আমারদের নিজস্ব
শিল্প গড়ে তোলা উচিত জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, দেশী-বিদেশী বিনিয়োগ যাতে
হয় সেই ব্যাবস্থা আমরা করবো। বাংলাদেশে আমরা ইতিমধ্যে ৯৭ টি অর্থনৈতিক অঞ্চল করবার
মতো জমি আমরা ঠিক করে রেখে দিয়েছি।
আজ রবিবার সকালে
গণভবন থেকে ভার্চুয়ালি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব শিল্পনগর, কর্ণফুলী ড্রাইডক স্পেশাল ইকোনমিক
জোনসহ ৫০টি শিল্প ও অবকাঠামোর উদ্বোধন ও ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন অনুষ্ঠানে যোগ দিয়ে তিনি
এ কথা বলেন।
প্রধানমন্ত্রী
শেখ হাসিনা বলেন, আওয়ামী লীগ ২১ বছর
পর ক্ষমতা এসেই আমাদের একটাই
লক্ষ্য এদেশের মানুষের ভাগ্য পরিবর্তন করা। বেসরকারি খাতে
শিল্পায়নের জন্য জায়গা দিয়ে
সুযোগ করে দেওয়া হয়।
শিল্পায়ন এক এলাকায় ভিত্তিক
নয়, সারা বাংলাদেশ ব্যাপী
করা হয়। শিল্পায়ন করতে
গিয়ে তিন ফসলে জমি
নষ্ট করা যাবে না।
যারা জমি দিবে তাদের
পরিবারের সদস্যদের কর্মস্থানের ব্যবস্থা করতে হবে।
তিনি
বলেন, আমাদের কৃষি প্রধান অর্থনীতি,
কিন্তু শিল্পায়ন ছাড়া একটা দেশ
উন্নত হয় না, কর্মসংস্থান
হয় না। আমাদের কৃষিও
যেমন অব্যাহত রাখতে হবে, পাশাপাশি শিল্পায়ন
করতে হবে। সেই চিন্তা
করে বেসরকারির সমস্ত খাতকে উন্মুক্ত করে দেই, পাশাপাশি
তাদের উৎসাহিত করার ব্যবস্থাও আমরা
নিয়েছি। বেসরকারি খাতে শিল্পায়নের জন্য
জায়গা দেওয়া এবং সবধরনের সুযোগ
সুবিধা সৃষ্টিও আমরা করেছিলাম। একটানা
ক্ষমতায় আছি বলেই আমরা
করতে পেরেছি।
জাতির
পিতা প্রথম বার মন্ত্রী হওয়ার
পর এ অঞ্চলের জন্য
শিল্পায়নের উদ্যোগ নিয়েছিলেন উল্লেখ করে সরকারপ্রধান বলেন,
তেজগাঁও শিল্পাঞ্চলসহ এইগুলো তারই (বঙ্গবন্ধু) হাতে শুরু হয়েছিল।
আমরা তারই পথ অনুসরণ
করে সারা বাংলাদেশব্যাপী শিল্পাঞ্চল
গড়ে তুলছি, শুধু একটি অঞ্চলভিত্তিক
নয়, প্রতিটি অঞ্চলে যাতে হতে পারে।
কৃষিজমি
বাঁচাতে হবে উল্লেখ করে
শেখ হাসিনা বলেন, কারণ আমাদের জনসংখ্যা
বৃদ্ধি পাচ্ছে। তাদের খাবার দিতে হবে। কৃষি
নিয়ে গবেষণা করে খাদ্য উৎপাদন
বৃদ্ধি করছি। খাদ্য উৎপাদন অব্যাহত রাখার পাশাপাশি শিল্পায়ন করতে হবে। যত্রতত্র
যেন শিল্প গড়ে না ওঠে।
আমি দেখেছিলাম, ভালো কৃষি জমি,
যেখানে তিনটা ফসল হতো। সেই
জমি নষ্ট করে, শিল্প-কারনখানা গড়ে দাবি করতো,
বিদ্যুৎ দেন, গ্যাস দেন,
পানি দেন। এটা সম্ভব
না। এই কারণে আমরা সিদ্ধান্ত নিয়েছি;
এখানে-যেখানে শিল্প গড়তে পারবে না।
তিন ফসলি জমি কোনো
মতে নষ্ট করা যাবে
না। পাশাপাশি যে অঞ্চলে শিল্প
গড়ে উঠবে, যারা জমি দেবেন,
তাদের পরিবারের কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা করতে হবে। এই
