ইনসাইড বাংলাদেশ

প্রান্তিক জনগোষ্ঠীকে সিদ্ধান্ত গ্রহণের কর্তৃত্ব দিয়েছেন শেখ হাসিনা: সৈয়দ বোরহান কবীর

প্রকাশ: ১১:৩২ এএম, ২৭ অগাস্ট, ২০২২


Thumbnail 'কমিউনিটি ক্লিনিকের মাধ্যমে শেখ হাসিনা প্রান্তিক জনগোষ্ঠীকে সিদ্ধান্ত গ্রহণের কর্তৃত্ব দিয়েছেন'

পরিপ্রেক্ষিতের নির্বাহী পরিচালক সৈয়দ বোরহান কবীর বলেছেন, কমিউনিটি ক্লিনিকের মাধ্যমে শেখ হাসিনা কেবল প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর কাছে স্বাস্থ্য সেবা পৌছে দেননি। তার মালিকানা দিয়েছেন, সিদ্ধান্ত গ্রহণের কর্তৃত্ব দিয়েছেন। আত্ম পরিচয় দিয়েছেন। মর্যাদা দিয়েছেন। বঙ্গবন্ধু যেমন বাংলাদেশ চেয়েছিলেন, একেকটি কমিউনিটি ক্লিনিক যেন সেই স্বপ্নের প্রতিরূপ। 

শনিবার (২৭ আগস্ট) “দার্শনিক রাষ্ট্রনায়ক শেখ হাসিনার জাতির পিতার স্বপ্ন পূরনের অভিযাত্রা এবং কমিউনিটি ক্লিনিক” শীর্ষক গোলটেবিল আলোচনায় মূল প্রবন্ধ উপস্থাপনায় তিনি এসব কথা বলেন।

মূল প্রবন্ধে সৈয়দ বোরহান কবীর বলেন, “আসুন আজ আমরা এই শপথ গ্রহন করি, বিধ্বস্ত মুক্ত বাংলাদেশকে আমরা গড়ে তুলবো। গুটি কয়েক সুবিধাবাদী নয়, সাড়ে সাত কোটি মানুষ তার ফল ভোগ করবে। আমি ভবিষ্যৎ বংশধরদের সুখী এবং উন্নততর জীবন প্রতিষ্ঠার প্রতিশ্রুতি দিচ্ছি।”

জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ১৯৭২ সালের ২৬ মার্চ, বাংলাদেশের প্রথম স্বাধীনতা দিবসে জাতির উদ্দেশ্যে প্রদত্ত ভাষনে এই কথাগুলো বলেছিলেন।

আগস্ট মাস শোকের মাস। বাঙালীর হৃদয়ে রক্তক্ষরনের মাস। শোকের মাসে কমিউনিটি ক্লিনিক স্বাস্থ্য সহায়তা ট্রাস্ট গোল টেবিল বৈঠকে যে বিষয় নির্বাচন করেছে তা অত্যন্ত প্রাসঙ্গিক এবং তাৎপর্যপূর্ণ।

তিনি বলেন, জাতির পিতার একেকটি ভাষন এক একটি মহাকাব্য। ছয় দফা প্রণয়নের পর থেকে ১৯৭৫ সাল পর্যন্ত বঙ্গবন্ধুর প্রতিটি ভাষনেই বাংলাদেশের রূপকল্প ছিলো। তিনি কেমন বাংলাদেশ গড়তে চান সে স্বপ্নের কথা বার বার বলেছেন। একটি জাতি রাষ্ট্রের অবয়ব এঁকেছেন।

১০ জানুয়ারি ১৯৭২ সালে পাকিস্তানের কারাগার থেকে প্রিয় মাতৃভূমিতে ফিরে আসেন জাতির পিতা। ঐ দিন রেসকোর্স ময়দানের ভাষনে বঙ্গবন্ধু বলেছিলেন ‘আমাদের সাধারন মানুষ যদি আশ্রয় না পায়, যদি দেশবাসী খাবার না পায়, যুবকরা চাকরী বা কাজ না পায়, তাহলে এই স্বাধীনতা ব্যর্থ হয়ে যাবে, পূর্ণ হবে না।’ ঐ ভাষনে বঙ্গবন্ধু বাংলাদেশ নিয়ে দৃঢ় প্রত্যয়ের কথাও শুনিয়েছিলেন তার প্রিয় দেশবাসীকে। তিনি বলেছিলেন ‘বাংলাদেশ আজ মুক্ত, স্বাধীন। এক জন বাঙালী বেঁচে থাকতেও এই স্বাধীনতা নষ্ট হতে দেব না। বাংলাদেশ ইতিহাসে স্বাধীন দেশ রূপেই বেঁচে থাকবে। বাংলাদেশকে দাবিয়ে রাখবে এমন কোন শক্তি নাই।’ জাতির পিতার সেই অমর বানীই আজ সত্য প্রমাণিত হয়েছে। বাংলাদেশকে কেউ দাবিয়ে রাখতে পারেনি।

