ইনসাইড বাংলাদেশ

পরিবহন সঙ্কটে ভুগছে উত্তরের মানুষ

প্রকাশ: ১২:০২ পিএম, ২৯ অক্টোবর, ২০২২


Thumbnail পরিবহন সঙ্কটে ভুগছে উত্তরের মানুষ

রংপুরে ডাকা পরিবহন ধর্মঘটের কারণে অচল হয়ে পড়েছে সড়ক যোগাযোগব্যবস্থা।  হঠাৎ বাস চলাচল বন্ধ হওয়ায় ভোগান্তিতে পড়েছেন জনসাধারণ। বেশি ভাড়া দিয়ে অটোরিকশা বা রিকশাভ্যানে করে বগুড়ায় যাবেন, এমন আর্থিক সংগতি অনেকের নেই।

রংপুরে বিএনপির গণসমাবেশের আগে শুক্রবার (২৮ অক্টোবর) থেকে চলা ৪৮ ঘণ্টার ধর্মঘটের প্রভাব পড়েছে গাইবান্ধা, কুড়িগ্রামসহ কয়েকটি জেলার যাত্রীদের ওপর। বাস না পেয়ে অনেকেই অতিরিক্ত ভাড়া দিয়ে অটোরিকশা, ভ্যানসহ ছোট গাড়িতে করে গন্তব্যে যায়।

এদিকে রাজশাহী থেকে রংপুরগামী সব ধরনের বাস চলাচল শুক্রবার ও শনিবার দুই দিন বন্ধ রাখার ঘোষণা দিয়েছেন রাজশাহীর পরিবহন নেতারা।

গাইবান্ধা জেলা বাস মালিক সমিতি ও শ্রমিক ইউনিয়ন সূত্র জানায়, সড়ক-মহাসড়কে অবৈধ যান চলাচল বন্ধের দাবিতে ডাকা ধর্মঘটে গাইবান্ধা থেকে রংপুর ও রাজশাহী বিভাগের রুটগুলোতে সব ধরনের পরিবহন চলাচল বন্ধ রয়েছে। তবে ঢাকা-চট্টগ্রামসহ দক্ষিণাঞ্চলের দূরপাল্লার বাস চলাচল স্বাভাবিক রয়েছে।

জেলা মোটর মালিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক মজিবুল আমিন নান্নু  জানান, কেউ গাড়ি বন্ধের জন্য তাদের চাপ দেয়নি। সড়ক-মহাসড়কে প্রশাসনিক হয়রানি, ভটভটি, নছিমন, করিমনসহ লাইসেন্সবিহীন অবৈধ যান চলাচল বন্ধের দাবিতে রংপুর জেলা মোটর মালিক ও শ্রমিকদের ডাকা ধর্মঘটের কারণে গাইবান্ধায়ও বাস চলাচল বন্ধ রয়েছে।

গাইবান্ধা জেলা বাস, মিনিবাস, কোচ ও মাইক্রোবাস শ্রমিক ইউনিয়নের সভাপতি মো. আশরাফুল আলম বাদশা বলেন, শুক্রবার সকাল ৬টা থেকে শনিবার সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত রংপুর ও রাজশাহী বিভাগের সব রুট দিয়ে গাইবান্ধায় কোনো পরিবহন ঢুকবে না, বেরও হবে না। রংপুর ও রাজশাহী বিভাগের মালিক ও শ্রমিক ফেডারেশনের নেতাদের নির্দেশে বিএনপির সমাবেশ ঘিরে গাড়ি ভাঙচুর ও নিরাপত্তার আশঙ্কায় রংপুর ও বগুড়া রুটে বাস চলাচল বন্ধ রয়েছে।

রংপুর মোটর মালিক সমিতির ডাকা পরিবহন ধর্মঘটে কুড়িগ্রাম-রংপুর সড়কে শুক্রবার গণপরিবহন চলাচল বন্ধ ছিল। এতে যাত্রীদের চরম ভোগান্তিতে পড়তে হয়। সকাল ৬টা থেকে জেলা শহরের কেন্দ্রীয় বাস টার্মিনাল থেকে কোনো বাস চলাচল করতে দেখা যায়নি। টার্মিনালে বাস না পেয়ে অনেক যাত্রী ব্যাটারিচালিত অটোরিকশায় চড়ে গন্তব্যে যাত্রা করেন। তবে সকাল থেকে দূরপাল্লার বাসও কুড়িগ্রাম হয়ে ঢাকা যেতে পারেনি। আন্তঃজেলা বাস চলাচল বন্ধ থাকলেও পণ্যবাহী যান চলাচল স্বাভাবিক ছিল।


