ইনসাইড বাংলাদেশ

স্মার্ট মন্ত্রীগণ

প্রকাশ: ০৫:০০ পিএম, ২৫ অগাস্ট, ২০২২


Thumbnail স্মার্ট মন্ত্রীগণ

ডিজিটাল বাংলাদেশ এবার রূপ নিচ্ছে স্মার্ট বাংলাদেশে। সরকার আধুনিক বিশ্বের সাথে তাল মিলিয়ে বাংলাদেশকে একটি আধুনিক, প্রগতিশীল রাষ্ট্র বিনির্মাণের লক্ষ্যে স্মার্ট বাংলাদেশ রূপকল্প গ্রহণ করেছে। স্মার্ট বাংলাদেশ রূপকল্প বাস্তবায়নের লক্ষ্যে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে প্রধান করে ৩০ সদস্য বিশিষ্ট একটি কমিটি গঠন করা হয়েছে। এ সংক্রান্ত একটি প্রজ্ঞাপনও সম্প্রতি সরকারের পক্ষ থেকে জারি করা হয়েছে। ৩০ সদস্যের এই কমিটিতে মাত্র ৬ জন মন্ত্রী জায়গা পেয়েছেন। বাকি জায়গাগুলো সব দখল করেছেন আমলারা। প্রধানমন্ত্রী ছাড়া যে ৬ জন মন্ত্রী এবং প্রতিমন্ত্রী স্মার্ট বাংলাদেশ উদ্যোগে জায়গা পেয়েছেন তাদের মধ্যে রয়েছেন অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল, শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি, পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নান, বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি, ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রী মোস্তাফা জব্বার এবং আইসিটি প্রতিমন্ত্রী জুনায়েদ আহমেদ পলক। এই ৬ জন মন্ত্রী সৌভাগ্যবান এবং এই ৬ জন মন্ত্রীই স্মার্ট বাংলাদেশের রূপকল্প বাস্তবায়নের ক্ষেত্রে ভূমিকা রাখবেন বলে প্রজ্ঞাপনে বলা হয়েছে। 

এই ৬ জন মন্ত্রী ছাড়া স্মার্ট বাংলাদেশ উদ্যোগের বাদবাকি সকলেই হলেন আমলা। এদের মধ্যে রয়েছেন মন্ত্রিপরিষদ সচিব, প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের মুখ্য সচিব, বাণিজ্য সচিব, প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের সিনিয়র সচিব, কারিগরি মাদ্রাসা শিক্ষা বিভাগের সচিব, মাধ্যমিক উচ্চ শিক্ষা বিভাগের সচিব, ডাক ও টেলিযোগাযোগ বিভাগের সচিব, বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশনের চেয়ারম্যান, জাতীয় টেলিকমিউনিকেশন মনিটরিং সেন্টার (এনটিএমসি) মহাপরিচালক, বাংলাদেশ কম্পিউটার কাউন্সিলের নির্বাহী পরিচালক, বাংলাদেশ হাইটেক পার্ক কর্তৃপক্ষের ব্যবস্থাপনা পরিচালকসহ আরো বেশ কয়েকজন। প্রশ্ন উঠেছে যে, ডিজিটাল বাংলাদেশ ছিল আওয়ামী লীগ সরকারের একটি রাজনৈতিক অঙ্গীকার। ২০০৮ সালের নির্বাচনী ইশতেহারে আওয়ামী লীগ ডিজিটাল বাংলাদেশের ঘোষণা দিয়েছিল এবং সেই সময় সকলেই এটিকে অবাস্তব একটি পরিকল্পনা হিসেবে মনে করেছিলেন। কিন্তু বাংলাদেশ ঘোষিত সময়ের আগেই ডিজিটাল হয়ে যায়। এখন স্মার্ট বাংলাদেশের উদ্যোগ নেয়া হয়েছে। 