৭৫ এর পর পথ হারা বাংলাদেশকে তাই আবার পাকিস্তান বানাতে পারেনি হিংস্র দানবেরা। বাংলাদেশ আছে, থাকবে।
প্রশ্ন হলো জাতির পিতার স্বপ্ন কি ছিলো?
বঙ্গবন্ধুর বাংলাদেশ স্বপ্ন ছিলো স্পষ্ট এবং স্বচ্ছ।
বঙ্গবন্ধুর বাংলাদেশ হলো জনগনের মালিকানার স্বীকৃতি। এমন রাষ্ট্র যেখানে জনগনই ক্ষমতার উৎস।
বঙ্গবন্ধু বাংলাদেশ হলো বৈষম্য মুক্ত এক ভুখন্ড। বৈষম্য মুক্ত অর্থ হলো সব মানুষ তার নূন্যতম চাহিদা পূরণ করতে পারবে। রাষ্ট্র প্রত্যেক নাগরিকের তার মৌলিক অধিকারের নিশ্চয়তা দেবে।
জাতির পিতার বাংলাদেশ হলো শান্তির বাংলাদেশ।
বঙ্গবন্ধুর বাংলাদেশ হলো অসাম্প্রদায়িক চেতনার বাংলাদেশ।
জাতির পিতার বাংলাদেশ স্বপ্ন হলো আত্মমর্যাদা এবং স্বনির্ভরতা।
বঙ্গবন্ধুর বাংলাদেশ সুখী, সমৃদ্ধ এক রাষ্ট্রের অবয়ব।

তিনি আরও বলেন, জাতির পিতার রাষ্ট্র ভাবনাই সম্ভবত বিশ্বে একমাত্র রাষ্ট্র চিন্তা দর্শন যাতে পুরো রাষ্ট্র ব্যবস্থার পরিপূর্ণ পরিকল্পনা রয়েছে। জনগনের সংগে একটি সরাসরি মিথস্ক্রিয়া করা হয়েছে। এই রাষ্ট্র ভাবনায় একটি রাষ্ট্র অবয়বের পরিপূর্ণ চিত্র আঁকা হয়েছে। কিন্তু জাতির পিতা তার স্বপ্নের ‘সোনার বাংলা’ গড়ে যেতে পারেননি। সোনার বাংলা বির্নিমানের যাত্রা পথের শুরুতেই ৭১ এর পরাজিত শক্তি তাকে স্বপরিবারে নির্মমভাবে হত্যা করে। সোনার বাংলার স্বপ্ন বির্বন এবং বিলীন হয়ে যায়। বাংলাদেশের মানুষের অধিকার বুটের তলায় পিষ্ট হয়।

বাংলাদেশ আবার একটি পাকিস্তান হবার পথেই হাটছিলো। বাংলাদেশ আবার একটি ক্ষুধা, দারিদ্রপীড়িত পর মুখাপেক্ষী রাষ্ট্র হিসেবেই বিশ্বের জন্য একটি দায় হিসেবেই পরিচিতি পাচ্ছিল। বাংলাদেশের জনগন আবার অধিকার হীন এক অন্ধকার টানেলে প্রবেশ করেছিল।

সৈয়দ বোরহান কবীর বলেন, কিন্তু সেখান থেকে ঘুরে দাড়ায় বাংলাদেশ। কেউ আমাদের দাবায়ে রাখতে পারেনি। বাংলাদেশের ঘুরে দাড়ানোর গল্পের নায়ক দার্শনিক রাষ্ট্র নায়ক শেখ হাসিনা। ১৯৮১ সালের ১৭ মে তিনি দ্বিতীয় মুক্তিযুদ্ধে নেতৃত্ব দিতে স্বদেশ প্রত্যাবর্তন করেন। ঐ দিন মানিক মিয়া এভিন্যুতে জনসমুদ্রে শেখ হাসিনা তার লক্ষ্য ঘোষনা করেন। তিনি বলেন ‘বঙ্গবন্ধু ঘোষিত দ্বিতীয় বিপ্লবের কর্মসূচী বাস্তবায়ন ও শোষনমুক্ত সমাজ প্রতিষ্ঠার সংগ্রামে জীবন উৎসর্গ করতে চাই। আমার আর কিছু পাবার নেই। সব হারিয়ে আমি আপনাদের কাছে এসেছি আপনাদের ভালোবাসা নিয়ে পাশে থেকে বাংলার মানুষের মুক্তির সংগ্রামে অংশ নেয়ার জন্য।’

তাই দার্শনিক রাষ্ট্রনায়ক শেখ হাসিনার লক্ষ্য সুনির্দিষ্ট। তিনি জাতির পিতার অসমাপ্ত কাজ সমাপ্ত করতে এসেছেন। বঙ্গবন্ধুর ‘সোনার বাংলা’ কে পূর্নতা দিতে এসেছেন। দার্শনিক রাষ্ট্রনায়ক শেখ হাসিনা এবং জাতির পিতার অনুসারীদের আদর্শিক চিন্তায় মৌলিক পার্থক্য আছে। আওয়ামী লীগ কিংবা বঙ্গবন্ধুর সংগে রাজনীতি করা বঙ্গবন্ধু সৈনিকরা কেবল বঙ্গবন্ধুর স্বপ্ন গুলোর কথাই জানেন এবং বলেন। কিন্তু শেখ হাসিনা বঙ্গবন্ধুর প্রতিটি স্বপ্নের দার্শনিক তাৎপর্য উপলব্ধি করেছেন। এক্ষেত্রে ‘কমিউনিটি ক্লিনিক’ সবচেয়ে ভালো কেস স্টাডি হতে পারে।

