ইনসাইড বাংলাদেশ

দেশবরেণ্য ৬ গুণীজনকে সংবর্ধনা দিলেন রাসিক মেয়র লিটন

প্রকাশ: ০৫:৫২ পিএম, ২৫ নভেম্বর, ২০২২


Thumbnail

রাজশাহী সিটি কর্পোরেশনের (রাসিক) আয়োজনে দেশবরেণ্য ৬ জন কর্মকৃতীময় গুণীজনকে সংবর্ধনা প্রদান করা হয়েছে। শুক্রবার (২৫ নভেম্বর) বেলা সাড়ে ১১টায় নগর ভবনে গ্রিনপ্লাজায় বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য ও রাজশাহী সিটি কর্পোরেশনের মেয়র এ.এইচ.এম খায়রুজ্জামান লিটনের সভাপতিত্বে গুণীজন সংবর্ধনা অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়। অনুষ্ঠানে সংবর্ধিত গুণীজনদের ফুলেল শুভেচ্ছা জ্ঞাপন, উত্তরীয় পরিয়ে তাঁদের হাতে ক্রেস্ট ও সংবর্ধনা স্মারক তুলে দেন সিটি মেয়র খায়রুজ্জামান লিটন। অনুষ্ঠানে সংবর্ধনা স্মারকপত্রের মোড়ক উন্মোচন করেন অতিথিরা।

সংবর্ধিত গুণীজনেরা হলেন- আইন কমিশনের চেয়ারম্যান ও সাবেক প্রধান বিচারপতি এ.বি.এম খায়রুল হক, আইন কমিশনের সদস্য বিচারপতি এ.টি.এম ফজলে কবীর, বিশিষ্ট অর্থনীতিবিদ, লেখক ও বাংলাদেশ ব্যাংকের সাবেক গভর্নর অধ্যাপক ড. আতিউর রহমান, প্রখ্যাত সাংবাদিক, কলামিস্ট ও লেখক বীর মুক্তিযোদ্ধা আবেদ খান এবং শিক্ষাবিদ, নাট্যকার ও লেখক অধ্যাপক রতন সিদ্দিকী। আন্তর্জাতিক খ্যাতিসম্পন্ন চিত্রশিল্পী বীর মুক্তিযোদ্ধা শাহাবুদ্দিন আহমেদ অনুপস্থিত থাকায় তাঁর নিকট প্রেরণের জন্য তাঁর প্রতিনিধিকে উত্তরীয়, ক্রেস্ট ও সংবর্ধনা স্মারক প্রদান করা হয়।

সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্যে রাসিক মেয়র এ.এইচ.এম খায়রুজ্জামান লিটন বলেন, একসঙ্গে এতো গুণীজনদের সংবর্ধনা দেওয়ার সৌভাগ্য আমরা বেশি পাই না। দেশবরেণ্য গুণীজনেরা দেশের জন্য, জাতির জন্য, স্বাধীনতার মূল স্রোতকে ধরে রাখবার জন্য, সংবিধানকে সমুন্নত রাখবার জন্যে যা যা করেছেন, সেই ঋণ শোধ করা সম্ভব নয়। তাঁরা তাঁদের কর্মের মাধ্যমে আমাদের মাঝে বেঁচে থাকবেন।

