ইনসাইড বাংলাদেশ

বিজয়ীদের ‘জয় বাংলা ইয়ুথ অ্যাওয়ার্ড’ তুলে দেবেন সজীব ওয়াজেদ

প্রকাশ: ০৯:৩৪ এএম, ১২ নভেম্বর, ২০২২


Thumbnail

ষষ্ঠবারের মতো আয়োজিত হচ্ছে জয় বাংলা ইয়ুথ অ্যাওয়ার্ড। শনিবার (১২ নভেম্বর) এ আয়োজনে উপস্থিত থেকে বিজয়ীদের হাতে পুরস্কার তুলে দেবেন সেন্টার ফর রিসার্চ অ্যান্ড ইনফরমেশনের (সিআরআই) চেয়ারপারসন সজীব ওয়াজেদ জয়। সিআরআইয়ের অঙ্গ প্রতিষ্ঠান ইয়াং বাংলার নিয়মিত কার্যক্রমের অংশ হিসেবে গত ৮ বছরে ৬ বার দেশ গঠনে এগিয়ে আসা তরুণদের হাতে তুলে দেওয়া হয় এই অ্যাওয়ার্ড।

সজীব ওয়াজেদ তরুণদের জন্য প্রতিষ্ঠা করেন সর্ববৃহৎ প্ল্যাটফর্ম ইয়াং বাংলা। তরুণদের দেশপ্রেমে উদ্বুদ্ধ করতে এবং দেশ গঠনে এগিয়ে আসতে জয় বাংলা ইয়ুথ অ্যাওয়ার্ড, জয় বাংলা কনসার্ট, পলিসি ক্যাফেসহ তরুণদের কাছে জনপ্রিয় নানা কার্যক্রম পরিচালনা করে ইয়াং বাংলা। প্রায় ১ লাখের বেশি তরুণদের নিয়ে তৈরি ইয়াং বাংলার নেটওয়ার্ক। ‌‘কানেক্টিং দ্য ডটস’ স্লোগান নিয়ে যাত্রা শুরু করা ইয়াং বাংলা বর্তমানে তারুণ্যের সবচাইতে বড় প্ল্যাটফর্ম। ১৫ হাজারের বেশি স্বেচ্ছাসেবী এবং ৫০০টির বেশি সংগঠনকে সঙ্গে নিয়ে ইয়াং বাংলার পথচলা।

জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান যেই ‘সোনার বাংলা’ গড়ে তোলার স্বপ্ন দেখেছিলেন, সেই স্বপ্ন পূরণের চেষ্টাই করছেন তার দৌহিত্র সজীব ওয়াজেদ জয়। ১৯৭৪ সালে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বেতবুনিয়ায় ভূ-উপগ্রহ কেন্দ্রের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপনের মাধ্যমে যেই স্বপ্নের সূচনা করেন, সেই স্বপ্ন পূরণ হয় বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইটকে কক্ষপথে উৎক্ষেপণের মাধ্যমে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার তথ্য প্রযুক্তিবিষয়ক উপদেষ্টা সজীব ওয়াজেদ জয় এর পেছনে বড় অবদান রাখেন।

আওয়ামী লীগ ২০০৮ সালে নির্বাচনী ইশতেহারে যেই ডিজিটাল বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠার কথা বলে তা বাস্তবায়নে সবচাইতে বড় কৃতিত্ব দেওয়া হয় সজীব ওয়াজেদ জয়কে। তার দূরদৃষ্টির কারণে ডিজিটাল বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠার মাধ্যমে কোভিড সময় মোকাবিলা করতে সক্ষম হয় বাংলাদেশ। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার আইসিটি উপদেষ্টা হিসেবে সজীব ওয়াজেদ অনলাইন স্কুলিং থেকে শুরু করে ডিজিটাল আর্থিক লেনদেন পর্যন্ত জীবনের সব ক্ষেত্রে জেন নেক্সট ইনফো টেক-এ প্রতিনিধিত্ব করছেন।