তিনি বলেন, কমিউনিটি ক্লিনিকের ভাবনাটি কিভাবে রাষ্ট্রনায়ক শেখ হাসিনার মাথায় এলো? এখানে শ্রদ্ধেয় আলোচক, প্রধানমন্ত্রীর ব্যক্তিগত চিকিৎসক ড: এ.বি.এম আবদুল্লাহ আছেন। এরকমই একটি গোল টেবিলে তিনি বলেছিলেন, বঙ্গবন্ধু প্রান্তিক মানুষের কাছে স্বাস্থ্য সেবা পৌছে দিতে চেয়েছিলেন। বঙ্গবন্ধুর সেই স্বপ্ন পূরনের জন্যই শেখ হাসিনা কমিউনিটি ক্লিনিক প্রতিষ্ঠা করেছিলেন। কথাটি সত্য। বঙ্গবন্ধু তৃণমূল পর্যন্ত সবচেয়ে দূর্গম এলাকার প্রান্তিক মানুষের জন্য স্বাস্থ্য সেবা নিশ্চিত করতে চেয়েছিলেন। বঙ্গবন্ধুর স্বাস্থ্য ভাবনার বড় দিক ছিলো এটি। কিন্তু শেখ হাসিনা বঙ্গবন্ধুকে ধারন করেন। তার রাষ্ট্র চিন্তা দর্শন উপলব্ধি করেন। তিনি তো গ্রামে গ্রামে হাসপাতাল করতে পারতেন। ইউনিয়ন স্বাস্থ্য সেবা কেন্দ্রের ব্যাপ্তি বাড়িয়ে গ্রামের মানুষের চিকিৎসা দিতে পারতেন? তা না করে কেন তিনি ‘কমিউনিটি ক্লিনিক’ করলেন?

পরিপ্রেক্ষিতের নির্বাহী পরিচালক আরও বলেন, এপ্রসংগে আমি বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার সাবেক মহাপরিচালক মার্গারেট চ্যাং এর একটি স্মৃতিচারন উল্লেখ করতে চাই। মার্গারেট চ্যাং বাংলাদেশে এলেন। তাকে নিয়ে যাওয়া হলো কমিউনিটি ক্লিনিক পরিদর্শনে। সেখানে তিনি দোভাষীর কাছে জানতে চাইলেন, কমিউনিটি ক্লিনিক আর ইউনিয়ন স্বাস্থ্য সেবা কেন্দ্রের পার্থক্য কি? গ্রামের এক নারী উত্তর দিলেন ‘কমিউনিটি ক্লিনিক হলো নিজের বাড়ী আর ইউনিয়ন স্বাস্থ্য সেবা কেন্দ্র হলো ভাড়াবাড়ী।’ কথাটির তাৎপর্য গভীর। কমিউনিটি ক্লিনিকের মাধ্যমে শেখ হাসিনা কেবল প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর কাছে স্বাস্থ্য সেবা পৌছে দেননি। তার মালিকানা দিয়েছেন, সিদ্ধান্ত গ্রহণের কর্তৃত্ব দিয়েছেন। আত্ম পরিচয় দিয়েছেন। মর্যাদা দিয়েছেন। বঙ্গবন্ধু যেমন বাংলাদেশ চেয়েছিলেন, একেকটি কমিউনিটি ক্লিনিক যেন সেই স্বপ্নের প্রতিরূপ। আবার গণবিরোধী শক্তি যদি রাষ্ট্রক্ষমতা দখল করে তাহলে কমিউনিটি ক্লিনিকের মতো জনগনের প্রতিষ্ঠান গুলো যে বন্ধ করে দেয়া হয় তার প্রমান আমাদের কাছেই আছে। ২০০১ সালে বিএনপি-জামাত জোট ক্ষমতায় এসে কমিউনিটি ক্লিনিক বন্ধ করেছিল। বঙ্গবন্ধুর স্বপ্ন যেন আবার নষ্ট না হয় সেজন্য ২০০৯ সালে দ্বিতীয় বার ক্ষমতায় এসে শেখ হাসিনা কমিউনিটি ক্লিনিক কে সুরক্ষিত করেছেন। কমিউনিটি সাপোর্ট গ্রুপের মাধ্যমে এর মালিকানা জনগনের কাছে তুলে দিয়েছেন।

‘জনগন’ই ছিলো জাতির পিতার হৃদয় জুড়ে আর দার্শনিক শেখ হাসিনার কর্ম জুড়ে সেই জনগনের উন্নয়ন চিন্তা। এজন্য জাতির পিতার স্বপ্ন পূরনের অভিযাত্রায় প্রতিটি কমিউনিটি ক্লিনিক একেকটি দ্বীপ শিখা। যা বাংলাদেশের এগিয়ে যাওয়ার স্বারক। শেখ হাসিনার উন্নয়ন ভাবনা তাই কেবল ইট-পাথরের বির্নিমান নয় জনগনের ক্ষমতায়ন এবং প্রত্যয়।


