ইনসাইড বাংলাদেশ

আমাদের লক্ষ্য স্মার্ট বাংলাদেশ: প্রধানমন্ত্রী

প্রকাশ: ০৯:৫৩ পিএম, ১৩ ডিসেম্বর, ২০২২


Thumbnail

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, আমরা চাই একটা শান্তিপূর্ণ পরিবেশ দেশে থাকুক, সেভাবেই আমরা দেশকে এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছি এবং আমাদের লক্ষ্য স্মার্ট বাংলাদেশ। অর্থাৎ বাংলাদেশের প্রতিটি মানুষই এই ডিজিটাল ডিভাইস সম্পর্কে জানবে, ব্যবহার করবে।

তিনি বলেন, জাতীয় নিরাপত্তা নিশ্চিত করার ক্ষেত্রে ‘ট্র্যাডিশনাল সিকিউরিটি থ্রেটে’র পাশাপাশি ‘নন ট্র্যাডিশনাল সিকিউরিটি থ্রেট’ প্রতিহত করাও সমান গুরুত্বপূর্ণ। 

কারণ হিসেবে তিনি বলেন, এখন নিরাপত্তার বিষয়টি অনেক বদলে গেছে। ডিজিটাল ডিভাইস যেমন আমাদের অনেক সুযোগ করে দিয়েছে। তেমনি সন্ত্রাস-জঙ্গিবাদ কিংবা অপরাধের ধারাটাও পাল্টে গেছে। 

মঙ্গলবার (১৩ ডিসেম্বর) সকালে মিরপুর সেনানিবাসের ডিফেন্স সার্ভিস কমান্ড অ্যান্ড স্টাফ কলেজের (ডিএসসিএসসি) ‘ডিএসসিএসসি কোর্স ২০২২’ এর গ্রাজুয়েশন সিরেমনিতে সনদ বিতরণ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন।

শেখ হাসিনা বিশ্ব সম্প্রদায়ের কল্যাণে অবিলম্বে রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ বন্ধ করতে বিশ্ব নেতাদের প্রতি তার আহ্বান পুনর্ব্যক্ত করেন। তিনি বলেন, আমরা যুদ্ধ চাই না, শান্তি চাই। আমরা আলাপ-আলোচনার মাধ্যমে সকল বিরোধ ও মতভেদ দূর করতে চাই।  

প্রধানমন্ত্রী বলেন, সরকার সশস্ত্র বাহিনীকে উন্নত ও শক্তিশালী করে চলেছে কিন্তু সেটা কারও সঙ্গে যুদ্ধ করার জন্য নয়। আমাদের পররাষ্ট্র নীতি, ‘সবার সাথে বন্ধুত্ব, কারও সাথে বৈরিতা নয়’ খুব স্পষ্ট। আমরা জাতির পিতার গৃহীত পররাষ্ট্রনীতি অনুসরণ করে সকলের সাথে বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক বজায় রেখে রাষ্ট্র পরিচালনা করছি।  

প্রধানমন্ত্রী প্রতিবেশী ভারত ও মিয়ানমারের সঙ্গে বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক বজায় রেখে আইনি লড়াইয়ে জয়ী হয়ে আলোচনার মাধ্যমে ভারতের সঙ্গে স্থল সীমানা সমস্যা সমাধান এবং বিশাল সমুদ্র এলাকা ও এর সম্পদের অধিকার প্রতিষ্ঠার কথা উল্লেখ করেন।

তিনি আবারও দেশবাসীকে ব্যাংকে বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ এবং তারল্য নিয়ে গুজবের বিরুদ্ধে সতর্ক করে বলেন, একটি স্বার্থান্বেষী মহল ব্যাংকে বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ এবং তারল্য নিয়ে গুজব ছড়ানোর চেষ্টা করছে, গুজবে কান দেবেন না। 

তিনি ব্যাংকে পর্যাপ্ত বৈদেশিক রিজার্ভ এবং তারল্য থাকার বিষয়ে জনগণকে আশ্বস্ত করেন। শেখ হাসিনা বলেন, তার সরকার ২০০৮ সালের নির্বাচনী ইশতেহারে উল্লিখিত রূপকল্প-২০২১ অনুযায়ী বাংলাদেশকে একটি ডিজিটাল ও উন্নয়নশীল দেশে রূপান্তর করতে সক্ষম হয়েছে।

তিনি বলেন, জাতি যখন জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকী এবং স্বাধীনতার সুবর্ণ জয়ন্তী উদযাপন করেছে তখন বাংলাদেশকে একটি উন্নয়নশীল দেশে পরিণত করা আমাদের জন্য একটি বড় অর্জন।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, তারা এখন রূপকল্প-২০৪১ বাস্তবায়নের মাধ্যমে বাংলাদেশকে একটি উন্নত ও সমৃদ্ধ দেশ এবং ‘ডিজিটাল বাংলাদেশ’কে একটি ‘স্মার্ট বাংলাদেশে’ রূপান্তর করতে প্রস্তুত। প্রধানমন্ত্রী আরও বলেন, দয়া করে কেউ যাচাই না করে গুজবে কান দেবেন না বা বিভ্রান্ত হবেন না। 

