ইনসাইড বাংলাদেশ

বাংলাদেশের নির্বাচন নিয়ে জাতিসংঘের ম্যান্ডেট নেই: গোয়েন লুইস

প্রকাশ: ০৬:৫২ পিএম, ০৮ নভেম্বর, ২০২২


Thumbnail

বাংলাদেশে নিযুক্ত জাতিসংঘের আবাসিক সমন্বয়কারী গোয়েন লুইস বলেছেন, বাংলাদেশের আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচন নিয়ে জাতিসংঘের কোনো ম্যান্ডেট নেইভ। তবে বাংলাদেশ সরকার বা নিরাপত্তা পরিষদ চাইলে নির্বাচনে জাতিসংঘ সহযোগিতা দেবে বলেও জানিয়েছেন তিনি।

মঙ্গলবার (৮ নভেম্বর) সকালে জাতীয় প্রেসক্লাবের তফাজ্জল হোসেন মানিক মিয়া হলে ‘ডিক্যাব টক’ অনুষ্ঠানে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা বলেন।

তিনি বলেন, এটা (নির্বাচন) নিয়ে আমি কথা বলতে পারি না। কারণ এ বিষয়ে জাতিসংঘের কোনো ম্যান্ডেট (অনুশাসন বা আদেশ) নেই। এটি সম্পূর্ণ রাজনৈতিক দলগুলোর সিদ্ধান্তের বিষয়। বাংলাদেশ সরকারের বিষয়। সিকিউরিটি কাউন্সিলের কাছ থেকে আদেশ না পাওয়া পর্যন্ত এ বিষয়ে কোনো কথা বলার এখতিয়ার নেই।

গোয়েন লুইস বলেন, সম্প্রতি রাজনৈতিক ইস্যুকে কেন্দ্র করে কিছু মানুষের আঘাতপ্রাপ্ত হওয়ার ঘটনা ঘটেছে। এটি উদ্বেগের। এখানে যেন কোনো রাজনৈতিক সংঘর্ষ না ঘটে সেজন্য আমরা সবার প্রতি আহ্বান জানাই। যেকোনো সংকট উত্তরণে আলোচনা বা ডায়ালগের কোনো বিকল্প নেই। রাজনৈতিক বিষয়গুলো ডায়ালগের মাধ্যমে সমাধান করা যেতে পারে।

তিনি আরও বলেন, রোহিঙ্গাদের আশ্রয় দেওয়ার জন্য বাংলাদেশের প্রতি আমাদের কৃতজ্ঞতা। রোহিঙ্গাদের প্রতি আমরা সংহতি জানাই। রোহিঙ্গাদের নিরাপদ প্রত্যাবাসনে মিয়ানমারের সঙ্গে জাতিসংঘ কাজ করছে। আমরা রোহিঙ্গা সংকটের রাজনৈতিক সমাধান চাই। আমাদের উদ্যোগ অব্যাহত রেখেছি।

এক প্রশ্নের উত্তরে গোয়েন লুইস বলেন, ইউক্রেন সংকট নিয়ে চ্যালেঞ্জ রয়েছে। এ সংকট নিয়ে নিরাপত্তা পরিষদে সংলাপ হয়েছে। এটা একটি কঠিন ও জটিল বিষয়।

জাতিসংঘের আবাসিক দূত বলেন, জাতিসংঘ শান্তি মিশনে বাংলাদেশের ৬ হাজার ৮০০ শান্তিরক্ষী রয়েছে। সেখানে বাংলাদেশের ৫০০ নারী শান্তিরক্ষী রয়েছে। এটা খুব ইতিবাচক।

এক প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেন, রোহিঙ্গাদের জন্য ডোনারদের দেওয়া ফান্ড থেকে জাতিসংঘের স্থানীয় অফিস ব্যবস্থাপনার জন্য মাত্র ৬ থেকে ৭ শতাংশ ব্যয় করে। বাকি অর্থ রোহিঙ্গাদের জন্য ব্যয় করা হয়। এ ব্যয়ে স্বচ্ছতা রয়েছে।

