ইনসাইড বাংলাদেশ

‘অন্যদেরকে বন্দী অবস্থায় রেখে তিনি কিছুতেই যাবেন না’

প্রকাশ: ১২:৩৬ পিএম, ১৬ ডিসেম্বর, ২০২২


Thumbnail

১৯৭১ সালের ১৬ ডিসেম্বর বিজয় অর্জন করে বাংলাদেশ। দীর্ঘ নয় মাস যুদ্ধের মধ্যদিয়ে অর্জিত হয় এই অর্জন। মুক্তিযুদ্ধ শুরুর আগে এবং মুক্তিযুদ্ধকালীন সময়ের ঘটনাপ্রবাহ ওঠে আসে ওই সময়ে গুরত্বপূর্ণ ভূমিকায় থাকা বেশকিছু মানুষের সাক্ষাৎকারে। এই মানুষগুলো স্বাধীনতা অর্জনের পথে যেমন বিভিন্নভাবে সহায়তা করেছেন, তেমনি দেখেছেন স্বাধীনতার বিজয় গাঁথাও। বাংলা ইনসাইডারের পাঠকদের জন্য এমন কয়েকজন ব্যক্তির মধ্যে এই পর্বে ড. কামাল হোসেন এর সাক্ষাৎকারের চুম্বক অংশ তুলে ধরা হলো।

ড. কামাল হোসেন একজন আইনজীবী। তিনি ছিলেন আওয়ামী লীগের নেতা এবং বাংলাদেশের সংবিধানের প্রণেতা। লেখাটি নেওয়া হয়েছে ‘বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধ দলিলপত্র’ এর পঞ্চদশ খণ্ড থেকে।

স্বাভাবিকভাবেই ১৭ই ফেব্রুয়ারি রাউন্ড টেবিল কনফারেন্স শুরু হল না এবং আমাকে চরম উত্তেজনাকর পরিস্থিতির কারণে শেখ মুজিবের মুক্তি আদায়ের জন্য চেষ্টা করতে রাওয়ালপিন্ডি যেতে অনুরোধ করা হচ্ছিলো। কারাগার থেকে সদ্য মুক্তি পাওয়া তাজউদ্দীন আহমেদ, আমিরুল ইসলাম এবং আমি ফেব্রুয়ারীর ১৭ তারিখে রাওয়ালপিন্ডি পৌঁছুলাম। যেহেতু শেখ মুজিবকে মুক্তি দেওয়া হচ্ছিল না এবং ফলস্বরুপ ডেমোক্রেটিক একশান কমিটিও আলোচনায় বসছিল না তাই সবদিকে একটা সংকটময় পরিস্থিতি বিরাজ করছিল। অবস্থা জানতে বিরোধী দলের আইয়ুব মানজার বশির, একজন এডভোকেট, স্বপ্রণোদিত হয়ে আইন মন্ত্রী জাফর এর সাথে গভীর রাতে দেখা করতে গেলেন। একেবারে মধ্যরাতে কেউ আমাকে বলল যে তিনি পরের দিন সকালেও জাফরের সাথে দেখা করতে যেতে পারতেন। জাফর “আইনগত জটিলতা” জাতীয় কিছু চেঁচামেচি করলেন কিন্তু যখন তাকে লিগ্যাল নোটিশের জবাব দিতে বলা হল তখন তিনি জানালেন যে বিষয়টা শুধু আইনী নয় বরং উপর মহলের রাজনৈতিক সিদ্ধান্তও বটে।

তাকে বুঝানো হল যে আইনী নোটিশে একটি পরিষ্কার জবাব চাওয়া হয়েছে এবং এতে দেরী করা উচিত নয়। তিনি বললেন যে সেদিন সকালেই বিষয়টি নিয়ে আলোচনা হয়েছে এবং দুপুরেই একটি জবাব তিনি আমাকে দিবেন। তিনি আরো একটি নোটিশ অথবা আগের নোটিশটির সামারীও চাইলেন। ১ ঘন্টার মধ্যে তাঁকে আরেকটি নতুন নোটিশ দেয়া হলো। সাড়ে ১২ টার জাফর আমাকে টেলিফোন করে তার হোটেলে দেখা করতে বললেন। সেখানে তিনি আমাকে জানালেন যে সুদীর্ঘ আলোচনা শেষে মন্ত্রণালয় না বোধক সিদ্ধান্ত নিয়েছে যে অর্থাৎ নোটিশে প্রদত্ত চাহিদা তারা মেনে নিবেন না। শুনে আমি ক্রুব্ধ হলাম এবং সেখানে উপস্থিত মনজুর কাদেরকে আমার অনুভূতি জানালাম। তিনিও সরকারের এহেন আচরণে অসন্তুষ্ট ছিলেন। তিনি বিকেলে আমার সাথে কথা বলবেন জানিয়ে জাফর এর সাথে কথা বলতে শুরু করলেন।

