ইনসাইড বাংলাদেশ

‘সাপকে বিশ্বাস করা যায়, মওদুদকে নয়’

নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রকাশ: ০৮:০০ পিএম, ২০ জানুয়ারী, ২০১৮


Thumbnail

যতই বেগম জিয়ার দুর্নীতির মামলা শেষের দিকে আসছে, ততই বিএনপির কোন্দল আর অবিশ্বাস দানা বেঁধে উঠছে। বেগম জিয়া দুর্নীতির মামলায় দন্ডিত হলে কোন কোন নেতা ডিগবাজি দেবেন তা নিয়ে দলের মধ্যেই চলছে কানাঘুষা। এর মধ্যে যারা নির্বাচন নিয়ে বেশি কথা বলছেন, সন্দেহের তীর তাঁদের দিকেই সবচেয়ে বেশি। সন্দেহের তালিকায় দ্বিতীয় অবস্থানে আছেন যারা একেবারে চুপ করে আছেন।

বিএনপির চেয়ারপারসন বেগম খালেদা দলের নেতাদের ‘কঠিন বার্তা’ দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন। কঠিন বার্তা হলো, তত্ত্বাবধায়ক সরকার ছাড়া কোনো নির্বাচন করতে দেওয়া হবে না। বিএনপির নেতাদের মধ্যে একমাত্র সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী একথা বলছেন। অন্যরা বলছেন, নানা ফাঁক ফোঁকর রেখে। ২০ জানুয়ারি এক অনুষ্ঠানে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ব্যারিস্টার মওদুদ আহমেদ প্রধানমন্ত্রীর উদ্দেশ্যে বলেছেন, ‘সুস্পষ্টভাবে নির্বাচন কালীন সরকারের ঘোষণা দিতে হবে।’ ব্যারিস্টার মওদুদ এর অন্য এক অনুষ্ঠানে বলেছিলেন, ‘আগামী নির্বাচনে যেকোনো মূল্যে বিএনপি যাবে। আপনারা প্রস্তুতি নিন।‘

জিয়া অরফানেজ দুর্নীতি মামলায় যুক্তিতর্ক উপস্থাপনকালে ব্যারিস্টার মওদুদ খালেদা জিয়াকে ‘আগামী দিনের প্রধানমন্ত্রী’ হিসেবে অভিহিত করেন। বেগম জিয়াও ব্যারিস্টার মওদুদের ওই মন্তব্যে খুশি হতে পারেননি। উল্টো তিনি মওদুদকে ডেকে বলেছেন, ‘আমি যে তিন বারের প্রধানমন্ত্রী সেটি না বলে আপনি আগামী দিন নিয়ে ভাবছেন কেন?’

ব্যারিস্টার মওদুদ আহমেদের কথাবার্তা নিয়ে সন্দেহ প্রবল হচ্ছে। বিএনপির একজন শীর্ষস্থানীয় নেতা বলেছেন, ‘সাপকেও বিশ্বাস করা যায়,মওদুদকে নয়।’ এর কারণ ব্যাখ্যা করে ওই নেতা বলেন, ‘ব্যারিস্টার মওদুদ আহমেদ দলবল আর ডিগবাজিতে এক নম্বর রাজনীতিবিদ।‘ বিএনপির এই শীর্ষ নেতা মনে করেন, ‘আগামী নির্বাচনে মওদুদকে আটকে রাখা কঠিন হবে।’ একাধিক সূত্র বলছে, তাঁর গুলশানের বাড়ি ফিরে পাওয়া এবং নোয়াখালীর আসনের জয়ের নিশ্চয়তার শর্তে তিনি দল ভেঙ্গে নির্বাচনে যেতে রাজি আছেন। এনিয়ে তাঁর সঙ্গে সমঝোতার চেষ্টা চলছে বলেও খবর আছে বিএনপি নেতৃবৃন্দের কাছে।

গত ১৯ জানুয়ারি ব্যরিস্টার মওদুদ আহমেদকে একজন জুনিয়র নেতা টেলিফোন করে একটি অনুষ্ঠানে যাওয়ার আমন্ত্রণ জানান। কিন্তু ব্যারিস্টার মওদুদ জানান ব্যস্ততার জন্য তিনি অনুষ্ঠানে যেতে পারছেন না। এরপর মনঃক্ষুণ্ণ ওই তরুণ নেতা বলেন ‘স্যার আপনার বিএনপি কবে আত্নপ্রকাশ করেছে? বিরক্ত হয়ে ব্যারিস্টার মওদুদ ফোন রেখে দেন।

বিএনপির একাধিক সূত্র বলছে, ‘ব্যারিস্টার মওদুদ একা নয়।বিএনপির অনেক সিনিয়র নেতাই এবার খালেদা জিয়াকে ফেলে যাবেন। দিন যত যাচ্ছে ততই এই তালিকা দীর্ঘ হচ্ছে। অনেক নেতাই এখন এলাকায় পুরোদমে নির্বাচনের প্রস্তুতি নিচ্ছেন।

Read in English- http://bit.ly/2Dr2LqS

বাংলা ইনসাইডার/জেডএ



মন্তব্য করুন


ইনসাইড বাংলাদেশ

বাংলাদেশে হচ্ছে উন্মুক্ত কারাগার

প্রকাশ: ০৯:৫৭ পিএম, ০২ মে, ২০২৪


Thumbnail

উন্নত দেশের মতো বাংলাদেশেও উন্মুক্ত কারাগার নির্মাণের পরিকল্পনা গ্রহণ করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল। তিনি বলেছেন, উন্মুক্ত কারাগার নির্মাণের কার্যক্রম শিগগিরই শুরু করা হবে।

বৃহস্পতিবার (২ মে) জাতীয় সংসদ অধিবেশনে এক প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী এ কথা জানান। স্পিকার শিরীন শারমিন চৌধুরীর সভাপতিত্বে এদিন প্রশ্নোত্তর টেবিলে উপস্থাপন করা হয়।

নোয়াখালী-৩ আসনের সংসদ সদস্য মামুনুর রশীদ কিরনের এক প্রশ্নের জবাবে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী জানান, উন্নত দেশের মতো বাংলাদেশে উন্মুক্ত কারাগার নির্মাণের পরিকল্পনা গ্রহণ করা হয়েছে। মালয়েশিয়ার কমিউনিটি রিহ্যাবিলিটেশন প্রোগ্রামের (সিআরপি) আদলে এই উন্মুক্ত কারাগার নির্মাণের জন্য কক্সবাজারের উখিয়া উপজেলায় ১৬০ একর জমি বন্দোবস্ত পাওয়া গেছে। সেখানে শিগগিরই উন্মুক্ত কারাগার নির্মাণের কার্যক্রম শুরু করা হবে।

সরকার দলীয় সংসদ সদস্য নিজাম উদ্দিন হাজারীর প্রশ্নের জবাবে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশ পুলিশ বাহিনীকে আধুনিকায়নের লক্ষ্যে বাংলাদেশ পুলিশে বর্তমান সরকারের বিগত তিন মেয়াদে ৮৩ হাজার ৫৭৭টি পদ বাড়ানো হয়েছে। স্বচ্ছ ও দুর্নীতিমুক্ত নিয়োগ প্রক্রিয়ার মাধ্যমে এসব পদে জনবল নিয়োগের বিষয়টি নিশ্চিত করা হয়েছে।

তিনি বলেন, অপরাধমূলক কর্মকাণ্ড প্রতিরোধে ও অভিযান পরিচালনার জন্য এবং বাংলাদেশ পুলিশকে ত্রিমাত্রিক বাহিনীতে রূপান্তরের জন্য দুটি অত্যাধুনিক হ্যালিকপ্টার সংযোজনের কার্যক্রম চলমান আছে।

পুলিশ বাহিনীর আধুনিকায়নের বিষয়ে তিনি বলেন, পুলিশকে স্মার্ট বাহিনী হিসেবে গড়ে তোলার লক্ষে বিভিন্ন ধরনের যুগোপযোগী আগ্নেয়াস্ত্র দেওয়া হচ্ছে। আগে ব্যবহৃত পয়েন্ট ৩০৩ রাইফেলের পরিবর্তে বর্তমানে ৭ পয়েন্ট ৬২ মিলিমিটার রাইফেল ব্যবহৃত হচ্ছে। সেই সঙ্গে পুলিশ সদস্যদের ৭ পয়েন্ট ৬২ অথবা ৯ এমএম পিস্তল ছাড়াও ৯ এমএম এসএমজি, পয়েন্ট ৪৫ ইঞ্চি এসএমজি, ১২ বোর শটগান, ৩৮ মিলিমিটার টিয়ারগ্যাস, গ্যাস গান/লঞ্চারসহ প্রয়োজনীয় গোলাবারুদ সরবরাহ করা হচ্ছে।

এ ছাড়া সংসদ সদস্য মাহবুব উর রহমানের এক প্রশ্নের জবাবে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, সীমান্তে নিশ্ছিদ্র নিরাপত্তা নিশ্চিত করার জন্য সরকার নানামুখী পদক্ষেপ নিয়েছে। ইতোমধ্যে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশকে (বিজিবি) অত্যাধুনিক অস্ত্র, যানবাহন, আকাশযান ও জলযান দিয়ে সুসজ্জিত করা হয়েছে।

উন্মুক্ত কারাগার   স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী   আসাদুজ্জামান খান কামাল  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড বাংলাদেশ

বৃষ্টির আশায় ব্যাঙের বিয়ে

প্রকাশ: ০৮:০২ পিএম, ০২ মে, ২০২৪


Thumbnail

টানা খরতাপ থেকে স্বস্তি পেতে বৃষ্টির আশায় রাজশাহীতে ব্যাঙের বিয়ে দেওয়া হয়েছে।

বুধবার (১ মে) থেকে প্রতীকী এই বিয়ের আয়োজন করা হয় রাজশাহীর পবা উপজেলার ভুগরইল পশ্চিম আদিবাসীপাড়ায়। এ গ্রামের বাসিন্দারা সাঁওতাল। তবে খ্রিস্টান ধর্মের অনুসারী। সাঁওতালি রীতিনীতি অনুযায়ী বৃহস্পতিবার দুপুরে ব্যাঙের বিয়ের আনুষ্ঠানিকতা সম্পন্ন হয়।

গ্রামের একমাত্র চার্চের শিক্ষক অঞ্জলী বিশ্বাসসহ কয়েকজন ব্যাঙের বিয়ের আয়োজন করেন। এ জন্য বুধবার বিকেলে তারা গ্রামের এক শুকনো পুকুরপাড় থেকে একটি ছেলে ব্যাঙ ও একটি মেয়ে ব্যাঙ ধরে আনেন। তারপর সন্ধ্যায় গ্রামের চার্চে সাজানো ছাতনাতলায় বর ও কনের গায়ে হলুদ অনুষ্ঠিত হয়।

এই বিয়েতে বরের নাম রাখা হয় শিমুল। আর কনের নাম মেঘলা বিশ্বাস। গায়ে হলুদের পর কনেকে রাখা হয়েছিল গ্রামের আলফন্স বিশ্বাসের বাড়িতে। বৃহস্পতিবার দুপুরে গ্রামের নারী ও শিশু-কিশোরীরা নেচে-গেয়ে নানা আনুষ্ঠানিকতা পালন করেন। এরপর সবাই লাইন ধরে গ্রামের বয়োজ্যেষ্ঠ নারীদের আশীর্বাদ নিয়ে বরযাত্রী হিসেবে বর নিয়ে রওনা দেয়। সঙ্গে যান বরের প্রতীকী বাবা সৈকত বিশ্বাস আর প্রতীকী মা ভাবনা বিশ্বাস নামের দুই শিশু।

আলফন্স বিশ্বাসের বাড়ি গেলে বরের বাবা-মায়ের পা ধুইয়ে দেওয়া হয় পানি দিয়ে। তারপর সবাই বাড়িতে কনের জন্য অপেক্ষা করতে থাকেন। কনে সাজানো শেষ হলে অঞ্জলী বিশ্বাস পুরোহিত সেজে বর-কনের বিয়ের আনুষ্ঠানিকতা শেষ হয়। এরপর বর শিমুলের হাত দিয়ে কনে মেঘলার মাথায় সিঁদুর পরিয়ে দেওয়া হয়। খাওয়া-দাওয়ার পর শেষ হয় বিয়ের আনুষ্ঠানিকতা। পরে বর-কনেকে একটি পুকুরে ছেড়ে দেওয়া হয়।

বিয়ের আয়োজক অঞ্জলী বিশ্বাস বলেন, ‘টানা খরায় পথঘাট পুড়ে যাচ্ছে। সব ফসলের ক্ষতি হচ্ছে। পশুপাখি ও অন্যান্য প্রাণি কষ্ট পাচ্ছে পানির অভাবে। আমরা বিশ্বাস করি ব্যাঙের বিয়ে দিলে বৃষ্টি হবে। তাই আমাদের সামাজিক রীতিনীতি অনুযায়ী দুই কোলা ব্যাঙের বিয়ে দেওয়া হলো।’

বৃষ্টি   ব্যাঙের বিয়ে  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড বাংলাদেশ

জয়পুরহাটে দুই উপজেলায় ৩০ প্রার্থীর মধ্যে প্রতীক বরাদ্দ

প্রকাশ: ০৬:২৪ পিএম, ০২ মে, ২০২৪


Thumbnail

দ্বিতীয় ধাপে আগামী ২১ মে অনুষ্ঠিতব্য জয়পুরহাট সদর ও পাঁচবিবি উপজেলায় ১১ চেয়ারম্যান প্রার্থীসহ ৩০ প্রার্থীর মধ্যে প্রতীক বরাদ্দ দেয়া হয়েছে। প্রতীক বরাদ্দের মধ্য দিয়ে এই দুই উপজেলায় প্রার্থীদের আনুষ্ঠানিক প্রচার-প্রচারণা শুরু হলো।

 

তফসিল অনুযায়ী আজ বৃহস্পতিবার (২ মে) দুপুরে জেলা প্রশাসক কার্যালয়ে প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীদের মধ্যে প্রতীক বরাদ্দ করেন নির্বাচনে দায়িত্ব প্রাপ্ত রিটার্নিং কর্মকর্তা।

 

এসময় বক্তব্য দেন জেলা প্রশাসক সালেহীন তানভীর গাজী। এসময় আরো উপস্থিত ছিলেন পুলিশ সুপার নুরে আলম (বিপিএম), অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক বিপুল কুমার, জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা ফজলুল করিম প্রমুখ।

 

জানা যায়, সদর উপজেলায় ৫ চেয়ারম্যান, ৭ ভাইস চেয়ারম্যান ও ৪ মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান এবং পাঁচবিবি উপজেলায় ৬ চেয়ারম্যান, ৪ ভাইস চেয়ারম্যান ও ৪ মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান বরাদ্দকৃত প্রতীক বুঝে নেন।

 

জয়পুরহাট সদরে কে কোন প্রতীক:

চেয়ারম্যান পদে এ ইএম মাসুদ রেজা (আনারস), খাজা শামসুল আল আমিন (দোয়াত কলম), আনোয়ার হোসেন (ঘোড়া), আমিনুল ইসলাম মাসুদ (কাপ পিরিচ), হাসানুজ্জামান মিঠু (মটরসাইকেল) প্রতীক পেয়েছেন।

 

ভাইস চেয়ারম্যান পদে অশোক কুমার ঠাকুর (টিউবয়েল প্রতীক), উজ্জ্বল মিনজি (টিয়া পাখি), জাকারিয়া মন্ডল (বৈদ্যুতিক বাল্ব), মুনছুর রহমান (মাইক), শামীম আহম্মেদ (উড়োজাহাজ), সিএম আফরাঈম কাবীর (তালা প্রতীক), আলী আকবর মোঃ ইজাহারুল ইসলাম ডাবলু (চশমা) প্রতীক পেয়েছেন।

 

মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে ফারহানা রহমান বিথী (ফুটবল), আছমা বিবি (হাঁস), নাছিমা আক্তার (বৈদ্যুতিক পাখা), রুমানা পারভীন (কলস) প্রতীক পেয়েছেন।

 

পাঁচবিবি উপজেলা কে কোন প্রতীক:

চেয়ারম্যান পদে আবু বক্কর সিদ্দিক (আনারস), জাহিদুল আলম (কৈ মাছ), মনিরুল শহীদ মন্ডল (মটর সাইকেল), সোহরাব হোসেন (দোয়াত কলম), সাঈদ জাফর চৌধুরী (টেলিফোন), সাবেকুন নাহার (ঘোড়া) প্রতীক পেয়েছেন।

 

ভাইস চেয়ারম্যান পদে ওয়াহিদুজ্জামান চৌধুরী (চশমা), আকরাম হোসেন তালুকদার (তালা), খালেকুল ইসলাম (টিউবওয়েল), ফরহাদ আলম (উড়োজাহাজ) প্রতীক পেয়েছেন।

 

মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে তামান্না বেগম (প্রজাপতি), রাজিনারা টুনি (বৈদ্যুতিক পাখা), রেবেকা সুলতানা (ফুটবল), মৌসুমী আক্তার (ফুলের টব) প্রতীক পেয়েছেন।

নির্বাচন কমিশনের ঘোষিত তফসিল অনুযায়ী, দ্বিতীয় ধাপের মনোনয়নপত্র বাছাই ২৩ এপ্রিল। রিটার্নিং কর্মকর্তার সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে আপিল ২৪ থেকে ২৬ এপ্রিল। আপিল নিষ্পত্তি ২৭ এপ্রিল থেকে ২৯ এপ্রিল, প্রার্থিতা প্রত্যাহারের শেষ সময় ৩০ এপ্রিল। প্রতীক বরাদ্দ ২ মে, আর ১৫০ উপজেলায় ভোটগ্রহণ হবে ২১ মে।


উপজেলা নির্বাচন   মনোনয়ন   চেয়ারম্যান   ভাইস চেয়ারম্যান   মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান   প্রতীক বরাদ্দ  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড বাংলাদেশ

শেখ হাসিনাকে নিয়ে কুরুচিপূর্ণ স্ট্যাটাস, আ.লীগ নেতাকে অব্যহতি

প্রকাশ: ০৬:০৭ পিএম, ০২ মে, ২০২৪


Thumbnail অভিযুক্ত আ.লীগ নেতা সরদার আবুল কালাম আজাদ

আওয়ামী লীগের সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে কটাক্ষ করে ফেসবুকে কুরুচিপূর্ন স্ট্যাটাস দেওয়ায় পাবনার ভাঙ্গুড়া উপজেলা আওয়ামী লীগের প্রস্তাবিত সাংগঠনিক সম্পাদক সরদার আবুল কালাম আজাদকে অব্যহতি দেওয়া হয়েছে। সেই সঙ্গে কেন তাকে স্থায়ীভাবে বহিষ্কার করা হবে না তা ৭ দিনের মধ্যে জানাতে ওই নেতাকে নির্দেশ দিয়েছে জেলা আওয়ামী লীগ।

 

খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, গত মঙ্গলবার (৩০ মে) দিবাগত রাতের পর কোনো এক সময় আবুল কালাম আজাদ তার ফেসবুক একাউন্টে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে কটাক্ষ করে স্ট্যাটাস দেন।

 

পরদিন বুধবার (০১ মে) সকালে তার লেখাটি সবার নজড়ে আসার পর ভাইরাল হয়ে যায়। এতে সমালোচনার ঝড় ওঠে স্থানীয় আওয়ামী লীগ নেতা-কর্মীদের মাঝে। সমালোচনার মুখে বাধ্য হয়ে এক পর্যায়ে পোস্টটি তার ফেসবুক থেকে ডিলিট করে দেন ওই নেতা।

 

বিষয়টি উপজেলা ও জেলা আওয়ামী লীগ নেতাদের নজড়ে এনে তার শাস্তির দাবি জানান স্থানীয় নেতৃবৃন্দ। পরে অভিযোগের সত্যতা পাওয়ায় বুধবার (১ মে) রাতে এক চিঠিতে সরদার আবুল কালাম আজাদকে তার প্রস্তাবিত পদ থেকে অব্যহতি দেয় জেলা আওয়ামী লীগ।


আরও পড়ুন: রাষ্ট্রপতির কাছে ক্ষমা চাইবেন বেগম জিয়া?

 

জেলা আওয়ামী লীগের দপ্তর সম্পাদক মোস্তাফিজুর রহমান সুইট স্বাক্ষরিত ওই চিঠিতে বলা হয়, 'কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগের নির্দেশে পাবনা জেলা আওয়ামী লীগের জরুরী সভার সিদ্ধান্ত মোতাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সম্পর্কে ফেসবুকে অশালীন ও কুরুচপিূর্ন মন্তব্য করায় সাংগঠনিক শৃঙ্খলা ভঙ্গের কারণে ভাঙ্গুড়া উপজেলা আওয়ামী লীগের প্রস্তাবিত সাংগঠনিক সম্পাদক সরদার আবুল কালাম আজাদকে তার সকল পদ থেকে অব্যহতি প্রদান করা হলো। সেই সঙ্গে কেন তাকে স্থায়ীভাবে বহিষ্কার করা হবে না তা পত্র প্রাপ্তির সাত দিনের মধ্যে জবাব দিতে নির্দেশ প্রদান করা হলো। যদি তিনি সাত দিনের মধ্যে জবাব না দেন তাহলে তাকে স্থায়ীভাবে বহিষ্কারের জন্য কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগের কাছে সুপারিশ করা হবে।'

 

এ বিষয়ে মন্তব্য জানতে সরদার আবুল কালাম আজাদের মোবাইল ফোনে একাধিকবার কল করা হলেও তিনি রিসিভ করেননি।


আরও পড়ুন: নির্দেশ অমান্যকারী মন্ত্রী-এমপিদের সাধারণ ক্ষমা?

 

পাবনা জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক গোলাম ফারুক প্রিন্স এমপি বলেন, ‘জননেত্রী শেখ হাসিনাকে নিয়ে আওয়ামী লীগ নেতার এমন স্ট্যাটাস খুবই ন্যাক্কারজনক। বিষয়ে কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগ নেতাদের সাথে কথা বলে তাকে সকল পদ থেকে অব্যহতি দেওয়া হয়েছে।


অব্যহতি   আওয়ামী লীগ নেতা   স্যাটাস   কুরুচীপূর্ণ  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড বাংলাদেশ

দ্বাদশ সংসদের দ্বিতীয় অধিবেশন শুরু

প্রকাশ: ০৫:৩৫ পিএম, ০২ মে, ২০২৪


Thumbnail

দ্বাদশ জাতীয় সংসদের দ্বিতীয় অধিবেশন শুরু হয়েছে। রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন সাংবিধানিক ক্ষমতাবলে গত ১৫ এপ্রিল এ অধিবেশন আহ্বান করেন।

বৃহস্পতিবার (২ মে) বিকেল ৫টায় স্পিকার শিরীন শারমিন চৌধুরীর সভাপতিত্বে সংসদ ভবনে এ অধিবেশন শুরু হয়।

অধিবেশনের শুরুতে স্পিকার সভাপতিমণ্ডলী এম এ মান্নান, আসাদুজ্জামান নুর, শফিকুল ইসলাম শিমুল, গোলাম কিবরিয়া টিপু ও ফজিলাতুন্নেছার নাম ঘোষণা করেন।

স্পিকার ও ডেপুটি স্পিকারের অনুপস্থিতি নামের অগ্রবর্তিতা অনুযায়ী সভাপতিমণ্ডলীর সদস্যরা অধিবেশনে সভাপতিত্ব করবেন।

এর পর অধিবেশনে গত ১৬ মার্চ ঝিনাইদহ-১ আসনের সংসদ সদস্য আব্দুল হাইয়ের মৃত্যুতে শোক প্রস্তাব আনা হয়। এ ছাড়া সাবেক সংসদ সদস্য শামছুল হক ভূঁইয়া, আবুল হাসেম খান, পিনু খান, নজির হোসেন ও মোখলেছুর রহমান এবং বীর মুক্তিযোদ্ধা ও ভাষা সৈনিক, একুশে পদকপ্রাপ্ত ও আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের চিফ প্রসিকিউটর গোলাম আরিফ টিপু, একুশে পদকপ্রাপ্ত প্রবীণ সাংবাদিক ও প্রধানমন্ত্রীর প্রেস সচিব ইহসানুল করিম, আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য ও একুশে পদকপ্রাপ্ত শিক্ষাবিদ ড. প্রণব কুমার বড়ুয়ার মৃত্যুতে শোক প্রকাশ করা হয়।

এরপর সংসদ সদস্য আব্দুল হাইয়ের শোক প্রস্তাবের ওপর আলোচনা শুরু হয়।

জাতীয় সংসদ   রাষ্ট্রপতি   মো. সাহাবুদ্দিন  


মন্তব্য করুন


বিজ্ঞাপন