ইনসাইড বাংলাদেশ

বিদ্যুৎ নিয়ে বিএনপি মিথ্যাচার করছে: কাদের

প্রকাশ: ০৫:৩১ পিএম, ০২ অগাস্ট, ২০২২


Thumbnail বিদ্যুৎ নিয়ে বিএনপি মিথ্যাচার করছে: কাদের

আওয়ামী লীগে সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের মন্তব্য করেছেন, বিদ্যুৎ ও জ্বালানি নিয়ে বিএনপি অব্যাহতভাবে অপপ্রচার আর মিথ্যাচার করছে। তিনি বলেন, বিএনপি নেতারা সহজেই তাদের অতীত ভুলে যেতে চাইলেও জনগণ ঠিকই তা মনে রেখেছে। তাদের শাসনামলে দেশে দিনে ১৩-১৪ ঘণ্টা লোডশেডিং চলতো। তাদের সময়ে দেশ ছিল অন্ধকারে নিমজ্জিত।

মঙ্গলবার (২ আগস্ট) গণমাধ্যমে দেওয়া এক বিবৃতিতে এসব কথা বলেন ওবায়দুল কাদের।

সেতুমন্ত্রী বলেন, ক্ষমতায় আসার জন্য তারা (বিএনপি) দেশের মূল্যবান খনিজ সম্পদ বিদেশি প্রভুদের হাতে তুলে দিয়েছিল। বিদ্যুৎ সরবরাহের নামে শুধুমাত্র খাম্বা স্থাপন করে জাতির সঙ্গে প্রতারণা করেছিল। বিকল্প ক্ষমতা কেন্দ্র হাওয়া ভবন আর খোয়াব ভবন আলোকিত রাখতে গিয়ে সারাদেশকে অন্ধকারে রেখেছিলো বিএনপি।

তিনি আরও বলেন, সেই অন্ধকারময় সময় পেছনে ফেলে শেখ হাসিনা দেশবাসীকে আলোকিত বাংলাদেশ উপহার দিয়েছেন। বিদ্যুতে স্বয়ংসম্পূর্ণতা অর্জনের পাশাপাশি আর্থ-সামাজিক সব ক্ষেত্রে অভূতপূর্ব সাফল্যের স্মারক রেখেছেন।

বিদ্যুৎ ও জ্বালানি সেক্টরে শেখ হাসিনা সরকার সাফল্য দেখিয়েছে উল্লেখ করে ওবায়দুল কাদের বলেন, ২০০৮ সালের ডিসেম্বরে অনুষ্ঠিত নির্বাচনে ভূমিধস বিজয়ের মধ্য দিয়ে যখন আওয়ামী লীগ ক্ষমতাসীন হয় তখন দেশে মাথাপিছু বিদ্যুৎ উৎপাদন ছিল ২২০ কিলোওয়াট, যা বর্তমানে দাঁড়িয়েছে ৫৬০ কিলোওয়াটে। ২০০৯ সালের শুরুতে দেশে বিদ্যুৎ সুবিধার আওতাভুক্ত ছিল মোট জনসংখ্যার মাত্র ৪৭ শতাংশ। বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনার নেতৃত্বে আওয়ামী লীগ ধারাবাহিকভাবে ক্ষমতায় থাকার কারণে দেশের শতভাগ মানুষ বিদ্যুৎ সুবিধার আওতায় এসেছে।

বিদ্যুতখাতের দুর্নীতি নিয়ে যারা কথা বলেন, প্রকৃতপক্ষে তারাই দুর্নীতির পৃষ্ঠপোষক বলে উল্লেখ করেন ওবায়দুল কাদের। বর্তমান সরকারের সুষ্ঠু নীতি ও সুদক্ষ ব্যবস্থাপনা না থাকলে বিদ্যুৎ উৎপাদন ২৫ হাজার ৫৬৬ মেগাওয়াটে উন্নীত করা সম্ভব হতো না বলেও জানান তিনি।

