ইনসাইড বাংলাদেশ

বিশ্ব ব্যক্তিগত গাড়িমুক্ত দিবস: ব্যক্তিগত গাড়ি নিয়ন্ত্রণের আহ্বান

প্রকাশ: ০৯:৩৮ এএম, ২২ সেপ্টেম্বর, ২০২২


Thumbnail বিশ্ব ব্যক্তিগত গাড়িমুক্ত দিবস:ব্যক্তিগত গাড়ি নিয়ন্ত্রণের আহ্বান

জ্বালানি সাশ্রয় ও যানজট কমাতে ব্যক্তিগত গাড়ি নিয়ন্ত্রণের আহ্বান জানিয়েছে ঢাকা পরিবহন সমন্বয় কর্তৃপক্ষ(ডিটিসিএ)। আজ (২২ সেপ্টেম্বর) বিশ্ব ব্যক্তিগত গাড়িমুক্ত দিবস উপলক্ষে জাতীয় কমিটির পক্ষ থেকে এ আহ্বান জানানো হয়।

বিশ্বের অন্যান্য দেশের মতো বাংলাদেশেও ব্যক্তিগত গাড়িমুক্ত দিবসটি পালিত হবে। ‘জ্বালানি ব্যবহার ও যানজট নিয়ন্ত্রণ করি, ব্যক্তিগত গাড়ি সীমিত রাখি’ শ্লোগানকে সামনে রেখে এ বছর সরকারি ও বেসরকারি ৬২টি সংস্থার সম্মিলিত উদ্যোগে দিবসটি উদযাপন করা হবে।

এ উপলক্ষে বিভিন্ন সরকারি ও বেসরকারি সংস্থার নানান কর্মসূচি গ্রহণের পাশাপাশি জ্বালানি সাশ্রয়-যানজট নিয়ন্ত্রণে ব্যক্তিগত গাড়ি নিয়ন্ত্রণের আহ্বান জানানো হয়েছে। 

ঢাকা পরিবহন সমন্বয় কর্তৃপক্ষের  সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, এ বছর দিবসটি উপলক্ষে আয়োজিত কর্মসূচিকে ভিন্নভাবে সাজানো হয়েছে। এর মধ্যে সাইকেল র‌্যালি, শিক্ষার্থীদের অংশগ্রহণে ‘ব্যক্তিগত গাড়ি নিয়ন্ত্রণ : বিদ্যালয়ে হেঁটে যাতায়াতের নিরাপদ পরিবেশ নিশ্চিতে করণীয়’ শীর্ষক লাইভ টক শো, ‘বসবাসযোগ্য ঢাকা : ব্যক্তিগত গাড়ি নিয়ন্ত্রণের প্রয়োজনীয়তা’ শীর্ষক ভার্চুয়াল আলোচনা সভা, পার্কিংয়ের পরিবর্তে এলাকাভিত্তিক ছোট আকারের সামাজিকীকরণের সুযোগ গড়ে তোলার আহ্বানে সোশ্যাল মিডিয়া ক্যাম্পেইন, মোহাম্মদিয়া হাউজিংয়ে কার ফ্রি স্ট্রীট ও আলোচনা সভার আয়োজন করা হয়েছে।

সংবাদ সম্মেলনে বক্তারা বলেন, ব্যক্তিগত গাড়ি ব্যবহার না করে বরং সাইকেল, হাঁটা বা গণপরিবহন ব্যবহারে উৎসাহিত করতে ৭০’র দশকে ইউরোপে গাড়িমুক্ত দিবসের সূচনা হয়। ২০০৬ সাল থেকে দেশে বেসরকারি উদ্যোগে দিবসটি উদযাপন করা হচ্ছে। তবে ২০১৬ সালে প্রথমবারের মতো সরকারি ও বেসরকারি সংস্থাগুলোর সমন্বয়ে এটি পালন শুরু হয়। এই দিবসের অঙ্গীকার অনুযায়ী ইতোমধ্যে সরকারের পক্ষ থেকে ব্যক্তিগত গাড়ির ব্যবহার সীমিত বা নিয়ন্ত্রিত করার উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়েছে। 

