ইনসাইড বাংলাদেশ

গাইবান্ধা-৫ উপনির্বাচনে অনিয়ম; সম্পৃক্ত ডিসি-এসপিও

প্রকাশ: ০৩:৫৭ পিএম, ১৬ নভেম্বর, ২০২২


Thumbnail

কেবল ভোট বন্ধ হওয়া ৫১টি কেন্দ্র নয়, গাইবান্ধা- আসনের উপনির্বাচনের বাকি সবগুলো ভোটকেন্দ্রে অনিওয়মের তথ্য পেয়েছে নির্বাচন কমিশনের (ইসি) গঠিত তিন সদস্যের তদন্ত কমিটি।

ভোট অনিয়মে ভোটগ্রহণ কর্মকর্তাদের পাশাপাশি জেলা প্রশাসক (ডিসি) পুলিশ সুপারের (এসপি) সম্পৃক্ততা পেয়েছে  ইসির তদন্ত কমিটি। 

কেন্দ্রে অনাকাঙ্ক্ষিত জনগণের প্রবেশ, ভোটারদের ইচ্ছার বিরুদ্ধে ভোটদানে বাধ্যকরণ বা প্রভাবিতকরণ, মোবাইল ক্যামেরা দিয়ে গোপনকক্ষের ছবি ধারণসহ নানা অনিয়মের তথ্য পেয়েছে। ইসির গঠিত তদন্ত কমিটি বাকি ৯৪টি কেন্দ্রের মধ্যে ৮৭টির সিসিটিভি ফুটেজ বিশ্লেষণ করে এসব অনিয়ম পেয়েছে বলে তাদের তদন্ত প্রতিবেদনে উল্লেখ করেছে।

ইতোমধ্যে নিজেদের দ্বিতীয় তদন্ত প্রতিবেদন নির্বাচন কমিশনে জমা দিয়েছে তদন্ত কমিটি এর আগে ভোট বন্ধ হওয়া ৫১টি কেন্দ্রের সিটিটিভি ফুজেট বিশ্লেষণ, প্রিসাইডিং অফিসার, পোলিং এজেন্ট, প্রার্থীসহ নির্বাচন সংশ্লিষ্টদের সাক্ষ্যগ্রহণ করে গত ২৭ অক্টোবর তদন্ত প্রতিবেদন জমা দেয় তারা।

পরে নভেম্বর প্রধান নির্বাচন কমিশনার কাজী হাবিবুল আউয়াল সাংবাদিকদের জানান, গাইবান্ধার উপনির্বাচনে স্থগিত ৫১টি কেন্দ্র বাদে বাকি ৯৪টি কেন্দ্র, যেগুলোতে কমিশন নির্বাচন বন্ধ করেনি, সেই কেন্দ্রগুলোর বিষয়ে তারা সিদ্ধান্ত নিয়েছেন একটি কমিটি সিসিটিভি ফুটেজ দেখে এর ওপর একটি পর্যবেক্ষণ প্রতিবেদন দেবে। এরই পরিপ্রেক্ষিতে ইসির অতিরিক্ত সচিব অশোক কুমার দেবনাথের নেতৃত্বাধীন তদন্ত কমিটি ওই কেন্দ্রগুলোর সিসিটিভি ফুটেজ বিশ্লেষণ করে পৃথক তদন্ত প্রতিবেদন সোমবার সন্ধ্যায় ইসির কাছে জমা দিয়েছে।