সেতুমন্ত্রী বলেন, ২০০৯ সালের শুরুতে বিদ্যুৎ উৎপাদন ছিল ৩ হাজার ২৬৭ মেগাওয়াট। বর্তমানে বিদ্যুৎ সরবরাহের ক্ষমতা ২৫ হাজার ৫৬৬ মেগাওয়াটে উন্নীত হয়েছে। শুধু তাই নয়, ২০০৯ সালের শুরুতে দেশে বিদ্যুৎ গ্রাহক সংখ্যা ছিল ১ কোটি ৮ লাখ। ২০২২ এর এপ্রিলে এসে গ্রাহক সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৪ কোটি ২৭ লাখে।

মহামারি ও রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ বিশ্বকে থমকে দিয়েছে জানিয়ে তিনি বলেন, বিশ্ববাজারে জ্বালানির মূল্য অতিমাত্রায় বৃদ্ধি পাওয়ায় পৃথিবীর উন্নত দেশগুলোও হিমশিম খাচ্ছে। এরই মধ্যে অনেক দেশ বিদ্যুৎ ও জ্বালানি সাশ্রয়ী নীতি গ্রহণ করেছে।

তিনি বলেন, ভবিষ্যৎ অনিশ্চয়তার আশঙ্কা কাটাতে আগাম ব্যবস্থা হিসেবে বাংলাদেশকেও কিছু সতর্কতামূলক পদক্ষেপ গ্রহণ করতে হয়েছে। এর অংশ হিসেবে বিদ্যুৎ ও জ্বালানি সাশ্রয়ের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে এবং বিদ্যুৎ সরবরাহে রেশনিং করা হচ্ছে। যা একটি সাময়িক পদক্ষেপ।

আওয়ামী লীগে সাধারণ সম্পাদক   সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী   ওবায়দুল কাদের  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড বাংলাদেশ

তাপপ্রবাহে কী করতে হবে, জানিয়ে জাতীয় নির্দেশিকা প্রকাশ

প্রকাশ: ০৮:২১ পিএম, ০৫ মে, ২০২৪


Thumbnail

অতিরিক্ত গরমে মাথা ঘোরানো, দুশ্চিন্তা, স্ট্রোক, মুখের ভেতর শুকিয়ে যাওয়া, অ্যাজমা, মাংসপেশিতে খিঁচুনি, চামড়ায় ফুসকুড়ি, কিডনি অকার্যকর হওয়ার মতো অসুস্থতা দেখা দিতে পারে। এ ধরনের গরমে বয়স্ক, শিশু, অন্তঃসত্ত্বা নারী, শ্রমজীবী মানুষেরা সবচেয়ে বেশি ঝুঁকির মধ্যে রয়েছেন। তাই তাপপ্রবাহ থেকে সুরক্ষার জন্য কী কী করতে হবে, তা জানিয়ে প্রথমবারের মতো জাতীয় গাইডলাইন বা নির্দেশিকা প্রকাশ করেছে সরকার।

রোববার (৫ মে) দুপুরে হোটেল ইন্টারকন্টিনেন্টালে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর আয়োজিত তাপমাত্রাজনিত স্বাস্থ্যঝুঁকি বিষয়ক জাতীয় গাইডলাইনের আনুষ্ঠানিক মোড়ক উন্মোচন অনুষ্ঠান করা হয়।

অনুষ্ঠানে জাতীয় গাইডলাইনের মোড়ক উন্মোচন করেন স্বাস্থ্য ও পরিবারকল্যাণমন্ত্রী সামন্ত লাল সেন। প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি বলেন, তীব্র গরমে সবচেয়ে বেশি স্বাস্থ্যঝুঁকিতে থাকে শিশু ও বয়োজ্যেষ্ঠরা। যারা একটু শারীরিকভাবে কম সামর্থ্যবান, যাদের ডায়াবেটিস, হার্ট-ডিজিস বা বিভিন্ন অসুখ রয়েছে, তারা বেশি ঝুঁকিতে থাকেন। এই বইয়ে নির্দেশিত গাইডলাইন লিফলেট আকারে স্কুল-কলেজসহ সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ছড়িয়ে দিতে হবে। ইতোমধ্যে সব সরকারি হাসপাতালে এই গাইডলাইন প্রেরণ করা হয়েছে। সেই সঙ্গে চিকিৎসকদের প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করা হয়েছে।

