নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০৮:০০ পিএম, ২৭ জানুয়ারী, ২০১৮
বেগম খালেদা জিয়ার রায় নিয়ে আগাম কোনো মন্তব্য করতে বারণ করলেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। দলের সাধারণ সম্পাদকের মাধ্যমে প্রধানমন্ত্রী ‘রায় বিষয়ে অতি উৎসাহী বক্তব্য’ না দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন। সরকারের একাধিক দায়িত্বশীল সূত্রে এ খবর পাওয়া গেছে।
সংশ্লিষ্ট সূত্রগুলো বলছে, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা মনে করছেন, বেগম জিয়ার বিরুদ্ধে মামলাটি ড. ফখরুদ্দিন আহমেদের তত্ত্বাবধায়ক সরকারের আমলে দায়ের করা করা। এই মামলা নিয়ে সরকার বা আওয়ামী লীগের করণীয় কিছুই নেই। প্রধানমন্ত্রী মনে করেন, এই মামলায় সরকারের কিছুই করণীয় ছিল না। আইন তার নিজস্ব গতিতে চলেছে। প্রধানমন্ত্রী দলের সাধারণ সম্পাদককে বলেছেন, ‘বিচার বিভাগ স্বাধীন, দুর্নীতি দমন কমিশনও স্বাধীন। এই মামলায় সরকার শুধু দর্শক। তাই কি রায় হবে না হবে এনিয়ে আওয়ামী লীগের নেতৃবৃন্দ যেন কোনো বক্তব্য না দেয়।‘
প্রধানমন্ত্রীর ঘনিষ্ঠ সূত্রগুলো বলছে, জিয়া অরফানেজ মামলার রায়ের তারিখ জানার পরই তিনি দলের সাধারণ সম্পাদকসহ কয়েকজন সিনিয়র নেতার সঙ্গে কথা বলেন। শেখ হাসিনা তাঁদের বলেছেন, ‘দুর্নীতির মামলাকে একটি রাজনৈতিক বিষয়ে নিয়ে যাবার চেষ্টা করবে বিএনপি। এই রায়কে ইস্যু করে বিএনপি নির্বাচন বানচালেরও চেষ্টা করবে। এজন্য সরকার এবং আওয়ামী লীগকে অত্যন্ত সতর্কতার সঙ্গে পরিস্থিতি মোকাবেলা করতে হবে।’ শেখ হাসিনা তাঁর নেতৃবৃন্দকে বলেছেন, ‘যারা এতিমের টাকা চুরি করে, তাদের পক্ষে সবকিছুই সম্ভব। এজন্য সতর্ক থাকতে হবে।’
আওয়ামী লীগের সিনিয়র একজন নেতা বলেছেন, ‘বাংলাদেশের ইতিহাসে এই প্রথম একজন সাবেক প্রধানমন্ত্রী দুর্নীতি মামলার মুখোমুখি হয়েছেন। এটা আইনের শাসনের জন্য একটা মাইলফলক।’ তিনি বলেছেন, ‘রায়ের ফল যাই হোক না কেন, এই রায়ের মাধ্যমে প্রমাণিত হলো কেউ আইনের উর্ধ্বে নয়। আওয়ামী লীগের আরেকজন সিনিয়র নেতা বলেছেন, ‘রাজনীতিবিদ হিসেবে এই মামলায় আমি লজ্জিত। কারণ রাজনীতিবিদরা হবেন গরীব মানুষের বন্ধু, তাদের সাহায্যকারী কিন্তু বেগম জিয়ার বিরুদ্ধে অভিযোগ হলো তিনি এতিমের টাকা আত্মসাৎ করেছেন। ওই সিনিয়র নেতা মনে করেন, ‘বেগম জিয়া কেবল নিজে নয় রাজনীতিবিদদেরও বিব্রত অবস্থায় ফেলেছেন। তিনি শুধু নিজে কাঠগড়ায় দাঁড়াননি, রাজনীতি করা সব মানুষকে কাঠগড়ায় দাঁড় করিয়েছেন।’
ওই নেতা জানিয়েছেন, প্রধানমন্ত্রী এই মামলা নিয়ে বিএনপির প্রতিক্রিয়া দেখে হতবাক হয়েছেন। এ রকম অভিযোগ ওঠার সঙ্গে সঙ্গে বেগম জিয়ার দল থেকে পদত্যাগ করা উচিত ছিল। সেটাই শোভন হতো। উল্টো তিনি এবং তাঁর দলের নেতারা আইনগত ইস্যুকে অন্য খাতে নিয়ে যাবার চেষ্টা করছেন। প্রধানমন্ত্রী মনে করেন, বিএনপির প্রতিক্রিয়া সৎ রাজনীতির জন্য এক বড় হুমকি।
Read in English-http://bit.ly/2rLXHrw
বাংলা ইনসাইডার/জেডএ
মন্তব্য করুন
উন্মুক্ত কারাগার স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