তিনি আরও বলেন, ১৯৭৪ সালে ভারতের সাথে বাংলাদেশের ৭টি নৌরুট নিয়ে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও ভারতের তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী ইন্দিরা গান্ধীর সাথে সমঝোতা চুক্তি হয়। ওই ৭টি নৌ-রুটের মধ্যে ভারতের মুর্শিদাবাদের ধুলিয়ান থেকে রাজশাহীর গোদাগাড়ী হয়ে রূপপুর ও পাকশী দিয়ে আরিচা হয়ে ঢাকা পর্যন্ত একটি নৌরুট রয়েছে। এই রুট চালু করে সারা বছর যদি পদ্মায় নাব্যতা রাখা যায় তবে উভয় দেশ লাভবান হবে। নানা রকম পণ্য আনা নেয়া করা যাবে। পণ্য মুখর হয়ে উঠবে রাজশাহী বন্দর। বিশেষ করে ভারত থেকে আমরা প্রতি বছর কোটি কোটি টন পাথন আমদানি করে থাকি। এই পাথর দিয়ে আমরা রাস্তাঘাট, ব্রিজ, কালভার্ট নির্মাণ করি। ভারতের পাকুর ব্যান্ডের পাথর আমরা আমদানি করি। এই পাথর আমাদের রাজশাহীর বর্ডার থেকে খুব বেশি দূরে নয়। ভারতের ধুলিয়ান থেকে বিহারের পাকুর খুব বেশি দূরে নয়। এই পাথর যদি আমরা বার্জে করে নদী পথে আনতে পারি রাজশাহীতে খুব সহজে তা ঢাকা পর্যন্ত বার্জে করে পৌঁছে দেয়া যাবে। এতে করে আমাদের আমদানি ব্যয় ও উৎপাদন খরচ কমবে। এই কাজটি করা খুবই সহজ। সামান্য কিছু স্থানে পদ্মা নদীর ড্রেজিং প্রয়োজন। আপাতত শুধুমাত্র একটি কাস্টমস হাইজ এবং একটি জেটি করলেই এই বন্দরটি চালু করা সম্ভব।

রাসিক মেয়র বলেন, রাজশাহী কৃষি প্রধান অঞ্চল। এখানে কৃষিপণ্য নির্ভর শিল্প-কারখানা প্রতিষ্ঠা করা সম্ভব। এখানে একটি পুর্নাঙ্গ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় হওয়া খুবই দরকার। কৃষি বিশ^বিদ্যালয় হলে কৃষি নির্ভর রাজশাহীতে এ বিষয়ে রিসার্চ হবে। যা কৃষিতে উচ্চ ফলনশীল জাতের বীজ উদ্ভাবনে ভূমিকা রাখবে। কৃষির মাধ্যমে এই অঞ্চলের অর্থনীতিকে বৃদ্ধি করা সম্ভব হবে।

অনুষ্ঠানে ধন্যবাদ জ্ঞাপন করে বক্তব্য দেন বিশিষ্ট সমাজসেবী ও নারীনেত্রী শাহীন আকতার রেণী। অনুষ্ঠানের সমাপনী ঘোষণা করেন রাসিকের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা ড. এবিএম শরীফ উদ্দিন।

অনুষ্ঠান মঞ্চে উপবিষ্ট ছিলেন রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য প্রফেসর গোলাম সাব্বির সাত্তার, রাজশাহী জেলা প্রশাসক আব্দুল জলিল, রাজশাহী মেট্রোপলিটন পুলিশ কমিশনার আবু কালাম সিদ্দিক, বাংলাদেশ শিশু একাডেমির মহাপরিচালক আনজীর লিটন, সাংবাদিক রাশেদ চৌধুরী প্রমুখ।

অনুষ্ঠানে সাবেক প্রধান বিচারপতি এ.বি. এম খায়রুল হক বলেন, ত্রিশ লক্ষ শহীদের রক্তের আখরে লেখা আমাদের সংবিধান। সংবিধান নিয়ে যেভাবে কাটাছেড়া করা হয়েছে, তা কষ্টের। আপনারা খেয়াল রাখবেন, এই সংবিধানটা যেন আমরা আমাদের বক্ষে ধারণ করি, এটাকে প্রটেক্ট করি।

তিনি আরও বলেন, রাজশাহীতে ২০১৫ সালে এক বার এসেছিলাম। এবার এসে দেখছি আমূল পরিবর্তন। রাজশাহীর দৃশ্যমান এই উন্নয়ন প্রমাণ করে দেশ এগিয়ে যাচ্ছে।

সাবেক গভর্নর অধ্যাপক ড. আতিউর রহমান বলেন, রাজশাহী সবুজে বিবর্তিত। নিজ চোখে দেখে যেতে পারলাম কী করে একটি নগর জীবন্ত ও সজীব হয়ে ওঠেছে। পুরো দেশ ঘুরে দেখুন এমন পরিচ্ছন্ন ও সুবজ নগরী গড়ে তুলতে পারছি না। রাজশাহী সবুজ ও গণমুখী নগর হিসেবে গড়ে উঠছে। জীবন আর শিক্ষা কখনো আলাদা হতে পারে না।