জানা যায়, দ্বিতীয় দফায় যে ৯৪টি ভোটকেন্দ্রের ভিডিও ফুটেজ বিশ্লেষণ করা হয় তার মধ্যে ৭টি কেন্দ্রের ফুটেজ তারা পাননি। ভোটের দিনে দৃষ্কৃতকারীরা জোর করে সিসিটিভি বন্ধ করে দেওয়াসহ নানা কারণে এসব কেন্দ্রের ফুটেজ পাওয়া যায়নি। বাকি ভোটকেন্দ্রগুলোর মধ্যে হাতেগোনা কয়েকটি কেন্দ্র বাদে সবগুলোতেই অনিয়ম দেখা গেছে। প্রায় সব গোপনকক্ষেই ভোটারের বাইরে অবৈধভাবে অন্য ব্যক্তিকে অবস্থান করতে দেখা গেছে। এর আগে যে ৫১টি কেন্দ্রের অনিয়ম তদন্ত করা হয়েছিল সেখানেও সিসি টিভিতে একই চিত্র দেখতে পেয়েছিল ইসি। তবে ঘটনা তদন্ত করতে গিয়ে কিছু ক্ষেত্রে ঘটনার সাক্ষী পাওয়া যায়নি। জানা গেছে, তদন্ত কমিটি তাদের প্রতিবেদনে সার্বিক চিত্র তুলে ধরলেও কোনও সুপারিশ তারা করেনি।

গত ১২ অক্টোবর গাইবান্ধা- আসনের উপনির্বাচনে প্রথমে ৫১টি ভোটকেন্দ্র এবং একপর্যায়ে পুরো ভোটগ্রহণ মাঝপথে বন্ধ করে দেয় ইসি। ভোট চলাকালে ঢাকায় বসে সিসিটিভি ক্যামেরা পর্যবেক্ষণ করে ৫১টি ভোটকেন্দ্রে ব্যাপক অনিয়ম দেখতে পেয়ে এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছিল। এসব ভোটকেন্দ্রের গোপনকক্ষে (বুথ) ভোটার ছাড়া অবৈধভাবে অন্য ব্যক্তিদের অবস্থান করতে দেখা গিয়েছিল। একটি সংসদীয় আসনের পুরো ভোট বন্ধের ইতিহাস অতীতে দেখা যায়নি। পরে অনিয়মের ঘটনা তদন্ত করে প্রতিবেদন দেওয়ার জন্য একটি কমিটি গঠন করা হয়।

গাইবান্ধা- আসনের ভোটে অনিয়মের তদন্তের বিষয়ে জানতে চাইলে নির্বাচন কমিশনার রাশেদা সুলতানা  মঙ্গলবার সাংবাদিকদের বলেন, তদন্ত কমিটি ইসিকে দ্বিতীয় প্রতিবেদনটি দিয়েছে। তবে নির্বাচন কমিশনাররা এখনও প্রতিবেদন নিয়ে আলোচনা করেননি। শিগগিরই এটি নিয়ে তারা বসবেন। দুটি তদন্ত প্রতিবেদন পর্যালোচনা করে বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে। যারা দোষী সাব্যস্ত হবেন তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। তবে কী ব্যবস্থা বা কীভাবে ব্যবস্থা নেওয়া হবে এসব বিষয়ে এখন কিছু বলা সম্ভব নয়। ব্যবস্থা দৃষ্টান্তমূলক হবে বলে তিনি জানান।


গাইবান্ধা-৫   উপনির্বাচন   অনিয়ম   ইসি   তদন্ত  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড বাংলাদেশ

লাইসেন্সবিহীন টিভি চ্যানেল বন্ধে কার্যক্রম শুরু

প্রকাশ: ১২:৫৯ পিএম, ০৬ মে, ২০২৪


Thumbnail

অবৈধভাবে দেশি-বিদেশি টিভি চ্যানেল প্রদর্শন ও লাইসেন্সবিহীন বাণিজ্যিক কার্যক্রম পরিচালনা বন্ধে কার্যক্রম শুরু করেছে তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়।

সোমবার (৬ মে) তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ের জনসংযোগ বিভাগ থেকে এ তথ্য নিশ্চিত করা হয়েছে।

এর আগে, গত (২ মে) তথ্য ও সম্প্রচার প্রতিমন্ত্রী মোহাম্মদ আলী আরাফাতের সভাপতিত্বে তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ের সভা কক্ষে ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্য প্রযুক্তি মন্ত্রণালয়ের সাথে অনুষ্ঠিত এক সভায় এ সংক্রান্ত দশটি সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেছে তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়।

সিদ্ধান্তগুলো হলো..

