ইনসাইড বাংলাদেশ

২ কোটি মানুষের বিঘ্ন সৃষ্টি, পুলিশ তাকিয়ে দেখবে, প্রশ্ন ডিএমপি কমিশনারের

প্রকাশ: ০৪:০৪ পিএম, ১৭ ডিসেম্বর, ২০২২


Thumbnail ডিএমপি কমিশনার খন্দকার গোলাম ফারুক।

ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) কমিশনার খন্দকার গোলাম ফারুক গত ১০ ডিসেম্বরের ঘটনার উদ্ধৃতি করে বলেছেন, ‘ঢাকা শহরে দুই কোটির লোকের বসবাস। সেই দুই কোটি লোকের বিঘ্ন সৃষ্টি করবেন, আর পুলিশ তা তাকিয়ে তাকিয়ে দেখবে?’

তিনি বলেন, ‘শুধু আমরা কেন, আপনারাও (বীর পুলিশ মুক্তিযোদ্ধা) এটা সহ্য করবেন না। গত ১০ ডিসেম্বর আমরা শান্তিপূর্ণভাবে পার করেছি। ভবিষ্যতেও এমন চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় পুলিশ সক্ষম।’

শনিবার (১৭ ডিসেম্বর) দুপুরে রাজধানীর রাজারবাগ পুলিশ লাইন্সে ‘মহান বিজয় দিবস ২০২২’ উপলক্ষে পুলিশ মুক্তিযোদ্ধাদের সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে সভাপতির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

বীর পুলিশ মুক্তিযোদ্ধাদের উদ্দেশে ডিএমপি কমিশনার বলেন, ‘যে পুলিশের সূচনা ১৯৭১ সালে আপনারা করে দিয়েছিলেন ও মহান স্বাধীনতা যুদ্ধে অবদান রেখেছিলেন, জীবন বিলিয়ে দিয়েছেন অনেকেই। সেই পুলিশের সদস্য হিসেবে গর্ব করে বলতে পারি যে, ঐতিহ্যের ধারক ও বাহক আপনারা সেই ধারাবাহিকতায় ১৯৭১-২০২২ পর্যন্ত ধরে রেখেছি।’

তিনি বলেন, ‘১৯৭১ সালে পুলিশ যেমন জীবন দিয়ে বাংলাদেশ স্বাধীনতার জন্য, বিজয়ের জন্য যুদ্ধ করেছেন, আমরাও পরবর্তীতে বাঙালি জাতির জন্য সব ক্রাইসিস মোমেন্টে পাশে ছিলাম। অগ্নি-সন্ত্রাসীদের যেমন আশ্রয়-প্রশ্রয় দেইনি, তেমন জঙ্গিবাদকেও আশ্রয়-প্রশ্রয় দেইনি। ভবিষ্যতে বাংলাদেশের স্বাধীনতা নিয়ে যদি কেউ ছিনিমিনি খেলতে চায়, বাংলাদেশ পুলিশ তা হতে দেবে না।’

খন্দকার গোলাম ফারুক বলেন, ‘জাতির সব ক্রান্তিকালে ডিএমপি সর্বদা জাতির পাশে ছিল এবং ভবিষ্যতেও থাকবে। আপনারা যেভাবে একাত্তরে বুকের রক্ত বিলিয়ে দিয়ে যুদ্ধ করেছেন, আপনাদের পরবর্তী প্রজন্ম তারাও জাতির সব ক্রান্তিলগ্নে জাতির পাশে ছিল। ২০১২-১৩ সালে অগ্নিসন্ত্রাসীরা পুলিশকে পুড়িয়ে মেরেছিল। কিন্তু পুলিশ দমে যায়নি, মনোবল হারায়নি। ২০১৫-১৬ সালে জঙ্গিবাদের সময় অনেক পুলিশ সদস্য মারা গেছেন। জঙ্গিবাদের বিরুদ্ধের যুদ্ধে আমরা হেরে যাইনি। জঙ্গিবাদের বিরুদ্ধের যুদ্ধে পুলিশ জয়ী হয়েছে।’

ডিএমপি কমিশনার বলেন, ‘কয়েকবছর ধরে অনেক চেষ্টা করেছে, তারা পারেনি। আবার তারা নতুন খেলায় মেতে উঠেছে। নতুন খেলায় তাদের সফল হতে দেবো না।’

বীর পুলিশ মুক্তিযোদ্ধাদের উদ্দেশে কমিশনার বলেন, ‘আপনারা এ বয়সেও লাঠি হাতে যুদ্ধের জন্য প্রত্যয় ব্যক্ত করেছেন। আমাদের সহকর্মীদের শরীরে টগবগে রক্ত, তারা কেন পারবে না? আপনাদের সাহসে এ তরুণ পুলিশ সদস্যরাই এ দেশকে সন্ত্রাস-জঙ্গিদের থেকে মুক্ত রাখবে ইনশাআল্লাহ।’

