সোমবার
বিদ্যুৎ ও জ্বালানি খাতের
নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ এনার্জি রেগুলেটরি কমিশন (বিইআরসি) পাইকারি পর্যায়ে বিদ্যুতের দাম ৫ টাকা
১৭ পয়সা থেকে বাড়িয়ে
৬ টাকা ২০ পয়সা
করে। পাইকারিতে দাম বাড়ানোর পর
গ্রাহক পর্যায়ে ‘আপাতত’ বাড়বে না বলে প্রতিমন্ত্রী
নসরুল হামিদ আশ্বস্ত করেন।
বিদ্যুৎ
ও জ্বালানি প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ বলেন, পাইকারিতে বিদ্যুতের দাম বাড়লেও গ্রাহকদের
উপর তা এখনই প্রভাব
ফেলবে না।
তবে
এই ঘোষণার আগের দিন রোববার
খুচরা পর্যায়ে দাম বাড়াতে বিইআরসির
কাছে আবেদন করে রাখে দেশের
দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের বিদ্যুৎ বিতরণকারী ওয়েস্ট জোন পাওয়ার ডিস্ট্রিবিউশন
কোম্পানি-ওজোপাডিকো।
কোম্পানির
ব্যবস্থাপনা পরিচালক প্রকৌশলী আজহারুল ইসলাম সোমবার জানান, ওই আবেদনে পাইকারিতে
মূল্যবৃদ্ধি সাপেক্ষে খুচরা পর্যায়ে দাম সমন্বয় চাওয়া
হয়েছে।
“আমরা
মোটামুটি ব্রেক ইভেনে আছি। তবে গত
অর্থবছরে কিছুটা লোকসান হয়েছে। এজন্য নতুন করে দাম
বাড়ালে সেটা সমন্বয় করেই
আমাদের চলতে হবে। সেই
বিবেচনায় মূল্যবৃদ্ধির আবেদনটি করা হয়েছে।”
তবে
সোমবার পাইকারিতে মূল্যবৃদ্ধির ঘোষণার সময় বিইআরসির চেয়ারম্যান
আব্দুল জলিল বলেন, “পাইকারিতে
মূল্য বাড়ানো হলেও এই অজুহাতে
বিতরণ কোম্পানিগুলো খুচরায় বিদ্যুতের মূল্যবৃদ্ধির সুযোগ পাবে না। দাম
বাড়াতে হলে তাদেরকে আবেদন
নিয়ে বিইআরসিতে আসতে হবে। সেখানে
বিচার বিশ্লেষণ করে তারপর সিদ্ধান্ত
নেওয়া হবে।”
এ দিন সচিবালয়ে জরুরি
সংবাদ সম্মেলনে বিদ্যুৎ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ বলেন, “গ্রাহক পর্যায়ে আদৌ দাম বাড়ানোর
প্রয়োজন আছে কি না
তা বিইআরসির উপর নির্ভর করছে।
আপাতত গ্রাহক পর্যায়ে দাম বাড়ছে না।
গ্রাহক পর্যায়ে যাতে স্বস্তি দেওয়া
যায়, সেই বিষয়টিও আমরা
বিবেচনা করব। এখন যেটা
(দাম বৃদ্ধি) হয়েছে গ্রাহক পর্যায়ে নয়।”
সাধারণ
গ্রাহক পর্যায়ে (খুচরা) বিদ্যুতের দাম সর্বশেষ বাড়ানো
হয় ২০২০ সালের ফেব্রুয়ারিতে।
তখন পাইকারিতেও দাম বাড়ে। বিতরণকারীদের
জন্য দর ইউনিট প্রতি
(প্রতি কিলোওয়াট ঘণ্টা) ৫ টাকা ১৭
পয়সা নির্ধারণ করে দিয়েছিল বিইআরসি।
বিদ্যুতের দাম বৃদ্ধি বাংলাদেশ এনার্জি রেগুলেটরি কমিশন বিইআরসি
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
সরকারি সফর যুক্তরাষ্ট্র সেনাপ্রধান এস এম শফিউদ্দিন আহমেদ
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
টাঙ্গাইলের নাগরপুরে বীর মুক্তিযোদ্ধার পুত্র রাজিব হত্যা ও তানভীর হোসেন তান্নার উপর সন্ত্রাসী হামলার প্রতিবাদে মুক্তিযোদ্ধা ও তাদের পরিবারের আয়োজনে প্রতিবাদ সমাবেশ ও মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়েছে।
সোমবার (১৩ মে) সকালে নাগরপুর সদর সড়কে (রিক্সা স্ট্যান্ড) দাঁড়িয়ে প্রায় শতাধিক মুক্তিযোদ্ধা পরিবার সদস্যদের অংশগ্রহণে এই প্রতিবাদ কর্মসূচি পালিত হয়।
