ইনসাইড বাংলাদেশ

স্বাধীনতার পর যত অর্জন তা বঙ্গবন্ধু-আওয়ামী লীগের হাত ধরে: প্রধানমন্ত্রী

প্রকাশ: ০৮:৩০ এএম, ১৬ ডিসেম্বর, ২০২২


Thumbnail

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, স্বাধীনতার পর বিগত ৫১ বছরে আমাদের যা কিছু অর্জন তা জাতির পিতা এবং আওয়ামী লীগের হাত ধরেই হয়েছে।

তিনি বলেন, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব বাংলাদেশকে ‘স্বল্পোন্নত’ দেশে উন্নীত করেন, আর আমরা মাতৃভূমিকে ‘উন্নয়নশীল' দেশের কাতারে নিয়ে গেছি। স্বাধীনতার পর বিগত ৫১ বছরে আমাদের যা কিছু অর্জন তা জাতির পিতা এবং আওয়ামী লীগের হাত ধরেই হয়েছে। আমি দৃঢ়ভাবে বিশ্বাস করি, আমাদের এ উন্নয়নের গতিধারা অব্যাহত থাকলে বিশ্ব দরবারে বাংলাদেশ ২০৪১ সালের মধ্যেই বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবের ক্ষুধা-দারিদ্র্যমুক্ত ও উন্নত-সমৃদ্ধ স্বপ্নের সোনার বাংলাদেশে পরিণত হবে, ইনশাল্লাহ ।

১৬ ডিসেম্বর ‘মহান বিজয় দিবস’ উপলক্ষে দেওয়া এক বাণীতে এ কথা বলেন প্রধানমন্ত্রী।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, বিজয় দিবস বাঙালি জাতীয় জীবনের এক অনন্য গৌরবোজ্জ্বল দিন। এদিন বিজয়ের ৫১ বছর পূর্তি হলো। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের আহ্বানে সাড়া দিয়ে দীর্ঘ ২৩ বছরের রাজনৈতিক সংগ্রাম ও ৯ মাসের রক্তক্ষয়ী মুক্তিযুদ্ধের মাধ্যমে ১৯৭১ সালের এ দিনে চূড়ান্ত বিজয় অর্জন করে বাঙালি জাতি।

বিজয়ের এ মাসে তিনি দেশবাসীকে আন্তরিক শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন জানান। গভীর শ্রদ্ধার সঙ্গে স্মরণ করেন জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে। স্মরণ করেন জাতীয় চার নেতা, ত্রিশ লাখ শহিদ, সম্ভ্রমহারা দুই লাখ মা-বোন এবং জাতির শ্রেষ্ঠ সন্তান বীর মুক্তিযোদ্ধাদের, যাঁদের মহান আত্মত্যাগের বিনিময়ে আমরা পেয়েছি স্বাধীন-সার্বভৌম বাংলাদেশ। তিনি কৃতজ্ঞতা জানান সেইসব দেশ ও ব্যক্তির প্রতি যাঁরা আমাদের মুক্তিযুদ্ধে নানাভাবে সহায়তা দিয়েছেন।