ডিজিটাল বাংলাদেশ উদ্যোগের সঙ্গে মূলত জড়িত ছিলেন প্রধানমন্ত্রীর তথ্যপ্রযুক্তি বিষয়ক উপদেষ্টা এবং জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের দৌহিত্র সজীব ওয়াজেদ জয়। এছাড়াও ডিজিটাল বাংলাদেশ বিনির্মাণে আওয়ামী লীগের একটি রাজনৈতিক উদ্যোগ ছিল। এবারের যে স্মার্ট বাংলাদেশ উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়েছে তা অনেকটাই আমলানির্ভর বলে ধারণা করা হচ্ছে। আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও সেতুমন্ত্রী স্মার্ট বাংলাদেশ উদ্যোগের ৩০ সদস্যের কমিটিতে নেই। এছাড়াও ওই কমিটিতে নেই আওয়ামী লীগের রাজনৈতিক ব্যক্তিত্বরা। প্রধানমন্ত্রীর উপদেষ্টাদের কেউ এই স্মার্ট বাংলাদেশ উদ্যোগের সঙ্গে রাখা হয়নি। যে সমস্ত মন্ত্রীরা স্মার্ট বাংলাদেশ উদ্বেগে স্থান পেয়েছেন তাদের মধ্যে একমাত্র ডা. দীপু মনি ছাড়া কেউই আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় নেতা নন। এরকম বাস্তবতায় স্মার্ট বাংলাদেশ উদ্যোগটি আমলাতান্ত্রিক উদ্যোগ বলে অনেকে মনে করছেন। যতক্ষণ পর্যন্ত এ ধরনের উদ্যোগে রাজনৈতিক যোগসূত্র না হবে ততক্ষণ পর্যন্ত এ ধরনের উদ্যোগ কতটুকু সফল হবে সেটি নিয়ে অনেকে প্রশ্ন তুলেছেন। উল্লেখ্য যে, স্মার্ট বাংলাদেশের মূল লক্ষ্য হলো ২০৪১ সালের মধ্যে একটি উন্নত, আধুনিক বাংলাদেশ বিনির্মাণের কর্মপরিকল্পনা এবং এই কর্মপরিকল্পনা পরিপূর্ণ বাস্তবায়নের জন্য দিকনির্দেশনা প্রণয়ন করবে স্মার্ট বাংলাদেশ। সেখানে দলীয় ব্যক্তিদের না রেখে শুধু আমলাদের দিয়ে এই উদ্যোগ কতটুকু সফল হবে সে নিয়ে কোনো কোনো মহলে প্রশ্ন উঠেছে।

মন্ত্রী   স্মার্ট বাংলাদেশ  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড বাংলাদেশ

নীলফামারীতে যান্ত্রিকীকরণ প্রকল্পের আওতায় কৃষি যন্ত্র বিতরণ


Thumbnail

নীলফামারীতে কৃষি মন্ত্রনালয়ের সমন্বিত ব্যবস্থাপনার মাধ্যমে কৃষি যান্ত্রিকীকরণ প্রকল্পের আওতায় ভর্তুকি মূল্যে কম্বাইন হারভেস্টর প্রদান করা হয়েছে কৃষককে।

 

সোমবার (২০ মে) নীলফামারী সদর উপজেলা পরিষদ প্রাঙ্গণে চাবি তুলে দিয়ে কম্বাইন হারভেস্টর প্রদান করেন সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোঃ মেহেদী হাসান। এতে সভাপতিত্ব করেন সদর উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা আতিক আহমেদ।

 

এসময় জানানো হয় ৩০লাখ ৫০হাজার টাকা দামের এই কৃষি যন্ত্র সুবিধাভোগী কৃষকরা পাবেন ১৫লাখ ২৫ হাজার টাকা দামে। 

সদর উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা আতিক আহমেদ জানান, 'এই কৃষি যন্ত্রের ফলে শ্রমিক সংকট দুরীকরণ, অর্থনৈতিক ও সময় সাশ্রয় হবে কৃষকের। পাশাপাশি এক যন্ত্র দিয়ে ধান কর্তন ও মাড়াই করতে পারবেন কৃষকরা। এরফলে লাভবান হবেন কৃষকরা। সদর উপজেলায় পাঁচজনকে এই কৃষি যন্ত্র প্রদান করা হবে।'


কৃষি যন্ত্র   কৃষি যান্ত্রিকীকরণ প্রকল্প  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড বাংলাদেশ

জাতীয় সংসদে বাজেট অধিবেশন শুরু আগামী ৫ জুন

প্রকাশ: ০৪:৪৭ পিএম, ২০ মে, ২০২৪


Thumbnail

আগামী ৫ জুন থেকে শুরু হবে দ্বাদশ জাতীয় সংসদের তৃতীয় ও বাজেট অধিবেশন। ওই দিন বিকাল ৫টা থেকে জাতীয় সংসদের অধিবেশন আহ্বান করেছেন রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন।

সোমবার জাতীয় সংসদ সচিবালয়ের সিনিয়র সচিব কেএম আবদুস সালাম স্বাক্ষরিত বিজ্ঞপ্তিতে এ কথা জানানো হয়েছে।