তিনি আরও বলেন, বাংলাদেশে দুর্ভিক্ষ আর কোনদিন হবে না। কারণ মানুষের এখনো পণ্য ক্রয়ের সক্ষমতা রয়েছে। গ্রামের কৃষি শ্রমিকরা এখন প্রতিদিন ৫০০ থেকে ৬০০ টাকা আয় করেন। দুর্ভিক্ষ শুধুমাত্র উৎপাদনহীনতার জন্য হয় না, মানসিকতার জন্যই দুর্ভিক্ষ হয়। সবার আগে মানসিকতার ইতিবাচক পরিবর্তন প্রয়োজন।

প্রখ্যাত সাংবাদিক আবেদ খান বলেন, রাজশাহীর প্রতি পদে পদে ইতিহাস কথা বলে। রাজশাহীর গম্ভীরা দেশের সংস্কৃতির অঙ্গনে আলাদা মাত্রা এনে দিয়েছে। যতবার এই রাজশাহীতে এসেছি এই শহরের প্রতি ভালোবাসা ততোই বেড়েছে। রাজশাহী প্রতিটি গুণিমানুষের জন্য নগর উদ্যান। রাজশাহী সবুজ চিরতরুণ নগরী।

মেয়র কর্তৃক সংবর্ধনার জন্য কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করে অধ্যাপক রতন সিদ্দিকী বলেন,  ১৮৯২ এর নভেম্বরে রাজশাহী শহরে এসেছিলেন রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর। এরপর ১৯২৮ সালে আরেকবার আসেন। তিনি যতবার রাজশাহী এসেছেন ততবার তিনি রাজশাহী দেখে মুগ্ধ হয়েছেন, তার মন ভালো হয়েছে। রাজশাহীর ঐতিহ্য শিক্ষা নগরীর ঐতিহ্য। অক্ষয়কুমার মৈত্রেয় রাজশাহীর সন্তান। ইতিহাস ঐতিহ্যের নগরী রাজশাহী। এই ভূমিতে জন্মেছেন রাজশাহীর কৃতি সন্তান শহীদ এএইচএম কামারুজ্জামান হেনা। রাজশাহীকে বিশ^দরবারে তুলে ধরতে এই মানুষটি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখেছিলেন।

অনুষ্ঠানে বীর মুক্তিযোদ্ধাবৃন্দ, বিচারকবৃন্দ, বিশিষ্ট নাগরিকবৃন্দ, প্রশাসনের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাবৃন্দ, সরকারি ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাবৃন্দ, নাগরিক সমাজ ও ব্যবসায়ী নেতৃবৃন্দ, চিকিৎবৃন্দ, আইনজীবীবৃন্দ, রাজশাহী সিটি কর্পোরেশনের কাউন্সিলরবৃন্দ ও বিভাগীয় প্রধানগণ, সামাজিক, সাংস্কৃতিক ও ক্রীড়া সংগঠনের নেতৃবৃন্দ, বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের ঊর্ধ্বতন ও শিক্ষকবৃন্দ, স্কুল ও কলেজের প্রধানগণ, গণমাধ্যমকর্মীবৃন্দ প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।

অনুষ্ঠান শুরুর পূর্বে নগর ভবনের প্রধান ফটকে পৌঁছালে সংবর্ধিত গুণীজনদের বর্ণিল আয়োজনে বরণ করে নেওয়া হয়। নৃত্য ও গানে গানে তাঁদেরকে সংবর্ধনা মঞ্চে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে স্বাগত নৃত্য পরিবেশন করেন ধ্রুপদালোকে।

এর আগে শুক্রবার সকালে নগরী সিএন্ডবি মোড়ে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিুবর রহমানের ম্যুরালে এবং কাদিরগঞ্জে জাতীয় চার নেতার অন্যতম শহীদ এএইচএম কামারুজ্জামানের সমাধিতে শ্রদ্ধা নিবেদন করেন সংবর্ধিত গুণীজনরা। এ সময় রাসিক এ.এইচ.এম খায়রুজ্জামান লিটন ও মেয়রপত্নী বিশিষ্ট সমাজসেবী শাহীন আকতার রেণী  সহ অন্যান্যরা উপস্থিত ছিলেন।