সকালে কুড়িগ্রাম কেন্দ্রীয় বাস টার্মিনালে গিয়ে দেখা যায়, জেলার বিভিন্ন এলাকার যাত্রীরা রংপুরসহ জেলার বাইরে যাওয়ার উদ্দেশ্যে এসে বাস না পেয়ে ফিরে যাচ্ছে। অনেকেই ভেঙে ভেঙে অটোরিকশায় অতিরিক্ত ভাড়া দিয়ে যাচ্ছিল।

কুড়িগ্রাম জেলা মোটর মালিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক মো. লুত্ফর রহমান বকসি বলেন, আমাদের পক্ষ থেকে ধর্মঘটের সমর্থনে কোনো নির্দেশনা নেই। তবে রংপুরের ডাকা ধর্মঘটে আমাদের জেলার মোটর মালিকরা গাড়ি চালাবেন কি না, সে সিদ্ধান্ত মালিকদের।  

গত বৃহস্পতিবার রাত সাড়ে ১০টার দিকে রাজশাহী থেকে রংপুরগামী সর্বশেষ বাসটি ছেড়ে গেছে। শুক্র ও শনিবার আর কোনো বাস ছাড়বে না বলে জানিয়েছেন রাজশাহীর পরিবহন নেতারা। বিএনপি নেতাকর্মীদের দাবি, শনিবার রংপুরে বিএনপির সমাবেশ ঘিরেই পরিবহন বন্ধ করা হয়েছে।

তবে রাজশাহী সড়ক পরিবহন গ্রুপের ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক মতিউল হক জানান, বৃহস্পতিবার রাতে রাজশাহী থেকে রংপুরগামী সব বাস চলাচল বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে। মহাসড়কে অবৈধ যান চলাচল বন্ধসহ বিভিন্ন দাবিতে তাদের এই ধর্মঘট।

রংপুরে ধর্মঘটের কারণে শুক্রবার সকাল থেকে নীলফামারীর অভ্যন্তরীণ রুটে সীমিত আকারে বাস চলাচল করতে দেখা গেলেও নীলফামারী জেলা থেকে দূরপাল্লার কোনো বাস ছাড়েনি। তবে কার, মাইক্রোবাস, ট্রাকসহ অন্যান্য পরিবহন চলাচল স্বাভাবিক ছিল।

নীলফামারী-ঢাকা চলাচলকারী নাবিল পরিবহনের প্রতিনিধি আবু আসলাম বলেন, সকালে আমাদের কোনো বাস ছেড়ে যায়নি। তবে ঢাকা থেকে বাসগুলো পার্বতীপুর হয়ে আসছে।  

জেলা বাস মালিক গ্রুপের সভাপতি মো. শাহজাহান আলী চৌধুরী বলেন আমরা নীলফামারী থেকে কোনো ধর্মঘটের ডাক দিইনি। শুক্রবার যাত্রীর চাপ কম থাকে, তাই আমাদের অভ্যন্তরীণ রুটে বাস কম চলেছে।  

ঠাকুরগাঁও জেলা মোটর পরিবহন মালিক সমিতির সভাপতি হাবিবুল ইসলাম বাবলু জানান, ঠাকুরগাঁওয়ে পরিবহন ধর্মঘট ডাকা হয়নি। জেলার আঞ্চলিক সড়ক ও বৃহত্তর দিনাজপুরে বাস চলাচল করছে। তবে রংপুরে ধর্মঘট চলায় রংপুরগামী ঠাকুরগাঁওয়ের বাসগুলো সৈয়দপুর পর্যন্ত চলাচল করছে।


রংপুর   পরিবহন ধর্মঘট   ভোগান্তি   যানবাহন   সমাবেশ   বিএনপি  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড বাংলাদেশ

বন্ধ বিমানবন্দর চালুর পরিকল্পনা আপাতত নেই: বিমান ও পর্যটন মন্ত্রী

প্রকাশ: ০৯:৪৩ পিএম, ০৫ মে, ২০২৪


Thumbnail

বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটনমন্ত্রী মুহাম্মদ ফারুক খান জানিয়েছেন, বন্ধ থাকা বিমানবন্দরগুলো চালুর পরিকল্পনা আপাতত সরকারের নেই।

