ইনসাইড বাংলাদেশ

সিত্রাং: কেড়ে নিয়েছে ১০ প্রাণ

প্রকাশ: ১০:৩০ এএম, ২৫ অক্টোবর, ২০২২


Thumbnail সিত্রাং: কেড়ে নিয়েছে ১০ প্রাণ

ঘূর্ণিঝড় সিত্রাংয়ের প্রভাবে দমকা বাতাসে সোমবার ( ২৪ অক্টোবর) সারাদেশে ১০ জনের প্রাণহানির খবর পাওয়া গেছে। সময় গড়ানোর সঙ্গে সঙ্গে স্পষ্ট হচ্ছে ক্ষয়ক্ষতির চিত্র।

ভারি বর্ষণ আর স্বাভাবিক জোয়ারের চেয়ে কয়েক ফুট বেশি উচ্চতার জলোচ্ছ্বাস সঙ্গী করে সোমবার ( ২৪ অক্টোবর) সন্ধ্যায় বাংলাদেশ উপকূল অতিক্রম শুরু করে ঘূর্ণিঝড় ‘সিত্রাং’। এর কয়েক ঘণ্টা আগে থেকেই ঝড়ো হাওয়া আর ভারী বর্ষণ শুরু হয় উপকূলের জেলাগুলোতে।

সন্ধ্যা থেকেই বিভিন্ন উপকূলীয় জেলায় গাছ ভেঙে সড়ক বন্ধ হয়ে যাওয়ার খবর আসতে থাকে, বিদ্যুতের খুঁটি ভেঙে ও তার ছিঁড়ে বহু এলাকা অন্ধকারে ডুবে যায়।এর মধ্যে ভোলার দৌলতখান ও চরফ্যাশন, নড়াইলের লোহাগড়া এবং বরগুনা সদর উপজেলায় গাছ ভেঙে চারজনের মৃত্যু হয়।কুমিল্লার নাঙ্গলকোটে ঝড়ো বাতাসে ঘরের ওপর গাছ পড়ে প্রাণ যায় এক দম্পতি এবং তাদের চার বছরের শিশুর।

সিরাজগঞ্জের সদরে যমুনা নদীর একটি খালে নৌকা ডুবে মা ও ছেলের মৃত্যু হয়। ঝড়ের সময় ঢাকার হাজারীবাগেও দেয়াল ধসে এক রিকশাচালকের মৃত্যুর খবর দিয়েছে পুলিশ।

কুমিল্লায় তিন মৃত্যু

ঝড়ের মধ্যে রাত ১১টার দিকে নাঙ্গলকোট উপজেলার হেসাখাল ইউনিয়নের হেসাখাল পশ্চিম পাড়ায় গাছ ভেঙে ঘরের উপর পড়ে তিনজনের মৃত্যু হয়।

নিহতরা হলেন- হেসাখাল পশ্চিম পাড়া গ্রামের নিজাম উদ্দিন, তার স্ত্রী শারমিন আক্তার সাথী এবং তাদের মেয়ে চার বছরের শিশু নুসরাত আক্তার লিজা। হেসাখাল ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মো. ইকবাল বাহার বলেন, “ঝড়ো বাতাসে বড় একটি গাছ উপড়ে তাদের ঘরের ওপর পড়ে। পরে ভেতর থেকে তিনজনের লাশ উদ্ধার করা হয়।”

নাঙ্গলকোট থানার ওসিফারুক হোসেন বলেন, ঘরের ওপর পড়া গাছটি সরানোর চেষ্টা কছেন তারা। ওই তিনজন ছাড়া আরও কেউ চাপা পড়েছে কি-না, তা খুঁজে দেখা হচ্ছে।


ভোলায় নিহত ২

ঝড়ের মধ্যে গাছ ভেঙে পড়ে ভোলার দৌলতখান ও চরফ্যাশন উপজেলায় দুইজনের মৃত্যুর খবর দিয়েছে স্থানীয় প্রশাসন।

