ইনসাইড বাংলাদেশ

আজ নওগাঁ হানাদার মুক্ত দিবস

প্রকাশ: ১১:২৪ এএম, ১৮ ডিসেম্বর, ২০২২


Thumbnail

১৯৭১সালের ১৬ডিসেম্বর পাকিস্তানি হানাদার বাহিনীর আত্মসমর্পণের মধ্য দিয়ে দেশ স্বাধীন হলেও বেশ কিছু জেলা অবরুদ্ধ করে  রেখেছিল পাকিস্তাহী হানাদার বাহিনী ও তাদের দোসররা। নওগাঁ জেলা ছিল সেগুলোর মধ্যে একটি। আজকের এই দিনে মুক্তির স্বাদ পায় নওগাঁ জেলাবাসী। ২৬ মার্চ বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান স্বাধীনতা ঘোষণার পর ২১ এপ্রিল পর্যন্ত মুক্ত ছিল নওগাঁ। পরদিন ২২ এপ্রিল নওগাঁ পাক হানাদারদের দখলে চলে যায়। পরবর্তীতে পাক হানাদার বাহিনীরা জেলার বিভিন্ন স্থানে হত্যা, লুট, অগ্নিসংযোগ, ধর্ষণসহ বিভিন্ন তান্ডব চালায়। শত শত মুক্তিকামী  মানুষকে নির্বিচারে হত্যা করে বর্বর পাকিস্তানী হায়েনারা।

সীমান্তবর্তী নওগাঁ জেলার বিভিন্ন স্থানে মুক্তিযোদ্ধাদের সাথে সম্মুখযুদ্ধ হয় পাক বাহিনীর। সর্বশেষ ১৯৭১ এর ১০ ডিসেম্বর জেলার রানীনগর উপজেলা ও পার্শ্ববর্তী বগুড়ার সান্তাহার রেলওয়ে জংশন এলাকা ১২ ডিসেম্বর হানাদার মুক্ত হয়। এ সময রানীনগর ও সান্তাহারে অবস্থানরত পাক বাহিনী ১৪ ডিসেম্বর রাতের মধ্যে নওগাঁ শহরের পার-নওগাঁ, কেডি স্কুলে আশ্রয় নেয়। এ সময় হানাদার বাহিনী নওগাঁ শহরের সাবেক থানা চত্বর, আদালত পাড়া ও এসডিও বাসভবন চত্বরে আত্মরক্ষামূলক প্রতিরক্ষা বেষ্টনী গড়ে তোলে।

১৬ ডিসেম্বর পাকিস্তানী সেনাবাহিনী ঢাকার রেসর্কোস ময়দানে ( বর্তমানে সোহরাওয়ার্দী উদ্যান )আত্মসমর্পণ করে। এ খবর শোনার পরও নওগাঁয় পাক হানাদাররা অত্মসমর্পণ করবে না বলে ঘোষণা দেয়। এতে স্থানীয় মুক্তিযোদ্ধারা ক্ষিপ্ত হয়ে ওঠে। তৎকালীন মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার জালাল হোসেন চৌধুরীর নেতৃত্বে ১৭ ডিসেম্বর সকাল ৭টার দিকে প্রায় ৩৫০ মুক্তিযোদ্ধা নিয়ে নওগাঁ শহর ঘিরে ফেলে। মুক্তিযোদ্ধারা ওইদিন জগৎসিংহপুর ও খলিশাকুড়ি গ্রামে অবস্থান নিয়ে পাক বাহিনীর উপর আক্রমণ চালায়। এ সময় পাকা হানাদাররা ভারী অস্ত্র ব্যবহার করে। এভাবে একটানা রাত ৮টা পর্যন্ত উভয় পক্ষের মধ্যে প্রচন্ড যুদ্ধ হয়। সেই যুদ্ধে মুক্তিযোদ্ধা ইচাহাক আলী খাঁন, ফরিদ হোসেন, আমজাদ হোসেন, ওসমান, শাহাদত আলী মীর ও কিশোর মুক্তিযোদ্ধা অছিম উদ্দিনসহ ৬জন মুক্তিযোদ্ধা শহীদ হয়।

