নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০৮:০০ পিএম, ২৯ জানুয়ারী, ২০১৮
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা মন্তব্য করেছেন, ‘চুরি না করলে এত ভয় কেন? খালেদা জিয়া যদি এতিমের টাকা মেরে নাই খাবেন, তাহলে এত উদ্বিগ্ন কেন? সোমবার মন্ত্রিসভার বৈঠকের পর দলের কয়েকজন সিনিয়র নেতাদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি এই মন্তব্য করেন। প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘এই বিচারের রায় তো বহু আগেই হবার কথা ছিল। বেগম জিয়া তো টালবাহানা করে বিচার পিছিয়েছেন। অসুস্থতার অজুহাতে দেড়শবারের বেশি কোর্টে হাজিরা দেননি। বিভিন্ন ইস্যুতে হাইকোর্টে গেছেন, সুপ্রিম কোর্টে গেছেন। এই মামলা যদি রাজনৈতিক উদ্দেশ্য প্রণোদিত হতো তাহলে তো হাইকোর্ট, সুপ্রিম কোর্টই মামলা খারিজ করে দিত, তাতো হয়নি।’ প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘আমরা আদালতের কাজে হস্তক্ষেপ করি না, কি রায় দেবে না দেবে, সেটা আদালতের বিষয়।’
আওয়ামী লীগের একাধিক শীর্ষ নেতা প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে ৮ ফেব্রুয়ারির রায় এবং পরবর্তী রাজনৈতিক পরিস্থিতি নিয়ে কথা বলেন। প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, ‘এবারও তারা ২০১৪’র মতো নির্বাচন বানচালের অজুহাত খুঁজছে। কারণ তারা জানে, নির্বাচন হলে মানুষ তাঁদের ভোট দেবে না। প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, ‘সন্ত্রাসী, দুর্নীতিবাজদের মানুষ পছন্দ করে না, এখন মানুষ অনেক সচেতন হয়েছে।’ প্রধানমন্ত্রী ২০০১ এবং ২০১৪, ১৫ সালে বিএনপির সন্ত্রাসের উদাহরণ টেনে বলেন, ‘এরপর তারা মানুষের কাছে ভোট চায় কোন মুখে।’ প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, বিএনপি আবারও সন্ত্রাস ও নৈরাজ্য সৃষ্টি করে গণতন্ত্র বিপন্ন করতে চায়। ২০১৪ তেও তারা একই চেষ্টা করেছিল। ২০১৪ তে তারা সফল হয়নি, এবারও হবে না।’
প্রধানমন্ত্রী রায়কে ঘিরে যেন বিএনপি কোনো নৈরাজ্য সৃষ্টি না করতে পারে সেজন্য সজাগ ও সচেতন থাকার পরামর্শ দেন। তিনি বলেন, ‘এবার অবশ্যও আমাদের কিছু করতে হবে না। জনগণই তাদের প্রতিহত করবে। কারণ গত নয় বছরে দেশে যে উন্নয়ন হয়েছে তা ব্যাহত হতে জনগণ দেবে না। মানুষের কর্মচাঞ্চল্যতাকে যারা বাধাগ্রস্থ করার চেষ্টা করবে, তাদের জনগণই ধাওয়া দেবে।’
প্রধানমন্ত্রী অত্যন্ত আশ্চর্য হয়ে বলেন, ‘কেবল রায়ের তারিখ দিয়েছে, তাতেই বিএনপি হৈ হৈ করে উঠেছে। তারা কি তাহলে আইন মানে না, বিচার মানে না? অবশ্য দলটির জন্মই তো বেআইনিভাবে। তাই এসবের প্রতি শ্রদ্ধাবোধ তাঁদের নেই।’
প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, ‘দীর্ঘ ১০ বছর ধরে বিচার কাজ হয়েছে। খালেদা জিয়া ও তাঁর আইনজীবীরা আইনি লড়াই করেছেন। এখন কেন তারা আন্দোলনের হুমকি দিচ্ছে। মানে কি, বিচার মানি, তালগাছ আমার?’
