ইনসাইড বাংলাদেশ

জানুয়ারিতেই গাড়ি চলবে চট্টগ্রামের কর্ণফুলী টানেলে

প্রকাশ: ০৯:০০ পিএম, ২৫ নভেম্বর, ২০২২


Thumbnail

জানুয়ারির শেষ নাগাদ অর্থাৎ ২০২৩ সালের শুরুতে গাড়ি চলবে চট্টগ্রামের কর্ণফুলী টানেলে।
স্বপ্ন নয় সত্যি; গাড়ি নিয়ে কর্ণফুলী নদীর একপাড় দিয়ে প্রবেশ করে অন্যপাড় দিয়ে উঠার সময় ঘনিয়ে এসেছে।  উদ্বোধন করা হচ্ছে স্বপ্নের বঙ্গবন্ধু টানেল।

যদিও এ বছরের অক্টোবরে তা উদ্বোধন করার কথা ছিলো কিন্তু বৈশ্বিক সংকট ও করোনার কারণে তা সম্ভব হয়নি। তবে আগামী জানুয়ারিতে আনুষ্ঠানিক উদ্বোধনের আগেই এবং আগামীকাল ২৬ নভেম্বর সম্পূর্ণ হওয়া দ্বিতীয় টিউবেরও ভার্চুয়ালি উদ্বোধন করবেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। 

শুক্রবার (২৫ নভেম্বর) দুপুরে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান টানেলের পতেঙ্গা প্রান্তরে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে এসব কথা বলেন প্রধানমন্ত্রী কার্যালয়েরর মূখ্য সচিব ড, কায়কাউস। 

তিনি বলেন, ‘অর্থনৈতিক ভিত্তি মজবুত করার জন্য অবকাঠামো উন্নয়ন প্রয়োজন। সেই অবকাঠামো উন্নয়নের চূড়ান্ত মাইলফলক কর্ণফুলীর তলদেশে নির্মাণাধীন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান টানেল। প্রধানমন্ত্রী ১০০টি অর্থনৈতিক অঞ্চল করেছেন। সেখানে দেশীয় বিনিয়োগ আছে, বিদেশি বিনিয়োগও আছে। দেশীয় উৎপাদন বাংলাদেশ সর্বত্র ছড়িয়ে যাবে, ঠিক বিদেশেও ছড়িয়ে যাবে। সেজন্য দরকার হচ্ছে আমাদের রাস্তাঘাট, ব্রিজ এবং বন্দর। মাতারবাড়ির সঙ্গে নিবিড় সম্পর্ক আছে। এ টানেলের কারণে ঢাকা থেকে কক্সবাজারে যাওয়ার ৪০ কিলোমিটার রাস্তা কমে যাবে। সময় বাঁচবে, যোগাযোগ দ্রুত হবে। যারা কাজ করে তাদের সময় বাঁচা মানে খরচ কমে যাওয়া। এই টানেল বাংলাদেশের বিশাল অর্জন।’

প্রধানমন্ত্রী কার্যালয়ের মুখ্যসচিব ড. আহমদ কায়কাউস আরও বলেন, ‘বাংলাদেশে আইএমএফ দল এসে প্রতিটি সেক্টর পর্যালোচনা করে দেখেছে, যদি মার্কিংয়ের হিসেব করা হয় তাহলে বাংলাদেশ পেয়েছে এ প্লাস। এই যে এ প্লাস পেয়েছে এটা কিন্তু এক দিনে হয়নি। বিভিন্ন নীতি, পদ্ধতি এবং উন্নয়নমূলক কাজের ফলাফলের হিসেবে সেটা হয়েছে। আমরা উন্নয়নশীল দেশ হচ্ছি। উন্নয়নশীল দেশ হওয়ার জন্য যেসব নীতি, কৌশল নেওয়ার কথা সেটা ইতিমধ্যে প্রণীত হয়েছে। আইএমএফের দল সেটি দেখে ইমপ্রেস হয়েছে।’

