ইনসাইড বাংলাদেশ

জনশুমারির প্রাথমিক প্রতিবেদন: দেশের অগ্রগতির মুখপত্র

প্রকাশ: ১২:০২ পিএম, ২৮ জুলাই, ২০২২


Thumbnail জনশুমারির প্রাথমিক প্রতিবেদন: দেশের অগ্রগতির মুখপত্র

সাম্প্রতি সময়ে জাতিসংঘের ইকোনোমিক এন্ড সোশ্যাল অ্যাফের্য়াস বিভাগ এক পূর্বাভাসে বলেছে যে, ২০৩০ সাল নাগাদ বিশ্বে জনসংখ্যা দাাঁড়াবে সাড়ে আটশো কোটি। আর ২০৫০ সাল নাগাদ ভারতের জনসংখ্যা ১৬০ কোটিতে পৌঁছাবে। জনসংখ্যার এমন বৃদ্ধির খবরে আলোচনায় উঠে আসে বাংলাদেশের নামও। দেশে যে হারে জনসংখ্যা বাড়ছে তা নিয়ে কেউ কেউ শঙ্কার কথা বলেছে। কারো কারো মত ছিলো দেশের জনসংখ্যা ১৮ কোটি ছাড়িয়ে গেছে, আবার কেউ কেউ বলেছে দেশের জনসংখ্যা ২০ কোটির কাছাকাছি হবে। কিন্তু আশার কথা হলো যারা দেশের জনংখ্যা বৃদ্ধি নিয়ে আশঙ্কা প্রকাশ করেছিলেন, তাদের সে আশঙ্কার বাস্তবতা নেই। দেশের মোট জনসংখ্যা এখন ১৬ কোটি ৫১ লাখ ৫৮ হাজার ৬১৬ জন। গতকাল বুধবার জনশুমারি ও গৃহগণনা-২০২০ এর প্রাথমিক প্রতিবেদন থেকে এ তথ্য জানা যায়। অর্থাৎ জনসংখ্যার সংখ্যা নিয়ে যে শঙ্কা ছিলো সেটি সঠিক নয়। দেশের জনসংখ্যা বৃদ্ধির হার কমেছে। যা দেশের জন্য একটি ইতিবাচক বলে মনে করছেন বিশ্লেষকরা। প্রতিবেদনে আরও বেশ কিছু বিষয় উঠে এসেছে, যেগুলোর দেশের অগ্রগতিকে নির্দেশ করে। এর মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলো,

স্বাক্ষরতার হার: দেশে স্বাক্ষরতার হারে ব্যাপক সাফল্য অর্জন বাংলাদেশ। স্বাক্ষরতার হার ৫১ দশমিক ৭৭ শতাংশ থেকে বেড়ে ৭৪ দশমিক ৬৬ শতাংশ হয়েছে। এর মধ্যে পুরুষের স্বাক্ষরতার হার ৭৬.৫৬ শতাংশ এবং নারীদের স্বাক্ষরতার হার ৭২.৮২ শতাংশ। এই হার ২০১১ সালের আদমশুমারিতে ছিল ৫১.৭৭ শতাংশ। এর মধ্যে পুরুষের স্বাক্ষরতার হার ছিল ৫৪.১১ শতাংশ এবং নারীদের স্বাক্ষরতার হার ছিল ৪৯.৪৪ শতাংশ।

বিশুদ্ধ পানির ব্যবহার: দেশের শতভাগ মানুষই বিশুদ্ধ খাবার পানি পাচ্ছে বলে প্রতিবেদনে উঠে এসেছে। এর মধ্যে গভীর/অগভীর টিউবওয়েলের পানি পান করেন ৮৫ শতাংশ, সাপ্লাই পানি পান করেন ১১ দশমিক ৭৪ শতাংশ, বোতলজাত পানি পান করেন শূন্য দশমিক ৫৯ শতাংশ, কূপের পানি পান করেন শূন্য দশমিক ৩৫ শতাংশ, পুকুর/নদী/খাল/লেকের পানি পান করেন শূন্য দশমিক ৮৯ শতাংশ, ঝরনা/ছড়ার পানি পান করেন শূন্য দশমিক ১২ শতাংশ, বৃষ্টির পানি পান করেন শূন্য দশমিক ৪২ শতাংশ এবং অন্যান্য উপায়ে শূন্য দশমিক ২৪ শতাংশ মানুষ বিশুদ্ধ পানি পান করেন।

