জাতীয় সংসদের স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী বলেছেন, নারী-পুরুষ উভয়ের স্বার্থে লিঙ্গ সমতা আনা জরুরি। প্রাণবন্ত গণতন্ত্র, টেকসই ও সুষম উন্নয়নের পূর্বশর্তই হলো লিঙ্গ সমতা। অর্ধেক জনসংখ্যার পর্যাপ্ত প্রতিনিধিত্ব ছাড়া গণতন্ত্র সফল হতে পারে না।
শুক্রবার (৯ সেপ্টেম্বর) উজবেকিস্তানের তাসখন্দে এক অনুষ্ঠানে বক্তৃতা দেওয়ার সময় স্পিকার এ কথা বলেন।
স্পিকার বলেন, আইনসভায় পুরুষ-নারী উভয়ের অংশগ্রহণ নিশ্চিত করা দরকার। সব আইন প্রণেতা থেকে শুরু করে নন-জেন্ডার রেসপন্সিভ পার্লামেন্ট সদস্যদের অবশ্যই লিঙ্গ সমতাভিত্তিক আইনের প্রয়োজনীয়তা ও গুরুত্ব সম্পর্কে জ্ঞানার্জন করতে হবে। এ আইন নিশ্চিত করা সংসদ সদস্যদের অন্যতম দায়িত্ব।
তিনি আরও বলেন, সংসদই লিঙ্গ সমতাভিত্তিক আইন প্রণয়নের জন্য সবচেয়ে উপযুক্ত প্রতিষ্ঠান। টেকসই উন্নয়নের লক্ষ্যমাত্রাগুলো অর্জনের জন্য দীর্ঘমেয়াদি সমতা, গণতন্ত্র এবং শান্তি আনতে লিঙ্গ সমতাভিত্তিক আইন প্রণয়ন প্রয়োজন।
স্পিকার ড. শিরীন শারমিন বলেন, নারীদের সহিংসতা থেকে রক্ষাকারী আইন, বাল্যবিবাহ রোধে আইন, যৌতুক প্রতিরোধে আইন, কর্মজীবী নারীদের জন্য ডে-কেয়ার সেন্টারের বিধান এবং আরও অনেক যুগান্তকারী উদ্যোগ বিশ্বের বিভিন্ন দেশের জাতীয় সংসদে নেওয়া হচ্ছে।
স্পিকার বলেন, লিঙ্গ সমতা, নারীর অধিকার এবং নারীর ক্ষমতায়নকে সীমাবদ্ধ রাখা অনুচিত। মানবতার বৃহত্তর উপকারিতা অর্জনে সংসদসহ জীবনের প্রতিটি ক্ষেত্রে নারী ও পুরুষের একইসঙ্গে অংশগ্রহণ বাঞ্চনীয়।
সেশনে সিনেট অব উজবেকিস্তানের চেয়ারউইমেন তানজিলা নারবিভা, সিনেট অব জিম্বাবুয়ের প্রেসিডেন্ট মেবেল এম সিনোমোনা, কাউন্সিল অব রিপাবলিক অব বেলারুশের স্পিকার নাটালিয়া কোসানোভাসহ বিভিন্ন দেশের স্পিকার উপস্থিত ছিলেন।
বাংলাদেশের পক্ষে সামিটে অংশ নেন- উজবেকিস্তানে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত জাহাঙ্গীর আলম, সংসদ সচিবালয়ের সচিব কে এম আব্দুস সালাম, যুগ্মসচিব সুমিয়া খানম ও সার্জেন্ট অ্যাট আর্মস মিয়া মোহাম্মদ নাঈম রহমান, মুন্সীগঞ্জ-২ আসনের এমপি সাগুফতা ইয়াসমিন, সংরক্ষিত আসনের এমপি পারভীন হক সিকদার, আদিবা আনজুম মিতা।