তারা বলেন, বর্তমানে যানজটের কারণে প্রতিদিন লাখ লাখ কর্মঘণ্টা নষ্ট হচ্ছে। জ্বালানির অপচয় হচ্ছে, বাড়ছে দূষণ। এ জন্য বছরে হাজার হাজার কোটি টাকার আর্থিক ক্ষতি হয়ে থাকে। বর্তমানে ঢাকায় প্রায় সাড়ে ৩ লাখ ব্যক্তিগত গাড়ি চলাচল করে। প্রতিদিন যোগ হচ্ছে প্রায় ৪০টি নতুন ব্যক্তিগত গাড়ি। এছাড়া মোটরসাইকেলের সংখ্যা দিন দিন বৃদ্ধি পাচ্ছে, এটিও দুর্ঘটনা ও দূষণ বৃদ্ধির জন্য দায়ী। তাই উন্নত গণপরিবহন ব্যবস্থার বিকল্প নেই।

ইতোমধ্যে মেট্রোরেল, বাস র‌্যাপিড ট্রানজিট, বাস রুট ফ্রাঞ্চাইজ, প্রয়োজনীয় সড়ক অবকাঠামো নির্মাণ ও মানসম্মত ফুটপাত তৈরিসহ বিভিন্ন ধরনের কাজ চলছে। পাশাপাশি পুরাতন যানবাহনের যথাযথ প্রক্রিয়ায় জীবনাবসানের জন্য ‘পুরাতন যানবাহন স্ক্র্যাপ গাইডলাইন’ এর খসড়া তৈরি করা হয়েছে। এগুলো সম্পন্ন হলে ব্যক্তিগত গাড়ি ব্যবহার নিয়ন্ত্রণের জন্য পর্যায়ক্রমে পদক্ষেপ গ্রহণ করা হবে। সেজন্য এখন থেকেই নগরবাসীর নিকট বার্তা প্রদান করা দরকার। বিশ্ব ব্যক্তিগত গাড়িমুক্ত দিবস উদযাপনের মাধ্যমে এ বিষয়ে ব্যাপক সচেতনতা তৈরি করা সম্ভব, বলেন বক্তারা।

সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন ডিটিসিএর নির্বাহী পরিচালক সাবিহা পারভীন, অতিরিক্ত নির্বাহী পরিচালক (মাস ট্রানজিট) এ কে এম হাফিজুর রহমান, অতিরিক্ত নির্বাহী পরিচালক (টিএমপিটিআই) মোহাম্মদ রবিউল আলম, ট্রান্সপোর্ট ইঞ্জিনিয়ার মোহাম্মদ হায়দার কামরুজ্জামান প্রমুখ।

ব্যক্তিগত গাড়িমুক্ত দিবস   ব্যক্তিগত গাড়ি  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড বাংলাদেশ

লক্ষ্মীপুরে অবৈধভাবে বালু উত্তোলন, ক্ষতিগ্রস্থ হচ্ছে বসতঘর ও ফসলী জমি


Thumbnail

লক্ষ্মীপুর সদর উপজেলার লাহারকান্দি গ্রামে ফসলী জমি থেকে অবৈধ ড্রেজার দিয়ে বালু উত্তোলন করছে স্থানীয় বখাটে সুমন। এতে করে ক্ষতিগ্রস্থ হচ্ছে আশপাশের বসতঘর, ধ্বংস হচ্ছে ফসলী জমি। এনিয়ে একাধিকবার জনপ্রতিনিধি ও স্থানীয়রা বালু উত্তোলনে বাধা দিলেও বখাটে সুমন জোর করে বালু উত্তোলন করছে। পরে ভুক্তভোগী প্রবাসী আহসান উল্লাহর পরিবার লক্ষ্মীপুর সদর মডেল থানায় অভিযোগ দিলে পুলিশ গিয়ে বালু উত্তোলন বন্ধ করে দেন। 

 

অভিযুক্ত সুমন চাঁদখালী আলি মাঝি বাড়ির জয়নাল আবেদিনের ছেলে। ভুক্তভোগী প্রবাসী আহসান উল্লাহ একই বাড়ির শফি উল্ল্যাহর ছেলে।

 