বিশ্বজুড়ে করোনাভাইরাস বিপর্যয়ের সময় ডিজিটাল রূপান্তরের সেবা পেয়েছে বাংলাদেশ। এটি টেলিমেডিসিন, ভার্চুয়াল কোর্ট এবং মোবাইল প্ল্যাটফর্ম এবং ই-কমার্সের মাধ্যমে দরিদ্র মানুষের কাছে অর্থ সরবরাহ সহ ডিজিটাল কার্যক্রমের বিস্তৃতির মধ্য দিয়ে তার অর্থনীতিকে এগিয়ে নিয়ে যেতে সক্ষম হয়েছে। কোভিড-এর সময় প্রতিবেশী দেশগুলোর তুলনায় টিকে থাকার ক্ষেত্রে প্রশংসা অর্জন করায় এই ডিজিটাল পরিষেবা সবচাইতে বড় অবদান রাখে।

টেক্সাস বিশ্ববিদ্যালয়ের কম্পিউটার ইঞ্জিনিয়ারিংয়ে স্নাতক এবং জনপ্রশাসনে হার্ভার্ডের স্নাতকোত্তর সজীব ওয়াজেদ জয় রাজনীতির চেয়ে তথ্য প্রযুক্তির প্রতি বেশি আকৃষ্ট। বঙ্গবন্ধুর প্রথম নাতি এবং প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার একমাত্র ছেলে হওয়ায় তার রাজনীতিতে প্রবেশ সহজ ও স্বাভাবিক হওয়া উচিত ছিল। কিন্তু তিনি তার মায়ের আইসিটি উপদেষ্টা হিসাবে থাকতে পেরেই সন্তুষ্ট। জাতীয় জীবনের সকল ক্ষেত্রে ডিজিটালাইজেশনের জন্য জোর দিচ্ছেন তিনি এবং দেশ জুড়ে এক অনন্য ডিজিটাল চেতনা তৈরি করেছেন যা বাংলাদেশকে অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধির আসন্ন চ্যালেঞ্জগুলি কাটিয়ে উঠতে সাহায্য করবে।

আওয়ামী লীগের সেন্টার ফর রিসার্চ অ্যান্ড ইনফরমেশনের (সিআরআই) চেয়ারপারসন হিসেবে জয় পরবর্তী প্রজন্মকে প্রযুক্তিগতভাবে সক্ষম করে তুলতে চান। আর এভাবেই দেশ গঠনে এবং বাংলাদেশকে মধ্যম আয়ের দেশে রূপান্তরে দেশের তরুণরা ভূমিকা রাখবে বলে বিশ্বাস করেন তিনি। তরুণদের মধ্যে তার জনপ্রিয় অনুপ্রেরণা দেওয়া বক্তব্য, ‘আমরাই পারি, আমরাই পারব’- বর্তমানে এক চেতনায় পরিণত হয়েছে।

তরুণরাই এই দেশকে ভবিষ্যতে এগিয়ে নিয়ে যাবে। আর এ কারণেই তরুণদের সঙ্গে বেশ কিছু ইন্টার‍্যাক্টিভ কার্যক্রম সিআরআই ও ইয়াং বাংলার মাধ্যমে পরিচালনা করেন সজীব ওয়াজেদ। তার ইচ্ছায় ও একান্ত প্রচেষ্টায় নিয়মিত আয়োজিত হচ্ছে জয় বাংলা ইয়ুথ অ্যাওয়ার্ড, জয় বাংলা কনসার্ট, লেটস টক, পলিসি ক্যাফে, ইন্টার্ন প্রোগ্রামসহ আরও বিভিন্ন কার্যক্রম।

জয় বাংলা ইয়ুথ অ্যাওয়ার্ডের মাধ্যমে তরুণদের বিভিন্ন উদ্যোগে অনুপ্রেরণা দেওয়া হচ্ছে যা নীরবে এই দেশকে এগিয়ে নিয়ে যেতে বৈপ্লবিক কাজ করছে। সেটি ঢাকার পথশিশুদের শিক্ষিত করা থেকে শুরু করে সিলেটের দরিদ্র ও দুর্বল চা শ্রমিক সম্প্রদায়কে সাহায্য করা বা নারী নিরাপত্তা থেকে শুরু করে ট্রান্সজেন্ডারদের সক্ষম ও ক্ষমতায়ন করা পর্যন্ত বিস্তৃত। এই সংগঠনগুলোর কার্যক্রম জয় বাংলা ইয়ুথ অ্যাওয়ার্ডে স্বীকৃতি অর্জনের মাধ্যমে আন্তর্জাতিক প্রতিষ্ঠানগুলোর নজরে আসে যার স্বীকৃতি স্বরূপ পরবর্তীতে অনেক তরুণদের সংগঠন অর্জন করে আন্তর্জাতিক পুরস্কার।

