ইনসাইড বাংলাদেশ

সংসদ নির্বাচনকে কেন্দ্র করে ইসির ১০ সিদ্ধান্ত

প্রকাশ: ০৭:০২ পিএম, ২২ অগাস্ট, ২০২২


Thumbnail সংসদ নির্বাচনকে কেন্দ্র করে ইসির ১০ সিদ্ধান্ত

দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনকে কেন্দ্র করে দেশের নিবন্ধিত রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে সংলাপ করেছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। সংলাপে রাজনৈতিক দলগুলোকে থেকে পাওয়া সুপারিশগুলো পর্যালোচনা করে সিদ্ধান্তে পৌঁছেছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। এক্ষেত্রে নির্বাচনী প্রচারে দলগুলোকে এক মঞ্চে আনা, রিটার্নিং কর্মকর্তা হিসেবে জেলা প্রশাসকদের পাশাপাশি অন্য বিভাগ থেকে নিয়োগ ও সেনা মোতায়েনহ দশটি সিদ্ধান্তের কথা জানিয়েছে সংস্থাটি।

প্রধান নির্বাচন কমিশনার কমিশনার (সিইসি) কাজী হাবিবুল আউয়াল স্বাক্ষরিত এ সংক্রান্ত প্রতিবেদন সোমবার (২২ আগস্ট) সাংবাদিকদের দেওয়া হয়েছে।

এতে সিইসি বলেছেন, বর্তমান ৫ সদস্যের নির্বাচন কমিশন গত ২৭ ফেব্রুয়ারি শপথ নিয়ে দায়িত্ব গ্রহণ করেছে। দায়িত্ব গ্রহণের পর দাপ্তরিক বিভিন্ন কাজ করা ছাড়াও সুধিসমাজের বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার বিশিষ্টজনদের সঙ্গে সংলাপের মাধ্যমে মতবিনিময় করেছে।

নিবন্ধিত সকল রাজনৈতিক দলের সঙ্গে সংলাপ আয়োজন করে মতবিনিময়ের সিদ্ধান্ত হয়েছিল। তারই ধারাবাহিকতায় নির্বাচন কমিশন নিবন্ধিত ৩৯টি রাজনৈতিক দলকে আমন্ত্রণ করে সংলাপের আয়োজন করে। ১৭ জুলাই থেকে ৩১ জুলাই পর্যন্ত সংলাপ অনুষ্ঠিত হয়। নিবন্ধিত ৩৯টি রাজনৈতিক দলের মধ্যে ২৮টি দল সংলাপে অংশগ্রহণ করেছে। দুটি দলকে আবেদনের ভিত্তিতে আগামী সেপ্টেম্বরে সংলাপে অংশ গ্রহণের জন্য সম্মতি দেওয়া হয়েছে। বিএনপিসহ নয়টি দল প্রকাশ্য ঘোষণা দিয়ে সংলাপে অংশগ্রহণ করা থেকে বিরত থেকেছে।  
 
ইসির সিদ্ধান্তগুলো হলো-
১. সকল দল বিশেষ করে প্রধান দলগুলোর অংশগ্রহণ নিশ্চিত করার প্রস্তাবের পরিপ্রেক্ষিতে নির্বাচন কমিশনের মতামত হচ্ছে, কমিশন নির্বাচনে সকল দলের বিশেষত প্রধানতম রাজনৈতিক দলগুলোর সক্রিয় অংশগ্রহণ আন্তরিকভাবে প্রত্যাশা করে। নির্বাচন কমিশন কোনো দলকে নির্বাচনে অংশগ্রহণ করতে বাধ্য করতে পারে না এবং সে ধরনের কোনো প্রয়াস নির্বাচন কমিশন গ্রহণ করবে না। তবে সকল দলকে আগামী দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে অংশগ্রহণ করার আহ্বান শেষ পর্যন্ত আন্তরিকভাবেই বহাল থাকবে।