এ সময় আরও বক্তব্য রাখেন ডিপ্লোম্যাটিক করেসপন্ডেন্টস অ্যাসোসিয়েশন বাংলাদেশ (ডিক্যাব) এর সভাপতি রেজাউল করিম লোটাস ও সাধারণ সম্পাদক এ কে এম মঈনউদ্দিন।


মন্তব্য করুন


ইনসাইড বাংলাদেশ

ঢাকায় পৌঁছেছেন ভারতের পররাষ্ট্র সচিব

প্রকাশ: ০৭:৫৮ পিএম, ০৮ মে, ২০২৪


Thumbnail

ঢাকায় পৌঁছেছেন ভারতের পররাষ্ট্র সচিব বিনয় মোহন কোয়াত্রা। বুধবার (৮ মে) সন্ধ্যায় এক বিশেষ ফ্লাইটে তিনি বিমানবন্দরে অবতরণ করেন বলে জানিয়েছে বাংলাদেশের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়।

জানা গেছে, সফরকালে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার আসন্ন দিল্লি সফরের বিষয়ে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির আমন্ত্রণপত্র হস্তান্তর করবেন তিনি। এর পাশাপাশি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গেও বৈঠক করবেন কোয়াত্রা।

এ ছাড়া বাংলাদেশের পররাষ্ট্র সচিব মাসুদ বিন মোমেনের সঙ্গে বৈঠক করবেন বলে বার্তায় আশা প্রকাশ করা হয়েছে।

এদিকে আজ দুপুরে এক সংবাদ সম্মেলনে কোয়াত্রার সঙ্গে আলোচনায় সীমান্ত হত্যা গুরুত্ব পাবে বলে জানিয়েছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ।

কোয়াত্রার সফরে আলোচনার বিষয়ে জানতে চাইলে হাছান মাহমুদ বলেন, ভারত আমাদের নিকটতম প্রতিবেশী। তাদের সঙ্গে নানা বিষয় আছে। স্বাভাবিকভাবে নানা বিষয় আলোচনা হবে। তিনি আসার পর আমরা বিষয়গুলো নিয়ে আলোচনা করব।

গত ২০ এপ্রিল ঢাকায় আসার কথা ছিল ভারতের পররাষ্ট্র-সচিব বিনয় মোহন কোয়াত্রার। তবে অনিবার্য কারণে তার পূর্বনির্ধারিত সেই সফর স্থগিত করা হয়।

ভারতের পররাষ্ট্র সচিব   পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়   বিনয় মোহন কোয়াত্রা  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড বাংলাদেশ

দেশে ফিরেই গ্রেপ্তার ‘কাচ্চি ভাই’ রেস্টুরেন্টের মালিক

প্রকাশ: ০৭:১২ পিএম, ০৮ মে, ২০২৪


Thumbnail

রাজধানীর বেইলি রোডে গ্রিন কোজি কটেজ নামের ভবনে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় ‘কাচ্চি ভাই’ রেস্টুরেন্টের মালিক সোহেল সিরাজকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। এ নিয়ে আগুনের ঘটনায় করা মামলায় সাতজনকে গ্রেপ্তার করা হলো। 

মঙ্গলবার (৭ মে) মালয়েশিয়া থেকে দেশে ফিরে হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে অবতরণ করার পরপরই গ্রেপ্তার হন সোহেল সিরাজ। আগুনের ঘটনার পর তিনি দেশ ছেড়ে পালিয়ে গিয়েছিলেন।

ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) অপরাধ ও তথ্য বিভাগের উপপরিদর্শক (এসআই) নিজামউদ্দিন ফকির গ্রেপ্তারের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

তিনি বলেন, অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় করা মামলায় সোহেল সিরাজকে গ্রেপ্তার দেখানো হয়েছে।  বুধবার পাঁচ দিনের রিমান্ডে নেয়ার আবেদন জানিয়ে তাকে ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট (সিএমএম) আদালতে তোলে সিআইডি। তবে শুনানি শেষে আদালত দুই দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন। 

