ইনসাইড বাংলাদেশ

আপিল বিভাগের কার্যতালিকায় ষোড়শ সংশোধনীর রিভিউ শুনানি

প্রকাশ: ১২:০০ পিএম, ২০ অক্টোবর, ২০২২


Thumbnail আপিল বিভাগের কার্যতালিকায় ষোড়শ সংশোধনীর রিভিউ শুনানি

সংবিধানের ষোড়শ সংশোধনী অবৈধ ও বাতিল ঘোষণা করে সুপ্রিম কোর্টের রায়ের বিরুদ্ধে করা রিভিউ আবেদন আপিল বিভাগের কার্যতালিকায় রাখা হয়েছে। বিচারপতিদের অপসারণের ক্ষমতা সংসদের সদস্যদের হাতে নিতে সংবিধানের ষোড়শ সংশোধন আনা হয়।

প্রধান বিচারপতি হাসান ফয়েজ সিদ্দিকীর নেতৃত্বাধীন আপিল বিভাগের নিয়মিত ও পূর্ণাঙ্গ বেঞ্চে শুনানির জন্য বৃহস্পতিবার (২০ অক্টোবর) দিন ধার্য রয়েছে।

এর আগে গত ৮ আগস্ট সংবিধানের ষোড়শ সংশোধনী অবৈধ ও বাতিল ঘোষণা করে সর্বোচ্চ আদালতের রায়ের বিরুদ্ধে রিভিউ আবেদন শুনানির জন্য আজ দিন ধার্য করেন আপিল বিভাগের বিচারপতি এম. ইনায়েতুর রহিমের চেম্বারজজ আদালত।

গণমাধ্যমকে এসব তথ্য নিশ্চিত করেন অ্যাডভোকেট অন রেকর্ড হরিদাস পাল।

সুপ্রিম কোর্টের বিচারক অপসারণের ক্ষমতা জাতীয় সংসদের হাতে পুনর্বহাল সংক্রান্ত ওই সংশোধনী বাতিল রায়ের রিভিউ চেয়ে প্রায় ১০ মাস আগে আবেদন করে সরকার।

এ বিষয়ে রাষ্ট্রের প্রধান আইন কর্মকর্তা অ্যাটর্নি জেনারেল আবু মুহাম্মদ এ এম আমিন উদ্দিন গণমাধ্যমকে বলেছিলেন, আমরা সংবিধানের ষোড়শ সংশোধনী বাতিল করে সর্বোচ্চ আদালতের দেওয়া রায়ের রিভিউ শুনানির উদ্যোগ নেবো।

২০১৭ সালের ৩ জুলাই তৎকালীন প্রধান বিচারপতি সুরেন্দ্র কুমার (এসকে) সিনহার নেতৃত্বে আপিল বিভাগের সাত বিচারপতির বেঞ্চ সর্বসম্মতভাবে সংক্ষিপ্ত এ রায় দিয়েছিলেন। পূর্ণাঙ্গ রায় প্রকাশিত হয়েছিল একই বছরের ১ আগস্ট।

মূল রায়টি লিখেছেন এসকে সিনহা। ষোড়শ সংশোধনী বাতিলের বিষয়ে সব বিচারপতিই একমত হন।

সংবিধানের ষোড়শ সংশোধনী নিয়ে রিট আবেদন করা হলেও, আপিল বিভাগের রায়ে সংশ্লিষ্ট প্রসঙ্গ ছাড়াও নিম্ন আদালতের বিচারকদের কর্মস্থল নির্ধারণ, পদোন্নতি, ছুটি মঞ্জুরসহ শৃঙ্খলা বিধান নিয়ন্ত্রণে রাষ্ট্রপতির ক্ষমতাসংক্রান্ত সংবিধানের ১১৬ অনুচ্ছেদকে সংবিধানের মৌলিক কাঠামোর পরিপন্থী ঘোষণা করা হয়।

এছাড়া রায়ে নির্বাচন কমিশন (ইসি), তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থার বিধানসংবলিত সংবিধানের ত্রয়োদশ সংশোধনী বাতিল করে আপিল বিভাগের দেওয়া রায়, আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি, গণতন্ত্রসহ সার্বিক বিষয় নিয়ে আসা হয়।