সেদিন বিকেলে মনজুর কাদের টেলিফোন করে আমাকে একই হোটেলে তার কক্ষে দেখা করতে বললেন। তিনি যখন রুমে ঢুকছিলেন তখনি জাফর সেখানে এসে উপস্থিত হলেন। তারা (মনজুর কাদের এবং জাফর) প্রস্তাব দিলেন যে সরকার একটি ঘোষণা করতে প্রস্তুত যে শেখ মুজিব ‘মুক্ত মানুষ’ হিসেবে রাউন্ড টেবিল কনফারেন্সে যোগ দিতে পারবেন। যখন আইনী দিকটার বিষয়ে জিজ্ঞেস করলাম তখন জাফর কাচুমাচু হয়ে বললেন যে এই একটি মাত্র পথেই সরকারকে তিনি রাজী করাতে পারবেন। তারা আমাকে শেখ মুজিবের কাছে বার্তাটি পৌছে দিতে বললেন।......

এয়ারপোর্টে নামামাত্র মানিক মিয়াঁ আমাদের অভ্যর্থনা জানালেন এবং আমরা ক্যান্টনমেন্টে রাওনা দিলাম। যখন শেখ মুজিবকে জাফরের প্রস্তাব জানানো হল যে তিনি ‘মুক্ত মানুষ’ হিসেবে ঘোষিত হয়ে রাওয়ালপিন্ডিতে যেতে পারবেন শেখ মুজিব তা অগ্রহণযোগ্য প্রস্তাবনা বলে তৎক্ষণাৎ প্রত্যাখ্যান করলেন। তিনি বললেন, জহুরুল হককে যেখানে মেরে ফেলা হয়েছে সেখানে জিম্মা থেকে পলায়নপর অবস্থায় তিনি কিভাবে যাবেন যখন যে কেউ তাকে গুলি করে মেরে ফেলতে পারে। তিনি বললেন, তাদেরকে মামলা নিস্পত্তির জন্য যে লিগ্যাল নোটিশ দেওয়া হয়েছে তাঁদেরকে সেটার উত্তর দিতে হবে। তিনি আরও বললেন যে অন্যদেরকে বন্দী অবস্থায় রেখে তিনি কিছুতেই যাবেন না।

যখন আমি জেনারেল মুজাফফরুদ্দীনকে এসব জানালাম, তখন তিনি বললেন, জাফরের সাথে তিনি টেলিফোনে কথা বলবেন। জাফরকে বলা হল যে তার দেওয়া ফর্মুলা শেখ মুজিবের কাছে গ্রহণযোগ্য নয়। হয় তিনি নোটিশ গ্রহণ করবেন অথবা হাইকোর্টে কার্জক্রম চলবে এবং হাইকোর্ট হয়তো মুক্তির আদেশ দিবে। জাফর বললেন যে তিনি কিছু সময় পর টেলিফোন করবেন। তিনি টেলিফোন করে বললেন যে হাইকোর্টের প্রক্রিয়া সময়ক্ষেপণকারী এবং এর পরিবর্তে ট্রাইব্যুনালকে কার্যকর করে শেখ মুজিবের জন্য অন্তর্বর্তীকালীন মুক্তির আদেশ চাওয়া যেতে পারে। এটি হবে জামিন প্রকৃতির।

শেখ মুজিবকে এসব জানানো হল। তিনি বললেন, এখানে জামিনের প্রশ্ন অবান্তর। ইতোমধ্যে স্পেশাল ট্রাইব্যুনালের দু’জন বাঙালি বিচারপতি এবং একজন প্রসিকিউটিং আইনজীবীকে ক্যান্টনমেন্টে নিয়ে আসা হলো। তারা প্রস্তাব করলেন যে শেখ মুজিবকে জামিনে মুক্তি দেয়া যেতে পারে। যখন সহকর্মী আমিরুল ইসলাম শেখ মুজিবকে এটা জানালেন, তিনি তখন কঠোরভাবে জামিনে মুক্তির প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করলেন। আমিরুল যখন তার সাথে কথা বলছিলেন তখন শেখ মুজিবকে জামিনে মুক্তি দেয়া হচ্ছে মর্মে একটি রিপোর্ট সম্প্রচারিত হচ্ছিল। সেটা শুনে শেখ মুজিব রেগে আগুন হয়ে গেলেন।