শেখ হাসিনা বলেন, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবের বলিষ্ঠ নেতৃত্বে বাঙালি জাতি ১৯৪৮-’৫২-এর ভাষা আন্দোলন, '৬২’র শিক্ষা আন্দোলন, '৬৬’র ছয়-দফা, '৬৯’র এগারো দফা ও গণঅভ্যুত্থ্যানের মাধ্যমে স্বাধীনতার জন্য প্রস্তুত হয়ে উঠে। '৭০’র সাধারণ নির্বাচনে আওয়ামী লীগ সমগ্র পাকিস্তানে নিরঙ্কুশ সংখ্যাগরিষ্ঠতা অর্জন করে। কিন্তু পাকিস্তানিরা বাঙালি জাতিকে ক্ষমতায় অধিষ্ঠিত হতে দেয়নি। জাতির পিতা অনুধাবন করেন, স্বাধীনতা অর্জন ছাড়া বাঙালি জাতির ওপর অত্যাচার, নির্যাতন ও বঞ্চনার অবসান হবে না। তাই তিনি ১৯৭১ সালের ৭ই মার্চ ঐতিহাসিক রেসকোর্স ময়দানের জনসমুদ্রে দাঁড়িয়ে দৃপ্তকণ্ঠে ঘোষণা করেন, ‘এবারের সংগ্রাম আমাদের মুক্তির সংগ্রাম, এবারের সংগ্রাম স্বাধীনতার সংগ্রাম'।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবের ডাকে শুরু হয় অসহযোগ আন্দোলন। চলতে থাকে সশস্ত্র মুক্তিযুদ্ধের প্রস্তুতি। পাকিস্তানি হানাদার বাহিনী ১৯৭১-এর ২৫-এ মার্চ কালরাতে নিরীহ ও নিরস্ত্র বাঙালির ওপর গণহত্যা শুরু করে। ২৬ মার্চের প্রথম প্রহরে বঙ্গবন্ধু বাংলাদেশের স্বাধীনতা ঘোষণা করেন। শুরু হয় সশস্ত্র মুক্তিযুদ্ধ। ১৭ এপ্রিল মুজিবনগরে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবকে রাষ্ট্রপতি, সৈয়দ নজরুল ইসলামকে উপ-রাষ্ট্রপতি এবং তাজউদ্দিন আহমদকে প্রধানমন্ত্রী করে গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশের প্রথম সরকার শপথ গ্রহণ করে মুক্তিযুদ্ধ পরিচালনা করে। বীর মুক্তিযোদ্ধারা ৯ মাসের রক্তক্ষয়ী যুদ্ধের মাধ্যমে পাকিস্তানি হানাদার এবং তাদের দোসর রাজাকার-আলবদর-আলশামস বাহিনীকে পরাজিত করে ১৬ ডিসেম্বর চূড়ান্ত বিজয় অর্জন করেন।

শেখ হাসিনা বলেন, জাতির পিতা মাত্র সাড়ে ৩ বছরে যুদ্ধ-বিধ্বস্ত দেশকে পুনর্গঠন করেন। ধ্বংসপ্রাপ্ত রাস্তাঘাট, ব্রিজ-কালভার্ট, রেললাইন, পোর্ট সচল করে অর্থনীতিতে গতি সঞ্চার করেন। মাত্র ১০ মাসে তাঁর নির্দেশনায় মুক্তিযুদ্ধের চেতনার ভিত্তিতে আমাদের সংবিধান প্রণীত হয়। ১৯৭৫ সালে জিডিপি প্রবৃদ্ধির হার ৯ শতাংশ অতিক্রম করে। যুদ্ধবিধ্বস্ত বাংলাদেশকে বঙ্গবন্ধু ‘স্বল্পোন্নত’ দেশের কাতারে নিয়ে যান।

