নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০৮:০০ পিএম, ৩১ জানুয়ারী, ২০১৮
মঙ্গলবার বিকেলে অত্যন্ত গোয়নীয়তার সঙ্গে কূটনীতিকদের সঙ্গে বৈঠক করেন বিএনপি। বৈঠকে মূলত: বেগম খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে চলমান দুটি দুর্নীতি মামলা নিয়ে কথা হয়। বিএনপির পক্ষ থেকে বলা হয়, এই মামালা উদ্দেশ্যপূর্ণ, রাজনৈতিক হয়রানিমূলক। বেগম জিয়াকে দণ্ডিত করে নির্বাচন থেকে দূরে রাখাই এই মামলার উদ্দেশ্য।’
বিএনপির পক্ষ থেকে ব্যরিস্টার মওদুদ আহমেদ মামলার আদ্যোপান্ত বলা শুরু করলে, একজন কূটনীতিক তাঁকে থামিয়ে দিয়ে বলেন, ‘আর উই জুরি (আমরা কি জুরি?) আমাদের এসব বলার দরকার নেই।’ ব্যারিস্টার মওদুদ বলেন, ‘তোমাদের বলছি এজন্যই যে, এতে তোমরা বুঝবে কীভাবে হয়রানি করা হচ্ছে।’এ সময় এক দেশের কূটনীতিক জানতে চান, বেগম জিয়াকে কি গ্রেপ্তার করা হয়েছে? আসামিদের আত্মপক্ষ সমর্থনের পর্যাপ্ত সময় দেওয়া হয়নি কিংবা বিচারে কি যথেষ্ঠ তাড়াহুড়া করা হয়েছে? এসব প্রশ্নের জবাবে ব্যরিস্টার মওদুদ কোনো উত্তর দিতে পারেননি।
বিদেশী কূটনীতিকদের বলা হয়, বেগম জিয়াকে নির্বাচনের অযোগ্য করলে বিএনপি নির্বাচনে যাবে না।’ কূটনীতিকরা বলেন, ‘এটাই কি আপনাদের অবস্থান, তাহলে সহায়ক সরকারের দাবিটা বিএনপির আর নেই? জবাবে বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, ‘সহায়ক সরকারের দাবিও বহাল আছে।’ সহায়ক সরকারের রূপরেখা কী জানতে চান দুই দেশের কূটনীতিক। জবাবে বিএনপি নেতারা বলেন, রায়ের পরই আমরা সহায়ক সরকারের রূপরেখা দেব। কূটনীতিকরা জানতে চান রায়ের পর কেন?
ব্যরিস্টার মওদুদ বলেন,‘রায় নির্ধারণ করবে যে আমরা নির্বাচনে অংশ নিব কিনা?’ এসময় একজন কূটনীতিক বলেন, ‘আপনার কেনই ধরে নিচ্ছেন, রায় আপনাদের নেত্রীর বিরুদ্ধে যাবে?’ তিনি বলেন, ‘রায়ে তো আপনাদের নেতা নির্দোষও হতে পারেন। তখন আপনারা কী বলবেন?‘ জবাবে বিএনপির নেতা বলেন, সেটা তো হবে অবিশ্বাস্য ভালো সংবাদ, আমরা বুঝবো আদালতে সরকার হস্তক্ষেপ করেনি।’ এসময় একটি প্রভাবশালী দেশের কূটনীতির বলেন, ‘ধরা যাক দুটি মামলার একটিতে বেগম জিয়া খালাস পেলেন, অন্যটিতে দোষী হলেন, তখন আপনারা কী করবেন?’ এসময় বিএনপি নেতারা লা জবাব। পরস্পর মুখ চাওয়া চাওয়ি করলেন।
কূটনীতিকরা বললেন, আমরা বাংলাদেশে অবাধ, নিরপেক্ষ এবং অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন চাই। কিন্তু বাংলাদেশের আদালত কী রায় দেবে না দেবে, সেটা একান্তই তাঁদের নিজস্ব বিষয়। আমরা একটি স্বাধীন দেশের অভ্যন্তরীণ ব্যাপারে হস্তক্ষেপ করতে চাই না।’
Read in English- http://bit.ly/2DYNjSf
বাংলা ইনসাইডার/জেডএ
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
শিক্ষা মন্ত্রণালয় স্কুল-মাদ্রাসা হাইকোর্ট
মন্তব্য করুন