এর আগে শুক্রবার সকাল ১০টায় সংবর্ধিত গুণীজনেরা বিমানযোগে রাজশাহীতে পৌঁছান। হযরত শাহ মখদুম বিমানবন্দরে গুণীজনদের ফুলেল শুভেচ্ছায় স্বাগত জানান রাসিক মেয়র এএইচএম খায়রুজ্জামান লিটন ও মেয়রপত্নী বিশিষ্ট সমাজসেবী শাহীন আকতার রেণী।

শুক্রবার বিকেলে নগরীর টি-বাধ পরিদর্শন ও পদ্মায় নৌভ্রমণে যোগ করেন সংবর্ধিত গুণীজনেরা। সন্ধ্যায় সার্কিট হাউজে আয়োজিত সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান উপভোগ করেন অতিথিরা। এরপর রাত সাড়ে ৮টায় নগর পরিভ্রমণ করেন তাঁরা।

আগামীকাল শনিবার (২৬ নভেম্বর) সকাল ১০টায় বরেন্দ্র জাদুঘর পরিদর্শন, বেলা ১১টা ৪০ মিনিটে রাজশাহী কলেজ পরিদর্শন, ১২টা ১৫ মিনিটে সরকারি রেশম কারখানা পরিদর্শন এবং দুপুর ১টায় রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় পরিদর্শন করবেন সংবর্ধিত গুণীজনেরা। বিকেলে বিমানযোগে তাঁরা রাজশাহী ত্যাগ করবেন।

রাজশাহী সিটি কর্পোরেশন  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড বাংলাদেশ

সিরাজগঞ্জে দু’টি তাঁত ফ্যাক্টরিতে আগুন

প্রকাশ: ১০:০০ এএম, ১২ মে, ২০২৪


Thumbnail সিরাজগঞ্জে আগুনে ভষ্মিভূত দু’টি তাঁত ফ্যাক্টরী

সিরাজগঞ্জের বেলকুচিতে দুটি তাঁত কারখানায় অগ্নিকান্ডের ঘটনা ঘটেছে। এতে প্রায় অর্ধকোটি টাকা ক্ষতি হয়েছে বলে মালিক পক্ষ দাবি করেছে। নিবার্চন পরবর্তী সহিংসতায় কারনে এমন ঘটনা ঘটাতে পারে বলে মনে করছেন ফ্যাক্টরি মালিক পক্ষ। তাদের ধারনা গত ৮ মে অনুষ্ঠিত উপজেলা নির্বাচনে দোয়াত কলম প্রতীকের পক্ষে নিবার্চন করায় এমন ঘটনা ঘটাতে পারে প্রতিপক্ষ।

 

এঘটনায় ফ্যাক্টরিতে থাকা ৩২ টা বিদ্যুতিক পাওয়ারলুমসহ দুটি ফ্যাক্টরি ঘর পুরে ভস্মীভূত হয়ে যায়। এলাকাবাসী ও বেলকুচি ফায়ার সার্ভিসের ইউনিট প্রায় দুই ঘণ্টা চেষ্টার পর আগুন নিয়ন্ত্রণে আসে।

 

ক্ষতিগ্রস্ত কারখানার মালিকের দাবি এতে তার প্রায় অর্ধকোটি টাকার ক্ষতি হয়েছে। গত শুক্রবার (১০ মে) রাতে বেলকুচি দৌলতপুর ইউনিয়নের আজুগড়া জামাতমোড় এলাকার হাজী মোতালেব মুন্সীর তাঁত ফ্যাক্টরিতে এ ঘটনা ঘটে। তবে কিভাবে অগ্নিকান্ডের ঘটনা ঘটেছে তার সঠিক কারণ জানা যায়নি।

 

এলাকাবাসী সূত্রে জানা যায়, আনুমানিক রাত দেড়টায় হঠাৎ মোতালেব মুন্সীর বাড়ির তাঁত ফ্যাক্টরি ঘরে অগ্নিকান্ডের লেলিহান শিখা দেখতে পান। পরে বেলকুচি ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্সের কর্মীরা প্রায় দুই ঘণ্টা চেষ্টার পর আগুন নিয়ন্ত্রণে আনেন।

 