তিনি বলেন, করোনা পরবর্তী রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ এবং একে কেন্দ্র করে স্যাংশনের প্রেক্ষাপটে বৃটেন নিজেদের অর্থনৈতিক মন্দার দেশ ঘোষণা দিয়েছে। কিন্তু আমরা এখনও সে দুরবস্থায় পড়িনি। অন্তত আমি এটুকু আপনাদের বলতে পারি। আমাদের সেই প্রচেষ্টা আছে। 

যার যতটুকু জায়গা আছে সেখানে কিছু না কিছু উৎপাদন করার জন্য আহ্বান পুনর্ব্যক্ত করেন প্রধানমন্ত্রী।  

নিজেদের অর্থে পদ্মা সেতু নির্মাণ, কর্ণফুলী টানেল, মেট্রো রেলসহ বিভিন্ন প্রকল্প বাস্তবায়নের মাধ্যমে সারাদেশের যোগাযোগ ব্যবস্থার উন্নয়নে তার সরকারের বিভিন্ন পদক্ষেপের উল্লেখ করে সরকার প্রধান বলেন, আমরা এমনভাবে যোগাযোগ ব্যবস্থার উন্নতি করেছি যাতে বাংলাদেশের যেকোনো অঞ্চল থেকে ৬/৭ ঘণ্টার মধ্যে রাজধানীতে এসে পৌঁছানো যায়। সেই ব্যবস্থাটা আমরা করে দিয়েছি এবং কাজ চলমান আছে, চলমান থাকবে।

তিনি বলেন, সেইদিক থেকে আমি বলবো আমাদের বাংলাদেশটাকে আমরা অর্থনৈতিকভাবে এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছি। বাঙালি জাতি যেন সারাবিশ্বের কাছে মাথা উঁচু করে চলতে পারে অন্তত সেটুকু করেছি। বাংলাদেশকে আর কেউ অবহেলার চোখে দেখে না। বাংলাদেশ আন্তর্জাতিক বিশ্বে উন্নয়নের রোল মডেল হিসেবে স্থান করে নিতে সক্ষম হয়েছে।  

একটানা সরকারে থাকার ফলেই দেশের উন্নয়নের যে কাজগুলো করতে পেরেছেন, বিশ্বে বাংলাদেশ ও দেশের মানুষের ভাবমূর্তি উজ্জ্বল করতে পেরেছেন উল্লেখ করে সহকর্মীদের ধন্যবাদ জানান প্রধানমন্ত্রী। তিনি বলেন, কারও একার পক্ষে এ বিশাল কর্মযজ্ঞ সাধন সম্ভব ছিল না।

প্রধানমন্ত্রী উল্লেখ করেন, ৪০ হাজার মেট্রিক টন খাদ্য ঘাটতি থাকা অবস্থায় ’৯৬ সালে দেশের শাসনভার গ্রহণ করে দেশে প্রথমবারের মতো শান্তিপূর্ণভাবে ক্ষমতা হস্তান্তরকালে ২৬ লাখ মেট্রিক টন উদ্বৃত্ত রেখে গিয়েছিলেন। তিনি দেশের বিদ্যুৎ উৎপাদন সক্ষমতা ১৬শ মেগাওয়াট থেকে বাড়িয়ে ৪ হাজার ৩শ মেগাওয়াট করা এবং পরবর্তীতে বিএনপি সরকারের সময়ে তা আবার ৩ হাজার ২শ মেগাওয়াটে নামিয়ে ফেলাসহ বর্তমানে দেশের বিদ্যুৎ উৎপাদন ক্ষমতা ২৫ হাজার মেগাওয়াট এবং স্বাক্ষরতার হার, গড় আয়ু বৃদ্ধি প্রভৃতি সাফল্যের বিবরণ তুলে করেন।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ দীর্ঘ ২১ বছর পর ১৯৯৬ সালে জনগণের ভোটে নির্বাচিত হয়ে সরকার গঠন করে। সে সময় আর্থ-সামাজিক উন্নয়নের পাশাপাশি সামরিক বাহিনীর আধুনিকায়নে নানা উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়। 

তিনি বলেন, আমরা ১৯৯৮ সালে ‘ন্যাশনাল ডিফেন্স কলেজ’ এবং ‘মিলিটারি ইনস্টিটিউট অব সায়েন্স অ্যান্ড টেকনোলজি’, ১৯৯৯ সালে ‘বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব পিস সাপোর্ট অপারেশন ট্রেনিং’ এবং ‘আর্মড ফোর্সেস মেডিকেল কলেজ’ প্রতিষ্ঠা করি। আমরাই সর্বপ্রথম ২০০০ সালে সেনা, নৌ ও বিমান বাহিনীতে নারী অফিসার নিয়োগ করি।

তিনি বলেন, ২০০৮ সাল থেকে টানা তিনবার নির্বাচনে জয়লাভের পর আমরা অত্যাধুনিক ও যুগোপযোগী সামরিক বাহিনী গঠনের লক্ষ্যে স্বল্প, মধ্য ও দীর্ঘমেয়াদি পরিকল্পনা বাস্তবায়ন করে যাচ্ছি। আমরা ১৯৭৪ সালে জাতির পিতার প্রণীত প্রতিরক্ষা নীতিমালার আওতায় ‘ফোর্সেস গোল-২০৩০’ বাস্তবায়নের মাধ্যমে সশস্ত্র বাহিনীর আধুনিকায়ন, সম্প্রসারণ ও উন্নয়ন করছি। 

