ইনসাইড বাংলাদেশ

রাষ্ট্রপতি আলোচনায় কেন গওহর রিজভী’র নাম

প্রকাশ: ০৯:০০ পিএম, ২৫ অগাস্ট, ২০২২


Thumbnail রাষ্ট্রপতি আলোচনায় কেন গওহর রিজভী’র নাম

ড. গওহর রিজভী। ২০০৯ সালের আগে বাংলাদেশের রাজনীতিতে প্রায় অনালোচিত একটি নাম ছিলো। বিদেশে অধ্যাপনা করতেন এবং একজন শিক্ষক পণ্ডিত হিসেবেই আন্তর্জাতিক পরিমণ্ডলে তার সুনাম এবং সুখ্যাতি ছিলো। কিন্তু সেই গওহর রিজভী ২০০৯ সালের নির্বাচনের পর আলোচনায় আসেন। আওয়ামী লীগ ২০০৯ সালে মন্ত্রিসভা গঠনের এবং উপদেষ্টামন্ডলী গঠনের কিছুদিন পর গওহর রিজভীকে প্রধানমন্ত্রীর আন্তর্জাতিক বিষয়ক উপদেষ্টা হিসেবে নিয়োগ দেওয়া হয়। এসময় অনেকেই চমকে উঠেছিলেন। গওহর রিজভীকে আওয়ামী লীগের অনেক নেতাই চিনতেন না। দুই একজন যারা গওহর রিজভীকে জানতেন তারাও কম অবাক হননি। কিন্তু আওয়ামী লীগ সভাপতি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ঘনিষ্ঠরা জানতেন যে গওহর রিজভী কিছু একটা হবেন। গওহর রিজভী পাদপ্রদীপে আসেন ওয়ান-ইলেভেনের সময়। এই সময় ড. ফখরুদ্দীন আহমদের সরকার আওয়ামী লীগ সভাপতিকে প্রহসনের কিছু মামলায় গ্রেপ্তার করেন। এসময় জাতীয় ও আন্তর্জাতিক পর্যায়ে চলে নানা রকম আলাপ-আলোচনা, দরকষাকষি। মুক্তির জন্য পর্দার আড়ালে নানারকম মেরুকরণ সৃষ্টি হয়। এই মেরুকরণে অন্যতম কুশীলব ছিলেন ড. গওহর রিজভী। মূলত, ড. গওহর রিজভী শেখ হাসিনার মুক্তির সমঝোতার অন্যতম একজন ব্যক্তি ছিলেন বলে আওয়ামী লীগের বিভিন্ন সূত্রগুলো জানায়। সে কারণেই গওহর রিজভী ২০০৯ সাল থেকে আওয়ামী লীগে গুরুত্বপূর্ণ হয়ে ওঠেন।