বস্তির জনসংখ্যা হ্রাস: জরিপে বলা হয়, দেশের বস্তির জনসংখ্যারও কমে গেছে। সরকারের আবাসন প্রকল্পের কারণে এটি কমে এসেছে বলে  সংশ্লিষ্ট বলছে। দেশের এখন বস্তির জনসংখ্যা ১,৮০০,৪৮৬ জন।

ভাসমান জনসংখ্যা হ্রাস: দেশে ভাসমান লোকের সংখ্যাও আসার চিত্র উঠে এসেছে প্রতিবেদনে। সারাদেশের ভাসমান জনসংখ্যা এখন ২২ হাজার ১ শত ৮৫ জন।

বিদ্যুৎ সুবিধা: দেশের মোট জনসংখ্যার প্রায় শতভাগ মানুষ বিদ্যুৎ সুবিধা ভোগ করে থাকেন। প্রায় ৯৯ শতাংশের বেশি মানুষ বিদ্যুৎ সুবিধার আওতায় এসেছেন। মোট জনসংখ্যার ৯৭ দশমিক ৬১ শতাংশ মানুষ জাতীয় গ্রিডের বিদ্যুৎ ব্যবহার করেন। এ থেকে এটা সুস্পষ্ট যে, দেশের বিদ্যুৎ উৎপাদনের সক্ষমতা বেড়েছে। আর বিদ্যুৎ সুবিধা নেই এমন মানুষের সংখ্যার মাত্র শূন্য দশমিক ৭৫ শতাংশ।

মোবাইল ফোন ব্যবহারকারী: তথ্য প্রযুক্তির ব্যবহারের বিপ্লব ঘটেছে দেশে। জনশুমারি ও গৃহগণনা বিশ্লেষণে দেখা গেছে,  পাঁচ বছর ও তদূর্ধ্ব বয়সীদের মধ্যে মোবাইল ফোন ব্যবহারকারীর সংখ্যা ৫৫ দশমিক ৮৯ শতাংশ। এর মধ্যে প্রাপ্তবয়স্ক মোবাইল ফোন ব্যবহারকারী ৭২ দশমিক ৩১ শতাংশ।

ইন্টারনেট ব্যবহারকারী: গ্রাম পর্যন্তও সরকারের ডিজিটাল বাংলাদেশের সুফল পৌঁছেছে। ফলে দেশে ইন্টারনেট ব্যবহারকারীর সংখ্যাও বেড়েছে বলে জনশুমারি প্রতিবেদনে উঠে এসেছে। দেশের মোট জনসংখ্যার ৩০ দশমিক ৬৮ শতাংশ মানুষ ইন্টারনেট ব্যবহার করে থাকেন।

