ইনসাইড বাংলাদেশ

কূটনীতিকরা শেখ হাসিনার বিকল্প দেখছেনা

প্রকাশ: ০৭:০০ পিএম, ১০ ডিসেম্বর, ২০২২


Thumbnail

স্পষ্টতই কূটনীতিকরা আওয়ামী লীগ সরকারের ওপর এক ধরনের চাপ প্রয়োগ করছে। বিশেষ করে নয়াপল্টনে বিএনপির সমাবেশ নিয়ে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের উপর্যপুরি তিনটি বিবৃত স্পষ্ট করেছে যে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র সরকারের ওপর এক ধরনের চাপ প্রয়োগ করতে চায়। শুধু এই নয়াপল্টনের জনসভা নিয়ে যে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র এরকম অবস্থান গ্রহণ করেছে তেমনটি নয়। এর আগেও মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র বাংলাদেশের আগামী নির্বাচন নিয়ে খোলামেলা কথাবার্তা বলেছিলো। তারা বাংলাদেশে অবাধ সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচন নিশ্চিত করতে বলেছে, নির্বাচন যেন অংশগ্রহণমূলক হয় সে দাবিও তুলেছে এবং জনগণের ইচ্ছার প্রতিফলন যেন আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ঘটে সেই প্রত্যাশাও ব্যক্ত করেছে।

মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র একা না, ইউরোপীয় ইউনিয়নসহ ১৫টি বাংলাদেশে আগামী নির্বাচন নিয়ে এখন থেকেই কথাবার্তা বলা শুরু করেছে। এমনকি মানবাধিকার দিবসের প্রাক্কালে গত ৬ ডিসেম্বর মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রসহ ১৫টি দেশ যারা প্রত্যেকেই কোয়ার্ডভুক্ত এক বিবৃতিতে বাংলাদেশের গণতন্ত্র, মানবাধিকার, আইনের শাসন সুরক্ষার আহ্বান জানিয়েছে এবং আগামী নির্বাচনে যেন জনগণের মতামতের প্রতিফলন ঘটে সেই প্রত্যাশাও ব্যক্ত করেছে। এরকম পরিস্থিতিতে কূটনীতিকরা আওয়ামী লীগ সরকারের ওপর অসন্তুষ্ট কিনা, কূটনীতিকদের পক্ষ থেকে বিশেষ করে পশ্চিমা দেশগুলোর পক্ষ থেকে সরকারের ওপর বড় ধরনের কোনো চাপ প্রয়োগ করা হবে কিনা এবং সরকারকে কোণঠাসা করার জন্য বিভিন্ন ধরনের স্যাংশন আরোপ করা হবে কিনা ইত্যাদি বিষয়গুলো রাজনৈতিক অঙ্গনে ব্যাপকভাবে আলোচিত হচ্ছিল।

কিন্তু বিভিন্ন কূটনৈতিক সূত্রের সঙ্গে আলাপ করে দেখা গেছে, কূটনীতিকরা আওয়ামী লীগকে চাপে রাখতে চায় বটে তবে এখনই সরকার পরিবর্তনের কোনো রকম অভিপ্রায় বা আগ্রহ কূটনীতিকদের নেই। একাধিক কারণে কূটনীতিকরা সরকারকে চাপে রাখতে চাচ্ছে কিন্তু সরকার পরিবর্তনের অভিপ্রায় ব্যক্ত করছে না। এই সমস্ত কারণের মধ্যে প্রধান কারণ হলো, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। পশ্চিমা দেশগুলো বিশেষ করে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রসহ কোয়াডভুক্ত দেশগুলো শেখ হাসিনার বিকল্প দেখছেন না। আওয়ামী লীগ সরকারকে যদি হটিয়ে দেয়া হয় তাহলে প্রধানমন্ত্রী কে হবে? এই প্রশ্নের কোনো উত্তর নেই। উত্তর নেই যে শেখ হাসিনার বিকল্প হিসেবে কারা গ্রহণযোগ্য হতে পারে সেই প্রশ্নেরও। আর এ কারণেই বাংলাদেশে যে সমস্ত কূটনীতিকরা দায়িত্ব পালন করছেন তারা একটি ভিন্ন কৌশল গ্রহণ করেছেন। তারা সরকারকে চাপে রাখতে চাই যেন সরকার তাদের কথাগুলো শুনে। অন্যদিকে, এমন একটি পরিস্থিতি তৈরি করতে চায় যেন সরকারের ভিতরে যে সমস্যাগুলো আছে সেই সমস্যাগুলো দূর করার ক্ষেত্রে তারা আগ্রহী হয়, উদ্যোগী হয়। আর এরকম একটি কৌশল থেকে আওয়ামী লীগকে চাপে রেখে সুশাসন প্রতিষ্ঠা, আইনের শাসন প্রতিষ্ঠাসহ বিভিন্ন অগ্রাধিকার ইস্যুগুলোকে রাখতে চায়।