অনুষ্ঠানে বীর পুলিশ মুক্তিযোদ্ধারা মহান মুক্তিযুদ্ধে পুলিশের ইতিহাস সম্পর্কে স্মৃতিচারণ করেন।

সাবেক পুলিশ সুপার বীর বিক্রম মাহবুব উদ্দিন আহমেদ বলেন, ‘মুক্তিযুদ্ধে পুলিশের যে কৃতিত্বময় গৌরবগাথা তা স্মরণ করতে হবে। এ কৃতিত্ব সৃষ্টি করেছিলেন জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান। যে সব কুলাঙ্গাররা জাতির পিতাকে বিশ্বাস করতে চায় না, যারা বলে এ দেশ বাঙালিদের নয়; তাদের এ দেশে থাকার অধিকার নেই। তাদের এ দেশ থেকে উৎখাত করতে হবে।’

তিনি বলেন, ‘বাংলাদেশে মুক্তিযুদ্ধ শুরু করেছিল পুলিশ বাহিনী। মুক্তিযুদ্ধের প্রথম রক্ত ঝরেছিল রাজারবাগে। যতদিন পদ্মা, মেঘনা, যমুনা রবে ততদিন বাংলাদেশ রবে, ততদিন বঙ্গবন্ধু রবে।’

রাজারবাগ পুলিশের সাবেক ইন্সপেক্টর মুক্তিযোদ্ধা আব্দুল খালেক বলেন, ‘একজন পুলিশ সদস্য হয়ে মুক্তিযুদ্ধে অংশগ্রহণ করেছি এজন্য গর্ববোধ করছি। আজ যারা আমাদের সম্মানিত করলেন, তাদেরও নিশ্চিয় আল্লাহ সম্মানিত করবেন। প্রয়োজন হলে দেশের জন্য আমরা আবারও একাত্তরের মতো ঝাঁপিয়ে পরতেও পারি।’

অনুষ্ঠানে সাহিত্যিক ও সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব সারা জাকের বলেন, ‘আমার স্বামী আলী জাকের ছিলেন একজন বীর মুক্তিযোদ্ধা। আলী জাকের থাকতেন রাজারবাগ পুলিশ লাইন্সের পাশে। রাজারবাগ পুলিশ লাইন্সে পাকিস্তানি বাহিনী আক্রমণ চালিয়েছিল তা জেনেছি রাজারবাগে ছিলাম বলেই। আমার ভাই যুদ্ধে গিয়ে হারিয়ে গেছে। যখন গুলির শব্দ হতো, তখন আমি দৌড়ে গিয়ে ওড়না পরতাম। অনেক মা-বোনেরা তাদের ইজ্জত দিয়েছেন। ৩০ লাখ শহীদের বিনিময়ে এ দেশ।’

প্রাক্তন পুলিশ সুপার বীর মুক্তিযোদ্ধা মালিক খশরু বলেন, ‘মুক্তিযুদ্ধ নিয়ে অনেক কথা বলা যাবে। ৭ মার্চে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান যে ভাষণ দিয়েছিলেন, সেই ভাষণে আমরা পুলিশ বাহিনী অনুপ্রাণিত হয়েছিলাম। তৎকালীন রেসকোর্স ময়দানে বঙ্গবন্ধুর ঐতিহাসিক ভাষণের দিন আমি উপস্থিত ছিলাম। বঙ্গবন্ধুর ঐতিহাসিক ভাষণের চেয়ে আর কোনো বড় ভাষণ পাইনি, কোথাও নেই।’

মালিক খশরু আরও বলেন, ‘পুলিশ যেভাবে মুক্তিযুদ্ধে অংশগ্রহণ করেছিল, সেভাবে পুলিশ বাহিনীকে কি আমরা সম্মানিত করতে পেরেছি? হয়তো পারিনি। বঙ্গবন্ধু নিজেই অসমাপ্ত, তাকে সমাপ্ত করবেন কীভাবে? বঙ্গবন্ধুকে নিয়ে আলোচনা করে, লিখে শেষ করা যাবে না।’

সাবেক অতিরিক্ত ডিআইজি বীর মুক্তিযোদ্ধা সত্তরঞ্জন বাড়ৈ বলেন, ‘আমি বঙ্গবন্ধুর ভাষণ সেদিন খুব কাছ থেকে শুনেছি। ২৫ মার্চ যখন অ্যাটাক হলো, তখন জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের সাউথ হলে থাকতাম। রাতে ঘুমিয়েছিলাম। হঠাৎ শুনলাম অ্যাটাক হয়েছে। মর্টার শেল দিয়ে জগন্নাথ হলের বিমগুলো ভেঙে দেওয়া হলো। কিছুক্ষণ পর বুটের শব্দ। ভয়ে আমরা তিন-চারজন আতঙ্কিত। লাথি দিয়ে দরজা ভেঙে ফেললো পাকিস্তানি আর্মি। খুব জড়শড় হয়ে বসেছিলাম। কিন্তু অন্ধকার থাকায় তারা আমাদের দেখতে পেলো না। আর্মিরা চলে গেলো।’