আন্তর্জাতিক পরিমণ্ডলে গওহর রিজভী’র একটি ভূমিকা রয়েছে, একটি গ্রহণযোগ্যতা রয়েছে। বিশ্বের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ দেশগুলোতে তার পরিচিতি আছে, সুনাম আছে এবং একজন শিক্ষিত মার্জিত সংবেদনশীল ব্যক্তি হিসেবে তিনি বিশ্ব পরিমণ্ডলে পরিচিত। আর আওয়ামী লীগ সরকার ক্ষমতায় আসার পর বিভিন্ন সংকটেও তাকে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকায় দেখা গেছে। বিশেষ করে ২০১৪ সালের নির্বাচন নিয়ে যখন অনিশ্চয়তা তৈরি হয়েছিলো, বিএনপি নির্বাচন বর্জন করেছিলো, জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান হুসেইন মুহম্মদ এরশাদও নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়ানোর ঘোষণা দিয়েছিলেন সেই সময় আন্তর্জাতিক পরিমণ্ডলে বিশেষ করে পশ্চিমা দেশগুলোর কাছে গওহর রিজভী নির্বাচন কেন অপরিহার্য এবং সাংবিধানিকভাবে এই নির্বাচনের বাধ্যবাধকতা কি তা চমৎকার ভাবে উপস্থাপন করেছিলেন। অনেকেই মনে করেন গওহর রিজভী’র এই কূটনৈতিক তৎপরতার কারণে ওই নির্বাচনে শেষ পর্যন্ত আন্তর্জাতিক পরিমণ্ডলে গ্রহণযোগ্যতা পায়। কিন্তু ২০১৮ সালের নির্বাচনের পর থেকেই গওহর রিজভী আস্তে আস্তে নিজেকে গুটিয়ে নেন। একটি গবেষণা কাজের জন্য তিনি অধিকাংশ সময় এখন যুক্তরাজ্যে অবস্থান করেন। তবে যেখানে অবস্থান করুক না কেন আওয়ামী লীগ সভাপতির সঙ্গে তাঁর ঘনিষ্ঠ যোগাযোগ রয়েছে। আগামী নির্বাচনটি নানা কারণে গুরুত্বপূর্ণ হবে। বিশেষ করে ওই নির্বাচনে বিরোধী দলগুলো অংশগ্রহণ করবে কিনা তা এখন কোটি টাকার প্রশ্ন।

ইতিমধ্যে নির্বাচন কমিশনে ১৫০ আসনে ইভিএম করার ঘোষণা দিয়েছে। এই ঘোষণার পর রাজনৈতিক অঙ্গনে এক ধরনের বিরূপ প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি হয়েছে। আন্তর্জাতিক মহল থেকেও হচ্ছে, আগামী নির্বাচন অর্থবহ করতে হবে, সকল দলের অংশগ্রহণ নিশ্চিত করতে হবে এবং জনগণের মতামতের প্রতিফলন যেন হয় সেটির গ্যারান্টি দিতে হবে। এরকম একটি বাস্তবতায় আগামী এপ্রিলে যে নতুন রাষ্ট্রপতি হবেন তার ভূমিকা নানাভাবে গুরুত্বপূর্ণ। বিশেষ করে আন্তর্জাতিক পরিমণ্ডলে এই নির্বাচন নিয়ে যে প্রশ্নগুলো হবে সেই প্রশ্নগুলোর উত্তর দেওয়া এবং একটি অর্থবহ নির্বাচনের নেতৃত্ব দেওয়ার জন্য আগামী রাষ্ট্রপতি হবেন গুরুত্বপূর্ণ। আর সে কারণেই রাষ্ট্রপতি পদে গওহর রিজভী’র নাম আসছে। আগামী রাষ্ট্রপতি দেশে কতটুকু পরিচিত বা কতটুকু গ্রহণযোগ্য, সেটির চেয়েও বড় বিষয় হবে আগামী রাষ্ট্রপতি আন্তর্জাতিক পরিমণ্ডলে কতটুকু আস্থাভাজন এবং গ্রহণযোগ্য। সেই বিবেচনা থেকেই আওয়ামী লীগে গওহর রিজভী’র বিকল্প খুব কম আছে বলেই রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা মনে করছেন। আর এ কারণেই আগামী রাষ্ট্রপতি হিসেবে যদি গওহর রিজভীও সামনে চলে আসেন তাহলে অবাক হবার কিছু নেই বলেই মনে করা হচ্ছে।

রাষ্ট্রপতি   গওহর রিজভী  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড বাংলাদেশ

র‌্যাবের উপর নিষেধাজ্ঞা: যুক্তরাষ্ট্রের অবস্থান কী?