প্রবাসী আহসান উল্লাহ’র পরিবার জানায়, ফসলী জমি থেকে বালু উত্তোলনে বাধা দেয়ায় বখাটে সুমন ও তার স্বজনরা তাদের চলাচলের কাঠের সেতুটি কুড়াল ও দা দিয়ে কুপিয়ে ভেঙ্গে ফেলে। এসময় স্থানীয়রা বাধা দিতে গেলে দেশীয় অস্ত্র নিয়ে চড়া হয় ওই বখাটে সুমন ও তার পরিবার। তাদের ভয়ে পুরো এলাকার বাসিন্দারা এখন আতঙ্কিত। এঘটনার সুষ্ঠ বিচার দাবি করেন প্রবাসী ও তার পরিবার।

 

এদিকে অভিযুক্ত সুমনের ড্রেজার মেশিনটি ফসলী জমির পাশে পাইপসহ দেখা গেলেও তাকে পাওয়া যায় নি।

লাহারকান্দি ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মোঃ আশরাফুল আলম বলেন, দীর্ঘদিন পর এ ইউনিয়নে নির্বাচনের মাধ্যমে জনগণের ভোটে আমি নির্বাচিত হয়েছি। এ ইউনিয়নে অবৈধ কোন কাজ যেমন হতে দিবো না, তেমনি কোন ধরনের অন্যায় বরদাশত করা হবে না। ড্রেজার বন্ধ করার জন্য বলা হয়েছে ও ভুক্তভোগী পরিবারকে আইনের আশ্রয় নিতে বলা হয়েছে বলেও জানান এই জনপ্রতিনিধি।


বালু উত্তোলন   ফসলী জমি  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড বাংলাদেশ

রাজশাহীর রেল লাইন ডাবল গেজ করা হবে: রেলপথমন্ত্রী

প্রকাশ: ০৫:৩২ পিএম, ১১ মে, ২০২৪


Thumbnail

রেলপথমন্ত্রী জিল্লুল হাকিম বলেছেন, রাজশাহীতে ডাবল লাইন করার প্রস্তাব এসেছে। ডাবল লাইন তো আর একদিনে হবে না। আমরা কাজ শুরু করেছি। সমস্ত লাইনগুলোর মধ্যে যেখানে সিঙ্গেল গেজ রয়েছে সেখানে ডাবল গেজ করার চেষ্টা করছি। কাজ শুরু হয়েছে। যত দ্রুত সম্ভব এগুলো আমরা বাস্তবায়নের চেষ্টা করব।

শনিবার (১১ মে) দুপুর ১টার দিকে রাজশাহী বিভাগীয় কমিশনারের কার্যালয়ের সম্মেলন কক্ষে অনুষ্ঠিত সেমিনারে প্রধান অতিথির বক্তব্য তিনি এসব কথা বলেন।

রেলপথমন্ত্রী বলেন, আপনাদের সুবিধার্থে রেলপথে আম পরিবহনের ব্যবস্থা করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। যাতে করে সবচেয়ে কম খরচে আপনাদের আম পৌঁছানো যায় এবং আমের গুণাগুণ ঠিক থাকে।

তিনি আরও বলেন, আম পরিবহনে আমরা ডাক বিভাগকে কাজে লাগাতে পারি। তবে আমার মনে হয়- বর্তমান পর্যায়ে এই যে কুরিয়ার সার্ভিসগুলো আছে, এদের সঙ্গে আমরা একটা কন্ট্রাকে আসতে পারি। আমরা তাদের সঙ্গে বসে আপনাদের সুবিধার্থে একটা আলোচনা করব। আপনারা বলেছেন যাত্রীবাহী ট্রেনের সঙ্গে লাগেজ ভ্যান লাগানোর জন্য। আগে তো প্রত্যেকটি যাত্রীবাহী কোচের সঙ্গে লাগেজ ভ্যান ছিল। অন্যান্য যে শস্যগুলো রয়েছে সেগুলো আমরা কৃষকদের সঙ্গে আলোচনা করে পরিবহন করব। আমরা ঈদের সময় গবাদিপশু পরিবহনের ব্যবস্থা করি।