কমিউনিটি ক্লিনিক   শেখ হাসিনা   প্রান্তিক জনগোষ্ঠী  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড বাংলাদেশ

সুশীল সমাজের সঙ্গে ডোনাল্ড লু’র বৈঠক

প্রকাশ: ১০:৪৭ পিএম, ১৪ মে, ২০২৪


Thumbnail

রাজধানীর গুলশানে মার্কিন রাষ্ট্রদূত পিটার হাসের বাসায় সুশীল সমাজের প্রতিনিধিদের সাথে বৈঠক করেছেন ঢাকা সফররত মার্কিন সহকারী পররাষ্ট্রমন্ত্রী ডোনাল্ড লু। বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন গণমাধ্যমকর্মী, মানবাধিকারকর্মী, শ্রমিক নেতা ও জলবায়ুকর্মী। মূলত নির্বাচন পরবর্তী সময়ে বাংলাদেশের সমসাময়িক অবস্থা নিয়ে আলোচনা করেছেন তারা।

বৈঠকে আমেরিকার পক্ষ থেকে উপস্থিত ছিলেন ডোনাল্ড লু, চিফ অফিস স্টাফ ন্যাথানিয়াল হাফট, ব্যুরো অব ইন্টেলিজেন্ট অ্যান্ড রিসার্চের বিশ্লেষক সারাহ আল্ডরিচ, পিটার হাস, ইউএসএআইডি’র মিশন ডিরেক্টর রীড এসলিম্যান, পলিটিক্যাল কাউন্সিলর আর্তুরো হাইনস, ডেপুটি পলিটিক্যাল অ্যান্ড ইকোনমিক কাউন্সিল শ্যারন ফিটজগ্যারল্ড, পলিটিক্যাল অ্যাটাচ ম্যাথিউ বেহ। এছাড়া ঢাকায় নিযুক্ত জার্মান রাষ্ট্রদূত আছিম ট্রোস্টারও ছিলেন।

বাংলাদেশের সুশীল সমোজের প্রতিনিধিদের মধ্যে ছিলেন ডেইলি স্টারের সম্পাদক মাহফুজ আনাম, শ্রমিক নেত্রী কল্পনা আখতার, শ্রমিক নেতা বাবুল আখতার, জলবায়ুকর্মী সোহানুর রহমান ও মানবাধিকারকর্মী নুর খান লিটন।

আজ রাতে প্রধানমন্ত্রীর বেসরকারি শিল্প ও বিনিয়োগ উপদেষ্টা সালমান এফ রহমানের বাসায় নৈশভোজে অংশ নেবেন ডোনাল্ড লু। আগামীকাল বুধবার সকালে পরিবেশমন্ত্রী সাবের হোসেন চৌধুরীর সঙ্গে ডোনাল্ড লুর সৌজন্য সাক্ষাৎ করার কথা রয়েছে। পরে পররাষ্ট্র সচিব মাসুদ বিন মোমেনের সঙ্গে দ্বিপাক্ষিক বৈঠক হবে। পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদের সঙ্গেও পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে সৌজন্য সাক্ষাত করবেন তিনি।

সুশীল সমাজ   ডোনাল্ড লু  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড বাংলাদেশ

সিলেটে নতুন গৃহকর বাতিলের দাবিতে আন্দোলন অব্যাহত

প্রকাশ: ০৯:৩৬ পিএম, ১৪ মে, ২০২৪


Thumbnail

সিলেট নগরে নির্ধারিত নতুন গৃহকর বাতিলের দাবিতে আন্দোলন কর্মসূচি অব্যাহত রয়েছে। মঙ্গলবার (১৪ মে) একাধিক সংগঠন মানববন্ধন, সমাবেশসহ বিভিন্ন কর্মসূচির মাধ্যমে ‘অযৌক্তিক ও অস্বাভাবিক’ গৃহকর বাতিলের দাবি জানিয়েছে। এসব কর্মসূচিতে বক্তারা জনস্বার্থে দ্রুত নগরবাসীর দাবি মেনে নিতে মেয়রকে অনুরোধ জানান।

আন্দোলনকারীরা বলছেন, নগরবাসীর ওপর অস্বাভাবিক গৃহকর বাড়িয়ে দেওয়া হয়েছে, যা সম্পূর্ণ অযৌক্তিক। সিলেটে এমন কী হয়ে গেল যে হঠাৎ গৃহকর বাড়াতে হবে? এটা জনগণকে মেরে আঙুল ফুলে কলাগাছ হওয়ার ধান্দা। জনগণের ওপর এ গৃহকর বৃদ্ধি হবে অত্যন্ত জুলুম। এ জুলুম নগরবাসী সহ্য করবে না। শিগগির এ গৃহকর স্বাভাবিক পর্যায়ে আনতে হবে।