২০১৬ সালে ‘বাংলাদেশ পিস বিল্ডিং সেন্টার’ প্রতিষ্ঠা করেছি। জাতির পিতা প্রণীত প্রতিরক্ষা নীতি যুগোপযোগী করে ‘জাতীয় প্রতিরক্ষানীতি, ২০১৮’ প্রণয়ন করেছি। আমরা সন্ত্রাসবাদ ও সহিংস উগ্রবাদের বিরুদ্ধে ‘জিরো টলারেন্স’ নীতি গ্রহণ করেছি। 

‘সামরিক বাহিনী কমান্ড ও স্টাফ কলেজ’ থেকে এ পর্যন্ত ৫ হাজার ৯ শত ৭৯ জন অফিসার সাফল্যের সঙ্গে কোর্স সম্পন্ন করেছেন, এর মধ্যে ৪৪টি বন্ধুপ্রতিম দেশের ১ হাজার ৩ শত ১ জন অফিসারও এ কলেজ থেকে গ্র্যাজুয়েশন করেছেন। বর্তমান কোর্সেও ২১টি বন্ধুপ্রতীম দেশের ৪৬ জন বিদেশি কর্মকর্তা এবং বাংলাদেশ পুলিশের ৩ জন কর্মকর্তাসহ আজ মোট ২৫০ জন কর্মকর্তা প্রশিক্ষণ শেষ করে পিএসসি ডিগ্রি লাভ করেছেন। 

প্রধানমন্ত্রী গ্রাজুয়েশন প্রাপ্তদের অভিনন্দন জানিয়ে মাতৃভূমির ওপর সম্পূর্ণ নিবেদিতপ্রাণ হয়ে যার যার ওপর অর্পিত দায়িত্ব যথাযথভাবে পালনের আহ্বান জানান।

শেখ হাসিনা বলেন, আমি আশা করি, সামরিক বাহিনী কমান্ড ও স্টাফ কলেজ তার শিক্ষা-প্রশিক্ষণের উচ্চমানের ধারাবাহিকতা অব্যাহত রাখবে। এ প্রতিষ্ঠানের গ্র্যাজুয়েটরা তাদের অর্জিত জ্ঞান, ইচ্ছাশক্তি ও অঙ্গীকার সামনে রেখে দেশকে গৌরবময় অবস্থানের দিকে এগিয়ে নিয়ে যাবে।

পেশাদারিত্বের সঙ্গে ‘সামরিক বাহিনী কমান্ড ও স্টাফ কলেজ ২০২২’ কোর্স সফলভাবে সম্পন্ন ও পরিচালনা করার জন্য তিনি কমান্ড্যান্ট, ডিএসসিএসসিকে আন্তরিক ধন্যবাদ জানান।

তিনি বিদেশ থেকে আগতদের ধন্যবাদ জানিয়ে তাদের দেশের সঙ্গে বাংলাদেশের বন্ধুত্ব যেন অটুট থাকে সেজন্য এ দেশের একজন দূত হিসেবে তাদের নিজ নিজ দেশে কাজ করে যাবারও আহ্বান জানান। 

স্মার্ট বাংলাদেশ   প্রধানমন্ত্রী   শেখ হাসিনা  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড বাংলাদেশ

রাজধানীতে অটোরিকশা চলবে: প্রধানমন্ত্রী

প্রকাশ: ০১:৫৬ পিএম, ২০ মে, ২০২৪


Thumbnail

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, ‘রাজধানীতে অটোরিকশা চলবে। তাহলে না গরীব মানুষ কী করে খাবে’। সোমবার (২০ মে) মন্ত্রিসভার অনির্ধারিত  আলোচনায় তিনি এ কথা বলেছেন।

সম্প্রতি রাজধানীতে ব্যাটারি চালিত অটোরিকশা চলতে না দেওয়ার নির্দেশনা দিয়েছিলেন সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রী ওবায়দুল কাদের।

এরপর বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষ (বিআরটিএ) এ বিষয়ে কড়াকড়ি ব্যবস্থা নেয়। কিন্তু বিআরটিএ'র সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে দু দিন ধরে আন্দোলন করছে অটোরিকশা চালকরা।

এমন সময়ে প্রধানমন্ত্রীর থেকে অটোরিকশা চলার বিষয়ে সুনির্দিষ্ট নির্দেশনা  এলো।


প্রধানমন্ত্রী   অটোরিকশা  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড বাংলাদেশ

