ইনসাইড বাংলাদেশ

ফেঁসে যাচ্ছেন ইউনূস: তৎপর যুক্তরাষ্ট্র

প্রকাশ: ০৭:০০ পিএম, ১৬ সেপ্টেম্বর, ২০২২


Thumbnail ফেঁসে যাচ্ছেন ইউনূস: তৎপর যুক্তরাষ্ট্র

শান্তিতে নোবেলজয়ী অর্থনীতিবিদ ড. মুহাম্মদ ইউনূস ফেঁসে যাচ্ছেন। তিন হাজার কোটি টাকার মানিলন্ডারিং তদন্তে দুর্নীতি দমন কমিশন তার বিরুদ্ধে একাধিক সুস্পষ্ট প্রমাণ হাতে পাচ্ছে বলে জানা গেছে। দুর্নীতি দমন কমিশন সূত্র বলছে যে, তারা বিষয়গুলো আরও খতিয়ে দেখছে, গভীরভাবে বিশ্লেষণ করছে এবং তথ্যগুলো যাচাই-বাছাই করছে। এই সমস্ত যাচাই-বাছাই করার পর চূড়ান্তভাবে বোঝা যাবে যে, এই মানিলন্ডারিং প্রক্রিয়ার সঙ্গে ড. ইউনূসের সংশ্লিষ্টতা কতটুকু আছে এবং তার বিরুদ্ধে কি ব্যবস্থা নেয়া হবে। উল্লেখ্য যে, গ্রামীণ টেলিকম নামে একটি প্রতিষ্ঠান গঠন করা হয় ড. ইউনূসের উদ্যোগে। ড. ইউনূস ওই প্রতিষ্ঠানের চেয়ারম্যান হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন। এই গ্রামীণ টেলিকমের মাধ্যমে প্রায় তিন হাজার কোটি টাকা এক একাউন্ট থেকে অন্য একাউন্টে যথেচ্ছাচার ভাবে স্থানান্তর করা হয়েছে এবং শেষ পর্যন্ত এই টাকা বিদেশে পাচার করা হয়েছে।

প্রাথমিক অনুসন্ধানে জানা গেছে যে, গ্রামীণ টেলিকমের টাকা ইউনূস ফাউন্ডেশনে সরানো হয়েছে। আবার ইউনূস ফাউন্ডেশন থেকে সেই টাকা ড. ইউনূসের ব্যক্তিগত একাউন্টে রাখা হয়েছে। অন্তত তিনশ কোটি টাকার হদিস পাওয়া গেছে যে ঢাকা ইউনূসের স্ত্রীর একাউন্টে হস্তান্তর করা হয়েছে ইউনূস ফাউন্ডেশন থেকে। আবার ইউনূসের মেয়ের একাউন্টেও অন্তত ২৫০ কোটি টাকা হস্তান্তর করা হয়েছে। প্রাথমিক অনুসন্ধানে দেখা গেছে যে, গ্রামীণ টেলিকমের লভ্যাংশের এক হাজার ৭৫০ কোটি টাকা ড. ইউনূসের ট্রাস্ট ইউনূস ফাউন্ডেশনে হস্তান্তর করা হয়। গ্রামীণ টেলিকমের টাকা এভাবে ইউনূস ফাউন্ডেশনে হস্তান্তর করা যায় কিনা, সেটি নিয়ে আরও পর্যালোচনা ও পর্যবেক্ষণ করা হচ্ছে। উল্লেখ্য যে, নোবেল শান্তি পুরস্কার পাওয়ার পর ড. মুহাম্মদ ইউনূস এই ইউনূস ফাউন্ডেশন গঠন করেন। ইউনূস ফাউন্ডেশনের প্রধান কার্যালয় মিরপুরে গ্রামীণ ব্যাংকের কার্যালয়ে। এই ফাউন্ডেশন দেশে-বিদেশে ইউনূসের ইমেজ বৃদ্ধি এবং ইউনূসের পক্ষে আন্তর্জাতিক লবিং করার জন্য কাজ করে। সারা বিশ্বে বিভিন্ন দেশে ইউনূস যে সময় বক্তৃতা দেন, সভা-সমাবেশে অংশগ্রহণ করেন সেগুলোর তদারকি এবং ব্যবস্থাপনা করার দায়িত্ব ইউনূস ফাউন্ডেশনের। এই ফাউন্ডেশন ড. ইউনূসের ওপর বিভিন্ন রকম গবেষণা করে এবং সামাজিক ব্যবসা কার্যক্রম পরিচালনার ক্ষেত্রে পরামর্শকের ভূমিকায় অবতীর্ণ হন। ইউনূস ফাউন্ডেশনকে অলাভজনক প্রতিষ্ঠান ঘোষণা করা হলেও এই প্রতিষ্ঠানে বিপুল পরিমাণ দেশি-বিদেশি অর্থের সন্ধান পাওয়া গেছে। এই টাকা কে কারা কিভাবে পাঠিয়েছে সেটিও তদন্ত করে দেখা হচ্ছে।