বিষয়গুলো অবশ্যই দৃষ্টি দিতে হবে।
কর্ণফুলী ড্রাইডক
স্পেশাল ইকোনমিক জোন কর্ণফুলী নদীর দক্ষিণে বাদলপুরা ও শাহ মীরপুর মৌজায় অবস্থিত। বাংলাদেশ
অর্থনৈতিক অঞ্চল কর্তৃপক্ষ বেজা’র কাছ থেকে বরাদ্দ পাওয়া জমিতে এটি প্রতিষ্ঠা করে দেশের
অন্যতম বৃহৎ প্রতিষ্ঠান কর্ণফুলী শিপ বিল্ডার্স। ড্রাইডকের নির্মাণ ব্যয় হিসেব বিশ্বব্যাংক
৮ ০০ কোটি টাকা সহজ শর্তে ঋণ দিয়েছে।
এ ড্রাইডকটি
লম্বায় ২৮৫মিটার এবং প্রস্থে ৫৬মিটার। ডকে এক লাখ টন ওজনের জাহাজ নির্মাণ ও মেরামত
করা সম্ভব। এক হাজার ২০০ কোটি টাকা ব্যয়ে আরও একটি ড্রাইডকের নির্মাণকাজও চলছে।
কর্ণফুলী নদীর দক্ষিণ পাড়ে আনোয়ারায় ‘কর্ণফুলী ড্রাইডক স্পেশাল ইকোনমিক জোনের অধীনে দুটি জেটি নির্মাণকাজ এরই মধ্যে সম্পন্ন হয়েছে। জেটিতে আমদানি পণ্যবাহী জাহাজ ভিড়তে শুরু করেছে এবং নিয়মিত চলছে লোডিং-আনলোডিং কার্যক্রম। যা চট্টগ্রাম বন্দরের পণ্যবাহী জাহাজের জট কমানো তথা উৎপাদনশীলতা বাড়াতে সহায়ক ভূমিকা পালন করছে। বিশেষ করে বহিঃনোঙ্গরে জাহাজের অপেক্ষার সময় হ্রাস পাওয়ায় বৈদেশিক মুদ্রা সাশ্রয় হচ্ছে।
মন্তব্য করুন
একটি জাতির মেরুদণ্ড হল শিক্ষা। যা কিনা জাতি গঠনের প্রধান উপাদান। স্বমহিমায় নিজেদের উদ্ভাসিত করতে কেবল শিক্ষত জাতিই পারে। বিবেকবান মানুষ, সুনাগরিক, কর্তব্যপরায়ণ, দায়িত্ববান ও দক্ষ জনশক্তি তৈরিতে শিক্ষার বিকল্প নেই। সে জন্য প্রয়োজন শিশুকাল থেকেই শিক্ষা অর্জন। স্কুল-কলেজ কিংবা বিশ্ববিদ্যালয় পড়ে উচ্চ শিক্ষার জন্য পারি দেন বিদেশে। শিক্ষার সূচনা পরিবারের থেকে হলেও জ্ঞান অর্জনের বাল্যকালের বিশষ ধাপ মনে করা হয় প্রাইমারি থেকে এসএসসি পর্যন্ত। আর এই এসএসসি পরিক্ষার ফলাফলে চলতি বছরে দেশের ১১টি শিক্ষা বোর্ডে পাসের গড় হার ৮৩ দশমিক শূন্য ৪। যা গতবারের (২০২৩ সালে) চেয়ে পাসের হার বেড়েছে। গেল পাসের হার ছিল ৮০ দশমিক ৩৯ শতাংশ। কিন্তু এবারের এসএসসি তে মোট পাসের হারের মধ্যে ছাত্রীদের পাসের হার ৮৪.৪৭ আর অন্যদিকে ছাত্রদের পাসের হার ৮১.৫৭ শতাংশ। এর নেপথ্যের কারণ কি? কেনইবা ছেলেদের তুলনায় মেয়েদের পাসের হার এগিয়ে?
রোববার (১২ মে) এসএসসি ও সমমান পরীক্ষার ফলাফল প্রকাশের পর এক সংবাদে সম্মেলনে পরিক্ষায় অংশ নেওয়া পরীক্ষার্থীদের মধ্যে ছেলেদের সংখ্যা কম দেখে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। কেন ছেলেরা পিছিয়ে তা জানতে শিক্ষা বোর্ড প্রধানদের নির্দেশ দিয়েছেন তিনি। প্রধানমন্ত্রীর এই নির্দেশ অনুযায়ী এসএসসি ফলাফলে ছেলেদের চেয়ে মেয়েরা কেন এগিয়ে তার কিছু সুনির্দিষ্ট দিক থেকে শিক্ষার্থীদের বেড়ে উঠা, তাদের প্রতি পরিবারে দায়িত্ব ইত্যাদি নিয়ে আমরা পর্যালোচনা করে দেখেছি যে..