তিনি বলেন,সকল প্রতিবন্ধকতা মোকাবিলা করে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব যখন একটি শোষণ-বঞ্চনামুক্ত অসাম্প্রদায়িক গণতান্ত্রিক ‘সোনার বাংলা’ গড়ার লক্ষ্য নিয়ে এগিয়ে যাচ্ছিলেন, ঠিক তখনই স্বাধীনতাবিরোধী অপশক্তি ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্টের কালরাতে তাঁকে পরিবারের বেশির ভাগ সদস্যসহ নির্মমভাবে হত্যা করে। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবকে হত্যার পর থেমে যায় বাংলাদেশের উন্নয়ন-অগ্রযাত্রা। শুরু হয় হত্যা, ক্যু আর ষড়যন্ত্রের রাজনীতি। ঘাতক এবং তাদের দোসররা ইতিহাসের এই জঘন্যতম হত্যাকান্ডের বিচারের পথ রুদ্ধ করতে জারি করে ‘ইনডেমনিটি অধ্যাদেশ'।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘দীর্ঘ ২১ বছর পর বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ ১৯৯৬ সালে জনগণের ভোটে জয়ী হয়ে রাষ্ট্র পরিচালনার দায়িত্ব পায়। আমরা দায়িত্ব নিয়েই বাংলাদেশকে একটি মর্যাদাশীল দেশ হিসেবে বিশ্বের বুকে প্রতিষ্ঠিত করার উদ্যোগ গ্রহণ করি। সামাজিক সুরক্ষা কর্মসূচি প্রবর্তনের মাধ্যমে গরিব, প্রান্তিক মানুষদের সরকারি ভাতার আওতায় আনা হয়। কৃষি উৎপাদনের ওপর বিশেষ জোর দিয়ে দেশকে খাদ্য উৎপাদনে স্বয়ংসম্পূর্ণ করি। পানির হিস্যা আদায়ে ১৯৯৬ সালে ভারতের সঙ্গে গঙ্গা পানি বণ্টন চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়। পার্বত্য চট্টগ্রামে শান্তি প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে ১৯৯৭ সালে ঐতিহাসিক শান্তি চুক্তি সম্পাদন করি। ‘ইনডেমনিটি অধ্যাদেশ' বাতিল করে আমরা বঙ্গবন্ধু হত্যাকান্ডের বিচার কার্যক্রম শুরু করি।’

আওয়ামী লীগ ২০০৯ সাল থেকে ধারাবাহিকভাবে সরকার গঠন করে গত ১৪ বছর ধরে মানুষের ভাগ্যোন্নয়নে নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছে উল্লেখ করে শেখ হাসিনা বলেন, ‘ আমরা আজ জাতির পিতার অসমাপ্ত কাজগুলো বাস্তবায়ন করছি। খাদ্য উৎপাদনে বাংলাদেশ আজ স্বয়ংসম্পূর্ণ। আমরা এখন পুষ্টি নিরাপত্তা নিশ্চিতে কাজ করছি। মিয়ানমার ও ভারতের সঙ্গে সমুদ্রসীমা বিরোধের শান্তিপূর্ণ নিষ্পত্তির মাধ্যমে বঙ্গোপসাগরে বিশাল এলাকার ওপর আমাদের সার্বভৌম অধিকার প্রতিষ্ঠিত হয়েছে। বাংলাদেশ-ভারত স্থল সীমান্ত চুক্তি বাস্তবায়নের মাধ্যমে ছিটমহলবাসীর দীর্ঘদিনের মানবেতর জীবনের অবসান হয়েছে। বঙ্গবন্ধু হত্যাকান্ডের বিচারের রায় কার্যকরের মধ্য দিয়ে জাতি গ্লানিমুক্ত হয়েছে। জাতীয় চার নেতা হত্যাকান্ডের বিচার কার্যক্রম সম্পন্ন করা হয়েছে। যুদ্ধাপরাধীদের বিচার অব্যাহত রয়েছে এবং বিচারের রায় কার্যকর করা হচ্ছে। ’

প্রধানমন্ত্রী বলেন , ‘আমরা ২০২১-২০৪১ মেয়াদি দ্বিতীয় প্রেক্ষিত পরিকল্পনা প্রণয়ন করেছি এবং ৮ম পঞ্চবার্ষিক পরিকল্পনা বাস্তবায়ন করছি। আমরাই বিশ্বে প্রথম শত বছরের ‘ব-দ্বীপ পরিকল্পনা ২১০০' বাস্তবায়ন শুরু করেছি। বাংলাদেশের উন্নয়ন অভিযাত্রায় ‘ডিজিটাল বাংলাদেশ' এর সুবিধা আজ শহর থেকে প্রান্তিক গ্রাম পর্যায়ে বিস্তৃত হয়েছে। প্রতিটি গ্রামে শহরের নাগরিক সুযোগ-সুবিধা পৌঁছে দেওয়া হচ্ছে। দেশের সকল গৃহহীন-ভূমিহীনের জন্য ঘর তৈরি করে দেওয়া হচ্ছে। বাংলাদেশের একটি মানুষও আর গৃহহীন থাকবে না। শতভাগ মানুষ বিদ্যুৎ সুবিধার আওতায় এসেছে। মাথাপিছু আয় ২০০৫-০৬ সালের ৫৪৩ মার্কিন ডলার হতে বৃদ্ধি পেয়ে বর্তমানে ২,৮২৪ মার্কিন ডলারে পৌঁছেছে। আমরা দেশের প্রতিটি খাতে অভাবনীয় অগ্রগতি অর্জন করেছি। কৃষি, শিক্ষা, স্বাস্থ্য, যোগাযোগ, তথ্য-প্রযুক্তি, শিল্প ব্যবসা-বাণিজ্যসহ আর্থ-সামাজিক উন্নয়নের প্রতিটি ক্ষেত্রে বাংলাদেশ এখন বিশ্বের বুকে ‘রোল মডেল'। বাংলাদেশ স্বল্পোন্নত দেশ থেকে মর্যাদাশীল ‘উন্নয়নশীল’ দেশে উন্নীত হওয়ার জাতিসংঘের চূড়ান্ত অনুমোদন লাভ করেছে।’