২. সঠিক ফলাফল নিশ্চিতকরণ, পেশিশক্তি প্রতিরোধ ও রিটার্নিং কর্মকর্তা নিয়োগ সংক্রান্ত দলগুলোর প্রস্তাবের ক্ষেত্রে নির্বাচন কমিশনের বক্তব্য হচ্ছে, সংবিধান, আইন ও বিধি-বিধানের অধীনে প্রদত্ত সকল ক্ষমতা যথাযথভাবে প্রয়োগ করে ভোটারদের ভোটাধিকার প্রয়োগে সৃষ্ট সকল বাধা ও প্রতিবন্ধকতা অপসারণ করে লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড প্রতিষ্ঠা করে নির্বিঘ্নে ভোটাধিকার প্রয়োগের অনুকূল পরিবেশ ও সুযোগ সৃষ্টি করতে কমিশন সব উদ্যোগ গ্রহণ করবে। সেই সঙ্গে কারচুপির সম্ভাব্য সকল সুযোগ প্রতিরোধ করে সঠিক ও নিরপেক্ষ ফলাফল নিশ্চিত করতে সততা, আন্তরিকতা, নিষ্ঠা, সাহসিকতা ও দায়িত্বশীলতার সঙ্গে কমিশন কাজ করে যাবে।

নির্বাচনে জয় পরাজয় অনিবার্য। প্রার্থীদের জয়পরাজয় মেনে নিতে হবে। পরাজয় মেনে না নেওয়ার মানসিকতা পরিত্যাগ করতে হবে।

প্রার্থীরা প্রতিটি কেন্দ্রে কর্মী রেখে সক্রিয়ভাবে প্রতিটি আসনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করলে সৃষ্ট ভারসাম্য অর্থশক্তি ও পেশিশক্তির ব্যবহার ও প্রভাব অনেকাংশে প্রতিরোধ করে লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড প্রতিষ্ঠায় সহায়ক হবে।  

৩. ভোটকেন্দ্র পর্যবেক্ষণ সংক্রান্ত সুপারিশের ক্ষেত্রে কমিশন সিদ্ধান্ত হলো- দেশি এবং বিদেশি নির্বাচন পর্যবেক্ষকদের ভোট পর্যবেক্ষণের সুযোগ দেওয়া হবে। ভোটারদের ভোটাধিকার প্রয়োগ অবাধ, নির্বিঘ্ন, স্বচ্ছ ও দৃশ্যমান করতে ভোটকেন্দ্রের অভ্যন্তরে সিসি ক্যামেরা প্রতিস্থাপন করে ভোটকেন্দ্রের অভ্যন্তরভাগের দৃশ্য বাহির থেকে পর্যবেক্ষণের সুযোগ, সামর্থ্য সাপেক্ষে দেওয়া হবে।

৪. একাধিক দিনে নির্বাচন ও সেনা নিয়োগের বিষয়ে সিইসি বলেছেন- একাধিক দিনে নির্বাচন অনুষ্ঠান করার বিষয়টি নিয়ে কমিশনের সঙ্গে বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের আলোচনা হয়েছে। এক্ষেত্রে আগে অনুষ্ঠিত নির্বাচনের ফলাফলের গোপনীয়তা রক্ষা করতে হবে কিনা, হলে তা কীভাবে সম্ভব হবে, দিনের ফলাফল দিনশেষে প্রকাশ করা হবে কিনা, করা হলে তা পরের নির্বাচনকে প্রভাবিত করবে কিনা ইত্যাদি বিষয়ে আলোচনা ও মতবিনিময় করা হয়েছে। বিষয়টি নিয়ে আরও পরীক্ষা-নিরীক্ষা ও সংশ্লিষ্ট অংশীজনের সঙ্গে পরামর্শ করার প্রয়োজন রয়েছে।

দেশে একই দিনে সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠান করা হয় বিধায় প্রতিটি ভোটকেন্দ্রে আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকাজে নিয়োজিত অসামরিক আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যদের সংখ্যা অপর্যাপ্ত বা অপ্রতুল হতে পারে। একারণে আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকাজে সেনা মোতায়েনের প্রস্তাবনাটি যৌক্তিক বলে কমিশন মনে করে।