এসব নিয়ে ক্ষমতাসীন ও বিরোধী দল প্রধান বিচারপতির পক্ষে-বিপক্ষে মাঠে নামে। আওয়ামী লীগ ওই রায় ঘিরে এসকে সিনহার পদত্যাগও দাবি করে। আন্দোলন চলাকালে ওই বছরের ১৩ অক্টোবর ছুটি নিয়ে বিদেশ চলে যান তিনি।

এরপরে ১০ নভেম্বর সিঙ্গাপুর থেকেই রাষ্ট্রপতির কাছে পদত্যাগপত্র পাঠিয়ে দেন বিচারপতি এসকে সিনহা। যদিও সম্প্রতি নিজের লেখা একটি বইয়ে এস কে সিনহা দাবি করেছেন, তাকে পদত্যাগ ও দেশ ত্যাগে বাধ্য করা হয়েছিল।

আপিল বিভাগের পূর্ণাঙ্গ রায়ে মূল প্রসঙ্গ ছাড়াও অপ্রাসঙ্গিকভাবে অনেক কিছু টেনে আনার কারণেই ২০১৭ সালের ২৪ ডিসেম্বর সরকার ওই রায়ের রিভিউ চেয়ে আবেদন দাখিল করে।

সাধারণত যেকজন বিচারপতির আদালত মূল রায় দিয়ে থাকেন, সে আদালতেই রিভিউ আবেদনের শুনানি হয়। যদি সংশ্লিষ্ট আদালতের কোনো বিচারপতি কোনো কারণে অনুপস্থিত থাকেন, তবে অন্য একজন বিচারপতিকে নিয়ে শুনানি করা হয়ে থাকে।

অর্থাৎ মূল রায় দেওয়া বিচারকের সংখ্যা ঠিক রাখা হয়। আপিল বিভাগে ওই রায় দেওয়া সাতজনের মধ্যে তিনজন বিচারপতি এরই মধ্যে অবসরে চলে গেছেন।

১৯৭২ সালে প্রণীত মূল সংবিধানে সুপ্রিম কোর্টের বিচারক অপসারণের ক্ষমতা জাতীয় সংসদের হাতে ছিল। ১৯৭৫ সালের ২৪ জানুয়ারি সংবিধানের চতুর্থ সংশোধনীর মাধ্যমে ওই ক্ষমতা রাষ্ট্রপতির হাতে ন্যস্ত করা হয়।

পরে জিয়াউর রহমানের শাসনামলে সংবিধানের পঞ্চম সংশোধনীর মাধ্যমে ওই ক্ষমতা দেওয়া হয় সুপ্রিম জুডিশিয়াল কাউন্সিলের হাতে। আপিল বিভাগের রায়ে পঞ্চম সংশোধনী বাতিল হলেও সুপ্রিম জুডিশিয়াল কাউন্সিলের ব্যবস্থা রেখে দেওয়া হয়েছিল।

পরে বিচারপতি অপসারণের ক্ষমতা পুনরায় সংসদের কাছে ফিরিয়ে নিতে ২০১৪ সালের ১৭ সেপ্টেম্বর সংবিধানের ষোড়শ সংশোধনী পাস করা হয়। ওই বছরের ২২ সেপ্টেম্বর তা গেজেট আকারে প্রকাশ পায়।

এ অবস্থায় সংবিধানের ষোড়শ সংশোধনীর বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে ২০১৪ সালের ৫ নভেম্বর সুপ্রিম কোর্টের ৯ আইনজীবী হাইকোর্টে রিট আবেদন করেন। একই বছরের ২০১৪ সালের ৯ নভেম্বর রুল জারি করেন। ওই রিটের চূড়ান্ত শুনানি নিয়ে ২০১৬ সালের ৫ মে ষোড়শ সংশোধনী বাতিল করে রায় দেন আদালত।

এরপরে ২০১৬ সালের ১১ আগস্ট সংবিধানের ষোড়শ সংশোধনী অবৈধ ঘোষণা করে দেওয়া রায়ের পূর্ণাঙ্গ অনুলিপি সুপ্রিম কোর্টের ওয়েবসাইটে প্রকাশ করা হয়। পরে এ রায়ের বিরুদ্ধে আপিল করে রাষ্ট্রপক্ষ।