১৮ ডিসেম্বর শনিবার সকাল ৮টার দিকে বগুড়া থেকে অগ্রসরমান ভারতীয় মেজর চন্দ্রশেখর, পশ্চিম দিনাজপুর বালুরঘাট থেকে পিবি রায়ের নেতৃত্বে মিত্রবাহিনী ও মুক্তিবাহিনী নওগাঁয় প্রবেশ করলে হানাদার বাহিনীর আর কিছুই করার ছিল না। ফলে সকাল ১০টার দিকে প্রায় দুই হাজার পাকসেনা নওগাঁ শহরের কেডি স্কুল থেকে পিএম গার্লস স্কুল, সরকারি গার্লস স্কুল, পুরাতন থানা চত্বর এবং এসডিও অফিস থেকে শুরু করে রাস্তার দু’পাশে মাটিতে অস্ত্র রেখে সারিবদ্ধভাবে দাঁড়িয়ে নতমস্তকে আত্মসমর্পণ করে বীর মুক্তিযোদ্ধারের কাছে।

এর পর তৎকালীন নওগাঁ মহকুমা প্রশাসক সৈয়দ মার্গুব মোরশেদ মুক্তি বাহিনী ও মিত্র বাহিনীকে স্বাগত জানান। বর্তমান পুরাতান কালেক্টরেট (এসডিও) অফিস চত্বরে স্বাধীন বাংলাদেশের পতাকা উত্তোলন করা হয়। সেখানে উপস্থিত মুক্তিযোদ্ধারা পতাকার প্রতি সালাম জানিয়ে সম্মান প্রদর্শন করেন। নওগাঁ হানাদারমুক্ত হয়। সীমান্তের এই জেলায় এদিন ওড়ে লাল-সবুজের পতাকা।

বাংলাদেশ মুক্তিযোদ্ধা সংসদ, নওগাঁ জেলা ইউনিট এর সাবেক কমান্ডার হারুন অল রশিদ বলেন, ১৬ ডিসেম্বর বিজয় দিবস পালনের পাশাপাশি ১৮ ডিসেম্বর ‘নওগাঁ হানাদার মুক্ত’ দিবস পালন করা হলে তরুণ প্রজন্মরা জেলার মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস জানতে পারবেন। অনেক ত্যাগ ও রক্তের বিনিময়ে অর্জিত আমাদের মহান স্বাধীনতা। এ বিজয় অজর্নে অনেক রক্ত দিয়ে হয়েছে। মুক্তিযুদ্ধের সঠিক ইতিহাস সবাইকে জানার আহব্বান জানান এই বীর মুক্তিযোদ্ধা।

নওগাঁর সামাজিক ও সাংস্কৃতিক সংগঠন একুশে পরিষদ এর সভাপতি এ্যাডভোকেট ডি এম আব্দুল বারী বলেন, প্রতিবছর এ দিনটিকে ‘নওগাঁ হানাদার মুক্ত দিবস’ হিসেবে আমরা পালন করে থাকি। অলোচনাসভা, র‌্যালি, ঘোড়দৌড় প্রতিযোগিতাসহ নানা ধরনের অনুষ্টানের আয়োজন হয়ে থাকে। তবে আমরা আশা করছি সরকারি ভাবেও যেন নওগাঁ হানাদার মুক্ত দিবস পালন করা হয়।


নওগাঁ   হানাদার মুক্ত দিবস  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড বাংলাদেশ