ইউনূস ফাউন্ডেশনের পক্ষ থেকে বলা হচ্ছে যে, ড. মুহাম্মদ ইউনূস বিভিন্ন দেশে বক্তৃতা এবং পরামর্শ দিয়ে যে টাকা পান সেটি ইউনূস ফাউন্ডেশনের একাউন্টে জমা হয়। কিন্তু গ্রামীণ টেলিকম থেকে ইউনূস ফাউন্ডেশনের একাউন্টে কেন টাকা জমা হলো, সেই প্রশ্নের উত্তর এখনো ধোঁয়াশা রয়ে গেছে। এটি অনুসন্ধান করলেই টাকা পাচারের অনেক গুরুত্বপূর্ণ তথ্য ফাঁস হয়ে যাবে বলে ধারণা করা হচ্ছে। তাছাড়া গ্রামীণ টেলিকমের কিছু লভ্যাংশের টাকা বাংলাদেশের একাউন্টে জমা হয়নি, সরাসরি জমা হয়েছে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের একাউন্টে এবং সুইডেনের অ্যাকাউন্টে। এই সমস্ত টাকাগুলো ড. ইউনূস তার ব্যক্তিগত নামে পরবর্তীতে উত্তোলন করেছেন এবং বিভিন্ন ভাবে খরচ করেছেন বলেও প্রাথমিক অনুসন্ধানে জানা গেছে। দুর্নীতি দমন কমিশন সূত্রগুলো বলছে যে, ৩ হাজার কোটি টাকা যে পাচার হয়েছে এটি মোটামুটি তারা নিশ্চিত। তবে টাকা পাচারের ক্ষেত্রে কে কিভাবে ভূমিকা রেখেছেন এবং কার কার দায় দায়িত্ব কতটুকু, সে বিষয়টি নিয়ে তারা আরও খতিয়ে দেখছেন। উল্লেখ্য যে, ড. মুহাম্মদ ইউনূস গ্রামীণ ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ছিলেন এবং গ্রামীণ ব্যাংকের টাকা দিয়ে তিনি অন্তত ১৪টি প্রতিষ্ঠান তৈরি করেছেন। এই প্রতিষ্ঠানগুলো ড. ইউনূসের একক কর্তৃত্বে পরিচালিত হচ্ছে। গ্রামীণ টেলিকমের লভ্যাংশের টাকা এই প্রতিষ্ঠানগুলোতে যথেচ্ছাচার ভাবে সরানো হয়েছে এবং সেই টাকাগুলো থেকে আবার ড. ইউনূস, তার স্ত্রী এবং পরিবারের অন্যান্য সদস্যের নামে হস্তান্তর করা হচ্ছে।