ষোড়শ সংশোধনী অবৈধ ঘোষণা করে হাইকোর্টের দেওয়া রায়ের বিরুদ্ধে আপিল করা হয়। ২০১৭ সালের ৮ ফেব্রুয়ারি ষোড়শ সংশোধনীর আপিল শুনানিতে অ্যামিকাস কিউরি (আদালতের বন্ধু) নিয়োগ দেন আপিল বিভাগ।

আপিল শুনানিতে আদালতে মতামত উপস্থাপনকারী ১০ অ্যামিকাস কিউরির মধ্যে শুধু ব্যারিস্টার আজমালুল হোসেন সংবিধানের ষোড়শ সংশোধনীর পক্ষে মত দেন। অপর ৯ অ্যামিকাস কিউরি ড. কামাল হোসেন, জ্যেষ্ঠ আইনজীবী এম আই ফারুকী, আব্দুল ওয়াদুদ ভূঁইয়া, প্রাক্তন অ্যাটর্নি জেনারেল এ এফ এম হাসান আরিফ, ব্যারিস্টার এম. আমিরুল ইসলাম, বিচারপতি টিএইচ খান, ব্যারিস্টার রোকন উদ্দিন মাহমুদ, ফিদা এম কামাল, এ জে মোহাম্মদ আলী সংবিধানের ষোড়শ সংশোধনীর বিপক্ষে তাদের মতামত তুলে ধরেন।

ওই বছরের ২০১৭ সালের ৮ মে শুনানি শুরু হয়ে ১১ দিন শুনানি অনুষ্ঠিত হয়। এরপরে আপিল আবেদনের শুনানি শেষে ২০১৭ সালের ৩ জুলাই তৎকালীন প্রধান বিচারপতি এসকে সিনহার নেতৃত্বাধীন সাত বিচারপতির আপিল বেঞ্চ ষোড়শ সংশোধনী অবৈধ ও বাতিল ঘোষণা করেন।

২০১৭ সালের ২৪ ডিসেম্বর সংবিধানের ষোড়শ সংশোধনী অবৈধ ও বাতিল ঘোষণা করে দেওয়া আপিল বিভাগের রায়ের বিরুদ্ধে রিভিউ আবেদন দাখিল করা হয়।

আপিল বিভাগের সংশ্লিষ্ট শাখায় রাষ্ট্রপক্ষের ৯০৮ পৃষ্ঠার এ রিভিউ আবেদনে ষোড়শ সংশোধনীর পক্ষে ৯৪টি যুক্তি দেখিয়ে আপিল বিভাগের রায় বাতিল চাওয়া হয়েছে।

আপিল বিভাগ   কার্যতালিকা   ষোড়শ সংশোধনী   রিভিউ শুনানি  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড বাংলাদেশ

উখিয়ায় আরসার আস্তানায় র‌্যাবের অভিযানে বিপুল অস্ত্র উদ্ধার

প্রকাশ: ০৮:৩৪ এএম, ১৫ মে, ২০২৪


Thumbnail

কক্সবাজারের উখিয়ার রোহিঙ্গা ক্যাম্পসংলগ্ন লাল পাহাড়ে মিয়ানমারের সশস্ত্র গোষ্ঠী আরাকান স্যালভেশন আর্মি (আরসা) এর আস্তানায় র‌্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়নের (র‌্যাব) অভিযান চালাচ্ছে। চলমান এই অভিযানে এরইমধ্যে আস্তানা থেকে বিপুল পরিমাণ অস্ত্র, গ্রেনেড রকেট শেল উদ্ধারসহ আরসার দুই সদস্যকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে বলে র‌্যাব সূত্রে জানা গেছে।

বুধবার (১৫ মে) ভোররাত থেকে উখিয়া উপজেলার রাজাপালং ইউনিয়নের গহীন পাহাড়ে অভিযান শুরু হয়। শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত অভিযান চলমান আছে।

