মন্তব্য করুন
জাতীয় সংসদ বিরোধীদলীয় নেতা প্রধানমন্ত্রীর শুভেচ্ছা জিএম কাদের
মন্তব্য করুন
সুনামগঞ্জের তাহিরপুরে কোরবানির পশুর হাটে ষাঁড়ের গুতোয় মনু মিয়া (৫৫) নামে প্রাণ
হারিয়েছে এক কৃষক।
বৃহস্পতিবার (১৩ জুন) দুপুরে জেলার সর্ব বৃহৎ কোরবানীর পশুর হাট তাহিরপুরের বাদাঘাট পাবলিক উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে এ ঘটনা
ঘটে।
নিহত মনু মিয়া সুনামগঞ্জের তাহিরপুর উপজেলার বাদাঘাট ইউনিয়নের ভোলাখালী গ্রামের মৃত আব্দুল আলীর ছেলে।
নিহত কৃষক মনু মিয়ার পারিবারিক সূত্র জানায়, উপজেলার ভোলাখালী গ্রামের কৃষক মনু মিয়া তার সহোদর ভাই নানু মিয়ার লালিত একটি ষাঁড় বিক্রির জন্য উপজেলার বাদাঘাট পাবলিক উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে থাকা কোরবানীর পশুর হাটে নিয়ে আসেন বৃহস্পতিবার বেলা ১১টার দিকে। দুপুরের দিকে হঠাৎ করেই ষাঁড়টি উক্তোজিত হয়ে মনু মিয়ার গোপনাঙ্গে শিং দিয়ে গুতো মাড়লে তিনি হাটেই মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়েন। এরপর পরিবার ও স্বজনরা তার মরদেহ নিজ বাড়িতে নিয়ে যান।
তাহিরপুর থানার ওসি মোহাম্মদ নাজিম বলেন, কোরবানির পশুর হাটে ষাঁড় বিক্রি করতে এসে সেই ষাঁড়ের গুতোতে এক কৃষক মৃত্যু বরণ করেছেন বলে জানতে পেরেছি।
কোরবানি গরু পশুর হাট ষাঁড় কৃষকের মৃত্যু
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
নওগাঁ জেলার বৃহত্তর পশুর হাটগুলোর মধ্যে একটি বদলগাছী উপজেলার কোলাহাট। সব ধরনের গরুর আমদানী থাকলেও মাঝারি সাইজের গরুর বেচাকেনায় জমে উঠেছে কোরবানি পশুর হাট।
ঈদুল আজহা (কুরবানী) উপলক্ষ্যে সপ্তাহে দুইদিন শুক্র ও মঙ্গলবার এখানে বসছে পশুর হাট। তবে হাসিল আদায়ে সরকারি কোন নির্দেশই তোয়াক্কা করছেনা হাট ইজারাদার। গরু প্রতি নেওযা হচ্ছে ৬৫০, ছাগলের জন্য ৪৫০টাকা। ক্রেতা- বিক্রেতা প্রতিবাদ করলেও অনেকটা জোড় করেই আদায় করা হচ্ছে অতিরিক্ত হাসিল। তবে খাজনার টাকা নিলেও রশিদে লেখা হচ্ছে না টাকার পরিমান। এতে করে চরম ক্ষোভ প্রকাশ করেন হাটে আসা ক্রেতা- বিক্রেতারা। এমন দৃশ্য শুধু কোলা হাটের নয়, গোবরচাপাঁ হাট, ভান্ডারপুর হাট, ধামইরহাট, মাতাজীহাট, দিঘীরহাট, চৌবাড়িয়া,মহাদেবপুর, আহসানগঞ্জ সহ জেলার প্রতিটি হাটেই সরকার নির্ধারিত মূল্যকে উপেক্ষা করে চলছে অতিরিক্ত হাসিল আদায়। কোন হাটে ৬৫০, কোন হাটে ৭০০, কোন হাটে ৮০০, আবার কোন হাটে ১০০০ টাকা পর্যন্ত হাসিল জোড় করে আদায় করা