১) কেবল টেলিভিশন নেটওয়ার্ক পরিচালনা আইন, ২০০৬ এর অধীনে অনুমোদিত সেবা প্রদানকারীরাই সরকার অনুমোদিত দেশি ও বিদেশি চ্যানেলসমূহ গ্রাহকের নিকট বিতরণ করতে পারবে।

২) ক্লিনফিড ছাড়া বিদেশি চ্যানেল কিংবা অননুমোদিত কোনো চ্যানেল ডাউনলিংক, সম্প্রচার, সঞ্চালন বা বিতরণ করা যাবে না।

৩) সেট-টপ বক্স অবৈধভাবে আমদানি ও বাজারজাত করা যাবে না।

৪) টিভি চ্যানেল স্ট্রিমিংয়ের অ্যাপসসমূহ ব্যবহারে উদ্বুদ্ধ করে প্রচারণা করা কিংবা এ ধরনের অ্যাপস সেট-টপ-বক্সে ইনস্টল করে বিক্রি করা সম্পূর্ণরূপে অবৈধ। এর বিরুদ্ধে বিটিআরসি আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে।

৫) বাংলাদেশের নিরাপত্তার স্বার্থে, সরকারের রাজস্ব আহরণ বৃদ্ধির স্বার্থে, বিদেশে অর্থ পাচার রোধে এবং দেশের শিল্প, সাহিত্য, সংস্কৃতি ও মূল্যবোধ সংরক্ষণের উদ্দেশ্যে যেকোনো অবৈধ কার্যক্রমের বিরুদ্ধে তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয় এবং ডাক, টেলিযোগযোগ ও তথ্য প্রযুক্তি মন্ত্রণালয় প্রচলিত আইন ও বিধি মোতাবেক প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণ করবে।

৬) কেবল টেলিভিশন নেটওয়ার্ক পরিচালনা আইন, ২০০৬ এর ৩(১) ধারা অনুযায়ী, কোনো ডিস্ট্রিবিউটর বা সেবাপ্রদানকারী নির্ধারিত আবেদনপত্রের ভিত্তিতে সরকার অনুমোদিত চ্যানেল ব্যতীত অন্য কোনও চ্যানেল বাংলাদেশে ডাউনলিংক, বিপণন, সঞ্চালন বা সম্প্রচার করতে পারবে না। এছাড়া, তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয় হতে বিদেশি টিভি চ্যানেলের অনুষ্ঠান ক্লিনফিড সম্প্রচারের বিষয়ে নির্দেশনা প্রদান করেছে বিধায় কোনো ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠান ক্লিনফিড ব্যতীত বিদেশি টিভি চ্যানেলের অনুষ্ঠান সম্প্রচার বা সঞ্চালন করতে পারবে না।

৭) কেবল টেলিভিশন নেটওয়ার্ক পরিচালনা আইন, ২০০৬ এর ৩(২) ধারা অনুযায়ী, কোনও ডিস্ট্রিবিউটর বা সেবাপ্রদানকারী সরকার অনুমোদিত চ্যানেল ব্যতীত নিজস্ব কোনও অনুষ্ঠান যেমন- ভিডিও, ভিসিডি, ডিভিডি এর মাধ্যমে অথবা অন্য কোনও উপায়ে কোনও চ্যানেল বাংলাদেশে বিপণন, সঞ্চালন ও সম্প্রচার করতে পারবে না। আইন অমান্য করে কোনও ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠান দেশি বা বিদেশি টিভি চ্যানেলের ফিড বা নিজস্ব কোনও চ্যানেল সম্প্রচার বা সঞ্চালন করতে পারবে না।