প্রধানমন্ত্রী বলেন, বিএনপি যে গণতান্ত্রিক দল নয়, গণতন্ত্রে বিশ্বাস করে না, তা আবারও প্রমাণ করল। তারা পিছনের দরজা দিয়ে ক্ষমতায় যেতে চায়, সে সুযোগ পাবে না।’
প্রধানমন্ত্রী বিএনপির আন্দোলন, হুমকি পাত্তা না দিয়ে নির্বাচনের প্রস্তুতি নিতে বলেন। এবার আন্দোলন করলে বিএনপি অচিরেই সংকটে পড়বে বলেও তিনি মন্তব্য করেন। এসময় প্রধানমন্ত্রী এবং আওয়ামী লীগ সভাপতি কিছু নির্দেশনাও দেন।
Read In English: http://bit.ly/2Gt25yY
বাংলা ইনসাইডার/জেডএ
মন্তব্য করুন
বরিশালের গৌরনদীতে উপজেলা নির্বাচনে প্রভাব বিস্তার নিয়ে আওয়ামী
লীগের দুপক্ষের সমর্থকদের মধ্যে সংঘর্ষ হয়েছে। সংঘর্ষে ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যানসহ
তিনজন আহত হয়েছেন।
বৃহস্পতিবার (২ মে) রাত ৮টার দিকে উপজেলার বাটাজোর বাসস্ট্যান্ড
এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। গৌরনদী মডেল থানার ওসি আনোয়ার হোসেন বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
আহতরা হলেন, গৌরনদী উপজেলা আ.লীগের সাধারণ সম্পাদক ও সদ্য সাবেক
পৌর মেয়র চেয়ারম্যান প্রার্থী হারিছুর রহমানের সমর্থক দেলোয়ার হোসেন দিলু, উপজেলা পরিষদের
বর্তমান চেয়ারম্যান সৈয়দা মনিরুন নাহার মেরীর সমর্থক ও মাহিলারা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান
উপজেলা আ.লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক সৈকত গুহ পিকলু ও তার মোটরসাইকেলের চালক পলাশ
হাওলাদার।
প্রত্যক্ষদর্শীরা বলেন, বাটাজোর ইউনিয়নের আ.লীগ নেতা আলতাফ হোসেন
মারা গেছেন। রাতে তার জানাজায় অংশ নিতে বাটাজোর বাসস্ট্যান্ডে আসেন চেয়ারম্যান প্রার্থী
ও পৌর আওয়ামী লীগের সভাপতি মনির হোসেন মিয়া ও ইউপি চেয়ারম্যান পিকলু। পরে সেখানে প্রতিপক্ষ
হারিছুর রহমানের সমর্থকরাও আসেন। তখন দুইপক্ষের মধ্যে কথা কাটাকাটি হয়। একপর্যায়ে দুপক্ষ
সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে।
আহত ইউপি চেয়ারম্যান পিকলুর স্ত্রী বিপাশা গুহ বলেন, আহতদের স্থানীয়রা
উদ্ধার করে গৌরনদী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেয়। সেখানে নেওয়ার পর হারিছুর রহমানের
ক্যাডাররা পিকুলকে হত্যার উদ্দেশ্যে হাসপাতাল ঘেরাও করে। তখন প্রধান গেট আটকে তাকে
রক্ষা করা হয়।
তিনি বলেন, হামলাকারীরা গেট ভেঙে ভেতরে প্রবেশের চেষ্টা করে। তারা
হাসপাতাল কম্পাউন্ডে থাকা অ্যাম্বুলেন্সসহ সব যানবাহন সরিয়ে দেয়। পরে উপজেলা চেয়ারম্যান
সৈয়দা মনিরুন নাহার মেরী ও পুলিশ সদস্যরা এসে আহতদের বরিশাল শেরেবাংলা মেডিকেল কলেজ
হাসপাতালে পাঠায়।
উপজেলা চেয়ারম্যান সৈয়দা মনিরুন নাহার মেরী বলেন, কুপিয়ে জখম হওয়া
