আওয়ামী লীগের সভানেত্রী ও প্রধানমন্ত্রী
শেখ হাসিনা পাঁচ বছর পর যশোরে আসছেন ২৪ নভেম্বর। এর আগে ২০১৭ সালের ৩১ ডিসেম্বর যশোর
ঈদগাহ ময়দানে জনসভায় ভাষণ দিয়েছিলেন শেখ হাসিনা।
এদিকে জনসভাকে মহাসমাবেশে রূপ দিতে
ব্যাপক প্রস্তুতি নিচ্ছে যশোর আওয়ামী লীগ। প্রস্তুতির অংশ হিসেবে ৭ নভেম্বর বিকেল ৩টায়
জেলা পরিষদ মিলনায়তনে সাবেক বৃহত্তর যশোর জেলা (যশোর, নড়াইল, ঝিনাইদহ ও মাগুরা) আওয়ামী
লীগের বিশেষ বর্ধিত সভা অনুষ্ঠিত হবে।
যশোর শহরের প্রধান প্রধান স্থানে প্রজেক্টরের
ব্যবস্থা থাকবে। জনসভায় খুলনা বিভাগের হাজারো নেতা যশোরে উপস্থিত হবেন। এছাড়া দলের
লাখ লাখ কর্মী সমর্থক ছাড়াও সাধারণ মানুষ অংশ নেবেন।
আওয়ামী লীগ সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়,
সর্বশেষ ২০১৭ সালের ৩১ ডিসেম্বর প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা যশোরে জনসভায় ভাষণ দেন। সরকারের
বিগত মেয়াদে সেটিই ছিল এ জেলার একমাত্র জনসভা। এরপর নির্বাচন এবং নির্বাচন পরবর্তী
সময়ে করোনা পরিস্থিতির কারণে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এ জেলায় আর কোনো জনসভা করতে
পারেননি। ওই সময় প্রথমে যশোর শামস-উল-হুদা স্টেডিয়ামে জনসভার স্থান নির্ধারণ করা হলেও
পরে তা স্থানান্তর করা হয় যশোর ঈদগাহ ময়দানে। এবার এখনো জনসভার স্থান নির্ধারণ হয়নি।
সংসদ সদস্য শাহীন চাকলাদার আরও বলেন,
প্রধানমন্ত্রীর সমাবেশ সফল করতে ৭ নভেম্বর বিকেল ৩টায় যশোরে আওয়ামী লীগের বিশেষ বর্ধিত
সভা অনুষ্ঠিত হবে। সভায় সভাপতিত্ব করবেন যশোর জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি শহিদুল ইসলাম
মিলন।
যশোর পৌর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক
এসএম মাহমুদ হাসান বিপু জাগো নিউজকে বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার আগমনকে ঘিরে ব্যাপক
প্রস্তুতি নেওয়া হচ্ছে। প্রতিটি পাড়ায় ও শহরের গুরুত্বপূর্ণ স্থানে ব্যানার-ফেস্টুন
আর দৃষ্টিকাড়া তোরণ নির্মাণের মাধ্যমে যশোর শহরকে উৎসবে পরিণত করা হবে। আওয়ামী লীগ
ছাড়াও সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীরা এখন থেকেই নিরলসভাবে কাজ শুরু করেছেন।
যশোর জনসভা আওয়ামী লীগ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
উপজেলা নির্বাচনের প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। ইতোমধ্যে প্রথম পর্যায়ের উপজেলা নির্বাচনের প্রস্তুতি চূড়ান্ত। ১৫০টি উপজেলায় এখন জনগণ ভোটের অপেক্ষায়। দ্বিতীয় পর্যায়ে ১৫৯টি উপজেলায় মনোনয়নপত্র প্রত্যাহারের দিন গতকাল শেষ হয়েছে। সেখানেও এখন নির্বাচনী প্রচারণার ডামাডোল শুরু হয়েছে। কিন্তু উপজেলা নির্বাচন অবাধ, সুষ্ঠু এবং নিরপেক্ষ হবে কি না, উপজেলা নির্বাচনে ভোটার উপস্থিতি বাড়বে কি না এবং উপজেলা নির্বাচন শান্তিপূর্ণ হবে কি না তা নিয়ে একদিকে যেমন জনগণের সংকট রয়েছে তেমনই নির্বাচন কমিশনও এই বিষয়টি নিয়ে চিন্তিত।
লক্ষ্মীপুর সদরের তেওয়ারীগঞ্জ ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচন ২৮ এপ্রিল অনুষ্ঠিত হয়েছে। নির্বাচনের ফলাফল ঘোষণার পরপরই হামলার শিকার হয় আইনশৃঙ্খলা বাহিনী, নেপথ্যে নির্বাচনে কারচুপি ও অনিয়মের অভিযোগ। এঘটনায় চেয়ারম্যান পদে প্রতিদ্বন্ধিতাকারী দুই প্রার্থীকে পুলিশ হেফাজতে নিয়ে ১১ জনের নাম উল্লেখসহ ৯১১ জনের বিরুদ্ধে দুইটি মামলাও দায়ের করেন। ফলে নির্বাচনের পর আনন্দের বদলে থমথমে অবস্থা বিরাজ করছে ওই ইউনিয়নে।