নগর পরিকল্পনাবিদদের প্রতি আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেন, আমরা দেখি গ্রামের চেয়ে ঢাকা শহরে তাপমাত্রা অনেক বেশি। এর কারণ আমরা ভবন নির্মাণ করতে গিয়ে শহরের গাছপালা সব কেটে সাবাড় করেছি। জলবায়ু পরিবর্তনের ওপর হয়তো আমরা খুব প্রভাব ফেলতে পারি না। কিন্তু নগর পরিকল্পনার সময় যদি এসব বিষয় আমরা মাথায় রাখি, তাহলে অনেকাংশেই পরিত্রাণ সম্ভব।

স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. আবুল বাসার মোহাম্মদ খুরশীদ আলমের সভাপতিত্বে আয়োজিত ওই অনুষ্ঠানে অন্যদের মধ্যে অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন স্বাস্থ্যসেবা বিভাগের সচিব মো. জাহাঙ্গীর আলম, স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. মীরজাদি সাবরিনা ফ্লোরা, ইউনিসেফ বাংলাদেশের ডেপুটি রিপ্রেজেনটেটিভ এমা ব্রিগহাম প্রমুখ।

তাপপ্রবাহ   জাতীয় নির্দেশিকা  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড বাংলাদেশ

শুক্রবার ক্লাস নেওয়া নিয়ে ফেসবুক পোস্ট ভুলবশত: শিক্ষা মন্ত্রণালয়

প্রকাশ: ০৮:১৬ পিএম, ০৫ মে, ২০২৪


Thumbnail

প্রয়োজনে শুক্রবারও স্কুল খোলা রাখা হতে পারে বলে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে দেওয়া পোস্টটি ‘ভুলবশত’ করা হয়ছিল বলে জানিয়েছে শিক্ষা মন্ত্রণালয়। রোববার (৫ মে) বিকেলে মন্ত্রণালয়ের ভেরিফায়েড ফেসবুক পেইজে এক পোস্টে এ তথ্য জানানো হয়েছে।

এর আগে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে শিক্ষামন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরীর বরাতে বন্ধের কারণে শিখন ঘাটতি পূরণে প্রয়োজনে শুক্রবারও স্কুল খোলা রাখা হতে পারে বলে একটি পোস্ট দেওয়া হয়। এরপর থেকেই ওই পোস্ট নিয়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে চলছে আলোচনা–সমালোচনা।

ফেসবুকে দেওয়া নতুন পোস্টে শিক্ষা মন্ত্রণালয় বলেছে ‘শুক্রবার শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খোলার বিষয়ে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের ভেরিফায়েড পেজে মাননীয় শিক্ষামন্ত্রীর বরাতে দেওয়া তথ্য ভুলবশত পোস্ট করা হয়েছে। এ বিষয়ে কোনো সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়নি। তবে পরবর্তী সিদ্ধান্ত না দেওয়া পর্যন্ত শনিবারের পাঠদান কার্যক্রম অব্যাহত থাকবে।’

এর আগে প্রচণ্ড তাপপ্রবাহের কারণে প্রায় এক সপ্তাহ বন্ধ থাকার পর রোববার থেকে আবারও স্কুল কলেজগুলোতে পাঠদান শুরু হয়েছে। শিক্ষা মন্ত্রণালয় আগেই জানিয়েছে,  পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত শনিবারও ক্লাস চলবে।   

এদিকে, শুক্রবার শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খোলা রাখার বিষয়ে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের বিভিন্ন সময়ে বিভিন্ন সিদ্ধান্তের কারণে অভিভাবকরাও পড়েছে দোটানায়। কোন ঘোষণা ঠিক আর কোনটি ভুল এই নিয়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমেও চলছে তুলকালাম আলোচনা। 

শিক্ষা মন্ত্রণালয়   শিক্ষামন্ত্রী   মহিবুল হাসান চৌধুরী  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড বাংলাদেশ