প্রকাশ: ০৭:০০ পিএম, ১৮ মে, ২০২৪


Thumbnail

র‌্যাবের উপর নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার হচ্ছে কিনা এ নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রে দুই ধরনের অবস্থানের কথা জানা যাচ্ছে। সাম্প্রতিক সময়ে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সহকারী পররাষ্ট্রমন্ত্রী ডোনাল্ড লু’র বাংলাদেশ সফরের সময় র‌্যাবের উপর নিষেধাজ্ঞা নিয়ে ইতিবাচক কথাবার্তা শোনা গিয়েছিল। সে সময় ডোনাল্ড লু’র বরাত দিয়ে প্রধানমন্ত্রীর বেসরকারি শিল্প ও বিনিয়োগ উপদেষ্টা সালমান এফ রহমান বলেছিলেন যে, র‌্যাবের উপর নিষেধাজ্ঞা তুলে নিতে এবং বঙ্গবন্ধুর খুনি রাশেদ চৌধুরীকে ফিরিয়ে দিতে যুক্তরাষ্ট্র আগ্রহ প্রকাশ করেছে। সাংবাদিকদের সাথে আলাপকালে সালমান এফ রহমান এটাও বলেছেন যে, এটা জাস্টিস ডিপার্টমেন্টের হাতে রয়েছে এবং জাস্টিস ডিপার্টমেন্ট একটি স্বাধীন প্রতিষ্ঠান। তবে পররাষ্ট্র দপ্তর এবং হোয়াইট হাউস এ ব্যাপারে তাদেরকে তাগদা দিচ্ছে।

আর এরকম একটি বাস্তবতায় শেষ পর্যন্ত র‌্যাবের উপর নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার করা হতে পারে এমন আশাবাদ সৃষ্টি হয়েছিল। কিন্তু গত বৃহস্পতিবার এই আশাবাদে জল ঢেলেছেন হোয়াইট হাউসের স্টেট ডিপার্টমেন্টের উপ মুখপাত্র বেদান্ত প্যাটেল। তিনি নিয়মিত প্রেস ব্রিফিংয়ে বলেছেন যে, র‌্যাবের উপর থেকে নিষেধাজ্ঞা তুলে নিতে হোয়াইট হাউস বা স্টেট ডিপার্টমেন্ট কাজ করছে এমন দাবি সঠিক নয়। এটি সম্পূর্ণ মিথ্যা। যুক্তরাষ্ট্র নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার করছে না। নিষেধাজ্ঞাগুলো আরোপ করা হয়েছে আচরণ পরিবর্তন এবং জবাবদিহি নিশ্চিত করার জন্য।

উল্লেখ্য, গুরুতর মানবাধিকার লঙ্ঘনের অভিযোগে ২০২১ সালের ডিসেম্বরে র‌্যাব এবং সংস্থাটির সাবেক ও বর্তমান সাত কর্মকর্তার ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করে সরকার। আর তিন বছরের বেশি সময় ধরে এই নিষেধাজ্ঞা রয়েছে।

নির্বাচনের পর মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র বাংলাদেশের ব্যাপারে তার কৌশল পরিবর্তন করেছে। ইতোমধ্যে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে যে, অতীতের তিক্ততা ভুলে তারা সামনের দিকে এগোতে চায়। এরকম একটি বাস্তবতায় অনেকেই মনে করেছিল যে, র‌্যাবের উপর নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহারের ক্ষেত্রে সরকার ইতিবাচক ভূমিকায় অবতীর্ণ হবে। বিশেষ করে ডোনাল্ড লু’র এই সফরের পর সরকারের অনেকেই আশাবাদী হয়ে উঠেছিলেন। তবে এখন পররাষ্ট্র দপ্তরের মুখপাত্রের বক্তব্যের ফলে ভিন্ন সুর পাওয়া গেল।