এর আগে গত ২৯ ফেব্রুয়ারি রাতে বেইলি রোডের গ্রিন কোজি কটেজ নামের ভবনে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ড ঘটে।  মূলত ওই ভবনটির বিভিন্ন তলায় ছিল খাবারের দোকান। এরমধ্যে ‘কাচ্চি ভাই’ রেস্টুরেন্টটি ছিল ভবনের দ্বিতীয় তলায়।  অগ্নিকাণ্ডের সময় বিভিন্ন রেস্টুরেন্টে অসংখ্য মানুষ খাবার খেতে এসেছিলেন। পরে ভয়াবহ আগুনে নারী-শিশুসহ মোট ৪৬ জনের প্রাণহানি ঘটে। এছাড়া আহত হন অনেকেই।

এদিকে, ভয়াবহ ওই অগ্নিকাণ্ডে ৪৬ জনের প্রাণহানির ঘটনায় করা মামলায় প্রতিবেদন দাখিলের জন্য আগামী ৪ জুন দিন ধার্য রয়েছে।  গত ২৪ এপ্রিল এ মামলার তদন্ত প্রতিবেদন দাখিলের জন্য দিন ধার্য ছিল।  তবে ওইদিন প্রতিবেদন দাখিল না হওয়ায় ঢাকার অতিরিক্ত চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট সুলতান সোহাগ উদ্দিন নতুন দিন ধার্য করেন।

গ্রেপ্তার   কাচ্চি ভাই   বেইলি রোড  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড বাংলাদেশ

জাল ভোট দেওয়ার অভিযোগে তিন নির্বাচনী কর্মকর্তা আটক

প্রকাশ: ০৬:৫৯ পিএম, ০৮ মে, ২০২৪


Thumbnail

চট্টগ্রামের মিরসরাইয়ে উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে জাল ভোট দেওয়ার অভিযোগে সহকারী প্রিসাইডিং অফিসারসহ তিনজনকে আটক করা হয়েছে। বুধবার (৮ মে) উপজেলার উত্তর আমবাড়িয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ভোটকেন্দ্র থেকে তাদের আটক করেন দায়িত্বরত নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট নিকহাত আরা।

আটককৃতরা হলেন- সহকারী প্রিসাইডিং অফিসার মুক্তি রাণী হাওলাদার, পোলিং অফিসার মুন্নী বড়ুয়া ও সমীর চন্দ্র দাশ।

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, ওই তিন নির্বাচনী কর্মকর্তা ব্যালট পেপারে আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য ও সাবেক এমপি ইঞ্জিনিয়ার মোশাররফ হোসেন এবং স্থানীয় সংসদ সদস্য মাহবুব উর রহমান রুহেল সমর্থিত চেয়ারম্যান প্রার্থী এনায়েত হোসেন নয়নের কাপ-পিরিচ প্রতীকে জাল ভোট দিচ্ছিলেন।

চট্টগ্রাম জেলা আঞ্চলিক নির্বাচন কর্মকর্তা ইউনুচ আলী আটকের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। তিনি বলেন, ‘আটক করার ঘটনাটি শুনেছি। তবে বিস্তারিত এই মুহূর্তে বলতে পারছি না।’

জাল ভোট   নির্বাচনী কর্মকর্তা   উপজেলা নির্বাচন  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড বাংলাদেশ

আবার ঢাকায় কেন ডোনাল্ড লু?

প্রকাশ: ০৭:০০ পিএম, ০৮ মে, ২০২৪


Thumbnail

মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের দক্ষিণ পূর্ব এশিয়া বিষয়ক সহকারী পররাষ্ট্রমন্ত্রী ডোনাল্ড লু আবার বাংলাদেশ সফরে আসছেন। নানা কারণে ডোনাল্ড লু বাংলাদেশে অত্যন্ত আলোচিত একটি নাম। বিশেষ করে নির্বাচনের আগে তাঁর তৎপরতা বাংলাদেশে ব্যাপক আলোচনার সৃষ্টি করেছিল। ভিসা নিষেধাজ্ঞার ঘোষণা দেওয়ার পর তিনি একাধিক গণমাধ্যমে সাক্ষাৎকার দিয়েছিলেন এবং বাংলাদেশের নির্বাচন নিয়ে তাঁর সরাসরি হস্তক্ষেপ এবং বেশ কিছু কথাবার্তা রাজনৈতিক অঙ্গনে ব্যাপক আলোচনার জন্ম দিয়েছিল।