শেখ হাসিনা বলেন, ১৯৭১ সালের ১৬ ডিসেম্বর মুক্তিযুদ্ধে বিজয়ের মাধ্যমে জাতিরাষ্ট্র ‘বাংলাদেশ' প্রতিষ্ঠা হলো বাঙালি জাতির শ্রেষ্ঠতম অর্জন। এই অর্জন অর্থবহ করতে স্বাধীনতার মহানায়ক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব এবং মুক্তিযুদ্ধ সম্পর্কে সবাইকে জানতে ও জানাতে হবে । প্রজন্ম থেকে প্রজন্মে মহান মুক্তিযুদ্ধের চেতনা আমরা পৌঁছে দিবো- বিজয় দিবসে এই হোক আমাদের অঙ্গীকার।

স্বাধীনতা   বঙ্গবন্ধু   আওয়ামী লীগ   প্রধানমন্ত্রী  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড বাংলাদেশ

ট্রাক্টরের সঙ্গে ধাক্কায় প্রাণ গেল ৩ মোটরসাইকেল আরোহীর

প্রকাশ: ০১:০৯ পিএম, ২৮ এপ্রিল, ২০২৪


Thumbnail

সিলেটের জকিগঞ্জে ইটভাটার মাটি বোঝাই ট্রাক্টরের সঙ্গে মোটরসাইকেলের ধাক্কায় যুবক নিহত হয়েছেন। শনিবার (২৭ এপ্রিল) রাতে সিলেট-জকিগঞ্জ সড়কের বারঠাকুরী ইটভাটা এলাকায় দুর্ঘটনা ঘটে।

এঘটনায় নিহতরা হলেন, উপজেলার বারঠাকুরী গ্রামের ছাদ উদ্দিনের ছেলে উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যানের ব্যক্তিগত সহকারী রেদওয়ান আহমদ (২৬), একই গ্রামের মৃত আব্দুস শুক্কুরের ছেলে দেলোয়ার হোসেন (২৫) এবং সোনাসার বাজারের ব্যবসায়ী মঞ্জুর আহমদ (৩৮)

জকিগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোঃ জাবেদ মাসুদ জানান, মোটরসাইকেলে বাড়ি ফেরার পথে রেদওয়ান, মঞ্জুর দেলোয়ার হোসেন বারঠাকুরী ইটভাটার কাছে পৌঁছালে সড়কে পার্ক করে রাখা মাটিবোঝাই অবৈধ ট্রাক্টরের সঙ্গে ধাক্কা লাগে। এতে ঘটনাস্থলেই রেদওয়ান আহমদ এবং দেলোয়ার হোসেন মারা যান। গুরুতর আহত অবস্থায় মঞ্জুর আহমদকে উদ্ধার করে সিলেট এমএজি ওসমানী হাসপাতালে নেয়ার পথে তিনিও মারা যান।


সড়ক দুর্ঘটনা   ট্রাক্টর   মোটরসাইকেল   নিহত  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড বাংলাদেশ