বৃহস্প‌তিবার ঢাকায় আসছেন ভারতীয় পররাষ্ট্রস‌চিব

প্রকাশ: ০৭:৫৩ পিএম, ০৫ মে, ২০২৪


Thumbnail

চলতি মাসের ৯ তারিখ বৃহস্প‌তিবার ঢাকা সফরে আস‌ছেন ভারতের পররাষ্ট্রসচিব বিনয় কোয়াত্রা। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করে দিল্লি সফরের আমন্ত্রণ পৌঁছে দেওয়ার কথা রয়েছে তার। 

ঢাকার এক‌টি কূটনৈ‌তিক সূত্র কোয়াত্রার ঢাকা সফ‌রের তথ্য নি‌শ্চিত করেছে। 

সূত্র জানায়, আগামী ৯ মে ভারতীয় পররাষ্ট্র স‌চিবের ঢাকায় আসার তা‌রিখ চূড়ান্ত হয়েছে। ঢাকা সফরে তার মূল বৈঠক হবে পররাষ্ট্র স‌চিব মাসুদ বিন মোমেনের স‌ঙ্গে। গত ২০ এ‌প্রিল ঢাকায় আসার কথা ছিল ভারতের পররাষ্ট্রসচিব বিনয় কোয়াত্রার। তবে অনিবার্য কারণে ভারতের পররাষ্ট্রসচিবের পূর্বনির্ধারিত সেই সফর স্থগিত হয়।

জানা গেছে, এক‌দিনের আসন্ন ঢাকা সফরে বাংলাদেশের পররাষ্ট্রস‌চিব মাসুদ বিন মোমেনের সঙ্গে বৈঠক করবেন কোয়াত্রা। বৈঠকে প্রধানমন্ত্রীর দি‌ল্লি সফরসহ দুই দে‌শের স্বার্থ সং‌শ্লিষ্ট বিষয়ে আলোচনার কথা রয়েছে। এছাড়া প্রধানমন্ত্রী শেখ হা‌সিনার সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করবেন কোয়াত্রা। আশা করা হচ্ছে, সরকার প্রধানের সঙ্গে সাক্ষাৎ করে দিল্লি সফরের আমন্ত্রণপত্র পৌঁছে দেবেন তি‌নি।


ভারতীয় পররাষ্ট্র স‌চিব   বিনয় কোয়াত্রা   ঢাকা সফর  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড বাংলাদেশ

তীব্র তাপপ্রবাহের পর হবিগঞ্জে কালবৈশাখী ঝড়

প্রকাশ: ০৭:৫৮ পিএম, ০৫ মে, ২০২৪


Thumbnail

তীব্র তাপপ্রবাহের পর হবিগঞ্জে কালবৈশাখী ঝড় ও শিলাবৃষ্টি হয়েছে। এতে ঘরবাড়ি ও যানবাহনের ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে।

রোববার (৫ মে) দুপুরে হবিগঞ্জ পৌর এলাকা ও সদর উপজেলার বিভিন্ন ইউনিয়নে শিলাবৃষ্টি ও কালবৈশাখী ঝড় হয়। প্রায় ২০ মিনিট ধরে এ শিলাবৃষ্টি চলে। এ সময় একেকটি শিলার ওজন ছিল ১০০ থেকে ১৫০ গ্রাম। শিলাবৃষ্টিতে বিভিন্ন যানবাহনের গ্লাস ভেঙে ক্ষয়ক্ষতি হয়। এ ছাড়া ঘরবাড়ির ব্যাপক ক্ষতি রয়েছে।

পৌর এলাকার বাসিন্দা মো. লায়েক আলী বলেন, তীব্র গরমের পর বৃষ্টি হলেও শিলাবৃষ্টির কারণে আমার বসত ঘরের টিনের অনেক ক্ষতি হয়েছে। এ ছাড়া ফসলেরও ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে।

গাড়ি চালক সৈকত বলেন, শিলাবৃষ্টিতে গরম কমলেও আমার গাড়ির গ্লাস ভেঙে গেছে। 


হবিগঞ্জ   কালবৈশাখী ঝড়   শিলাবৃষ্টি  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড বাংলাদেশ

