নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ১২:৪৮ পিএম, ২৩ জানুয়ারী, ২০১৮
জঙ্গি কার্যক্রমে পৃষ্ঠপোষকতার অভিযোগে রাজধানীর লেকহেড স্কুল বন্ধ করে দেওয়া হয়। সেই স্কুল টাকার বিনিময়ে পুনরায় চালুর আশ্বাস দিয়েছেলেন শিক্ষামন্ত্রী নূরুল ইসলাম নাহিদের ব্যক্তিগত কর্মকর্তা (পিও) মো. মোতালেব হোসেন এবং শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের উচ্চমান সহকারী নাসিরউদ্দিন। আর বিনিময়ে তাঁরা ওই স্কুল মালিকের কাছ থেকে নিয়েছিলেন মোটা অঙ্কের অর্থ। সুনির্দিষ্ঠ এমন অভিযোগের ভিত্তিতে তাঁদের গ্রেপ্তার করা হয়েছে বলে জানিয়েছে ঢাকা মহানগর পুলিশের গোয়েন্দা বিভাগ (ডিবি)।
তবে গ্রেপ্তারের প্রায় ২৪ ঘণ্টা হয়ে গেলেও তাঁদেরকে আদালতে তোলা হয়নি। তাঁরা পুলিশ হেফাজতে আছে উল্লেখ করে পুলিশ জানিয়েছে, আজ মঙ্গলবার তাঁদের আদালতে তোলা হবে। আদালতে না তোলার ব্যাপারে পুলিশের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, গতকাল তাঁরা বেশ কিছু অভিযানে ছিল বলে তাঁদের আদালতে তুলতে পারেননি।
ঢাকা মহানগর পুলিশের গোয়েন্দা বিভাগের যুগ্ম কমিশনার আবদুল বাতেন গ্রেপ্তারের বিষয় বলেন, জঙ্গিসম্পৃক্ততার অভিযোগে লেকহেড গ্রামার স্কুলের মালিককে এবং ঘুষের বিনিময়ে স্কুল চালু করার আশ্বাসে শিক্ষামন্ত্রীর পিও ও উচ্চমান সহকারীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
তাঁদের গ্রেপ্তারের বিষয়ে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান বলেন, পুলিশ ও ডিবি কাউকে ধরলে সুনির্দিষ্ট তথ্যের ভিত্তিতেই ধরে। উল্লেখ্য গত রোববার রাত সাড়ে আটটায় ১ লাখ ৩০ হাজার টাকাসহ শিক্ষামন্ত্রীর উচ্চমান সহকারীকে এবং টাকার সঙ্গে পিও’র যোগসূত্র থাকায় তাঁকেও গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
এ ঘটনা শিক্ষামন্ত্রী নূরুল ইসলাম নাহিদ জানিয়েছেন, আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী গ্রেপ্তার করলে নিশ্চয়ই কোনো কারণ আছে। যেকোনো অপরাধ, বিশেষ করে ঘুষ, দুর্নীতি, অনিয়ম হলে তার ব্যবস্থা সরকার নেবে। মন্ত্রণালয় চাকরির বিধিবিধান অনুসারে যা ব্যবস্থা নেওয়ার, তা নেবে বলেও জানান তিনি।
বাংলা ইনসাইডার/এমএইচ/জেডএ
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
উপজেলা নির্বাচনের প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। ইতোমধ্যে প্রথম পর্যায়ের উপজেলা নির্বাচনের প্রস্তুতি চূড়ান্ত। ১৫০টি উপজেলায় এখন জনগণ ভোটের অপেক্ষায়। দ্বিতীয় পর্যায়ে ১৫৯টি উপজেলায় মনোনয়নপত্র প্রত্যাহারের দিন গতকাল শেষ হয়েছে। সেখানেও এখন নির্বাচনী প্রচারণার ডামাডোল শুরু হয়েছে। কিন্তু উপজেলা নির্বাচন অবাধ, সুষ্ঠু এবং নিরপেক্ষ হবে কি না, উপজেলা নির্বাচনে ভোটার উপস্থিতি বাড়বে কি না এবং উপজেলা নির্বাচন শান্তিপূর্ণ হবে কি না তা নিয়ে একদিকে যেমন জনগণের সংকট রয়েছে তেমনই নির্বাচন কমিশনও এই বিষয়টি নিয়ে চিন্তিত।
লক্ষ্মীপুর সদরের তেওয়ারীগঞ্জ ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচন ২৮ এপ্রিল অনুষ্ঠিত হয়েছে। নির্বাচনের ফলাফল ঘোষণার পরপরই হামলার শিকার হয় আইনশৃঙ্খলা বাহিনী, নেপথ্যে নির্বাচনে কারচুপি ও অনিয়মের অভিযোগ। এঘটনায় চেয়ারম্যান পদে প্রতিদ্বন্ধিতাকারী দুই প্রার্থীকে পুলিশ হেফাজতে নিয়ে ১১ জনের নাম উল্লেখসহ ৯১১ জনের বিরুদ্ধে দুইটি মামলাও দায়ের করেন। ফলে নির্বাচনের পর আনন্দের বদলে থমথমে অবস্থা বিরাজ করছে ওই ইউনিয়নে।