র‌্যাব-১৫ এর অধিনায়ক লে. কর্নেল এইচ এম সাজ্জাদ হোসেন বলেন, বেশকিছু দিন ধরে রোহিঙ্গা ক্যাম্পে হেড মাঝিসহ কয়েক রোহিঙ্গাকে গুলি গলা কেটে হত্যার ঘটনা ঘটছে। এরই প্রেক্ষিতে র‌্যাব ক্যাম্পে গোয়েন্দা তৎপরতা বৃদ্ধি করে। তারই ধারাবাহিকতায় সুনির্দিষ্ট তথ্যের ভিত্তিতে উখিয়ার ক্যাম্পসংলগ্ন গহীন পাহাড়ে মিয়ানমারের সন্ত্রাসী সংগঠন আরসার আস্তানা অবস্থান শনাক্ত করা হয়।

তিনি আরও বলেন, মঙ্গলবার (১৪ মে) রাত ২টা থেকে অভিযান শুরু হয় এবং পুরো লাল পাহাড় ঘিরে ফেলা হয়। এক পর্যায়ে র‌্যাবের উপস্থিতি টের পেয়ে সন্ত্রাসীরা গুলিবর্ষণ শুরু করে। এরপর র‌্যাব  পাল্টা গুলি ছোড়ে। পর্যন্ত একটি আস্তানা থেকে দুই সন্ত্রাসী গ্রেপ্তার করা হয়েছে। আর আস্তানা থেকে বিপুল পরিমাণ অস্ত্র, গ্রেনেড রকেট সেল উদ্ধার করা হয়েছে। অভিযান এখনো চলমান রয়েছে। পরে বিস্তারিত জানানো হবে বলে জানান র‌্যাবের ওই অধিনায়ক।


উখিয়া   আরসা   অস্ত্র  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড বাংলাদেশ

বন্ধুর ছুরিকাঘাতে বন্ধু খুন

প্রকাশ: ০৮:২৫ এএম, ১৫ মে, ২০২৪


Thumbnail

বগুড়ায় আওয়ামী লীগ নেতা মমিনুল ইসলাম রকি হত্যা মামলার আসামি আলী হাসান (৩০) বন্ধুর ছুরিকাঘাতে খুন হয়েছে। নিহত আলী হাসান বগুড়া শহরের মালগ্রাম পশ্চিমপাড়া এলাকার জিন্নাহর ছেলে।

মঙ্গলবার (১৪ মে) বিকেলে সদর উপজেলার শহরদিঘি গ্রামের পশ্চিমপাড়ায় এ ঘটনা ঘটে।

পেশায় তিনি ট্রাকচালকের সহকারী। এ ছাড়াও আলী হাসান বগুড়া সদরের ফাঁপোড় ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের যুগ্ম আহ্বায়ক মমিনুল ইসলাম রকি হত্যা মামলার আসামি ছিলেন। এসব তথ্য নিশ্চিত করেছেন বগুড়া সদর থানার ওসি সাইহান ওলিউল্লাহ।

এ ঘটনায় জড়িত হাসানের বন্ধু সবুজ সওদাগর পলাতক রয়েছে। সবুজ সওদাগর বঙ্গবন্ধু সৈনিক লীগের বগুড়া জেলা সভাপতি। তার বিরুদ্ধেও হত্যাসহ একাধিক মামলা রয়েছে।

স্থানীয়রা জানায়, দুপুরের দিকে সবুজ সওদাগরের বাড়িতে হাসান নামে এক যুবককে ছুরিকাঘাত করা হয়। পরে হাসানকে হাসপাতালে নিয়ে যায় সবুজ। বিকালে ওই যুবকের মৃত্যু হয়। সবুজ হত্যা মামলার আসামি। সে এবং তার পরিবারের সবাই মাদকাসক্ত। আমরা এলাকাবাসী অনেকবার তাদের সতর্ক করলেও কোনো কথা শোনেনি। হাসান সবুজের বাড়িতে নিয়মিত আসত। এখানে এসে তারা মাদক গ্রহণ করত।

ফাঁপোড় ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মেহেদী হাসান বলেন, আমাকে অপরিচিত একটা নম্বর থেকে জানায় সবুজ সওদাগর এক যুবককে ছুরিকাঘাত করে ঘরে ফেলে রেখেছে। পরে এলাকার লোকজন সবুজের বাড়িতে যায় এবং তাকে আটকানোর চেষ্টা করে। পরে পুলিশকে জানানো হয়।