সাবেক ডিআইজি জয়নাল আবেদীন বীর প্রতীক বলেন, ‘মুক্তিযুদ্ধ একটা বিরাট ও বিশাল কর্মকাণ্ড ছিল। একজন মেজর সাহেবের মুক্তিযুদ্ধ কমান্ড করার কোনো ক্ষমতা ছিল না। মুক্তিযোদ্ধাদের গোলাবারুদ, খাওয়া-দাওয়া কোনো মেজর করাননি, করেছেন আমাদের প্রবাসী ও ভারতীয়রা।’

সাবেক অতিরিক্ত আইজিপি আব্দুল মাবুদ বলেন, চাকরি করাকালীন ৬৪ দেশ ভ্রমণ করেছি। অনেক দেশেই মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস তুলে ধরেছি। পুলিশের চাকরির পর পাসপোর্ট বিভাগেও চাকরি করেছি। ডিজিটাল পাসপোর্ট আমার হাত ধরেই এসেছে।

সাহিত্যিক অধ্যাপক মোহাম্মদ জাফর ইকবাল বলেন, ‘ছোট-ছোট বাচ্চা আমাকে বলে- স্যার আমরা কেন মুক্তিযোদ্ধা হতে পারলাম না। এখনকার প্রজন্ম নোবেল পাবে, বিশ্ব রেকর্ড করবে, ওয়ার্ল্ড কাপ খেলবে কিন্তু মুক্তিযোদ্ধা হতে পারবে না। যারা ১৯৭১ দেখেনি, তারা কল্পনা করতেও পারবে না।’

তিনি বলেন, ‘আমার একজন আমেরিকান বন্ধু ছিলেন। তিনি সেই সময় বলেছিলেন- তোমাদের মুক্তিযুদ্ধের সময় যে মেয়েদের রেপ করা হয়েছিল, যারা শহীদ হয়েছিলেন, একটা সময় এসব অনেকে বিশ্বাস করবে না। এখন এসে দেখছি, আমার বন্ধুর কথা ঠিক। অনেকেই মুক্তিযুদ্ধের বিভিন্ন বিষয় নিয়ে প্রশ্ন তোলেন।’

জাফর ইকবাল বলেন, ‘আমার বন্ধুরা যারা মুক্তিযুদ্ধের সময় মারা গেছেন, তারা অন্তত শান্তিতে দেখতে পারছেন রাজাকারদের শাস্তি হয়েছে। বীর মুক্তিযোদ্ধারা তোমাদের (নতুন প্রজন্ম) হাতে একটি স্বাধীন দেশের পতাকা দিয়ে গেছেন। এটি রক্ষা করবে।’

অনুষ্ঠানে অন্যদের মধ্যে অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার (ক্রাইম অ্যান্ড অপারেশন্স) এ কে এম হাফিজ আক্তার, অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার (সিটিটিসি) মো. আসাদুজ্জামান, অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার (লজিস্টিকস, ফিন্যান্স অ্যান্ড প্রকিউরমেন্ট) সৈয়দ নুরুল ইসলাম, অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার (গোয়েন্দা) মোহাম্মদ হারুন অর রশীদ, যুগ্ম পুলিশ কমিশনার, উপ-পুলিশ কমিশনারসহ অন্যান্য ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।


ডিএমপি কমিশনার   খন্দকার গোলাম ফারুক   রাজারবাগ পুলিশ লাইন্স  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড বাংলাদেশ

যারা ভাবেন দুর্ঘটনা বন্ধ হয়ে যাবে, তারা আহাম্মকের স্বর্গে আছেন: শাজাহান খান

প্রকাশ: ০৯:২৮ পিএম, ১০ মে, ২০২৪


Thumbnail

সড়ক দুর্ঘটনার সংখ্যা কমানো যায়, কিন্তু তা বন্ধ করা যায় না উল্লেখ্য করে বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন শ্রমিক ফেডারেশনের সভাপতি ও সংসদ সদস্য শাজাহান খান বলেছেন, সড়ক দুর্ঘটনা বন্ধ হয়ে যাবে, এ কথা যারা মনে করেন, তারা আসলে আহাম্মকের স্বর্গে বাস করছেন। 

শুক্রবার (১০ মে) বেলা একটার দিকে ফরিদপুর নতুন বাস টার্মিনালে ফরিদপুর মোটর ওয়ার্কার্স ইউনিয়নের ত্রিবার্ষিক সাধারণ সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।

সাংবাদিকদের প্রতি ক্ষোভ প্রকাশ করে শাজাহান খান বলেন, দুর্ঘটনা ঘটলেই সাংবাদিকেরা বলে দেন, বেপরোয়া গতির কারণে দুর্ঘটনা ঘটেছে। তারা (সাংবাদিক) কি গবেষণা করে দেখেছেন যে দুর্ঘটনা কেন ঘটেছে? তিনি চান, সাংবাদিকেরা সত্য কথা তুলে ধরুক। শিবচরে যে গাড়ি দুর্ঘটনার শিকার হয়েছে, সেটা নিয়ে সাংবাদিকেরা লিখলেন, ‘বেপরোয়া গতির কারণে দুর্ঘটনা ঘটেছে।’ কিন্তু পরে দেখা গেল, ওই গাড়ির সামনের চাকা বিস্ফোরিত হয়েছিল এবং সড়কের বেরিয়ার দুর্বল ছিল। তিনি সাংবাদিকদের অনুরোধ করেন, দুর্ঘটনা ঘটলেই যেন বলা না হয় বেপরোয়া গতি।