সজীব ওয়াজেদ জটিল ভাষায় কথা বলতে পছন্দ করেন না। তার সাক্ষাৎকারগুলো সেকারণে হয় সহজ, সরল এবং তথ্য নির্ভর, যা সমস্যাকে চিহ্নিত করে তা সমাধানের জন্য অনুপ্রেরণা যোগায়। পুরো করোনা মহামারির সময়ে তিনি বারবার স্বাস্থ্য বিধি মেনে চলার বিষয়ে জোর দিয়েছেন, বিষয়টি সবার কাছে ছড়িয়ে দেওয়ার আগ পর্যন্ত তিনি এ বিষয়ে প্রচারণা চালিয়ে গেছেন। সিআরআইয়ের লেটস টক অনুষ্ঠানের মাধ্যমে তিনি তরুণদের বিতর্কে না জড়িয়ে কাজ করে যাওয়ার আহ্বান জানান।

১৯৭১ সালের মুক্তিযুদ্ধের অস্থিরতার মধ্যে জন্ম নেওয়া জয়ের শৈশব কেটেছে আনন্দহীন। শৈশবে, ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্টের সেই ভয়াল রাতে ‘মিডনাইট ম্যাসাকার’-এর সঙ্গে তাকে মানিয়ে নিতে হয়েছিল। বঙ্গবন্ধু ও তার পরিবারের অধিকাংশ সদস্যকে গুলি করে হত্যা করা হয়েছিল এদিন। শুধুমাত্র শেখ হাসিনা এবং তার বোন শেখ রেহানা এই ভয়ঙ্কর হত্যাকাণ্ড থেকে বেঁচে যান। ‘হাসিনা: এ ডটারস টেল’ ডকুড্রামার মাধ্যমে সেই নৃশংস রাতের বর্ণনার পাশাপাশি সেখান থেকে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ঘুরে দাঁড়াবার কথাও উঠে এসেছে। মহান মুক্তিযুদ্ধের মূল্যবোধকে ধারণ করে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার এগিয়ে যাওয়ায় আজ বাংলাদেশ এশিয়ান অর্থনীতির ‘টাইগার’ হিসেবে পরিচিতি লাভ করেছে।

সূত্র: বাসস

জয় বাংলা ইয়ুথ অ্যাওয়ার্ড   সজীব ওয়াজেদ জয়  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড বাংলাদেশ

এখনও ৩১ হাজার হজযাত্রীর ভিসা হয়নি

প্রকাশ: ১০:৪৭ এএম, ১১ মে, ২০২৪


Thumbnail

বেশিরভাগ হজযাত্রীদের ভিসা সম্পন্ন না হওয়ায় দ্বিতীয় দফায় আবেদনের সময় বাড়ানো হয়েছিল আজ শনিবার (১১ মে) পর্যন্ত। কিন্তু এখন পর্যন্ত ৩৭ শতাংশ হজযাত্রীর ভিসা সম্পন্ন হয়নি।

শনিবার সকালে আইটি হেল্প ডেস্কের প্রতিদিনের বুলেটিনে জানানো হয়েছে, এখন পর্যন্ত ৫৩ হাজার ৮৯৯ হজযাত্রীর ভিসা হয়েছে। এবছর সরকারি-বেসরকারি ব্যবস্থাপনা মিলিয়ে মোট ৮৫ হাজার ২৫৭ জন হজ করতে যাবেন। সেই হিসাবে এখনো ৩৭ শতাংশ হজযাত্রীর ভিসা হয়নি।