টয়লেট সুবিধা: খোলা জায়গায় মলমূত্র ত্যাগ করেন এমন মানুষের সংখ্যাও কমেছে। দেশে খোলা জায়গায় মলমূত্র ত্যাগ করেন এমন মানুষের সংখ্যা দেশের মোট জনসংখ্যার প্রতি ১০০ জনের মধ্যে গড়ে ১ দশমিক ২৩ শতাংশ। টয়লেট ব্যবহারকারীদের মধ্যে ৫৬ দশমিক শূন্য ৪ শতাংশ মানুষ টয়লেটে ফ্লাশ করেন বা পানি ঢেলে নিরাপদ নিষ্কাশন করেন। ফ্লাশ করেন না বা বেশি করে পানি ঢেলে নিরাপদ নিষ্কাশন করেন না ১২ দশমিক ৮৬ শতাংশ মানুষ। স্ল্যাবসহ পিট ল্যাট্টিন, ভেন্টিলেটেড ইমপ্রুভড ল্যাট্রিন বা কম্পোস্টিং ল্যাট্রিন ব্যবহার করেন ২১ দশমিক ৭২ শতংশ। স্ল্যাব ছাড়া পিট ল্যাট্রিন বা উম্মুক্ত পিট ব্যবহার করেন ৪ দশমিক শূন্য ৮ শতাংশ। কাঁচা/খোলা/ঝুলন্ত ল্যাট্রিন অস্থায়ী বা স্থায়ীভাবে ব্যবহার করেন ৪ দশমিক শূন্য ৭ শতাংশ।

তরুণ জনসংখ্যা: বহি:বিশ্বের প্রায় সকল দেশেই বৃদ্ধের সংখ্যা আশঙ্কাজনকভাবে বেড়ে যাচ্ছে। এতে করে তাদের দুই ধরনের সংকটে পড়তে হচ্ছে। একটি হলো বয়স্করা অবহেলিত হচ্ছেন এবং মানসিক অবসাদে ভুগছে। দ্বিতীয় হলো ওই সমস্ত দেশে মানব সম্পদের অভাব দেশে দিচ্ছে। কিন্তু বাংলাদেশে বৃদ্ধ নয়, তরুণের সংখ্যা বেড়েছে ১৯ দশমিক ১১ শতাংশ। বিশ্লেষকরা বলছেন যে, বহি:বিশ্বে মানব সম্পদের সংকটকে কাজে লাগানো আমাদের সুযোগ আছে। আরও বেশি বৈদেশিক মুদ্রা আয়ের সুযোগ তৈরি হবে এই তরুণ জনগোষ্ঠী দিয়ে।

হিজড়া সংখ্যা গণনা: হিজড়াদের তৃতীয় লিঙ্গের স্বীকৃতি দিয়েছে সরকার। কিন্তু তাদের সাসগ্রিক উন্নয়নের প্রধান অন্তরায় হয়ে দাঁড়ায় তাদের মোট সংখ্যা নিয়ে। এর আগে মোট ৫বার জনশুমারি করা হলেও এইবারই প্রথম জনশুমারিতে তাদের গণনা করা হয়। যা এই জনশুমারি অন্যতম আর্কষণ বলা যায়। দেশে এখন মোট হিজড়া বা তৃতীয় লিঙ্গের মানুষ  ১২ হাজার ৬২৯ জন। 

নির্ভরশীলতার হার: সামগ্রিক উন্নয়নের প্রভাব পড়েছে নির্ভরশীলতার উপরও। দেশের নির্ভরশীলতার হার কমেছে। নির্ভরশীলতার অনুপাত কমে এখন ৫২ দশমিক ৬৪ শতাংশ হয়েছে। যা ২০১১ সালে ছিলো ৭৩ দশমিক শূন্য শতাংশ।

বিশ্লেষকরা বলছেন, জনশুমারি ও গৃহগণনা ২০২২ এর প্রাথমিক প্রতিবেদন অনুসারে দেশের প্রায় প্রতিটি সেক্টরের অগ্রগতি হয়েছে। এই প্রতিবেদন আরও সময়োপযোগী পরিকল্পনা গ্রহণ করতে সরকারের সহায়ক হবে। ফলে দেশের অগ্রগতির ধারা আরও ত্বরান্বিত হবে বলে অভিমত প্রকাশ করছেন বিশ্লেষকরা।

জনশুমারি   প্রাথমিক প্রতিবেদন  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড বাংলাদেশ