বেগম খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে যে জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট দুর্নীতির মামলা হয়েছে, সেই মামলায় বেগম জিয়া দণ্ডিত হয়েছিলেন। তার বিরুদ্ধে প্রধান অভিযোগ ছিল ট্রাস্টের টাকা তিনি এক একাউন্ট থেকে অন্য একাউন্টে হস্তান্তর করেছেন। এভাবে ট্রাস্টের টাকা হস্তান্তর করা যায় না। একাধিক আইনজীবীর সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে যে, ড. মুহাম্মদ ইউনূস ঠিক সেই একই অপরাধে অপরাধী। আর ইউনূস যে এভাবে ফেঁসে যাচ্ছেন এটা নিয়ে উদ্বিগ্ন যুক্তরাষ্ট্র। আর এ কারণে যুক্তরাষ্ট্রের রাষ্ট্রদূত সম্প্রতি দুর্নীতি দমন কমিশনের ছুটে গিয়েছিলেন। সেখানে তিনি দুর্নীতি দমন কমিশনের কর্মকর্তাদের সাথে সৌজন্য সাক্ষাতে মিলিত হন এবং অন্যান্য বিষয় নিয়ে কথা বলেন। দুর্নীতি দমন কমিশনের সচিব বাংলা ইনসাইডারকে বলেছেন যে, এটি ছিল স্রেফ সৌজন্য সাক্ষাৎ। কিন্তু একাধিক কূটনৈতিক সূত্র বাংলা ইনসাইডারকে নিশ্চিত করেছে যে, দুর্নীতি দমন কমিশনের সঙ্গে একটি সম্পর্ক তৈরি করছে যুক্তরাষ্ট্র দূতাবাস। ভবিষ্যতে যেন ইউনূসকে বাঁচাতে তারা প্রভাব বিস্তার করতে পারে। আর এ কারণেই মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে দুর্নীতি সম্মেলনে দুর্নীতি দমন কমিশনকে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে। ইউনূসকে বাঁচাতে এখন মার্কিন দূতাবাস কাজ শুরু করেছে বলে একাধিক সূত্র নিশ্চিত করেছে। সেই কাজের অংশ হিসেবেই পিটার ডি হাস দুর্নীতি দমন কমিশনে ছুটে গিয়েছিলেন বলেই বিভিন্ন মহল মনে করছে।


মন্তব্য করুন


ইনসাইড বাংলাদেশ

হোটেল-রেস্তোরাঁয় মূল্যছাড় পাবেন পুলিশ সদস্যরা

প্রকাশ: ১১:০৮ এএম, ১৪ মে, ২০২৪


Thumbnail

বিভিন্ন আবাসিক হোটেলে থাকা এবং রেস্তোরাঁয় খাওয়ার ওপর বিশেষ মূল্যছাড় পাবেন পুলিশ সদস্যরা। ট্যুরিস্ট পুলিশের ঢাকা অঞ্চলের আওতাধীন আবাসিক হোটেল ও রেস্তোরাঁয় এ সুবিধা পাবেন পুলিশ সদস্যরা।

গত ২৬ এপ্রিল ট্যুরিস্ট পুলিশের ঢাকা অঞ্চলের পুলিশ সুপার (এসপি) নাইমুল হক সংক্রান্ত একটি চিঠি পাঠিয়েছেন সদর দপ্তরে (ট্যুরিস্ট পুলিশ)

চিঠির বিষয়বস্তুতে লেখা হয়েছে, বাংলাদেশ পুলিশ সদস্যদের জন্য বিভিন্ন হোটেল-রিসোর্ট, রেস্টুরেন্ট (রেস্তোরাঁ) ট্যুর অপারেটরদের কাছ থেকে ডিসকাউন্ট অফার (প্রস্তাব) প্রাপ্তি প্রসঙ্গে