দৌলতপুর উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) তৌহিদুল ইসলাম বলেন, ঝড়ে পৌরসভায় একজন নিহত ও তিনজন আহত হয়েছেন। নিহত নারীর নাম বিবি খাদিজা (৮০) বলে জানা গেছে। তিনি দৌলতখান পৌরসভায় মৃত গোলাম মোস্তফার স্ত্রী।

পরিবারের সদস্যরা জানান, সন্ধ্যা ৭টার দিকে ঘরের ওপর গাছ পড়লে ওই বৃদ্ধা নিচে চাপা পড়েন। আত্মীয়-স্বজনরা উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।

চরফ্যাশনের ইউএনও আল নোমান বলেন, সেখানে আলম স্বর্ণকার নামে এক ব্যক্তি ভেঙে পড়া গাছের ডালের সঙ্গে আঘাত পেয়ে নিহত হয়েছেন। তিনি উপজেলার এওয়াজপুর এলাকার বাসিন্দা।

পরিবারের বরাত দিয়ে তিনি বলেন, তিনজন মোটরসাইকেলে করে যাচ্ছিলেন। পথে ঝড়ে একটি গাছের ডাল ভেঙে পড়েছিল। চালক ডালের নিচ দিয়ে গিয়ে নিজেকে বাঁচাতে পারলেও আলম ডালে আঘাত পান। তাকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন। 

সিরাজগঞ্জে মা ও ছেলের মৃত্যু

ঝড়ের সময় সিরাজগঞ্জ সদরে যমুনা নদীর একটি খালে নৌকা ডুবে মা ও ছেলের মৃত্যু হয়েছে। 

সোমবার রাত সাড়ে ৮টার দিকে সদর উপজেলার সয়দাবাদ ইউনিয়নের পূর্বমোহন ও শিল্পপার্কের মাঝামাঝি এলাকার খালে এ দুর্ঘটনা ঘটে। বৈঠাচালিত নৌকাটি শিল্পপার্ক থেকে পূর্বমোহনপুরে যাচ্ছিল। মৃত দুজন হলেন– উপজেলার পূর্বমোহনপুর গ্রামের খোকনের স্ত্রী আয়েশা খাতুন (২৮) এবং তার ছেলে আরাফাত হোসেন (২)।

বঙ্গবন্ধু সেতু পশ্চিম থানার ওসি মোসাদ্দেক হোসেন জানান, ওই নৌকায় চড়ে মোট ছয়জন পূর্বমোহনপুরে তাদের বাড়িতে ফিরছিলেন। মাঝপথে ঝড়ো হাওয়ার মধ্যে নৌকাটি ডুবে যায়।

“আরাফাত মায়ের কোলে ছিল, সে নদীতে ডুবে মারা যায়। স্থানীয়রা আয়েশা খাতুনকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করে। তবে নৌকায় থাকা অন্যরা সাঁতরে তীরে উঠতে সক্ষম হনে।”


নড়াইলে নারীর মৃত্যু

ঘূর্ণিঝড় উপকূলে পৌঁছানোর আগেই দুপুরে ঝড়ো হাওয়ায় গাছের ডাল ভেঙে নড়াইলের লোহাগড়া উপজেলায় এক নারীর মৃত্যু হয়েছে। সোমবার দুপুরে উপজেলা পরিষদ চত্বরে এ ঘটনা ঘটে বলে লোহাগড়া থানার ওসি মো. নাসির উদ্দীন জানান।

নিহত মর্জিনা বেগম (৪০) বাগেরহাট সদর উপজেলার অর্জনবাহার গ্রামের বাসিন্দা। স্বামীর সঙ্গে বিচ্ছেদের পর ১১ বছরের ছেলেকে নিয়ে তিনি লোহাগড়া পৌর এলাকার রাজপুর গ্রামের আবদুল গফ্ফারের বাড়িতে ভাড়া থাকতেন বিভিন্ন বাড়িতে গৃহপরিচারিকার কাজ করতেন তিনি।