তবে কোনো কোনো কূটনীতিক মনে করেন যে, শুধুমাত্র যে শেখ হাসিনার বিকল্প নেই এমন ধারণা থেকেই তারা এটি করছে না, এর পাশাপাশি আরও কিছু বাস্তবতা রয়েছে পশ্চিমা দেশগুলোর। কারণ, বাংলাদেশে কৌশলগত কারণে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ এবং পশ্চিমা দেশগুলো ভালো মতোই জানে যে এখানে জঙ্গিবাদ এবং মৌলবাদের একটা উত্থানের শঙ্কা রয়েছে। আওয়ামী লীগ ছাড়া কেউই এই মৌলবাদ এবং সন্ত্রাসবাদ দমনের ক্ষেত্রে কার্যকর ভূমিকা পালন করতে পারবে না। এরকম বাস্তবতা থেকেই পশ্চিমা দেশগুলো আওয়ামী লীগের বিকল্প নয়। বরং আওয়ামী লীগকে চেপে রেখে চীনের সঙ্গে দূরত্ব, কোয়াডে বাংলাদেশকে নিয়ে আসা এবং রাশিয়ার সাথে দূরত্ব সৃষ্টিতে বাধ্য করার কৌশল গ্রহণ করেছে। আর এই কৌশলে তারা শেষ পর্যন্ত কতটুকু সফল হয়, সেটাই হলো দেখার বিষয়।

কূটনীতিক   শেখ হাসিনা  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড বাংলাদেশ

টাঙ্গাইল মহাসড়কে ১০ কিমি যানজট

প্রকাশ: ১০:১৯ এএম, ১৬ জুন, ২০২৪


Thumbnail

ঈদযাত্রা নির্বিঘ্ন করতে প্রশাসন সেতু কর্তৃপক্ষ বিভিন্ন পদক্ষেপ গ্রহণ করলেও সেগুলো কোনো কাজে আসেনি। রাতভর মহাসড়কের এলেঙ্গা থেকে বঙ্গবন্ধু সেতু পর্যন্ত ১৩ কিলোমিটার সড়কে যানজটের কারণে ভোগান্তিতে পড়তে হয়েছে উত্তরের মানুষকে। বর্তমানে টাঙ্গাইল মহাসড়কের সল্লা থেকে বঙ্গবন্ধু সেতু টোলপ্লাজা পর্যন্ত প্রায় ১০  কিলোমিটার অংশে যানজট রয়েছে।

রোববার (১৬ জুন) ভোর ৫টা থেকে সকাল ৭টা পর্যন্ত ঢাকা-টাঙ্গাইল-বঙ্গবন্ধু সেতু মহাসড়কের এলেঙ্গা থেকে কালিহাতীর পৌলি পর্যন্ত ১৫ কিলোমিটার অংশে উত্তরবঙ্গগামী লেনে যানজট ছিল। তবে সেটি এখন কমে প্রায় ১০ কিলোমিটারে গিয়ে ঠেকেছে।