জয়পুরহাটে আন্তর্জাতিক নার্স দিবস-২০২৪ পালিত

প্রকাশ: ০১:৪৪ পিএম, ১২ মে, ২০২৪


Thumbnail জয়পুরহাটে আন্তজার্তিক নার্স দিবস-২০২৪ উপলক্ষ্যে আয়োজিত শোভাযাত্রা

জয়পুরহাটে নানা আয়োজনে আন্তর্জাতিক নার্স দিবস-২০২৪ পালিত হয়েছে। দিবসটি উপলক্ষে আজ রবিবার (১২ মে) বেলা ১১ টায় শহরের প্রধান সড়কে শোভাযাত্রা বের করা হয়।

জয়পুরহাট নার্সিং ইন্সটিটিউটের আয়োজনে শোভাযাত্রা শেষে নার্সিং হল রুমে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয় এতে সভাপতিত্ব করেন জয়পুরহাট নার্সিং ইন্সট্রাক্টর ইনচার্জ প্রভাষক আকলিমা খাতুন।

এসময় বক্তব্য রাখেন ইন্সট্রাক্টর ফারজানা খাতুন, শাহানারা বেগম, আয়েশা সিদ্দিকা ও জয়পুরহাট জেনারেল হাসপাতালে সহকারি স্টাফ নার্স সুফিয়া বেগম প্রমুখ। এসময় অন্যান্য বেসরকারি নার্সিং ইন্সটিটিউটের শিক্ষার্থীরা উপস্থিত ছিলেন। 

আলোচনা সভায় নার্সিং শিক্ষা ও নার্সিং পেশায় জড়িত সকল সম্মানিত সদস্যকে নৈতিকতা ও সামাজিক মূল্যবোধ ধারণ করে সামনে এগিয়ে যাওয়ার আহ্বান জানানো হয়।


আন্তর্জাতিক নার্স দিবস   শোভাযাত্রা  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড বাংলাদেশ

ফেনীর পরশুরামে শ্রমিক সংকটে দিশেহারা কৃষকরা

প্রকাশ: ০১:২৮ পিএম, ১২ মে, ২০২৪


Thumbnail

ফেনীর পরশুরাম উপজেলার মাঠে-মাঠে এখন পাকা ধান। তবে শ্রমিক সংকটে সময় মতো ধান কাটাতে পারছেন না কৃষকরা। এক মণ ধানের দামেও মিলছে না একজন শ্রমিক। শ্রমিক মিললেও জনপ্রতি মজুরি দিতে হচ্ছে ১২০০ থেকে ১২৫০ টাকা। সঙ্গে দুই বেলা খাবার। এতে শুধু ধান কাটতেই প্রতি মণ ধানের জন্য খরচ পড়ছে দেড় হাজার টাকার মতো। এদিকে বাজারে প্রতি মণ ধান বিক্রি হচ্ছে ৮২০-৮৫০ টাকা। উপজেলার তিনটি ইউনিয়ন ও পৌর এলাকায় একই চিত্র দেখা গেছে।

উপজেলা কৃষি অফিস সূত্রে জানা যায়, চলতি বোরো মৌসুমে উপজেলায় ৩ হাজার ৩২৯ হেক্টর জমিতে বোরো আবাদ হয়েছে। হেক্টর প্রতি গড়ে ৫ থেকে সাত টন করে ফলন পাওয়া যাচ্ছে।

সরেজমিনে উপজেলার বিভিন্ন এলাকা ঘুরে দেখা গেছে, এ বছর শ্রমিকের মজুরি বৃদ্ধি থাকায় কৃষকরা অনেকে নিজেরা ধান কাটার কাজ করছেন। প্রতিটি এলাকায় কমবেশি বোরো ধান কাটা শুরু হয়েছে। কিন্তু শ্রমিকের দাম বেশি হওয়ায় কৃষকরা অনেকটা দিশেহারা হয়ে পড়েছে।