সংসদ সচিবালয় সূত্রে জানা গেছে, আগামী ৬ জুন জাতীয় সংসদে ২০২৪-২৫ অর্থবছরের বাজেট প্রস্তাব করবেন অর্থমন্ত্রী আবুল হাসান মাহমুদ আলী। বাজেট নিয়ে হওয়া এবারের অধিবেশন দীর্ঘ হবে বলে জানা গেছে। ৫ জুন অধিবেশন শুরু হওয়ার আগে সংসদের কার্য উপদেষ্টা বৈঠকে সংসদ কত দিন চলবে তা নির্ধারণ করা হবে।

দ্বাদশ জাতীয় সংসদের দ্বিতীয় অধিবেশন চলতি মাসের ২ তারিখ হতে শুরু হয়ে ৯ মে শেষ হয়। ওই অধিবেশনে একটি বিল পাশ হয়।


বাজেট অধিবেশন   অর্থনীতি   জাতীয় সংসদ  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড বাংলাদেশ

ইরানের প্রেসিডেন্টের মৃত্যুতে রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রীর শোক

প্রকাশ: ০৪:৩১ পিএম, ২০ মে, ২০২৪


Thumbnail

হেলিকপ্টার দুর্ঘটনায় ইরানের প্রেসিডেন্ট ইব্রাহিম রাইসি ও পররাষ্ট্রমন্ত্রী হোসেইন আমির আব্দুল্লাহিয়ানসহ সব আরোহীর মৃত্যুতে শোক জানিয়েছেন রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

সোমবার (২০ মে) পৃথক বার্তায় তারা শোক জানিয়েছেন।

শোকবার্তায় রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন ইরানের প্রেসিডেন্টের মৃত্যুতে গভীর শোক প্রকাশ করে দেশটির নাগরিক ও প্রেসিডেন্টের স্বজনদের গভীর সমবেদনা জানান।

পৃথক এক শোকবার্তায় রাইসিকে একজন বড় মাপের নেতা উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, তিনি সারাজীবন তার দেশের জন্য কাজ করে গেছেন। তার কাজের উপকার ভোগ করছেন দেশটির নাগরিকরা। এছাড়াও, শোকবার্তায় প্রধানমন্ত্রী ইরানের প্রেসিডেন্ট ও পররাষ্ট্রমন্ত্রীর মৃত্যুতে বাংলাদেশের পক্ষ থেকে গভীর শোক প্রকাশের পাশাপাশি সমবেদনা জ্ঞাপন করেন।

এর আগে, রোববার (১৯ মে) আজারবাইজানের সীমান্তবর্তী এলাকায় একটি অনুষ্ঠান থেকে ফেরার পথে ইব্রাহিম রাইসিকে বহনকারী হেলিকপ্টার বিধ্বস্ত হয়। পরে দীর্ঘসময় উদ্ধার অভিযান চালানোর পর হেলিকপ্টারটির ধ্বংসাবশেষ খুঁজে পায় তারা। এরপর হেলিকপ্টারে থাকা কোনো আরোহী জীবিত নেই বলে নিশ্চিত করা হয়।

এদিকে, ইব্রাহিম রাইসির মৃত্যুর পর দেশটির অন্তর্বর্তীকালীন প্রেসিডেন্ট হিসেবে দায়িত্ব নিতে যাচ্ছেন মোহাম্মদ মোখবের। তিনি বর্তমানে ভাইস প্রেসিডেন্টের দায়িত্ব পালন করছেন।

ইরানের সংবিধান অনুযায়ী, ক্ষমতাসীন প্রেসিডেন্ট মারা গেলে বা কোনো কারণে দায়িত্ব পালনে সক্ষম না হলে রাষ্ট্র পরিচালনার দায়িত্ব নেবেন ভাইস প্রেসিডেন্ট। পরবর্তী ৫০ দিনের মধ্যে নতুন নির্বাচনের আয়োজন করতে হবে এবং নতুন প্রেসিডেন্ট বেছে নিতে হবে। নির্বাচন না হওয়া পর্যন্ত প্রেসিডেন্টের দায়িত্ব সামলাবেন ভাইস প্রেসিডেন্ট।