সাধারণত পড়াশোনার ক্ষেত্রে ছেলেদের পিছিয়ে পড়ার পেছনে মোবাইল ফোন, ইলেকট্রনিক ডিভাইস ও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে মাত্রাতিরিক্ত সময় ব্যয় করা প্রধানত দায়ী হতে পারে। ছেলেরা বাইরে ঘোরাঘুরির পাশাপাশি বাসায় ফিরে মোবাইল ফোনে ডুবে যাচ্ছে। স্কুলপড়ুয়ারা অতি মাত্রায় সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ব্যবহার করায় পড়ালেখায় মনোযোগী হতে পারছে না। এমনকি ছাত্রীদের চেয়ে ছাত্ররা মোবাইল ফোন ব্যবহারের বেশি সুযোগ পাচ্ছে। পাশাপাশি কিশোর অপরাধে জড়িয়ে পড়াও ছেলেদের পিছিয়ে পড়ার অন্যতম কারণ। ছাত্রীদের মধ্যে তারা পড়াশোনায় বেশি আগ্রহ দেখছেন। আর ছেলে সন্তানদের চেয়ে মেয়েরা পড়াশোনায় আগ্রহী হয়ে ওঠায় তাদের পড়াশোনায় বেশি গুরুত্ব দিচ্ছেন বাবা-মাও। এমনকি মেয়েদের লেখাপড়ায় অভিভাবকরা বেশি ব্যয় করতেও দ্বিধা করছেন না।
সচেতন মহল মনে করছেন, স্কুলপড়ুয়া ছেলেটার হাতে বাবা-মা মোবাইল তুলে দিচ্ছে। কিন্তু মেয়েটার হাতে দিচ্ছে না। হয়তো অন্য কোনো চিন্তা থেকে দিচ্ছে না। তাতে মেয়েটা পড়াশোনায় মনোযোগ দিচ্ছে। আর ছেলেটা ফেসবুক, গেমিংয়ে সেটা ব্যবহার করছে। এভাবে ছেলেরা পড়ালেখায় ক্রমে চরম অমনোযোগী হয়ে পড়ছে।’ অতি মাত্রায় সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ব্যবহারে স্কুলপড়ুয়া শিক্ষার্থীরা পড়ালেখায় অমনোযোগী হয়ে পড়ছে।
মেয়েরা কেন এগিয়ে
মেয়েরা পড়ালেখায় মনোযোগি হতে পারে কারণ তারা আগ্রহশীল, সাহায্যকারী, মনোযোগী, এবং সমর্থনশীল হতে পারেন। তাদের প্রকৃতি বিশেষভাবে পড়াশোনার ক্ষেত্রে উত্সাহী এবং অনুশাসিত হয়। মেয়েদের পড়ালেখায় মনোযোগের আরও কিছু কারণ হতে পারে, যেমন..
সামাজিক প্রতিফলন: সাধারণ সমাজে শিক্ষার প্রতিফলন মেয়েদের হাতেই। তাই তারা নিজেকে সমাজের মধ্যে সাবাস করার জন্য শিক্ষালোভী হতে চায়।
প্রতিযোগিতামূলক: মেয়েদের মধ্যে প্রতিযোগিতামূলক শিক্ষার আগ্রহ অনেক। আর তাই তারা শিক্ষা অর্জন ও পড়াশোনার মাধ্যমে নিজেদের ক্ষমতা প্রদর্শন করতে পারে।
সামর্থ্য ও উদারতা: মেয়েদের অনেকে সামর্থ্য ও উদারতা দেখানোর চাপে থাকে, যা তাদের পড়ালেখায় মনোযোগিতা বৃদ্ধি করে।
পরিবারের সমর্থন: পরিবারের সদস্যরা মেয়েদের উত্সাহ দিয়ে পড়ালেখায় মনোযোগিতা বৃদ্ধি করে। এতে করে মেয়েদের ফলাফল আসে সাফল্যের।
এছাড়াও সম্পূর্ণ সমাজে মেয়েদের উপলব্ধি ও প্রতিযোগিতামূলক স্বাধীনতা দেওয়া উচিত, যা তাদের পড়ালেখায় আরও মনোযোগিতা বৃদ্ধি করে। এই সমস্ত কিছু কারণে মেয়েদের পড়ালেখায় মনোযোগিতা বৃদ্ধি হয় তার তাই তারা পরিক্ষার ফলাফলে অর্জন করে সাফল্য।