জানা গেছে, সিলেট সিটি করপোরেশনের (সিসিক) হোল্ডিং ট্যাক্স বা গৃহকর পুনর্মূল্যায়ন (রি-অ্যাসেসমেন্ট) শেষে কর ধার্য করে দুই বছর আগে পরিষদে পাস করিয়েছিলেন তৎকালীন মেয়র আরিফুল হক চৌধুরী। তাঁর সময়ে ২৭টি ওয়ার্ডের ৭৫ হাজার ৪৩০টি গৃহ থেকে ১১৩ কোটি ২৭ লাখ ৭ হাজার টাকা কর আদায় নির্ধারণ করা হয়েছিল। নতুন গৃহকর ধার্যের সময় ধরা হয় ২০২১-২২ অর্থবছর। মেয়র আরিফ নতুন করের বিষয়টি প্রকাশ করেননি, বাস্তবায়নও শুরু করে যাননি। 

নতুন মেয়র আনোয়ারুজ্জামান চৌধুরী দায়িত্ব গ্রহণের চার মাসের মাথায় গত এপ্রিলে নতুন করের বিষয়টি প্রকাশ করেন। তাঁর পরিষদ নগর ভবনের সামনে ৩০ এপ্রিল থেকে ‘হোল্ডিং ট্যাক্স অ্যাসেসমেন্ট’ ক্যাম্প শুরু করে। এতে শুরু হয় হইচই। গৃহ মালিকদের অনেকেরই করের পরিমাণ দেখে চোখ ছানাবড়া। যাঁর ৩০০ টাকা বার্ষিক কর ছিল তাঁর এখন ৩০ হাজার টাকা। এমনকি কোনো কোনো ক্ষেত্রে কয়েকশ গুণ বাড়ানো হয়েছে গৃহকর। এতে প্রতিবাদমুখর হয়ে ওঠেন গৃহ মালিকসহ বিভিন্ন পেশার নাগরিকরা। তারা নতুন কর বাতিলের দাবি তুলে স্মারকলিপি দেন। 

সিলেট   গৃহকর  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড বাংলাদেশ

চলতি মাসে অবসরে যাচ্ছেন ৪ জন: সচিব পদে আসছে ১৫তম ব্যাচ

প্রকাশ: ০৮:০০ পিএম, ১৪ মে, ২০২৪


Thumbnail

চলতি মাসেই সরকারের গুরুত্বপূর্ণ চারটি মন্ত্রণালয়ের সচিবরা অবসরে যাচ্ছেন। আর তাদের অবসরের পর শূন্য সচিব পদে বেশ কয়েকটি শূন্যপদ হচ্ছে। আর এই শূন্যপদ পূরণের জন্য প্রথমবারের মত ১৫তম ব্যাচের অভিষেক হচ্ছে।

অবশ্য ১৫তম ব্যাচের খাইরুল ইসলাম ইতোমধ্যে সচিব হয়েছেন। তবে তিনি অবসরে যাওয়ার শেষ মুহূর্তে তাকে সচিব পদমর্যাদা দেওয়া হয়। এখন তিনি বিডার নির্বাহী পরিচালক হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন। খায়রুল ইসলামের সচিব পদোন্নতিটা ছিল রাজনৈতিক বিবেচনায় বলেই অনেকে মনে করেন। এখন নিয়মিতভাবে ১৫তম ব্যাচ থেকে সচিব পদে পদায়ন শুরু হতে পারে বলে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের দায়িত্বশীল সূত্র নিশ্চিত করেছেন।

সচিব পদে যারা অবসরে যাচ্ছেন তাদের মধ্যে আগামী ১৮মে চুক্তিভিত্তিক নিয়োগে থাকা বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব তপন কান্তি ঘোষ অবসরে যাচ্ছেন। তপন কান্তি ঘোষের মেয়াদ গত বছর ১৮মে শেষ হয়েছিল। তাকে এক বছরের জন্য চুক্তিভিত্তিক নিয়োগ দেওয়া হয়েছিল। আগামী ১৬মে তিনি শেষ কর্মদিবস পালন করবেন। তার চুক্তিভিত্তিক নিয়োগ আর হচ্ছে না বলে একাধিক সূত্র নিশ্চিত করেছে।

এছাড়া, ৩১মে অবসরে যাচ্ছেন প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের সচিব গোলাম মোহাম্মদ হাসিবুল ইসলাম। তবে তিনি শেষ পর্যন্ত চুক্তিভিত্তিক নিয়োগ পেতে পারেন এমন গুঞ্জন রয়েছে। আবার জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের একটি সূত্র বলছে যে, না তার চুক্তিভিত্তিক নিয়োগ পাওয়ার তেমন কোনও সম্ভাবনা নেই।

অন্যদিকে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জননিরাপত্তা বিভাগের সচিব জনাব মুস্তাফিজুর রহমানের চুক্তিভিত্তিক মেয়াদ শেষ হয়ে যাচ্ছে ২৫মে এবং তার চুক্তি নবায়ন করা হচ্ছে না বলেই একাধিক সূত্র নিশ্চিত করেছে। নির্বাচন কমিশনের সচিব জাহাঙ্গীর আলমের এই পদে আসার সম্ভাবনা রয়েছে বলে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের একাধিক সূত্র জানিয়েছে। তবে এ ব্যাপারে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেবেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। শেষ পর্যন্ত জাহাঙ্গীর আলম হবে কি না তা বোঝা যাবে প্রজ্ঞাপন জারির পরপরই।