উল্লেখ্য, ইরানের অষ্টম প্রেসিডেন্ট ইব্রাহিম রাইসি। তিন বছর আগে ইরানের প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হওয়ার আগে ইব্রাহিম রাইসিকে মনে করা হয় একদিন দেশটির সর্বোচ্চ ধর্মীয় নেতা আয়াতুল্লাহ খামেনির উত্তরসূরি হবেন। প্রেসিডেন্ট হওয়ার আগে দেশটির প্রধান বিচারপতি হিসেবেও দায়িত্ব পালন করেন তিনি।


ইরান   প্রেসিডেন্ট   মৃত্যু   রাষ্ট্রপতি   প্রধানমন্ত্রী   শোক  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড বাংলাদেশ

ইব্রাহিম রাইসির মৃত্যুতে রাষ্ট্রপতির শোক

প্রকাশ: ০৩:৫৬ পিএম, ২০ মে, ২০২৪


Thumbnail

ইরানের প্রেসিডেন্ট ড. সাইয়েদ ইব্রাহিম রাইসির মৃত্যুতে গভীর শোক ও দুঃখ প্রকাশ করেছেন রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন।

সোমবার (২০ মে) গণমাধ্যমে পাঠানো এক শোক বার্তায় বলা হয়, রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন হেলিকপ্টার দুর্ঘটনায় ইরানের রাষ্ট্রপতি ও পররাষ্ট্রমন্ত্রীসহ অন্যান্য সফরসঙ্গীদের মৃত্যুতে বাংলাদেশের জনগণের পক্ষ থেকে গভীর শোক প্রকাশ করেন। 

বার্তায় রাষ্ট্রপতি বলেন, বিভিন্ন সংকটে প্রেসিডেন্ট রাইসির দূরদর্শী পদক্ষেপ ও তার সাহস আমাদের জন্য অনুপ্রেরণার মডেল হয়ে থাকবে। প্রেসিডেন্ট রাইসির মৃত্যুতে ইরান একজন জ্ঞানী ও বিজ্ঞ নেতাকে হারালো।

রাষ্ট্রপতি নিহতদের আত্মার মাগফিরাত কামনা করেন এবং শোকসন্তপ্ত পরিবারের সদস্য ও ইরানের ভ্রাতৃপ্রতিম জনগণের প্রতি সমবেদনা জানান।


ইব্রাহিম রাইসি   মৃত্যু   রাষ্ট্রপতি   শোক  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড বাংলাদেশ

সুনামগঞ্জে ‘বিস্ফোরণ’ আইনে ইউপি সদস্যের ভাইয়ের বিরুদ্ধে মামলা


Thumbnail

সুনামগঞ্জের তাহিরপুরে ‘ডেটোনেটর সদৃশ’ বস্তুর বিস্ফোরণে তিন জন আহত হওয়ার ঘটনায় সাজু মিয়া নামে এক ব্যাক্তির বিরুদ্ধে অবশেষে থানায় বিস্ফোরণ আইনে মামলা দায়ের করা হয়েছে।


অভিযুক্ত সাজু উপজেলার উওর শ্রীপুর ইউনিয়নের শ্রীপুর গ্রামের মৃত ইউপি সদস্য ইসকন্দর আলীর ছেলে ও একই ইউনিয়নের ৭নং ওয়ার্ডের প্রভাবশালী বর্তমান ইউপি সসদস্য আবুল কালাম ওরফে আবুল মেম্বারের সহোদর ভাই।

রোববার (১৯ মে) রাতে উপজেলার তরং গ্রামের জয়নাল আবেদীনের ছেলে ডেটোনেটর সদৃশ্য বস্তুর বিস্ফোরণে আহত মোবাইল মেকানিক আনোয়ার আলমের ছোট ভাই বাদী হয়ে ওই মামলাটি দায়ের করেন। মামলায় সাজু ছাড়াও তার সহযোগি হিসাবে অজ্ঞাতনামা ২ থেকে ৩ জনকে আসামী করা হয়েছে।


প্রসঙ্গত, গেল বুধবার (১৫ মে) সন্ধা সাড়ে ৭টার দিকে উপজেলার শ্রীপুর বাজারে মোবাইল সার্ভিসিংয়ের দোকানে বিকট শব্দে ওই বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটে।

বিস্ফোরণে উপজেলার তরং গ্রামের জয়নাল আবেদীনের ছেলে মোবাইল মেকানিক আনোয়ার আলম, গ্রাহক একই গ্রামের মৃত কফিল মিয়ার ছেলে নুরুল হুদা, তার সহোদর আনিস মিয়া আহত হন।