দুপুর ১২টার দিকে উপজেলা পরিষদ চত্বর দিয়ে যাওয়ার সময় পল্লী সঞ্চয় ব্যাংকের সামনে পৌঁছালে একটি মেহগনি গাছের ডাল ভেঙে তার মাথায় পড়ে। এতে তিনি গুরুতর আহত হন। লোকজন তাকে লোহাগড়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিলে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।

উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের জরুরি বিভাগের চিকিৎসক নাদিরা ভূঁইয়া বলেন, হাসপাতালে আনার আগেই তার মৃত্যু হয়েছে। তার মাথায় আঘাত ছিল। লোহাগড়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. আজগর আলী বলেন, বিষয়টি জেলা প্রশাসককে জানানো হয়েছে। নিহতের পরিবারকে প্রয়োজনীয় আর্থিক সহায়তা দেওয়া হবে।


বরগুনায় শতবর্ষী বৃদ্ধার মৃত্যু

বরগুনা সদর উপজেলায় ঘূর্ণিঝড় সিত্রাংয়ের তাণ্ডবে গাছের নিচে চাপা পড়ে শতবর্ষী এক বৃদ্ধার প্রাণ গেছে।

সোমবার রাত সাড় ৮টার দিকে উপজেলার ৬ নম্বর বুড়িরচর ইউনিয়নের ৭ নম্বর ওয়ার্ডের সোনাখালী বাজার এলাকায় এ ঘটনা ঘটে বলে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) কাওসার হোসেন জানান। স্থানীয় ইউপি সদস্য মাইন উদ্দীন ময়না জানান, ওই নারীর নাম আমেনা খাতুন। সন্ধ্যার আগেই তার পরিবারের সদস্যদের আশ্রয়কেন্দ্রে যেতে বলা হয়েছিল, কিন্তু তারা রাজি হননি। এমনকি আমেনা খাতুন তার স্বজনদের ঘরেও যাননি। 

“উনি ছোট্ট একটি ঘরে একা থাকতেন। ঘরের পাশে থাকা চাম্বল গাছ উপড়ে পড়লে তিনি ঘটনাস্থলেই নিহত হন। পরে স্বজনরা গাছ সরিয়ে তার মরদেহ উদ্ধার করে।”

ইউএনও কাওসার হোসেন বলেন, “আমরা আমেনা খাতুনের বাড়ি গিয়ে বিস্তারিত জেনেছি। তার দাফনসহ সার্বিক সহযোগিতা উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে করা হবে।”


ঢাকায় রিকশাচালকের মৃত্যু

সিত্রাংয়ের প্রভাবে বৃষ্টি আর ঝড়ের মধ্যে ঢাকার হাজারীবাগে দেয়াল ধসে এক রিকশাচালকের মৃত্যু হয়েছে। সোমবার সন্ধ্যায় জিগাতলার মনেশ্বর রোডে এ ঘটনায় আহত হয়েছেন এক মোটর সাইকেল চালক।

ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ বাচ্চু মিয়া জানান, স্থানীয় লোকজন দুজনকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে এলে রিকশাচালককে মৃত ঘোষণা করেন চিকিৎসক। রাত সাড়ে ১০টা পর্যন্ত ওই ব্যক্তির নাম পরিচয় জানা সম্ভব হয়নি।

আহত মোটর সাইকেল চালককে হাসপাতালে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে বলে জানান তিনি।

হাজারীবাগ থানার পরিদর্শক (তদন্ত) এনামুল হক খন্দকার বলেন, “ঘটনার সময় বিদ্যুৎ চমকাচ্ছিল। নিহত ব্যক্তি রিকশা নিয়ে যাচ্ছিলেন। পাশ দিয়ে যাচ্ছিলেন বাইক আরোহী। তখন চারতলা একটি ভবনের ছাদের রেলিং ধসে পড়ে।”

ঘূর্ণিঝড়   প্রাণহানি   সিত্রাং  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড বাংলাদেশ