নিজের উচ্ছ্বাসের কথা প্রকাশ করে চট্টগ্রামের এ সন্তান বলেন, ‘এই যে স্টেপ বাই স্টেপ এগিয়ে যাওয়া, তার একটা নবদিগন্ত বা নতুন মাত্রা যুক্ত করেছে কর্ণফুলী টানেল। আমি আজ টিউবের মাঝখান দিয়ে এসেছি। একটু আগে শাহ আমানত ব্রিজ পার হয়েছিলাম। সারা জীবন আমাদের কল্পনা ছিল নদী পার হতে হলে উপর দিয়ে যেতে হবে, নৌকা দিয়ে যেতে হবে, না হলে একটা ব্রিজ দিয়ে যেতে হবে। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের স্বপ্নের বাংলাদেশ নির্মিত হচ্ছে। আমার বাড়ি পটিয়া, সেখান থেকে কর্ণফুলী টানেল দিয়ে এসেছি। এটা গর্ব করার মতো একটা বিষয়।’ 

এ সময় সেতু বিভাগের সচিব মো. মনজুর হোসেন, টানেলের প্রকল্প পরিচালক প্রকৌশলী হারুনুর রশিদ প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।

গত ৭ নভেম্বর সকালে গণভবন থেকে দেশের ২৫ জেলায় ১০০টি সেতুর উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা কর্ণফুলী টানেল দেখার আগ্রহের কথা জানিয়েছিলেন। 

ওই সময় গণভবনে প্রধানমন্ত্রীর সামনে থাকা সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘মাননীয় প্রধানমন্ত্রী আপনার অনুমতি নিয়ে আমি একটি কথা বলতে চাই। ১৬ ডিসেম্বরের আগেই মতিঝিল পর্যন্ত মেট্রোরেলের নির্মাণকাজ শেষ হবে। এরপর ২৬ নভেম্বরের মধ্যে বঙ্গবন্ধু টানেলের দ্বিতীয় টিউবের কাজও সম্পূর্ণ হবে। আমরা টিউবের উদ্বোধনটা আপনাকে দিয়ে করাতে চাই। যেটি আপনি ভার্চুয়ালি উদ্বোধন করবেন বলে আশা করি।’

এসময় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, ‘আমি করব তো। আমি সেখানে যাব না? দেখে আসব না?’

তখন সেতু মন্ত্রী বলেন, ‘টানেল উদ্বোধন করা হবে ডিসেম্বরের শেষের দিকে বা জানুয়ারির প্রথম সপ্তাহে। আপনি অবশ্যই যাবেন। তবে টিউবটা আপনি ভার্চুয়ালি উদ্বোধন করে দিবেন।’ 

ধারণা করা হচ্ছে, আগামী ৪ ডিসেম্বর চট্টগ্রামের পলোগ্রাউন্ডে আওয়ামী লীগের জনসভায় যোগ দিতে আসলে হয়তো প্রধানমন্ত্রী পতেঙ্গায় নির্মিত বঙ্গবন্ধু টানেলের নির্মাণ কাজের অগ্রগতি পরির্দশন করতে পারেন। 

টানেলের দুটি টিউবের নির্মাণকাজ শেষে এখন শেষ পর্যায়ে ভায়াডাক্ট, অ্যাপ্রোচ সড়ক, টানেলের অভ্যন্তরে সড়ক নির্মাণ, পিচ ঢালাই, ইউটিলিটি সার্ভিস সংযোজন, তিনটি ক্রসিং প্যাসেজ সংযোজনের কাজ। এছাড়া শতভাগ ভূমি অধিগ্রহণ কাজ সম্পন্ন করে সার্ভিস এরিয়া ও পুনর্বাসন কার্যক্রম বাস্তবায়ন করার কাজ চলছে। 