হজ এজেন্সি মালিক ও ধর্ম মন্ত্রণালয় আশা করছে, শনিবারের মধ্যে বেশিরভাগ হজযাত্রীর ভিসা সম্পন্ন হয়ে যাবে। অল্প কিছু বাকি থাকলে, সেটাও দু-একদিনের মধ্যে করার জন্য সময় পাওয়া যাবে। তাই ভিসা জটিলতায় কেউ হজে যেতে পারবেন না এমনটা হওয়ার সুযোগ নেই।

এর আগে ২৯ এপ্রিলের মধ্যে ভিসা সম্পন্নের নির্দেশনা দিয়েছিল ধর্ম মন্ত্রণালয়। এরপর সময় ৭ মে পর্যন্ত বাড়ানো হয়। সবশেষ ভিসা আবেদনের সময় বাড়িয়ে ১১ মে করা হয়। এ সময়ের মধ্যে হজযাত্রীর ভিসা কার্যক্রম সম্পন্ন করতে ব্যর্থ হলে উদ্ভূত পরিস্থিতির জন্য সংশ্লিষ্ট এজেন্সিকে দায়-দায়িত্ব বহন করতে হবে বলে জানিয়েছে ধর্মবিষয়ক মন্ত্রণালয়।

এবার বাংলাদেশ থেকে সরকারি ব্যবস্থাপনায় ৪ হাজার ৫৬২ জন ও বেসরকারি ব্যবস্থাপনায় এজেন্সির মাধ্যমে ৮০ হাজার ৬৯৫ জনসহ মোট ৮৫ হাজার ২৫৭ জন হজ করতে যাবেন।

অন্যদিকে হজ পোর্টালের প্রতিদিনের বুলেটিনে জানানো হয়েছে, শুক্রবার পর্যন্ত মোট ৫ হাজার ১৮২ জন হজযাত্রী সৌদি আরবে পৌঁছেছেন। এরমধ্যে সরকারি ব্যবস্থাপনার হজযাত্রী ২ হাজার ৫০০ জন ও বেসরকারি ব্যবস্থাপনার হজযাত্রী ২ হাজার ৬৮২ জন। এখন পর্যন্ত ফ্লাইট সংখ্যা ১৩টি।

চাঁদ দেখা সাপেক্ষে আগামী ১৬ জুন এবারের হজ অনুষ্ঠিত হবে। ধর্ম বিষয়ক মন্ত্রণালয় অনুমোদিত হজ এজেন্সির সংখ্যা ২৫৯টি।

হজযাত্রীদের সৌদি আরবে যাওয়ার প্রথম ফ্লাইট ৯ মে শুরু হয়। ১০ জুন পর্যন্ত যাওয়ার ফ্লাইট চলবে। হজ শেষে ২০ জুন ফিরতি ফ্লাইট শুরু হবে। দেশে ফেরার ফ্লাইট শেষ হবে ২২ জুলাই।


হজ   ভিসা   হজ এজেন্সিস অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ   ধর্মবিষয়ক মন্ত্রণালয়  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড বাংলাদেশ

এনআইডি করতে লাগবে না আর দ্বৈত নাগরিকত্ব সনদ

প্রকাশ: ১০:৪৩ এএম, ১১ মে, ২০২৪


Thumbnail

প্রবাসীদের এনআইডি সেবা দিতে মাঠ কর্মকর্তাদের ৮টি নির্দেশনা দিয়েছে নির্বাচন কমিশনের অধীন জাতীয় পরিচয় নিবন্ধন অনুবিভাগ (এনআইডি)। পরিপত্রে দেওয়া নির্দেশনায় সংস্থাটি জানায়, এখন থেকে বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত বিদেশি কোনো নাগরিকের দেশে এনআইডি করতে আর দ্বৈত নাগরিকত্ব সনদ লাগবে না। সম্প্রতি এনআইডির সহকারী পরিচালক মুহা. সরওয়ার হোসেন সই করা এক পরিপত্রে এ তথ্য জানানো হয়।

পরিপত্রে জানানো হয়, প্রবাসে বসবাসকারী বাংলাদেশি নাগরিকদের জাতীয় পরিচয় নিবন্ধন ও ভোটার তালিকায় নাম অন্তর্ভুক্তি কার্যক্রম সহজ করতে ও মাঠপর্যায়ে সব অফিস থেকে বিড়ম্বনামুক্ত সেবা নিশ্চিত করার লক্ষ্যে নির্বাচন কমিশন নির্দেশনা দিয়েছে।