যেকোনো সময় সুন্দরবনের আগুন জ্বলে উঠার আশঙ্কা

প্রকাশ: ০৬:৫৫ পিএম, ০৫ মে, ২০২৪


Thumbnail

সুন্দরবনে লাগা আগুন বর্তমানে নিয়ন্ত্রণে আছে বলে জানিয়েছে পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়। তবে মন্ত্রণালয় বলছে, আগুন নিয়ন্ত্রণে থাকলেও আগামী কয়েক দিন এখানে অগ্নিনির্বাপণ সংশ্লিষ্ট কার্যক্রম চলমান রাখা হবে। কারণ আবার যেকোনো সময় এটি নতুনভাবে সৃষ্টি ও বিস্তৃতি লাভ করার আশঙ্কা রয়েছে।

রোববার (৫ মে) বিকেলে সংবাদ মাধ্যমে পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র তথ্য অফিসার দীপংকর বরের পাঠানো এক বিজ্ঞপ্তিতে এসব কথা জানানো হয়।

এতে বলা হয়, বাগেরহাট জেলার মোড়েলগঞ্জ উপজেলায় সুন্দরবন পূর্ব বন বিভাগের আওতাধীন চাঁদপাই রেঞ্জের আমরবুনিয়া ক্যাম্পের বনাঞ্চলের আগুন এখন নিয়ন্ত্রণে আছে। আগুন গাছের ওপরে বা ডালপালায় বিস্তৃত হয়নি, শুধু মাটির ওপরে বিক্ষিপ্তভাবে বিস্তৃত হয়েছে। ঘটনাস্থলে বন বিভাগের পাশাপাশি ফায়ার সার্ভিসের কয়েকটি ইউনিট, নৌবাহিনী, পুলিশ, জেলা প্রশাসন, উপজেলা প্রশাসন, জনপ্রতিনিধি, সিপিজি, স্বেচ্ছাসেবক ও স্থানীয় জনগণ অগ্নিনির্বাপণে সহায়তা করছেন। এ ছাড়া বিমান বাহিনীর একটি হেলিকপ্টারও অগ্নিনির্বাপণে ওপর থেকে পানি ছিটিয়ে সহায়তা করেছে।

এর আগে রোববার সকাল ৯টা থেকে পূর্ব সুন্দরবনের চাঁদপাই রেঞ্জের আমরবুনিয়ার ছিলা এলাকায় লাগা আগুন নিয়ন্ত্রণে কাজ শুরু হয়। এ সময় নৌবাহিনীর মোংলা ঘাঁটির ১০ সদস্যের একটি অগ্নি নির্বাপক দল আগুন নেভানোর কাজে যোগ দেয়। এরপর ফায়ার সার্ভিসের সদস্যরা পাশের ভোলা নদী থেকে পানি ওঠানোর জন্য পাইপ সংযোগ দিয়ে চারদিকে ফায়ার লাইন কাটেন।

এর আগে শনিবার (৪ মে) দুপুরের দিকে আগুন লাগার ঘটনা প্রথম উদঘাটিত হয়। এ ঘটনা জানার সঙ্গে সঙ্গে বন বিভাগের পাশাপাশি ফায়ার সার্ভিস এবং সংশ্লিষ্ট সরকারি অন্য প্রতিষ্ঠানের লোকজন ঘটনাস্থলে পৌঁছান। বন বিভাগের কর্মীরা স্থানীয় কমিউনিটি পেট্রোলিং গ্রুপ, ভিলেজ টাইগার রেসপন্স টিম এবং স্থানীয় জনগণের সহায়তায় চারপাশ থেকে ফায়ার লাইন কাটার কাজ শুরু করেন। কিন্তু ওই সময় ভাটার কারণে খালে পানি না থাকায় আগুনে পানি দেওয়া সম্ভব হয়নি।

তবে রাতেই বন বিভাগের নিজস্ব ফায়ার ফাইটিং ইকুইপমেন্ট এবং পানি দেওয়ার মেশিন এনে সেটি রেডি করে পাইপ লাগিয়ে সেট করে রাখা হয়।

সুন্দরবন   আগুন   পরিবেশ   বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়  


মন্তব্য করুন


বিজ্ঞাপন