পরশুরাম উপজেলার মির্জানগর ইউনিয়নের সত্যনগর গ্রামের কৃষক আবদুল খালেক জানান, তিনি এবার আড়াইশ শতক জমিতে বোরো ধান আবাদ করেছেন। চলতি বোরো মৌসুমে ঝড়, শিলাবৃষ্টি, পোকামাকড়, রোগবালাই নিয়ে দুশ্চিন্তায় থাকলেও ফলন ভালো হয়েছে কিন্তু বাজারে ধানের চাহিদা ও বাজারমূল্য অনেক কম থাকায় লোকসান গুনতে হচ্ছে।

পরশুরাম  উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মো. আমজাদ হোসেন চৌধুরী বলেন, চলতি বোরো মৌসুমে শ্রমিকের দাম বেশি। কিন্তু তার বিপরীতে ধানের বাজার দাম কম হওয়ায় কৃষকরা লোকসান গুনছেন। কৃষি কর্মকর্তা আরও বলেন, পরশুরামে বিভিন্ন এলাকায় কম্ভাইন্ড হারভেস্টার মেশিন দেওয়া হয়েছে কৃষকদের প্রতি পরামর্শ থাকবে কম্ভাইন্ড হারভেস্টার যন্ত্রের মাধ্যমে ধান কাটলে কৃষকদের খরচ বাঁচবে।


ফেনী   পরশুরাম   শ্রমিক   কৃষক  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড বাংলাদেশ

নিক্সন চৌধুরীর বাসায় গেলেন প্রধানমন্ত্রী

প্রকাশ: ০১:০৪ পিএম, ১২ মে, ২০২৪


Thumbnail

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা নিক্সন চৌধুরীর বাসায় গিয়েছিলেন। শনিবার (১১ মে) রাতে ফরিদপুর-৪ (ভাঙ্গা, সদরপুর, চরভদ্রাসন) আসনের সংসদ সদস্য মুজিবুর রহমান চৌধুরী ওরফে নিক্সন চৌধুরীর বনানীর বাসায় যান প্রধানমন্ত্রী। এ সময় সঙ্গে ছিলেন তার ছোট বোন শেখ রেহানা।

নিক্সন চৌধুরী তার ফেসবুকে শেখ হাসিনা এবং শেখ রেহানার বেড়াতে যাওয়ার বিষয়টি জানিয়েছেন। রোববার (১২ মে) সকালে নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে এক পোস্টে তিনি লেখেন, ‘বঙ্গবন্ধুকন্যা মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনা ও শেখ রেহানার সাথে গতকাল শনিবার রাতে আমাদের বনানীর বাসায়.......’

ফেসবুকে সাতটি ছবিও পোস্ট করেছেন নিক্সন। ছবিতে নিক্সন চৌধুরীর মা, স্ত্রী এবং ছেলেকে দেখা যাচ্ছে। এ ছাড়া তাদের সঙ্গে ছিলেন যুবলীগের সভাপতি শেখ ফজলে শামস পরশ।

নিক্সন চৌধুরীর দাদি ছিলেন জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের বড় বোন। ২০১৬ সালে আনোয়ার হোসেন মঞ্জুর মেয়ে দৈনিক ইত্তেফাকের প্রকাশক তারিন হোসেনকে বিয়ে করেন নিক্সন চৌধুরী। বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের তথ্য ও গবেষণাবিষয়ক উপকমিটির সদস্য তারিন হোসেন।


নিক্সন চৌধুরী   প্রধানমন্ত্রী  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড বাংলাদেশ

সিরাজগঞ্জে জিনের বাদশা চক্রের ৫ সদস্য গ্রেপ্তার

প্রকাশ: ১২:৪৩ পিএম, ১২ মে, ২০২৪


Thumbnail

সিরাজগঞ্জের সলঙ্গায় জিনের বাদশা প্রতারক চক্রের ৫ সদস্যকে গ্রেপ্তার ও ৬টি সোনালী রংয়ের মূর্তি উদ্ধার করেছে পুলিশ। শনিবার (১১ মে) দুপুরে তাদেরকে জেলার সলঙ্গা থানার হাটিকুমরুল এলাকা থেকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।