আহতদের মধ্যে আশঙ্কাজনক অবস্থায় আনোয়ার আলম ও নুরুল হুদাকে ঘটনার রাতেই সিলেট এমএজি ওসমানী মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। অপর আহত আনিসকে তাহিরপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে।

মামলার এজাহার সুত্রে জানা যায়, ১৫ মে বুধবার সন্ধ্যায় অভিযুক্ত সাজু বিদ্বেষপুর্ণ ভাবে জীবন ও সম্পক্তির ক্ষতি সাধনের লক্ষে বিস্ফোরণ কিংবা নাশকতা ঘটানো সহ সহায়তা করার অপরাধ করতে শ্রীপুর বাজারের মোবাইল মেকানিক আনোয়ার আলমকে দুটি তার সংযুক্ত সিলভার রঙের প্যানসিল ব্যাটারী আকৃতির একটি বস্তু মিটারে পরীক্ষা করতে দেয়। এরপর জোর করে পাওয়ার চেক করার জন্য প্যানসিল ব্যাটারী আকৃতির একটি বস্তুটি এসি লোড টেস্টারে চেক করার কথা বলে দোকান থেকে অনেকটা দুরে সড়ে যায় সাজু। এরপর পরই বিকট শব্দে বিস্ফোরণ ঘটলে মোবাইল মেকানিক সহ দোকানে থাকা অপর দুই গ্রাহক গুরুতর আহত হন।

ঘটনার রাতে পুলিশ ঘটনাস্তলে গেলেও অভিযুক্ত সাজুর ভাই ইউপি সদস্য আবুল মেম্বার বিভিন্ন ভাবে প্রভাব খাটিয়ে ও তদবীর করিয়ে বিস্ফোরণের ঘটনাটি দূর্ঘটনা হিসাবে ধামাচাপা দিতে মরিয়া হয়েছে উঠেন।

এ ঘটনার পরদিন বিস্তারিত তথ্য, প্রমাণ সহ বাংলা ইনসাইডারের অনলাইন ভার্সনে ‘সুনামগঞ্জে ডেটোনেটর সদৃশ’ বস্তুর বিস্ফোরণে তিন জন আহত শিরোনামে অনুসন্ধানী প্রতিবেদন প্রকাশিত হলে পুলিশের উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের নজরে আসে।

এরপর সুনামগঞ্জ পুলিশ সুপার (সদ্য অতিরিক্ত ডিআইজি পদে পদোন্নতি প্রাপ্ত) মোহাম্মদ এহসাস শাহ্ র নির্দেশে সহকারি পুলিশ সুপার (তাহিরপুর সার্কেল) মোঃ নাসিম উদ্দিন, থানার ওসি মোহাম্মদ নাজিম উদ্দিন প্রকাশ্যে ও গোপনে তদন্ত করে বিস্ফোরক জাতীয় সামগ্রী দিয়ে বিস্ফোরণ ঘটিয়ে জীবন ও সম্পক্তি ক্ষতি সাধনের চেষ্টার সত্যতা খুঁজে পান।

  
অপরদিকে ঘটনার রাতে চারাগাঁও শুল্ক স্টেশনের চুনাপাথর আমদানিকারকদের একাধিক সূত্র জানায়, ভারতের চুনাপাথর খনিতে চুনাপাথর ভাঙ্গার জন্য সেখানকার রপ্তানিকারক প্রতিষ্ঠানগুলো তাদের কোয়ারীতে এক ধরনের ইলেকট্রনিক্স ডেটোনেটর (উচ্চ ক্ষমতা সম্পন্ন বিস্ফোরক) ব্যবহার করে থাকে। যেটি বুধবার (১৫ মে) সন্ধ্যায় শ্রীপুর বাজারে বিস্ফোরিত হয়েছে সেটি ইলেকট্রনিক্স ডেটোনেটর হতে পারে।

তাহিরপুর থানার ওসি মোহাম্মদ নাজিম উদ্দিন মামলা দায়েরের বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, অভিযুক্ত সাজু পলাতক রয়েছে, তাকে গ্রেফতারে পুলিশের একাধিক টিম তৎপর রয়েছে। তিনি আরো বলেন, সাজুর বিরুদ্ধে বিস্ফোরণ আইনে মামলা ছাড়াও বিভিন্ন অপরাধে আরো ৪টি মামলা আদালতে বিচারাধীন রয়েছে।


বিস্ফোরণ আইন   মামলা   ইউপি সদস্য  


মন্তব্য করুন


বিজ্ঞাপন