নির্দেশনাগুলো হচ্ছে-

১. দ্যা সিটিজেনশিপ অ্যাক্ট, ১৯৫১ দ্যা বাংলাদেশ সিটিজেনশিপ (টেমপোরারি প্রভিশন) অর্ডার, ১৯৭২ এর বিধান অনুসারে যে সকল ব্যক্তি বাংলাদেশের নাগরিক তাদের জাতীয় পরিচয় নিবন্ধন ও ভোটার তালিকায় নাম অন্তর্ভুক্তির ক্ষেত্রে দ্বৈত নাগরিকত্ব সনদ দাখিলের প্রয়োজন নেই। এই আইন ও আদেশ অনুযায়ী আবেদনকারীর পিতা/মাতা অথবা দাদা-দাদির বাংলাদেশি নাগরিক হওয়ার স্বপক্ষে প্রমাণ হিসেবে তাদের জাতীয় পরিচয়পত্র/ বাংলাদেশি পাসপোর্ট/ড্রাইভিং লাইসেন্স/অনলাইন জন্ম সনদ/অনলাইন মৃত্যু সনদ (প্রযোজ্য ক্ষেত্রে) এবং সংশ্লিষ্ট সিটি কর্পোরেশন/পৌরসভা/ইউনিয়ন পরিষদ হতে ইস্যুকৃত নাগরিক সনদের কপি দাখিল করতে হবে।

২. কোনো বাংলাদেশি প্রবাসী অন্য কোন দেশের নাগরিকত্ব গ্রহণের পাশাপাশি স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সুরক্ষা সেবা বিভাগ থেকে ইস্যুকৃত দ্বৈত নাগরিকত্ব সনদ গ্রহণ করে থাকেন, তাহলে তাকেও জাতীয় পরিচয় প্রদান ও ভোটার তালিকায় অন্তর্ভুক্ত করা যাবে।

৩. দ্যা বাংলাদেশ সিটিজেনশিপ (টেমপোরারি প্রভিশন) রুলস, ১৯৭৮ এর রুল ৪ এর বিধান অনুযায়ী বৈবাহিক সূত্রে বাংলাদেশের নাগরিকত্ব অর্জনকারী বিদেশি নাগরিকের ক্ষেত্রে জাতীয় পরিচয় নিবন্ধন ও ভোটার তালিকায় নাম অন্তর্ভুক্তির জন্য সুরক্ষা সেবা বিভাগ হতে ইস্যুকৃত নাগরিক সনদ, বিবাহের প্রমাণপত্র ও স্বামী/স্ত্রীর জাতীয় পরিচয়পত্র দাখিল করতে হবে।

৪. বাংলাদেশের কোনো নাগরিক যদি অন্য কোনো দেশের নাগরিকত্ব গ্রহণ করার শর্তে বাংলাদেশের নাগরিকত্ব পরিত্যাগ করেন, উক্ত বিষয়টি উপযুক্ত সাক্ষ্য-প্রমাণ সাপেক্ষে নির্বাচন কমিশন ওই ব্যক্তির জাতীয় পরিচয়পত্র বাতিল করে ভোটার তালিকা হতে তার নাম কর্তন করা জন্য নির্দেশনা দিতে পারবে।

৫. প্রবাসী বাংলাদেশিদের দাখিলকৃত জাতীয় পরিচয় নিবন্ধন ও ভোটার তালিকায় নাম অন্তর্ভুক্তির আবেদনসমূহ প্রাপ্তির পর বায়োমেট্রিক তথ্য গ্রহণসহ ৭ কার্য দিবসের মধ্যে নিষ্পত্তি এবং ২ কার্য দিবসের মধ্যে ডাটা আপলোড নিশ্চিত করতে হবে।