৫. ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিনের (ইভিএম) বিষয়ে কমিশন মনে করে- ইভিএম ব্যবহারের পক্ষে রাজনৈতিক দলগুলোর আপত্তি এবং সমর্থন দুই-ই রয়েছে। কমিশন তা শ্রবণ করেছে এবং মতবিনিময় করেছে। ইভিএম-এর ব্যবহার নিয়ে ইতোপূর্বে সকল দলের (কতিপয় দল অংশগ্রহণ করেনি) আমন্ত্রিত প্রতিনিধি ও বিশেষজ্ঞদের নিয়ে সংলাপ ও কর্মশালা করা হয়েছে।

এছাড়া বুয়েটসহ বিভিন্ন সরকারি ও বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের আইটি বিষয়ে সর্বজনবিদিত বিশিষ্ট অধ্যাপকদের অংশগ্রহণে একাধিক সংলাপ ও কর্মশালা করা হয়েছে। যেহেতু সদ্য সমাপ্ত রাজনৈতিক সংলাপ ছাড়াও ইতিপূর্বে ইভিএম নিয়ে আরো সংলাপ, কর্মশালা ও পরীক্ষা-নিরীক্ষা হয়েছে এবং যেহেতু কমিশন ইভিএম-এর সার্বিক বিষয়ে এখনো স্থির কোনো সিদ্ধান্তে আসতে পারেনি। এটি নিয়ে কর্মশালা, মতবিনিময়, পরীক্ষা-নিরীক্ষা হয়েছে তার সার্বিক ফলাফল পরীক্ষা-নিরীক্ষা ও বিচার-বিশ্লেষণ করে আসন্ন দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ইভিএম-এর ব্যবহার বিষয়ে কমিশন যথাসময়ে অবহিত করবে।  

ব্লক চেইন পদ্ধতিতে বিশেষ অ্যাপের মাধ্যমে ঘরে বসে ই-ভোট প্রদানের প্রস্তাবটি আগামী সংসদ নির্বাচনে প্রয়োগ সম্ভব নয়।

৬. অনলাইনে মনোনয়নপত্র দাখিল, এক মঞ্চে প্রচার ও ঋণ খেলাপির বিষয়ে সিইসি তার প্রতিবেদনে বলেছেন- অনলাইনে নমিনেশন পেপার দাখিল গ্রহণের সুযোগ বা বিধান বর্তমানে আরপিওতে রয়েছে। একই মঞ্চ থেকে সকল দলের প্রার্থীদের বক্তব্য দানের এবং প্রচারণার নতুন পদ্ধতি প্রবর্তন করার, নির্ধারিত স্থানে সকল প্রার্থীর পোস্টার লাগানোর ব্যবস্থা করা এবং প্রয়োজনে একই পোস্টারে সকল প্রার্থীর প্রচারণার ব্যবস্থা করার প্রস্তাব আধুনিক। এতে নির্বাচনী ব্যয় কমে আসতে পারে। নির্বাচনী সহিংসতা হ্রাস পেতে পারে। রাজনীতিতে সম্প্রীতির নতুন সংস্কৃতির প্রচলন হতে পারে।

ইউটিলিটি বিল বাকি থাকার কারণে প্রার্থী হওয়ার অযোগ্য বিষয়ক বিধানটি যৌক্তিক করার বিষয়ে কমিশন বিবেচনা করবে।