এমপির প্রার্থী দাবি করায় স্বতন্ত্র প্রার্থীকে শোকজ

প্রকাশ: ১২:৩৫ পিএম, ২৮ এপ্রিল, ২০২৪


Thumbnail

আচরণবিধি লঙ্ঘনের অভিযোগে দিনাজপুরের ঘোড়াঘাট উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের এক স্বতন্ত্র প্রার্থীকে কারণ দর্শানোর (শোকজ) নোটিশ দিয়েছে নির্বাচনী অনুসন্ধান কমিটি।

শনিবার (২৭ এপ্রিল) নির্বাচন অনুসন্ধান কমিটির সিনিয়র জেলা নির্বাচন অফিসার ও রিটার্নিং অফিসার ঘোড়াঘাট উপজেলা পরিষদ সাধারণ নির্বাচন মো. কামরুল ইসলাম এ নোটিশ দেন।

ওই নোটিশে অভিযুক্ত ব্যক্তিকে ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে সশরীরে লিখিত ব্যাখ্যা প্রদানের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

শোকজ নোটিশ পাওয়া ওই চেয়ারম্যান প্রার্থী হলেন, আনারস প্রতীকের প্রার্থী কাজী শুভ রহমান চৌধুরী। তিনি উপজেলা আওয়ামী লীগের সদস্য ও সাবেক উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান। তার বিরুদ্ধে অভিযোগ করেছেন কাপ-পিরিচ প্রতীকের চেয়ারম্যান প্রার্থী রবিউল ইসলাম।

রবিউল ইসলাম উপজেলা আওয়ামী লীগের সদস্য ও সাবেক জেলা পরিষদ সদস্য। তিনি গত বৃহস্পতিবার বিকেলে কাজী শুভ রহমান চৌধুরীর বিরুদ্ধে নির্বাচনী আচরণবিধি লঙ্ঘনের অভিযোগ করেন। পরে ঘোড়াঘাট উপজেলা নির্বাচন অফিসার ও সহকারী রির্টানিং অফিসার মো. শাহীনুর আলম অভিযোগের চিঠি জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা ও রিটার্নিং কর্মকর্তার কাছে পাঠান।

স্বতন্ত্র প্রার্থী হওয়া সত্বেও আনারস প্রতীকের চেয়ারম্যান প্রার্থী কাজী শুভ রহমান চৌধুরী নির্বাচনী প্রচারণার দ্বিতীয় দিনে এক উঠান বৈঠকে নিজেকে এমপির সমর্থিত (সংসদ সদস্য শিবলী সাদিক) মনোনীত প্রার্থী দাবি করে ভোট চান। যেটা আচারণবিধি লঙ্ঘন করেছেন মর্মে চেয়ারম্যান পদপ্রার্থী রবিউল ইসলামের করা লিখিত ও হোয়াটসঅ্যাপের ভিডিও চিত্র অভিযোগের ভিত্তিতে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করার জন্য জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা ও রিটার্নিং কর্মকর্তা বরাবর পাঠানো হয়।

ভিডিওতে দেখা যায়, চেয়ারম্যান প্রার্থী কাজী শুভ রহমান চৌধুরী ভোটারদের উদ্দেশ্যে বলছেন, জাতীয় নির্বাচনের এক পথ সভায় এমপি ( সংসদ সদস্য শিবলী সাদিক) তাকে তার মনোনীত প্রার্থী হিসাবে আমাকে সমর্থন করেছেন। আমি মনে করি, এই সম্মান এখন শিবলী সাদিকের সম্মান। এই সম্মান রক্ষা করার দায়িত্ব কিন্তু আপনাদের।

অভিযোগ ব্যাপারে জানতে চাইলে চেয়ারম্যান প্রার্থী কাজী শুভ রহমান চৌধুরী বলেন, আমরা বংশ পরম্পরায় রাজনীতির সঙ্গে জড়িত। আমাদের রাজনীতির ইতিহাস প্রায় ১০০ বছরের উপরে। আমি নিজেও রাজনীতির সঙ্গে জড়িত। হয়তো কথা বলার ক্ষেত্রে আমি বলে থাকতে পারি। ওইটা হয়ত ভুলবশত হতেই পারে। আগামী দিন আর এ রকম হবে না।

জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা ও রিটার্নিং কর্মকর্তা কামরুল ইসলাম বলেন, অভিযোগের ভিত্তিতে শনিবার সকালে ওনাকে (কাজী শুভ রহমান চৌধুরী) শোকজ করা হয়েছে।


উপজেলা নির্বাচন   এমপি   নির্বাচন কমিশন  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড বাংলাদেশ

চট্টগ্রামে ৪৮ ঘণ্টার ধর্মঘটে ভোগান্তিতে যাত্রীরা

প্রকাশ: ১২:২৪ পিএম, ২৮ এপ্রিল, ২০২৪


Thumbnail

চট্টগ্রাম প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (চুয়েট) দুই শিক্ষার্থী নিহতের ঘটনায় গাড়ি ভাংচুরের প্রতিবাদে ৪৮ ঘণ্টার ধর্মঘট চলছে চট্টগ্রামে। বৃহত্তর চট্টগ্রাম গণপরিবহন মালিক শ্রমিক ঐক্য পরিষদের ডাকা এই ধর্মঘট শুরু হয় রোববার (২৮ এপ্রিল) ভোর ৬টা থেকে। রাস্তায় বাসসহ বিভিন্ন গণপরিবহনের সংখ্যা স্বাভাবিকের চেয়ে কম। এছাড়া তিন পার্বত্য জেলা, কক্সবাজার ও চট্টগ্রামের বিভিন্ন উপ-জেলাগামী রুটেও বাস চলাচল বন্ধ আছে।

এই পরিস্থিতিতে দুর্ভোগে পড়েছেন সাধারণ মানুষ। মোড়ে মোড়ে বিভিন্ন গন্তব্যমুখী মানুষের ভিড় লক্ষ্য করা গেছে। সবচেয়ে বেশি দুর্ভোগে পড়েছে স্কুল-কলেজগামী শিক্ষার্থীরা। অনেকেই ট্রাকে চড়ে গন্তব্য যাচ্ছেন।

তবে বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে নগরে গণ-পরিবহনের সংখ্যা বেড়েছে। কিন্তু সকাল ১১টা পর্যন্ত চট্টগ্রাম থেকে তিন পার্বত্য জেলা, কক্সবাজার ও উপজেলাগামী কোনও বাস ছেড়ে যায়নি। 

এদিকে ধর্মঘটের সমর্থনে জেলার বিভিন্ন জায়গায় শ্রমিকরা পিকেটিং করছে বলে খবর পাওয়া গেছে।

রাঙ্গুনিয়াগামী যাত্রী দিবাকর দাশ বলেন, ‘চুয়েটের সঙ্গে বাস মালিক-শ্রমিকদের সমস্যা। চুয়েটের শিক্ষার্থীদের অবরোধে ৪ দিন গাড়ি চলেনি। এখন আবার শ্রমিকেরা ৪৮ ঘণ্টার ধর্মঘট ডেকেছে। মোটকথা সবকিছুতে ভুক্তভোগী আমরা।’

বাহাদুর শাহ নামে এক কলেজ শিক্ষার্থী বলেন, ‘গণপরিবহন সংকটের কারণে অতিরিক্ত ভাড়া আদায় করা হচ্ছে।’

এর আগে, গতকাল শনিবার দুপুরে চট্টগ্রাম আন্তঃজেলা মালিক সমিতি কার্যালয়ে গণপরিবহন মালিক শ্রমিক ঐক্য পরিষদের জরুরি সভায় এ কর্মসূচি ঘোষণা করেন সংগঠনের আহ্বায়ক মঞ্জুরুল আলম চৌধুরী। এ সময় গণপরিবহন মালিক শ্রমিক ঐক্য পরিষদের নেতারা উপস্থিত ছিলেন। তবে এই ধর্মঘট প্রত্যাখ্যান করেছেন মালিক-শ্রমিকদের একাংশ। 