ছাড়া ঢাকাগামী পরিবহনগুলো আঞ্চলিক সড়ক দিয়ে চলাচল করায় ভুঞাপুর-টাঙ্গাইল সড়কে কোথাও কোথাও রিবহনের ধীরগতি রয়েছে।


টাঙ্গাইল   যানজট  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড বাংলাদেশ

দুর্যোগে বাস্তুচ্যুত মানুষের তালিকায় বাংলাদেশ বিশ্বে পঞ্চম

প্রকাশ: ১০:০৯ এএম, ১৬ জুন, ২০২৪


Thumbnail

উপকূলে আঘাত হানা ঘূর্ণিঝড় মোখা ও চট্টগ্রাম-কক্সবাজারে ভারী বৃষ্টির ফলে পাহাড় ধসের কারণে গত বছর বাংলাদেশে প্রায় ১৮ লাখ মানুষ বাস্তুচ্যুত হয়েছে। অভ্যন্তরীণভাবে বাস্তুচ্যুত মানুষের সংখ্যার দিক থেকে বাংলাদেশের নাম বিশ্বে পঞ্চম স্থানে উঠে এসেছে।

নরওয়েভিত্তিক সংস্থা ইন্টারন্যাশনাল ডিসপ্লেসমেন্ট মনিটরিং সেন্টার (আইডিএমসি) থেকে প্রকাশ করা বৈশ্বিক অভ্যন্তরীণ বাস্তুচ্যুত প্রতিবেদন-২০২৪-এ এসব তথ্য উঠে এসেছে। দুর্যোগের কারণে বাস্তুচ্যুত মানুষের সংখ্যায় শীর্ষে রয়েছে চীন। আর সংঘাত ও দ্বন্দ্বের কারণে বাস্তুচ্যুতির শিকার হওয়া দেশের শীর্ষ তালিকায় রয়েছে সুদান, কঙ্গো প্রজাতন্ত্র ও ফিলিস্তিনের নাম।  

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ২০২৩ সালে বিশ্বে ৬ কোটি ৮৩ লাখ মানুষ যুদ্ধ ও দ্বন্দ্বের কারণে বাস্তুচ্যুত হয়েছে। এর মধ্যে এককভাবে সুদানে ৯১ লাখ মানুষ বাস্তুচ্যুত হয়েছে। আর প্রাকৃতিক দুর্যোগের কারণে মোট বাস্তুচ্যুত হয়েছে ২ কোটি ৬৪ লাখ মানুষ। দুর্যোগে চীনে গত বছর ৪৭ লাখ মানুষ বাস্তুচ্যুত হয়েছে, যা সর্বোচ্চ। ওই তালিকায় চীনের পরে রয়েছে তুরস্কের নাম। দেশটিতে ভূমিকম্পের কারণে ৪০ লাখ ৫৩ হাজার মানুষ, ফিলিপাইনে বন্যা ও ঘূর্ণিঝড়ের কারণে প্রায় ২৬ লাখ এবং সোমালিয়ায় ২০ লাখ ৪৩ হাজার মানুষ বাস্তুচ্যুত হয়ে অন্যত্র আশ্রয় নিয়েছে। এর পরের অবস্থানেই রয়েছে বাংলাদেশ। এসব মানুষের বড় অংশ অস্থায়ীভাবে বাস্তুচ্যুত হয়ে আর্থিকভাবে ক্ষতির মুখে পড়েছে।

ওই প্রতিবেদন সম্পর্কে জানতে চাইলে দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক মো. মিজানুর রহমান জানান, ঘূর্ণিঝড় মোখা ও ভারী বৃষ্টির কারণে বাস্তুচ্যুত বেশির ভাগ মানুষ বিভিন্ন আশ্রয়কেন্দ্রে উঠেছিল। দুর্যোগ থেমে যাওয়ার কয়েক দিন পর আবার তারা বাড়িঘরে ফিরে গেছে। খুব কমসংখ্যক মানুষের স্থায়ীভাবে ঘরবাড়ি ধ্বংস হয়েছে। তাদের সরকার সহযোগিতা দিয়ে বাড়িঘর নির্মাণ করে দিয়েছে।  