দ্বিতীয় ধাপে আগামী ২১ মে অনুষ্ঠিতব্য জয়পুরহাট সদর ও পাঁচবিবি উপজেলায় ১১ চেয়ারম্যান প্রার্থীসহ ৩০ প্রার্থীর মধ্যে প্রতীক বরাদ্দ দেয়া হয়েছে। প্রতীক বরাদ্দের মধ্য দিয়ে এই দুই উপজেলায় প্রার্থীদের আনুষ্ঠানিক প্রচার-প্রচারণা শুরু হলো।
তফসিল অনুযায়ী আজ বৃহস্পতিবার (২ মে) দুপুরে জেলা প্রশাসক কার্যালয়ে প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীদের মধ্যে প্রতীক বরাদ্দ করেন নির্বাচনে দায়িত্ব প্রাপ্ত রিটার্নিং কর্মকর্তা।
এসময় বক্তব্য দেন জেলা প্রশাসক সালেহীন তানভীর গাজী। এসময় আরো উপস্থিত ছিলেন পুলিশ সুপার নুরে আলম (বিপিএম), অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক বিপুল কুমার, জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা ফজলুল করিম প্রমুখ।
জানা যায়, সদর উপজেলায় ৫ চেয়ারম্যান, ৭ ভাইস চেয়ারম্যান ও ৪ মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান এবং পাঁচবিবি উপজেলায় ৬ চেয়ারম্যান, ৪ ভাইস চেয়ারম্যান ও ৪ মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান বরাদ্দকৃত প্রতীক বুঝে নেন।
জয়পুরহাট সদরে কে কোন প্রতীক:
চেয়ারম্যান পদে এ ইএম মাসুদ রেজা (আনারস), খাজা শামসুল আল আমিন (দোয়াত কলম), আনোয়ার হোসেন (ঘোড়া), আমিনুল ইসলাম মাসুদ (কাপ পিরিচ), হাসানুজ্জামান মিঠু (মটরসাইকেল) প্রতীক পেয়েছেন।
ভাইস চেয়ারম্যান পদে অশোক কুমার ঠাকুর (টিউবয়েল প্রতীক), উজ্জ্বল মিনজি (টিয়া পাখি), জাকারিয়া মন্ডল (বৈদ্যুতিক বাল্ব), মুনছুর রহমান (মাইক), শামীম আহম্মেদ (উড়োজাহাজ), সিএম আফরাঈম কাবীর (তালা প্রতীক), আলী আকবর মোঃ ইজাহারুল ইসলাম ডাবলু (চশমা) প্রতীক পেয়েছেন।
মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে ফারহানা রহমান বিথী (ফুটবল), আছমা বিবি (হাঁস), নাছিমা আক্তার (বৈদ্যুতিক পাখা), রুমানা পারভীন (কলস) প্রতীক পেয়েছেন।
পাঁচবিবি উপজেলা কে কোন প্রতীক:
চেয়ারম্যান পদে আবু বক্কর সিদ্দিক (আনারস), জাহিদুল আলম (কৈ মাছ), মনিরুল শহীদ মন্ডল (মটর সাইকেল), সোহরাব হোসেন (দোয়াত কলম), সাঈদ জাফর চৌধুরী (টেলিফোন), সাবেকুন নাহার (ঘোড়া) প্রতীক পেয়েছেন।
ভাইস চেয়ারম্যান পদে ওয়াহিদুজ্জামান চৌধুরী (চশমা), আকরাম হোসেন তালুকদার (তালা), খালেকুল ইসলাম (টিউবওয়েল), ফরহাদ আলম (উড়োজাহাজ) প্রতীক পেয়েছেন।
মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে তামান্না বেগম (প্রজাপতি), রাজিনারা টুনি (বৈদ্যুতিক পাখা), রেবেকা সুলতানা (ফুটবল), মৌসুমী আক্তার (ফুলের টব) প্রতীক পেয়েছেন।
নির্বাচন কমিশনের ঘোষিত তফসিল অনুযায়ী, দ্বিতীয় ধাপের মনোনয়নপত্র বাছাই ২৩ এপ্রিল। রিটার্নিং কর্মকর্তার সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে আপিল ২৪ থেকে ২৬ এপ্রিল। আপিল নিষ্পত্তি ২৭ এপ্রিল থেকে ২৯ এপ্রিল, প্রার্থিতা প্রত্যাহারের শেষ সময় ৩০ এপ্রিল। প্রতীক বরাদ্দ ২ মে, আর ১৫০ উপজেলায় ভোটগ্রহণ হবে ২১ মে।
উপজেলা নির্বাচন মনোনয়ন চেয়ারম্যান ভাইস চেয়ারম্যান মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান প্রতীক বরাদ্দ
মন্তব্য করুন