শেখ মুজিব মুক্তি পেতে যাচ্ছেন শুনে হাজার হাজার মানুষ ঐদিন সন্ধ্যায় এয়ারপোর্ট রোড ধরে পায়ে হেঁটে ক্যান্টনমেন্টের দিকে আসতে লাগল। আর এদিকে শেখ মুজিবের জামিনে মুক্তিতে কঠোর প্রত্যাখ্যানের খবর পেয়ে একটি মিলিটারী গাড়ী লাউড স্পিকার নিয়ে জনগণের কাছে ছুটে গিয়ে জানাতে লাগলো যে ঐদিন সন্ধ্যায় কোনো মুক্তি হচ্ছে না। ইতোমধ্যে আইয়ুবের মন্ত্রিপরিষদের সদস্য খাজা শাহাবুদ্দীন এবং এডমিরাল এ আর খান ঢাকায় এসে পৌছলেন। শেখ মুজিবের অবস্থান সম্পর্কে ট্রাইব্যুনালের কাছে আমাদের রিপোর্টের কথা শেখ মুজিবকে জানিয়ে আমরা যখন ফিরছিলাম, তখন এডমিরাল এ আর খান এবং খাজা শাহাবুদ্দীনকে শেখ মুজিবের সাথে কথা বলার জন্য প্রবেশ করতে দেখলাম।....

পরের দিন সকালে সাড়ে ১১টার দিকে ঢাকায় খবর ছড়িয়ে পড়লো যে শেখ মুজিবকে মুক্তি দেওয়া হয়েছে। তারা এক মাস আগে দেওয়া লিগ্যাল নোটিশের ফর্মুলাতেই গিয়ে ঠেকেছেন যে ট্রায়ালটি সাংবিধানিকভাবে অবৈধ এবং তা ভেঙ্গে দিতে হবে।

শেখ মুজিব একজন জাতীয় বীর এবং পূর্ব পাকিস্তানের গণআন্দোলনের প্রশ্নাতীত নেতা হয়ে উঠলেন। তিনি বললেন, ঢাকায় একটি জনসভা করে জনগণের মেন্ডেট নিয়ে তিনি রাওয়ালপিন্ডিতে রাউন্ড টেবল বৈঠকে অংশ নিতে যাবেন। দশ লাখের বেশী মানুষের সমাগমের এক বিশাল জনসভা তাকে তার ছয় দফার স্বায়ত্বশাসনে সমর্থন জানালো এবং তাকে “বঙ্গবন্ধু” উপাধীতে ভূষিত করলো।

শেখ মুজিব এরপর রাউন্ড টেবল কনফারেন্সে অংশ নেবার দায়িত্বভার নিলেন যেখানে তিনি বাঙালি জনগণের দাবিদাওয়া তুলে ধরবেন বলে জানালেন। তিনি জানালেন যে এসব দাবিদাওয়া যদি গৃহীত না হয় তবে তিনি ফিরে আসবেন এবং আন্দোলন চালিয়ে যাবেন কিন্তু আপোষ করবেন না।.....

মার্চ ২৩ ছিল একটা অসাধারণ দিন। আগে এই দিনটা ‘পাকিস্তান দিবস’ হিসেবে পালিত হয়ে আসছিল। এটা ছিল সেই দিন যেদিন হাজার হাজার বাংলাদেশী পতাকা বিক্রি হয়। আমার মনে আছে, ভোর ৬ টা সময় খসড়ার কপি সমেত অফিস থেকে বেরোবার পথে আমি নবাবপুর রেলওয়ে ক্রসিং থেকে একটা বাংলাদেশের পতাকা কিনি। সকাল ৭ টার দিকে আমি খসড়ার কপি নিয়ে শেখ মুজিবুর রহমানের বাসায় উপস্থিত হই। অল্প সময়ের মাঝে অসংখ্য মিছিল সেখানে এসে উপস্থিত হয় এবং তার বাড়িতে বাংলাদেশের পতাকা উত্তোলন করা হয়। এমনকি বেশীরভাগ বাড়ী এবং গাড়িতে বাংলাদেশের পতাকা ওড়ানো হয়।

আওয়ামী লীগ প্রতিনিধি দল সেদিন সকাল ১১.৩০ টা নাগাদ বাংলাদেশের পতাকা গাড়িতে উড়িয়ে প্রেসিডেন্ট হাউজে এসে উপস্থিত হন। প্রেসিডেন্ট হাউজে মিলিটারি অফিসাররা সেই পতাকা দেখে প্রতিকূল আচরণ করে।.....