তবে কূটনৈতিক মহল বলছেন, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের অবস্থান নানামুখী হয় এবং তাদের প্রকৃত অবস্থান বোঝা অত্যন্ত কষ্টকর। নির্বাচনের আগেও যেমন ডোনাল্ড লু, আফরিন আক্তারের অবস্থানের সঙ্গে জ্যাক সুলিভানের অবস্থানের মিল ছিল না। এমনকি শেষ দিকে পিটার ডি হাসের অবস্থানের সঙ্গেও হোয়াইট হাউসের অবস্থান এক রকম ছিলনা। বরং মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের অভ্যন্তরেই নানা প্রসঙ্গে বিভিন্নরকম মতামত থাকে। তাই ডোনাল্ড লু’র বরাত দিয়ে সালমান এফ রহমান যা বলেছেন কিংবা বেদান্ত প্যাটেল যা বলেছেন তার মধ্যে কোনটি সত্যি তার জন্য অপেক্ষা করতে হবে।

তবে র‌্যাবের উপর নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহারের জন্য নির্বাচনের পর থেকেই বাংলাদেশের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় বেশ কিছু উদ্যোগ গ্রহণ করেছে। ইতোমধ্যে সেখানে এ বিষয়টি আলাপ-আলোচনা করার জন্য একটি লবিস্ট ফার্মকেও দায়িত্ব দেয়া হয়েছে। তাদের কাজও বহুদূর এগিয়েছে। তবে অতীত অভিজ্ঞতা এটি বলে দেয় যে, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র একটি নিষেধাজ্ঞা দেয়ার পর সেটি প্রত্যাহার করাটা অনেক জটিল এবং দীর্ঘ প্রক্রিয়ার ব্যাপার।


র‌্যাব   বাংলাদেশ   যুক্তরাষ্ট্র   ডোনাল্ড লু   হোয়াইট হাউস   স্টেট ডিপার্টমেন্ট   বেদান্ত প্যাটেল  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড বাংলাদেশ

নাগরিকদের প্রতি যেকোনো ধরনের বৈষম্য আইনের শাসনের পরিপন্থি: রাষ্ট্রপতি

প্রকাশ: ০৬:৫১ পিএম, ১৮ মে, ২০২৪


Thumbnail

রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন বলেছেন, জাতি-ধর্ম-বর্ণ নির্বিশেষে কেউ যেন বৈষম্যের শিকার না হয় সেদিকে সরকারের পাশাপাশি নাগরিক সমাজকেও কার্যকর ভূমিকা রাখতে হবে। নাগরিকদের প্রতি যেকোনো ধরনের বৈষম্য আইনের শাসনের পরিপন্থি। কাজেই কেউ যেন বৈষম্যের শিকার না হয়।

শনিবার (১৮ মে) রাজধানীর ওসমানী স্মৃতি মিলনায়তনে একাত্তরের ঘাতক দালাল নির্মূল কমিটির ৮ম জাতীয় সম্মেলনের উদ্বোধনকালে প্রধান অতিথির ভাষণে এসব কথা বলেন তিনি।

রাষ্ট্রপতি বলেন, বর্তমান ও ভবিষ্যৎ প্রজন্ম যাতে স্বাধীনতা ও মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় সমৃদ্ধ হয়ে বেড়ে উঠতে পারে সে লক্ষ্যে সামাজিক আন্দোলন গড়ে তুলতে হবে। এ লক্ষ্যে মুক্তিযুদ্ধের পক্ষের সকল শক্তির ইস্পাত কঠিন ঐক্যের বিকল্প নেই। ব্যক্তি ও গোষ্ঠী স্বার্থকে উপেক্ষা করে দেশ ও জনগণের স্বার্থে সবাইকে কাজ করতে হবে।’

তরুণদের উদ্দেশে তিনি বলেন, ডিজিটাল মাধ্যমকে ইতিবাচকভাবে ব্যবহার করুন। মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস পড়ুন, বঙ্গবন্ধুর জীবনী ও আদর্শ সম্পর্কে জানুন। মননে, বোধে, জীবনাচরণে মুক্তিযুদ্ধের আদর্শকে বুকে লালন করে বাঙালির গৌরবোজ্জ্বল ইতিহাসকে বিশ্বের কাছে তুলে ধরুন।