রোববার (৫ মে) বিকালে স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরীর সভাপতিত্বে জাতীয় সংসদের অধিবেশনে আওয়ামী লীগের সদস্য আলী আজমের এক লিখিত প্রশ্নের উত্তরে তিনি এ কথা জানান।
 
ফারুক খান বলেন, বর্তমানে দেশে তিনটি আন্তর্জাতিক, সাতটি অভ্যন্তরীণ ও পাঁচটি স্টল বিমানবন্দর রয়েছে। এর মধ্যে তিনটি আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর এবং পাঁচটি অভ্যন্তরীণ বিমানবন্দর চালু রয়েছে। এসব বিমানবন্দর দিয়ে আন্তর্জাতিক এবং অভ্যন্তরীণ রুটে ফ্লাইট পরিচালিত হচ্ছে।

মন্ত্রী বলেন, বন্ধ থাকা বিমানবন্দরগুলো চালু করার পরিকল্পনা সরকার তথা বাংলাদেশ বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষের আপাতত নেই। তবে বর্তমান বৈশ্বিক অর্থনৈতিক অবস্থার উন্নয়ন, যাত্রী চাহিদা এবং এয়ারলাইনসগুলোর আগ্রহের পরিপ্রেক্ষিতে সরকারের সিদ্ধান্ত সাপেক্ষে বন্ধ বিমানবন্দরগুলো চালুর উদ্যোগ নেওয়া যেতে পারে।

বিমানবন্দর   বিমান ও পর্যটন মন্ত্রী   জাতীয় সংসদ  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড বাংলাদেশ

গ্রামে ৮ থেকে ১২ ঘণ্টা লোডশেডিং, বিদ্যুৎ গেল কোথায়: সংসদে চুন্নু

প্রকাশ: ০৯:৩৪ পিএম, ০৫ মে, ২০২৪


Thumbnail

লোডশেডিং নিয়ে সংসদে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন বিরোধী দলের চিফ হুইপ মুজিবুল হক চুন্নু। তিনি চ্যালেঞ্জ করে বলেন, গ্রামে ২৪ ঘণ্টার মধ্যে কোথাও ১২ ঘণ্টা, কোথাও ৮ ঘণ্টা বিদ্যুৎ থাকে। সরকার বলেছে ২৮ হাজার বিদ্যুৎ উৎপাদনের ক্যাপাসিটি রয়েছে। তাহলে এই বিদ্যুৎ গেল কোথায়?

রোববার (৫ এপ্রিল) বিকেলে জাতীয় সংসদ অধিবেশনে তিনি এ প্রশ্ন করেন। এ সময় স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী অধিবেশনে সভাপতিত্ব করেন।

মুজিবুল হক চুন্নু বলেন, এই মুহূর্তে সারাদেশের মানুষ অনেক সমস্যায় আছে। তার মধ্যে দুটি সমস্যায় মানুষ খুব আক্রান্ত। একটি হলো বিদ্যুৎ। এই মৌসুমে সারাদেশে গ্রামে ২৪ ঘণ্টার মধ্যে কোথাও ১২ ঘণ্টা, কোথাও ৮ ঘণ্টা বিদ্যুৎ থাকে। আর সরকার বলেছে ২৮ হাজার বিদ্যুৎ উৎপাদনের ক্যাপাসিটির কথা, তাহলে এই বিদ্যুৎ গেল কোথায়? বিদ্যুৎ প্রতিমন্ত্রীকে আমার এলাকার মানুষ দাওয়াত দিয়েছে, লোডশেডিং হয় কিনা দেখার জন্য।

তিনি আরও বলেন, যে সব বিদ্যুৎ উৎপাদন কেন্দ্র ভাড়ায়, তাদের সক্ষমতার ৪১ শতাংশ সক্ষমতা থাকার পরেও বসে আছে এবং ২২-২৩ আর্থিক বছরে বসে থেকে ভাড়া বাবদ ২৬ হাজার কোটি টাকা দেওয়া হয়েছে। আগের পার্লামেন্টে আমি বলেছিলাম, আমার এলাকায় প্রায় বিদ্যুৎ চলে যায়। বিদ্যুৎ প্রতিমন্ত্রী আমাকে চ্যালেঞ্জ করেছিলেন, আমি আজকে চ্যালেঞ্জ চাই না। আমি চাই সশরীরে উনি আমার এলাকায় একটু যাবেন, যে কয় ঘণ্টা বিদ্যুৎ থাকে।