৮) কেবল টেলিভিশন নেটওয়ার্ক পরিচালনা আইন, ২০০৬ এর ৪(১) ধারা অনুযায়ী, লাইসেন্সপ্রাপ্ত না হয়ে কোনও ব্যক্তি, ডিস্ট্রিবিউটর বা সেবাপ্রদানকারী হিসেবে কার্যক্রম পরিচালনা করতে পারবে না। তাই লাইসেন্সধারী ডিস্ট্রিবিউটর বা সেবাপ্রদানকারী ব্যতীত অন্য কোনও ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠান টিভি চ্যানেল বা অনুষ্ঠান সঞ্চালন বা সম্প্রচার করতে পারবে না।

৯) অনুমোদিত ডিস্ট্রিবিউটররা এ সিদ্ধান্তসমূহ তাদের বিদেশি টিভি চ্যানেল সম্প্রচারকারীদের লিখিতভাবে অবহিত করবে।

১০) আইন/নীতিমালা বহির্ভূত, অবৈধ বা অননুমোদিতভাবে সম্প্রচার কাজে জড়িত ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

এ সিদ্ধান্তসমূহ বাস্তবায়নে গত বৃহস্পতিবার (২ মে) সংশ্লিষ্ট অংশীজনদের চিঠি দিয়েছে তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়।


তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়   লাইসেন্সবিহীন   টিভি চ্যানেল  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড বাংলাদেশ

সুন্দরবনের আগুন নিয়ন্ত্রণে: ফায়ার সার্ভিস

প্রকাশ: ১২:২১ পিএম, ০৬ মে, ২০২৪


Thumbnail

পূর্ব সুন্দরবনের লতিফের সিলা এলাকায় লাগা আগুন নিয়ন্ত্রণে এসেছে। সোমবার (০৬ মে) সকালে ফায়ার সার্ভিসের পরিচালক অপারেশন ও মেইনটেনেন্স লে. কর্নেল তাজুল ইসলাম আনুষ্ঠানিকভাবে আগুন নিয়ন্ত্রণের ঘোষণা দেন।

তিনি বলেন, বেলা ১০টা ৩৫ মিনিটে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনা সম্ভব হয়েছে। গতকাল রবিবার (০৫ মে) সকাল ৬টা থেকে টানা ২৮ ঘণ্টা চেষ্টা চালিয়ে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে ফায়ার সার্ভিস, নৌবাহিনী, বনবিভাগ, বিমানবাহিনী ও স্থানীয় শতশত স্বেচ্ছাসেবক।

শনিবার (৪ মে) দুপুরে আমরবুনিয়া ফরেস্ট ক্যাম্পের অধীন লতিফের সিলা এলাকায় অগ্নিকাণ্ডের খবর পান বন বিভাগের কর্মকর্তারা।

নৌবাহিনীর কর্মকর্তা কমান্ডার মো. বাশারুল ইসলাম, চাঁদপাই রেঞ্জের সহকারী বন সংরক্ষক(এসিএফ) রানা দেব, মোরেলগঞ্জ সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো৷ আশিকুর রহমান, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা এসএম তারেক সুলতান, থানার ওসি মোহাম্মদ সামসুদ্দীন এ সময় উপস্থিত ছিলেন। 

ফায়ার সার্ভিসের পরিচালক আরও বলেন, আগুন এখন পুরোপুরি নিয়ন্ত্রণে। কোথাও আগুনোর ফুলকি বা ধোঁয়া নেই। তবে, ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা আরও ২ দিন কাজ করবে কালো ছাই সাদা করার জন্য। এরপর ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা বন ত্যাগ করবে।


সুন্দরবন   আগুন   ফায়ার সার্ভিস  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড বাংলাদেশ

ব্রিজ আছে, নেই সংযোগ সড়ক

প্রকাশ: ১২:০৪ পিএম, ০৬ মে, ২০২৪


Thumbnail চারদিকে বিস্তীর্ণ ফসলের মাঠ, মাঝখানে ঠাই দাড়িয়ে আছে সংযোগ সড়কহীন ব্রীজ

চারপাশে বিস্তীর্ণ ফসলের মাঠ। মাঝখানে ঠায় দাঁড়িয়ে আছে একটি ব্রিজ। ব্রিজের ওপর ওঠার জন্য নেই কোনো সংযোগ সড়ক। নির্মাণের এক যুগ পরও সংযোগ সড়ক নির্মিত না হওয়ায় দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে হাজার হাজার মানুষকে।