তিনি বলেন, মুক্তিযুদ্ধের ২১ বছর পর ১৯৯২ সালে শহীদ জননী জাহানারা ইমামের নেতৃত্বে শুরু হয়ে এই  আন্দোলনের প্রাজ্ঞ নেতৃবৃন্দ প্রায় ৩৩ বছর ধরে নানা চড়াই-উতরাই, ঘাত-প্রতিঘাত পেরিয়ে এই সংগঠনকে আজকের জায়গায় নিয়ে এসেছেন। কেবল যুদ্ধাপরাধীদের বিচারই নয়, মুক্তিযুদ্ধ-পরবর্তী প্রজন্মের কাছে এই মহাসংগ্রামের প্রকৃত ইতিহাস পৌঁছে দিয়ে তাদের মুক্তিযুদ্ধের আদর্শে দীক্ষিত করার ক্ষেত্রেও একাত্তরের ঘাতক দালাল নির্মূল কমিটি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখছে।

সাহাবুদ্দিন বলেন, মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় ধর্মনিরপেক্ষ, গণতান্ত্রিক, সহনশীল ও মানবিক সমাজ এবং রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার সংগ্রামে আগামী দিনগুলোতেও ‘একাত্তরের ঘাতক দালাল নির্মূল কমিটির অগ্রযাত্রা অব্যাহত থাকবে। স্বাধীনতার ৫৩ বছর পরেও ঘাতক-দালাল চক্র মুক্তিযুদ্ধ ও স্বাধীনতার চেতনাসহ আমাদের সাফল্যকে ম্লান করে দিতে অবিরাম অপচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। যুদ্ধাপরাধী বা মানবতাবিরোধী অপরাধীদের বিচার কাজ সম্পন্ন হলেও ঘাতক-দালাল নির্মূল কমিটির কাজ কখনও শেষ হবে না। স্বাধীনতা ও মুক্তিযুদ্ধের চেতনার বিরুদ্ধে যে কোনো ষড়যন্ত্র মোকাবিলায় ঘাতক-দালাল নির্মূল কমিটির ভূমিকা অতীতের মতো ভবিষ্যতে উজ্জ্বলভাবে কার্যকর থাকবে।

রাষ্ট্রপ্রধান বলেন, বাংলাদেশে যুদ্ধাপরাধীদের চলমান বিচার আজ আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়েরও প্রশংসা অর্জন করেছে। বঙ্গবন্ধু কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশ আজ আর্থ-সামাজিক ও তথ্য-প্রযুক্তির নানা সূচকে বিশ্বের দরবারে উজ্জ্বল দৃষ্টান্তে পরিণত হয়েছে। ডিজিটাল বাংলাদেশ থেকে স্মার্ট বাংলাদেশের পথে যাত্রা শুরু করেছি আমরা। এই অগ্রযাত্রার পথে সরকারের সামনে সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ ছিল মৌলবাদ ও আন্তর্জাতিক সন্ত্রাসবাদ। প্রধানমন্ত্রীর সাহসী নেতৃত্ব এবং জঙ্গিবাদের প্রতি সরকারের ‘জিরো টলারেন্স’ নীতির কারণেই জঙ্গিবাদ দমনে বিশ্বমঞ্চে বাংলাদেশ আজ রোল মডেল।

একাত্তরের ঘাতক দালাল নির্মূল কমিটির ৮ম জাতীয় সম্মেলন-২০২৪ এর সভাপতি বিশিষ্ট লেখক ও সাংবাদিক শাহরিয়ার কবির, বীর মুক্তিযোদ্ধা সাবেক বিচারপতি শামসুদ্দিন চৌধুরী মানিক, বাংলাদেশ মহিলা পরিষদের সভাপতি ডা. ফওজিয়া মোসলিম, বাংলাদেশ হিন্দু বৌদ্ধ খ্রিস্টান ঐক্য পরিষদের সভাপতি অধ্যাপক ড. নিমচন্দ্র ভৌমিক, বাংলাদেশ খ্রিষ্টান অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি মানবাধিকার নেতা নির্মল রোজারিও, আদিবাসী মুক্তি মোর্চার সভাপতি অধ্যাপক যোগেন্দ্রনাথ সরেন, বাংলাদেশ বুড্ডিস্ট ফেডারেশনের সাধারণ সম্পাদক ভিক্ষু সুনন্দপ্রিয়, ন্যায় অধিকার তৃতীয় লিঙ্গ উন্নয়ন সংস্থার চেয়ারম্যান সমাজকর্মী আনোয়ারা ইসলাম রাণী এবং  ৮ম জাতীয় সম্মেলন প্রস্তুতি কমিটির আহ্বায়ক কাজী মুকুল বক্তব্য রাখেন।