৬. প্রবাসে বসবাসকারী বাংলাদেশি নাগরিকদের জাতীয় পরিচয় নিবন্ধন ও ভোটার তালিকায় নাম অন্তর্ভুক্তির ক্ষেত্রে বাংলাদেশের সংবিধান, নাগরিকত্ব আইন, ভোটার তালিকা আইন, জাতীয় পরিচয় নিবন্ধন আইন এবং এ সংক্রান্ত সব বিধি বিধান যথাযথভাবে প্রতিপালন করতে হবে। নতুন এই পরিপত্র অনুযায়ী নির্বাচন কমিশন সচিবালয় থেকে ২০২২ সালের ১২ এপ্রিল জারিকৃত স্মারকটি বাতিল করা হল।


এনআইডি   নাগরিকত্ব   সনদ  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড বাংলাদেশ

বৃষ্টির কারণে ঢাকার বায়ুর মানের কিছুটা উন্নতি

প্রকাশ: ১০:০১ এএম, ১১ মে, ২০২৪


Thumbnail

টানা তীব্র তাপদাহের পর বেশ কিছুদিন ধরে দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে বৃষ্টি হচ্ছে। কোথাও গুড়ি গুড়ি, আবার কোথাও শিলাবৃষ্টি। এরই ধারাবাহিকতায় আজ সাত সকালে বজ্রসহ বৃষ্টি দেখা দিয়েছে রাজধানী ঢাকাতে।

আর এই বৃষ্টিতে শহরের বায়ুর মানের উন্নতি হয়েছে। সকাল ৮টা ৫১ মিনিটে বায়ুর মান পর্যবেক্ষণকারী সংস্থা এয়ার কোয়ালিটি ইনডেক্সের (আইকিউএয়ার) সূচক থেকে এ তথ্য জানা গেছে।

আজ বায়ুদূষণের শীর্ষে রয়েছে মিশরের কায়রো শহর। এই শহরটির দূষণ স্কোর ২১২ অর্থাৎ সেখানকার খুবই অস্বাস্থ্যকর পর্যায়ে রয়েছে। দ্বিতীয় অবস্থানে রয়েছে ইরাকের বাগদাদ নগরী। এই শহরের দূষণ স্কোর ২০৮ অর্থাৎ সেখানকার খুবই অস্বাস্থ্যকর। এরপরে রয়েছে ইন্দোনেশিয়ার মেদান শহর। চতুর্থ অবস্থানে রয়েছে ভারতের দিল্লি।

বায়ুদূষণ তালিকায় রাজধানী ঢাকা রয়েছে ১৭ নম্বরে। এই শহরটির স্কোর ৮৯ অর্থাৎ এখানকার বাতাস আজ মাঝারি বা সহনীয় পর্যায়ে রয়েছে।

স্কোর শূন্য থেকে ৫০ এর মধ্যে থাকলে বায়ুর মান ভালো বলে বিবেচিত হয়। ৫১ থেকে ১০০ হলে মাঝারি বা সহনীয় ধরা হয় বায়ুর মান। সংবেদনশীল গোষ্ঠীর জন্য অস্বাস্থ্যকর হিসেবে বিবেচিত হয় ১০১ থেকে ১৫০ স্কোর। ১৫১ থেকে ২০০ পর্যন্ত অস্বাস্থ্যকর হিসেবে বিবেচিত হয়। স্কোর ২০১ থেকে ৩০০ হলে খুবই অস্বাস্থ্যকর বলে বিবেচনা করা হয়। এছাড়া ৩০১-এর বেশি হলে তা দুর্যোগপূর্ণ বলে বিবেচিত হয়।


ঢাকা   বায়ু   আবহাওয়া   বৃষ্টি  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড বাংলাদেশ

চোরের কারণে দিশাহারা বৃদ্ধ দম্পতি

প্রকাশ: ১০:০০ এএম, ১১ মে, ২০২৪


Thumbnail

আয়ের একমাত্র উৎস হারিয়ে মাথায় হাত বৃদ্ধ মান্নান সরদার ও তার সহধর্মিণীর। গোয়ালঘরে থাকা তাদের একমাত্র সম্বল ২টি গাভি ও বাছুর নিয়ে গেছে চোরের দল। ওই দুই গাভির দুধ বিক্রি করেই সংসার চলত তাদের।