প্রকল্প সূত্রে জানা যায়, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান টানেল নির্মাণে ব্যয় ধরা হয়েছে ১০ হাজার ৩৭৪ কোটি টাকা। চীনের এক্সিম ব্যাংক ২ শতাংশ হার সুদে ৫ হাজার ৯১৩ কোটি টাকা অর্থায়ন করছে। বাংলাদেশ সরকার ৪ হাজার ৪৬১ কোটি টাকার জোগান দিচ্ছে। ২০১৯ সালের ২৪ ফেব্রুয়ারি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা টানেল বোরিং কাজের উদ্বোধন করেন। ২ হাজার ৪৫০ মিটার দৈর্ঘ্যরে প্রথম টানেল টিউবের রিং প্রতিস্থাপনসহ বোরিংয়ের কাজ ২০২০ সালের ২ আগস্ট শেষ হয়েছে। এর পর ওই বছরের ১২ ডিসেম্বর ২ হাজার ৪৫৯ মিটার দৈর্ঘ্যরে দ্বিতীয় টানেল টিউবের বোরিং কাজের উদ্বোধন করেন সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের।

টানেলে গাড়ি চলাচল শুরু হলে ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন অঞ্চল থেকে আসা কক্সবাজার ও দক্ষিণ চট্টগ্রামগামী গাড়িগুলোকে আর নগরে প্রবেশ করতে হবে না। চট্টগ্রাম সিটি আউটার রিং রোড হয়ে টানেলের মাধ্যমে দ্রুত সময়ের মধ্যে গন্তব্যে পৌঁছাতে পারবে। ফলে চট্টগ্রাম নগরেও যানবাহনের চাপ কমে যাবে। এ টানেল রক্ষণাবেক্ষণ ও টোল আদায়ে অপারেটর হিসাবে চায়না কমিউনিকেশনস কনস্ট্রাকশন কোম্পানি লিমিটেড (সিসিসিসি) দায়িত্ব দেওয়া হচ্ছে। 

২০০৮ সালে সংসদ নির্বাচনের আগে চট্টগ্রামের লালদীঘি মাঠে নির্বাচনী সমাবেশে এ টানেল নির্মাণের প্রতিশ্রুতি দেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। ওই বছরই আওয়ামী লীগ নির্বাচিত হয়ে ক্ষমতায় আসার পর এই টানেল নির্মাণের উদ্যোগ নেওয়া হয়। ২০১৪ সালের জুন মাসে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার চীন সফরকালে দুই দেশের মধ্যে জিটুজি ভিত্তিতে (সরকারের সঙ্গে সরকারের) সমঝোতা স্মারক সই হয়। চীন সরকারই ঠিকাদার সিসিসিসিকে এই টানেল নির্মাণের জন্য মনোনীত করে। এ বিষয়ে ২০১৪ সালের ৩০ জুন সেতু কর্তৃপক্ষ ও সিসিসিসির মধ্যে বাণিজ্যিক চুক্তি সই হয়।

সংশ্লিষ্টরা জানান, এই টানেল নির্মাণকে কেন্দ্র করে চীনের সাংহাই সিটির মতো বন্দর নগরী চট্টগ্রামে গড়ে উঠছে ‘ওয়ান সিটি টু টাউন’। কর্ণফুলী নদীর তলদেশে টানেল নির্মাণকাজ সম্পন্ন হলেই চট্টগ্রাম মহানগরীর পাশাপাশি নদীর অপর তীরে আনোয়ারা-কর্ণফুলী এলাকায় গড়ে উঠবে আরও একটি নতুন শহর। নতুন এই শহরের অবকাঠামো একের পর এক নির্মিত হচ্ছে। টানেলকে ঘিরে বন্দরনগরী চট্টগ্রামে নতুন অর্থনৈতিক সম্ভাবনার দ্বার উন্মোচিত হতে যাচ্ছে। এর পাশাপাশি এই অঞ্চলের যোগাযোগ ব্যবস্থায় এক বৈপ্লবিক পরিবর্তন সূচিত হবে। ৩ দশমিক ৪০ কিলোমিটার দৈর্ঘ্যের মূল টানেলের সঙ্গে পতেঙ্গা এবং আনোয়ারা প্রান্তে ৫ দশমিক ৩৫ কিলোমিটার সংযোগ সড়ক নির্মিত হচ্ছে। সংযোগ সড়ক ও টানেলের ভেতরের সড়ক হবে সর্বমোট ৪ লেনের। এর মধ্যে ওয়ান ওয়ে একটি টানেলে সড়ক থাকবে দুই লেনের।