রাষ্ট্রপতি  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড বাংলাদেশ

আমরা এদেশের মানুষের কাঙ্ক্ষিত সেবা দিতে চাই: আইজিপি

প্রকাশ: ০৬:৩৮ পিএম, ১৮ মে, ২০২৪


Thumbnail

পুলিশের মহাপরিদর্শক (আইজিপি) চৌধুরী আবদুল্লাহ আল-মামুন বলেছেন, যে কোনো চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় বাংলাদেশ পুলিশের সক্ষমতা ও প্রস্তুতি রয়েছে। আমরা আগামী দিনেও এদেশের মানুষের কাঙ্ক্ষিত সেবা দিতে চাই।

শনিবার (১৮ মে) দুপুরে মৌলভীবাজার পুলিশ লাইন্স গেটে নির্মিত বাংলাদেশের ইতিহাস ও মুক্তিযুদ্ধভিত্তিক টেরাকোটা মৃত্যুঞ্জয়ী ও পুলিশ সুপার কার্যালয়ে স্থাপিত বঙ্গবন্ধু কর্নার উদ্বোধন শেষে তিনি এসব কথা বলেন।

আইজিপি বলেন, সকলের সহযোগিতায় এদেশে আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক রয়েছে। নতুন প্রজন্ম এই টেরাকোটা থেকে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নেতৃত্বে স্বাধীনতার সশস্ত্র সংগ্রামের ইতিহাস সম্পর্কে জানতে পারবে।

সাংবাদিদের এক প্রশ্নের জবাবে চৌধুরী আবদুল্লাহ আল-মামুন বলেন, এই সরকারের সময়ে জঙ্গিবাদ ও সন্ত্রাসবাদ দমনে পুলিশ সাফল্যজনক ভূমিকা পালন করেছে। জঙ্গি ও সন্ত্রাস সম্পূর্ণরুপে নিয়ন্ত্রণে রয়েছে। এছাড়া সড়কে শৃঙ্খলা রক্ষায় প্রয়োজনীয় লোকবল ও লজিস্টিক সাপোর্ট পুলিশের রয়েছে।

পরে পুলিশ সুপারের কার্যালয়ের সভাকক্ষে সিলেট রেঞ্জ ও মৌলভীবাজার জেলায় কর্মরত ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের সঙ্গে মতবিনিময় করেন আইজিপি।

এ সময় পুলিশের সিলেট রেঞ্জের ডিআইজি শাহ মিজান শাফিউর রহমান, সিলেট মেট্রোপলিটন পুলিশের পুলিশ কমিশনার মো. জাকির হোসেন খান, মৌলভীবাজারের পুলিশ সুপার মো. মনজুর রহমানসহ সিলেট রেঞ্জের বিভিন্ন পর্যায়ের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন। 