চিঠিতে ১২ টি হোটেল ও রেস্তোরাঁ এবং ১৪ টি রেস্তোরাঁর তালিকা দেয়া হয়েছে। এসব হোটেলে সর্বনিম্ন ৫০ শতাংশ ডিসকাউন্টে পুলিশ সদস্যরা থাকতে পারে এবং এবং রেস্তোরাঁয় খাওয়ার ক্ষেত্রে ২০ শতাংশ ছাড় পাবেন তারা।


বাংলাদেশ পুলিশ   হোটেল-রেস্তোরাঁ   মূল্য ছাড়  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড বাংলাদেশ

পাবনায় র‌্যাবের অভিযানে অজ্ঞান পার্টির সদস্য আটক

প্রকাশ: ১০:০৯ এএম, ১৪ মে, ২০২৪


Thumbnail

পাবনায় অভিযান চালিয়ে অজ্ঞান পার্টির এক সদস্যকে আটক করেছে র‌্যাব। সোমবার (১৪ মে) রাতে পাবনা কেন্দ্রীয় বাস টার্মিনাল এলাকা থেকে তাকে আটক করা হয়।  

 

আটককৃত কাছেম সরদার ওরফে কাশেম (৪৫) বাগেরহাটের মোল্লাহাট উপজেলার কোদালিয়া গ্রামের মৃত কাদের সরদারের ছেলে। 

 

র‌্যাব-১২, সিপিসি-২, পাবনা ক্যাম্পের কোম্পানি কমান্ডার মেজর এহতেশামুল হক খান জানান, অজ্ঞান পার্টির কতিপয় সদস্য পাবনা কেন্দ্রীয় বাস টার্মিনাল এলাকায় ঢাকাগামী বাসের যাত্রীদের অজ্ঞান করে তাদের কাছ থেকে মূল্যবান জিনিসপত্র হাতিয়ে নেওয়ার পরিকল্পনা গ্রহণ করছিল।

 

সেই তথ্যের ভিত্তিতে র‌্যাব-১২, পাবনা ক্যাম্পের একটি আভিযানিক দল সোমবার রাতে পাবনা পৌর সদরের কেন্দ্রীয় বাস টার্মিনাল এলাকায় অভিযান চালায়।

 

অভিযানে অজ্ঞান পার্টির একজন সক্রিয় সদস্য কাছেম সরদার ওরফে কাশেম কে আটক করা হয়। এ সময় তার কাছ থেকে তিন পিস অস্বাস্থ্যকর চেতনানাশক ঔষধ, দুটি মোবাইল ফোন, তিনটি সিমকার্ড এবং নগদ ১১০০ টাকা জব্দ করা হয়।

 

র‌্যাবের প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে আটক কাশেম জানায়, তিনি দীর্ঘদিন যাবৎ দেশের বিভিন্ন জেলায় অস্বাস্থ্যকর চেতনা নাশক ঔষধ দিয়ে যাত্রীদের অজ্ঞান করে তাদের কাছ থেকে নগদ টাকা ও মূল্যবান জিনিসপত্র হাতিয়ে নিয়ে আসছিলেন। 

 

এ ঘটনায় মামলা দায়ের করে জব্দকৃত আলামতসহ আটক কাশেম কে পাবনা সদর থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে বলে জানান র‌্যাব কমান্ডার।

পাবনা সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) রওশনা আলী জানান, আটক অজ্ঞান পার্টির সদস্য কাশেম কে মামলায় গ্রেপ্তার দেখিয়ে আজ মঙ্গলবার (১৪ মে) আদালতে সোপর্দ করা হবে।


অজ্ঞান পার্টি   র‌্যাব   চেতনা নাশক  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড বাংলাদেশ

বিএনপির সঙ্গে দেখা করবেন তো ডোনাল্ড লু!