তিনি আরও বলেন, সবুজ ও হাসান ঘনিষ্ঠ বন্ধু ছিল। এমনকি তারা একই হত্যা মামলার আসামিও ছিল। তাদের নানা অপকর্মে এলাকাবাসী অতিষ্ঠ ছিল।

বগুড়া সদর থানার ওসি সাইহান ওলিউল্লাহ বলেন, ‘ছুরিকাঘাতে আলী হাসান নামে এক যুবকের মৃত্যু হয়েছে। এ ঘটনায় জড়িত সে পলাতক রয়েছে। আমরা তাকে আইনের আওতায় আনতে অভিযান শুরু করেছি’।


খুন  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড বাংলাদেশ

মৌসুমের শুরুতেই আম ও লিচুর দখলে বাজার

প্রকাশ: ০৮:০০ এএম, ১৫ মে, ২০২৪


Thumbnail

মৌসুমের শুরুতেই বাজার দখল করেছে আম ও লিচু। বাজারে মিলছে হিমসাগর, গোপালভোগ, গোবিন্দভোগ, বারিফল এবং কাঠিমনসহ কয়েক প্রজাতির আম। পাশাপাশি উচ্চদামে বিক্রি হচ্ছে থাইল্যান্ডের জাম্বু আম ও কয়েক প্রজাতির লিচুও। তবে দেশীয় আমের দামও কম নয়। প্রতিকেজি দেশীয় প্রজাতির আম বিক্রি হচ্ছে ১৮০ থেকে ৩৫০ টাকা কেজিতে।

অপরদিকে প্রতি একশ পিস লিচু বিক্রি হচ্ছে ৬০০ থেকে ১৬শ টাকায়। তবে বাজারে এমন চড়া দামে ফল কিনতে একদিকে ক্রেতারা হিমশিম খাচ্ছেন। নির্ধারিত সময়ের আগেই এসব ফল বাজারে আসায় স্বাদ নিয়েও রয়েছে অভিযোগ।

মঙ্গলবার (১৪ মে) রাজধানীর কারওয়ান বাজার ,পুরাতন পল্টন, মতিঝিল এবং এর আশেপাশের ফলের বাজার ঘুরে এবং সংশ্লিষ্টদের সাথে কথা বলে এমন চিত্র দেখা গেছে।

ক্রেতারা বলছেন, দাম কমলে মানুষ বেশি করে ফল কিনতে পারবে। সবার খাওয়ার চাহিদাও বাড়বে। অন্যসব বছরের তুলনায় লিচুর দাম অনেক বেশি। আমের দামও অনেক বেড়েছে। বিক্রেতারা বলছেন- প্রাকৃতিক দুর্যোগে ফলন কমেছে রসালো ফল আম ও লিচুর। ফলে সঙ্গত কারণে একদিকে যেমন বাজারে আম এবং লিচুর সংকট তৈরি হবে তেমনি বিক্রিও হবে চড়া দামে। তবে মৌসুম পুরোপুরি শুরু হওয়ার পর দাম অপেক্ষাকৃত কমবে বলেও দাবি বিক্রেতাদের।

বাজার ঘুরে দেখা গেছে মৌসুমের শুরুতেই ৬ থেকে ৭ প্রজাতির আম পাওয়া যাচ্ছে। এসব আমের মধ্যে হিমসাগর প্রতিকেজি ২০০ টাকা, গোপালভোগ প্রতিকেজি ২০০ টাকা, গোবিন্দভোগ প্রতিকেজি ১৮০ টাকা, বারিফল প্রতিকেজি ৩০০ টাকা, কাঠিমন প্রতিকেজি ২০০ টাকা, সাতক্ষীরার গোপালভোগ প্রতিকেজি ৩৫০ টাকা, থাইল্যান্ডের জাম্বু আম (সবুজ প্রজাতি) প্রতিকেজি ১ হাজার টাকা এবং থাইল্যান্ডের জাম্বু আম (লাল প্রজাতি) ১২শ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।