মানুষ   আইজিপি  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড বাংলাদেশ

পশুর জন্য প্রাকৃতিক খাদ্যের উৎপাদন বাড়ান: প্রাণিসম্পদ মন্ত্রী

প্রকাশ: ০৬:১০ পিএম, ১৮ মে, ২০২৪


Thumbnail

পশুর জন্য নিরাপদ উপায়ে প্রাকৃতিক খাদ্যের উৎপাদন বাড়নোর তাগাদা দিয়েছেন মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রী মোঃ আব্দুর রহমান। শনিবার (১৮ মে) রাজধানীর হোটেল লা মেরিডিয়ানে ইউনাইটেড স্টেটস ডিপার্টমেন্ট অব এগ্রিকালচার এবং এগ্রিকালচারাল কোওপারেটিভ ডেভেলপমেন্ট ইন্টারন্যাশনাল/ভলেন্টিয়ারস ইন ওভারসিজ কোওপারেটিভ এসিস্ট্যান্স এর যৌথ উদ্যোগে গৃহীত বাংলাদেশ ক্লাইমেট স্মার্ট লাইভস্টক প্রকল্প কতৃক আয়োজিত অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্য প্রদানকালে মন্ত্রী এ তাগাদা দেন।

মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রী ও আওয়ামীলীগের সভাপতিমন্ডলীর সদস্য বীর মুক্তিযোদ্ধা মোঃ আব্দুর রহমান বলেন, জনসংখ্যা বৃদ্ধির ফলে ক্রমবর্ধমান  চাহিদা পূরণে আমাদের প্রাণিজ খাদ্যের উৎপাদন বাড়াতে হবে। তবে এ উৎপাদন বৃদ্ধি হতে হবে পরিবেশসম্মতভাবে। পশু খাদ্যের প্রকৃতিতে পরিবর্তন আনতে হবে। আধুনিক পদ্ধতিতে পশু খাদ্যের উৎপাদন বাড়াতে হবে।

মন্ত্রী বলেন, প্রাকৃতিকভাবে গো খাদ্যের উৎপাদন বাড়ানো গেলে গ্রীণ হাউজ গ্যাস নিঃসরণের পরিমাণ কমে আসবে। তিনি যুক্তরাষ্ট্রের কৃষি বিভাগের সাথে এসব বিষয় নিয়ে কাজ করার আগ্রহ ব্যক্ত করেন এবং যুক্তরাষ্ট্রকে বাংলাদেশের অন্যতম উন্নয়ন অংশীদার হিসেবে এসময় উল্লেখ করেন। এক সাথে কাজ করার মাধ্যমে সব চ্যালেঞ্জ মোকাবেলা করা সম্ভব হবে বলে তিনি এসময় মন্তব্য করেন।

পশুর খাদ্যাভ্যাসের পরিবর্তন আনার জন্য খামারীদের উদ্দেশ্যে তিনি বলেন, আমাদের গবাদিপশুর শুধু উৎপাদন বাড়ালেই হবে না। বরং পরিবেশসম্মতভাবে তা বাড়াতে হবে। এক্ষেত্রে গোখাদ্য হিসেবে ব্যবহারযোগ্য ঘাসের উৎপাদন বাড়ানোর উপর তিনি গুরুত্বারোপ করেন এবং ঘাস চাষের উপর জোর দেয়ার জন্য খামারীদের প্রতি তিনি আহবান জানান।

মন্ত্রী বলেন, পশু থেকে যে বর্জ্য বের হয় তা কিভাবে বিজ্ঞানসম্মত ভাবে কাজে লাগানো যায় তা নিয়ে আমাদের গবেষণা করতে হবে। গোবর থেকে যে গ্যাস উৎপন্ন হয় তা সঠিকভাবে কাজে লাগানোর উপায় বের করার জন্য সংশ্লিষ্টদের প্রতি তিনি এসময় আহবান জানান।

প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক ডা. মোহাম্মদ রেয়াজুল হক এর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে বাংলাদেশ প্রাণিসম্পদ গবেষণা ইন্সটিটিউটের মহাপরিচালক ড. এস এম জাহাঙ্গীর হোসেন, ইউনাইটেড স্টেটস অফ এগ্রিকালচার (ইউএসডিএ) এর এগ্রিকালচারাল অ্যাটাশে সারাহ গিলেস্কি, এসিডিআই/ভোকা এর চীফ এক্সিকিউটিভ অফিসার সিলভিয়া জে. মেগ্রেট এসময় উপস্থিত ছিলেন।