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, গত বছর এশিয়ায় সবচেয়ে যে শক্তিশালী ঘূর্ণিঝড়টি আঘাত হানে তা ছিল ‘মোখা’। ওই ঝড়ে শুধু বাংলাদেশে ১৩ লাখ মানুষ বাস্তুচ্যুত হয়। ২০২৩ সালের ১৪ মে বাংলাদেশ উপকূলে আঘাত হানার আগে তা মিয়ানমারে আঘাত হানে। এতে ওই দেশের ৯ লাখ ১২ হাজার মানুষ তাতে বাস্তুচ্যুত হয়। একক দুর্যোগ হিসেবে ঘূর্ণিঝড় মোখা ও তুরস্কের ভূমিকম্পে সবচেয়ে বেশি মানুষ বাস্তুচ্যুত ও ক্ষতিগ্রস্ত হয়।

প্রতিবেদনে বলা হয়, ২০২৩ সালে চট্টগ্রামে ব্যাপক বৃষ্টি ও ঝোড়ো হাওয়া বয়ে যায়। শহরে পাহাড় ধস ও জলাবদ্ধতার কারণে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়। অল্প সময়ে অনেক বৃষ্টি হওয়ার কারণে পুরো শহরের জনজীবন, ব্যবসা, বাণিজ্য ও অবকাঠামোর ব্যাপক ক্ষতি হয়। শহরের দরিদ্র অধিবাসীরা সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়।  

দুর্যোগ মোকাবিলায় বাংলাদেশ সরকার এবং উন্নয়ন সহযোগীরা যৌথভাবে কাজ করছে বলে প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়। দুর্যোগে ক্ষয়ক্ষতি মোকাবিলায় ওই যৌথ উদ্যোগ বেশ সফলতা পেয়েছে। ক্ষয়ক্ষতি আগের চেয়ে বেশ কমে এসেছে। অর্থাৎ এর আগের বছরগুলোতে একই ধরনের ঘূর্ণিঝড় ও দুর্যোগে যে ক্ষয়ক্ষতি হতো, তা ২০২৩ সালে কমে এসেছে। মূলত ঘূর্ণিঝড়ের আগাম সতর্কবার্তা প্রচার করা, প্রস্তুতি নেওয়া এবং অবকাঠামো নির্মাণের কারণে ক্ষতি কমে এসেছে।


বাস্তুচ্যুত   দুর্যোগ   বাংলাদেশ  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড বাংলাদেশ

সৌদি আরবের সঙ্গে মিল রেখে ঢাকায় ঈদের জামাত

প্রকাশ: ০৯:৪৭ এএম, ১৬ জুন, ২০২৪


Thumbnail

সৌদি আরবসহ বিশ্বের বিভিন্ন দেশের সঙ্গে মিল রেখে এবার রাজধানীর পান্থপথেও পবিত্র ঈদুল আজহার নামাজ অনুষ্ঠিত হয়েছে। রোববার (১৬ জুন) পান্থপথের একটি কনভেনশন সেন্টারে এই জামাত অনুষ্ঠিত হয়।

এ দিন সকাল সাড়ে ৭টায় কনভেনশন সেন্টারে শিশু ও নারীসহ মুসল্লিরা জামাতে ঈদের নামাজ আদায় করেছেন। নামাজ শেষে একে অপরের সঙ্গে কোলাকুলি করে ভাগাভাগি করে নেন ঈদ আনন্দ। এ ঈদ উদযাপনে অংশ নেন দেশে অবস্থানরত বিদেশি মুসলিমরাও।

নামাজ পড়তে আসা মুসল্লিরা জানান, সারা পৃথিবীতে ঈদ হচ্ছে সে হিসেবে আমরাও পালন করছি। এর আগেও ঈদ পালন করেছি।