শাজাহান খান বলেন, ‘আমরা সরকারের কাছে ১১১টি সুপারিশ করেছি। এ সুপারিশ বাস্তবায়িত হলে দুর্ঘটনা হ্রাস পাবে। দুর্ঘটনা বন্ধ করা যায় না। উন্নত দেশসহ এমন কোনো দেশ নেই, যেখানে সড়ক দুর্ঘটনা হয় না। তবে দুর্ঘটনার দিক থেকে আমরা মধ্যম স্তরের দেশ হিসেবে রয়েছি।’

তিনি সাংবাদিকদের প্রতি বলেন, ‘দুর্ঘটনা ঘটলেই ড্রাইভারের ওপর দোষ চাপাবেন না। আমি মানছি, অনেক চালক বেপরোয়া গতিতে গাড়ি চালান। তবে সব ক্ষেত্রে এ ঘটনা ঘটে না। যে ক্ষেত্রে এ কথা প্রযোজ্য নয়, সে ক্ষেত্রে এ মন্তব্য আসলেই ক্ষতিকর এবং তা মানুষের মধ্যে ক্ষোভের সৃষ্টি করে।’

সংসদ সদস্য চালকদের উদ্দেশে বলেন, ‘আপনাদের বুঝতে হবে, শিল্পপতি, এমপি, মন্ত্রী, চেয়ারম্যানের মতো আপনারাও সম্মানিত ব্যক্তি। অন্যকে সম্মান দেবেন, আপনারাও সম্মান পাবেন। মনে রাখবেন, আমাদের দ্বারা কোনো মানুষ যেন অসম্মানিত না হন।’

শাজাহান খান বলেন, আওয়ামী লীগ, বিএনপি, জাতীয় পার্টি, কমিউনিস্ট পার্টিসহ সব দল মিলে শ্রমিক ফেডারেশন গঠিত। শ্রমিক ফেডারেশন একক কোনো দলের নয়। ফেডারেশনের স্লোগান ‘দল যার যার, শ্রমিক ফেডারেশন এক কাতার’।

সভায় ফরিদপুর মোটর ওয়ার্কার্স ইউনিয়নের সভাপতি জুবায়ের জাকির সভাপতিত্ব করেন। আরও বক্তব্য দেন জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক শাহ মো. ইশতিয়াক, মোটর ওয়ার্কার্স ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক গোলাম মো. নাসির প্রমুখ।

শাজাহান খান  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড বাংলাদেশ

নতুন মার্কিন রাষ্ট্রদূতকে স্বাগত জানালেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী

প্রকাশ: ০৯:০০ পিএম, ১০ মে, ২০২৪


Thumbnail

বাংলাদেশে মার্কিন রাষ্ট্রদূত হিসেবে পিটার ডি হাসের স্থলাভিষিক্ত হয়েছেন ডেভিড স্লেটন মিল। আর নতুন এই রাষ্ট্রদূতকে স্বাগত জানিয়েছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ। শুক্রবার (১০ মে) সন্ধ্যায় ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে সাংবা‌দিক‌দের প্রশ্নের জবা‌বে এ কথা জানান।

পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, এ মনোনয়নকে আমরা স্বাগত জানাই। মাস দে‌ড়েক আগে এ বিষয়টা আমাদের জানানো হ‌য়ে‌ছে। এখন তারা আনুষ্ঠা‌নিক ঘোষণা দিয়েছে। আশা করছি— নতুন রাষ্ট্রদূত বাংলাদেশের সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের সহযোগিতাকে আরও এগিয়ে নিয়ে যাবেন।

বাংলাদেশে মানবাধিকার নিয়ে এক প্রশ্নের জবাবে হাছান মাহমু‌দ বলেন, আমাদের দেশে মানবাধিকার অনেক দেশের চেয়ে ভালো। বিশ্বের কোনো দেশেই মানবাধিকার আদর্শ অবস্থানে নেই।

হাছান মাহমুদ বলেন, ফিলিস্তিনিদের পক্ষে শিক্ষার্থীদের আন্দোলন যুক্তরাষ্ট্র পুলিশ যেভাবে দমন করছে, সেটি আমরা টিভির পর্দায় দেখছি। ইউরোপের বিভিন্ন দেশে ফিলিস্তিনিদের পক্ষে নাগরিক আন্দোলনকে কীভাবে পুলিশ দমন করছে, সেটিও আমরা দেখছি।