উপজেলা নির্বাচন: নিরাপত্তায় দুই লাখ আনসার-ভিডিপি মোতায়েন

প্রকাশ: ০১:৫১ পিএম, ২০ মে, ২০২৪


Thumbnail

৬ষ্ঠ উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের দ্বিতীয় ধাপ অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে আগামীকাল (২১ মে) মঙ্গলবার। এই নির্বাচনকে ঘিরে আইন-শৃঙ্খলা রক্ষা, ভোট কেন্দ্র ও ব্যালট বাক্সের নিরাপত্তা নিশ্চিত করা এবং ভোটদানে শৃঙ্খলা বজায় রাখতে মোট ১ লাখ ৯৩ হাজার ৩২৭ জন সদস্য মোতায়েন করেছে বাংলাদেশ আনসার ও গ্রাম প্রতিরক্ষা বাহিনী।

দ্বিতীয় ধাপে সারাদেশের ১৫৭টি উপজেলার ১৩,০১৬টি ভোট কেন্দ্রে নির্বাচন হতে যাচ্ছে। আর প্রতিটি  নির্বাচন কেন্দ্রের নিরাপত্তায় মোট ১৩ জন বা ততোধিক আনসার ও ভিডিপি সদস্য গতকাল রবিবার থেকে ইতোমধ্যে দায়িত্ব পালন করছেন। তাদের মধ্যে একজন প্লাটুন কমান্ডার (পিসি) ও দুইজন সহকারী প্লাটুন কমান্ডার (এপিসি) এর নেতৃত্বে ৬ জন পুরুষ ও ৪ জন মহিলা আনসার-ভিডিপি সদস্য রয়েছেন। কোন কেন্দ্রে বুথ সংখ্যা ৬টির বেশি হলে বুথ প্রতি অতিরিক্ত আরও একজন করে আনসার-ভিডিপি সদস্য মোতায়েন করা হয়েছে। পিসি ও এপিসিগণ (৩ জন) অস্ত্রসহ এবং আনসার-ভিডিপি সদস্য- সদস্যাগণ অস্ত্রবিহীন ভোটকেন্দ্রের নিরাপত্তা ও আইন-শৃঙ্খলা রক্ষায় নিয়োজিত থাকবেন।

নির্বাচন কমিশনের নির্দেশনা মোতাবেক ভোট কেন্দ্রের আইন-শৃঙ্খলা রক্ষা ও ব্যালট বাক্সের নিরাপত্তা রক্ষায় ১ লাখ ৮৫ হাজার ৫২৭ জন সাধারণ আনসার ও ভিডিপি সদস্য মোতায়েন করা হয়েছে। তাদের পাশাপাশি ৭৯ প্লাটুন (২৩৭০ জন) আনসার ব্যাটালিয়ন সদস্য জেলা ম্যাজিস্ট্রেটের নির্দেশনা মোতাবেক দায়িত্ব পালনের জন্য স্ট্রাইকিং/স্ট্যাটিক ফোর্স হিসেবে মোতায়েন করা হয়েছে।

মোবাইল টিমে/স্ট্রাইকিং ফোর্সে দায়িত্বপালনের ক্ষেত্রে আনসার ব্যাটালিয়ন সদস্যগণ ন্যূনতম সেকশন (প্রতি সেকশন ১০ জন করে) ফরমেশনে দায়িত্বপালন করবেন। তাছাড়া পুলিশের মোবাইল টিম/ স্ট্রাইকিং টিমের সাথে যুক্ত হয়ে কাজ করছেন প্রায় ১০৫ প্লাটুন (৩২৪০ জন) সশস্ত্র আনসার ভিডিপি সদস্য। মোতায়েনকৃত সদস্যদের দায়িত্বপালন তদারকের জন্য কর্মকর্তা-কর্মচারীসহ আরও ২২৯০ জন সদস্য মাঠ পর্যায়ে দায়িত্ব পালন করছেন। 

একটি অবাধ, সুষ্ঠু ও গ্রহণযোগ্য উপজেলা নির্বাচন জাতিকে উপহার দেওয়ার জন্য নির্বাচন কমিশনের নির্দেশনা মোতাবেক কাজ করতে বাংলাদেশ আনসার ও গ্রাম প্রতিরক্ষা বাহিনীর প্রতিটি সদস্যকে সদর দপ্তর থেকে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। সাধারণ মানুষ যাতে নির্ভয়ে আগ্রহভরে অত্যন্ত উৎফুল্লভাবে ভোট কেন্দ্রে আসতে পারে সেই জন্য আনসার- ভিডিপির সদস্যরা নিরাপত্তার পরিবেশ নিশ্চিত করতে কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণ করার পাশাপাশি অত্যন্ত সতর্কতা ও নিষ্ঠার সঙ্গে অর্পিত দায়িত্ব পালনে সচেষ্ট থাকতে নির্দেশ প্রদান করা হয়েছে।

এ ব্যাপারে কোনো ধরনের অবহেলা বা গাফিলতি বরদাশত করা হবে না বলে সকল সদস্যকে সতর্ক করে দেয়া হয়েছে।

উল্লেখ্য, বাংলাদেশ আনসার ও গ্রাম প্রতিরক্ষা বাহিনী দেশের সকল জাতীয় ও স্থানীয় নির্বাচনে সরকারের নির্দেশে সর্বোচ্চ সংখ্যক সদস্য মোতায়েন করে থাকে। গত দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে অবাধ, সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণ করতে আনসার ও গ্রাম প্রতিরক্ষা বাহিনীর পাঁচ লাখ ১৭ হাজার ১৪৩ জন সদস্য নিয়োজিত ছিলো।