 

সিরাজগঞ্জের রায়গঞ্জ উপজেলার নলকা ইউনিয়নের গাড়-দহ ও বোয়ালিয়ার চর খালের উপর ২০১২-১৩ অর্থবছরে দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়ের অর্থায়নে প্রায় ৭৭ লাখ টাকা ব্যয়ে ব্রিজের নির্মাণ হলেও হয়নি সংযোগ সড়ক। ফলে ব্রিজের ওপর দিয়ে কোনো ধরনের যানবাহন ও মানুষ চলাচল করতে পারে না। গাড়-দহ ও বোয়ালিয়ার চর গ্রামের মানুষ এ ব্রিজের ওপর দিয়ে না গিয়ে নিচের জমির ওপর দিয়ে তৈরি একটি সরু রাস্তা দিয়ে চলাচল করেন। আর বর্ষা মৌসুমে রাস্তাটি ডুবে গেলে নৌকা দিয়ে চলাচল করেন।


আরও পড়ুন: আওয়ামী লীগের সম্পাদকমণ্ডলীর সভা আজ

 

এরান্দহ গ্রামের বাসিন্দা আব্দুল হাই অভিযোগ করে বলেন, ব্রিজটি নির্মাণ করলেও জনগণের কোনো উপকারে আসছে না। অবিলম্বে সেতুর দুই পাশে সংযোগ সড়ক নির্মাণ করে মানুষের চলাচল উপযোগী করার জন্য সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে অনুরোধ জানান তিনি।

 

স্থানীয়রা জানান, উপজেলার নলকা ইউনিয়নের এরান্দহ, বোয়ালিয়ার চর, কাঁঠালবাড়ীয়া সহ আশপাশের কয়েকটি গ্রামের হাজার হাজার মানুষ এ রাস্তা দিয়ে চলাচল করেন।

 

ওই এলাকার আব্দুল আলীম নামের স্থানীয় এক মুদির দোকানদার বলেন, সেতুর সঙ্গে কোনো রাস্তা না থাকায় বাজার থেকে দোকানের মালামাল সিএনজিচালিত অটোরিকশায় করে নেওয়া যায় না। মাথায় করে বাড়িতে আনতে হয়।


আরও পড়ুন: আন্দোলন ঠেকাতে কঠোর অবস্থানে যাচ্ছে সরকার

 

স্থানীয় বোয়ালিয়ার চর সরকারি বিদ্যালয়ের ছাত্র-ছাত্রী ও শিক্ষকরা জানান, তারা প্রতিদিন এ সড়ক দিয়ে স্কুলে যান। এই ব্রিজে সংযোগ সড়ক না থাকায় বিকল্প রাস্তায় চলাচল করতে হয়। এতে প্রায় ৭/৮ কিলোমিটার রাস্তা বেশি অতিক্রম করতে হয়।

 

নলকা ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান আবু বক্কর সিদ্দিক জানান, জনগণের জন্য ব্রিজটি নির্মাণ করা হলেও সংযোগ সড়ক না থাকায় মানুষ সুফল পাচ্ছেন না।'

 

উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা গোলাম রব্বানী বলেন, এ বছর বরাদ্দ দিয়ে সেতুটির এপ্রোজের মাটি ভরাট করা হবে।

উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মোহাম্মদ নাহিদ হাসান বলেন, ত্রাণের অধিকাংশ সেতুর এপ্রোজের মাটি নেই। সেতুর তালিকা করে বরাদ্দ দিয়ে অচিরেই মাটি ভরাট করা হবে। বোয়ালিয়ার চর খালের উপর নির্মিত সেতুটি লোকজনের যাতায়াতের জন্য জরুরি। এ ব্যাপারে অচিরেই ব্যবস্থা নেওয়া হবে।


ব্রিজ   সংযোগ সড়ক  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড বাংলাদেশ