বেলকুচি ফায়ার সার্ভিসের ষ্টেশন ইনচার্জ নাসির উদ্দিন বলেন, ‘রাত দেড়টার দিকে খবর আসে আমরা খবর পাওয়ার মাত্র আমাদের ইউনিট নিয়ে ঘটনাস্থলে যাই।’

 

রাত প্রায় ৪টার দিকে আগুন নিয়ন্ত্রনে আসে। প্রাথমিক ভাবে ধারনা করা হচ্ছে বিদ্যুতিক সটসার্কেট থেকে আগুনের সুত্রপাত হতে পারে। তবে কি ভাবে হয়েছে তা নিশ্চিত করতে তদন্ত করছে পুলিশ।

এ ব্যাপারে বেলকুচি থানার ওসি আনিছুর রহমান জানান, ‘আমরা ঘটনা জানার পর আমাদের ফোর্স নিয়ে উপস্থিত হই। ফায়ার সার্ভিস এসে দুই ঘন্টার চেস্টায় আগুন নিয়ন্ত্রনে আনে। আগুন কিভাবে লাগছে এখনো বোঝা যাচ্ছে না। ফ্যাক্টরি মালিক একটি অভিযোগ করেছে। তবে এখনই কত টাকার ক্ষতি হয়েছে তা বলা যাচ্ছে না। এটি তদন্ত করে জানা যাবে।' 


তাঁত ফ্যাক্টরি   আগুন  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড বাংলাদেশ

মাদরাসা ছাত্রের ওপর শিক্ষকের এ কেমন বর্বরতা!


Thumbnail

একদিন মাদরাসায় না যাওয়ায় অভিযোগে সুনামগঞ্জের তাহিরপুরে দারুল আযহার বাদাঘাট ক্যাডেট মাদরাসার এক শিক্ষক বেত দিয়ে বেধরকভাকে মারপিট করেছে ১৩ বছরের এক ছাত্রকে। শরীরের বিভিন্ন স্থানে নির্যাতনের চিহ্ন নিয়ে নৌরভ হাসান নামে নামের ওই শিশুটিকে শনিবার (১১ মে) সন্ধ্যায় স্থানীয়ভাবে প্রাথমিক চিকিৎসাসেবা দেয়া হয়েছে। নৌরভ উপজেলার কামড়াবন্দ গ্রামের বাসিন্দা নিজাম উদ্দিনের ছেলে। 

মাদরাসা ছাত্রের বাবা নিজাম উদ্দিন জানান, ‘ছেলেকে হাফেজ তৈরির আশায় ওই মাদরাসায় দেয়া হয়। সেখানে পড়াকালীন সময়ে সে মাদরাসায় অনুপস্থিত থাকত না, শুধু শুক্রবার (১০ মে) রাতেই মাদরাসায় যায়নি। শুক্রবার রাতে সে মাদরাসায় না যাওয়ায় পরদিন শনিবার (১১ মে) বেলা ১১টায় সে মাদরাসায় গেলে মাদরাসা শিক্ষক হাফেজ সায়েম তাকে বেত (জালিবেত) দিয়ে বেধরকভাবে পিঠিয়ে শরীরের দুই হাত-পা-পিঠে জখম করে মাদরাসায় তিন ঘন্টা আটকে রাখেন।

শনিবার (১১ মে) বিকালে খবর পেয়ে তিনি মাদরাসায় গিয়ে দেখতে পান ছেলে কান্নাকাটি করছে। সময় তার কাছে শিক্ষকদের নির্যাতনের বর্ণনা শুনেন। তার শরীরের বিভিন্ন স্থানে ওই শিক্ষকের নির্যাতনের চিহ্ন দেখে দ্রুত স্থানীয়ভাবে প্রাথমিক চিকিৎসার ব্যবস্থা করেন। ব্যাপারে তিনি আইনের আশ্রয় নেবেন বলে জানান।

বিষয়ে শিশু নৌরভ জানান, ‘মাদরাসার হাফেজ সায়েম হুজুরের মারপিঠের ভয়েই আমি শুক্রবার রাতে মাদরাসায় যাইনি। তিনি শুধু আমাকেই না প্রায়ই অনেক ছাত্রকেই বেধরকভাবে বেত দিয়ে মারধর করেন।’