২৩ মার্চ সন্ধ্যায় আওয়ামী লীগ প্রতিনিধি দল এ সকল অর্থনৈতিক বিধানসমূহ নিয়ে পুনরায় আলোচনা শুরু করার জন্য ফিরে গিয়ে জানতে পারেন যে ইয়াহিয়া সারাদিন প্রেসিডেন্ট হাউজের বাইরে আছেন। পীরজাদা ক্যান্টনমেন্টের ব্যাপারে কিছু বলেন এবং পরবর্তী আলামত সমূহ নির্দেশ করে যে ২৩ তারিখই সেই দিন, যে দিন ‘জেনারেলরা’ বৈঠক করেছিলেন। এখন আমরা নিশ্চিতভাবে জানি যে এই দিনই অপারেশন সার্চলাইট চূড়ান্ত অনুমোদন পায় এবং দুইজন মূল পরিকল্পনাকারী হেলিকপ্টারে করে ২৪ মার্চ ঢাকার বাইরে তাদের বিশ্বস্ত ব্রিগেড কমান্ডারদের নির্দেশনা দেওয়ার জন্য উড়ে যায়। এম এম আহমেদের সাথে আওয়ামী লীগ প্রতিনিধি দলের সাথে অর্থনৈতিক বিষয় নিয়ে আলোচনা দীর্ঘায়িত করা হচ্ছিলো মূলত ‘মিলিটারি সমাধানের’ জন্য প্রস্তুতি নেয়ার জন্য। ২৪ শে মার্চ সকালের ভিতর আওয়ামী লীগ প্রতিনিধি দল সকল প্রকার আলোচনা এবং ঘোষণাপত্রের খসড়ার প্রশ্নবোধক জায়গাগুলো বিশ্লেষণ করা শেষ করেন। যখন আওয়ামী লীগ প্রতিনিধি দল সন্ধ্যার সেশনের জন্য চলে যাচ্ছিলেন, তখন শেখ মুজিব নির্দেশ করেন যে দেশের নামের ক্ষেত্রে আমরা প্রস্তাব করব ‘কনফেডারেশন অফ পাকিস্তান’। তিনি ইঙ্গিত দেন যে এটা দেশের মানুষের আবেগের প্রতি সম্মান দেখানোর জন্য দরকার। প্রস্তাবটি আংশিকভাবে স্বাধীনতার জনপ্রিয় ইস্যুকে প্রতিফলিত করে, যা তরুণদের মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়েছিল এবং বিরাট গণআন্দোলনের দিকে এগিয়ে যাচ্ছিলো।

যখন এই প্রস্তাব সরকার পক্ষের কাছে দেওয়া হয়, তখন তারা এর তীব্র বিরোধিতা করে এই বলে যে, এটা আমাদের মৌলিক অবস্থানের পরিবর্তনের নির্দেশ করছে। আমরা বলি যে নামের পরিবর্তন মৌলিক অবস্থানের পরিবর্তন নির্দেশ করে না। কারণ এখানে বাস্তবসম্মত অন্যান্য সকল বিধান ঠিক থাকছে যা একটি সংক্ষিপ্ত কিন্তু গুরুত্বপূর্ণ কেন্দ্রীয় সরকারের জন্য দরকার। কর্নেলিয়াস যুক্তিতর্ক মেনে নিলেন বলে মনে হলো। তবে তিনি ‘কনফেডারেশন’ শব্দের পরিবর্তে ‘ইউনিয়ন’ শন্দটির কথা বলেন। জবাবে আওয়ামী লীগ প্রতিনিধি দল বলেন যে, এই এক শব্দের বিষয়টা শেখ মুজিব এবং ইয়াহিয়ার কাছে দেওয়া হবে চূড়ান্ত খসড়া যখন তাদের অনুমোদনের জন্য যাবে তখন।

আওয়ামী লীগের প্রতিনিধি দল এটাও আঁচ করতে পারছিল যে বাইরের অবস্থা খুবই গুরুতর। কারণ আর্মি চট্টগ্রামে এম ভি সোয়াত জাহাজ থেকে অস্ত্র নামাতে যাচ্ছিলো এবং হাজার হাজার জনতা তাঁদের বন্দরে যাবার পথে বাঁধার সৃষ্টি করেছিল। রংপুর থেকে মিলিটারি অপারেশনের খবর এসেছিল। ঢাকাতে এমন খবরও পৌঁছাচ্ছিল যে মিলিটারি আক্রমণের প্রস্তুতি নিচ্ছে। এ কারণে মনে হচ্ছিলো যে ২৪ তারিখের মিটিংটাই শেষ মিটিং হতে যাচ্ছে। সেখানে আলোচনা সমাপ্তির কাছাকাছি নিয়ে যাওয়া উচিৎ এবং কারিগরি দিক নিয়ে আলোচনা করার আর সময় নেই।