চুন্নু বলেন, দায়মুক্তি দিয়ে যেসব চুক্তি আমরা করেছি, সেগুলো দয়া করে প্রত্যাহার করুন। বিদ্যুৎ উৎপাদন না করে বসে বসে জরিমানা দেওয়া হবে, এ চুক্তি বাতিল করুন। সেসব কোম্পানি বিদ্যুৎ দিলে বিল পরিশোধ করবেন। বসিয়ে রেখে এভাবে এক বছরে ২৬ হাজার কোটি টাকা দেবেন, তারপর আবার লোডশেডিংও থাকবে! ঢাকায় থেকে অসহনীয় অবস্থা আপনারা বুঝবেন না।

তিনি বলেন, বিদ্যুতের অপচয় বন্ধ করুন। বিদ্যুতের দাম বাড়াচ্ছেন। মন্ত্রী একটি সুন্দর কথা বলেন, সমন্বয়। সমন্বয়ের মানে মূল্যবৃদ্ধি। এ সমন্বয় আগামী তিন বছর বারবার করবেন। ভর্তুকি তুলে নিলে বিদ্যুতের দাম দ্বিগুণ হয়ে যাবে দুই-তিন বছর পর। মানুষ কিনতে পারবে কি না, আমি জানি না। আমি বিদ্যুৎ প্রতিমন্ত্রীকে বলব, শুধুমাত্র দাম না বাড়িয়ে এমন কিছু পদক্ষেপ নিন, যাতে জনগণের ওপর চাপ না পড়ে, একটি সহনীয় অবস্থায় আপনারা সরকারেও থাকতে পারেন, আর বিদ্যুৎও যাতে পাওয়া যায়।

লোডশেডিং   মুজিবুল হক চুন্নু  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড বাংলাদেশ

লক্ষ্মীপুরে রাতের অন্ধকারে হামলা চালিয়ে সংখ্যালঘুর জমি দখল, ঘর নির্মাণ


Thumbnail

লক্ষ্মীপুরের কমলনগরে রাতের অন্ধকারে হামলা চালিয়ে বিরোধপূর্ণ জমিতে একটি টিনসেট ঘর স্থাপন করেছে তাজল ইসলাম নামে এক ভূমি পরিমাপক। 

রোববার (৫ মে) ভোর রাতে উপজেলার হাজিরহাট ইউনিয়নের চরজাঙ্গালিয়া গ্রামের করুনানগর বাজার এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় জাতীয় জরুরী সেবা ৯৯৯ নম্বরে কল দিলেও যথা সময়ে পুলিশ আসেনি বলে অভিযোগ ভূক্তভোগীদের। 

বিকেলে ভূক্তভোগী টিংকু রানী দাস, বিপন রানী দাস, শোভন দাস ও অনিক চন্দ্র দাসসহ কয়েকজন এ অভিযোগ করেন। তারা জানায়, লোক মারফত তারা জানতে পারেন তাজল ইসলাম বিরোধীয় জমিতে ঘর তুলবেন। এতে শনিবার (৪ মে) দিবাগত সারারাত তারা পাহারারত ছিলেন। কেউই ঘুমাননি। রোববার ফজরের আযান দিলে তারা ঘুমাতে যায়। ঠিক সেই মুহুর্তে তাজল ইসলাম প্রায় শতাধিক নারী-পুরুষকে নিয়ে এসে বিরোধীয় জমিতে থাকা টিনের বেড়া ভেঙে ফেলে। ঘটনাটি আঁচ করতে পেরে সবাই এসে বাধা দিলে তাজল ইসলামসহ তার লোকজন লাঠিসোটা নিয়ে তাদের (ভূক্তভোগী) ওপর হামলা চালায়। এ ঘটনা থেকে রক্ষা পেতে ভূক্তভোগীরা জাতীয় জরুরী সেবা ৯৯৯ নম্বরে কল দেয়। সেখান থেকে বিষয়টি কমলনগর থানাকে জানানো হয়। কিন্তু পুলিশ ঘটনাস্থল পৌঁছতে ২ ঘণ্টা সময় লাগিয়েছে। এর মধ্যে অন্যত্র তৈরিকৃত একটি নতুন ঘর এনে তাজল ইসলামরা বিরোধীয় জমিতে স্থাপন করে। এসময় টিংকু, বিপন, শোভন ও অনিকসহ কয়েকজনকে মারধর করা হয়েছে বলেও অভিযোগ আনা হয়। 