রেলপথমন্ত্রী বলেন, কোনো অসুস্থ রোগীর দিক থেকে মুখ ফিরিয়ে নিলে সে কিন্তু আর বাঁচে না। আমরা এখন অসুস্থ ধরে নেন। সুস্থ হওয়ার চেষ্টা করছি। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী আমাদের টেনে তুলছেন। তিনি রেলকে ভালোবাসেন। এই পরিবহনটা খুবই সস্তা পরিবহন। সেটা যাত্রী পরিবহনের ক্ষেত্রে বলেন আর পণ্য পরিবহনের ক্ষেত্রে বলেন। নতুন নতুন লাইন নির্মাণ করা হচ্ছে। ঢাকা থেকে বরিশাল হয়ে পায়রাবন্দর পর্যন্ত রেললাইন স্থাপনের নির্দেশ দিয়েছেন। যা আটটা জেলাকে কানেক্ট করবে। সমস্যা থাকবে, সমস্যার সমাধানের জন্য আপনারা পরামর্শ দেবেন। কিন্তু আমাদের দিক থেকে মুখ ফিরিয়ে নেবেন না।

সেমিনারে জানানো হয়, আগামী ১০ জুন ম্যাংগো স্পেশাল ট্রেন চালু হবে। এবার পদ্মা সেতু হয়ে ঢাকায় যাবে রাজশাহী অঞ্চলের আম। যাত্রা পথে চাঁপাইনবাবগঞ্জ, রাজশাহী, আব্দুলপুর, ঈশ্বরদী, পোড়াদহ, রাজবাড়ী, ফরিদপুর ও ভাঙ্গা স্টেশনসহ মোট ১৫টি স্টেশনে যাত্রাবিরতি দেবে ‘ম্যাংগো স্পেশাল ট্রেন’। বাংলাদেশ রেলওয়ে ম্যাংগো স্পেশাল ট্রেন চালু করে ২০২০ সালে।

সেমিনারে রাজশাহী বিভাগীয় কমিশনার ড. দেওয়ান মুহাম্মদ হুমায়ুন কবীরের সভাপতিত্বে বিভাগের জেলা প্রশাসকগণ ছাড়াও আম ব্যবসায়ী, রপ্তানিকারক প্রতিষ্ঠানসহ বিভিন্ন পর্যায়ের নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।


রাজশাহী   রেল লাইন   রেলপথমন্ত্রী  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড বাংলাদেশ

ফরিদপুরে ট্রাকচাপায় বাবা-ছেলেসহ নিহত ৩

প্রকাশ: ০৪:২৬ পিএম, ১১ মে, ২০২৪


Thumbnail

ফরিদপুরের ভাঙ্গায় ট্রাক ও মোটরসাইকেল সংঘর্ষে বাবা-ছেলেসহ তিনজন নিহত হয়েছেন। শনিবার (১১ মে) দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে এই ঘটনা ঘটে। নিহতরা হলেন কাশেম শিকদার (৪০), তার ভাই নাজমুল শিকদার (৩৭) ও তার ছেলে মোরসালিন (৮)।

নিহতদের বাড়ি গোপালগঞ্জ জেলার মুকসুদপুর উপজেলার কোয়ালদিয়া গ্রামে। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন ভাঙ্গা হাইওয়ে থানার উপপরিদর্শক (এসআই) আব্দুল বাকি।

তিনি বলেন, শনিবার ভাঙ্গা থেকে মোটরসাইকেলে করে বাবা-ছেলে ও তার ভাই ফরিদপুর যাচ্ছিল। পথিমধ্যে ভাঙ্গা উপজেলার হামিরদীতে ট্রাকের সঙ্গে মোটরসাইকেলের মুখোমুখি সংঘর্ষ হয়। এতে ঘটনাস্থলে মোরসালিনের মৃত্যু হয়। পরে আহত কাশেম ও নাজমুলকে ভাঙ্গা থেকে ফরিদপুর মেডিকেলে নেওয়া হলে চিকিৎসক তাদের মৃত ঘোষণা করে।


ফরিদপুর  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড বাংলাদেশ

স্মার্ট বাংলাদেশ গড়তে কর্মদক্ষ যুবসমাজের বিকল্প নেই: স্থানীয় সরকারমন্ত্রী

প্রকাশ: ০৪:১৬ পিএম, ১১ মে, ২০২৪


Thumbnail

স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায়মন্ত্রী মো. তাজুল ইসলাম বলেছেন, স্মার্ট বাংলাদেশ গঠনে যুগোপযোগী ও কর্মদক্ষ যুবসমাজের কোনো বিকল্প নেই। বাংলাদেশ ডেমোগ্রাফিক ডিভিডেন্ডের সম্ভাবনাময় সময় পার করছে জানিয়ে মন্ত্রী বলেন, জনসংখ্যাগত এই সুবিধার সঠিক ব্যবহার করতে আমাদের সবাইকে সম্মিলিতভাবে এগিয়ে আসতে হবে।