 

গ্রেপ্তারকৃতরা হলো, ঠাকুগাঁ জেলার জগন্নাথপুর বানিয়াপুর গ্রামের আব্দুল কাদেরের ছেলে মোঃ শফিউল আলম ও তার স্ত্রী মোছাঃ ফাতেমা খাতুন, দিনাজপুর জেলার বীরগঞ্জ থানার টেরীপাড়া গ্রামের মনোয়ার হোসেন, পাবনা আমিনপুর থানার সৈয়দপুর দক্ষিনপাড়া গ্রামের সাহেব আলী শেখের ছেলে মজিবর রহমান ও বন্দের আলী সরদারের ছেলে আকাশ সরদার।

 

শনিবার (১১ মে) বিকেলে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার রায়গঞ্জ সার্কেল বিনয় কুমার ও সলঙ্গা থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি') এনামুল হক এক প্রেস রিলিজের বিষয়টি নিশ্চিত করেছে।

 

প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ রয়েছে, সলঙ্গা থানা পুলিশের একটি আভিযানিক দল হাটিকুমরুল এলাকায় অভিযান পরিচালনা করছিল। এসময় উত্তরবঙ্গ হতে আসা একটি বাস হতে ৫ জন যাত্রী হাটিকুমরুল গোলচত্ত্বরে নেমে পাবনা যাওয়ার উদ্দেশ্যে সিএনজিতে উঠে। সে সময় তাদের নিকটে থাকা ব্যাগ তল্লাশী করে ৬টি সোনারী রংয়ের মুর্তি ও বিভিন্ন ধরনের আয়ুর্বেদীক ঔষধ উদ্ধারসহ তাদেরকে গ্রেপ্তার করে। প্রাথমিক তদন্তে জানা যায় যে, আসামীরা জিনের বাদশা প্রতারক চক্রের সক্রিয় সদস্য। তারা গ্রামের সহজ সরল লোকদের গুপ্তধন পায়ে দেওয়ার প্রলোভন দেখিয়ে অর্থ হাতিয়ে নিয়ে থাকে।

 

অনুমান ১০ দিন পূর্বে প্রতারক চক্রের সদস্যরা পাবনা জেলার আমিনপুর থানাধীন ভাটিকয়া গ্রামে জনৈক মোঃ রেজাউল হকের বাড়ীর পাশে মাটির নীচ হতে একটি পিতলের পাতিল উদ্ধার করে তাতে স্বর্ণ মুদ্রা রয়েছে উল্লেখ করে রেজাউলের বাবার হাতে দেয়। কিন্তু পূর্ব হতেই পাতিলে রাসায়নিক পদার্থ থাকায় উত্তপ্ত পাতিল হাতে নেওয়ার সঙ্গে সঙ্গে রেজাউলের পিতার হাত পুড়ে যায়। সেই সময় প্রতারক চক্রের সদস্যরা প্রতারনার আশ্রয় নিয়ে জানায় যে, গুপ্তধন এখনো কাচা রয়েছে, যাদু মন্ত্র দিয়ে পাকা করতে হবে। প্রতারকরা রেজাউল ইসলামকে পাতিলটিতে পানি দিয়ে ঠান্ডা করে পুতে রাখতে বলে। পাকা করার পর গুপ্তধন ব্যবহার উপযোগী হবে।

 