উপজেলা নির্বাচন   আনসার-ভিডিপি  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড বাংলাদেশ

উপজেলা নির্বাচন: এমপির বিরুদ্ধে আচরণবিধি লঙ্ঘনের অভিযোগ

প্রকাশ: ১০:৩৯ এএম, ২০ মে, ২০২৪


Thumbnail

পাবনা- আসনের সাংসদ গালিবুর রহমান শরীফের বিরুদ্ধে নির্বাচনী আচরণবিধি লঙ্ঘন নির্বাচনে প্রভাব বিস্তারের অভিযোগ উঠেছে। তিনি আনারস প্রতীকের চেয়ারম্যান প্রার্থী এমদাদুল হক রানা সরদারের পক্ষে প্রভাব বিস্তার করছেন বলে অভিযোগ প্রতিদ্বন্দ্বি মোটসোইকেল প্রতীকের চেয়ারম্যান প্রার্থী আবুল কালাম আজাদের।

শনিবার (১৮ মে) বিষয়ে তৃতীয় ধাপের উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের রিটানিং অফিসার বরাবর লিখিত অভিযোগ করেছেন মোটসোইকেল প্রতীকের চেয়ারম্যান প্রার্থী আবুল কালাম আজাদ।

তিনি তার অভিযোগে বলেছেন, বিগত ১৩ মে প্রতীক বরাদ্দের পর থেকে আনারস প্রতীকের স্বতন্ত্র চেয়ারম্যান প্রার্থী এমদাদুল হক রানা সরদারের পক্ষে কাজ করছেন পাবনা- আসনের মাননীয় সংসদ সদস্য গালিবুর রহমান শরীফ। তিনি আচরণবিধি লঙ্ঘন করে তার পক্ষে নির্বাচনী প্রচারণা চালিয়ে যাচ্ছেন। নির্বাচনকে প্রভাবিত করার জন্য স্থানীয় সংসদ সদস্য তার পছন্দের লোককে প্রার্থী করেছেন।

লিখিত অভিযোগে বলা হয়, সংসদ সদস্য দলীয় বিভিন্ন পর্যায়ের নেতা-কর্মী, ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান-মেম্বারদের বাড়িতে ডেকে নিয়ে আনারস প্রতীকের পক্ষে নির্বাচনে কাজ করার জন্য প্রভাবিত করছেন। এছাড়াও সাংসদ গালিব শরীফ তার ছোট ভাই উপজেলা যুবলীগের সভাপতি শিরহান শরীফ তমালকে আনারস প্রতিকের পক্ষে প্রচারণার জন্য মাঠে নামিয়েছেন।

আবুল কালাম আজাদের অভিযোগ, ষষ্ঠ উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে মন্ত্রী এমপিদের প্রভাব বিস্তার না করার জন্য নির্দেশনা বিধি রয়েছে। কিন্তু নির্দেশনা উপেক্ষা আচরণবিধি লংঘন করে সাংসদ গালিব শরীফ আনারস প্রতীকের পক্ষে বিভিন্ন ভাবে প্রভাব বিস্তারের জন্য কাজ করছেন। তিনি ঈশ্বরদীতে অবস্থান করে প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষভাবে উপজেলা নির্বাচন নিয়ন্ত্রণ করছেন। তার এই কর্মকান্ড নির্বাচনী আচরণবিধির ২২ এর উপধারা এবং ৩১ ধারা সরাসরি লঙ্ঘন।

মোটরসাইকেল প্রতীকের চেয়ারম্যান প্রার্থী আবুল কালাম আজাদ বলেন, ‘এমপি' প্রভাব বিস্তারের কারণে ঈশ্বরদী উপজেলা পরিষদ নির্বাচন সুষ্ঠু প্রভাবমুক্ত হওয়ার বিষয়ে সাধারণ ভোটারদের মধ্যে সংশয়ের সৃষ্টি হয়েছে। এমন পরিস্থিতিতে আচরণবিধি লংঘনকারীর বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহনের দাবি জানিয়েছি।

বিষয়ে তৃতীয় ধাপের উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের রিটানিং অফিসার অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট আব্দুল্লাহ আল মামুনের সাথে কথা বলার চেষ্টা করেও তাকে পাওয়া যায়নি।

বিষয়ে কথা বলার জন্য পাবনা- আসনের সাংসদ গালিবুর রহমান শরীফের মুঠো ফোনে একাধিকবার চেষ্টা করলেও, তিনি কল রিসিভ করেননি। ক্ষুদেবার্তা পাঠিয়েও সাড়া সাড়া পাওয়া যায়নি তার থেকে।

উল্লেখ্য, আগামী ২৯ মে ৩য় ধাপে উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের আওতায় ঈশ্বরদী উপজেলা পরিষদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে তিনজন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন।


উপজেলা নির্বাচন   এমপি   আচরণবিধি লঙ্ঘন  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড বাংলাদেশ