পিকলুকে বরিশাল হাসপাতালে নেওয়ার জন্য অ্যাম্বুলেন্স খবর দেওয়া হয়। কিন্তু প্রতিপক্ষের
লোকজন হাসপাতাল ঘেরাও করে। তারা অ্যাম্বুলেন্সসহ সব যানবাহন আটকে দেয়। পরে পিকলুকে
বরিশাল হাসপাতালে পাঠিয়ে দেওয়া হয়।
আহত দেলোয়ার হোসেন দিলুর ভাই বাটাজোর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান
আব্দুর রব হাওলাদার বলেন, আমি অসুস্থ। কী ঘটেছে আমি জানি না। শুনেছি নির্বাচনি প্রচারে
হামলা হয়েছে। এতে দিলু গুলিবিদ্ধ হয়েছে ও পিকলুকে কুপিয়ে জখম করা হয়েছে বলে শুনেছি।
আহত দেলোয়ার হোসেন দিলুর দাবি, ইউপি চেয়ারম্যান পিকুল তাকে গুলি
করে। পরে স্থানীয়রা এসে প্রতিরোধ করলে হামলাকারীরা পালিয়ে যায়।
বরিশাল শেরেবাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের জরুরি বিভাগের চিকিৎসক
শাহাদাত হোসেন বলেন, তিনজন জখম অবস্থায় এসেছেন। গুলিবিদ্ধ হওয়ার কোনো আলামত পাওয়া যায়নি।
তিনজনকে সার্জারি ওয়ার্ডে ভর্তি করা হয়েছে।
মন্তব্য করুন
গাজীপুরের কাশিমপুর হাই সিকিউরিটি কেন্দ্রীয় কারাগার থেকে হেফাজতে
ইসলামের সাবেক কেন্দ্রীয় যুগ্ম মহাসচিব মাওলানা মামুনুল হকের জামিনে মুক্তি পাওয়ার
খবরে কারা ফটকে ভিড় করেন তার সমর্থক ও হেফাজতে ইসলামের নেতাকর্মীরা।
বৃহস্পতিবার (২ মে) রাতে তিনি কারাগার থেকে মুক্ত হবেন, এমন খবরে
তারা কারা ফটকে ভিড় জমান। কিন্তু শেষ পর্যন্ত আইনি জটিলতায় বৃহস্পতিবার তিনি ছাড়া
পাচ্ছেন না বলে জানিয়েছে কারা সূত্র।
কাশিমপুর হাইসিকিউরিটি কেন্দ্রীয় কারাগারের সিনিয়র জেল সুপার সুব্রত
কুমার বালা জানান, মাওলানা মামুনুল হক কাশিমপুর হাই সিকিউরিটি কেন্দ্রীয় কারাগারে দীর্ঘদিন
ধরে বন্দি হিসেবে আছেন। বৃহস্পতিবার বিকেলে তার জামিনের কাগজপত্র কারাগারে পৌঁছায়।
অনেক মামলা থাকায় তা যাচাই-বাছাই করা হচ্ছে। তবে মামুনুল হক আজ মুক্তি পেতে পারেন কিনা
বা কখন মুক্তি পাবেন তা তিনি নিশ্চিত করতে পারেননি। তবে কারাগারের একটি সূত্র নিশ্চিত
করেছে, বৃহস্পতিবার ছাড়া পাচ্ছেন না মামুনুল হক।
প্রসঙ্গত, ২০২১ সালের ৩ এপ্রিল নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁয়ের রয়েল রিসোর্টে এক নারীর সঙ্গে হেফাজত নেতা মাওলানা মামুনুল হককে অবরুদ্ধ করেন স্থানীয় আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীরা। পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে তাদের জিজ্ঞাসাবাদ শুরু করে। খবর পেয়ে হেফাজতের স্থানীয় নেতাকর্মীরা রিসোর্টে গিয়ে ভাঙচুর চালিয়ে তাকে ছিনিয়ে নিয়ে যান। ঘটনার পর থেকে ঢাকার মোহাম্মদপুরের জামিয়া রাহমানিয়া আরাবিয়া মাদ্রাসায় অবস্থান করেন মামুনুল হক। ১৫ দিন পর ১৮ এপ্রিল ওই মাদ্রাসা থেকে মাওলানা মামুনুল হককে গ্রেপ্তার করে পুলিশ।