সন্ধ্যায় সম্পূর্ণ খসড়া পড়ে শেষ করা হয়। আমি পীরজাদাকে অস্থির ভাবে জিজ্ঞেস করি যে কখন খসড়াটি চূড়ান্ত করা হবে? আওয়ামী লীগ প্রতিনিধিদের পক্ষ থেকে বলা হয় আমি যেন কর্নেলিয়াসের সাথে সেই রাতেই বসে খসড়াটি চূড়ান্ত করি। যেন পরদিন তা শেখ মুজিব এবং ইয়াহিয়ার সামনে পেশ করা যায়। কর্নেলিয়াস রাজি ছিলেন কিন্তু পীরজাদা বলেন যে, “না, আজ সন্ধ্যায় আমাদের কিছু আলোচনা করতে হবে। আপনারা কাল সকালে দেখা করেন।“ আমি পরদিন সকালে একটা সময় নির্দিষ্ট করার কথা বললে পীরজাদা আবারো বাঁধা দেন এবং বলেন যে এটা ফোনে ঠিক করা যাবে এবং সে ফোনে আমার সাথে যোগাযোগ করবে। তারপর পীরজাদা আমার দিকে তাকান এবং বলেন, “কখন ঘোষণা দেয়া উচিৎ বলে আপনি মনে করেন?” আমি বলি, এটা গত পরশুদিন দেওয়া উচিৎ ছিল। যেভাবে ঘটনা প্রবাহিত হচ্ছিল (আমার মাথায় চট্টগ্রাম এবং রংপুরের ঘটনাগুলো ছিল, যেখানে আর্মিরা সাধারণ মানুষ ও পুলিসদের উপর গুলিবর্ষণ করছিল)। হাতে একদমই সময় নেই। এই প্রসঙ্গে তাজউদ্দীন আহমেদ বলেন যে আওয়ামী লীগ প্রতিনিধি দল মনে করেন যে সকল বিষয় আলোচনা হয়ে গেছে এবং আর কিছু আলোচনার বাকি নেই। যা বাকি আছে তা হলো, শেখ মুজিব এবং ইয়াহিয়ার সামনে চূড়ান্ত অনুমোদনের জন্য খসড়াটি পেশ করা। একবার অনুমোদন হয়ে গেলে ঘোষণাটি জারি করা যাবে। তাজউদ্দীনের এই বক্তব্য শ্বেতপত্রে বিকৃত করে এমন ভাবে উপস্থাপন করা হয়েছে যেন আওয়ামী লীগ আলোচনা বন্ধ করে দিয়েছিল। সত্যিকার অর্থে, এটা ছিল সম্পূর্ণ মিথ্যা। প্রকৃতপক্ষে আলোচনা সম্পূর্ণ সমাপ্ত হয়েছিল এবং শুধু শেখ মুজিব এবং ইয়াহিয়ার অনুমোদন বাকি ছিল। অবিশ্যম্ভাবী ২৫ তারিখের সারাটা দিন আমি একটা টেলিফোন কলের জন্য অপেক্ষা করি। সেই কল আর কোনদিন আসে নি। যখন আমি রাত ১০.৩০ এর দিকে শেখ মুজিবের বাড়ি থেকে চলে যাচ্ছিলাম, তখন তিনি আমাকে ফোন কল এসেছে কিনা প্রশ্ন করেন। আমি তাকে কনফার্ম করি যে, আমি কোন কল পাই নি। সেই রাতেই আর্মি বাঙালির উপর গণহত্যার এবং রক্তস্নাতের আক্রমণ শুরু করে। এগুলো পরিহার করা এবং রাজনৈতিক সমঝোতা করাই ছিল আলোচনা শুরুর মূল উদ্দেশ্য।

ড. কামাল হোসেন, ১৯৭৪।

বিজয় দিবস   ড. কামাল হোসেন  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড বাংলাদেশ

গোপালগঞ্জে স্ত্রীকে শ্বাসরোধ করে হত্যার অভিযোগ

প্রকাশ: ০৯:৩০ এএম, ১৩ মে, ২০২৪


Thumbnail

গোপালগঞ্জে পারিবারিক কলহের জের ধরে স্বামীর বিরুদ্ধে স্ত্রী নুরী বেগম ওরফে মুনিয়াকে শ্বাসরোধ করে হত্যার অভিযোগ উঠেছে। রোববার (১২ মে) সকালে গোপালগঞ্জের সদর উপজেলার মোছড়া গ্রামে ঘটনা ঘটে।

নিহতের স্বজনদের বরাত দিয়ে গোপালগঞ্জ সদর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মোহাম্মদ আনিচুর রহমান জানান, বিয়ের পর থেকে পরিবারিক কলহ নিয়ে স্ত্রী নুরী বেগম ওরফে মুনিয়ার উপর বিভিন্ন সময় নির্যাতন চালাতো স্বামী আশিকুর রহমান শেখ।

রোববার (১২ মে) সকালে মুনিয়াকে বেদম মারধার করে স্বামী। এর এক পর্যায়ে শ্বাসরোধ করে হত্যা করে। পরে বিষয়টি টের পেয়ে পরিবারের লোকজন মুনিয়াকে গোপালগঞ্জ সদর হাসপাতালে নিয়ে আসলে কর্তব্যরত ডাক্তার তাকে মৃত ঘোষনা করে। ঘটনায় পরিবারের সদস্যদের অভিযোগের ভিত্তিতে স্বামী আশিকুর রহমান শেখকে আটক করে পুলিশ।