তিনি যদি দেশে না ফিরতেন

প্রকাশ: ১১:০০ পিএম, ১৬ মে, ২০২৪


Thumbnail

১৭ মে ১৯৮১, শেখ হাসিনার স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবস। এক প্রতিকূল পরিস্থিতিতে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে আওয়ামী লীগের সভাপতি শেখ হাসিনা দেশে ফিরেছিলেন। পিতার রক্তে ভেজা মাটিতে কপাল স্পর্শ করে তিনি কান্নায় ভেঙে পড়েছিলেন। তাঁর কান্নার সঙ্গে যোগ দিয়েছিল প্রকৃতিও। আর সে কারণেই ঢাকার আকাশ জুড়ে নেমেছিল মুষলধারে বৃষ্টি। সেই বৃষ্টি উপেক্ষা করে লাখো মানুষ শেখ হাসিনাকে বরণ করে নিয়েছিল। 

শেখ হাসিনা যখন স্বদেশ প্রত্যাবর্তন করেন তখন তিনি ছিলেন রিক্ত নিঃস্ব। তিনি মা-বাবা, ভাই, ভাবি সবাইকে হারিয়েছিলেন। তাঁর পাশে ছিল শুধুমাত্র এদেশের জনগণ এবং সেই জনগণের ভালোবাসায় সিক্ত হয়েই তিনি দেশে ফিরছিলেন। 

শেখ হাসিনা যখন বাংলাদেশে আসেন তখন এই দেশের অবস্থা কী ছিল? জিয়াউর রহমানের একনায়কতন্ত্র, স্বৈরাচারী শাসন জগদ্দল পাথরের মতো বাংলাদেশের ওপর চেপে বসেছিল। সেই সময় রাতে কারফিউ জারি করা হত, নির্বিচারে মানুষকে গ্রেপ্তার করা ছিল একটি স্বাভাবিক ঘটনা। কারাগারগুলো ছিল কানায় কানায় পূর্ণ। প্রতিরাতে কারাগারে বিচারের নামে প্রহসন হত এবং আইনের শাসনের তোয়াক্কা না করে দণ্ডিত ব্যক্তিদেরকে ফাঁসির কাস্টে ঝোলানো হত। এভাবে মৃত্যুর মিছিলে পরিণত হয়েছিল বাংলাদেশ।

শেখ হাসিনা যখন বাংলাদেশে ফেরেন তখন গণতন্ত্র ছিল বন্দি, সংবিধান কাটাছেঁড়া করা হয়েছিল, বাংলাদেশকে পাকিস্তান বানানোর সব আয়োজনই সম্পন্ন হয়েছিল। বাংলাদেশে স্বাধীনতা বিরোধী রাজাকারদের এক দুর্দান্ত দাপট আমরা লক্ষ্য করেছিলাম পঁচাত্তর পরবর্তী বাংলাদেশে। স্বাধীনতা বিরোধী যুদ্ধাপরাধের শিরোমণি গোলাম আযম বাংলাদেশে ফিরে এসেছিলেন। স্বাধীনতা বিরোধী অপশক্তি জামায়াতে ইসলামকে আবার রাজনীতি করার সুযোগ দেওয়া হয়েছিল। বাংলাদেশ ছিল এক অন্ধকার আচ্ছন্ন হতাশাগ্রস্থ বিবর্ণ দেশ।

এবার আমরা যদি কল্পনা করি যে, শেখ হাসিনা দেশে ফিরে আসলেন না তাহলে বাংলাদেশ কী হতো? বাংলাদেশ কী হত তা ১৯৭৫ থেকে ৮১ সালের সময়কালে যেভাবে বাংলাদেশ এগোচ্ছিল সেই পথ রেখা বিশ্লেষণ করলে পাওয়া যায়। শেখ হাসিনা যদি বাংলাদেশে না আসতেন তাহলে এতদিন বাংলাদেশ নামে রাষ্ট্রটি থাকত কি না তা নিয়ে সন্দেহ রয়েছে। কারণ একনায়ক জিয়াউর রহমানের অনেক দোসররাই পাকিস্তানের সঙ্গে কনফেডারেশন করার জন্য আলাপ আলোচনা শুরু করেছিলেন। বাংলাদেশের জাতীয় সঙ্গীত পাল্টে দেওয়া নিয়েও আলাপ আলোচনা হচ্ছিল।