পরে ৩০ এপ্রিল সোনারগাঁ থানায় তার বিরুদ্ধে বিয়ের প্রলোভনে ধর্ষণের মামলা করেন তার সঙ্গে রিসোর্টে অবরুদ্ধ হওয়া নারী। যদিও ওই নারীকে তার দ্বিতীয় স্ত্রী দাবি করে আসছেন মামুনুল হক। এরপর ওই মাসেই দেশের বিভিন্ন স্থানে তার বিরুদ্ধে রাষ্ট্রদ্রোহসহ অর্ধশতাধিক মামলা হয়। পরে সেসব মামলায় তাকে গ্রেপ্তার দেখায় পুলিশ। গ্রেপ্তারের পর থেকে তিনি কারাগারে আছেন।
মন্তব্য করুন
মুন্সিগঞ্জের গজারিয়ায় আগামী ৮ মে ১ম
ধাপে ৬ষ্ঠ উপজেলা পরিষদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে সেই লক্ষে কাজ শুরু করে দিয়েছে নির্বাচন
কমিশন। নির্বাচনকে সামনে রেখে এরই মধ্যে বিভিন্ন প্রার্থীর মধ্যে উত্তেজনা লক্ষ করা
গিয়েছে।
বৃহস্পতিবার (২ মে) দুপুর ১২টার সময়
উপজেলার কলেজ রোড এলাকায় মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদপ্রার্থী মেহেরুন নেছা উত্তরা (কলস)
এবং খাদিজা আক্তার আঁখি(পদ্মফুল) এই দুই প্রার্থী একই সঙ্গে প্রাচারণা চলাকালে মুখোমুখি
হয়ে যায়। পরে দুই প্রার্থীসহ তাদের সমর্থকরা তর্ক বিতর্কে জড়িয়ে যায় পরিস্থিতি গোলাটে
হওয়ার মুহূর্তে গজারিয়া থানা পুলিশের একটি টিম এসে পরিস্থিতি স্বাভাবিক করে।
এই ঘটনায় জেলা নির্বাচন অফিসার মোহাম্মদ
বশির আহমেদের স্বাক্ষরিত বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, প্রচারণা কালে প্রচারণা কাজে বাঁধা প্রদান
করেন মর্মে অভিযোগ পাওয়া যায় যা উপজেলা পরিষদ (নির্বাচন আচরণ) বিধিমালা, ২০১৬ এর বিধি
১৮ এর সুস্পষ্ট লঙ্ঘন করেছেন। এক্ষণে, আপনার বিরুদ্ধে বিধি অনুযায়ী কেন প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা
গ্রহণ করা হবে না, তার ব্যাখ্যা আগামী ২৪ ঘণ্টার মধ্যে নিম্নস্বাক্ষরকারীর কার্যালয়ে
লিখিত জবাব দাখিল করার জন্য নির্দেশ প্রদান করা হলো।
শোকজের বিষয়ে জানতে মেহেরুন নেছা উত্তরা
(কলস)কে মুটোফোনে কল দিলে তার ব্যবহৃত মোবাইল নম্বারটি বন্ধ পাওয়া যায়। এছাড়া আরেক
প্রার্থী খাদিজা আক্তার আঁখি (পদ্মফুল)কে কল দেওয়া হলে রিসিভ করা হয়নি।
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
দলীয় নির্দেশনা অমান্য করে এবার নোয়াখালীর কোম্পানীগঞ্জ উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে মনোনয়ন দাখিল করেছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদেরের ছোট ভাই ও ভাগনে। ছোট ভাই শাহদাত হোসেন প্রার্থী হয়েছেন চেয়ারম্যান পদে। আর ভাগনে মাহবুবুর রশীদ মঞ্জু প্রার্থী হয়েছেন ভাইস চেয়ারম্যান পদে।