বৃহত্তর চট্টগ্রাম গণপরিবহন মালিক-শ্রমিক ঐক্য পরিষদের সদস্য সচিব মোহাম্মদ মুছা বলেন, ‘সভার সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, রোববার ভোর ৬টা থেকে মঙ্গলবার ভোর ৬টা পর্যন্ত চট্টগ্রাম জেলা ও মহানগর, কক্সবাজার এবং তিন পার্বত্য জেলায় বাস, মিনিবাস, হিউম্যান হলার, অটোরিকশা ও অটো-টেম্পু চলাচল বন্ধ থাকবে। দূরপাল্লার কোনও বাস এসব জেলা ও মহানগর থেকে ছাড়বে না এবং ঢুকতেও পারবে না। মালিক-শ্রমিকদের স্বতঃস্ফূর্তভাবে ধর্মঘট সফল করার আহ্বান জানানো হয়েছে।’

তিনি বলেন, বেশ কিছুদিন ধরে চাঁদাবাজির অভিযোগ তুলে ওয়েবিল চেকার-লাইনম্যানসহ পরিবহন শ্রমিকদের র‌্যাবের গণগ্রেপ্তারের প্রতিবাদে পূর্বাঞ্চলীয় সড়ক পরিবহন শ্রমিক ফেডারেশনের পক্ষ থেকে ২৪ ঘণ্টার ধর্মঘট আহ্বান করা হয়েছিল। এর মধ্যে চুয়েটের পরিস্থিতি নিয়ে শনিবার দুপুরে ঐক্য পরিষদ জরুরি সভায় বসে। সভা থেকে চার দফা দাবিতে ৪৮ ঘণ্টা পরিবহন ধর্মঘট পালনের সিদ্ধান্ত হয়। 

এসব দাবির মধ্যে আছে, চুয়েটে দুই শিক্ষার্থী নিহতের জেরে ৪-৫টি গাড়ি ভাঙচুর ও তিনটি বাস পুড়িয়ে দেওয়ার ঘটনায় মামলা গ্রহণ, ক্ষতিপূরণ দেওয়া, ঘটনায় জড়িতদের গ্রেপ্তার এবং চুয়েটের তিন শিক্ষার্থীকে বহনকারী মোটরসাইকেলটি নিবন্ধিত ছিল কি না, চালকের ড্রাইভিং লাইসেন্স ছিল কি না, তিনজন একইসঙ্গে মোটরসাইকেলে ওঠার ক্ষেত্রে বিদ্যমান আইনের লঙ্ঘন হয়েছে কি না ও তারা মাদকাসক্ত ছিল কি না- এসব বিষয় তদন্তে কমিটি গঠন।


৪৮ ঘণ্টার ধর্মঘট   ভোগান্তিতে যাত্রীরা   চট্টগ্রাম গণপরিবহন মালিক শ্রমিক ঐক্য পরিষদ  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড বাংলাদেশ

সিরাজগঞ্জে ফেন্সিডিল ও গাঁজাসহ ৩ মাদক কারবারি আটক

প্রকাশ: ১২:০৬ পিএম, ২৮ এপ্রিল, ২০২৪


Thumbnail সিরাজগঞ্জে ফেন্সিডিল ও গাজা সহ ৩ জনকে আটক করেছে ডিবি পুলিশ

সিরাজগঞ্জ জেলা পুলিশ এর গোয়েন্দা শাখা (ডিবি) মাদকদ্রব্য উদ্ধার অভিযান চালিয়ে সিরাজগঞ্জ সদর থানার কালিয়া হরিপুর ইউনিয়নের অন্তর্গত কাশিয়াহাটা বাজারের মেসার্স হোসাইন বস্ত্রালয় এর সামনে থেকে ২০০শ বোতল ফেন্সিডিল ও ২০ কেজি গাঁজাসহ ৩ মাদক কারবারিকে আটক করেছে।

 