রাষ্ট্রপতির সঙ্গে বাউবি উপাচার্যের সাক্ষাৎ

প্রকাশ: ১১:৪৬ এএম, ০৬ মে, ২০২৪


Thumbnail

রাষ্ট্রপতি এবং বাংলাদেশ উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের (বাউবি) চ্যান্সেলর মো. সাহাবুদ্দিনের সঙ্গে বঙ্গভবনে এক সৌজন্য সাক্ষাৎ করেছেন বাউবির উপাচার্য অধ্যাপক ড. সৈয়দ হুমায়ুন আখতার। 

বাউবির তথ্য ও গণসংযোগ বিভাগের পরিচালক (ভারপ্রাপ্ত) ড. আ.ফ.ম. মেজবাহ উদ্দিন রবিবার (০৫ মে) রাতে এই তথ্য জানান।

সাক্ষাৎকালে উপাচার্য বিশ্ববিদ্যালয়ের উদ্ভাবনী ও কর্মমূখী শিক্ষা কার্যক্রম, শিক্ষার্থী বান্ধব প্রযুক্তি সহায়তা, বহিঃবাংলাদেশে বাউবির প্রসারসহ সার্বিক অগ্রগতি তুলে ধরেন। 

এসময় রাষ্ট্রপতিকে উপাচার্য বাউবির নতুন লোগো, ক্রেস্ট, বার্ষিক প্রতিবেদন, পরিক্রমা, ডায়েরি ও ক্যালেন্ডার তার হাতে তুলে দেন। 

রাষ্ট্রপতি উপাচার্যের বিভিন্ন কথা গুরুত্ব সহকারে শোনেন এবং আগামীর স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণে দিক নির্দেশনা দেন।


রাষ্ট্রপতি   বাউবি   উপাচার্য   সাক্ষাৎ  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড বাংলাদেশ

ছেলেকে বাঁচাতে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে প্রাণ হারাল বাবা

প্রকাশ: ১১:২৭ এএম, ০৬ মে, ২০২৪


Thumbnail

শেরপুরের নকলার পিপড়ি গ্রামে আব্দুর রহমান পচন (৫৫) নামের এক কৃষক ছেলেকে বাঁচাতে গিয়ে নিজেই বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে মারা গেছেন। রবিবার (৫ মে) দুপুরে এ ঘটনাটি ঘটে। এঘটনায় নিহত আব্দুর রহমান পচন উপজেলার পাঠাকাটা ইউনিয়নের পিপড়ি গ্রামের মৃত জনাব আলীর ছেলে।

 

জানা গেছে, পিপড়ি গ্রামের নিহত আব্দুর রহমান পচনের ছেলে মোখলেসুর রহমান তার ব্যাটারি চালিত অটোরিকশা চার্জ দিয়েছিলো। এতে অটোরিকশাটি বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে যায়। মোখলেসুর রহমান অটোরিকশাটি বের করতে গেলে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে পড়ে সে। বাড়ির লোকজন তাকে উদ্ধার করে। ছেলের আহত অবস্থা দেখে তাকে হাসপাতালে নেয়ার জন্য বাবা আব্দুর রহমান পচন ওই অটোরিকশা বের করতে গেলে তিনিও বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে যায়। পরে আশঙ্কাজনক অবস্থায় পিতা পুত্রকে  নকলা উপজেলা হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক পচনকে মৃত ঘোষণা করেন এবং ছেলে মোখলেসকে শেরপুর জেলা হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়।


নকলা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আব্দুল কাদের ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, নিহত আব্দুর রহমান পচনের পরিবারের পক্ষ থেকে তার লাশ বিনা ময়নাতদন্তে দাফনের জন্য আবেদন করা হয়েছে। এ ব্যাপারে পরবর্তীতে আইনগত পদক্ষেপ নেয়া হচ্ছে। 


বিদ্যুৎস্পৃষ্ট   অটোরিকশা   চার্জ  


মন্তব্য করুন


বিজ্ঞাপন