নীলফামারীতে কমিউনিটি স্কোর বোর্ড বাস্তবায়ন এবং প্রজনন স্বাস্থ্যসেবা, জেন্ডার ভিত্তিক সহিংসতা ও বাল্য বিবাহ প্রতিরোধ বিষয়ক পরামর্শক সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। মঙ্গলবার (৩০ এপ্রিল) পরিবার পরিকল্পনা বিভাগের উপ-পরিচালক কার্যালয়ের সভাকক্ষে এই সভার আয়োজন করে ইয়েস বাংলাদেশ।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন জেলা পরিবার পরিকল্পনা বিভাগের উপ-পরিচালক মোজাম্মেল হক। এছাড়াও নীলফামারী প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক নুর আলম, নীলফামারী সরকারী বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষিকা ফাতেমা আখতার এবং মা ও শিশু কল্যাণ কেন্দ্রের পরিবার কল্যাণ পরিদর্শিকা ফারজানা সুলতানা বক্তব্য দেন এতে।
ইয়েস বাংলাদেশের জেলা ভলান্টিয়ার নাইমুর রহমানের সভাপতিত্বে সভায় ন্যাশনাল চিলড্রেনস টাস্কফোর্স (এনসিটিএফ) এর সাধারণ সম্পাদক রাইসা বিনতে মাসুদ নীলফামারীর মা ও শিশু কল্যাণ কেন্দ্র এবং নীলফামারী সরকারী বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ে কিশোর কিশোরী কেন্দ্রের সেবার মান উপস্থাপন করেন।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে পরিবার পরিকল্পনা বিভাগের উপ-পরিচালক মোজাম্মেল হক বলেন, মা ও শিশু কল্যাণ কেন্দ্রে কিশোর কিশোরীদের সেবার মানোন্নয়নে প্রয়োজনীয় উদ্যোগ নেয়া হবে।
সিটিজেন চার্টার স্থাপন আলাদা আলাদা টয়লেটের ব্যবস্থাসহ ছেলে ও মেয়েদের জন্য পৃথক পৃথক ভাবে সেবাদানের ব্যবস্থা করা হবে বলে প্রতিশ্রুতি দেন তিনি।
ইয়েস বাংলাদেশের জেলা ভলান্টিয়ার নাইমুর রহমান বলেন, ‘মূলত স্কুল পড়ুয়া ছেলে মেয়েরা শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ও সেবা কেন্দ্রে কি রকম সেবা পাচ্ছেন সেগুলো তুলে ধরা এবং চিহ্নিত সমস্যাগুলো সমাধানে কর্তৃপক্ষের সাথে পরামর্শ করে সমাধানের উদ্যোগ নেয়ার ক্ষেত্রে কাজ করে থাকে ইয়েস বাংলাদেশ।’
প্রজনন স্বাস্থ্যসেবা বাল্য বিবাহ প্রতিরোধ
মন্তব্য করুন
রাজবাড়ীতে ট্রাক ও কাভার্ডভ্যানের মুখোমুখি সংঘর্ষে মোঃ আব্দুর রহিম (৩৫) নামে এক কাভার্ডভ্যান চালক নিহত হয়েছে। এ ঘটনায় সারোয়ার হোসেন নামে আরও একজন আহত হয়।
মঙ্গলবার (৩০ এপ্রিল) ভোরে ঢাকা-খুলনা মহাসড়কে এ দুর্ঘটনা ঘটে।
নিহত চালক আব্দুর রহিম ঢাকার যাত্রাবাড়ী থানার দনিয়া ইউনিয়নের দোলাইরপাড় গ্রামের বাসিন্দা।
দুর্ঘটনায় আহত সারোয়ার হোসেন বলেন, ‘আমরা ঢাকা থেকে কোম্পানির কাভার্ডভ্যানে ফ্যান নিয়ে ভোর ৪টায় ফরিদপুরে যাই। সেখানে একটি দোকানে ফ্যান ডেলিভারি দিয়ে ঢাকায় ফিরছিলাম। পথে মজলিশপুর আখ সেন্টারের সামনে এলে বিপরীত দিক থেকে আসা একটি ট্রাক সামনে থাকা একটি পিকআপভ্যানকে ওভারটেক করতে গিয়ে আমাদের গাড়ির সামনে চলে আসে। এ সময় ট্রাকটির সঙ্গে আমাদের গাড়ির মুখোমুখি সংঘর্ষ হলে ঘটনাস্থলেই চালক আব্দুর রহিম মারা যান।’
আহলাদিপুর হাইওয়ে থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) জুয়েল শেখ জানান, ‘নিহত চালকের মরদেহ উদ্ধার করে থানায় আনা হয়েছে। দুর্ঘটনাকবলিত ট্রাক ও কাভার্ডভ্যানটি মহাসড়কের পাশে রয়েছে। তবে ট্রাকচালক ও হেলপার পালিয়ে গেছেন। এ ব্যাপারে পরবর্তী আইনি কার্যক্রম প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।
মন্তব্য করুন
কমিউনিটি ক্লিনিক স্বাস্থ্যমন্ত্রী প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী ডা. সামন্ত লাল সেন
মন্তব্য করুন