চাঁদপুর পৌর শহরের ১৪নং ওয়ার্ডের শিলন্দিয়া মঠখোলার বাসিন্দা মো. মান্নান সরদার। শুধু ৫৫ বছর বয়সী এ বৃদ্ধের সঙ্গেই এমন ঘটনা ঘটেনি। চাঁদপুরে কোরবানি ঈদের আগে গরু চুরির ঘটনা বেড়েছে।

চাঁদপুর সদর মডেল থানার ওসি মো. শেখ মুহসীন আলম জানান, থানা পুলিশ চেকপোস্টসহ গরু চোর চক্রকে ধরতে চিরুনি অভিযান চালাচ্ছে । দ্রুতই গরু উদ্ধারসহ এই চক্রের মূল হোতাদের আইনের আওতায় আনার আশ্বাস দিয়েছেন তিনি। তবে আর কোনো আশ্বাস নয়। বরং দ্রুত চোর শনাক্ত ও গরু উদ্ধারের তৎপরতা দেখতে চান ভুক্তভোগীরা।


চোর   দিশাহারা  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড বাংলাদেশ

ঋণ শোধের সক্ষমতা অর্জন বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের

প্রকাশ: ০৯:১১ এএম, ১১ মে, ২০২৪


Thumbnail

নিজ আয় থেকে উড়োজাহাজ কেনার ঋণ পরিশোধ করে চলছে রাষ্ট্রীয় পতাকাবাহী বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্স। এরই মধ্যে ২০১১ সালের চুক্তি অনুযায়ী বোয়িং কোম্পানি থেকে ১২টি ও ডি হ্যাভিল্যান্ড কোম্পানি থেকে দুটি এয়ারক্রাফট কেনার ঋণের আসল ও সুদসহ ১ হাজার ৫৭০ মিলিয়ন ডলার পরিশোধ করেছে। পাশাপাশি তিনটি বোয়িং এয়ারক্রাফটের সম্পূর্ণ ঋণ নির্দিষ্ট সময়ে পরিশোধ করেছে বিমান। সংশ্লিষ্ট সূত্রে এমন তথ্য পাওয়া গেছে।

বিমান কর্মকর্তারা বলছেন, শুধু এয়ারক্রাফট কেনার ঋণের টাকাই নয়, করোনাকালে চলতি মূলধন বাবদ সরকার প্রদত্ত আর্থিক প্রণোদনা হিসেবে ৭৮৮ কোটি টাকা নেয় বিমান। তবে সংকট কেটে যাওয়ার পর ফ্লাইট চলাচল স্বাভাবিক হলে প্রণোদনা ঋণের আসল ও সুদ নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যেই পরিশোধ করা সম্ভব হয়। তারা আরও জানান, রাষ্ট্রীয় পতাকাবাহী বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও সিইও হিসেবে শফিউল আজিম দায়িত্ব নেওয়ায় পর ঘুরে দাঁড়াতে থাকে প্রতিষ্ঠানটি। নিয়োগ ও কেনাকাটসহ নানা খাতে শৃঙ্খলা ফিরতে শুরু করে। অনিয়ম দূর করে দক্ষতা ও পেশাদারিত্বের কারণে আর্থিকভাবে ঘুরে দাঁড়াতে শুরু করেছে বিমান।

বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের ব্যবস্থাপক (জনসংযোগ) মো. আল মাসুদ খান গণমাধ্যমকে জানান,‌ ‌‌‌`নিজ আয় থেকে বিমান তার এয়ারক্রাফট কেনার ঋণ শোধ করছে। এটা বিমানের আর্থিক সক্ষমতার নজির। স্মার্ট এয়ারলাইন্স হওয়ার পথে দ্রুতগতিতে এগিয়ে চলছে বিমান। কিন্তু এ অগ্রযাত্রা বাধাগ্রস্ত করতে একটি বিশেষ মহল এয়ারলাইন্সের আর্থিক সক্ষমতা এবং ব্যবসায়িক অগ্রগতিকে প্রশ্নবিদ্ধ করে মানুষকে বিভ্রান্ত করার অপচেষ্টা চালাচ্ছে।‘


বিমান   বাংলাদেশ   এয়ারলাইন্স  


মন্তব্য করুন


বিজ্ঞাপন