বিষয়টি গণমাধ্যম কর্মীদের নিশ্চিত করেছেন জেলা গোয়েন্দা শাখার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মোঃ জুলহাজ উদ্দিন,বিপিএম (বার), পিপিএম।

 

শনিবার (২৭ এপ্রিল) সকালে মাদকদ্রব্য উদ্ধার অভিযান ডিউটি করা কালে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়। আটককৃত আসামিরা হলেন, আব্দুল্লাহ ওরফে আঃ আলিম (৩৯), মোঃ আঃ লতিফ শেখ (৫১), মোঃ আজিজুল আকন্দ (৪৫) ।

 

আটককৃত আসামী আব্দুল্লাহ ওরফে আঃ আলিম এবং আসামী মোঃ আঃ লতিফ শেখ (৫১) এর বিরুদ্ধে ৩টি করে মাদক মামলা আদালতে বিচারাধীন আছে।


মাদক   ফেন্সিডিল   গাজা  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড বাংলাদেশ

শেখ জামালের জন্মদিনে স্বেচ্ছাসেবক লীগের শ্রদ্ধা

প্রকাশ: ১১:৫৩ এএম, ২৮ এপ্রিল, ২০২৪


Thumbnail

জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের দ্বিতীয় পুত্র বীর মুক্তিযোদ্ধা শহীদ লেফটেন্যান্ট শেখ জামালের ৭১তম জন্মদিন উপলক্ষে তার কবরস্থানে পুষ্পস্তবক অর্পণ করেছে বাংলাদেশ আওয়ামী স্বেচ্ছাসেবক লীগ।

রোববার (২৮ এপ্রিল) সকাল ৯টায় বনানী কবরস্থানে সংগঠনের সভাপতি গাজী মেজবাউল হোসেন সাচ্চু ও সাধারণ সম্পাদক আফজালুর রহমান বাবুর নেতৃত্বে বাংলাদেশ আওয়ামী স্বেচ্ছাসেবক লীগ শহীদ শেখ জামালের কবরে পুষ্পস্তবক অর্পণ করে।

শেখ জামাল ১৯৫৪ সালের ২৮ এপ্রিল গোপালগঞ্জ জেলার টুঙ্গিপাড়া গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন।

তিনি ঢাকা রেসিডেন্সিয়াল মডেল কলেজ থেকে মাধ্যমিক এবং ঢাকা কলেজ থেকে উচ্চ মাধ্যমিক পাস করেন। তিনি ছিলেন সংস্কৃতিপ্রেমী এবং একজন ক্রীড়াবিদ।

১৯৭১ সালে মহান মুক্তিযুদ্ধের সময় পরিবারের অন্য সদস্যদের সঙ্গে শেখ জামালও গৃহবন্দি ছিলেন। সেখান থেকে পালিয়ে তিনি মুক্তিযুদ্ধের ৯ নম্বর সেক্টরে সম্মুখ যুদ্ধে অংশগ্রহণ করেন।

১৯৭৫ সালের ১৪ আগস্ট ব্যাটালিয়ন ডিউটি অফিসার হিসেবে ক্যান্টনমেন্টে দায়িত্ব পালন করেন তিনি। ওইদিন রাতে ক্যান্টনমেন্ট থেকে ফিরে আসেন ধানমন্ডি ৩২ নম্বরের বাড়িতে। পরদিন ১৫ আগস্ট কাক ডাকা ভোরে দিনের প্রথম সূর্য রশ্মি ধানমন্ডি লেকের পানিকে উজ্জ্বল করার আগেই ঘাতকের বুলেটের আঘাতে পরিবারের অন্য সদস্যদের সঙ্গে সস্ত্রীক শহীদ হন শেখ জামাল।

শেখ জামালের জন্মদিন উপলক্ষে আজ সকাল থেকে বনানী কবরস্থানে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ, যুবলীগ, ছাত্রলীগসহ বিভিন্ন সংগঠন পুষ্পস্তবক অর্পণ করেছে।


শেখ জামাল   স্বেচ্ছাসেবক লীগ  


মন্তব্য করুন


বিজ্ঞাপন