জিয়াউর রহমান শুধু স্বৈরশাসক ছিলেন না, তিনি নির্মম একজন ঘাতক ছিলেন। প্রতিপক্ষকে হত্যা করাই ছিল তাঁর রাজনীতির সবচেয়ে বড় অস্ত্র। আর যদি শেখ হাসিনা দেশে না ফিরতেন তাহলে পরে এ দেশে বিনা বিচারে কত মানুষ মারা যেত তা হয়ত আমরা অনুমানও করতে পারিনা। জিয়াউর রহমানের শাসনামলে বাংলাদেশের মানুষের কোনো অধিকার ছিল না। বিচার পাওয়া, ভোটের অধিকার সবগুলোই কুক্ষিগত করা হয়েছিল। শেখ হাসিনা আসার কারণেই গণতন্ত্র এসেছে। মানুষ কথা বলার অধিকার পেয়েছে। 

জিয়াউর রহমান যখন ক্ষমতায় ছিলেন তখন স্বাধীনতাবিরোধী অপশক্তিরাই পরোক্ষভাবে দেশ চালাত। প্রধানমন্ত্রী ছিলেন রাজাকার শাহ আজিজুর রহমান। আর যদি শেখ হাসিনা দেশে না ফিরতেন তাহলে এতদিনে হয়ত রাজাকাররাই দেশের ক্ষমতা গ্রহণ করত। বাংলাদেশে একটি রাজাকারতন্ত্র প্রতিষ্ঠিত হত। খুনিদের পক্ষে বাংলাদেশ কনফেডারেশন করত। শেখ হাসিনা যদি না আসতেন তাহলে বাংলাদেশের উন্নয়ন অগ্রযাত্রা কিছুই হত না। বাংলাদেশ ক্ষুধা দারিদ্রের একটি দুর্ভিক্ষ পীড়িত রাষ্ট্র হিসেবে বিশ্বের করুণার পাত্র হত। শেখ হাসিনা যদি বাংলাদেশে না আসতেন তাহলে বাংলাদেশ হয়ত মৌলবাদের একটি চারণভূমি হত। আফগানিস্তান হত। শেখ হাসিনা যদি বাংলাদেশে না আসতেন তাহলে এই দেশ হয়ত একটি হতাশাগ্রস্ত দরিদ্র পীড়িত রাষ্ট্র হিসেবে সারা বিশ্বের কাছে পরিচিত হত।


শেখ হাসিনা   স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবস  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড বাংলাদেশ

মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ে নতুন সচিব সাঈদ মাহমুদ

প্রকাশ: ০৮:৫৪ পিএম, ১৬ মে, ২০২৪


Thumbnail

বাংলাদেশ মৎস্য উন্নয়ন কর্পোরেশনের চেয়ারম্যান (অতিরিক্ত সচিব) সাঈদ মাহমুদ বেলাল হায়দারকে পদোন্নতি দিয়ে মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের সচিব হিসেবে পদায়ন করা হয়েছে। 

বৃহস্পতিবার (১৬ মে) জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় থেকে এ সংক্রান্ত পৃথক প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়েছে।

অন্যদিকে আরেক প্রজ্ঞাপনের মাধ্যমে মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের সচিব মোহাং সেলিম উদ্দিনকে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ে বদলি করা হয়েছে। 

মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়   সাঈদ মাহমুদ বেলাল হায়দার  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড বাংলাদেশ

শেখ হাসিনাকে অস্ট্রেলিয়ার প্রধানমন্ত্রী এন্থনি এলবানিজের অভিনন্দন

প্রকাশ: ০৮:৩৭ পিএম, ১৬ মে, ২০২৪


Thumbnail

বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী হিসেবে দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে জয়লাভ করে পুনরায় নির্বাচিত হওয়ায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে অভিনন্দন জানিয়েছেন অস্ট্রেলিয়ার প্রধানমন্ত্রী এন্থনি এলবানিজ। সম্প্রতি এক শুভেচ্ছা বার্তায় এ অভিনন্দন জানান তিনি।