ওসি আরও জানান, আটককৃতকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। ঘটনায় এখনো মামলা হয়নি। মামলা হলে তদন্ত করে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।


স্ত্রী হত্যা   শ্বাসরোধ করে হত্যা   নির্যাতন  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড বাংলাদেশ

সৈয়দপুরে বন্ধ বিমান ওঠা-নামা

প্রকাশ: ০৮:২৭ এএম, ১৩ মে, ২০২৪


Thumbnail

নীলফামারীর সৈয়দপুর বিমানবন্দরে বিমান ওঠা-নামা বন্ধ রয়েছে। রানওয়েতে বৈদ্যুতিক তারে শর্টসার্কিটের কারণে বিমান ওঠা-নামা বন্ধ করা হয়।

রোববার (১২মে) সন্ধ্যা ৬টার পর থেকে বিমান ওঠা-নামা বন্ধ হয়েছে।বিষয়টি নিশ্চিত করে সৈয়দপুর বিমানবন্দরের ব্যবস্থাপক সুপ্লব কুমার ঘোষ

তিনি বলেন, রানওয়ের বৈদ্যুতিক লাইনে শর্টসার্কিটের কারণে সন্ধ্যার দিকে বিমান চলাচল বন্ধ হয়। ইতোমধ্যে তিনটি ফ্লাইট বাতিল হয়েছে।

তিনি আরও বলেন, বাতিল হওয়া ফ্লাইটগুলোর মধ্যে বাংলাদেশ বিমান, ইউএস-বাংলা ও নভোএয়ারের একটি করে ফ্লাইট রয়েছে। আমরা দ্রুত বিমান চলাচল স্বাভাবিক করার চেষ্টা করছি।


সৈয়দপুর বিমান বন্দর  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড বাংলাদেশ

পাবনায় দুই চেয়ারম্যান প্রার্থীর সমর্থকদের সংঘর্ষ, আহত ১০

প্রকাশ: ০৮:১৯ এএম, ১৩ মে, ২০২৪


Thumbnail

পাবনার আটঘরিয়া উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান প্রার্থী তানভীর ইসলামের সমর্থকদের ওপর হামলার অভিযোগ উঠেছে আরেক প্রার্থী প্রকৌশলী সাইফুল ইসলাম কামালের সমর্থকদের বিরুদ্ধে। এ ঘটনায় ১০ জন আহত হয়েছেন।

রোববার (১২ মে) রাতে উপজেলার দেবোত্তর ইউনিয়নের মতিগাছা এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।

স্থানীয়রা জানান, রোববার (১২ মে) রাত ১০টার দিকে তানভীর ইসলামের নির্বাচনী অফিস উদ্বোধন করা হয়। উদ্বোধন শেষে ফেরার পথে তানভীর ইসলামের সমর্থকদের মারধর করে কামালের সমর্থকরা। এ নিয়ে উভয়পক্ষের মধ্যে পাল্টাপাল্টি হামলার ঘটনা ঘটে। এতে ১০ জন আহত হয়েছেন। আহতদের উদ্ধার করে আটঘরিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স ও পাবনা জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।

আটঘরিয়া উপজেলা চেয়ারম্যান প্রার্থী ও বর্তমান চেয়ারম্যান তানভীর ইসলাম বলেন, কয়েকদিন আগে আমার সমর্থকদের ওপর হামলা করেছে কামালের লোকজন। আজকে আমার সমর্থকরা অফিস উদ্বোধন শেষে বাড়ি ফেরার পথে পরিকল্পিতভাবে কামালের সমর্থকরা হামলা করেছে। এতে আমার বেশ কয়েকজন সমর্থক গুরুতর আহত হয়েছেন। আমি এর উপযুক্ত শাস্তি চাই।


উপজেলা নির্বাচন   সংঘর্ষ  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড বাংলাদেশ

শহীদ মিনারে সিপিবি নেতা রনোর প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন বেলা সাড়ে ১১টায়

প্রকাশ: ০৮:০১ এএম, ১৩ মে, ২০২৪


Thumbnail

বাংলাদেশ কমিউনিস্ট পার্টির (সিপিবি) উপদেষ্টা হায়দার আকবর খান রনোর জানাজা ও দাফন আজ সোমবার অনুষ্ঠিত হবে। এর আগে বীর মুক্তিযোদ্ধা হিসেবে তাঁকে রাষ্ট্রীয় সম্মাননা গার্ড অব অনার দেওয়া হবে। সর্বস্তরের শ্রদ্ধা নিবেদনের জন্য তাঁর মরদেহ রাখা হবে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে।