প্রকাশ: ১০:০১ এএম, ১৪ মে, ২০২৪


Thumbnail

আজ ঢাকা সফরে আসছেন যুক্তরাষ্ট্রের দক্ষিণ ও মধ্য এশিয়া বিষয়ক সহকারী মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ডোনাল্ড লু। বাংলাদেশে ৭ জানুয়ারির জাতীয় সংসদ নির্বাচনের পর এটিই মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তরের উচ্চপর্যায়ের কোন কর্মকর্তার প্রথম সফর।

ডোনাল্ড লু’র এই সফরকে ঘিরে কয়েকদিন থেকেই বেশ সরব রয়েছে দেশের রাজনৈতিক ও কূটনৈতিক পাড়া। তবে জানা গেছে, এবারের সফরে বিএনপিসহ অন্যান্য রাজনৈতিক দলগুলোর সাথে কোন বৈঠক করবে না মার্কিন এই কর্মকর্তা। 

অবশ্য মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তরের প্রেস সচিব বেদান্ত প্যাটেল এক প্রেস ব্রিফিংয়ে বিষয়টি পরিষ্কার করেন। 

সোমবার (১৩ মে) সাংবাদিকদের মুখোমুখি হন মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তরের প্রেস সচিব বেদান্ত প্যাটেল বিএনপসহ অন্যান্য রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে সফররত মার্কিন সহকারী সচিব লু’ কোন বৈঠক করবে কিনা এমন প্রশ্নের জবাবে প্যাটেল বলেন, আমাদের সরকারি কর্মকর্তারা কাদের সঙ্গে মিলিত হবেন বা হবেন না, তার মধ্যে অনেকগুলো কারণ রয়েছে- এর মধ্যে সফরের সময়সূচিসহ অন্যান্য অনেক বিষয় থাকে।

তিনি আরও বলেন, সহকারী সেক্রেটারি লু দক্ষিণ এশিয়ার বেশ কয়েকটি দেশ – বিশেষ করে ভারত, শ্রীলঙ্কা এবং বাংলাদেশে যাচ্ছেন। তিনি প্রতিটি দেশের সঙ্গে দ্বিপাক্ষিক সহযোগিতা জোরদার এবং একটি মুক্ত, উন্মুক্ত এবং সমৃদ্ধ ইন্দো-প্যাসিফিক অঞ্চলের জন্য মার্কিন সমর্থনের বিষয়টি প্রদর্শন করছেন।

বাংলাদেশে তিনি সরকারি কর্মকর্তা, সুশীল সমাজের নেতা এবং অন্যান্য নাগরিকের সঙ্গে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র-বাংলাদেশ সহযোগিতাকে কীভাবে আরও গভীর করার যায় সে বিষয়ে কথা বলবেন। যার মাধ্যমে অর্থনৈতিক সম্পর্ককে আরও গভীর করা সহ জলবায়ু সমস্যা মোকাবিলায় আমরা আরও সহযোগিতা করতে পারব।

উল্লেখ্য, ডোনল্ড লু এর আগে গত বছরের জুলইয়ে সর্বশেষ বাংলাদেশ সফরে আসেন। বাংলাদেশের নির্বাচন নিয়ে এবং মার্কিন ভিসানীতিসহ নানামুখী তৎপরতার মধ্য দিয়ে সেই সফরটি আলোচিত ছিল।

ডোনাল্ড লু’র এই সফর নিয়ে আবারও রাজনৈতিক অঙ্গনে চলছে আলোচনা। আওয়ামী লীগ বলছে, এই সফর দুই দেশের সম্পর্ককে নতুন উচ্চতায় নিয়ে যাবে। অন্যদিকে এই সফর নিয়ে তাদের কোন আগ্রহ নেই বলে দাবি করেছে বিএনপি। 

তবে তার এবারের সফর যতটা না রাজনৈতিক তার চেয়েও বেশি কূটনৈতিক বলে জানিয়েছে মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তর। এই সফরে জলবায়ু সংকট ও দ্বিপক্ষীয় অর্থনৈতিক সম্পর্ক জোরদারের বিষয়ে ও সরকারের বিভিন্ন পর্যায়ের কর্মকর্তাদের সঙ্গেও বৈঠক করবেন লু।


