নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০৮:০১ পিএম, ১৫ জানুয়ারী, ২০১৮
বিএনপির একাধিক নেতা মনে করছেন, ২০ দলীয় জোট ভাঙ্গতেই সরকার মেয়র নির্বাচনের নাটক করেছে। বিএনপির ওই নেতারা মনে করছেন, বিএনপি সরকারের পাতানো ফাঁদে পা দিয়েছে। তাদের মতে, শেষ পর্যন্ত মেয়র নির্বাচন হবে না, শুধু ২০ দলে অবিশ্বাস্য আর অশান্তির জীবানু ছড়িয়ে পড়বে।
বিএনপির নেতা গয়েশ্বর চন্দ্র রায়, নজরুল ইসলাম খান এবং মির্জা আব্বাস দলের কর্মীদের কাছে এরকম মন্তব্য করেছেন। বিএনপির বিভিন্ন স্তরের কর্মীরা এ তথ্য জানিয়েছেন।
দলের স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস। ঢাকার সাবেক মেয়র ছিলেন। ঢাকার রাজনীতিতে তিনি এক বড় ফ্যাক্টর। সাদেক হোসেন খোকার মতো জনপ্রিয় না হলেও তাঁর নিজস্ব কর্মী বাহিনী আছে। কর্মীদের তিনি নির্বাচনের মাঠে আগেই না নামতে নির্দেশ দিয়েছেন। মির্জা আব্বাস বলেছেন ‘শেষ পর্যন্ত মেয়র নির্বাচন হবে না। সরকার মেয়র নির্বাচনের হুজুগ উঠিয়ে ২০ দল ভাঙ্গতে চাইছে।’ কর্মীদের তিনি বলেছেন, ‘সরকারের গ্রিন সিগন্যাল ছাড়া জামাতের সেলিম প্রার্থী হতে পারে না। এখন শুনছি তারা অনঢ়।’
মির্জা আব্বাসের মতোই ঢাকা উত্তরের মেয়র নির্বাচনকে জোট ভাঙ্গনের খেলা বলছেন, ‘গয়েশ্বর চন্দ্র রায়। গয়েশ্বর অবশ্য মনে করেন, বেগম জিয়ার রায় আর মেয়র নির্বাচনের নাটকের মধ্যে সম্পর্ক রয়েছে।’ কর্মীদের কাছে বিরক্তি প্রকাশ করে গয়েশ্বর বলেছেন, মেয়র নির্বাচনে যাওয়া একটি ভুল সিদ্ধান্ত। তাঁর মতে, শেষ পর্যন্ত দেখা যাবে নির্বাচন হবে না, কিন্তু ২০ দলের জোট আর থাকবে না। গয়েশ্বর রায় মনে করেন, এমনিতেই ২০ দলে অনেক অসন্তোষ রয়েছে। দলগুলো প্রায়ই মনে করে তাদের মূল্যায়ন করা হয় না। গয়েশ্বর রায় দাবি করেছেন, অনেকদিন ধরেই সরকার জামাতকে বশীকরণের চেষ্টা করছে। জামাতের নেতাদের গ্রেপ্তার করে তাদের জোট ত্যাগের জন্য চাপ দেওয়া হয়েছিল।
মেয়র নির্বাচন ইস্যুতে জামাতকে আলাদা করে ফেলবে সরকার বলেও কর্মীদের কাছে আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন বিএনপির এই নেতা।
বিএনপির আরেক নেতা নজরুল ইসলাম খানও বিশ্বাস করেন বিএনপিকে বিভ্রান্ত করতে এবং কর্মীদের মনোবল নষ্ট করতেই মেয়র নির্বাচনের মঞ্চ সাজানো হয়েছে। কর্মীদের তিনি বলেছেন, শেষ পর্যন্ত নির্বাচন না হলে হতাশ না হতে। নজরুল ইসলাম খান মনে করেন, মেয়র নির্বাচনে সরকারের জয়ী হবার সম্ভাবনা নেই। আওয়ামী লীগ যে প্রার্থীর দেবে বলে শোনা যাচ্ছে, সেই প্রার্থীও হেভীওয়েট প্রার্থী না। আওয়ামী লীগ আসলে তামাশা করছে।
তবে, বিএনপির মধ্যে একাংশ মনে করেন বাইরে থেকে কেউ যদি জোট ভাঙ্গতে পারে তাহলে মনে করতে হবে জোটেই সমস্যা আছে। আর মেয়র নির্বাচন না হলে সমস্যা কি, এই সুযোগে কর্মীরা তো চাঙ্গা হলো।
Read in English- http://bit.ly/2Dz0kPS
বাংলা ইনসাইডার
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
সিরাজগঞ্জে গণমাধ্যম কর্মীদেরকে নিয়ে ভাষায় লিঙ্গীয় বৈষম্য নারী পক্ষ নামে একটি সংগঠন সিরাজগঞ্জ ও পাবনার সাংবাদিকদের সাথে মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়।