এদিকে বাজারে প্রতি একশ পিস বোম্বাই লিচু ৫০০ টাকা, প্রতি একশ পিস কদমি লিচু ৬০০ থেকে ৬৫০ টাকা, চায়না লিচু প্রতি একশ পিস ১৪শ টাকা, বেলোয়ারি লিচু প্রতি একশ পিস ৮০০ টাকা এবং হাওয়াই মিঠাই প্রজাতির একশ পিস লিচু ১৬শ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে।

এক লিচু ব্যবসায়ী বলেন, এবছর লিচুর দাম বেশি। পাইকারি বাজারে অতিরিক্ত দামে লিচু কিনতে হচ্ছে বলেই বেশি দামে বিক্রি করা লাগছে। সাধারণ ৩০০ টাকায় একশ পিস লিচু বিক্রি যৌক্তিক থাকলেও তা দাম বেড়ে ৬০০ থেকে ৬৫০ টাকা বিক্রি করতে বেশ বেগ পেতে হচ্ছে বিক্রেতাদেরও।

ফল কিনতে আসা গোলাম রাব্বী বলেন, সবকিছুতেই দাম বেশি। তবে ফলের বাজারে দামের আগুন আরেকটু বেশি। এক কেজি আম যদি ৩০০ টাকায় কিনতে হয় তাহলে যার দৈনিক আয় ৪০০ টাকা সে কি করবে? কীভাবে খাবে? দেশীয় ফলের দাম এত বেশি হওয়া একদম উচিত নয়।


আম   লিচু  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড বাংলাদেশ

সুশীল সমাজের সঙ্গে ডোনাল্ড লু’র বৈঠক

প্রকাশ: ১০:৪৭ পিএম, ১৪ মে, ২০২৪


Thumbnail

রাজধানীর গুলশানে মার্কিন রাষ্ট্রদূত পিটার হাসের বাসায় সুশীল সমাজের প্রতিনিধিদের সাথে বৈঠক করেছেন ঢাকা সফররত মার্কিন সহকারী পররাষ্ট্রমন্ত্রী ডোনাল্ড লু। বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন গণমাধ্যমকর্মী, মানবাধিকারকর্মী, শ্রমিক নেতা ও জলবায়ুকর্মী। মূলত নির্বাচন পরবর্তী সময়ে বাংলাদেশের সমসাময়িক অবস্থা নিয়ে আলোচনা করেছেন তারা।

বৈঠকে আমেরিকার পক্ষ থেকে উপস্থিত ছিলেন ডোনাল্ড লু, চিফ অফিস স্টাফ ন্যাথানিয়াল হাফট, ব্যুরো অব ইন্টেলিজেন্ট অ্যান্ড রিসার্চের বিশ্লেষক সারাহ আল্ডরিচ, পিটার হাস, ইউএসএআইডি’র মিশন ডিরেক্টর রীড এসলিম্যান, পলিটিক্যাল কাউন্সিলর আর্তুরো হাইনস, ডেপুটি পলিটিক্যাল অ্যান্ড ইকোনমিক কাউন্সিল শ্যারন ফিটজগ্যারল্ড, পলিটিক্যাল অ্যাটাচ ম্যাথিউ বেহ। এছাড়া ঢাকায় নিযুক্ত জার্মান রাষ্ট্রদূত আছিম ট্রোস্টারও ছিলেন।

বাংলাদেশের সুশীল সমোজের প্রতিনিধিদের মধ্যে ছিলেন ডেইলি স্টারের সম্পাদক মাহফুজ আনাম, শ্রমিক নেত্রী কল্পনা আখতার, শ্রমিক নেতা বাবুল আখতার, জলবায়ুকর্মী সোহানুর রহমান ও মানবাধিকারকর্মী নুর খান লিটন।

আজ রাতে প্রধানমন্ত্রীর বেসরকারি শিল্প ও বিনিয়োগ উপদেষ্টা সালমান এফ রহমানের বাসায় নৈশভোজে অংশ নেবেন ডোনাল্ড লু। আগামীকাল বুধবার সকালে পরিবেশমন্ত্রী সাবের হোসেন চৌধুরীর সঙ্গে ডোনাল্ড লুর সৌজন্য সাক্ষাৎ করার কথা রয়েছে। পরে পররাষ্ট্র সচিব মাসুদ বিন মোমেনের সঙ্গে দ্বিপাক্ষিক বৈঠক হবে। পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদের সঙ্গেও পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে সৌজন্য সাক্ষাত করবেন তিনি।