ডোনাল্ড লু নির্বাচনের আগে একাধিকবার বাংলাদেশে এসেছিলেন এবং অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচন নিশ্চিত করার জন্য তিনি বিভিন্ন অংশীজনের সঙ্গে কথাবার্তা বলেছিলেন। যখন ২৮ অক্টোবর বিএনপি সারা ঢাকা শহরে তাণ্ডব চালায়, এরপর মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের কার্যক্রম স্তিমিত হয়ে গেলেও ডোনাল্ড লু’র একটি চিঠি নিয়ে ঢাকায় নিযুক্ত মার্কিন রাষ্ট্রদূত পিটার ডি হাস বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের কাছে ধর্না দিয়েছিলেন। অবশ্য ডোনাল্ড লু’র এই চিঠিকে আমলে নেননি আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের। 

ডোনাল্ড লু’র এই রাজনৈতিক সংলাপের বার্তাকে অনেক বিলম্বে দেওয়া বলে অভিহিত করেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক। এরপর দেশে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। নির্বাচনের পর মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র বাংলাদেশ নিয়ে একটি পরিবর্তিত নীতি এবং অবস্থান গ্রহণ করেছে। বাংলাদেশের নির্বাচন ত্রুটিপূর্ণ এই বক্তব্য রেখেই বাংলাদেশের সঙ্গে সম্পর্ক এগিয়ে নেওয়ার বার্তা দিয়েছিল মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র। এ রকম একটি অবস্থা যখন বিরাজমান তখন মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের দক্ষিণ পূর্ব এশিয়া বিষয়ক সহকারী পররাষ্ট্রমন্ত্রী কেন ঢাকা সফর করছেন- এ নিয়ে রাজনৈতিক অঙ্গনে চাঞ্চল্য সৃষ্টি হয়েছে। 

জানা গেছে, ১৪ থেকে ১৬ পর্যন্ত দুই দিনে ডোনাল্ড লু বাংলাদেশে সরকারি এবং বিরোধী দলের নেতৃবৃন্দের সঙ্গে আলোচনা করবেন। এছাড়াও তিনি সুশীল সমাজের প্রতিনিধিদের সঙ্গেও বৈঠক করবেন। এর আগে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের উপ সহকারী পররাষ্ট্রমন্ত্রী আফরিন আক্তার বাংলাদেশ সফর করে গেছেন। আর এবার ডোনাল্ড লু’র বাংলাদেশ সফর কী বার্তা দেবে তা নিয়ে নানারকম জল্পনা কল্পনা চলছে। 

একাধিক দায়িত্বশীল সূত্র বলছে, বাংলাদেশের সঙ্গে সম্পর্ক এগিয়ে নেওয়ার লক্ষ্যে ডোনাল্ড লু’র বাংলাদেশ সফর। সরকারের সঙ্গে সম্পর্ক ঝালিয়ে নেওয়া এবং বাংলাদেশে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের বাণিজ্যিক অবস্থানকে সম্প্রসারণ করাই ডোনাল্ড লু এর অন্যতম প্রধান লক্ষ্য বলেই একাধিক কূটনৈতিক সূত্র দাবি করেছে। 

বিভিন্ন সূত্রগুলো বলছে, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র সরকারের সঙ্গে বিনিয়োগ, অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিশেষ করে তেল গ্যাস অনুসন্ধানের জন্য সরকার যে দরপত্র আহ্বান করেছে সেখানে যেন মার্কিন কোম্পানিগুলো সুবিধা করতে পারে সে সব বিষয় নিয়ে কথা বলতে আগ্রহী। তবে এর পাশাপাশি বাংলাদেশের মানবাধিকার, বিরোধী দলের মত প্রকাশের স্বাধীনতা সহ বিভিন্ন বিষয় আলোচনায় আসতে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে। তবে বাংলাদেশের নির্বাচনের আগে ডোনাল্ড লু’র সফর নিয়ে যত মাতামাতি হতো বা যে আতঙ্ক তৈরি হতো এবারে সেই পরিস্থিতি হচ্ছে না বলেই মনে করছেন রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা।