অস্ট্রেলিয়ার প্রধানমন্ত্রী জানান, আগামী বছরগুলোতে অস্ট্রেলিয়া ও বাংলাদেশের মধ্যে সম্পর্ক আরও জোরদার করার লক্ষে তিনি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে কাজ চালিয়ে যাওয়ার জন্য উন্মুখ।

বাংলাদেশের সাথে দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক আরও জোরদার করার মাধ্যমে আঞ্চলিক শান্তি, উন্নয়ন ও নিরাপত্তা বজায় রাখতে কাজ করতে চান উল্লেখ করেন এন্থনি এলবানিজ।

প্রধানমন্ত্রী এন্থনি এলবানিজ চিঠিতে আরও উল্লেখ করেন, ভারত মহাসাগরের দেশ হিসেবে জলবায়ু পরিবর্তন, অভিবাসন এবং সংশ্লিষ্ট বিষয়ে উভয় দেশের একই ধরনের স্বার্থ নিয়ে বাংলাদেশের সঙ্গে সহযোগিতা করতে অস্ট্রেলিয়া প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।


অস্ট্রেলিয়া   এন্থনি এলবানিজ   বাংলাদেশ   প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড বাংলাদেশ

শেখ হাসিনা ডিপ্লোমেসি এবং যুক্তরাষ্ট্রের ইউটার্ন

প্রকাশ: ০৭:০৩ পিএম, ১৬ মে, ২০২৪


Thumbnail

নির্বাচনের আগে ডোনাল্ড লু’র সফর আর নির্বাচনের পরে তার সাম্প্রতিক বাংলাদেশ সফর, দুটোর মধ্যে আকাশ পাতাল তফাত। ডোনাল্ড লু নিজেই স্বীকার করেছেন। বাংলাদেশ সফর শেষে যাওয়ার পথে তিনি তার বিদায়ী সংবাদ সম্মেলনে পরিষ্কার বলেছেন, অতীতের মতপার্থক্যকে সরিয়ে যুক্তরাষ্ট্র সামনের দিকে এগিয়ে যেতে চাই। আর এই বক্তব্যের মধ্য দিয়ে একটি বিষয় স্পষ্ট হয়েছে আগের অবস্থানে নেই মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র।

কীভাবে সম্ভব হল, কীভাবে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ইউটার্ন নিল? কূটনৈতিক বিশ্লেষকরা বলছেন, এটি সম্ভব হয়েছে শেখ হাসিনার পার্সোনাল ডিপ্লোমেসির কারণে। এটি ‘দ্য শেখ হাসিনা ইনিশিয়েটিভ’ এর আরেকটি অংশ। ২০১৮ সালের পর থেকেই বাংলাদেশ নিয়ে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র একটি নেতিবাচক অবস্থান গ্রহণ করতে শুরু করে। বিশেষ করে জো বাইডেন প্রশাসন ক্ষমতায় আসার পর থেকে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র বাংলাদেশ নীতি বদলাতে থাকে। এসময় একের পর এক চাপ প্রয়োগ করা হতে থাকে বাংলাদেশের উপর।

বিশেষ করে ২০২২ সালের ১৫ মার্চ পিটার ডি হাস বাংলাদেশে আসার পর সরকারের সঙ্গে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র প্রায় মুখোমুখি একটি অবস্থানে চলে যায়। দুই দেশের মধ্যে নানা রকম ভুল বোঝাবোঝি সৃষ্টি হয়েছিল। এর একটি বড় কারণ ছিল যে, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র দপ্তরে বাংলাদেশ সম্পর্কে ভুল তথ্য দেওয়া হচ্ছিল। আর এই সমস্ত ভুল তথ্যের কারণেই যুক্তরাষ্ট্র একটি ভিন্নরকম অবস্থান গ্রহণ করেছিল বাংলাদেশের ব্যাপারে।