সারাদেশে হিট স্ট্রোকে আরও ৩ জনের মৃত্যু

প্রকাশ: ১০:৩২ পিএম, ২৯ এপ্রিল, ২০২৪


Thumbnail

সারা দেশে তীব্র তাপপ্রবাহের ফলে নতুন করে হিট স্ট্রোকে আক্রান্ত হয়ে আরও ৩ জনের মৃত্যু হয়েছে। এ নিয়ে দেশে এখন পর্যন্ত হিট স্ট্রোকে ১০ জন মারা গেছেন বলে জানিয়েছে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর।

সোমবার (২৯ এপ্রিল) রাতে সারা দেশে হিট স্ট্রোকে নতুন মৃত্যুর বিষয়টি স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের কন্ট্রোল রুম থেকে নিশ্চিত করা হয়েছে।

অধিদপ্তর জানিয়েছে, হিট স্ট্রোকে নতুন মারা যাওয়া তিনজনের মধ্যে দুইজনেরই মৃত্যু হয়েছে মাদারীপুর জেলায়। আরেকজনের মৃত্যু হয়েছে চট্টগ্রাম জেলায়। তবে গত একদিনে হিট স্ট্রোকে আক্রান্ত হয়ে নতুন করে কাউকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়নি।

সবমিলিয়ে বর্তমানে সারা দেশের বিভিন্ন হাসপাতালে হিট স্ট্রোকে আক্রান্ত ৫ জন রোগী চিকিৎসাধীন আছেন বলেও জানিয়েছে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর।

হিট স্ট্রোক   তীব্র তাপদাহ   স্বাস্থ্য অধিদপ্তর  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড বাংলাদেশ

লক্ষ্মীপুরে ছাত্রলীগ নেতা হত্যার ঘটনায় অস্ত্র ও গুলিসহ গ্রেপ্তার ১


Thumbnail

লক্ষ্মীপুরের চন্দ্রগঞ্জে ছাত্রলীগ নেতা এম সজীব হত্যা মামলায় আনোয়ার হোসেন দুলালকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। পরে দুলালের দেয়া তথ্যমতে একটি দেশীয় তৈরি এলজি ও দুটি কার্তুজ উদ্ধার করা হয়। সোমবার দুপুরে প্রেস ব্রিফিংয়ের মাধ্যমে পুলিশ সুপার মোহাম্মদ তারেক বিন রশিদ বিষয়টি নিশ্চিত করেন।

গ্রেপ্তার দুলাল সদর উপজেলার চন্দ্রগঞ্জ ইউনিয়নের পাঁচপাড়া গ্রামের মান্দারের দিঘির পাড়া এলাকার আবদুল আজিজের ছেলে। 

প্রেস ব্রিফিংয়ে পুলিশ সুপার জানান, ঘটনার পর থেকে দুলাল আত্মগোপনে চলে যায়। পরে তাকে গ্রেপ্তার করতে ঝিনাইদহ এবং খুলনার বিভিন্ন স্থানে অভিযান চালানো হয়। পরে তাঁকে খুলনার ডুমুরিয়ার শরাপুর বাজার এলাকা থেকে গ্রেপ্তার করে লক্ষ্মীপুরে নিয়ে আসা হয়। জিজ্ঞাসাবাদে দুলাল ঘটনার সাথে জড়িত থাকার কথা স্বীকার করেছেন। দুলালের দেওয়া স্বীকারোক্তিতে সোমবার ভোরে তার বসতবাড়ি থেকে হত্যাকান্ডে ব্যবহৃত একটি এলজি ও দুই রাউন্ড কার্তুজ উদ্ধার করা হয়।

এসপি আরও বলেন, জিজ্ঞাসাবাদে দুলাল এঘটনার সাথে জড়িত অন্য আসামিদের নামও জানায়। মামলার প্রধান আসামি কাজী মামুনুর রশিদ বাবলুসহ এঘটনার সাথে জড়িতদের গ্রেপ্তারে পুলিশের অভিযান অব্যাহত রয়েছে বলেও জানান জেলা পুলিশের উর্দ্ধতন এই কর্মকর্তা।