সিপিবির এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, আজ সকাল ১০ টায় হায়দার আকবর খান রনোর মরদেহ প্রথমে রাজধানীর পল্টনে দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয় মুক্তিভবনে আনা হবে। সেখানে দলের পক্ষ থেকে তাঁর প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন করা হবে।

মুক্তিভবনে শ্রদ্ধা নিবেদন শেষে শোক র‍্যালি নিয়ে আকবর খান রনোর মরদেহ নেওয়া হবে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে। সেখানে বেলা সাড়ে ১১ টায় তাঁকে গার্ড অব অনার দেওয়া হবে। এরপর সেখানে সর্বস্তরের শ্রদ্ধা নিবেদনের জন্য তাঁর মরদেহ রাখা হবে।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, হায়দার আকবর খান রনোর জানাজা বেলা দেড়টায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় মসজিদে অনুষ্ঠিত হবে। জানাজা শেষে তাঁকে বনানী কবরস্থানে দাফন করা হবে।

হায়দার আকবর খান রনোর প্রতি শ্রদ্ধা জানাতে আজ দেশব্যাপী শোক পালন করবে সিপিবি। এর অংশ হিসেবে তাদের দলীয় কার্যালয়গুলোতে কালো পতাকা উত্তোলন ও দলীয় পতাকা অর্ধনমিত করা হবে। পাশাপাশি আকবর খান রনোর প্রতিকৃতিতে শ্রদ্ধা নিবেদন করা হবে।

গত শুক্রবার দিবাগত রাত ২টায় রাজধানীর একটি বেসরকারি হাসপাতালে শেষ নিশ্বাস ত্যাগ করেন মার্ক্সবাদী তাত্ত্বিক হায়দার আকবর খান রনো। তিনি পূর্ব পাকিস্তান ছাত্র ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক ছিলেন। তিনি মহান মুক্তিযুদ্ধের অন্যতম সংগঠক ও নেতা। একাধিক বইয়ের লেখক তিনি।

হায়দার আকবর খান রনো ১৯৪২ সালের ৩১ আগস্ট অবিভক্ত ভারতের কলকাতায় জন্মগ্রহণ করেন। তাঁর পৈতৃক নিবাস নড়াইলের বরাশুলা গ্রামে।


শহীদ মিনার   সিপিবি   রনো  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড বাংলাদেশ

শেখ হাসিনার স্বদেশ প্রত্যাবর্তনের প্রস্তুতি

প্রকাশ: ০৮:০০ এএম, ১৩ মে, ২০২৪


Thumbnail

পঁচাত্তরের ১৫ আগস্ট জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও তাঁর পরিবারের সদস্যদের হত্যাকাণ্ডের পর জনগণ ছিল হতবাক ও দিশেহারা । পরে চার জাতীয় নেতা সৈয়দ নজরুল ইসলাম, তাজউদ্দীন আহমদ, মনসুর আলী ও কামরুজ্জামানও গ্রেপ্তার হন। ফলে তৃণমূল পর্যায়ের নেতারা তখন বলতে গেলে ছিলেন দিকনির্দেশনাহীন। তখনকার পরিস্থিতি এতটাই ঘোলাটে আর বিপজ্জনক ছিল যে, আওয়ামী লীগের সব নেতাকর্মীর জীবন ছিল বিপদাপন্ন । সে সময় আওয়ামী লীগেও চলছিল দুটি ধারা। একটি ছিল আদর্শের প্রগতিশীল ধারা। আর অন্যটি মিজান চৌধুরীর নেতৃত্বে রক্ষণশীল ধারা। এ রকম বাস্তবতায় আওয়ামী লীগের নৌকার বৈঠা ধরার এক বলিষ্ঠ নেতার অনুধাবন করেন দলের নেতাকর্মীরা। এমন অনুধাবন থেকে তারা বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনাকে আওয়ামী লীগের সভাপতি নির্বাচিত করার সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেন। শেখ হাসিনাকে আওয়ামী লীগের সভানেত্রী করার বিষয়টি প্রথম প্রস্তাব করেছিলেন দলের অন্যতম সিনিয়র নেতা আব্দুর রাজ্জাক।

শেখ হাসিনা এবং ওয়াজেদ মিয়া যখন ভারতে অবস্থান করছিলেন, তখন ১৯৭৯ ও ১৯৮০ - এই দু'বছরে কয়েকজন সিনিয়র আওয়ামী লীগ নেতা বিভিন্ন সময় দিল্লি যান তাদের খোঁজ-খবর নিতে। এম এ ওয়াজেদ মিয়া তাঁর বইতে লিখেছেন, আওয়ামী লীগ নেতা আব্দুর রাজ্জাক কাবুল যাওয়ার সময় এবং সেখান থেকে ফেরার সময় তাদের সাথে দেখা করেন।