ভিএফএস গ্লোবালের কাছে জিম্মি ইউরোপের শ্রমবাজার

প্রকাশ: ১০:১৫ এএম, ২০ মে, ২০২৪


Thumbnail

বহুজাতিক ভিসা প্রোসেসিং সার্ভিস সংস্থা ভিএফএস-এর কাছে জিম্মি হয়ে পড়েছে ইউরোপের শ্রমবাজার। ইউরোপে গমনেচ্ছুক লক্ষাধিক বাংলাদেশির আবেদনসহ পাসপোর্ট আটকে রেখেছে সংস্থাটি। এক থেকে দেড় বছর ধরে এসব পাসপোর্ট আটকে থাকার কারণে একদিকে হতাশাগ্রস্ত হয়ে পড়ছে ভুক্তভোগীরা, অন্যদিকে বিপুল অঙ্কের আর্থিক ক্ষতির সম্মুখীন হচ্ছে দেশ।

জানা গেছে, লক্ষাধিক পাসপোর্ট আটকে থাকায় এক বছরে দেশের ক্ষতি হয়েছে ৪১ হাজার ২২০ কোটি টাকা। অবস্থায় ভিএফএসের এমন কর্মকান্ডকে ইউরোপের শ্রমবাজার ধ্বংসে গভীর ষড়যন্ত্র বলেই মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা।

জানা গেছে, ভিএফএস গ্লোবাল বাংলাদেশ নামের প্রতিষ্ঠানটিতে, দেশি-বিদেশি কর্মকর্তা-কর্মচারী কর্মরত রয়েছেন। ২০২১ সালের ১৮ নভেম্বর বাংলাদেশে ইতালি দূতাবাস ভিএফএস গ্লোবালের সঙ্গে ভিসা প্রদানসহ যাবতীয় সেবা নির্দিষ্ট ফি- বিপরীতে সম্পাদনের জন্য চুক্তিবদ্ধ হয়। ২০০১ সালের পর ইতালি সরকার বাংলাদেশিদের ওয়ার্ক পারমিট দেওয়া বন্ধ রাখে। তবে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সরাসরি হস্তক্ষেপে ২০২০ সালের পর থেকে বাংলাদেশিরা ওয়ার্ক পারমিটের সুযোগ পায়। সুযোগটি  গ্রহণে ইতালিতে অবস্থানরত বাংলাদেশিরা অত্যন্ত দক্ষতার পরিচয় দেন। কেননা ২০২৩ সালের ২৭ মার্চ আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে ইতালি সরকার বিশ্বের ২০-২২টি দেশের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে ৮২ হাজার ৭০৫ জনকে ওয়ার্ক পারমিট দেয়। এর মধ্যে শুধু বাংলাদেশিরা পায় ৩০ হাজারেরও বেশি।

ভিএফএস গ্লোবাল বাংলাদেশের মালিক নাহিদ নেওয়াজ। ফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি বিষয়ে কিছু জানাতে চান নি

সূত্র জানায়, ওয়ার্ক পারমিট পাওয়ার পর ভিসা প্রদানের সাক্ষাৎকার এবং প্রয়োজনীয় কাগজপত্র জমার সিরিয়াল পেতে আবেদনকারীরা ভিএফএসের দ্বারস্থ হয়। কিন্তু দীর্ঘদিন ধরে প্রার্থীদের অ্যাপয়েন্টমেন্ট প্রদানে ভোগান্তি, দালাল চক্রের সিন্ডিকেটের মাধ্যমে অ্যাপয়েন্টমেন্ট বাণিজ্য, লক্ষাধিক পাসপোর্ট এক থেকে দেড় বছর ধরে আটকে রাখাসহ বিভিন্নভাবে হয়রানি করে যাচ্ছে ভিএফএস। বৈদেশিক শ্রমবাজারে বাংলাদেশের সঙ্গে ইন্ডিয়াসহ অন্যান্য দেশের প্রতিযোগিতা রয়েছে।

বাংলাদেশে ইতালিয়ান অ্যাম্বাসির নিয়ম অনুযায়ী ভিসার আবেদনের জন্য ভিএফএস গ্লোবালের ওয়েবসাইট থেকে অনলাইনে অ্যাপয়েন্টমেন্ট নিতে হয়। ভিএফএস গ্লোবাল গত বছর মে- পর থেকে অ্যাপয়েন্টমেন্ট দেওয়ার ক্ষেত্রে চরম অব্যবস্থাপনা তৈরি করছে। কোনো ব্যক্তি দালাল এবং মোটা অঙ্কের টাকা ছাড়া অ্যাপয়েন্টমেন্ট পান না। এদিকে অ্যাপয়েন্টমেন্ট না পেয়ে হাজার হাজার মানুষ হতাশায় নিমজ্জিত হচ্ছেন। কেননা ইতালির আইন অনুযায়ী ওয়ার্ক পারমিটসহ ভিসার আবেদনপত্রটি ওয়ার্ক পারমিট বের হওয়ার দিন থেকে পরবর্তী ছয় মাসের মধ্যে অ্যাম্বাসিতে অবশ্যই উপস্থাপন করতে হবে।