এর আগে গত ১২ এপ্রিল রাতে চন্দ্রগঞ্জ থানার পাঁচপাড়া গ্রামের যৈদের পুকুরপাড় এলাকায় ছাত্রলীগ নেতা সজীব, সাইফুল পাটোয়ারী, মো. রাফি ও সাইফুল ইসলাম জয়ের ওপর অতর্কিত হামলা চালায় অভিযুক্তরা। ১৬ এপ্রিল রাতে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান সজিব। এর আগে এ মামলায় স্বেচ্ছাসেবক লীগ নেতা তাজু ভূঁইয়াসহ পাঁচজনকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ।

লক্ষ্মীপুর  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড বাংলাদেশ

লক্ষ্মীপুরে ইউপি নির্বাচনে চেয়ারম্যান হলেন নতুন তিন মুখ


Thumbnail

প্রায় ১৩ বছর পর লক্ষ্মীপুর সদর উপজেলার পাঁচটি ইউনিয়ন পরিষদে নির্বাচনে তিনটিতে চেয়ারম্যান পদে নতুন জনপ্রতিনিধি নির্বাচিত হয়েছেন। আর দক্ষিণ হামছাদী ও তেওয়ারীগঞ্জ এ দুইটি ইউনিয়নে এ পদে পুরাতনেই আস্থা রেখেছেন ভোটাররা। তবে পাঁচটি ইউনিয়নে নির্বাচিত জনপ্রতিনিধিদেরকে পেয়ে উল্লাস প্রকাশ করছে পুরো নেট দুনিয়া। 

এর আগে রোববার (২৮ এপ্রিল) সকাল থেকে বিকেল ৪টা পর্যন্ত সদর উপজেলার দক্ষিণ হামছাদী, দালাল বাজার, বাঙ্গাখাঁ, লাহারকান্দি ও তেওয়ারীগঞ্জ ইউনিয়নে ভোট গ্রহণ শেষে ফলাফল ঘোষণা করা হয়। 

এতে চেয়ারম্যান হিসেবে দক্ষিণ হামছাদী ইউনিয়নের আওয়ামীলীগ সভাপতি মীর শাহ আলম (ঘোড়া) প্রতীকে ছয় হাজার ২৪৪, দালাল বাজার ইউনিয়নে এডভোকেট নজরুল ইসলাম (চশমা) ছয় হাজার ৩৫৫ ভোট, বাঙ্গাখাঁ ইউনিয়নে জেলা কৃষকলীগের সদস্য সচিব মিজানুর রহমান ভূঁইয়া (চশমা) প্রতীকে  ছয় হাজার ৪০১ ভোট, লাহারকান্দি ইউনিয়নে জেলা ছাত্রলীগের সাবেক সহ-সভাপতি আশরাফুল আলম (টেলিফোন) প্রতীকে পাঁচ হাজার ৫৮৩ ভোট ও তেওয়ারীগঞ্জ ইউনিয়নে জেলা কৃষক লীগের সাবেক সভাপতি ওমর ফারুক ইবনে হুছাইন ভুলু (আনারস) প্রতীকে সাত হাজার ৫৪২ ভোট পেয়ে চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছেন। 

এসব ইউনিয়নে সাধারণ সদস্য ও সংরক্ষিত নারী সদস্য হিসেবে নতুন মুখ রয়েছেন অনেকেই, আবার অনেকে আস্থা রেখেছেন পুরোনোদের প্রতিই। তবে শান্তিপূর্ণ পরিবেমে ভোট দিতে পারায় সন্তোষ প্রকাশ করেছেন অধিকাংশ ভোটাররা। নতুন ও পুরোনোদের শুভেচ্ছা জানান ভোটাররা।