তি‌নি ব‌লেন, সব দেশের উচিত মানবাধিকার উন্নয়নে একযোগে কাজ করা। আমরাও আমাদের উন্নয়ন সহযোগীদের সঙ্গে মানবাধিকার উন্নয়নে কাজ করতে চাই।

প্রসঙ্গত, ২০২১ সালের জুলাই থেকে রাষ্ট্রদূতের দায়িত্ব পালন করা পিটার হাসের স্থলাভিষিক্ত হবেন কূটনীতিক মিল। মিনিস্টার কাউন্সেলর হিসেবে ১৯৯২ সালে ফরেন সার্ভিসে যোগ দেন তিনি। এরপর ওয়াশিংটনের ফরেইন সার্ভিস ইনস্টিটিউটের লিডারশিপ অ্যান্ড ম্যানেজমেন্ট স্কুলের সহযোগী ডিন, ঢাকায় অবস্থিত যুক্তরাষ্ট্র দূতাবাসের ডেপুটি চিফ অব মিশন, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে অর্থনৈতিক বিষয়ক উপদেষ্টাসহ বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ পদে দায়িত্ব পালন করেছেন ডেভিড মিল।


ডেভিড মিল   বাংলাদেশ   যুক্তরাষ্ট্র   কূটনীতি   পররাষ্ট্রমন্ত্রী   ড. হাছান মাহমুদ  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড বাংলাদেশ

মন্ত্রী-এমপিদের ফেসবুক আইডি ‘ভেরিফায়েড’ করে দিবে সরকার

প্রকাশ: ০৭:৪০ পিএম, ১০ মে, ২০২৪


Thumbnail

ফেক আইডি দিয়ে অপপ্রচার বন্ধে মন্ত্রী-এমপিদের ব্যক্তিগত ফেসবুক পেজ ও ইউটিউব চ্যানেল ভেরিফায়েড করার পরামর্শ দিয়েছেন ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক। এমপি-মন্ত্রীদের উদ্দেশে প্রতিমন্ত্রী বলেন, আপনারা ব্যক্তিগত ফেসবুক অ্যাকাউন্ট, ইউটিউব চ্যানেল ভেরিফায়েড করার জন্য পাঠালে আমরা ফেরিফাই করে দেবো। ফলে ফেক আইডি দিয়ে আপনার নামে কেউ অপপ্রচার করতে পারবে না।

বৃহস্পতিবার (৯ মে) জাতীয় সংসদের প্রশ্নোত্তরে স্বতন্ত্র সংসদ সদস্য মুহাম্মদ সাইফুল ইসলামের সম্পূরক প্রশ্নের জবাবে প্রতিমন্ত্রী এ কথা বলেন।

দ্বাদশ সংসদের দ্বিতীয় অধিবেশনে প্রশ্নোত্তরে স্বতন্ত্র সংসদ সদস্য মুহাম্মদ সাইফুল ইসলাম বলেন, ফেক (ভুয়া) ফেসবুক আইডি খুলে জনপ্রতিনিধি, ব্যবসায়ীদের চরিত্র হনন করা হচ্ছে। ইউটিউব চ্যানেল খুলে মানুষের সম্মান নিয়ে ছিনিমিনি খেলছে। এসব বন্ধে মন্ত্রণালয়ের পদক্ষেপ কী তা জানতে চান।

এর জবাবে প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহ্‌মেদ বলেন, ‘আপনারা ব্যক্তিগত ফেসবুক অ্যাকাউন্ট, ইউটিউব চ্যানেল ভেরিফায়েডের (যাচাইকৃত) জন্য পাঠালে আমরা ভেরিফাই (যাচাই) করে দেব। ফলে ফেক আইডি দিয়ে আপনার নামে কেউ অপপ্রচার করতে পারবে না।’

প্রতিমন্ত্রীর বক্তব্যের পর বিষয়টি নিয়ে বিটিআরসির সঙ্গে যোগাযোগ করা হয়। এই নিয়ন্ত্রক সংস্থা জানায়, তারা ফেসবুক কর্তৃপক্ষের কাছে অ্যাকাউন্ট ভেরিফায়েড করার জন্য আবেদন করতে পারে এবং সে অনুযায়ী ভেরিফায়েড হয়ে থাকে। তবে এটা শুধু মন্ত্রী ও সংসদ সদস্যদের ক্ষেত্রে প্রযোজ্য। ইতিমধ্যে বেশ কিছু সংসদ সদস্যের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে বিটিআরসির উদ্যোগে তাঁদের অ্যাকাউন্টগুলো ভেরিফায়েড করা হয়েছে।

মেটা প্ল্যাটফর্মে অ্যাকাউন্ট ভেরিফায়েড করার নিয়ম

মেটা বলছে, দুইভাবে ফেসবুক অ্যাকাউন্ট ভেরিফাই করা হয়ে থাকে। একটি হচ্ছে, ভেরিফায়েড ব্যাজ। অর্থাৎ আবেদনকারী যেসব তথ্য দেন, সেগুলো এবং তাঁর ফেসবুক অ্যাকাউন্ট বা ফেসবুক পেজে যেসব কর্মকাণ্ড করা হয়ে থাকে, সেগুলো যাচাই–বাছাই করে এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।