সুশীল সমাজ   ডোনাল্ড লু  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড বাংলাদেশ

সিলেটে নতুন গৃহকর বাতিলের দাবিতে আন্দোলন অব্যাহত

প্রকাশ: ০৯:৩৬ পিএম, ১৪ মে, ২০২৪


Thumbnail

সিলেট নগরে নির্ধারিত নতুন গৃহকর বাতিলের দাবিতে আন্দোলন কর্মসূচি অব্যাহত রয়েছে। মঙ্গলবার (১৪ মে) একাধিক সংগঠন মানববন্ধন, সমাবেশসহ বিভিন্ন কর্মসূচির মাধ্যমে ‘অযৌক্তিক ও অস্বাভাবিক’ গৃহকর বাতিলের দাবি জানিয়েছে। এসব কর্মসূচিতে বক্তারা জনস্বার্থে দ্রুত নগরবাসীর দাবি মেনে নিতে মেয়রকে অনুরোধ জানান।

আন্দোলনকারীরা বলছেন, নগরবাসীর ওপর অস্বাভাবিক গৃহকর বাড়িয়ে দেওয়া হয়েছে, যা সম্পূর্ণ অযৌক্তিক। সিলেটে এমন কী হয়ে গেল যে হঠাৎ গৃহকর বাড়াতে হবে? এটা জনগণকে মেরে আঙুল ফুলে কলাগাছ হওয়ার ধান্দা। জনগণের ওপর এ গৃহকর বৃদ্ধি হবে অত্যন্ত জুলুম। এ জুলুম নগরবাসী সহ্য করবে না। শিগগির এ গৃহকর স্বাভাবিক পর্যায়ে আনতে হবে।

জানা গেছে, সিলেট সিটি করপোরেশনের (সিসিক) হোল্ডিং ট্যাক্স বা গৃহকর পুনর্মূল্যায়ন (রি-অ্যাসেসমেন্ট) শেষে কর ধার্য করে দুই বছর আগে পরিষদে পাস করিয়েছিলেন তৎকালীন মেয়র আরিফুল হক চৌধুরী। তাঁর সময়ে ২৭টি ওয়ার্ডের ৭৫ হাজার ৪৩০টি গৃহ থেকে ১১৩ কোটি ২৭ লাখ ৭ হাজার টাকা কর আদায় নির্ধারণ করা হয়েছিল। নতুন গৃহকর ধার্যের সময় ধরা হয় ২০২১-২২ অর্থবছর। মেয়র আরিফ নতুন করের বিষয়টি প্রকাশ করেননি, বাস্তবায়নও শুরু করে যাননি। 

নতুন মেয়র আনোয়ারুজ্জামান চৌধুরী দায়িত্ব গ্রহণের চার মাসের মাথায় গত এপ্রিলে নতুন করের বিষয়টি প্রকাশ করেন। তাঁর পরিষদ নগর ভবনের সামনে ৩০ এপ্রিল থেকে ‘হোল্ডিং ট্যাক্স অ্যাসেসমেন্ট’ ক্যাম্প শুরু করে। এতে শুরু হয় হইচই। গৃহ মালিকদের অনেকেরই করের পরিমাণ দেখে চোখ ছানাবড়া। যাঁর ৩০০ টাকা বার্ষিক কর ছিল তাঁর এখন ৩০ হাজার টাকা। এমনকি কোনো কোনো ক্ষেত্রে কয়েকশ গুণ বাড়ানো হয়েছে গৃহকর। এতে প্রতিবাদমুখর হয়ে ওঠেন গৃহ মালিকসহ বিভিন্ন পেশার নাগরিকরা। তারা নতুন কর বাতিলের দাবি তুলে স্মারকলিপি দেন। 

সিলেট   গৃহকর  


মন্তব্য করুন


বিজ্ঞাপন