৭. নির্বাচনকালীন সরকার সংশ্লিষ্ট সংলাপে আসা সুপারিশের পরিপ্রেক্ষিতে সিইসি বলেন, নির্বাচন কমিশন মনে করে নির্বাচনকালীন সরকারের বিষয়টি রাজনৈতিক সিদ্ধান্তের বিষয়। অবাধ ও নিরপেক্ষ নির্বাচনের প্রয়োজনে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়, স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রাণালয় ও প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়কে নির্বাচনকালীন সময়ে নির্বাচন কমিশনের অধীনে ন্যস্ত করার বিষয়টিও সংবিধানের আলোকে বিবেচিত হওয়া প্রয়োজন। তবে, কমিশন মনে করে অবাধ, নিরপেক্ষ, শান্তিপূর্ণ ও সহিংসতা-বিবর্জিত নির্বাচনের প্রয়োজনে গণপ্রতিনিধিত্ব আইনে যে নিয়ন্ত্রণ ক্ষমতা সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়গুলোর ওপর কমিশনকে দেওয়া আছে। সেগুলোর প্রয়োগ ও বাস্তবায়নে সংশ্লিষ্ট সকল নির্বাহী কর্তৃপক্ষ অবহিত ও সচেতন থাকবে এবং কোনো মহল থেকে সেগুলোর প্রয়োগ ও বাস্তবায়নে কোনো রকম প্রতিবন্ধকতা বা বাধা সৃষ্টি যাতে না করা হয়, সংশ্লিষ্ট সকল নির্বাহী বিভাগকে সাংবিধানিক ও সংবিধিবদ্ধ দায়িত্ব হিসেবে সেগুলো নিশ্চিত করতে হবে।  

৮. ক্ষমতাসীন দলের বাধা, মিথ্য মামলার বিষয়ে কমিশন মনে করে সাধারণ মানুষদের মধ্যে এমন একটি ধারণা বা বিশ্বাস প্রবল। কমিশন দৃঢ়ভাবে আরও বিশ্বাস করতে চায় সরকারি দল এ ধরনের নির্বাচন আচরণ বিধি ভাঙার মতো কাজ থেকে বিরত থাকবে এবং রাজনৈতিক কারণে কোনো মামলা করে সুস্থ গণতন্ত্র চর্চার পথ বন্ধ করবে না। এক্ষেত্রে নির্বাচনকালীন সময়ে সকল অংশীজনের কার্যকলাপ কমিশন গভীর পর্যবেক্ষণে রাখবে।

৯. সংখ্যানুপাতিক সংসদীয় ব্যবস্থার সুপারিশের বিষয়ে সিইসি জানান,  কমিশন পরামর্শটি গুরুত্বসহকারে শ্রবণ ও বিবেচনা করেছে। তবে আনুপাতিক প্রতিনিধিত্ব (Proportional Representation) ও দ্বি-কক্ষবিশিষ্ট আইনসভা (Bicameral Legislature) গঠন করা, সংসদ সদস্যের সংখ্যা বর্ধিত করা এবং নারী আসনে সরাসরি প্রতিদ্বন্দ্বিতা করার প্রস্তাবনাটি দেশের রাজনৈতিক নেতৃত্ব, সরকার এবং জাতীয় সংসদের এখতিয়ারাধীন বলে কমিশন মনে করে।

১০. ক্ষমতা প্রয়োগের সুপারিশের বিষয়ে কমিশন বরাবরের মতো প্রতিশ্রুতি পুনর্ব্যক্ত করে বলতে চায় যে, সংবিধানের অধীন গৃহীত শপথের প্রতি অনুগত থেকে সৎ, নিরেপক্ষ ও সাহসিকতার সঙ্গে সংবিধান ও আইন অনুযায়ী দায়িত্ব পালন করবে। নির্বাচনকে অবাধ ও নিরপেক্ষ করতে সংবিধান ও আইনে প্রদত্ত ক্ষমতা সততা ও সাহসিকতার সঙ্গে প্রয়োগ করতে বদ্ধপরিকর।

সংসদ নির্বাচন   সুপারিশ   রাজনৈতিক দল  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড বাংলাদেশ

চীন-ভারতের সাথে ভারসাম্য কতদিন রক্ষা করতে পারবে বাংলাদেশ?