আরেকটি হচ্ছে, মেটা ভেরিফায়েড। এটা টাকা দিয়ে মাসিক সাবস্ক্রিপশনের ভিত্তিতে ভেরিফায়েড। এতে ফেসবুক অ্যাকাউন্ট পরিচালনা–সংক্রান্ত নানা সেবা, সুরক্ষাসহ বিভিন্ন সুবিধা পাওয়া যায়। তবে এ ভেরিফিকেশন শুধু ফেসবুক অ্যাকাউন্টের ক্ষেত্রে হয়, কোনো পেজের জন্য নয়।

দুই পদ্ধতির যেভাবে ভেরিফায়েড হোক না কেন, উভয় ক্ষেত্রেই অ্যাকাউন্টের পাশে ব্লু টিক (নীল চিহ্ন) থাকে।

ভেরিফায়েড ব্যাজ পেতে অ্যাকাউন্টধারীকে অবশ্যই মেটার শর্ত ও কমিউনিটি স্ট্যান্ডার্ডস মেনে চলতে হবে। এতে অবশ্যই মেটার নীতি অনুযায়ী প্রোফাইল, কভার ফটো ও নাম থাকতে হবে। অ্যাকাউন্ট অবশ্যই প্রকৃত ব্যবহারকারীর হতে হবে। অর্থাৎ একজন ব্যক্তি, ব্যবসা বা প্রতিষ্ঠানকে প্রতিনিধিত্ব করতে হবে। একটি সঠিক বায়ো (পরিচিতি) এবং অন্তত একটি পোস্ট থাকতে হবে। অ্যাকাউন্টটি সুপরিচিত, অনেক বেশি অনুসন্ধান করা ব্যক্তি, ব্র্যান্ড বা কোনো প্রতিষ্ঠানকে প্রতিনিধিত্ব করবে।

ব্যক্তিগত অ্যাকাউন্ট ভেরিফিকেশনের আবেদনের জন্য পাসপোর্ট, ড্রাইভিং লাইসেন্সের মতো সরকারি কোনো পরিচয়পত্র দিতে হবে। কোনো প্রতিষ্ঠানের অ্যাকাউন্টের ক্ষেত্রে একটি ফোন নম্বর বা পরিষেবা বিলের অনুলিপি, নিবন্ধন নম্বর বা করের কাগজ, প্রতিষ্ঠানের গঠনতন্ত্রের অনুলিপি লাগবে।

আবেদনের সঙ্গে এসব কাগজপত্র জমা দেওয়ার পর ফেসবুক কর্তৃপক্ষ যদি আবেদন বাতিল করে, তাহলে ৩০ দিন পর আবার আবেদন করা যাবে। এভাবে অ্যাকাউন্ট/পেজ ভেরিফায়েড করতে কোনো টাকা লাগে না।

অন্যদিকে মেটা ভেরিফায়েড সেবা শুধু কনটেন্ট ক্রিয়েটরদের জন্য। এর জন্যও সরকারি পরিচয়পত্র লাগবে। পাশাপাশি ভেরিফায়েড হওয়ার জন্য কিছু যোগ্যতা লাগবে, যার মাপকাঠি ফেসবুক ও ইনস্টাগ্রামের জন্য আলাদা।

মন্ত্রী-এমপি   ফেসবুক আইডি   ভেরিফায়েড আইডি  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড বাংলাদেশ

ডেভিড মিল কী বাংলাদেশে যুক্তরাষ্ট্রের নীতির পরিবর্তন আনবেন?

প্রকাশ: ০৮:০০ পিএম, ১০ মে, ২০২৪


Thumbnail

শেষ পর্যন্ত শেষ হয়ে যাচ্ছে পিটার ডি হাসের অধ্যায়। বাংলাদেশে নতুন মার্কিন রাষ্ট্রদূত হিসেবে ডেভিড স্লেটন মিলের নাম মনোনয়ন দিয়েছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন। এখন এটি সিনেটের অনুমোদন হলে ডেভিড মিল বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত হিসাবে আবির্ভূত হবেন। মেয়াদ শেষ হওয়ার আগেই বিদায় নিচ্ছেন পিটার ডি হাস। অর্থাৎ এটি সুস্পষ্টভাবে ইঙ্গিত করে যে, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র নির্বাচনের আগে বাংলাদেশের ব্যাপারে যে মার্কিন নীতি অনুসরণ করছিল সেই নীতিতে পরিবর্তন আসছে। নিশ্চয়ই ডেভিড মিল একটি নতুন মিশন নিয়ে বাংলাদেশে আসবেন। আর এ কারণেই মেয়াদ শেষ হওয়ার আগেই সরিয়ে নেওয়া হল পিটার ডি হাসকে।