শনিবার (১১ মে) ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বাণিজ্য অনুষদের অধ্যাপক হাবিবুল্লাহ কনফারেন্স হলে অনুষ্ঠিত ‘ইয়ুথ লিডারশিপ স্কিলস্ ফর স্মার্ট বাংলাদেশ’ শীর্ষক আলোচনায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি একথা বলেন।

তিনি বলেন, এমডিজি, এসডিজিসহ, ডেল্টা প্ল্যান-২১০০ ইত্যাদি প্রমাণ করে সরকার যুবসমাজ ও দেশের নাগরিকদের নিয়ে নিয়ে দূরদর্শী পরিকল্পনা করছে।

মন্ত্রী মার্কেট ইকোনমি নিয়ে বলেন, আমাদের পণ্য ও সেবার মান বিশ্বমানের হতে হবে। তাহলেই এই মুক্তবাজার অর্থনীতির যুগে আমরা অন্যান্য দেশের সঙ্গে প্রতিযোগিতা করে দেশের অর্থনীতিকে সমৃদ্ধ করতে পারব। ভিশন ২০৪১ বাস্তবায়ন করে ২০৪১ সালের মধ্যে স্মার্ট বাংলাদেশের বাস্তবায়িত করতে হলে নিজেরদের যোগ্য ও দক্ষ করে গড়ে তোলাটা একান্তই অপরিহার্য।

ডিজিটাল বাংলাদেশের বাস্তবায়ন এক অবারিত সুযোগের দুয়ার খুলে দিয়েছে জানিয়ে মন্ত্রী বলেন, শতভাগ বিদ্যুতায়ন, বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইট, সাবমেরিন ক্যাবলের ফলে গ্রামের প্রত্যন্ত অঞ্চলেও এখন প্রযুক্তির ছোঁয়া। এই সমস্ত সুযোগ সুবিধা তরুণ ও জনসাধারণের জন্য নানা রকমের সম্ভাবনা ও আয়ের মাধ্যম সৃষ্টি করছে। যুবসমাজ ফ্রিল্যান্সিংসহ রিমোট জবের মাধ্যমে বৈদেশিক মুদ্রা আয় করছে। যা অর্থনীতিকে করছে বেগবান।

স্মার্ট বাংলাদেশ গঠনে সবার ঐক্যবদ্ধ প্রচেষ্টার বিকল্প নেই জানিয়ে মন্ত্রী আরও বলেন, স্মার্ট বাংলাদেশ একটি বহুমাত্রিক ধারণা। সকল ভেদাভেদ ভুলে সবাই নিজ নিজ অবস্থান থেকে সম্মিলিত প্রচেষ্টার মাধ্যমে জ্ঞান ও দক্ষতাভিত্তিক সমাজ গঠনে এগিয়ে আসলে আমরা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সোনার বাংলা তথা স্মার্ট বাংলাদেশ গঠন করতে পারব।

একশনিস্ট ফাউন্ডেশনের চেয়ারপারসন ড. শারিন শাহাজাহান নাওমির সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় সম্মানিত বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন স্মার্ট বাংলাদেশ নেটওয়ার্কের চেয়ারম্যান মো. আবুল কালাম আজাদ।


স্থানীয় সরকারমন্ত্রী  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড বাংলাদেশ

একমাসেই ৬৫৮ সড়ক দুর্ঘটনা, নিহত ৬৩২

প্রকাশ: ০৪:০০ পিএম, ১১ মে, ২০২৪


Thumbnail

বাংলাদেশ রোড ট্রান্সপোর্ট অথরিটির (বিআরটিএ) জানিয়েছে, ঈদুল ফিতরের মাস এপ্রিলে সারা দেশে ৬৫৮টি সড়ক দুর্ঘটনা ঘটেছে। আর এসব দুর্ঘটনায় মানুষ মারা গেছেন ৬৩২ জন। সেইসঙ্গে আহত হয়েছেন ৮৬৬ জন মানুষ।

বিআরটিএ চেয়ারম্যান নুর মোহাম্মদ মজুমদার সই করা সড়ক দুর্ঘটনা প্রতিবেদনে এসব তথ্য জানানো হয়। বিআরটিএ’র বিভাগীয় অফিসের মাধ্যমে সারা দেশের সড়ক দুর্ঘটনার পরিসংখ্যান সংগ্রহ করা হয়েছে বলে জানানো হয়।

দেশে দুর্ঘটনাগুলোর মধ্যে রয়েছে..