এদিকে চাঁদপুর, দিনাজপুর, মৌলভীবাজার, চট্টগ্রাম ও বরিশালের বেশ কয়েকটি স্থানে মুসলিম ধর্মাবলম্বীদের একটি অংশের মুসল্লিরা ঈদের নামাজ আদায় করেছেন।

প্রতিবারের মত এ বছরও মধ্যপ্রাচ্যের সঙ্গে মিল রেখে ঈদ উদযাপন করছে চাঁদপুরের ৫০টি গ্রামের মানুষ। রোববার (১৬ জুন) সকালে পবিত্র ঈদুল আজহার জামাত আদায়ের মাধ্যমে এ উদযাপন করছেন।

এদিন সকাল ৮টা ৪০ মিনিটে হাজীগঞ্জে ঈদের প্রথম জামাত অনুষ্ঠিত হয়। এ সময় সাদ্রা দরবার শরীফের পীরজাদা আরিফ চৌধুরী সাদ্রাভী নামাজ ও দোয়া মোনাজাত পরিচালনা করেন।

জাতীয়ভাবে বাংলাদেশে ঈদুল আজহা সোমবার (১৭ জুন) নির্ধারিত হলেও দেশের কিছু জায়গায় রোববার ( ১৬ জুন) উদযাপিত হচ্ছে ঈদ। বহু বছর ধরে মধ্যপ্রাচ্যের কয়েকটি ইসলামিক দেশের সঙ্গে মিল রেখে দেশের মুসলিম সম্প্রদায়ের একটি অংশ ঈদ জামাতে অংশ নেন।


সৌদি আরব   ঈদ   জামাত  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড বাংলাদেশ

চাঁদপুর জেলার অর্ধশত গ্রামে ঈদ উদযাপন

প্রকাশ: ০৯:৩৯ এএম, ১৬ জুন, ২০২৪


Thumbnail

প্রতিবারের মত বছরও মধ্যপ্রাচ্যের সঙ্গে মিল রেখে ঈদ উদযাপন করছে চাঁদপুরের ৫০টি গ্রামের মানুষ। রোববার (১৬ জুন) সকালে পবিত্র ঈদুল আজহার জামাত আদায়ের মাধ্যমে উদযাপন করছেন।

এদিন সকাল ৮টা ৪০ মিনিটে হাজীগঞ্জে ঈদের প্রথম জামাত অনুষ্ঠিত হয়। সময় সাদ্রা দরবার শরীফের পীরজাদা আরিফ চৌধুরী সাদ্রাভী নামাজ দোয়া মোনাজাত পরিচালনা করেন।

ঈদের দ্বিতীয় জামাত পরিচালনা করেন আবু ইয়াহিয়া জাকারিয়া মাদানী।

জেলার হাজীগঞ্জ সাদ্রা দরবার শরিফ, উপজেলার সাদ্রা, সমেশপুর, অলিপুর, বলাখাল, মনিহার, কচুয়া শাহরাস্তিসহ আরও বেশ কয়েকটি উপজেলার অর্ধশত গ্রামের বাসিন্দারা ধর্মীয় উৎসবে শামিল হয়েছেন।

হাজীগঞ্জের সাদ্রা দরবার শরিফের পিরজাদা আবু ইয়াহিয়া মো. জাকারিয়া আল মাদানি বলেন, মরহুম মাওলানা ইসহাক ১৯২৮ সাল থেকে সৌদির সঙ্গে মিল রেখে রোজা, ঈদুল ফিতর ঈদুল আজহা উদ্যাপনের নিয়ম চালু করেন। তারপর থেকে সেই ধারায় দেশের বিভিন্ন দরবার শরীফের পীরের অনুসারী এবং সচেতন মুসল্লিরা পালন করছেন।


চাঁদপুর   ঈদ  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড বাংলাদেশ

ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় হাসিলের টাকা কম দেয়ায় বাকবিতন্ডা, মারধরের শিকার পুলিশও