সাধারণত আদর্শ ছাত্রের বৈশিষ্ট্য হিসেবে আমরা জানি: শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে নিয়মিত উপস্থিত থাকা, নিয়মিত পড়াশোনা করা, সহপাঠদের (জাতি, ধর্ম, বর্ণ ও শ্রেণী নির্বেশেষে) সাথে বন্ধুত্বপূর্ণ আচরণ করা, নিয়ম শৃঙ্খলা মেনে চলা, মাদক থেকে দূরে থাকা, প্রলোভন থেকে বিরত থাকা, এমনকি সমাজ ও রাষ্ট্র বিরোধী কাজ থেকে বিরত থাকা।
যা করা উচিৎ
সম্প্রসারণ ও সমর্থন: পরিবারের সদস্যরা ছাত্রদের শিক্ষামূলক প্রক্রিয়ার সমর্থক করতে হবে এবং তাদের পক্ষ থেকে প্রশংসা ও সমর্থন প্রদান করতে হবে।
প্রোত্সাহন ও সমর্থন: পারিবারিক সদস্যরা ছাত্রদের এমন কার্যকলাপে উৎসাহিত করতে হবে যা ছাত্রদের শিক্ষামূলক ও ব্যক্তিগত উন্নতির জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ।
ছাত্রদের প্রেরণা ও মনোনিবেশ: ছাত্র প্রোত্সাহন ও প্রেরণা প্রদানের মাধ্যমে তারা উচ্চ লক্ষ্য স্থাপন করতে পারে এবং নিজেদের উন্নতিতে মনোনিবেশ করতে পারে।
বিভিন্ন ক্ষেত্রে প্রশিক্ষণ:
এছাড়া ছাত্র-ছাত্রী উভয়কেই বিভিন্ন ক্ষেত্রে যেমন ক্যারিয়ার প্লানিং, দারিদ্র্য সহায়তা, নৈতিক শিক্ষা, ব্যক্তিগত উন্নতি ইত্যাদির জন্য প্রশিক্ষণের প্রয়োজন। কেননা পারিবারিক শিক্ষাব্যবস্থা সামাজিক, মানসিক ও ব্যাক্তিগত উন্নতিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে। এটি ছাত্র-ছাত্রীদের সুস্থ ও সমৃদ্ধ রেখে তাদের পড়ালেখা করতে উৎসাহিত করে। ফলে ছাত্র-ছাত্রীরে মেধা বৃদ্ধি হতে পড়াশোনায় মনোযোগি হবে। এবংকি পরিক্ষার ফলাফল অগ্রগতি হবে। জাতি হবে শিক্ষিত। প্রজন্ম গড়বে শিক্ষিত মেধাযুক্ত।
মন্তব্য করুন
কন্টেন্ট ক্রিয়েটর ইফতেখার রাফসান
মন্তব্য করুন
পুলিশ সুপার বাবুল আক্তার মিতু হত্যা
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
সরকারি সফর যুক্তরাষ্ট্র সেনাপ্রধান এস এম শফিউদ্দিন আহমেদ
মন্তব্য করুন
একটি জাতির মেরুদণ্ড হল শিক্ষা। যা কিনা জাতি গঠনের প্রধান উপাদান। স্বমহিমায় নিজেদের উদ্ভাসিত করতে কেবল শিক্ষত জাতিই পারে। বিবেকবান মানুষ, সুনাগরিক, কর্তব্যপরায়ণ, দায়িত্ববান ও দক্ষ জনশক্তি তৈরিতে শিক্ষার বিকল্প নেই। সে জন্য প্রয়োজন শিশুকাল থেকেই শিক্ষা অর্জন। স্কুল-কলেজ কিংবা বিশ্ববিদ্যালয় পড়ে উচ্চ শিক্ষার জন্য পারি দেন বিদেশে। শিক্ষার সূচনা পরিবারের থেকে হলেও জ্ঞান অর্জনের বাল্যকালের বিশষ ধাপ মনে করা হয় প্রাইমারি থেকে এসএসসি পর্যন্ত। আর এই এসএসসি পরিক্ষার ফলাফলে চলতি বছরে দেশের ১১টি শিক্ষা বোর্ডে পাসের গড় হার ৮৩ দশমিক শূন্য ৪। যা গতবারের (২০২৩ সালে) চেয়ে পাসের হার বেড়েছে। গেল পাসের হার ছিল ৮০ দশমিক ৩৯ শতাংশ। কিন্তু এবারের এসএসসি তে মোট পাসের হারের মধ্যে ছাত্রীদের পাসের হার ৮৪.৪৭ আর অন্যদিকে ছাত্রদের পাসের হার ৮১.৫৭ শতাংশ। এর নেপথ্যের কারণ কি? কেনইবা ছেলেদের তুলনায় মেয়েদের পাসের হার এগিয়ে?