এছাড়াও, বহুল আলোচিত আর্থিক খাতের সচিব শেখ মোহাম্মদ সলীম উল্লাহ অবসরে যাচ্ছেন চলতি মাসের ২০মে এবং তারও চুক্তিভিত্তিক নিয়োগ আর হচ্ছে না বলেই জানা গেছে। আর্থিক খাতের নতুন সচিব কে হবেন তা নিয়ে বিভিন্নমুখী আলোচনা চলছে।

দায়িত্বশীল একাধিক সূত্র বলছে যে, চলতি মাসে এই চারজন গুরুত্বপূর্ণ সচিবের অবসর ছাড়াও সামনের দিনগুলোতে বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ সচিবের পদ খালি হচ্ছে। পরিকল্পনা বিভাগের সচিব সত্যজিত কর্মকারের চাকরির মেয়াদ শেষ হয়ে যাচ্ছে আগামী ১২জুন। তাকে চুক্তিভিত্তিক নিয়োগ দেওয়া হতে পারে বলে প্রশাসনের মধ্যে গুঞ্জন রয়েছে।

এছাড়া, পাবলিক সার্ভিস কমিশনের সচিব হাসানুজ্জামান কল্লোল এর চাকরির মেয়াদ শেষ হয়ে যাচ্ছে আগামী ১৫জুন। হাসানুজ্জামান কল্লোল চুক্তিভিত্তিক নিয়োগ পেতে পারেন বলে গুঞ্জন রয়েছে। তবে অনেকে মনে করছেন যে, তিনি শেষ পর্যন্ত চুক্তি ভিত্তিক নিয়োগ পাবেন না।

তবে প্রধানমন্ত্রীর মুখ্যসচিব তোফাজ্জল হোসেন মিয়ার চুক্তির মেয়াদ শেষ হয়ে যাচ্ছে ৫ জুলাই। তিনি চুক্তিভিত্তিক নিয়োগ পাবেন কিনা তা নিয়ে নানামুখী আলোচনা আছে। তবে শেষপর্যন্ত যদি তার চুক্তিভিত্তিক নিয়োগ না হয় সেক্ষেত্রে প্রধানমন্ত্রীর মুখ্যসচিব হিসেবে দুজন জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তার নাম আছে। তার মধ্যে রয়েছে নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব মোস্তফা কামাল এবং শিল্পমন্ত্রণালয়ের সচিব জাকিয়া সুলতানা। তবে প্রধানমন্ত্রীর মুখ্যসচিব কে হবেন এই সিদ্ধান্ত চূড়ান্তভাবে নিবেন প্রধানমন্ত্রী‌।


সচিব   জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়   বাংলাদেশ সিভিল সার্ভিস  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড বাংলাদেশ

তারাই ছিলেন মূল কারিগর?

প্রকাশ: ০৭:০০ পিএম, ১৪ মে, ২০২৪


Thumbnail

মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের দক্ষিণ পূর্ব এশিয়ার সহকারী পররাষ্ট্রমন্ত্রী ডোনাল্ড লু এখন বাংলাদেশ সফর করছেন। সফরের প্রথমেই তিনি প্রধানমন্ত্রীর উপদেষ্টা সালমান এফ রহমানের বাসভবনে নৈশভোজে আমন্ত্রিত হচ্ছেন। এরপর তার বিভিন্ন রকমের কর্মসূচী আছে। বাংলাদেশ সফরে তিনি যাদের সাথে সাক্ষাৎ করবেন সেই তালিকায় সালমান এফ রহমান ছাড়াও রয়েছেন জলবায়ু ও পরিবেশমন্ত্রী সাবের হোসেন চৌধুরী। এই দুইজন ব্যক্তির সঙ্গে সাক্ষাৎকার নিয়ে রাজনৈতিক অঙ্গনে নানারকম আলাপ-আলোচনা হচ্ছে।

অনেকেই মনে করছেন যে, গত বছরে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে আওয়ামী লীগের সম্পর্ক উন্নয়ন এবং মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র যেন বাংলাদেশের নির্বাচনের ব্যাপারে একটি নিরপেক্ষ অবস্থানে থাকেন সেজন্য যারা কাজ করেছেন তাদের মধ্যে এই দুইজন ব্যক্তি শীর্ষস্থানীয়। বিশেষ করে সালমান এফ রহমান মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে সম্পর্ক উন্নয়নে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছেন বলেই বিভিন্ন সূত্র থেকে জানা গেছে।

উল্লেখ্য যে, ২০১৮ সালের নির্বাচনের পর মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে আস্তে আস্তে বাংলাদেশের সম্পর্কের অবনতি ঘটতে থাকে এবং মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে নির্বাচনে জো বাইডেন প্রেসিডেন্ট হয়ে বাংলাদেশের গণতন্ত্র, মানবাধিকার ইত্যাদি বিষয়ে নানামুখী চাপ প্রয়োগ করতে থাকেন। বাংলাদেশকে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র গণতন্ত্র সম্মেলনে আমন্ত্রণ জানায়নি। একই সাথে বাংলাদেশের র‌্যাবের উপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হয়। সবকিছু মিলিয়ে বাংলাদেশের উপর একধরনের চাপ সৃষ্টির চেষ্টা শুরু থেকেই লক্ষ্য করা গিয়েছিল বাইডেন প্রশাসনের মধ্যে।

বাংলাদেশের নির্বাচন নিয়ে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের একধরনের আগ্রহ ছিল প্রকাশ্য। বাংলাদেশে নির্বাচন যেন অবাধ, সুষ্ঠু, নিরপেক্ষ হয় এবং সকল যেন নির্বাচনে অংশগ্রহণ করে সেজন্য মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র রীতিমত চাপ প্রয়োগ করছিল। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের পক্ষ থেকে বারবার বাংলাদেশের জন্য ভিসা নীতি ঘোষণা করা হয়েছিল এবং এই ভিসা নীতির আওতায় যারা অবাধ, সুষ্ঠু, নিরপেক্ষ নির্বাচনের পথে অন্তরায় হবেন তাদেরকে আনা হবে বলে জানিয়ে দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু ২৮ অক্টোবরের পর থেকে আস্তে আস্তে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের মনোভাব পাল্টাতে থাকে এবং ৭ জানুয়ারী নির্বাচনের পর মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র বাংলাদেশের ব্যাপারে সম্পূর্ণ নমনীয় একটি অবস্থান গ্রহণ করে।

বিভিন্ন সূত্র থেকে পাওয়া খবরে দেখা গেছে যে, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে সম্পর্ক উন্নয়নের জন্য যিনি মূখ্য ভূমিকা পালন করেছিলেন তিনি হলেন, প্রধানমন্ত্রীর উপদেষ্টা সালমান এফ রহমান। তিনি একাধিকবার মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে গিয়েছিলেন। তিনি মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের নিরাপত্তা উপদেষ্টা জ্যাক সুলিভানের সঙ্গে বৈঠক করেছেন, আফরিন হকের সঙ্গে তিনি বৈঠক করেছেন এবং পররাষ্ট্র দপ্তরের একাধিক কর্মকর্তার সাথেও তিনি বৈঠক করেন।

সালমান এফ রহমান ছাড়াও সাবের হোসেন চৌধুরীও আওয়ামী লীগের সঙ্গে সম্পর্ক উন্নয়ন এবং নির্বাচন নিয়ে মার্কিন অবস্থান পরিবর্তনের ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছেন বলে বিভিন্ন সূত্রগুলো নিশ্চিত করেছেন। বিশেষ করে ২৮ অক্টোবরের পর সাবের হোসেন চৌধুরীর পরীবাগের বাস ভবনে গিয়েছিলেন মার্কিন রাষ্ট্রদূত পিটার ডি হাস। আর এই সমস্ত ব্যক্তিরা আলাদাভাবে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক বজায় রেখে চলেছেন। আর এই কারণেই কি ডোনাল্ড লু তাদের সঙ্গে সাক্ষাৎ করছেন?


ডোনাল্ড লু   সালমান এফ রহমান   সাবের হোসেন চৌধুরী  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড বাংলাদেশ

বাংলাদেশের রাজনীতিতে চীনের নেটওয়ার্ক বাড়ছে

প্রকাশ: ০৬:০০ পিএম, ১৪ মে, ২০২৪


Thumbnail

চীন এতদিন বাংলাদেশের অর্থনৈতিক অংশীদার ছিল। বাংলাদেশের উন্নয়ন প্রকল্পগুলোতে তাদের বড় ধরনের অবদান রয়েছে। আর এ কারণেই বাংলাদেশ ভারতের সঙ্গে সম্পর্ক অক্ষুন্ন রেখেই চীনের সঙ্গে সম্পর্ক উন্নয়নের কাজ করে যাচ্ছিল। কিন্তু সাম্প্রতিক সময়ে চীন বাংলাদেশের রাজনীতিতেও নেটওয়ার্ক বিস্তার করার চেষ্টা করছে এবং বাংলাদেশের ক্ষমতাসীন রাজনৈতিক দলের সাথে রাজনৈতিকভাবে ঘনিষ্ঠ হওয়ার চেষ্টা করছে।

গত সোমবার আওয়ামী লীগ নেতৃত্বাধীন ১৪ দলীয় জোটের শরীকদের ৯ সদস্যের একটি দল চীনে গেছেন। এতে ওয়ার্কার্স পার্টির রাশেদ খান মেনন, সাম্যবাদী দলের সাধারণ সম্পাদক দিলীপ বড়ুয়া, জাতীয় সমাজতান্ত্রীক দলের (জাসদ) সাধারণ সম্পাদক শিরীন আক্তারসহ শীর্ষ নেতারা রয়েছে। বামদলগুলো বিভিন্ন সময়ে চীনের সঙ্গে অত্যন্ত ঘনিষ্ঠ এবং তাদের এই সফরের ব্যাপারে রাজনৈতিক কোন বাক পরিবর্তনের ইঙ্গিত নেই। কিন্তু এই সময় ১৪ দলের শরীকদেরকে চীনে নিয়ে যাওয়া রাজনীতিতে বেশ গুরুত্ব বহন করে বলেই অনেকে মনে করছেন।

