমান উপজেলা চেয়ারম্যান শাহীনুজ্জামান শাহীন আনারস প্রতীকে পেয়েছেন ৫৮ হাজার ৪৪১ ভোট। অর্থাৎ ওহাব হাজার ৩১১ ভোটে শাহীনকে পরাজিত করেছেন।

এই উপজেলায় ভাইস চেয়ারম্যান পদে জুয়েল রানা চশমা প্রতীকে ৬৩ হাজার ২৮৫ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী এস মোস্তফা আহমেদ তালা প্রতীকে পেয়েছেন ৩৯ হাজার ২৫৫ ভোট। মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে শারমিন আক্তার শিপ্রা ফুটবল প্রতীকে ৬৪ হাজারে ৮৭৯ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী মর্জিনা খাতুন কলস প্রতীকে  পেয়েছেন ৩৪ হাজার ৬৪৭ ভোট।

বেড়া উপজলায় ৬৮টি ভোট কেন্দ্রের ফলাফলে বর্তমান উপজেলা চেয়ারম্যান আমিনপুর থানা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক রেজাউল হক বাবু হেলিকপ্টার প্রতীকে ২৯ হাজার ৬৮৯ ভোট পেয়ে বেসরকারিভাবে চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছেন।

তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী উপজেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক আব্দুল বাতেন ঘোড়া প্রতীকে পেয়েছেন ২৩ হাজার ৭৬৬ ভোট। অর্থাৎ বাবু হাজার ৯২৩ ভোটে বাতেনকে পরাজিত করেছেন।

এই উপজেলায় ভাইস চেয়ারম্যান পদে মেসবাহ-উল-হক চশমা প্রতীকে ২৪ হাজার ৭৯০ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী  প্রার্থী নাজমুল বাসার বই প্রতীকে  পেয়েছেন ১৯ হাজার ৫৭৪ ভোট। মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে শায়লা শারমীন ইতি হাঁস প্রতীকে  ৪৪ হাজার ৭৯০ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী  প্রার্থী সুষমা রানী সাহা কলস প্রতীকে  পেয়েছেন ৩১ হাজার ৮৮৪ ভোট।

সাঁথিয়া উপজেলায় ৯৩টি কেন্দ্রের ফলাফলে চেয়ারম্যান পদে পৌর আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক বর্তমান ভাইস চেয়ারম্যান সোহেল রানা খোকন কাপ-পিরিচ প্রতীকে ৩৮ হাজার ৫২৬ ভোট পেয়ে বেসরকারিভাবে চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছেন।

তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী উপজেলা যুবলীগের সভাপতি মোঃ আশরাফুজ্জামান টুটুল আনারস প্রতীকে পেয়েছেন ৩৪ হাজার ৭১২ ভোট। অর্থাৎ খোকন হাজার ৮১৪ ভোটে আশরাফুজ্জামানকে পরাজিত করেছেন।

এই উপজেলায় ভাইস চেয়ারম্যান পদে শামসুল হক স্বপন টিউবওয়েল প্রতীকে ৪৬ হাজার ৭৬১ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী মেহেদি হাসান রুবেল উড়োজাহাজ প্রতীকে পেয়েছেন ২৪ হাজার ৬১৯ ভোট।

মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে নাসিমা খাতুন ফুটবল প্রতীকে ৩০ হাজার ২৬৪ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী সেলিমা সুলতানা শীলা হাঁস প্রতীকে পেয়েছেন ৩০ হাজার ৭৭ ভোট।


উপজেলা নির্বাচন   চেয়ারম্যান   ফলাফল  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড বাংলাদেশ

দুই উপজেলায় জামানত হারালেন ১১ প্রার্থী

প্রকাশ: ০১:৫৫ পিএম, ০৯ মে, ২০২৪


Thumbnail

প্রথম ধাপে হবিগঞ্জের বানিয়াচং আজমিরীগঞ্জ উপজেলা পরিষদের নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়েছে। নির্বাচনে আজমিরীগঞ্জ উপজেলায় চেয়ারম্যান ভাইস চেয়ারম্যান পদে দুইজন করে জামানত হারিয়েছেন। বানিয়াচং উপজেলা পরিষদে ভাইস চেয়ারম্যান পদে সাতজন মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে একজন জামানত হারিয়েছেন।

আজমিরীগঞ্জ উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে জামানত হারিয়েছেন বর্তমান চেয়ারম্যান মর্তুজা হাসান (আনারস) মো. রেজাউল করিম (মোটরসাইকেল) ভাইস চেয়ারম্যান পদে জামানত হারিয়েছেন হারুনুর রশীদ (মাইক) হীরেন্দ্র পুরকায়স্থ (বই) 

বানিয়াচং উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে ভাইস চেয়ারম্যান পদে সাতজন মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে একজন প্রার্থী জামানত হারিয়েছেন। বানিয়াচং উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে ভাইস চেয়ারম্যানপদে জামানত হারিয়েছেন বর্তমান ভাইস চেয়ারম্যান ফারুক আমীন (উড়োজাহাজ), আরশাদ হোসেন খান (পালকি), এস এম সুরুজ আলী (মাইক), তাফাজ্জুল হক (বই), প্রিতোষ রঞ্জন দেব (বৈদ্যুতিক বাল্ব), সৈয়দ নাসিরুল ইমাম (টিয়া পাখি) মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে শিউলি রানী দাস (কলস) জামানত হারিয়েছেন।


উপজেলা   প্রার্থী  


মন্তব্য করুন


বিজ্ঞাপন