এছাড়া প্রতারকরা আরো জানায় যে, তাদের বাড়ীতে আরো গুপ্তধন রয়েছে, এগুলো জিনের মাধ্যম দিয়ে উদ্ধার করতে হবে। গুপধনে ১৮টি স্বর্ণ মুদ্রা রয়েছে যার অনুমান মুল্য ৩৬ লক্ষ টাকা। আপনারা যদি আমাকে ৫ লক্ষ টাকার বিনিময়ে আমাকে দিয়ে দেন আমি নিয়ে যাবো। কিন্তু সহজ সরল রেজাউল ইসলাম প্রতারকদের প্রতারনা বুঝতে না পেরে তাদেরকে নগদ ৪০ হাজার টাকা দিয়ে কথিত গুপ্ত ধনের পাতিলটি নিজেদের কাছে রাখে এবং ১০ দিন পরে উক্ত কাচা গুপ্ত ধন পাকা করা সহ আরো গুপ্তধন উদ্ধারের জন্য ৫০ হাজার টাকা চুক্তিতে আসতে বলে। প্রতারক চক্ররা সেদিন রেজাউলের নিকট হতে ৪০ হাজার টাকা নিয়ে চলে যায়।

পরবর্তী আরো বাকি ৫০ হাজার টাকা নেয়ার জন্য শনিবার দুপুরে প্রতারনার উদ্দেশ্যে পাবনা আমিনপুর যাওয়ার পথে হাটিকুমরুল গোলচত্ত্বর এলাকায় প্রতারক চক্রের ৫ সদস্যদের গ্রেপ্তার করা হয়। এ ব্যাপারে সলঙ্গা থানায় প্রতারক চক্রের সদস্যদের বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে।


জিনের বাদশা   প্রতারক  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড বাংলাদেশ

আমে সয়লাব সাতক্ষীরার বাজার

প্রকাশ: ১২:০৬ পিএম, ১২ মে, ২০২৪


Thumbnail

মধুমাস জ্যৈষ্ঠ আসার আগেই সাতক্ষীরার বাজারে উঠতে শুরু করেছে সুস্বাদু বিষমুক্ত আম। গোবিন্দভোগ, গোলাপখাস, সরিখাস, গোপালভোগ ও বোম্বাইসহ দেশি জাতের নানান পাকা আম। ভৌগলিক অবস্থানের কারণে প্রতি বছর আগেভাগেই সাতক্ষীরার আম বাজারে আসে।

বর্তমানে শহরের সুলতানপুর বড় বাজার আম চাষি ও ব্যবসায়ীদের পদচারণায় মুখর। আম কেনাবেচায় যেন চাঙ্গা হয়ে উঠছে গ্রামীণ আর্থনীতি।

এদিকে, মান হিসেবে ও শ্রেণিভেদে প্রতি মণ এই আম বিক্রি হচ্ছে ১৫০০ থেকে ২ হাজার ৪০০ টাকায়। ব্যবসায়ীরা জানিয়েছেন ফলন কম হওয়ায় গত বছরের তুলনায় এবার দাম দ্বিগুণ।

অপরদিকে, অপরিপক্ক আম বাজারজাতকরণ প্রতিরোধে আম ক্যালেন্ডার ঘোষণা করেছে জেলা প্রশাসন। সে অনুযায়ী, ২২ মে হিমসাগর, ২৯ মে ল্যাংড়া এবং ১০ জুন থেকে আম্রপালি আম সংগ্রহ ও বাজারজাত করা যাবে।

সাতক্ষীরা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর থেকে জানা গেছে, জেলায় এবার আম উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে ৫০ হাজার মেট্রিক টন। এরমধ্যে সদর উপজেলায় এক হাজার ২৩৫ হেক্টর, কলারোয়ায় ৬৫৮ হেক্টর, তালায় ৭১৫ হেক্টর, দেবহাটায় ৩৮০ হেক্টর, কালিগঞ্জে ৮২৫ হেক্টর, আশাশুনিতে ১৪৫ হেক্টর ও শ্যামনগরের ১৬০ হেক্টর জমিতে আম চাষ হয়েছে। জেলায় সরকারি তালিকাভুক্ত ৫ হাজার ২৯৯টি আমবাগান ও ১৩ হাজার ১০০ চাষি রয়েছেন। সব মিলিয়ে ৪ হাজার ১১৮ হেক্টর জমিতে আবাদ হয়েছে।


আম   সাতক্ষীরা  


মন্তব্য করুন


বিজ্ঞাপন