বিএনপি   ডোনাল্ড লু  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড বাংলাদেশ

আজ ঢাকায় আসছেন ডোনাল্ড লু

প্রকাশ: ০৯:৩০ এএম, ১৪ মে, ২০২৪


Thumbnail

ভারত ও শ্রীলঙ্কা হয়ে দুইদিনের সফরে আজ মঙ্গলবার (১৪ মে) ঢাকায় আসছেন মার্কিন স্টেট ডিপার্টমেন্টের দক্ষিণ এশিয়ার দায়িত্বপ্রাপ্ত সহকারী পররাষ্ট্রমন্ত্রী ডোনাল্ড লু। 

গত ৭ জানুয়ারির দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের পর মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তরের পক্ষ থেকে ডোনাল্ড লুর ঢাকা সফরটি হতে যাচ্ছে উচ্চপর্যায়ের প্রথম সফর।

কূটনৈতিক সূত্রে জানা গেছে, ডোনাল্ড লু আজ দুইদিনের সফরে ঢাকায় আসবেন। এ সফরে তিনি সরকারি ও বেসরকারি নানা পর্যায়ে কয়েকটি বৈঠক ও মতবিনিময় সভায় অংশ নেবেন।

দক্ষিণ ও মধ্য এশিয়াবিষয়ক সহকারী পররাষ্ট্রমন্ত্রীর দায়িত্ব পাওয়ার পর চারবার বাংলাদেশ সফর করেছেন লু। এর আগে গত জুলাইতে তিনি সর্বশেষ বাংলাদেশ সফর করেন। সে সময় তিনি যুক্তরাষ্ট্রের বেসামরিক নিরাপত্তা, গণতন্ত্র ও মানবাধিকারবিষয়ক আন্ডার সেক্রেটারি আজরা জেয়ার সঙ্গী হয়ে ঢাকায় আসেন। বাংলাদেশের নির্বাচন নিয়ে এবং মার্কিন ভিসানীতিসহ নানামুখী তৎপরতার মধ্য দিয়ে সেই সফরটি আলোচিত ছিল

এই সফরকে ঘিরে আবারও সরগরম রাজনৈতিক অঙ্গন। আওয়ামী লীগ বলছে, দুই দেশের সম্পর্ক নতুন উচ্চতায় নিতে এ সফর গুরুত্বপূর্ণ। অন্যদিকে ডোনাল্ড লু'র এই সফর নিয়ে কোনো আগ্রহই নেই, এমন দাবি বিএনপির।

তবে তার এবারের সফর যতটা না রাজনৈতিক তার চেয়েও বেশি কূটনৈতিক বলে জানিয়েছে মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তর। আলোচনা হবে জলবায়ু সংকট ও দ্বিপক্ষীয় অর্থনৈতিক সম্পর্ক জোরদারের বিষয়ে। এছাড়া সরকারের বিভিন্ন পর্যায়ের কর্মকর্তাদের সঙ্গেও বৈঠক করবেন তিনি।

ঢাকা সফরের সময় ডোনাল্ড লু পররাষ্ট্র সচিব মাসুদ বিন মোমেনের সঙ্গে বৈঠক করবেন। এর পাশাপাশি পররাষ্ট্রমন্ত্রী হাছান মাহমুদ, প্রধানমন্ত্রীর বেসরকারি শিল্প ও বিনিয়োগ উপদেষ্টা সালমান এফ রহমানের সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করবেন। এছাড়া নাগরিক সমাজের প্রতিনিধিদের সঙ্গে মতবিনিময়ের কথা রয়েছে লু’র।


ঢাকা   ডোনাল্ড লু  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড বাংলাদেশ