প্রকাশ: ০৭:০০ পিএম, ০৯ মে, ২০২৪


Thumbnail

ভারতের লোকসভা নির্বাচনের মধ্যেই সে দেশের পররাষ্ট্র সচিব এখন বাংলাদেশ সফর করছেন। বাংলাদেশ সফরে তিনি আজ বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ বিষয় নিয়ে কথা বলেছেন। নির্বাচনকালীন সময়ে একজন পররাষ্ট্র সচিবের বাংলাদেশ সফর অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ এবং তাৎপর্যপূর্ণ। 

কূটনৈতিক সূত্র বলছে, বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে আগামী মাসে ভারত সফরের আমন্ত্রণ জানানোর জন্যই মূলত বিনয় মোহন কোয়াত্রার বাংলাদেশ সফর। এই সফরে দুই দেশের পররাষ্ট্র সচিব এবং বাংলাদেশের পররাষ্ট্র মন্ত্রীর সাথে বিনয় মোহন কোয়াত্রা গুরুত্বপূর্ণ বিষয় নিয়ে আলোচনা করেছেন। 

ভারতের লোকসভার নির্বাচনের ফলাফল জানা যাবে ৪ জুন এবং বিশ্বের সবচেয়ে বড় গণতান্ত্রিক দেশে অনিশ্চয়তায় ভরা এই নির্বাচনের ফলাফল কী হবে তা এখন পর্যন্ত অনুমান করা যাচ্ছে না। এ রকম পরিস্থিতিতে ভারতে যে সরকারই আসুক না কেন, বাংলাদেশের সঙ্গে যে ভারতের সম্পর্কের কোন পরিবর্তন হবে না তার ইঙ্গিত দেওয়া হলো পররাষ্ট্র সচিবের বাংলাদেশ সফরের মধ্য দিয়ে। এই সফরের মধ্যে দিয়ে ভারত বুঝিয়ে দিল যে, বাংলাদেশ তাদের কাছে কত গুরুত্বপূর্ণ। বাংলাদেশের সঙ্গে সম্পর্ক অটুট রাখতে এবং সম্পর্ককে এগিয়ে নেওয়ার ক্ষেত্রে ভারত যে অত্যন্ত আগ্রহী এই বার্তাটি সুস্পষ্ট হলো। 

ভারতের পররাষ্ট্র সচিব যখন বাংলাদেশ সফর করছেন, সেই সময় জানা গেল যে, আগামী জুলাই মাসে প্রধানমন্ত্রীর চীন সফরের জন্য প্রস্তুতি চলছে। চীনের পক্ষ থেকে আগেই প্রধানমন্ত্রীকে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে। তবে বাংলাদেশের কূটনীতির একটি অন্যতম নীতি হলো প্রতিবেশী প্রথম। আর এ কারণেই প্রধানমন্ত্রীর প্রথম দ্বিপাক্ষিক সফরে যাচ্ছেন ভারতের। ভারতের পরপরই তিনি চীন সফরে যাবেন বলে কূটনৈতিক সূত্রগুলো মনে করছে। 

এবারের পররাষ্ট্র সচিবের সফরের একটা তাত্পর্যপূর্ণ দিক ছিল যে, বাংলাদেশের তিস্তা প্রকল্পের জন্য ভারত বিনিয়োগে আগ্রহী। এই তিস্তা প্রকল্পের ব্যাপারে দীর্ঘদিন ধরেই আগ্রহ প্রকাশ করে আসছে চীন। বিশেষ করে তিস্তা ব্যারাজের দুইপাশে জলাধার নির্মাণ করা এবং বর্ষা মৌসুমে সেই জলাধারে পানি সংরক্ষণ করা যেন গ্রীষ্ম মৌসুমে কোনো সমস্যা না হয়। সেই জন্য এই প্রকল্পের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছিল। ভারত এতদিন ধরে এই ধরনের প্রকল্পের বিরোধিতা করে আসছিল। কিন্তু এবার পররাষ্ট্র সচিব এই প্রকল্পের ব্যাপারে আগ্রহ প্রকাশ করেছে। তাছাড়া বাংলাদেশের জন্য স্পর্শকাতর ইস্যু তিস্তার পানি চুক্তির ব্যাপারেও আশ্বস্ত করা হয়েছে। 