প্রকাশ: ০৯:১২ এএম, ১৬ জুন, ২০২৪


Thumbnail

আসামি ছিনতায়ে বাধা দেয়ায় এসআই মো. বাবুল আহমেদকে মারধর ও মাথা ফাটিয়ে দেয়ার ঘটনা ঘটেছে। শনিবার (১৫ জুন) সন্ধ্যার দিকে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সরাইল উপজেলার পাকশিমূল ইউনিয়নের ভূইশ্বর গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।

এ ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে সরাইল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ এমরানুল ইসলাম জানান, “পশু কেনার পর ক্রেতা জসিম নামে একব্যক্তি হাসিলের টাকা কম দেয়ায়, হাট কমিটির লোকজনের সাথে তার বাকবিতণ্ডার ঘটনা ঘটে। পরে জসিম নিজ গ্রামে ফিরে এসে, অটোরিকশা থামিয়ে পাকশিমূল গ্রামের লোকজনদের মারধর করেন। ঘটনাটি থামাতে গেলে এসআই মো. বাবুল আহমেদকে মারধর ও মাথা ফাটিয়ে দেয়ার ঘটনা ঘটে।”

তিনি আরও বলেন, এ ঘটনায় জিজ্ঞাসাবাদের জন্যে পুলিশ ২ জনকে আটক করা হয়েছে। থানায় মামলা দায়েরের প্রস্তুতি চলছে। হ্যান্ডকাফসহ জসিমকে ছিনিয়ে নিয়ে গেছেন হামলাকারীরা। অভিযুক্ত জসিমকে গ্রেফতারে এলাকায় অভিযান চালানো হচ্ছে।

 পুলিশ ও স্থানীয়রা জানান, “বিকেলে উপজেলার ভূইশ্বর গ্রামের বাসিন্দা মো. জসিম পাকশিমূলে পশুর হাট থেকে একটি মহিষ ক্রয় করেন। মহিষ ক্রয় করার পর ক্রেতা জসিম হাসিলের ১ হাজার টাকার মধ্যে ৫০০ টাকা দিয়ে চলে যেতে চান। এ সময় বাজার কমিটির সাথে মহিষ ক্রেতা জমিসের বাকবিতণ্ডা হয়। বাকবিতণ্ডার একপর্যায়ে তাদের মধ্যে হাতাহাতির ঘটনাও ঘটে। পরে জসিম তার নিজগ্রাম ভূইশ্বরে ফিরে আসেন। এরপর তিনি রাস্তায় সিএনজি চালিত অটোরিকশা থামিয়ে পাকশিমূল গ্রামের লোকজনকে নামিয়ে মারধর করেন।”

একপর্যায়ে ভূইশ্বর ও পাকশিমূল গ্রামের মধ্যে উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে। এমন খবর পেয়ে সরাইল থানার দায়িত্বরত পুলিশের বিট অফিসার উপ-পরিদর্শক (এসআই) মো. বাবুল আহমেদ গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনার চেষ্টা করেন।

 অভিযুক্ত জসিমকে হ্যান্ডকাফ পরিয়ে সেখান থেকে আটক করে আনার চেষ্টা করেন তিনি। এ সময় জসিমের লোকজন থানার উপ-পরিদর্শক বাবুলের ওপর এলোপাতারি হামলা চালায়। একপর্যায়ে আটককৃত জসিমকে হ্যান্ডকাফসহ ছিনিয়ে নিয়ে যান তারা। পরে আহত অবস্থায় পুলিশ কর্মকর্তা বাবুল আহমেদকে উদ্ধার করে স্থানীয় একটি ফার্মেসিতে চিকিৎসা দেয়া হয়। পরে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স হাসপাতালে এনে তাকে চিকিৎসা দেয়া হয়। উপ-পরিদর্শক বাবুলের মাথায় তিনটি সেলাই লেগেছে, পাশাপাশি তার শরীরের বিভিন্ন স্থানে মারধরে ক্ষত সৃষ্টি হয়েছে।


ব্রাহ্মণবাড়িয়া   পুলিশ   মারধর   বাকবিতন্ডা  


মন্তব্য করুন


বিজ্ঞাপন