লক্ষ্মীপুর  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড বাংলাদেশ

এবার ঝিনাইদহ উপনির্বাচনে প্রার্থী হচ্ছেন হিরো আলম

প্রকাশ: ০৮:৪৬ পিএম, ২৯ এপ্রিল, ২০২৪


Thumbnail

আলোচিত-সমালোচিত ইউটিউবার আশরাফুল হোসেন আলম ওরফে হিরো আলম এবার ঝিনাইদহ-১ আসনের উপনির্বাচনে প্রার্থী হতে যাচ্ছেন।

সোমবার (২৯ এপ্রিল) নিজেই বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

নির্বাচনে প্রার্থী হওয়া প্রসঙ্গে হিরো আলম বলেন, আমি সৎ এবং সাহসী। সবাই চায় আমি যেন সংসদ সদস্য হয়ে কথা বলি, সবার পাশে থাকি। তাই ঝিনাইদহ-১ আসনের উপনির্বাচনে অংশগ্রহণ করব। সেভাবে প্রস্তুতি চলছে আমার।

হিরো আলাম আরও বলেন, আমার এক বন্ধু কুমিল্লার একটি উপজেলা নির্বাচনে অংশ নিয়েছেন। আমি সেখানে প্রচারণা চালাতে যাচ্ছি। ঝিনাইদহ-১ আসনের লোকজনের সঙ্গে কথা বলেছি, তখন তারা বলেছেন সবাই আমাকে চেনেন। আমি তাদের কাছে প্রিয় এবং পরিচিত মুখ। তারাও চায় আমি এই নির্বাচনে অংশগ্রহণ করি। সেখানকার জনসাধারণ আরও বলেন- নির্বাচনে তারা সাহায্য-সহযোগিতা করবেন। আমার প্রতি তাদের ভালোবাসা দেখে সেখানে উপনির্বাচনে অংশ নিতে রাজি হয়েছি। আমিও আশ্বাস দিয়েছি তাদের পাশে সবসময় থাকব।

আগামী ৫ জুন অনুষ্ঠিত হবে ঝিনাইদহ-১ আসনের উপনির্বাচন। ব্যালট পেপারে হবে এ নির্বাচন। গত মঙ্গলবার (২৩ এপ্রিল) নির্বাচন কমিশন এই আসনের উপনির্বাচনের তফসিল ঘোষণা করে।

ঝিনাইদহ উপনির্বাচন   হিরো আলম  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড বাংলাদেশ

দলীয় সিদ্ধান্ত লঙ্ঘন করে উপজেলা নির্বাচনে মন্ত্রীর ছোট ভাই

প্রকাশ: ০৮:৩৮ পিএম, ২৯ এপ্রিল, ২০২৪


Thumbnail

আওয়ামী লীগের দলীয় সিদ্ধান্ত লঙ্ঘন করে নরসিংদীর মনোহরদী উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান প্রার্থী হয়েছেন শিল্পমন্ত্রী নূরুল মজিদ মাহমুদ হুমায়ূনের ছোট ভাই নজরুল মজিদ মাহমুদ স্বপন। 

নজরুল মজিদ মাহমুদ স্বপন জেলা আওয়ামী লীগের যুগ্মসাধারণ সম্পাদক ও মনোহরদী উপজেলা আওয়ামী লীগের কার্যকরী সদস্য। তিনি শিল্পমন্ত্রীর মেজভাই।

দলীয় সিদ্ধান্ত উপেক্ষা করে নির্বাচনের মাঠে মন্ত্রীর ভাইয়ের থেকে যাওয়ার বিষয়টি সুষ্ঠু নির্বাচনের ক্ষেত্রে বড় বাধা হিসেবে দেখছেন প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীরা। 

নজরুল মজিদ মাহমুদ স্বপন ছাড়াও মনোহরদী উপজেলা পরিষদের এ নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে প্রার্থী হয়েছেন আরও চারজন। তারা হলেন- উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মো. ফজলুল হক, সাধারণ সম্পাদক প্রিয়াশীষ কুমার রায়, সাবেক সাধারণ সম্পাদক হাবিবুর রহমান রঙ্গু ও রাজধানী ঢাকায় আইন পেশায় যুক্ত মো. মাসুদুর রহমান।

খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, মনোহরদী উপজেলায় টানা পাঁচবার উপজেলা চেয়ারম্যান ছিলেন সাইফুল ইসলাম খান। গত উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে তার নাম বাদ দিয়ে শিল্পমন্ত্রীর ভাই নজরুল মজিদ মাহমুদের নাম একক প্রার্থী হিসেবে কেন্দ্রে পাঠিয়েছিল উপজেলা আওয়ামী লীগ। কিন্তু কেন্দ্র থেকে তাকে না দিয়ে সাইফুল ইসলাম খানকেই দলীয় মনোনয়ন দেওয়া হয়। সম্প্রতি অনুষ্ঠিত জাতীয় সংসদ নির্বাচনে উপজেলা চেয়ারম্যানের পদ থেকে পদত্যাগ করে শিল্পমন্ত্রীর সঙ্গে ভোটের মাঠে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন সাইফুল ইসলাম খান। সাত হাজার ভোটের ব্যবধানে পরাজিত হন তিনি। এবার আর উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে প্রার্থী হননি তিনি।

চেয়ারম্যান পদে প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীরা বলছেন, মন্ত্রী-এমপির স্বজনদের নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়ানোর দলীয় সিদ্ধান্ত হওয়ার পর আশায় বুক বেঁধেছিলেন অন্য প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীরা। কিন্তু শিল্পমন্ত্রীর ভাই নজরুল মজিদ মাহমুদ এখনো সরে না দাঁড়ানোয় স্থানীয় আওয়ামী লীগের সব নেতাকর্মীর মধ্যে মিশ্র প্রতিক্রিয়া দেখা যাচ্ছে। দলীয় সিদ্ধান্ত বাস্তবায়ন না করায় দ্বিধা-বিভক্ত হয়ে পড়ছেন সবাই। শিল্পমন্ত্রী নীরব থাকা সত্ত্বেও তার ভাই নির্বাচনে প্রভাব বিস্তার করছেন। মন্ত্রীর পরিবারেই যদি উপজেলা চেয়ারম্যানের পদও চলে যায়, তাহলে আর অন্যদের রাজনীতি করে লাভ কী? শেষ পর্যন্ত নজরুল মজিদ মাহমুদ যদি ভোটের মাঠে থেকেই যান, তবে জোর করেই ভোট নিয়ে নেবেন তিনি, এমন ভীতি কাজ করছে ভোটারদের মধ্যে।

উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মো. ফজলুল হক জানান, শিল্পমন্ত্রীর সঙ্গে পরামর্শ করেই উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে প্রার্থী হয়েছি। শিল্পমন্ত্রীর ছোটভাই নজরুল মজিদ মাহমুদ দলীয় সিদ্ধান্ত উপেক্ষা করে এখনো ভোটের মাঠে আছেন। আশা করছি, সুষ্ঠু নির্বাচনের স্বার্থে কেন্দ্রের সিদ্ধান্ত মেনে তিনি দ্রুতই সরে দাঁড়াবেন।

এ বিষয়ে শিল্পমন্ত্রীর ভাই নজরুল মজিদ মাহমুদ স্বপন সাংবাদিকদের বলেন, নির্বাচন করব বলেই মনোনয়নপত্র সংগ্রহ ও জমা দিয়েছি। মন্ত্রীর ভাই হিসেবে নয়, নরসিংদী জেলা আওয়ামী লীগের যুগ্মসাধারণ সম্পাদক হিসেবে রাজনীতি করে আসছি। আমি আমার অবস্থান থেকেই উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে দাঁড়িয়েছি। তাছাড়া নির্বাচন না করার ব্যাপারে দলীয় কোনো লিখিত নির্দেশনা পাইনি। সে কারণে আমার নির্বাচন করতে কোনো সমস্যা নেই বলে দাবি করেন তিনি।


উপজেলা নির্বাচন   আওয়ামী লীগ   শিল্পমন্ত্রী  


মন্তব্য করুন


বিজ্ঞাপন