ডোনাল্ড লু   মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র   দক্ষিণ পূর্ব এশিয়া বিষয়ক সহকারী পররাষ্ট্রমন্ত্রী  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড বাংলাদেশ

যুক্তরাষ্ট্রে ছাত্র আন্দোলন নিয়ে যা বললেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী

প্রকাশ: ০৫:৪৭ পিএম, ০৮ মে, ২০২৪


Thumbnail

পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন, যুক্তরাষ্ট্র নিজেদের স্বার্থে সবসময় মানবাধিকার লঙ্ঘন করে। কিন্তু ছোট দেশগুলোকে তারা সবক দিতে থাকে, নিজেদের দিকে কখনও তাকায় না। যুক্তরাষ্ট্র সবচেয়ে বেশি মানবাধিকার লঙ্ঘন করে বলেও জানান পররাষ্ট্রমন্ত্রী।

বুধবার (৮ মে) পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে সংবাদ সম্মেলনে এ কথা বলেন তিনি।

পররাষ্ট্রমন্ত্রী  বলেন, বাংলাদেশে হিরো আলমকে ঘুষি মারলেও যুক্তরাষ্ট্র বিবৃতি দেয়। অথচ ফিলিস্তিন ইস্যুতে তারাই হাজারো শিক্ষক-শিক্ষার্থীকে নির্যাতন করছে বলে মন্তব্য করেছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ। তিনি বলেন, শিক্ষক-শিক্ষার্থীকে নির্যাতনের ঘটনায় দেশটির সরকার কী বলবে, তা আমরা জানতে চাই।

ড. হাছান মাহমুদ বলেন, গাজা ইস্যুসহ বিভিন্ন বিষয়ে যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে আমাদের মতবিরোধ থাকলেও তাদের সঙ্গে সম্পর্ক বরাবরই বন্ধুত্বপূর্ণ।

এ সময় মার্কিন সহকারী পররাষ্ট্রমন্ত্রী ডোনাল্ড লু-র ঢাকা সফরের বিষয়েও কথা বলেন ড. হাছান। বলেন, মূল ইস্যু রোহিঙ্গা সংকট নিয়ে আলোচনা হবে। এ ছাড়া ভবিষ্যতে ঢাকা-ওয়াশিংটন সম্পর্ক আরও গভীর ও জোরদার করতে আলোচনা হবে।

বৃহস্পতিবার (৯ মে) ভারতের পররাষ্ট্র সচিবের ঢাকা সফর নিয়েও কথা বলেন হাছান মাহমুদ। তিনি বলেন, সীমান্তে বেসামরিক মানুষ হত্যা কোনোভাবেই গ্রহণযোগ্য নয়, এটি বন্ধ করতে একযোগে কাজ করছে ঢাকা-দিল্লি। ভারতের পররাষ্ট্র সচিবের সফরে এ নিয়ে আলোচনা হবে।

এদিকে, ব্রিটেনের ইন্দো-প্যাসিফিক মন্ত্রী অ্যান-মেরি ত্রিভেলিয়নের সঙ্গে বৈঠকের পর মন্ত্রী জানান, ২০২৬ সালের মধ্যে মধ্যম আয়ের দেশ হতে বাংলাদেশের পাশে থাকবে ব্রিটেন।

মন্ত্রী জানান, ডোনাল্ড লু’র বাংলাদেশ সফরে রোহিঙ্গা ইস্যু গুরুত্ব পাবে। এছাড়া ভারতের পররাষ্ট্র সচিবের সফরে গুরুত্ব পাবে সীমান্তের নিরাপত্তা ও প্রাণহানির বিষয়।

যুক্তরাষ্ট্র   মানবাধিকার   পররাষ্ট্রমন্ত্রী  


মন্তব্য করুন


বিজ্ঞাপন