অথচ অ্যাম্বাসি সরাসরি আবেদন গ্রহণ করে না এবং অ্যাপয়েন্টমেন্ট জটিলতায় পড়ে অনেকেই ওয়ার্ক পারমিটের মেয়াদ হারাচ্ছে। তাছাড়া বিগত সময়ে ওয়ার্ক পারমিটপ্রাপ্ত ৩০-৪০ হাজার আবেদনকারী পাসপোর্টসহ ভিসার আবেদন ভিএফএস গ্লোবালে জমা দিয়ে ২০২৩ সালের আগস্ট থেকে অপেক্ষায় রয়েছেন। অথচ ইতালিয়ান সরকারের ঘোষণা অনুযায়ী আবেদন দাখিলের ২০ দিন থেকে সর্বোচ্চ ৯০ দিনের মধ্যে ভিসা প্রদানের নির্দেশনা রয়েছে।

অনুসন্ধানে জানা যায়, ইতালিতে বাংলাদেশিদের ভালো অবস্থান এবং সুনাম থাকার পরও বর্তমানে মালিকরা বাংলাদেশি শ্রমিকদের জন্য আবেদন করতে ইতোমধ্যেই অনাগ্রহ প্রকাশ করেছেন। তারা বলছেন, বাংলাদেশে ভিসা প্রদানের জটিলতা হচ্ছে। আমরা ওয়ার্ক পারমিট বের করে দিলেও সময়মতো শ্রমিক এখানে আসতে পারে না। আমাদের কাজের ক্ষতি হয়। অর্থাৎ ইতালির শ্রমবাজারে বাংলাদেশের সুযোগ প্রায় ধ্বংসের মুখে। এই ক্ষতি অপূরণীয়। কেননা, ইউরোপে একমাত্র ইতালিতেই দক্ষ, অদক্ষ নিরক্ষর লোকও গিয়ে কাজ করার জন্য আবেদন করতে পারে। এই মানুষগুলো ইতালিতে যাওয়ার সুযোগ পেলে পরিবার এবং রাষ্ট্রের অর্থনীতিতে অবদান রাখতে পারে এবং সে তার জীবনমান পরিবর্তন করতে পারে।

জানা গেছে, ভিএফএস গ্লোবাল ভিসা প্রসেসিং খরচ বাবদ জনপ্রতি ১৯ হাজার ৭২০ টাকা থেকে ২২ হাজার টাকা নিয়ে থাকে। নিয়ম অনুযায়ী ভিসাপ্রত্যাশীরা কাগজপত্র জমা এবং সাক্ষাৎকারের জন্য ভিএফএস গ্লোবালের নিজস্ব ওয়েবসাইটে বুকিং বা অ্যাপয়েমেন্ট গ্রহণ করে থাকে। ২০২২ সাল থেকে অ্যাপয়েন্টমেন্ট সহজলভ্য হলেও ২০২৩ সালের শুরুর দিকে অ্যাপয়েন্টমেন্টের জন্য কালোবাজারি এবং ভিএফএসের যোগসাজশে একটি কৃত্রিম সংকট সৃষ্টি করা হয়। ভিসাপ্রত্যাশীরা নিজে চেষ্টা করে কোনোভাবেই ওয়েবসাইটে অ্যাপয়েন্টমেন্ট নিতে পারে না। ভিসাপ্রত্যাশীরা অ্যাপয়েন্টমেন্ট না পেলেও ভিএফএস কমকর্তা এবং দালালদের মাধ্যমে মোটা অঙ্কের বিনিময়ে সহজেই যখন-তখন অ্যাপয়েন্টমেন্ট গ্রহণ করে থাকে।

সূত্র জানায়, ভিসাপ্রত্যাশীদের সুনির্দিষ্ট কোনো তথ্য সরবরাহ করা হয় না। আবেদন গ্রহণ করার পর কোনো আপডেট তারা আবেদনকারীকে প্রদান করে না। অ্যাপয়েন্টমেন্ট কবে পাবে, তাদের পাসপোর্ট এতদিন আটকে রাখার কারণ, আদৌ ভিসা সরবরাহ করা হবে কি না ইত্যাদি প্রশ্নের জবাব ভিএফএস বা দূতাবাস সরবরাহ করে না। এমনকি ভিএফএসের সঙ্গে যোগাযোগের জন্য খুদেবার্তা ছাড়া আর কোনো মাধ্যম নেই। ফলে মাসের পর মাস এমন দোটানায় পড়ে নাজেহাল হয় আবেদনকারী বা তার পরিবার। সূত্র মতে, ভিএফএসের অ্যাপয়েন্টমেন্ট জটিলতার কারণে অনেক ওয়ার্ক পারমিটের মেয়াদ শেষ হয়েছে এবং দীর্ঘ সময় পর টাকার বিনিময়ে জমা দিলেও রিজেক্ট হয়েছে। ফলে ভিসাপ্রত্যাশীদের ১৮-২০ লাখ টাকা ক্ষতি হচ্ছে এবং টাকাগুলো আন্তর্জাতিক মাফিয়াদের হাতে চলে যাচ্ছে বিভিন্ন উপায়ে।