ভূক্তভোগীরা আরও জানায়, পুলিশ এসে ঘর দেখে তারা থানায় লিখিত অভিযোগ দিতে বলে। যদি পুলিশ সময়মতো আসতো তাহলে তাজল ইসলামরা ঘর স্থাপন করার সুযোগ পেতো না। আদালতে মামলা চলমান থাকলেও হামলা চালিয়ে ঘর স্থাপনের ঘটনায় তাজল ইসলামের বিচার চেয়েছেন ভূক্তভোগীরা।

হিন্দু বৌদ্ধ খ্রিস্টান ঐক্য পরিষদের লক্ষ্মীপুর জেলা শাখার সাধারণ সম্পাদক মিলন মন্ডল বলেন, ডালিম কুমার দাস নামে এক ব্যক্তি তাজল ইসলামের কাছে জমি বিক্রি করে। ডালিম ও তাজলসহ কয়েকজনের বিরুদ্ধে প্রাক্তন স্কুল শিক্ষক রাম কৃষ্ণ দাসসহ ভূক্তভোগীরা অগ্রক্রয় অধিকার আইনে রামগতি সহকারী জজ আদালতে মামলা করেন। মামলাটি এখনো চলমান। এরমধ্যে তাজল ইসলাম হামলা চালিয়ে ঘর স্থাপন করে আইন অমান্য করেছে। আমরা তার বিচার দাবি করছি। 

তবে অভিযুক্ত তাজল ইসলামের সঙ্গে কথা বলার চেষ্টা করেও সম্ভব হয়নি। তিনি রামগতি উপজেলার চরবাদাম ইউনিয়নের চরসীতা গ্রামের বাসিন্দা। 

কমলনগর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) তহিদুল ইসলাম বলেন, ঘটনাটি শুনেছি। পুলিশও পাঠানো হয়েছে। হামলার ঘটনায় কেউ কোন অভিযোগ দেয়নি। কেউ আটকও নেই। জায়গা জমি নিয়ে সমস্যা রয়েছে। ক্রেতা তার জমি দখল করতে এসেছে। এটি উভয়পক্ষ বসে মীমাংসা করতে পারতো।

লক্ষ্মীপুর   সংখ্যালঘু   জমি দখল  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড বাংলাদেশ

তাপপ্রবাহে কী করতে হবে, জানিয়ে জাতীয় নির্দেশিকা প্রকাশ

প্রকাশ: ০৮:২১ পিএম, ০৫ মে, ২০২৪


Thumbnail

অতিরিক্ত গরমে মাথা ঘোরানো, দুশ্চিন্তা, স্ট্রোক, মুখের ভেতর শুকিয়ে যাওয়া, অ্যাজমা, মাংসপেশিতে খিঁচুনি, চামড়ায় ফুসকুড়ি, কিডনি অকার্যকর হওয়ার মতো অসুস্থতা দেখা দিতে পারে। এ ধরনের গরমে বয়স্ক, শিশু, অন্তঃসত্ত্বা নারী, শ্রমজীবী মানুষেরা সবচেয়ে বেশি ঝুঁকির মধ্যে রয়েছেন। তাই তাপপ্রবাহ থেকে সুরক্ষার জন্য কী কী করতে হবে, তা জানিয়ে প্রথমবারের মতো জাতীয় গাইডলাইন বা নির্দেশিকা প্রকাশ করেছে সরকার।

রোববার (৫ মে) দুপুরে হোটেল ইন্টারকন্টিনেন্টালে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর আয়োজিত তাপমাত্রাজনিত স্বাস্থ্যঝুঁকি বিষয়ক জাতীয় গাইডলাইনের আনুষ্ঠানিক মোড়ক উন্মোচন অনুষ্ঠান করা হয়।

অনুষ্ঠানে জাতীয় গাইডলাইনের মোড়ক উন্মোচন করেন স্বাস্থ্য ও পরিবারকল্যাণমন্ত্রী সামন্ত লাল সেন। প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি বলেন, তীব্র গরমে সবচেয়ে বেশি স্বাস্থ্যঝুঁকিতে থাকে শিশু ও বয়োজ্যেষ্ঠরা। যারা একটু শারীরিকভাবে কম সামর্থ্যবান, যাদের ডায়াবেটিস, হার্ট-ডিজিস বা বিভিন্ন অসুখ রয়েছে, তারা বেশি ঝুঁকিতে থাকেন। এই বইয়ে নির্দেশিত গাইডলাইন লিফলেট আকারে স্কুল-কলেজসহ সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ছড়িয়ে দিতে হবে। ইতোমধ্যে সব সরকারি হাসপাতালে এই গাইডলাইন প্রেরণ করা হয়েছে। সেই সঙ্গে চিকিৎসকদের প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করা হয়েছে।