প্রাকৃতিক   খাদ্য   মৎস্য   প্রাণিসম্পদ  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড বাংলাদেশ

জালভোট পড়লেই কেন্দ্র বন্ধ হবে হুঁশিয়ারি ইসি হাবিবের

প্রকাশ: ০৫:৪৩ পিএম, ১৮ মে, ২০২৪


Thumbnail

একটা ভোট জাল পড়লেই কেন্দ্র বন্ধ করে দেওয়ার হুঁশিয়ারি দিয়ে নির্বাচন কমিশনার (ইসি) ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মো. আহসান হাবিব খান বলেছেন, ভোটকেন্দ্র দখল তো দূরের কথা, একটা ভোট জাল পড়লেই কেন্দ্র বন্ধ করে দেওয়া হবে।

শনিবার (১৮ মে) দুপুরে ঝালকাঠি শিল্পকলা একাডেমিতে দ্বিতীয় ধাপের উপজেলা পরিষদ নির্বাচন উপলক্ষে এক মতবিনিময় সভা শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে একথা বলেন তিনি।

মো. আহসান হাবিব খান বলেন, পেশিশক্তি ও কালো টাকা দিয়ে কেউ প্রভাব বিস্তার কিংবা ঝামেলা করতে চাইলে পুলিশকে ডাকবেন, তারা ব্যর্থ হলে ভোটগ্রহণ বন্ধ করে সেই সব কেন্দ্রগুলোতে পরে আলাদা করে ভোট নেওয়া হবে। ভোটার উপস্থিতি বাড়তে স্ব স্ব এলাকায় মাইকিং করে ব্যাপক প্রচার চালানো হবে; যাতে করে ভোটাররা নির্ভয়ে কেন্দ্রে এসে তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করতে পারেন।

তিনি বলেন, সব প্রার্থীই আমার কাছে সমান। যে কোনো মূল্যে অবাধ, সুষ্ঠু, নিরপেক্ষ ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচন নিশ্চিত করা হবে। কোনো প্রার্থী আচরণবিধি ভঙ্গ বা নির্বাচনী অপরাধ করলে তাৎক্ষণিকভাবে কঠোর আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে।

উপজেলা নির্বাচনে ভোটকেন্দ্র কেউ পেশিশক্তি ব্যবহার করতে চাইলে কোনো ছাড় দেওয়া হবে না বলে জানিয়ে নির্বাচন কমিশনার বলেন, একটি গণতান্ত্রিক দেশে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হলো সুষ্ঠু নির্বাচন। আর স্থানীয় সরকার নির্বাচন অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণ। সারা দেশের মানুষ রাজনৈতিক দলসহ সবার চাওয়া একটি সুষ্ঠু নির্বাচন। এই দায়িত্ব নির্বাচন কমিশনের ওপর ন্যস্ত।

তিনি আরও বলেন, আমরা জাতিকে একটি অবাধ, সুষ্ঠু, নিরপেক্ষ, অংশগ্রহণমূলক ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচন উপহার দিতে চাই।

আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতে জেলা প্রশাসন ও পুলিশ বিভাগকে নির্দেশ দেন তিনি।

ঝালকাঠি জেলা প্রশাসক ফারাহ গুল নিঝুমের সভাপতিত্বে আরও উপস্থিত ছিলেন বরিশালের জেলা প্রশাসক মো. শহিদুল ইসলাম, পিরোজপুরের জেলা প্রশাসক জাহিদুর রহমান ও বরিশাল র‌্যাব-৮ এর অধিনায়ক কর্নেল জুবায়ের আলম শুভ প্রমুখ।


ইসি হাবিব   নির্বাচন কমিশন  


মন্তব্য করুন


বিজ্ঞাপন