আওয়ামী লীগের সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে কটাক্ষ করে ফেসবুকে কুরুচিপূর্ন স্ট্যাটাস দেওয়ায় পাবনার ভাঙ্গুড়া উপজেলা আওয়ামী লীগের প্রস্তাবিত সাংগঠনিক সম্পাদক সরদার আবুল কালাম আজাদকে অব্যহতি দেওয়া হয়েছে। সেই সঙ্গে কেন তাকে স্থায়ীভাবে বহিষ্কার করা হবে না তা ৭ দিনের মধ্যে জানাতে ওই নেতাকে নির্দেশ দিয়েছে জেলা আওয়ামী লীগ।
খোঁজ
নিয়ে
জানা
গেছে,
গত
মঙ্গলবার (৩০
মে)
দিবাগত
রাতের
পর
কোনো
এক
সময়
আবুল
কালাম
আজাদ
তার
ফেসবুক
একাউন্টে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে কটাক্ষ
করে স্ট্যাটাস দেন।
পরদিন
বুধবার
(০১
মে)
সকালে
তার
লেখাটি
সবার
নজড়ে
আসার
পর
ভাইরাল
হয়ে
যায়।
এতে সমালোচনার ঝড়
ওঠে
স্থানীয় আওয়ামী লীগ নেতা-কর্মীদের মাঝে।
সমালোচনার মুখে
বাধ্য
হয়ে
এক
পর্যায়ে পোস্টটি তার
ফেসবুক
থেকে
ডিলিট
করে
দেন
ওই
নেতা।
বিষয়টি উপজেলা ও জেলা আওয়ামী লীগ নেতাদের নজড়ে এনে তার শাস্তির দাবি জানান স্থানীয় নেতৃবৃন্দ। পরে অভিযোগের সত্যতা পাওয়ায় বুধবার (১ মে) রাতে এক চিঠিতে সরদার আবুল কালাম আজাদকে তার প্রস্তাবিত পদ থেকে অব্যহতি দেয় জেলা আওয়ামী লীগ।
আরও পড়ুন: রাষ্ট্রপতির কাছে ক্ষমা চাইবেন বেগম জিয়া?
জেলা
আওয়ামী লীগের দপ্তর
সম্পাদক মোস্তাফিজুর রহমান
সুইট
স্বাক্ষরিত ওই
চিঠিতে
বলা
হয়,
'কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগের নির্দেশে পাবনা
জেলা
আওয়ামী লীগের জরুরী
সভার
সিদ্ধান্ত মোতাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ
হাসিনা
সম্পর্কে ফেসবুকে অশালীন
ও
কুরুচপিূর্ন মন্তব্য করায়
সাংগঠনিক শৃঙ্খলা ভঙ্গের
কারণে
ভাঙ্গুড়া উপজেলা
আওয়ামী লীগের প্রস্তাবিত সাংগঠনিক সম্পাদক সরদার
আবুল
কালাম
আজাদকে
তার
সকল পদ
থেকে
অব্যহতি প্রদান
করা
হলো।
সেই সঙ্গে কেন
তাকে
স্থায়ীভাবে বহিষ্কার করা
হবে
না
তা
পত্র
প্রাপ্তির সাত দিনের মধ্যে
জবাব
দিতে
নির্দেশ প্রদান
করা
হলো।
যদি
তিনি
সাত দিনের মধ্যে
জবাব
না
দেন
তাহলে
তাকে
স্থায়ীভাবে বহিষ্কারের জন্য
কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগের কাছে
সুপারিশ করা
হবে।'
এ বিষয়ে মন্তব্য জানতে সরদার আবুল কালাম আজাদের মোবাইল ফোনে একাধিকবার কল করা হলেও তিনি রিসিভ করেননি।
আরও পড়ুন: নির্দেশ অমান্যকারী মন্ত্রী-এমপিদের সাধারণ ক্ষমা?
পাবনা জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক গোলাম ফারুক প্রিন্স এমপি বলেন, ‘জননেত্রী শেখ হাসিনাকে নিয়ে আওয়ামী লীগ নেতার এমন স্ট্যাটাস খুবই ন্যাক্কারজনক। এ বিষয়ে কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগ নেতাদের সাথে কথা বলে তাকে সকল পদ থেকে অব্যহতি দেওয়া হয়েছে।’
অব্যহতি আওয়ামী লীগ নেতা স্যাটাস কুরুচীপূর্ণ
মন্তব্য করুন
জাতীয় সংসদ রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন
মন্তব্য করুন
আওয়ামী লীগের সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে কটাক্ষ করে ফেসবুকে কুরুচিপূর্ন স্ট্যাটাস দেওয়ায় পাবনার ভাঙ্গুড়া উপজেলা আওয়ামী লীগের প্রস্তাবিত সাংগঠনিক সম্পাদক সরদার আবুল কালাম আজাদকে অব্যহতি দেওয়া হয়েছে। সেই সঙ্গে কেন তাকে স্থায়ীভাবে বহিষ্কার করা হবে না তা ৭ দিনের মধ্যে জানাতে ওই নেতাকে নির্দেশ দিয়েছে জেলা আওয়ামী লীগ।