কিন্তু ৭ জানুয়ারির নির্বাচনের পর আস্তে আস্তে পরিস্থিতি পাল্টাতে থাকে। কূটনৈতিক বিশ্লেষকরা অবশ্য মনে করেন যে, নির্বাচনের আগে থেকেই মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের অবস্থান পরিবর্তন ঘটে থাকে। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র অবস্থান পরিবর্তনের ক্ষেত্রে একাধিক ভূমিকা কাজ করেছে বলেই অনেকে মনে করে যেটি ডোনাল্ড লু’র সফরে স্পষ্ট প্রতিভাত হয়েছে।

প্রথমত ভারতের প্রভাব। ভারত মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রকে বাংলাদেশের ব্যাপারে নেতিবাচক অবস্থান থেকে সরে আসার জন্য চেষ্টা করেছে এবং সফল হয়েছে। ভারতের এই অবস্থানের প্রধান কারণ ছিল প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে ভারত বিশ্বাস করে তার উপর আস্থা রাখে এবং শেখ হাসিনার কোনো বিকল্প বাংলাদেশে নেই, এই উপলব্ধি থেকেই নরেন্দ্র মোদী মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে বাংলাদেশ নিয়ে কথা বলেছেন বলে কূটনৈতিক মহল মনে করে। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র কৌশলগত কারণে ভারতের সঙ্গে বাংলাদেশের সম্পর্কের অবনতি ঘটাতে চাইনি।

দ্বিতীয়ত, প্রধানমন্ত্রীর ব্যক্তিগত উদ্যোগ। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাও মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সাথে সম্পর্ক উন্নয়নে ব্যক্তিগত উদ্যোগ গ্রহণ করেছিলেন। জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদের অধিবেশনে যোগ দেওয়ার পর তিনি সেখানে নিরাপত্তা উপদেষ্টা জ্যাক সুলিভানের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন। এছাড়াও ভারত সফরের সময় তিনি অ্যান্থনি ব্লিনকেন এবং জো বাইডেনের সঙ্গেও কথা বলেন। সবকিছু মিলিয়ে তার উদ্যোগ সফল হয়েছে। শুধু তাই নয়, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে সম্পর্ক উন্নয়নের জন্য সালমান এফ রহমানকেও দায়িত্ব দিয়েছিলেন এবং সালমান এফ রহমান মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে সম্পর্ক উন্নয়নের ক্ষেত্রে যথেষ্ট ভূমিকা রেখেছেন।

তৃতীয়ত, বিরোধী দলের ভুল রাজনীতি। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র প্রত্যাশা করেছিল যে, বিএনপিসহ বিরোধী দলগুলো নির্বাচনে অংশগ্রহণ করবে এবং এই কারণেই নির্বাচনের আগে ডোনাল্ড লু শর্তহীন সংলাপের উপর জোর দিয়েছিলেন। কিন্তু শেষ পর্যন্ত যখন বিএনপি নির্বাচনে যায়নি, তখন মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র বিষয়টিকে ইতিবাচকভাবে গ্রহণ করেনি। আর সবকিছু মিলিয়ে এখন নতুন সরকার প্রতিষ্ঠিত হয়েছে। এখানে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের বিনিয়োগ আছে, মার্কিন স্বার্থ আছে। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র বাংলাদেশে ব্যবসার পরিধি বাড়াতে চায়, চীনের আগ্রাসন কমাতে চায়। সবকিছু মিলিয়ে তাদের সামনে বর্তমান সরকারই একমাত্র বিকল্প। আর তাই মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র তার অবস্থান পরিবর্তন করেছে, রীতিমতো ইউটার্ন নিয়েছে।