ঢাকা বিভাগে ১০৮টি দুর্ঘটনায় ১১৫ জন নিহত এবং ১৫৭ জন আহত হয়েছেন।

চট্টগ্রাম বিভাগে ১৩৫টি দুর্ঘটনায় ১২৩ জন নিহত এবং ২২৭ জন আহত হয়েছেন।

রাজশাহী বিভাগে ১০০টি দুর্ঘটনায় ৯৩ জন নিহত এবং ১১২ জন আহত হয়েছেন।

খুলনা বিভাগে ৯৮টি দুর্ঘটনায় ৮৭ জন নিহত এবং ৯৫ জন আহত হয়েছেন।

বরিশাল বিভাগে ৪৫টি দুর্ঘটনায় ৪৯ জন নিহত এবং ৬৪ জন আহত হয়েছেন।

সিলেট বিভাগে ৩৪টি দুর্ঘটনায় ৩৮ জন নিহত এবং ৬৪ জন আহত হয়েছেন।

রংপুর বিভাগে ৬৮টি দুর্ঘটনায় ৬৫ জন নিহত এবং ৬৪ জন আহত হয়েছেন।

ময়মনসিংহ বিভাগে ৭০টি দুর্ঘটনায় ৬২ জন নিহত এবং ৮৩ জন আহত হয়েছেন।

এপ্রিল মাসে সড়ক দুর্ঘটনায় সংগঠিত মোটরযানের মধ্যে মোটরকার/জিপ ৪১টি, বাস/মিনিবাস ১৫৭টি, ট্রাক/কাভার্ডভ্যান ১৭০টি, পিকআপ ৫০টি, মাইক্রোবাস ২৮টি, অ্যাম্বুলেন্স ১২টি, মোটরসাইকেল ২৫২টি, ভ্যান ২১টি, ট্রাক্টর ১৭টি, ইজিবাইক ৩৪টি, ব্যাটারিচালিত রিকশা ৩১টি, অটোরিকশা ৬৮টি ও অন্যান্য যান ১৭৫টিসহ সর্বমোট ১০৫৬টি যানবাহন রয়েছে।

এসবের মধ্যে মোটরকার দুর্ঘটনায়/জিপ ২৬ জন, বাস/মিনিবাস দুর্ঘটনায় ৬৭ জন, ট্রাক/কাভার্ডভ্যান দুর্ঘটনায় ৬২ জন, পিকাপ দুর্ঘটনায় ৩০ জন, মাইক্রোবাস দুর্ঘটনায় ২০ জন, অ্যাম্বুলেন্স দুর্ঘটনায় ১৩ জন, মোটরসাইকেল দুর্ঘটনায় ১৯১ জন, ভ্যান দুর্ঘটনায় ১৮ জন, ট্রাক্টর দুর্ঘটনায় ৯ জন, ইজিবাইক দুর্ঘটনায় ৩০ জন, ব্যাটারিচালিত রিকশা দুর্ঘটনায় ১৭ জন, অটোরিকশা দুর্ঘটনায় ৪৫ জন ও অন্যান্য যান দুর্ঘটনায় ১০৪ জনসহ সর্বমোট ৬৩২ জন নিহত হয়।

এর আগে, গত ২১ এপ্রিল বিআরটিএর চেয়ারম্যান নুর মোহাম্মদ মজুমদার জানিয়েছিলেন, ঈদুল ফিতরে ঘরমুখো মানুষের যাতায়াতের ১৭ দিনে (৪ থেকে ২০ এপ্রিল) সারা দেশে ২৬৮টি সড়ক দুর্ঘটনায় ৩২০ জন নিহত ও ৪৬২ জন আহত হয়েছেন। এই সময়ে গড়ে প্রতিদিন ১৭টি সড়ক দুর্ঘটনায় ১৯ জন নিহত ও ২৭ জন আহত হয়েছেন।


সড়ক দুর্ঘটনা   বিআরটিএ  


মন্তব্য করুন


বিজ্ঞাপন