অভিযুক্ত শিক্ষক হাফেজ সায়েম জানান, ‘মাদরাসায় শুক্রবার রাতে না আসা পরদিন বিলম্ভে মাদরাসায় আসায় আমি রাগের মাথায় তাকে কিছুটা বেশী শাসন করেছি।

বিষয়ে তাহিরপুর থানার ওসি মোহাম্মদ নাজিম উদ্দিন জানান, ‘মাদরাসা ছাত্রের পরিবারের পক্ষ থেকে লিখিত অভিযোগ দিলে আমরা অবশ্যই আইনি ব্যবস্থা নেব।


মাদ্রাসা শিক্ষক   ছাত্র   নির্যাতন  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড বাংলাদেশ

সিলেটে আনোয়ার-আরিফের বৈঠক নিয়ে ধূম্রজাল

প্রকাশ: ০৯:১৫ এএম, ১২ মে, ২০২৪


Thumbnail

সিলেট মহানগরীতে নতুন গৃহকর নিয়ে কয়েকদিন ধরে্‌ই ব্যাপক আলোচনা-সমালোচনা চলছে। নগরীর বাড়িওয়ালাদের এক ধরনের তোপের মুখে রয়েছেন সিটি মেয়র আনোয়ারুজ্জামান চৌধুরী।এ পরিস্থিতিতে ‘গোপন বৈঠক’ করেছেন সিলেটের বর্তমান ও সাবেক মেয়র।

শুক্রবার (১০ মে) বিকেলে নগরীর চৌহাট্টা এলাকায় একটি স্থানীয় পত্রিকা অফিসে এ বৈঠক হয়। এ ‘গোপন বৈঠক’ নিয়ে নতুন করে আলোচনায় এসেছেন সিলেট সিটি করপোরেশনের (সিসিক) বর্তমান মেয়র আনোয়ারুজ্জামান চৌধুরী ও সাবেক মেয়র আরিফুল হক চৌধুরী। যদিও তারা এটিকে সৌজন্য সাক্ষাৎ বলছেন।

তবে সূত্র বলছে, নতুন নির্ধারিত গৃহকর নিয়ে উদ্ভূত পরিস্থিতি থেকে উত্তরণে নিজেদের মধ্যে আলোচনা করতেই এ বৈঠকে বসেছিলেন। বর্তমান মেয়র আনোয়ারুজ্জামানের হাত ধরে নতুন গৃহকর বাস্তবায়ন হলেও ২০১৯-২০ সালে মাঠপর্যায়ে অনুসন্ধান শেষে হোল্ডিং সংখ্যা পুনর্নির্ধারিত করা হয়েছিল। সেসময় সিসিকের দায়িত্বে ছিলেন আরিফুল হক চৌধুরী।

যে কারণে নতুন গৃহকর নিয়ে কেউ বলছেন বিদায়ী মেয়র আরিফুল হক চৌধুরী দায়িত্ব হস্তান্তরের আগে গৃহকর নির্ধারণ করেছেন। আবার কেউ কেউ বলছেন, বিদায়ী মেয়রের স্থগিত রাখা গৃহকরের সিদ্ধান্ত বাস্তবায়ন করে সমালোচনার মুখে পড়েছেন নতুন মেয়র মো. আনোয়ারুজ্জামান চৌধুরী।

এর আগে পঞ্চবার্ষিক কর পুনর্মূল্যায়নের পর গত ৩০ এপ্রিল থেকে নতুন নির্ধারিত বার্ষিক গৃহকর (হোল্ডিং ট্যাক্স) অনুযায়ী ভবনমালিকদের গৃহকর পরিশোধের নোটিশ দেওয়া শুরু করে সিলেট সিটি করপোরেশন। এরপর নগরের প্রায় পৌনে এক লাখ ভবনমালিকের গৃহকর ৫ থেকে ৫০০ গুণ পর্যন্ত বাড়ানো হয়েছে বলে অভিযোগ উঠে। এ নিয়ে নগরবাসীর মধ্যে দেখা দিয়েছে ক্ষোভ ও অসন্তোষ। এটি বাতিলের দাবিতে প্রতিদিনই বিভিন্ন সংগঠন প্রতিবাদ কর্মসূচি পালন করে যাচ্ছে।