প্রশ্ন উঠেছে যে, ভারত বাংলাদেশের ব্যাপারে এত আগ্রহী কেন? এর অন্যতম কারণ হলো বাংলাদেশ যেন চীনের বলয়ের মধ্যে প্রবেশ না করে এবং চীনের।নিয়ন্ত্রণের মধ্যে না যায়। এমনিতেই উপমহাদেশের বিভিন্ন দেশগুলো এখন চীনের বলয়ের মধ্যে ঢুকে গেছে। মালদ্বীপ, শ্রীলঙ্কা, ভুটান, নেপালে চীনের কর্তৃত্ব প্রতিষ্ঠা হয়েছে। বাংলাদেশ এখন এই অঞ্চলে ভারতের একমাত্র বন্ধু। এ কারণেই ভারত এখন কোন ভাবেই চাচ্ছে না যে, বাংলাদেশ যেন চীনের সাথে অতি মাখামাখি সম্পর্ক করে। আবার বাংলাদেশ অর্থনৈতিক অগ্রযাত্রা অব্যাহত রাখার জন্য বিশেষ করে সাম্প্রতিক সময়ে অর্থনৈতিক সংকট মোকাবেলার জন্য চীনের ওপর অনেক খানি নির্ভরশীল। আর এ কারণেই বাংলাদেশ চীন এবং ভারতের সাথে সমান্তরাল ভারসাম্যপূর্ণ সম্পর্ক রক্ষা করে চলছে। কিন্তু দুদেশ বাংলাদেশকে কাছে পাওয়ার জন্য যেভাবে আগ্রাসী ভূমিকায় আছে তাতে কতদিন বাংলাদেশ এই ভারসাম্য বজায় রাখতে পারে সেটাই দেখার বিষয়।

চীন   ভারত   বাংলাদেশ  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড বাংলাদেশ

সৌদিতে পৌঁছাল বাংলাদেশের প্রথম হজ ফ্লাইট

প্রকাশ: ০৬:৪২ পিএম, ০৯ মে, ২০২৪


Thumbnail

বাংলাদেশ থেকে এই বছরের প্রথম হজ ফ্লাইট ৪১৫ জন হজযাত্রী নিয়ে সৌদি আরবে পৌঁছেছে।  

বৃহস্পতিবার (৯ মে) সকাল সাড়ে ১১টায় ফ্লাইটটি দেশটির জেদ্দার কিং আবদুল আজিজ বিমানবন্দরের হজ টার্মিনালে অবতরণ করে।

সৌদি আরবে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত ড. মোহাম্মদ জাবেদ পাটোয়ারী বিমানবন্দরে বাংলাদেশি হজযাত্রীদের স্বাগত জানান। এ সময় অন্যদের মধ্যে জেদ্দাস্থ বাংলাদেশ কনস্যুলেটের কনসাল জেনারেল মোহাম্মদ নাজমুল হক ও বাংলাদেশ হজ মিশনের কাউন্সিলর মো. জহিরুল ইসলামসহ সংশ্লিষ্ট অন্যান্য কর্মকর্তাগণ উপস্থিত ছিলেন।

এদিন বিমানবন্দরে মধ্যপ্রাচ্যের দেশটির পক্ষ থেকে বাংলাদেশি হজযাত্রীদের স্বাগত জানান সৌদি ধর্ম মন্ত্রণালয়ের ডেপুটি মিনিস্টার আয়েত আল-খোয়ামী, জেদ্দা বিমানবন্দরের (JEDCO) সিইও ইঞ্জিনিয়ার মাজেন জাওয়াহার, সৌদি পাসপোর্ট অধিদপ্তরের প্রধান মেজর জেনারেল ফয়সাল আল রাজি, হজ্জ ও ওমরাহ মন্ত্রণালয়ের মহাপরিচালক ইঞ্জিনিয়ার আব্দুর রহমান ও অন্যান্য কর্মকর্তাবৃন্দ।

বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত ড. মোহাম্মদ জাবেদ পাটোয়ারী হজযাত্রীদের শুভকামনা জানানোর পাশাপাশি যেকোনো প্রয়োজনে বাংলাদেশ দূতাবাস, কনস্যুলেট ও বাংলাদেশ হজ মিশন সবসময় হজযাত্রীদের পাশে রয়েছে বলেও আশ্বাস দেন।

বাংলাদেশি হজযাত্রীগণ এদিন বিমানবন্দরের ব্যবস্থাপনায় সন্তুষ্টি প্রকাশ করেন। সেই সঙ্গে বাংলাদেশ থেকে আগত হজযাত্রীরা বিমানবন্দরের সুন্দর ব্যবস্থাপনা ও উষ্ণ অভ্যর্থনা পেয়ে সংশ্লিষ্টদের ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন।

সৌদি আরব   হজ ফ্লাইট  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড বাংলাদেশ

ময়মনসিংহে এডিস মশার লার্ভা পাওয়ায় ভবন মালিককে জরিমানা


Thumbnail

ডেঙ্গু প্রতিরোধে ময়মনসিংহ সিটি কর্পোরেশন (মসিক) গৃহীত নিয়মিত কার্যক্রমের অংশ হিসেবে বৃহস্পতিবার (৯ মে) দুপুরে পরিচালিত অভিযানে ময়মনসিংহ সিটি কর্পোরেশন এলাকার আমিরাবাদ হাউজিং ও পলিটেকনিক এলাকায় নির্মাণাধীন ভবনে জমে থাকা পানিতে এডিস মশার লার্ভা পাওয়ায় ভবন মালিকগণকে ২ মামলায় ৭ হাজার টাকা জরিমানা করেছে ভ্রাম্যমাণ আদালত। 

 

মসিক আঞ্চলিক নির্বাহী কর্মকর্তা ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট এস এম মাজহারুল ইসলাম এ ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করেন। তিনি জানান,নির্মাণাধীন ভবন বা প্রতিষ্ঠানে এডিস মশার লার্ভা পাওয়া গেলে তা জরিমানার আওতায় আনা হবে। এ অভিযান চলমান থাকবে বলেও তিনি জানান। 

 

অভিযানকালে খাদ্য ও স্যানিটেশন কর্মকর্তা দীপক মজুমদার,স্যানিটারি ইন্সপেক্টর জাবেদ ইকবাল,আইন শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যবৃন্দ প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন। 

উল্লেখ্য,ময়মনসিংহ সিটি কর্পোরেশনের উদ্যোগে ডেঙ্গু প্রতিরোধে মশক নিধন কার্যক্রম চলমান রয়েছে। এডাল্টিসাইড ও লার্ভিসাইড প্রয়োগের পাশাপাশি ও পরিস্কার-পরিচ্ছন্নতা ও সচেতনতা কার্যক্রম পরিচালনা করছে ময়মনসিংহ সিটি কর্পোরেশন। সচেতনতা বৃদ্ধিতে মাইকিং ও লিফলেট বিতরণ করা হচ্ছে। 


এডিস মশা   লার্ভা   জরিমানা  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড বাংলাদেশ

পারস্পরিক সহযোগিতার ওপর গুরুত্বারোপ জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের

প্রকাশ: ০৫:৩৩ পিএম, ০৯ মে, ২০২৪


Thumbnail

মানবাধিকার সুরক্ষার তাগিদে দক্ষতা ও সক্ষমতার উন্নয়নে পারস্পরিক সহযোগিতার ওপরে গুরুত্বারোপ করেছেন জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের চেয়ারম্যান ড. কামাল উদ্দিন আহমেদ।