হচ্ছে। ঈদকে সামনে রেখে এ যেন অতিরিক্ত হাসিল আদায়ের প্রতিযোগিতা ও উৎস শুরু হয়েছে। তবে প্রশাসন দুই একটি অভিযানের মাধ্যমে জরিমানা করলেও সেটি দৃষ্টান্তমূলক না হওয়ায় কোন কিছু তোয়াক্কায় করছেনা হাট মালিক পক্ষ। কৃষক ও খামারিদের দাবী দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি প্রদান না করলে তাদের থামানো যাবেনা। অবিলম্বে অবৈধ এই হাসিল আদায় বন্ধন করা হোক।
কোলাহাট থেকে কুরবানীর গরু কিনেছেন বিপ্লব হোসেন বলেন, তিনি ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন,আমি কোলাহাট থেকে ৯৩ হাজার টাকা দিয়ে একটি গরু কিনেছি। সেই গরুর জন্য লেখনি বাবদ ১০০টাকা ও খাজনা বাবদ ৬০০টাকা আমার কাছ থেকে নিয়েছে হাসিল আদায়কারী। কিন্ত ৭০০টাকা নিলেও রশিদে একটি টাকাও লিখে দেননি।
ছাগল ক্রেতা নওগাঁর মুরুফ হোসেন বলেন,আমি কোলাহাট থেকে একটি ছাগল কিনেছি। ঔ ছাগলের জন্য খাজনা বা টোল দিয়েছি ৪০০টাকা। তবে আদায়কারী খাজনা বাবদ ৪০০টাকা নিলেও খাজনা রশিদে কোন প্রকার টাকা লিখে দেননি। শুধু তাই নয় হাট থেকে বের হওয়ার সময় আবার একজন এর কাছে রশিদ গুলো জমাদিয়ে ছাগল নিয়ে আসতে হয়েছে।
হাসিল আদায়কারীদের মধ্যে একজন বলেন, আমাদের যেই ভাবে ইজারাদার আদায় করতে বলেছেন সেই ভাবে আদায় করতেছি। কি ভাবে আদায় করছেন জানতে চাইলে তিনি বলেন, লেখনি বাবদ ১০০টাকা ও গরু-মহিষ ৬০০টাকা নিচ্ছি। টোলের টাকা রশিদে উল্লেখ নেই জানতে চাইলে তিনি বলেন, আপনে কোলা হাট ইজারাদার এর কাছে থেকে জেনেনিন বলেন তিনি।
কোলাহাট ইজারাদার ফেরদৌস হোসেন অস্বীকার করে বলেন, ইতি পূর্বে যেই ভাবে গরু ছাগলের খাজনার টাকা ৬০০টাকা করে আদায় করা হতো। তবে সেই ভাবেই এবারও খাজনা আদায় করা হচ্ছে। তবে তিনি স্বীকার করে বলেন সারা বাংলাদেশের পশুর হাট গুলোতে যেই ভাবে খাজনা আদায় করা হচ্ছে সেই ভাবে আমরাও সেই খাজনা আদায় করছি। তিনি আরও বলেন কুরবানীর পশুর হাটকে কেন্দ্র করে লেখনি ৫০টাকা ও খাজনা ৬০০টাকা আদায় করেন। ছাগলের খাজনার কথা জনতে চাইলে তিনি বলেন খাজনা ৪০০টাকা নয় ২০০টাকা করে আদায় করা হয় ।
জেলা প্রশাসক মোঃ গোলাম মওলা বলেন, ‘আমরা নিয়মিত বিভিন্ন হাটে অভিযান করছি। ইতিমধ্যে বেশ কয়েকটি হাটে জরিমানা করা হয়েছে। প্রত্যেকটি উপজেলা নির্বাহী অফিসারকে নির্দেশ দেওয়া আছে নিজ নিজ উপজেলার হাটগুলোতে নজরদারী বাড়ানোর জন্য।’
কোরবানি গরু পশুর হাট অতিরিক্ত হাসিল
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন