ইনসাইড বাংলাদেশ

সংসদে সর্বজনীন পেনশন ব্যবস্থাপনা বিল উত্থাপন

প্রকাশ: ০৮:৪২ পিএম, ২৯ অগাস্ট, ২০২২


Thumbnail সংসদে সর্বজনীন পেনশন ব্যবস্থাপনা বিল উত্থাপন

সকল নাগরিককে পেনশন সুবিধার আওতায় আনতে ‘সর্বজনীন পেনশন ব্যবস্থাপনা বিল-২০২২’ আইন সভার অনুমোদনের জন্য সংসদে  উত্থাপন করেছেন অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল।

সোমবার (২৯ আগস্ট) বিকেলে স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরীর সভাপতিত্বে সংসদ অধিবেশনে বিলটি উত্থাপন করা হয়। পরে সেটি পরীক্ষা করে সংসদে প্রতিবেদন দেওয়ার জন্য অর্থ মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটিতে পাঠানো হয়।

বিলের খসড়া আইনে বলা হয়েছে, সর্বজনীন পেনশন স্কিমের ধার্য করা হারে অংশগ্রহণকারী চাঁদাদাতা নিরবচ্ছিন্নভাবে চাঁদা দেওয়ার শর্তে বয়স ৬০ বছর পূর্তিতে আজীবন বা পেনশনে থাকাকালীন চাঁদাদাতার মৃত্যুজনিত কারণে তার নমিনিকে নির্দিষ্ট সময় পর্যন্ত মাসিক হারে পেনশন দেওয়া হবে।

বিলে এ আইনের উদ্দেশ্য পূরণের জন্য একটি জাতীয় পেনশন কর্তৃপক্ষ গঠনের বিধান রাখা হয়েছে। এই কর্তৃপক্ষে একজন নির্বাহী চেয়ারম্যান ও চারজন সদস্য থাকবেন। তাদের নিয়োগ দেবে সরকার। সরকারের অনুমোদন নিয়ে এ কর্তৃপক্ষ নিজ নামে ঋণ নিতে পারবে বলেও বিলে বলা হয়েছে।

খসড়া আইনে ১৬ সদস্যের একটি পরিচালনা পর্ষদ গঠনের বিধান রাখা হরেয়ছে। যার চেয়ারম্যান হবেন অর্থমন্ত্রী। এছাড়া বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর, আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগের সচিব, অর্থ বিভাগের সচিব, এনবিআর চেয়ারম্যান, সমাজকল্যাণ মন্ত্রণালয়ের সচিব, মহিলা ও শিশুবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সচিব, প্রবাসী কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের সচিব, শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের সচিব, ডাক ও টেলিযোগাযোগ বিভাগের সচিব, প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের সচিব, বাংলাদেশ সিকিউরিটি অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের (বিএসইসি) চেয়ারম্যান, ফেডারেশন অব বাংলাদেশ চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ড্রাস্ট্রির (এফবিসিসিআই) সভাপতি, এপ্লয়ার্স ফেডারেশনের সভাপতি, উইমেন চেম্বাস অব কমার্সের সভাপতি এর সদস্য হবেন। পরিচালনা পর্ষদের সদস্য সচিব হবেন কর্তৃপক্ষের নির্বাহী চেয়ারম্যান।

বিলে বলা হয়েছে, সর্বজনীন পেনশনের আওতায় ১৮ বছর বা তদূর্ধ্ব বয়স হতে ৫০ বছর বয়সী সব বাংলাদেশি নাগরিক অংশ নিতে পারবেন। বিশেষ বিবেচনায় পঞ্চাশোর্ধ্বদেরও এর আওতায় রাখার ব্যবস্থা রাখা হয়েছে। তবে সেক্ষেত্রে নিরবচ্ছিন্ন ১০ বছর চাঁদা দিতে হবে।

খসড়া আইনে বলা হয়েছে, চাঁদাদাতা ধারাবাহিকভাবে কমপক্ষে ১০ বছর চাঁদা দিলে মাসিক পেনশন পাবেন। চাঁদাদাতার বয়স ৬০ বছর পূর্তিতে পেনশন তহবিলে পুঞ্জীভূত মুনাফাসহ জমার বিপরীতে পেনশন দেওয়া হবে। বিদেশে কর্মরত বাংলাদেশি কর্মীরা এ কর্মসূচিতে অংশ নিতে পারবেন। একজন পেনশনার আজীবন পেনশন সুবিধা পাবেন বলে বিলে বিধান রাখা হয়েছে।

এতে বলা হয়েছে, পেনশনে থাকাকালীন ৭৫ বছর পূর্ণ হওয়ার পূর্বে মারা গেলে তার নমিনি অবশিষ্ট সময়ের জন্য (মূল পেনশনারের বয়স ৭৫ বছর পর্যন্ত) মাসিক পেনশন প্রাপ্য হবেন। চাঁদাদাতা কমপক্ষে ১০ বছর চাঁদা দেওয়ার আগে মারা গেলে জমানো অর্থ মুনাফাসহ তার নমিনিকে ফেরত দেওয়া হবে।

পেনশন তহবিলে জমা দেওয়া অর্থ কোনো পর্যায়ে এককালীন তোলার প্রয়োজন পড়লে চাঁদাদাতা আবেদন করলে জমা দেওয়া অর্থের সর্বোচ্চ ৫০ শতাংশ ঋণ হিসেবে তুলতে পারবেন। যা ফিসহ পরিশোধ করতে হবে। পেনশন থেকে পাওয়া অর্থ আয়করমুক্ত থাকবে। পেনশনের জন্য নির্ধারিত চাঁদা বিনিয়োগ হিসেবে গণ্য করে কর রেয়াতের জন্য বিবেচিত হবে।

খসড়া আইনে বলা হয়েছে, নিম্ন আয়সীমার নিচের নাগরিকদের অথবা অস্বচ্ছল চাঁদাদাতার ক্ষেত্রে পেনশন তহবিলে মাসিক চাঁদার একটি অংশ সরকার অনুদান হিসেবে প্রদান করতে পারবে।

বিলে বলা হয়েছে, সর্বজনীন পেনশন পদ্ধতিতে সরকারি অথবা আধা সরকারি বা স্বায়ত্তশাসিত অথবা বেসরকারি প্রতিষ্ঠান অংশ নিতে পারবে। এক্ষেত্রে কর্মী ও প্রতিষ্ঠানের চাঁদার অংশ কর্তৃপক্ষ নির্ধারণ করবে। তবে সরকারি সিদ্ধান্ত না দেওয়া পর্যন্ত সরকারি ও আধা সরকারি বা স্বায়ত্তশাসিত প্রতিষ্ঠানে কর্মরতরা এ পেনশন ব্যবস্থার আওতা-বহির্ভূত থাকবে।

বর্তমানে দেশে শুধু সরকারি কর্মচারীরা পেনশন পেলেও বেসরকারি চাকরিজীবীসহ সবাইকে পেনশনের আওতায় আনার প্রতিশ্রুতি ছিল আওয়ামী লীগের নির্বাচনী ইশতেহারে। এরই ধারাবাহিকতায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশে এ আইনের খসড়া প্রস্তুত করা হয়।

সর্বজনীন পেনশন   বিল উত্থাপন  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড বাংলাদেশ

ইরানের প্রেসিডেন্টের মৃত্যুতে রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রীর শোক

প্রকাশ: ০৪:৩১ পিএম, ২০ মে, ২০২৪


Thumbnail

হেলিকপ্টার দুর্ঘটনায় ইরানের প্রেসিডেন্ট ইব্রাহিম রাইসি ও পররাষ্ট্রমন্ত্রী হোসেইন আমির আব্দুল্লাহিয়ানসহ সব আরোহীর মৃত্যুতে শোক জানিয়েছেন রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

সোমবার (২০ মে) পৃথক বার্তায় তারা শোক জানিয়েছেন।

শোকবার্তায় রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন ইরানের প্রেসিডেন্টের মৃত্যুতে গভীর শোক প্রকাশ করে দেশটির নাগরিক ও প্রেসিডেন্টের স্বজনদের গভীর সমবেদনা জানান।

পৃথক এক শোকবার্তায় রাইসিকে একজন বড় মাপের নেতা উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, তিনি সারাজীবন তার দেশের জন্য কাজ করে গেছেন। তার কাজের উপকার ভোগ করছেন দেশটির নাগরিকরা। এছাড়াও, শোকবার্তায় প্রধানমন্ত্রী ইরানের প্রেসিডেন্ট ও পররাষ্ট্রমন্ত্রীর মৃত্যুতে বাংলাদেশের পক্ষ থেকে গভীর শোক প্রকাশের পাশাপাশি সমবেদনা জ্ঞাপন করেন।

এর আগে, রোববার (১৯ মে) আজারবাইজানের সীমান্তবর্তী এলাকায় একটি অনুষ্ঠান থেকে ফেরার পথে ইব্রাহিম রাইসিকে বহনকারী হেলিকপ্টার বিধ্বস্ত হয়। পরে দীর্ঘসময় উদ্ধার অভিযান চালানোর পর হেলিকপ্টারটির ধ্বংসাবশেষ খুঁজে পায় তারা। এরপর হেলিকপ্টারে থাকা কোনো আরোহী জীবিত নেই বলে নিশ্চিত করা হয়।

এদিকে, ইব্রাহিম রাইসির মৃত্যুর পর দেশটির অন্তর্বর্তীকালীন প্রেসিডেন্ট হিসেবে দায়িত্ব নিতে যাচ্ছেন মোহাম্মদ মোখবের। তিনি বর্তমানে ভাইস প্রেসিডেন্টের দায়িত্ব পালন করছেন।

ইরানের সংবিধান অনুযায়ী, ক্ষমতাসীন প্রেসিডেন্ট মারা গেলে বা কোনো কারণে দায়িত্ব পালনে সক্ষম না হলে রাষ্ট্র পরিচালনার দায়িত্ব নেবেন ভাইস প্রেসিডেন্ট। পরবর্তী ৫০ দিনের মধ্যে নতুন নির্বাচনের আয়োজন করতে হবে এবং নতুন প্রেসিডেন্ট বেছে নিতে হবে। নির্বাচন না হওয়া পর্যন্ত প্রেসিডেন্টের দায়িত্ব সামলাবেন ভাইস প্রেসিডেন্ট।

উল্লেখ্য, ইরানের অষ্টম প্রেসিডেন্ট ইব্রাহিম রাইসি। তিন বছর আগে ইরানের প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হওয়ার আগে ইব্রাহিম রাইসিকে মনে করা হয় একদিন দেশটির সর্বোচ্চ ধর্মীয় নেতা আয়াতুল্লাহ খামেনির উত্তরসূরি হবেন। প্রেসিডেন্ট হওয়ার আগে দেশটির প্রধান বিচারপতি হিসেবেও দায়িত্ব পালন করেন তিনি।


ইরান   প্রেসিডেন্ট   মৃত্যু   রাষ্ট্রপতি   প্রধানমন্ত্রী   শোক  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড বাংলাদেশ

ইব্রাহিম রাইসির মৃত্যুতে রাষ্ট্রপতির শোক

প্রকাশ: ০৩:৫৬ পিএম, ২০ মে, ২০২৪


Thumbnail

ইরানের প্রেসিডেন্ট ড. সাইয়েদ ইব্রাহিম রাইসির মৃত্যুতে গভীর শোক ও দুঃখ প্রকাশ করেছেন রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন।

সোমবার (২০ মে) গণমাধ্যমে পাঠানো এক শোক বার্তায় বলা হয়, রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন হেলিকপ্টার দুর্ঘটনায় ইরানের রাষ্ট্রপতি ও পররাষ্ট্রমন্ত্রীসহ অন্যান্য সফরসঙ্গীদের মৃত্যুতে বাংলাদেশের জনগণের পক্ষ থেকে গভীর শোক প্রকাশ করেন। 

বার্তায় রাষ্ট্রপতি বলেন, বিভিন্ন সংকটে প্রেসিডেন্ট রাইসির দূরদর্শী পদক্ষেপ ও তার সাহস আমাদের জন্য অনুপ্রেরণার মডেল হয়ে থাকবে। প্রেসিডেন্ট রাইসির মৃত্যুতে ইরান একজন জ্ঞানী ও বিজ্ঞ নেতাকে হারালো।

রাষ্ট্রপতি নিহতদের আত্মার মাগফিরাত কামনা করেন এবং শোকসন্তপ্ত পরিবারের সদস্য ও ইরানের ভ্রাতৃপ্রতিম জনগণের প্রতি সমবেদনা জানান।


ইব্রাহিম রাইসি   মৃত্যু   রাষ্ট্রপতি   শোক  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড বাংলাদেশ

সুনামগঞ্জে ‘বিস্ফোরণ’ আইনে ইউপি সদস্যের ভাইয়ের বিরুদ্ধে মামলা


Thumbnail

সুনামগঞ্জের তাহিরপুরে ‘ডেটোনেটর সদৃশ’ বস্তুর বিস্ফোরণে তিন জন আহত হওয়ার ঘটনায় সাজু মিয়া নামে এক ব্যাক্তির বিরুদ্ধে অবশেষে থানায় বিস্ফোরণ আইনে মামলা দায়ের করা হয়েছে।


অভিযুক্ত সাজু উপজেলার উওর শ্রীপুর ইউনিয়নের শ্রীপুর গ্রামের মৃত ইউপি সদস্য ইসকন্দর আলীর ছেলে ও একই ইউনিয়নের ৭নং ওয়ার্ডের প্রভাবশালী বর্তমান ইউপি সসদস্য আবুল কালাম ওরফে আবুল মেম্বারের সহোদর ভাই।

রোববার (১৯ মে) রাতে উপজেলার তরং গ্রামের জয়নাল আবেদীনের ছেলে ডেটোনেটর সদৃশ্য বস্তুর বিস্ফোরণে আহত মোবাইল মেকানিক আনোয়ার আলমের ছোট ভাই বাদী হয়ে ওই মামলাটি দায়ের করেন। মামলায় সাজু ছাড়াও তার সহযোগি হিসাবে অজ্ঞাতনামা ২ থেকে ৩ জনকে আসামী করা হয়েছে।


প্রসঙ্গত, গেল বুধবার (১৫ মে) সন্ধা সাড়ে ৭টার দিকে উপজেলার শ্রীপুর বাজারে মোবাইল সার্ভিসিংয়ের দোকানে বিকট শব্দে ওই বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটে।

বিস্ফোরণে উপজেলার তরং গ্রামের জয়নাল আবেদীনের ছেলে মোবাইল মেকানিক আনোয়ার আলম, গ্রাহক একই গ্রামের মৃত কফিল মিয়ার ছেলে নুরুল হুদা, তার সহোদর আনিস মিয়া আহত হন।

আহতদের মধ্যে আশঙ্কাজনক অবস্থায় আনোয়ার আলম ও নুরুল হুদাকে ঘটনার রাতেই সিলেট এমএজি ওসমানী মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। অপর আহত আনিসকে তাহিরপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে।

মামলার এজাহার সুত্রে জানা যায়, ১৫ মে বুধবার সন্ধ্যায় অভিযুক্ত সাজু বিদ্বেষপুর্ণ ভাবে জীবন ও সম্পক্তির ক্ষতি সাধনের লক্ষে বিস্ফোরণ কিংবা নাশকতা ঘটানো সহ সহায়তা করার অপরাধ করতে শ্রীপুর বাজারের মোবাইল মেকানিক আনোয়ার আলমকে দুটি তার সংযুক্ত সিলভার রঙের প্যানসিল ব্যাটারী আকৃতির একটি বস্তু মিটারে পরীক্ষা করতে দেয়। এরপর জোর করে পাওয়ার চেক করার জন্য প্যানসিল ব্যাটারী আকৃতির একটি বস্তুটি এসি লোড টেস্টারে চেক করার কথা বলে দোকান থেকে অনেকটা দুরে সড়ে যায় সাজু। এরপর পরই বিকট শব্দে বিস্ফোরণ ঘটলে মোবাইল মেকানিক সহ দোকানে থাকা অপর দুই গ্রাহক গুরুতর আহত হন।

ঘটনার রাতে পুলিশ ঘটনাস্তলে গেলেও অভিযুক্ত সাজুর ভাই ইউপি সদস্য আবুল মেম্বার বিভিন্ন ভাবে প্রভাব খাটিয়ে ও তদবীর করিয়ে বিস্ফোরণের ঘটনাটি দূর্ঘটনা হিসাবে ধামাচাপা দিতে মরিয়া হয়েছে উঠেন।

এ ঘটনার পরদিন বিস্তারিত তথ্য, প্রমাণ সহ বাংলা ইনসাইডারের অনলাইন ভার্সনে ‘সুনামগঞ্জে ডেটোনেটর সদৃশ’ বস্তুর বিস্ফোরণে তিন জন আহত শিরোনামে অনুসন্ধানী প্রতিবেদন প্রকাশিত হলে পুলিশের উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের নজরে আসে।

এরপর সুনামগঞ্জ পুলিশ সুপার (সদ্য অতিরিক্ত ডিআইজি পদে পদোন্নতি প্রাপ্ত) মোহাম্মদ এহসাস শাহ্ র নির্দেশে সহকারি পুলিশ সুপার (তাহিরপুর সার্কেল) মোঃ নাসিম উদ্দিন, থানার ওসি মোহাম্মদ নাজিম উদ্দিন প্রকাশ্যে ও গোপনে তদন্ত করে বিস্ফোরক জাতীয় সামগ্রী দিয়ে বিস্ফোরণ ঘটিয়ে জীবন ও সম্পক্তি ক্ষতি সাধনের চেষ্টার সত্যতা খুঁজে পান।

  
অপরদিকে ঘটনার রাতে চারাগাঁও শুল্ক স্টেশনের চুনাপাথর আমদানিকারকদের একাধিক সূত্র জানায়, ভারতের চুনাপাথর খনিতে চুনাপাথর ভাঙ্গার জন্য সেখানকার রপ্তানিকারক প্রতিষ্ঠানগুলো তাদের কোয়ারীতে এক ধরনের ইলেকট্রনিক্স ডেটোনেটর (উচ্চ ক্ষমতা সম্পন্ন বিস্ফোরক) ব্যবহার করে থাকে। যেটি বুধবার (১৫ মে) সন্ধ্যায় শ্রীপুর বাজারে বিস্ফোরিত হয়েছে সেটি ইলেকট্রনিক্স ডেটোনেটর হতে পারে।

তাহিরপুর থানার ওসি মোহাম্মদ নাজিম উদ্দিন মামলা দায়েরের বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, অভিযুক্ত সাজু পলাতক রয়েছে, তাকে গ্রেফতারে পুলিশের একাধিক টিম তৎপর রয়েছে। তিনি আরো বলেন, সাজুর বিরুদ্ধে বিস্ফোরণ আইনে মামলা ছাড়াও বিভিন্ন অপরাধে আরো ৪টি মামলা আদালতে বিচারাধীন রয়েছে।


বিস্ফোরণ আইন   মামলা   ইউপি সদস্য  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড বাংলাদেশ

ব্যাটারিচালিত রিকশা চালু রাখার নির্দেশ দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী: কাদের

প্রকাশ: ০৩:৩১ পিএম, ২০ মে, ২০২৪


Thumbnail

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ব্যাটারিচালিত রিকশা চালু রাখার নির্দেশ দিয়েছেন বলে জানিয়েছেন সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের। তবে, দেশের ২২টি মহাসড়কে ব্যাটারিচালিত রিকশা বন্ধ থাকবে বলে জানান তিনি।

সোমবার (২০ মে) দুপুরে গুলিস্তান বঙ্গবন্ধু এভিনিউয়ে আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে ওলামা লীগের প্রথম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর আলোচনা একথা জানান সড়ক পরিবহনমন্ত্রী।

এ সময় ওবায়দুল কাদের বলেন, দুর্মূল্যের বাজারে মেহেনতি মানুষের দুঃখ-দুর্দশা, বর্তমান বিশ্ব পরিস্থিতি ও দ্রব্যমূল্যের কথা চিন্তা করে সিটি এলাকায় ব্যাটারিচালিত রিকশা চালু রাখার নির্দেশ দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

আওয়ামী ওলামা লীগের সভাপতি মাওলানা কে এম আব্দুল মমিন সিরাজীর সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক মো. আমিনুল হকের সঞ্চালনায় সভায় আরও উপস্থিত ছিলেন আওয়ামী লীগের যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক ও পররাষ্ট্রমন্ত্রী হাছান মাহমুদ, প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক আব্দুস সোবহান গোলাপ, ধর্মবিষয়ক সম্পাদক সিরাজুল মোস্তফা প্রমুখ।


সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী   ওবায়দুল কাদের   ব্যাটারিচালিত রিকশা  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড বাংলাদেশ

উপজেলা নির্বাচন: চেয়ারম্যান প্রার্থীর বেফাঁস বক্তব্যে ক্ষুব্ধ এলাকাবাসী


Thumbnail

রাত ফুরালেই ভোট। ভোটারদের মধ্যে আমেজ বিরাজ করলেও শেষ সময়ে দেখা দিয়েছে ক্ষোভের বহিঃপ্রকাশ। স্থানীয়রা বলছেন, প্রতীক বরাদ্দের পর থেকেই মোটরসাইকেলের প্রতীকের প্রার্থী আলতাফ মাষ্টার ও তার অনুসারীরা আওয়ামী লীগ ও এর অঙ্গ সংগঠনের নেতাকর্মীদের নিয়ে নানা কুরুচীপূর্ণ বক্তব্য দিয়ে আসছে। আর সাধারণ ভোটারদের দিচ্ছেন নানা হুমকি। এতে করে চরাঞ্চলের ভোটারদের মাঝে দেখা দিয়েছে চরম আতঙ্ক।

 

রায়ুপুর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান প্রার্থী দুইজন। এর মধ্যে বিগত ৫ বছর রায়পুর উপজেলাবাসীকে সন্ত্রাস, চাঁদাবাজি, ভূমি দখলমুক্ত উন্নয়ন ও সেবা দিয়ে জনগণের আস্থা অর্জন করে পুনরায় উপজেলা চেয়ারম্যান প্রার্থী হিসেবে জনপ্রিয়তার শীর্ষে রয়েছেন উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও আনারস প্রতীকের প্রার্থী অধ্যক্ষ মামুনুর রশীদ।

 

উপজেলার উত্তর চরবংশী ইউনিয়নের জেলে সম্প্রদায়ের সাথে আলাপকালে তারা জানান, উপজেলা চেয়ারম্যান অধ্যক্ষ মামুনুর রশীদ জেলেদের জীবিকা নির্বাহে সহযোগিতা করেছেন সবসময়। জেলে পরিবারের মুখে হাসি ফোটাতে তিনি তাদের বাসস্থান, বিশুদ্ধ পানির ব্যবস্থা করে দিয়েছেন। এ কারণে এমন সৎ ও নির্লোভ মানুষকেই তারা আবারো উপজেলা চেয়ারম্যান হিসেবে দেখতে চায়। 

 

বিগত করোনার সময়ে অধ্যক্ষ মামুন উপজেলার মানুষের নিজের জীবন বাজি রেখে মানুষের দারপ্রান্তে গিয়ে খাদ্যসামগ্রী বিতরণ করেছেন। কারো কোন বিপদের সংবাদ পেলে তাদের কাছে ছুঁটে চলে আসেন। এজন্য দলমত নির্বিশেষে আগামীকাল আনারস প্রতীকে ভোট দিয়ে জয়যুক্ত করার দাবি করেন স্থানীয়রা।

 

এদিকে মোটর সাইকেল প্রতীকের প্রার্থী একসময় চরাঞ্চলের বিস্তৃর্ণ ভূমি দখলবাজদের সাথে নিয়ে ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান নির্বাচিত হন। পরে একই কায়দায় তার অবসরপ্রাপ্ত সরকারি চাকুরি জীবি ভাইকে চেয়ারম্যান নির্বাচিত করে দলীয় নেতা কর্মীদের সাথে নিয়ে বনে যান উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান। গেলো নির্বাচনে জনগণ তাকে প্রত্যাখান করলে তিনি বেপরোয়া হয়ে উঠেন। পরে তার অনুসারীদের নিয়ে বিভিন্ন বেফাঁস বক্তব্য ও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে নানা কুরুচীপূর্ণ মন্তব্য ও মিথ্যা তথ্য সরবরাহ শুরু করে। 

তবে আগামীকাল ভোটাররা আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতে প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা করেন।


উপজেলা নির্বাচন   চেয়ারম্যান প্রার্থী   বেফাঁস মন্তব্য  


মন্তব্য করুন


বিজ্ঞাপন