দীর্ঘ অপেক্ষার পর, ঘরে ফিরবেন এমভি আবদুল্লাহর নাবিকরা

প্রকাশ: ০৮:৪৭ এএম, ১৪ মে, ২০২৪


Thumbnail

সোমালিয়ান জলদস্যুদের কবল থেকে মুক্ত হওয়ার একমাস পর দেশে পৌঁছালো বাংলাদেশি জাহাজ এমভি আবদুল্লাহ। দীর্ঘ যাত্রা শেষে সোমবার (১৩ মে) সন্ধ্যা ৬টা ২০ মিনিটে কুতুবদিয়ায় নোঙর করেছে জাহাজটি। 

মঙ্গলবার(১৪ মে) সব প্রক্রিয়া শেষ করে জাহাজটির ২৩ নাবিকের ঘরে ফেরার কথা রয়েছে।

কুতুবদিয়ায় চুনাপাথরের কিছু চালান খালাস করে জাহাজটি ১৫ মে চট্টগ্রাম বন্দরের বহির্নোঙরে পৌঁছাবে। সেখানে বাকি মালামাল খালাস করার পর বন্দর জেটিতে আসবে এমভি আব্দুল্লাহ।

বিষয়টি নিশ্চিত করে কেএসআরএম গ্রুপের মিডিয়া উপদেষ্টা মিজানুল ইসলাম বলেন, 'এমভি আবদুল্লাহ বর্তমানে কুতুবদিয়ায় নোঙর করেছে। জলদস্যুদের কবল থেকে মুক্ত নাবিকদের লাইটার জাহাজে মঙ্গলবার সরাসরি সদরঘাট কেএসআরএম জেটিতে নিয়ে আসা হবে। সেখানেই তাদের বরণ করা হবে। নাবিকদের জেটিতে বরণ করার জন্য কেএসআরএমের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত থাকবেন। নাবিকদের স্বজনদের কেউ কেউ এসময় জেটিতে উপস্থিত থাকবেন বলেও জানা গেছে। তারা  নাবিকদের বরণ করে নেবেন।

গত ৪ মার্চ আফ্রিকার মোজাম্বিকের মাপুটো বন্দর থেকে ৫৫ হাজার টন কয়লা নিয়ে সংযুক্ত আরব আমিরাতের হামরিয়াহ বন্দরের উদ্দেশে রওনা হয় এমভি আবদুল্লাহ। ১২ মার্চ ভারত মহাসাগর থেকে কেএসআরএম গ্রুপের মালিকানাধীন এই জাহাজ ছিনতাই করেছিল সোমালিয়ার দস্যুরা। মুক্তিপণ দিয়ে ৩৩ দিনের মাথায় ১৩ এপ্রিল দিবাগত রাতে জাহাজটি মুক্ত হয়। এরপর জাহাজটি প্রথমে আমিরাতের আল-হামরিয়া বন্দরে পৌঁছায়। সেখানে পণ্য খালাস শেষে আরেকটি বন্দর থেকে চুনাপাথর বোঝাই করে চট্টগ্রামের পথে রওনা হয়েছিল জাহাজটি। এ হিসাবে আমিরাত থেকে ১৩ দিনের মাথায় জাহাজটি বাংলাদেশের জলসীমায় এসে পৌঁছাল।

এর ৩২ দিন পর গত ১৪ এপ্রিল জাহাজটি মুক্ত করে দেয় জলদস্যুরা। এর পরই সেটি সোমালিয়া উপকূল থেকে আরব আমিরাতের উদ্দেশ্যে যাত্রা করে। টানা এক সপ্তাহের সমুদ্রযাত্রা শেষে ২১ এপ্রিল বিকেলে জাহাজটি আল হামরিয়াহ বন্দরের বহির্নোঙরে পৌঁছায়।


এমভি আবদুল্লাহ   নাবিক  


মন্তব্য করুন


বিজ্ঞাপন