নগর পরিকল্পনাবিদদের প্রতি আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেন, আমরা দেখি গ্রামের চেয়ে ঢাকা শহরে তাপমাত্রা অনেক বেশি। এর কারণ আমরা ভবন নির্মাণ করতে গিয়ে শহরের গাছপালা সব কেটে সাবাড় করেছি। জলবায়ু পরিবর্তনের ওপর হয়তো আমরা খুব প্রভাব ফেলতে পারি না। কিন্তু নগর পরিকল্পনার সময় যদি এসব বিষয় আমরা মাথায় রাখি, তাহলে অনেকাংশেই পরিত্রাণ সম্ভব।

স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. আবুল বাসার মোহাম্মদ খুরশীদ আলমের সভাপতিত্বে আয়োজিত ওই অনুষ্ঠানে অন্যদের মধ্যে অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন স্বাস্থ্যসেবা বিভাগের সচিব মো. জাহাঙ্গীর আলম, স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. মীরজাদি সাবরিনা ফ্লোরা, ইউনিসেফ বাংলাদেশের ডেপুটি রিপ্রেজেনটেটিভ এমা ব্রিগহাম প্রমুখ।

তাপপ্রবাহ   জাতীয় নির্দেশিকা  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড বাংলাদেশ

শুক্রবার ক্লাস নেওয়া নিয়ে ফেসবুক পোস্ট ভুলবশত: শিক্ষা মন্ত্রণালয়

প্রকাশ: ০৮:১৬ পিএম, ০৫ মে, ২০২৪


Thumbnail

প্রয়োজনে শুক্রবারও স্কুল খোলা রাখা হতে পারে বলে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে দেওয়া পোস্টটি ‘ভুলবশত’ করা হয়ছিল বলে জানিয়েছে শিক্ষা মন্ত্রণালয়। রোববার (৫ মে) বিকেলে মন্ত্রণালয়ের ভেরিফায়েড ফেসবুক পেইজে এক পোস্টে এ তথ্য জানানো হয়েছে।

এর আগে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে শিক্ষামন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরীর বরাতে বন্ধের কারণে শিখন ঘাটতি পূরণে প্রয়োজনে শুক্রবারও স্কুল খোলা রাখা হতে পারে বলে একটি পোস্ট দেওয়া হয়। এরপর থেকেই ওই পোস্ট নিয়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে চলছে আলোচনা–সমালোচনা।

ফেসবুকে দেওয়া নতুন পোস্টে শিক্ষা মন্ত্রণালয় বলেছে ‘শুক্রবার শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খোলার বিষয়ে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের ভেরিফায়েড পেজে মাননীয় শিক্ষামন্ত্রীর বরাতে দেওয়া তথ্য ভুলবশত পোস্ট করা হয়েছে। এ বিষয়ে কোনো সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়নি। তবে পরবর্তী সিদ্ধান্ত না দেওয়া পর্যন্ত শনিবারের পাঠদান কার্যক্রম অব্যাহত থাকবে।’

এর আগে প্রচণ্ড তাপপ্রবাহের কারণে প্রায় এক সপ্তাহ বন্ধ থাকার পর রোববার থেকে আবারও স্কুল কলেজগুলোতে পাঠদান শুরু হয়েছে। শিক্ষা মন্ত্রণালয় আগেই জানিয়েছে,  পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত শনিবারও ক্লাস চলবে।   

এদিকে, শুক্রবার শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খোলা রাখার বিষয়ে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের বিভিন্ন সময়ে বিভিন্ন সিদ্ধান্তের কারণে অভিভাবকরাও পড়েছে দোটানায়। কোন ঘোষণা ঠিক আর কোনটি ভুল এই নিয়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমেও চলছে তুলকালাম আলোচনা। 

শিক্ষা মন্ত্রণালয়   শিক্ষামন্ত্রী   মহিবুল হাসান চৌধুরী  


মন্তব্য করুন


বিজ্ঞাপন