এ পরিস্থিতিতে শুক্রবার বিকেলে সিলেটের স্থানীয় একটি পত্রিকা অফিসে গোপনে বৈঠকে বসেন বর্তমান মেয়র আনোয়ারুজ্জামান চৌধুরী ও সাবেক মেয়র আরিফুল হক চৌধুরী। এ সময় তারা গৃহকর নিয়ে উদ্ভূত পরিস্থিতি মোকাবিলায় একান্তে কথা বলেন।

বৈঠকের বিষয়ে বর্তমান মেয়র আনোয়ারুজ্জামান চৌধুরী বলেন, ‘এটি একটি সৌজন্য সাক্ষাৎ ছিল। সাক্ষাৎকালে নগরীর বিভিন্ন বিষয়সহ গৃহকর নিয়েও আলোচনা হয়েছে। নাগরিক থেকে শুরু করে সুশীল সমাজসহ সবার সঙ্গে আলোচনা করেই গৃহকর পুনরায় নির্ধারণ করা হবে।’


সিলেট   আনোয়ার   আরিফ   ধূম্রজাল  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড বাংলাদেশ

আজ বিশ্ব মা দিবস

প্রকাশ: ০৮:৫২ এএম, ১২ মে, ২০২৪


Thumbnail

আজ রোববার (১২ মে) সারা বিশ্বে পালন করা হচ্ছে মা দিবস। এই দিনটি মাকে বিশেষভাবে ভালোবাসা এবং শ্রদ্ধা জানানোর দিন। প্রতি বছর মে মাসের দ্বিতীয় রোববার পালন করা হয় বিশ্ব মা দিবস।

মাকে নিয়ে দারুণ কবিতা লিখেছেন বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর। তিনি লুকোচুরি নামক কবিতায় বলেছেন, ‍আমি যদি দুষ্টুমি করে চাঁপার গাছে চাঁপা হয়ে ফুটি, ভোরের বেলা মা গো, ডালের পরে কচি পাতায় করি লুটোপুটি, তবে তুমি আমার কাছে হারো, তখন কি মা চিনতে আমায় পারো। তুমি ডাক, খোকা কোথায় ওরে।

মা-পৃথিবীর মধুরতম ডাক। মা শব্দের অতলে লুকানো গভীর স্নেহ, মমতা আর পৃথিবীর সবচেয়ে অকৃত্রিম ভালোবাসা। শৈশব থেকে আনন্দ-বেদনা-ভয় কিংবা উদ্দীপনা-প্রতিটি মানবিক অনুভূতিতে জড়িয়ে থাকে মায়ের নাম। জন্ম থেকে মৃত্যু পর্যন্ত মানুষের সবশেষ আশ্রয়স্থল মমতাময়ী মায়ের আঁচল।

বিশেষ এই দিবসটি কীভাবে এলো তা হয়তো অনেকেরই অজানা। ইতিহাস বলছে, অনেক পথ পেরিয়ে এই দিবসটি নতুন রূপ পেয়েছে। ধারণা করা হয়, মা দিবসের সূচনা প্রাচীন গ্রিসের মাতৃরূপী দেবী সিবেলের এবং প্রাচীন রোমান দেবী জুনোর আরাধনা থেকে।

এ ছাড়া ইউরোপ ও যুক্তরাজ্য অনেক আগে থেকেই মায়েদের এবং মাতৃত্বকে সম্মান জানানোর জন্য একটি নির্দিষ্ট রোববারকে বেছে নিয়েছিল। ষোড়শ শতকে এটি ইংল্যান্ডে মাদারিং সানডে বলে পরিচিতি লাভ করে।

তবে ইতিহাসবিদদের মতে, জুলিয়া ওয়ার্ড হোই রচিত "মাদার্স ডে প্রক্লামেশন" বা "মা দিবসের ঘোষণাপত্র" মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে মা দিবস পালনের গোড়ার দিকের প্রচেষ্টাগুলোর মধ্যে অন্যতম।

১৮৭০ সালে আমেরিকার গৃহযুদ্ধের পৈশাচিকতার মাত্রা ছাড়িয়ে গেলে শান্তির প্রত্যাশায় জুলিয়া একটি ঘোষণাপত্র লেখেন। এরপর যুদ্ধ শেষে পরিবারহীন অনাথদের সেবায় ও একত্রীকরণে নিয়োজিত হন মার্কিন সমাজকর্মী আনা রিভিজ জার্ভিস ও তার মেয়ে আনা মেরি জার্ভিস।