প্রশ্ন উঠেছে যে, নতুন রাষ্ট্রদূত বাংলাদেশে মার্কিন নীতির কী পরিবর্তন করবেন, তার নীতি কী ধরনের হবে? একজন রাষ্ট্রদূতকে যখন মনোনয়ন দেওয়া হয় তখন প্রথমে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ওই দেশে তাদের পররাষ্ট্রনীতির কৌশলপত্র চূড়ান্ত করে। আর ওই কৌশল বাস্তবায়নের জন্য যাকে যোগ্য মনে করা হয় তাকে মনোনয়ন দেয়।

পিটার ডি হাসকে মনোনয়ন দেওয়া হয়েছিল এমন এক সময়ে যখন বাংলাদেশের নির্বাচন নিয়ে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র উদ্বিগ্ন ছিল। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র বাংলাদেশকে গণতন্ত্র সম্মেলনে আমন্ত্রণ জানায়নি, বাংলাদেশের র‌্যাবের বিরুদ্ধে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছিল এবং অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচনের জন্য একটি সুস্পষ্ট চাপ দিচ্ছিল। এই চাপকে আরও বাড়ানোর জন্যই পিটার ডি হাস বাংলাদেশে এসেছিলেন। তার দায়িত্ব পালনকালে সুস্পষ্টভাবে তিনি তার অবস্থান প্রকাশ করেছিলেন। তিনি মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের মনোভাব দেখানোর লক্ষ্যেই নির্বাচন নিয়ে বাড়াবাড়ি রকমের দৌড়ঝাঁপ করেছিলেন এবং সরকারের বিরুদ্ধে প্রায় প্রকাশ্য অবস্থান গ্রহণ করেছিলেন।

মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের পিটার ডি হাস মিশন ব্যর্থ হয়েছে। ৭ জানুয়ারি নির্বাচন সম্পন্ন হয়েছে। নির্বাচনের পর নতুন সরকার গঠিত হয়েছে। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র নতুন সরকারের সঙ্গে সম্পর্ক এগিয়ে নেওয়ার বার্তাও দিয়েছে। এর প্রেক্ষিতে পিটার ডি হাসের সরে যাওয়াটা ছিল অবধারিত। অবশেষে সেটাই ঘটল।

এখন ডেভিড মিল বাংলাদেশে কী করবেন? প্রথমত, ডেভিড মিলের কূটনৈতিক ক্যারিয়ার যদি আমরা পর্যবেক্ষণ করি তাহলে দেখব যে, তার কূটনৈতিক ক্যারিয়ার বাংলাদেশের সঙ্গে সম্পর্ক উন্নয়নের বার্তা দেয়। একই সাথে বাংলাদেশে চীনকে মোকাবেলা করার জন্য মার্কিন কৌশলেরও একটি ইঙ্গিত বহন করে। ডেভিড মিল বাংলাদেশে উপ-রাষ্ট্রদূত হিসাবে বা ডেপুটি চিফ অফ মিশন হিসাবে দায়িত্ব পালন করেছিলেন। কাজেই বাংলাদেশ তার পরিচিত। বাংলাদেশের রাজনীতি, বাংলাদেশের মানুষের মন মানসিকতা এবং বাংলাদেশে কীভাবে কাজ আদায় করতে হয় ইত্যাদি কলাকৌশল সম্পর্কে তাকে নতুন করে শিখতে হবে না। এটি ডেভিড মিলের জন্য একটি ইতিবাচক দিক। আর মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র দপ্তর এটি বিবেচনা করেই সম্ভবত ডেভিড মিলকে বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত হিসেবে দায়িত্ব দিয়েছেন।

দ্বিতীয়ত, ডেভিড মিল এখন এই মুহূর্তে চীনের বেজিংয়ে মার্কিন দূতাবাসের ডেপুটি চিফ অফ মিশন হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন। তিনি মার্কিন-চীন সম্পর্কের ক্ষেত্রে ভারসাম্য রক্ষার জন্য কাজ করেছেন। শুধু তাই নয়, ডেভিড মিল চীনের রাজনীতি এবং চীনের দৃষ্টিভঙ্গি সম্পর্কে অনেক পরিষ্কার এবং স্বচ্ছ ধারণা রাখেন।

বাংলাদেশের সঙ্গে চীনের সম্পর্ক সাম্প্রতিক সময়গুলোতে অনেক বেড়েছে। বিশেষ করে বাংলাদেশ চীনের উপর অর্থনৈতিকভাবে অনেকখানি নির্ভরশীল হয়ে পড়েছে। আর এর প্রেক্ষিতে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে এমন একজন রাষ্ট্রদূত নিয়োগ দিয়েছেন যিনি চীনের রাজনীতির অভ্যন্তরীণ বিষয় সম্পর্কে ভালোভাবে ওয়াকিবহাল। বাংলাদেশের সঙ্গে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের দূরত্বের একটি বড় বিষয় হল, চীনের সঙ্গে বাংলাদেশের বেশি মাখামাখির সম্পর্ক। আর এ কারণেই চীনের কূটনীতিতে অভিজ্ঞ এবং চীনের কূটনীতি অলিগলি চেনা ডেভিড মিলকে বাংলাদেশে পাঠানো হয়েছে বলে কূটনৈতিক বিশ্লেষকরা মনে করেন।