আওয়ামী লীগ নেতা জিল্লুর রহমান, আব্দুস সামাদ আজাদ, তৎকালীন যুবলীগ নেতা আমির হোসেন আমু, তৎকালীন আওয়ামী লীগের অন্যতম যুগ্ম সম্পাদক সৈয়দা সাজেদা চৌধুরী দিল্লিতে যান। তাদের সে সফরের অন্যতম উদ্দেশ্য ছিল শেখ হাসিনাকে আওয়ামী লীগের নেতৃত্ব নিতে রাজি করানো।

এ প্রসঙ্গে ওয়াজেদ মিয়া তার বইতে লিখেছেন, ‘আওয়ামী লীগের উপরোল্লিখিত নেতাদের দিল্লিতে আমাদের কাছে আসার অন্যতম কারণ ছিল ঢাকায় ১৯৮১ সালের ১৩-১৫ ফেব্রুয়ারি তারিখে অনুষ্ঠিতব্য বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের দ্বিবার্ষিক সম্মেলনের ব্যাপারে হাসিনার সঙ্গে মতবিনিময় করা। তাদের সবাই এবং হাসিনার চাচি (বেগম নাসের), ফুফু আম্মারা এবং ফুফাতো ভাইয়েরা চাচ্ছিলেন যেন হাসিনা আওয়ামী লীগের দ্বিবার্ষিক সম্মেলনের নির্বাচনে প্রেসিডেন্ট পদপ্রার্থী হন। আমি এ প্রস্তাবে কখনোই সম্মত ছিলাম না।’ তিনি আরো লিখেছেন, ‘আমি তাদের সকলকে বলেছিলাম যে ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্টের অকল্পনীয় মর্মান্তিক ঘটনার পর বঙ্গবন্ধুর আত্মীয়স্বজনদের বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের নেতৃত্বের পদে অধিষ্ঠিত হওয়ার ইচ্ছা প্রকাশ করা উচিত হবে না। অন্তত বাংলাদেশে গণতান্ত্রিক পরিবেশ ও আইনের শাসন সুপ্রতিষ্ঠিত না হওয়া পর্যন্ত।’

তবে শেখ হাসিনাকে তার অনুপস্থিতিতেই ঘোষণা করা হয় দলের সভানেত্রী হিসেবে। ড. মিয়ার বইতে ওই বিবরণ আসে এভাবে : ‘১৬ ফেব্রুয়ারি (১৯৮১) তারিখের সকালে লন্ডন থেকে ফোনে সংবাদ পাওয়া যায় যে, বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ ১৩-১৫ ফেব্রুয়ারি তারিখে অনুষ্ঠিত দ্বিবার্ষিক কাউন্সিল অধিবেশনে হাসিনাকে প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত করা হয়েছে। এর কিছুক্ষণ পর শেখ সেলিমও হাসিনাকে ফোনে একই সংবাদ দেন। এরপর ঢাকা ও লন্ডন থেকে আরো অনেকে টেলিফোনে হাসিনাকে অভিনন্দন জানান।’

এরপর ২৪ ফেব্রুয়ারি ঢাকা থেকে আওয়ামী লীগের আব্দুল মালেক উকিল, ড. কামাল হোসেন, অ্যাডভোকেট জিল্লুর রহমান, আব্দুল মান্নান, আব্দুস সামাদ, এম কোরবান আলী, বেগম জোহরা তাজউদ্দীন, স্বামী গোলাম আকবার চৌধুরীসহ বেগম সাজেদা চৌধুরী, আমির হোসেন আমু, বেগম আইভি রহমান, আব্দুর রাজ্জাক, তোফায়েল আহমেদ প্রমুখ নেতৃবৃন্দ দিল্লী পৌঁছান। সেখানে নব নির্বাচিত সভাপতি শেখ হাসিনার সঙ্গে স্বদেশ প্রত্যাবর্তন এবং আওয়ামী লীগের রাজনৈতিক কৌশল নিয়ে দীর্ঘ আলোচনা হয়। আলোচনায় মে মাসে শেখ হাসিনার স্বদেশ প্রত্যাবর্তনের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। পরে ১৩ মে আবদুস সামাদ ও এম কোরবান আলী আবার দিল্লীতে যান শেখ হাসিনার স্বদেশ প্রত্যাবর্তন চূড়ান্ত করতে। এভাবে শেখ হাসিনার স্বদেশ প্রত্যাবর্তনের প্রস্তুতি এগোতে থাকে।


শেখ হাসিনা   স্বদেশ প্রত্যাবর্তন   আওয়ামী লীগ  


মন্তব্য করুন


বিজ্ঞাপন