একটি টিউবের সড়ক দিয়ে আনোয়ারা থেকে পতেঙ্গা অভিমুখী এবং অপর টিউব দিয়ে পতেঙ্গা থেকে আনোয়ারা অভিমুখী যানবাহন চলাচল করবে। কর্ণফুলী নদীর তলদেশে প্রতিটি টিউব চওড়া ১০ দশমিক ৮ মিটার বা ৩৫ ফুট এবং উচ্চতা ৪ দশমিক ৮ মিটার বা প্রায় ১৬ ফুট। একটি টিউব থেকে অপর টিউবের পাশাপাশি দূরত্ব প্রায় ১২ মিটার। টানেলের প্রস্ত ৭০০ মিটার। এবং দৈর্ঘ্য তিন হাজার ৪০০ মিটার।

কর্ণফুলী টানেল  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড বাংলাদেশ

অনলাইনে যাত্রীদের পোর্ট ট্যাক্স আদায় কার্যক্রমের উদ্বোধন


Thumbnail

ভারত ভ্রমণে বাংলাদেশী পাসপোর্টধারীদের যাত্রা সহজ ও ভোগান্তি কমাতে অনলাইনে যাত্রীদের পোর্ট ট্যাক্স আদায়ে বাংলাদেশ বন্দর কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান মোঃ জিল্লুর রহমান চৌধুরী ঢাকা থেকে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে এর কার্যক্রম উদ্ভোধন করেছেন। বেনাপোলসহ বাংলাবান্ধা, বুড়িমারী ও নাকুগাঁও স্থলবন্দরের যাত্রীরা এই সুবিধার আওতায় আসবে বলে তিনি জানান। 

 

আজ রবিবার (১২ মে) বেলা ১২ টার দিকে ওয়েবসাইটের মাধ্যমে এই পোর্ট ট্যাক্স পরিশোধের কার্যক্রম উদ্বোধন করা হয়। ইস্যুর দিন থেকে পরবর্তী ৭ দিন পর্যন্ত এই পোর্ট ট্যাক্সের মেয়াদ থাকবে।

 

যাত্রীদের পোর্ট ট্যাক্সের উদ্বোধন অনুষ্ঠানে ঢাকা হেড অফিসে সভাপতিত্ব করেন বাংলাদেশ স্থলবন্দর কর্তৃপক্ষের সদস্য (ট্রাফিক) মোহাম্মদ জাহাঙ্গীর কবীর।

 

আগে ঘণ্টার পর ঘণ্টা দীর্ঘ লাইনে দাঁড়িয়ে বেনাপোল স্থলবন্দর যাত্রী টার্মিনাল থেকে পাসপোর্টধারীদের পোর্ট ট্যাক্স পরিশোধ করতে হতো। এখন থেকে দেশের যেকোন স্থান থেকে অনলাইনে পোর্ট ট্যাক্স কেটে আসতে পারবেন বলে জানান, বেনাপোল বন্দরের ভারপ্রাপ্ত পরিচালক পরিচালক রেজাউল করিম।