ডেভিড মিলের নিয়োগের মধ্য দিয়ে বাংলাদেশে একটি বার্তা সুস্পষ্ট হয়েছে। তা হল, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র বাংলাদেশের ব্যাপারে তাদের অবস্থান পরিবর্তন করছে। দ্বিতীয়ত, বাংলাদেশের সঙ্গে একটি সুসম্পর্ক, বিশেষ করে অর্থনৈতিক-বাণিজ্যিক সম্পর্ককে আরও প্রসারিত করতে চায় মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র। এজন্য বাংলাদেশ সম্পর্কে অভিজ্ঞ এবং বাংলাদেশে কাজ করা একজন ব্যক্তিকে পাঠানো হয়েছে। তৃতীয়ত বাংলাদেশের সঙ্গে চীনের সম্পর্কের লাগাম টেনে ধরতে পারে এজন্য চীনের কূটনীতি সম্পর্কে জ্ঞান রয়েছে এমন একজন কূটনৈতিককে বাংলাদেশে পাঠানো হয়েছে। এখন দেখা যাক, ডেভিড মিলের বাংলাদেশ মিশন কতটুকু সফল হয়।


ডেভিড মিল   বাংলাদেশ   যুক্তরাষ্ট্র   কূটনীতি  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড বাংলাদেশ

বর্ধিত হচ্ছে মেট্রোরেলের লাইন

প্রকাশ: ০৪:০১ পিএম, ১০ মে, ২০২৪


Thumbnail

বর্তমানে রাজধানীর উত্তরা দিয়াবাড়ি থেকে মতিঝিল পর্যন্ত চলাচল করছে মেট্রোরেল। তবে এই লাইন বধিত হচ্ছে নতুন নকশায়। যা দিয়াবাড়ি থেকে সাভারের আশুলিয়া নয়, বর্ধিত হবে টঙ্গী পর্যন্ত।

এরই মধ্যে বর্ধিত এ পথের সম্ভাব্যতা যাচাই চলছে। দ্রুতই নকশা চূড়ান্ত করে টেন্ডার প্রক্রিয়ার কথা জানিয়েছেন প্রকল্পের ব্যবস্থাপনা পরিচালক। মেট্রোরেল এখন চলছে উত্তরা থেকে মতিঝিল। বর্ধিতাংশ আসছে বছর কমলাপুরে পর্যন্ত চালু হবে।

এদিকে এমআরটি লাইন-৬ নির্মাণের সময়ই দিয়াবাড়ি থেকে প্রায় এক কিলোমিটার পথ তৈরি করে রাখা হয়েছে ভবিষ্যতের কথা ভেবে। পরিকল্পনা ছিল পথটি আশুলিয়া পর্যন্ত নেয়ার। তবে ঢাকা-আশুলিয়া এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ের কারণে সেই সিদ্ধান্ত থেকে সরে এসেছে কর্তৃপক্ষ।

নতুন সিদ্ধান্ত অনুযায়ী টঙ্গী পর্যন্ত নেয়া হবে এ রেলপথ; পরিকল্পনা টঙ্গী রেলস্টেশন পর্যন্ত যুক্ত করার।

উত্তরা থেকে টঙ্গী পর্যন্ত পথ তৈরি হয়েছে বিআরটি। সঙ্গে যুক্ত হচ্ছে ঢাকা-আশুলিয়া এক্সপ্রেসওয়ে। ফলে এ পথে নতুন করে আরো একটি উড়াল রেলপথ বের করা অসম্ভব। যার জন্য রুট কোনটি হবে তা নিয়ে চলছে পরিকল্পনা।

মেট্রোরেলের ব্যবস্থাপনা পরিচালক এম এ এন ছিদ্দিক বলেন, এখন টঙ্গী রেলস্টেশন পর্যন্ত এ পথটি যুক্ত করার পরিকল্পনা নেয়া হয়েছে। মূলত টঙ্গী রেলস্টেশন এবং সড়ক জংশনকে যদি সংযুক্ত করতে পারি, তাহলে ঐ অঞ্চলের মানুষের সুবিধা বাড়বে।

তিনি বলেন, যদিও প্রাথমিক পরিকল্পনায় এখনই এ অংশের কাজে হাত দেওয়ার কথা ছিল না। তবে এবার দ্রুত এ পথে হাঁটতে চায় ডিএমটিসিএল। এরই মধ্যে ফিজিবিলিটি স্ট্যাডি শুরু হয়েছে। শিগগিরই চূড়ান্ত নকশা হবে। এ পথটি যুক্ত হলে টঙ্গী থেকে কমলাপুর পর্যন্ত যেতে সময় লাগবে ৪৮ মিনিট।


মেট্রোরেল   বাংলাদেশ   ঢাকা   রাজধানী  


মন্তব্য করুন


বিজ্ঞাপন