রবিবার (১৯ মে') দুপুরে শহরের এস. এস রোডস্থ নর্থ টাউন রেস্তোরাঁয় প্রোগ্রাম ফর উইম্যান ডেভোলপমেন্ট (পি ডাব্লিউডি) সার্বিক সহযোগিতা ও নারীপক্ষ আয়োজনে ভাষায় লিঙ্গীয় বৈষম্য দিনব্যাপী মতবিনিময় সভার শুভ উদ্বোধন করেন নারীপক্ষ চেয়ার পারসন গীতা দাস।
মতবিনময় সভায় নারীপক্ষ চেয়ারপার্সন গীতা দাস বলেন, মানুষ কোনো ভালো কর্ম করলে তাকে বিশেষায়িত করা যায়। কিন্তু নারীরা নির্যাতিত হলেও তাদেরকে বিশেষায়িত করা হয়। যেমন ধর্ষণের শিকার হলে তাকে ধর্ষিতা, নির্যাতনের শিকার হলে নির্যাতিতা বলা হয়। অথচ ধর্ষণের শিকার, নির্যাতনের শিকার লিখলেও হয়।’ একজন নারীকে মানুষ হিসেবে দেখলে এ অবস্থার পরিবর্তন ঘটবে বলেও উল্লেখ করেন তিনি।
এসময়ে উপস্থিত ছিলেন কামরুন নাহার, ফেরদৌসী আখতার, পিডাব্লিউডি নির্বাহী পরিচালক হুসনে আরা জলি।
এছাড়াও আরো উপস্থিত ছিলেন বেসরকারি চ্যানেল টুয়েন্টিফর সিনিয়র রিপোর্টার সাংবাদিক হীরুকগুণ, এনটিভি জেলা প্রতিনিধি শরিফুল ইসলাম ইন্না, দৈনিক মানবজমিন পত্রিকার সিরাজগঞ্জ প্রতিনিধি সুজন সরকার, বৈশাখী টেলিভিশন সিরাজগঞ্জ প্রতিনিধি সুজিত সরকার, দীপ্ত টিভির সিরাজগঞ্জ প্রতিনিধি শিশির, দীপ্ত টিভি পাবনা জেলা প্রতিনিধি শামসুল আলম সহ অনেকে।
মন্তব্য করুন
পাবনার আটঘরিয়া উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান প্রার্থী সাইফুল ইসলাম কামালের বিরুদ্ধে জীবন্ত ঘোড়া নিয়ে প্রচারণার অভিযোগ উঠেছে। শুক্রবার (১৭ মে) বিকেলে উপজেলার একদন্ত ইউনিয়নের শিবপুর বাজার এলাকা থেকে জীবন্ত ঘোড়া নিয়ে নির্বাচনী প্রচারণা করেন চেয়ারম্যার প্রার্থী সাইফুল ইসলাম কামাল।
ষষ্ঠ উপজেলা পরিষদের তৃতীয় ধাপে আটঘরিয়া উপজেলা পরিষদের নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। এই উপজেলা চেয়ারম্যান পদে ২ জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। এদের মধ্যে সাইফুল ইসলাম ঘোড়া প্রতীক নিয়ে নির্বাচনে অংশ নিচ্ছেন।
এ বিষয়ে উপজেলা চেয়ারম্যান ও মোটরসাইকেল প্রতীকের চেয়ারম্যার প্রার্থী তানভীর ইসলাম বলেন, সাইফুল ইসলাম কামালের গুন্ডা সন্ত্রাসীরা প্রতিনিয়ত আমার কর্মী, সমর্থক, ভোটারদের ভয়ভীতি, হুমকী, উচ্ছৃঙ্খল আচরণ করে ভোট দিতে নিরুৎসাহিত করছে। ফলে নির্বাচন কমিশনের ষষ্ঠ উপজেলা পরিষদ নির্বাচন আচরণবিধি সাইফুল ইসলাম কামাল বারবার লঙ্ঘন করে উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে ক্ষমতার প্রভাব বিস্তার করছেন।
অভিযোগের বিষয়ে জানতে চাইলে চেয়ারম্যান প্রার্থী সাইফুল ইসলাম কামাল বলেন, ‘ঘোড়া নিয়ে প্রচার প্রচারণা করিনি। তবে আমি ঘেড়ার গাড়ি নিয়ে প্রচার প্রচারণা করেছি। এটাও যদি বিধি নিষেধ থাকে তাহলে এটাও পরিহার করবো।’
পাবনার অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্টেট ও রিটার্নিং অফিসার আব্দুল্লাহ আল মামুন বলেন, জীবন্ত ঘোড়া নিয়ে নির্বাচনী প্রচারণায় চেয়ারম্যান প্রার্থী এমন একটি অভিযোগ পেয়েছি আমরা। তদন্ত পূর্বক প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে জানান তিনি।
মন্তব্য করুন