এ সময় তারা জুলিয়া ওয়ার্ড ঘোষিত মা দিবস পালন করতে শুরু করেন। কিন্তু শারীরিক অসুস্থতার কারণে আনা রিভিজ জার্ভিস ১৯০৫ সালের ৫ মে মারা যান।

মায়ের মৃত্যুর পর আনা মেরি জার্ভিস মায়ের শান্তি কামনায় ও তার সম্মানে সরকারিভাবে মা দিবস পালনের জন্য প্রচারণা চালান। তিন বছর পর ১৯০৮ সালের ১০ মে পশ্চিম ভার্জিনিয়ার আন্দ্রেউজ মেথডিস্ট এপিসকোপাল চার্চে আনুষ্ঠানিকভাবে প্রথম মা দিবস পালন হয়।

এরপর ১৯১২ সালে এই দিবসটিকে জাতীয় ও আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি দেওয়ার জন্য ব্যাপক প্রচার শুরু হয়। এই প্রচার ধীরে ধীরে ছড়িয়ে পড়ে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রসহ কানাডা, মেক্সিকো, চীন, জাপান, দক্ষিণ আমেরিকা ও আফ্রিকায়।

এই প্রচারের পরিপ্রেক্ষিতে ১৯১৪ সালে তৎকালীন মার্কিন প্রেসিডেন্ট উড্রো উইলসন মে মাসের দ্বিতীয় রোববারকে মা দিবস ও জাতীয় ছুটির দিন হিসেবে ঘোষণা করেন। এরপর থেকেই প্রতিটি দেশে মায়েদের সম্মান ও শ্রদ্ধা জানানোর জন্য এই দিনটি উৎসর্গ করা হয়। দেশে দেশে পালন করা হয় বিশ্ব মা দিবস। 


বিশ্ব   মা  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড বাংলাদেশ

রংপুর মেডিকেলের আইসিইউতে আগুন

প্রকাশ: ১১:০৬ পিএম, ১১ মে, ২০২৪


Thumbnail

রংপুর মেডিকেল কলেজ (রমেক) হাসপাতালের আইসিইউ ইউনিটের ৩ নম্বর এসিতে বিদ্যুতের শর্টসার্কিট থেকে আগুনের ঘটনা ঘটেছে।

শনিবার (১১ মে) বিকেল ৪টার দিকে এ ঘটনা ঘটে। এতে প্রায় আধা ঘণ্টা বিদ্যুৎহীন ছিল ওয়ার্ডটি। তবে, বড় ধরনের কোনো দুর্ঘটনা ঘটেনি।

ওই ওয়ার্ডের দায়িত্বরত সিকিউরিটি গার্ড হায়দার আলী বলেন, ‘এখানে বিদ্যুতের শর্টসার্কিট হয়। সঙ্গে সঙ্গে আমরা সেটা নিয়ন্ত্রণ করি।’

হাসপাতালের ওই ওয়ার্ডে ভর্তি রোগীর স্বজন সজল জানান, বিকেলে কিছুক্ষণের জন্য বিদ্যুৎ চলে যায়। পরে আবার চলে আসে। এখন কোনো সমস্যা নাই।

একাধিক রোগীর স্বজন জানান, হাসপাতালে তেমন কোনো ঘটনা ঘটেনি।

আইসিইউ ওয়ার্ডের ইনচার্জ জামাল উদ্দিন মিন্টু জানান, ৩টা ৫৫ মিনিটে ওই ওয়ার্ডের ৩ নম্বর এসির সার্কিট পুড়ে যায়। সঙ্গে সঙ্গে সেটি বন্ধ করে জরুরি লাইন চালু করা হয়। মেইন লাইন থেকে বিদ্যুৎ আধা ঘণ্টা বন্ধ ছিল। এখন সব কিছু ঠিক আছে।

এ বিষয়ে রংপুর ফায়ার সার্ভিসের সহকারী পরিচালক বাদশা আলম কালবেলাকে বলেন, ‘অগ্নিসংযোগের ঘটনা আমরা জানি না।’


আগুন   রমেক  


মন্তব্য করুন


বিজ্ঞাপন