সুইজারল্যান্ডের জেনেভায় বৃহস্পতিবার (৯ মে) কমনওয়েলথ ফোরাম ফর ন্যাশনাল হিউম্যান রাইটস ইনস্টিটিউশনস এর বার্ষিক সম্মেলনে তিনি এই গুরুত্বারোপ করেন। সম্মেলনে জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের চেয়ারম্যান ড. কামাল উদ্দিন আহমেদ সহ সার্বক্ষণিক সদস্য মো. সেলিম রেজা ও পরিচালক (প্রশাসন ও অর্থ) কাজী আরফান আশিক অংশগ্রহণ করেন। 

সম্মেলনে প্রতিষ্ঠানটির কৌশলগত পরিকল্পনা ২০২২-২০২৪ বিষয়ে আলোচনা হয় এবং ‘ক্রীড়া এবং মানবাধিকার’ বিষয়ে একটি উপস্থাপনা পেশ করা হয়। উল্লেখ্য, জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের মাননীয় চেয়ারম্যান ড. কামাল উদ্দিন আহমেদ কমনওয়েলথ ফোরাম ফর ন্যাশনাল হিউম্যান রাইটস ইনস্টিটিউশনসের স্টিয়ারিং কমিটির একজন সদস্য।  

এছাড়াও, গতকাল জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের মাননীয় চেয়ারম্যান জাতিসংঘের মানবাধিকার বিষয়ক হাইকমিশনার ভলকার তুর্কের সাথে সৌজন্য সাক্ষাৎ করেন। এ সময় মানবাধিকারের বিভিন্ন দৃষ্টিকোণ ও প্রেক্ষাপট নিয়ে আলোচনা হয়। 

জাতীয় মানবাধিকার কমিশন   ড. কামাল উদ্দিন আহমেদ  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড বাংলাদেশ

নিজ নামে প্রকল্প না নেওয়ার নির্দেশ প্রধানমন্ত্রীর

প্রকাশ: ০৪:২৮ পিএম, ০৯ মে, ২০২৪


Thumbnail

নিজের নামে প্রকল্প গ্রহণ না করার নির্দেশ দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তিনি বলেছেন, নিজের নাম ব্যবহার করে আর যাতে প্রকল্প না নেয়া হয়।

বৃহস্পতিবার (৯ মে) রাজধানীর শেরেবাংলা নগরে এনইসি সম্মেলন কক্ষে অনুষ্ঠিত হয়। সভায় সভাপতিত্ব করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। সভাশেষে সাংবাদিকদের এ কথা জানিয়েছেন পরিকল্পনামন্ত্রী আব্দুস সালাম।

পরিকল্পনামন্ত্রী আব্দুস সালাম বলেন, নিজের নাম ব্যবহার করে আর প্রকল্প যাতে না নেওয়া হয় সেজন্য সংশ্লিষ্টদের নির্দেশ দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

পরকল্পনামন্ত্রী আরও জানান, রাষ্ট্রায়ত্ত বাণিজ্যিক প্রতিষ্ঠানগুলোকে পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত করতে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে অর্থ মন্ত্রণালয়কে নির্দেশ দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী।

এছাড়া আব্দুস সালাম বলেন, সভায় খুলনা শেখ হাসিনা মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় স্থাপন এবং চট্টগ্রামে একটি বার্ন ইউনিট স্থাপনসহ ১০টি প্রকল্পের অনুমোদন দেওয়া হয়েছে।

একনেক সভায় আরও উপস্থিত ছিলেন শিল্পমন্ত্রী নূরুল মজিদ মাহমুদ হুমায়ূন, স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রী মো. তাজুল ইসলাম, গৃহায়ন ও গণপূর্ত মন্ত্রী র. আ. ম, উবায়দুল মুকতাদির চৌধুরী, যুব ও ক্রীড়ামন্ত্রী নাজমুল হাসান প্রমুখ।

প্রকল্প   প্রধানমন্ত্রী   এনইসি সম্মেলন  


মন্তব্য করুন


বিজ্ঞাপন