এসময় নিহত রাজিবের মা রাজিয়া বেগম বলেন, ‘তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে আমার সন্তানকে হত্যা করে আমার বুক খালি করা হয়েছে। আমি হত্যার সাথে জড়িতদের ফাঁসি চাই।’
নাগরপুর উপজেলার সাবেক কমান্ডার বীর মুক্তিযোদ্ধা মোঃ সুজায়েত হোসেন জানায়, ‘একই দিনে একজন মুক্তিযোদ্ধার সন্তানকে নৃশংস ভাবে হত্যা ও আরেকজন সন্তানের উপর সন্ত্রাসী হামলা চালিয়ে তাকে পঙ্গু করার চেষ্টা করা হয়েছে। এরই প্রতিবাদে আমরা বীর মুক্তিযোদ্ধারা এই তীব্র গরমের মধ্যেও সড়কে নেমে প্রতিবাদ জানাচ্ছি। মুক্তিযোদ্ধা পরিবার সদস্যরা আজ নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছেন। সংশ্লিষ্ট ঘটনার জড়িত ও মূল পরিকল্পনাকারীদের দ্রুত সর্বোচ্চ শাস্তির দাবি জানাচ্ছি।’
উক্ত কর্মসূচিতে আরো উপস্থিত ছিলেন, বীর মুক্তিযোদ্ধা মোকাদ্দেস আলী, আলম মিয়া, নজরুল ইসলাম বাদশা খন্দকার আ. করিম, আক্তার হোসেন ভূইয়া, মো: নাজমুল হোসেন খান মো. আব্দুল মতিন ছামি, টাঙ্গাইল জেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদ সন্তান কমান্ডের সহ সভাপতি আজিজুল হক বাবু সাধারণ সম্পাদক শাকিল কবির সোহেল যুগ্ন সম্পাদক মো মোস্তাফিজুর রহমান রিপন বীর মুক্তিযোদ্ধা সন্তান সহ উপজেলার অন্যান্য বীর মুক্তিযোদ্ধা ও তাদের সকল ইউনিয়ন পরিবার পরিবারের সদস্য বৃন্দরা।
উল্লেখ্য, গত ২ মে তারিখে ভাদ্রা ইউনিয়নে গাছের বেল পাড়াকে কেন্দ্র করে বীর মুক্তিযোদ্ধা আলম মিয়ার ছেলে রাজিব হোসেন নিহত হয়। একই দিনে সলিমাবাদ ইউনিয়নের বীর মুক্তিযোদ্ধা শাহাআলম মিয়া ছেলে তানভীর হোসেন তান্না উপর সন্ত্রাসী হামলা চালানো হয় এবং বর্তমানে তিনি পঙ্গু হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় আছে।
মুক্তিযুদ্ধা পুত্র হত্যা মানববন্ধন
মন্তব্য করুন
গোপালগঞ্জে
জেলা পর্যায়ে নিরাপদ খাদ্য বিষয়ক জনসচেতনতামূলক কর্মশালা অনুষ্ঠিত হয়েছে। সোমবার (১৩ মে) সকাল ১০টায় গোপালগঞ্জের
জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষে জেলা প্রশাসনের সহযোগিতায়
নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষ এ কর্মশালার আয়োজন
করে।
নিরাপদ
খাদ্য কর্তৃপক্ষের সক্ষমতা বৃদ্ধি করণ প্রকল্পের আওতায়
অনুষ্ঠিত এ কর্মশালায় প্রধান
অতিথির বক্তব্য দেন নিরাপদ খাদ্য
কর্তৃপক্ষের সদস্য অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ শোয়েব।
গোপালগঞ্জের
জেলা প্রশাসক কাজী মহবুবুল আলমের
সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত এ কর্মশালায় গোপালগঞ্জ
জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মাহবুব আলী খান, অতিরিক্ত
পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) মো.
খায়রুল আলম ও শুভেচ্ছা
বক্তব্য দেন নিরাপদ খাদ্য
কর্তৃপক্ষের গোপালগঞ্জ জেলা কার্যালয়ের নিরাপদ
খাদ্য কর্মকর্তা মুন্নী খাতুন।
কর্মশালায়
জনপ্রতিনিধি, হোটেল রেস্তোরাঁ ব্যবসায়ী, খাদ্য ব্যবসায়ী সমিতির প্রতিনিধি, গণমাধ্যম কর্মী ও সরকারি কর্মকর্তারা
অংশগ্রহণ করেন।
নিরাপদ খাদ্য কর্মশালা জনসচেতনতা
মন্তব্য করুন