বাংলাদেশ   প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা   জো বাইডেন   ডোনাল্ড লু   মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড বাংলাদেশ

ছাগলনাইয়া উপজেলা চেয়ারম্যানের বেতন-ভাতা ফেরতের নির্দেশ

প্রকাশ: ০৬:৪১ পিএম, ১৬ মে, ২০২৪


Thumbnail

ফেনীর ছাগলনাইয়ায় ২০১৯ সালে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত মেজবাউল হায়দার চৌধুরী সোহেলের উপজেলা চেয়ারম্যান পদ অবৈধ ঘোষণা করেছেন হাইকোর্ট। সেইসঙ্গে ২০১৯ সাল থেকে এ পর্যন্ত তিনি উপজেলা চেয়ারম্যান হিসেবে যত বেতন-ভাতা ও সুবিধাদি গ্রহণ করেছেন তা ৩০ দিনের মধ্যে ফেরত দিতে নির্দেশ দিয়েছেন আদালত। এই সময়ের মধ্যে ফেরত না দিলে ফেনীর জেলা প্রশাসককে তার থেকে আদায় করতে বলা হয়েছে।

বৃহস্পতিবার (১৬ মে) বিচারপতি জে বি এম হাসান ও বিচারপতি রাজিক আল জলিলের হাইকোর্ট বেঞ্চ এ রায় ঘোষণা করেন। 

রায়ে ওই সময়ের উপজেলা চেয়ারম্যান প্রার্থী আব্দুল হালিমের প্রার্থিতা বৈধ ঘোষণা করেছেন আদালত। অপর প্রার্থী এ এস এম শহিদুল্লাহ মজুমদারের প্রার্থিতা বাতিলের সিদ্ধান্ত বহাল রেখেছেন হাইকোর্ট।

আদালতে আব্দুল হালিম ও শহিদুল্লাহ মজুমদারের পক্ষে ছিলেন ব্যারিস্টার মাহবুব উদ্দিন খোকন ও ব্যারিস্টার এস এম কফিল উদ্দিন। সোহেল চৌধুরীর পক্ষে শুনানি করেন জ্যেষ্ঠ আইনজীবী এ এফ হাসান আরিফ ও মো. অজি উল্লাহ। রাষ্ট্রপক্ষে শুনানি করেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল কাজী মাঈনুল হাসান।

ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল কাজী মাঈনুল হাসান বলেন, ‘২০১৯ সালে ফেনীর ছাগলনাইয়া উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে আব্দুল হালিম ও শহিদুল্লাহ মজুমদারের প্রার্থিতা বাতিল হয়। এর ফলে মেজবাউল হায়দার চৌধুরী সোহেল বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় ছাগলনাইয়ার উপজেলা চেয়ারম্যান নির্বাচিত হন। এর মধ্যে প্রার্থিতা ফেরত চেয়ে হাইকোর্টে রিট করেন বাতিল হওয়া দুই প্রার্থী। একইসঙ্গে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় সোহেলকে চেয়ারম্যান নির্বাচিত ঘোষণার বৈধতা চ্যা্লেঞ্জ করা হয়।’

তিনি বলেন, ‘২০১৯ সালেই হাইকোর্ট এসব বিষয়ে রুল জারি করেন। একইসঙ্গে ছাগলনাইয়ার উপজেলা চেয়ারম্যানের গেজেট স্থগিত করেন। পরে চেম্বার আদালত হাইকোর্টের আদেশ স্থগিত করেন। তবে আইনি জটিলতায় মেজবাউল হায়দার চৌধুরী সোহেল উপজেলা চেয়ারম্যান হিসেবে শপথ নিতে পারেননি। শপথ না নিয়ে তিনি উপজেলা চেয়ারম্যানের দায়িত্ব পালন করে আসছিলেন।’

ছাগলনাইয়া উপজেলা   মেজবাউল হায়দার চৌধুরী সোহেল  


মন্তব্য করুন


বিজ্ঞাপন