সরেজমিন অনুসন্ধানকালে দেখা যায়, ভিএফএসের ওয়েটিং রুমে ভিসাপ্রত্যাশী ছাড়া অন্য কোনো ব্যক্তির প্রবেশ নিষিদ্ধ থাকলেও হরহামেশা বেশকিছু দালালের বিচরণ পরিলক্ষিত হয়। বিষয়ে ভিএফএসের জিজ্ঞাসাবাদে নিতান্তই দায়সারা গোছের জবাব পাওয়া যায়।

সূত্র জানায়, গত ৩১ মার্চ থেকে ভিএফএস মেইলিং সিস্টেমের মাধ্যমে অ্যাপয়েনমেন্ট নেওয়ার ঘোষণা দিলেও মেইলিং সিস্টেমে সিরিয়াল মেনটেনের কোনো সুনির্দিষ্ট নির্দেশনা নেই। এতে একই অসংগতির পুনরাবৃত্তি ঘটে। গত মে ভিএফএস চিটাগাং থেকে মেইলিং অ্যাপয়েন্টমেন্ট পাওয়া ২০ জন আবেদনকারীর ডকুমেন্ট জমা দেওয়ার কথা থাকলেও ৪০ জন মেসেজ পেয়েছেন বলে জানা যায়। যে অতিরিক্ত ২০ জন মেসেজ পেয়েছিলেন তাদের মেইলিং ডাটাবেজ চেক করে নানান ধরনের তথ্যের অসংগতি দেখা যায়। যার মধ্যে প্রধান অসংগতি হলো প্রটোকল ছাড়াই অতিরিক্ত ২০ জন অ্যাপয়েন্টমেন্টের কল পেয়েছিলেন।

অনুসন্ধানে দেখা যায়, অফিস চলাকালীন নির্ধারিত সময়ে ভিসা স্লট ওপেনিংয়ের নিয়ম থাকলেও গভীর রাতে উদ্দেশ্যমূলকভাবে ভিসা স্লট ওপেন করে ভিএফএস। সংশ্লিষ্টরা জানিয়েছে, ২০২২-২০২৩ ডিসেম্বর পর্যন্ত প্রায় লাখ ১১ হাজার পাসপোর্ট ভিএফএস আটকে রাখে। এর মধ্যে ২০২২ সালে ৩৫ হাজার এবং ২০২৩ সালে ৭৬ হাজার পাসপোর্ট আটকে রাখা হয়। এতে করে ভিসার খরচ, ভিএফএস খরচ, দালাল খরচ, রেমিট্যান্স বঞ্চিতসহ দেশের ক্ষতি হয়েছে ৪১ হাজার ২২০ কোটি টাকা।



মন্তব্য করুন


ইনসাইড বাংলাদেশ

সিরাজগঞ্জ অগ্নিকান্ডে ৩ টি ঘর পুড়ে ছাই

প্রকাশ: ০৯:৪০ এএম, ২০ মে, ২০২৪


Thumbnail

সিরাজগঞ্জের বেলকুচিতে অগ্নিকান্ডে বসত বাড়ির তিনটি ঘর পুড়ে ছাই হয়ে গেছে। স্থানীয়দের সহায়তায় প্রায় ১ ঘন্টা চেষ্টার পর আগুন নিয়ন্ত্রণে আসে। এ ঘটনায় ১০ লাখ টাকার ক্ষতি হয়েছে বলে প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে। 

 

রবিবার (১৯ মে) সকালে উপজেলার চন্দনগাঁতী দক্ষিণ পাড়া গ্রামের মনো দেবের বাড়িতে এ অগ্নিকান্ডের ঘটনা ঘটে।

 

মনো দেব জানান, ‘বৈদ্যুতিক শর্ট সার্কিট থেকে প্রথমে আগুনের সুত্রপাত্র হয়। আমার ঘরে প্রথম আগুন লেগে যায়। আগুন ছড়িয়ে পড়লে মা ও ছোট ভাইয়ের ঘরে আগুন লাগে। তিনটি ঘরসহ আসবারপত্র পুড়ে ছাই হয়ে গেছে। পরে স্থানীয়দের সহায়তায় প্রায় ১ ঘন্টা চেষ্টার পর আগুন নিয়ন্ত্রনে আসে। এতে আমাদের প্রায় ১০ লাখ টাকার ক্ষতি হয়েছে। ফায়ার সার্ভিস এসে ছিলো কিন্তু রাস্তা উপরে নিচু নিচু গাছের ডাল থাকার করনে কারণে ঘটনাস্থলে পৌঁছাতে পারেনি।’

বেলকুচি ফায়ার সার্ভিসের স্টেশন মাষ্টার শহিদুল ইসলাম জানান, ‘খবর পেয়ে তাৎক্ষণিক ঘটনাস্থলের উদ্দেশে রওনা হই। কিন্তু যেখানে অগ্নিকান্ডের ঘটনা সেখাকার রাস্তা নিচু নিচু গাছের ডাল থাকার কারণে আমাদের গাড়ি পৌঁছাতে পারিনি। আমারা প্রায় ১ কিলোমিটার পথ হেটেঁ যাওয়ার পরে ঘটনাস্থলে দেখি স্থানীদের সহযোগিতায় আগুন নিয়ন্ত্রনে এসেছে।'


আগুণ   বসতঘর   ক্ষয়ক্ষতি  


মন্তব্য করুন


বিজ্ঞাপন