আগামী ২৫ মে আওয়ামী লীগের সহযোগী সংগঠনগুলোর কেন্দ্রীয় নেতাদের ৫০ সদস্যের একটি দল চীন সফরে যাবে। জানা গেছে, চীনের কমিউনিস্ট পার্টির আমন্ত্রণে তারা যাচ্ছেন। এ দলের নেতৃত্ব দিবেন স্বেচ্ছাসেবকলীগের সহ-সভাপতি এবং সিরাজগঞ্জ-১ আসনের সংসদ সদস্য তানভীর শাকিল জয়। ২৫ জুন আওয়ামী লীগের আরেকটি উচ্চ পর্যায়ের দল চীন সফর করবে এবং এ দলটির নেতৃত্ব দেয়ার দায়িত্ব দেয়া হয়েছে আওয়ামী লীগের সভাপতি মন্ডলীর সদস্য ও গত জাতীয় সংসদ নির্বাচনের জন্য গঠিত নির্বাচন পরিচালনা কমিটির কো-চেয়ারম্যান কাজী জাফরউল্লাহকে। ১০ সদস্যের এ দলে আওয়ামী লীগের বেশ কয়েকজন কেন্দ্রীয় নেতা থাকবেন বলেও ধারণা করা হচ্ছে।

আওয়ামী লীগ এবং তার অঙ্গ সহযোগী সংগঠনের নেতাদের এই চীন সফর রাজনীতির অঙ্গনে নতুন মেরুকরণ সৃষ্টি করেছে। শুধু তাই নয়, চীন এখন বিএনপির সঙ্গেও এক ধরনের সম্পর্ক উন্নয়নের চেষ্টা করছে বলে দায়িত্বশীল একাধিক সূত্র আভাস দিয়েছে। বিশেষ করে বিএনপির বিভিন্ন চীনপন্থি নেতাদের সঙ্গে তারা নতুন করে সম্পর্ক ঝালিয়ে নিচ্ছে।  এতদিন ধরে চীন বাংলাদেশের অর্থনৈতিক বলয়ে প্রভাব বিস্তারের চেষ্টা করছিল এবং এখন অর্থনৈতিক বলয়ে মোটামুটি প্রভাব বিস্তার শেষ করেছে। এখন চীন রাজনৈতিক বলয়েও প্রভাব বিস্তারের চেষ্টা করছে বলেও ধারণা করা হচ্ছে।

চীন শুধু বাংলাদেশে নয়, এই কৌশল মালদ্বীপ, শ্রীলঙ্কা এবং নেপালেও গ্রহণ করেছিল। যেখানে তারা প্রথমে অর্থনৈতিকভাবে দেশটির উপর একধরনের প্রভাব বিস্তার করার চেষ্টা করে এবং অর্থনৈতিকভাবে তাদেরকে নির্ভরশীল করে তোলে। অর্থনৈতিক নির্ভরতার পর তারা আস্তে আস্তে রাজনীতিমুখী হয় এবং রাজনৈতিক বিষয়ে তারা একধরনের প্রভাব বলয় সৃষ্টি করার চেষ্টা করে। বিশেষ করে মালদ্বীপে চীন অর্থনৈতিক আধিপত্যের মাধ্যমে এখন রাজনৈতিক প্রভাব নিশ্চিত করেছে। ঠিক একই ঘটনা বাংলাদেশে ঘটছে কিনা এনিয়ে অনেকের মধ্যে প্রশ্ন উঠেছে।

চীন বাংলাদেশের অন্যতম ঋণদাতা এবং বাংলাদেশ এখন ক্রমশ চীনের ঋণের উপর নির্ভরশীল হয়ে পড়ছে। শুধু তাই নয়, বাংলাদেশের বিভিন্ন অর্থনৈতিক কর্মকান্ডের উপরও চীনের প্রভাব বাড়ছে। যদিও বর্তমান সরকার এখন চীনের কাছ থেকে নতুন করে ঋণ গ্রহণ এবং চীনা প্রকল্পগুলোর ব্যাপারে সতর্ক অবস্থান নিয়েছে। কিন্তু তারপরও সরকারের ভিতর একটি অংশের চীনের সঙ্গে ব্যবসা বানিজ্য করার আগ্রহ বেড়েছে। এটির অন্যতম কারণ হলো চীনের কাছ থেকে সহজেই কমিশন পাওয়া যায়, চীনের প্রকল্পগুলোতে উপরি আয়ের সুযোগ বেশি- ইত্যাদি নানা বাস্তবতায় চীন নির্ভরতা আমাদের অর্থনীতিতে বেড়েছে এবং তারই সূত্র ধরে এখন চীন বাংলাদেশের রাজনৈতিক দলগুলোর প্রতি আগ্রহী হয়েছে বলেই মনে করা হচ্ছে।


চীনা রাষ্ট্রদূত ইয়াও ওয়েন   চীনা পররাষ্ট্রমন্ত্রী ওয়াং ই   বাংলাদেশ   রাজনীতি  


মন্তব্য করুন


বিজ্ঞাপন