এ সময় ঢাকায় ভিডিও কনফারেন্সে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন জনাব মোল্লা মিজানুর রহমান (যুগ্ম-সচিব), যুগ্ম প্রকল্প পরিচালক ও আইসিটি ডিভিশন সভাপতি, জনাব মোহাম্মদ জাহাঙ্গীর কবীর (যুগ্ম-সচিব) ও সদস্য (ট্রাফিক), বাংলাদেশ স্থলবন্দর কর্তৃপক্ষ এবং বেনাপোলে উপস্থিত ছিলেন বেনাপোল বন্দরের পরিচালক রেজাউল করিম, বেনাপোল চেকপোস্ট ইমিগ্রেশনের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ওসি আযহারুল ইসলাম, বেনাপোল চেকপোস্ট কাস্টম কর্মকর্তারা  গোয়েন্দা সংস্থা ও স্থানীয় সাংবাদিকবৃন্দরা। 


পোর্ট ট্যাক্স   স্থল বন্দর   সহজ যাত্রা  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড বাংলাদেশ

নওগাঁয় আন্তর্জাতিক নার্সেস দিবস-২০২৪ পালিত

প্রকাশ: ০২:৫৪ পিএম, ১২ মে, ২০২৪


Thumbnail নওগাঁয় আন্তর্জাতিক নার্সেস দিবস উপলক্ষে আয়োজিত শোভাযাত্রা

আমাদের নার্স আমাদের ভবিষ্যৎ, অর্থনৈতিক শক্তি, নার্সিং সেবায় ভিত্তিএই শ্লোগানে নওগাঁয় আন্তর্জাতিক নার্সেস দিবস-২০২৪ পালিত হয়েছে।

রবিবার (১২ মে) সকাল ১০ টার দিকে নওগাঁর রুমিয়া নার্সিং ইনস্টিটিউট এর উদ্যোগে দিবসটি উপলক্ষ্যে এক বর্ণাঢ্য শোভাযাত্রা করা হয়।

শোভাযাত্রাটি রুমিয়া নার্সিং ইন্সটিটিউট বকুলতলী হতে শহরের প্রধান প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ শেষে নওগাঁ সদর উপজেলা পরিষদ হলরুমে এসে শেষ হয়। পরে সদর উপজেলা পরিষদ হলরুমে আলোচনা সভা এবং সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়।

আলোচনা সভায় রুমিয়া নার্সিং ইনস্টিটিউটের অধ্যক্ষ রহমাতুল ফাতিমার সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন প্রতিষ্ঠানটির চেয়ারম্যান ডা. ময়নুল হক দুলদুল।

অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন নওগাঁ জেলা প্রেসক্লাবের সাবেক সভাপতি কায়েশ উদ্দিন, বাংলাদেশ মানবাধিকার কমিশন নওগাঁ জেলা শাখার সভাপতি রোটারিয়ান চন্দন কুমার দেব, প্রতিষ্ঠানটির ব্যবস্থাপনা পরিচালক মুরাদ হোসেন, পরিচালক আনতারা ফাহমিদা, কাজী কামাল হোসেন, সম্মিলিত সাংস্কৃতিক জোট নওগাঁ জেলা শাখার সাধারন সম্পাদক মাগফুরুল হাসান বিদ্যুৎ।  

আলোচনা সভা শেষে নার্সেস এর প্রতিষ্ঠাতা মিস ফ্লোরেন্স নাইটিংগেলের ২০৪ তম জন্মবার্ষিকী উপলক্ষ্যে মোমবাতি প্রজ্জ্বলন ও কেক কাটা হয়। এমসয় অত্র প্রতিষ্ঠানের শিক্ষক মন্ডলী শিক্ষার্থী এবং কর্মচারীবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।


আন্তর্জাতিক নার্সেস দিবস   শোভাযাত্রা  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড বাংলাদেশ

সন্তানদের ওপর চাপ প্রয়োগ না করতে অভিভাবকদের প্রতি প্রধানমন্ত্রীর আহ্বান

প্রকাশ: ০২:০০ পিএম, ১২ মে, ২০২৪


Thumbnail

মাধ্যমিক স্কুল সার্টিফিকেট (এসএসসি) ও সমমানের ফলাফল নিয়ে অভিভাবকদের উদ্দেশ্য করে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, ফেল করেছে বলে গালমন্দ করবেন না। ফেল করেছে এতেই তো তাদের মনোকষ্ট। তাদের প্রতি সহানুভূতি দেখাতে হবে। পড়াশোনার দিকে আরও মনোযোগী করতে হবে। গালমন্দ করলে তারা সেটা নিতে পারবে না। এ সময় ফলাফল নিয়ে সন্তানদের ওপর চাপ প্রয়োগ না করতে অভিভাবকদের প্রতি আহ্বানও জানান তিনি।

রোববার (১২ মে) সকালে এসএসসি ও সমমানের পরীক্ষার ফলাফল হস্তান্তর অনুষ্ঠানে একথা বলেন প্রধানমন্ত্রী।

শেখ হাসিনা বলেন, মেধা বিকাশের লক্ষ্যেই নতুন কারিকুলামে পরিবর্তন আনা হয়েছে। সরকার শিক্ষাখাতের ব্যয়কে বিনিয়োগ মনে করে। এছাড়া এবারের ফলাফলেও মেয়েরা গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখেছে বলেও মন্তব্য করেন তিনি।

প্রসঙ্গত, রোববার (১২ মে) সকাল ১০টার দিকে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কাছে ফলাফল হস্তান্তর করেন শিক্ষামন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী। এরপর ১১টার দিকে নিজ নিজ প্রতিষ্ঠান ও অনলাইনে একযোগে ফলাফল প্রকাশ করা হয়।

এবছর সবচেয়ে বেশি পাশের হার যশোর বোর্ডে। এই বোর্ডের ৯২ দশমিক ৩২ শতাংশ শিক্ষার্থী পাস করেছে। অপরদিকে সবচেয়ে কম পাশের হার সিলেট বোর্ডে। এই বোর্ডে ৭৩ দশমিক ৩৫ শতাংশ শিক্ষার্থী পাস করেছে। এছাড়া মোট জিপিএ-৫ পেয়েছে এক লাখ ৮২ হাজার ১২৯ জন শিক্ষার্থী। এরমধ্যে ছাত্র ৮৩ হাজার ৩৫৩ জন ও ছাত্রী ৯৮ হাজার ৭৭৬ জন।

এদিকে, ঢাকা বোর্ডে পাশের হার ৮৯ দশমিক ৩২ শতাংশ, কুমিল্লা বোর্ডে ৭৯ দশমিক ২০ শতাংশ, চট্টগ্রাম বোর্ডে ৮২ দশমিক ৮০ শতাংশ, বরিশাল বোর্ডে ৮৯ দশমিক ১৩ শতাংশ, দিনাজপুর বোর্ডে ৭৮ দশমিক ৪০ শতাংশ, রাজশাহী বোর্ডে ৮৯ দশমিক ২৫ শতাংশ ও ময়মনসিংহ বোর্ডে ৮৪ দশমিক ৯৭ শতাংশ শিক্ষার্থী পাশ করেছেন। এছাড়া, মাদরাসা শিক্ষা বোর্ডে পাশের হার ৭৯ দশমিক ৬৬ শতাংশ এবং কারিগরি শিক্ষা বোর্ডে পাশের হার ৭৮ দশমিক ৯২ শতাংশ।

উল্লেখ্য, চলতি বছরের ১৫ ফেব্রুয়ারি এসএসসি ও সমমানের পরীক্ষা শুরু হয়। তা শেষ হয় ১২ মার্চ। এবছর মোট ২০ লাখ ২৪ হাজার ১৯২ জন পরীক্ষার্থী এসএসসি পরীক্ষায় অংশ নিয়েছে। সারাদেশের ৩ হাজার ৭৯৯ কেন্দ্রে ২৯ হাজার ৮৬১টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীরা এ পরীক্ষায় অংশ নেয়।


প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা   শিক্ষামন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী   এসএসসি   ফলাফল  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড বাংলাদেশ

পা দিয়ে লিখে এসএসসিতে জিপিএ-৫ পেল রাব্বি

প্রকাশ: ০১:৫৬ পিএম, ১২ মে, ২০২৪


Thumbnail

পা দিয়ে লিখে এসএসসি পরীক্ষায় জিপিএ-৫ পেয়েছে রাব্বি। সে স্বাভাবিক জন্মগ্রহণ করলেও ২০১৬ সালে স্কুল থেকে বাড়ি ফেরার পথে বিদ্যুৎস্পর্শে তার দুটি হাত কাটা যায়।

রাব্বি সীতাকুণ্ডর ভাটিয়ারী ইউনিয়নের বজলুর রহমানের ছেলে। সে হাজী তোবারাক আলী উচ্চ বিদ্যালয় থেকে এসএসসি পরীক্ষায় অংশ নিয়েছিল।

রাব্বির বাবা বজলুর রহমান বলেন, আল্লাহর দরবারে লাখো শুকরিয়া। আমার ছেলের মনোবল ও কঠোর পরিশ্রমের মাধ্যমে অর্জন করেছে কৃতিত্ব। অগণিত মানুষের দোয়া ও ভালোবাসা আমার ছেলের সঙ্গে আছে।

রাব্বি বলে, আমি যে শারীরিক প্রতিবন্ধী সেটা কখনো আমি চিন্তা করিনি। আমার মনোবল সব সময় শক্ত ছিল। ভবিষ্যতে শিক্ষাজীবন শেষ করে শিক্ষক হওয়ার স্বপ্ন দেখছেন রাব্বি।

ভাটিয়ারী হাজী তোবারক আলী উচ্চ বিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক কান্তি লাল আচার্য্য বলেন, শারীরিক প্রতিবন্ধী হওয়ার পরেও রাব্বি অন্যান্য শিক্ষার্থীদের চেয়ে ভালো ফলাফল করায় আমরা মুগ্ধ। সে জীবনে অনেক বড় হোক এই প্রত্যাশাই করি। 



মন্তব্য করুন


ইনসাইড বাংলাদেশ

জয়পুরহাটে আন্তর্জাতিক নার্স দিবস-২০২৪ পালিত

প্রকাশ: ০১:৪৪ পিএম, ১২ মে, ২০২৪


Thumbnail জয়পুরহাটে আন্তজার্তিক নার্স দিবস-২০২৪ উপলক্ষ্যে আয়োজিত শোভাযাত্রা

জয়পুরহাটে নানা আয়োজনে আন্তর্জাতিক নার্স দিবস-২০২৪ পালিত হয়েছে। দিবসটি উপলক্ষে আজ রবিবার (১২ মে) বেলা ১১ টায় শহরের প্রধান সড়কে শোভাযাত্রা বের করা হয়।

জয়পুরহাট নার্সিং ইন্সটিটিউটের আয়োজনে শোভাযাত্রা শেষে নার্সিং হল রুমে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয় এতে সভাপতিত্ব করেন জয়পুরহাট নার্সিং ইন্সট্রাক্টর ইনচার্জ প্রভাষক আকলিমা খাতুন।

এসময় বক্তব্য রাখেন ইন্সট্রাক্টর ফারজানা খাতুন, শাহানারা বেগম, আয়েশা সিদ্দিকা ও জয়পুরহাট জেনারেল হাসপাতালে সহকারি স্টাফ নার্স সুফিয়া বেগম প্রমুখ। এসময় অন্যান্য বেসরকারি নার্সিং ইন্সটিটিউটের শিক্ষার্থীরা উপস্থিত ছিলেন। 

আলোচনা সভায় নার্সিং শিক্ষা ও নার্সিং পেশায় জড়িত সকল সম্মানিত সদস্যকে নৈতিকতা ও সামাজিক মূল্যবোধ ধারণ করে সামনে এগিয়ে যাওয়ার আহ্বান জানানো হয়।


আন্তর্জাতিক নার্স দিবস   শোভাযাত্রা  


মন্তব্য করুন


বিজ্ঞাপন