বরিশালের দর্শনীয় স্থানগুলোর মধ্যে জায়গা করে নিয়েছে মুঘল আমলে নির্মিত অনিন্দ্যসুন্দর মিয়াবাড়ি মসজিদ। এর নান্দনিক সৌন্দর্য টানছে দর্শনার্থীদের। তাই প্রায় প্রতিদিনই মসজিদটি দেখতে দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে ছুটে আসেন দর্শনার্থীরা। বরিশাল জেলার দর্শনীয় স্থানগুলোর মধ্যে ঐতিহাসিক মিয়াবাড়ি মসজিদটি দর্শনার্থীদের নজর কেড়েছে।
বরিশাল জেলা শহর থেকে প্রায় ৯ কিলোমিটার দূরে সদর উপজেলার রায়পাশা-কড়াপুর ইউনিয়নের রায়পাশা গ্ৰামের মিয়াবাড়িতে অবস্থিত প্রাচীন এই মসজিদটি। মসজিদের পাশে দুইটি বিশালাকার দীঘি এই মসজিদের সৌন্দর্যকে আরও বাড়িয়ে দিয়েছে।
সম্প্রতি মসজিদটি পরিদর্শনে গিয়ে দেখা গেছে, প্রাচীণ এই মসজিদটি দ্বিতলবিশিষ্টে এবং সম্পূর্ণ কারুকার্যমণ্ডিত। মূল মসজিদের সৌন্দর্যবর্ধন করা হয়েছে এর দ্বিতীয় তলায়। দ্বিতীয় তলায় রয়েছে তিনটি দরজা। মসজিদটির নিচ তলায় রয়েছে ছয়টি দরজা বিশিষ্ট আবাসন ব্যবস্থা। যেখানে মাদরাসা শিক্ষার্থীদের থাকার ব্যবস্থা করা হয়েছে।
মসজিদের দ্বিতীয় তলায় উঠতে রয়েছে একটি প্রশস্ত সিঁড়ি। সিঁড়ির নিচে দুটি বাঁধানো কবর। কিন্তু এ কবর দুটি কাদের সেটা আজও জানা যায়নি। মসজিদের সামনে ও পেছনে দুটি বিশালাকার দীঘিও রয়েছে। প্রায় প্রতিদিনই মসজিদটি দেখতে দেশের দূর-দূরান্ত থেকে দর্শনার্থীরা আসছেন বলে জানিয়েছেন এলাকাবাসী।
মসজিদের ছাদের মাঝখানে বড় তিনটি গম্বুজ। মাঝের গম্বুজটি সবচেয়ে বড়, যার ভেতরে সুন্দর নকশা আঁকা। মসজিদের চারপাশের পিলারের ওপর নির্মিত হয়েছে আটটি বড় বড় মিনার। এসবের মাঝে মাঝে আছে ১২টি ছোট ছোট মিনার।
জানতে চাইলে এলাকার বাসিন্দা বারেক হাওলাদার বলেন, ‘মসজিদটি বরিশাল অঞ্চলের প্রাচীন মসজিদগুলোর মধ্যে অন্যতম একটি মসজিদ। এটি ১৮০০ শতকে নির্মাণ করা হয় বলে ধারণা করা হয়। সম্প্রতি মসজিদটি রঙ করা হয়েছে এবং এটির মেরামত কার্যক্রম চলছে। রঙ করার ফলে মসজিদটির সৌন্দর্য আরও ফুটে ওঠেছে। মসজিদটি দেখতে দূর-দূরান্ত থেকে প্রতিনিয়ত মানুষ ছুটে আসছে। কিন্তু মসজিদটিতে প্রবেশের একমাত্র সড়কটির অবস্থা খুবই নাজুক। সংস্কারের অভাবে দিন দিন যাতায়াতের অনুপযোগী হয়ে পড়েছে সড়কটি। সড়কটি সংস্কার এখন সময়ের দাবি।
মিয়াবাড়ি মসজিদটি পরিদর্শনে আসা এক দর্শনার্থী জিহাদ। তিনি পরিবারের সদস্যদের সাথে নিয়ে মসজিদটি দেখতে এসেছেন। তিনি বলেন, ‘মসজিদটি আকারে ছোট হলেও দেখতে বেশ সুন্দর, অনিন্দ্যসুন্দর! প্রতিটি নিদর্শনই চোখে পড়ার মতো। তাই পরিবারের সবাইকে নিয়ে দেখতে এলাম। সত্যিই মসজিদটির নান্দনিকতা যে কারও নজর কাড়বে। এটি বাংলাদেশের একটি প্রত্নতাত্ত্বিক নিদর্শন।’
অপর দর্শনার্থী রনি বলেন, ‘অনেক দিন ধরে মসজিদটি দেখতে আসবো ভাবছি, কিন্তু আসা হয়ে ওঠেনি। তাই এবার বন্ধু ও পরিবারের কয়েকজন মিলে মসজিদটি দেখতে চলে এসেছি। মসজিদটি দেখে বেশ ভালো লাগলো। ছবিতে দেখতে যেমন, বাস্তবেও ঠিক তেমন।’
জানতে চাইলে স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান আহমেদ শাহরিয়ার বাবু বলেন, ‘মসজিদটি দেখতে প্রায় প্রতিদিনই দূর-দূরান্ত থেকে লোকজন আসে। তবে মসজিদে প্রবেশের পথটি একটু খারাপ হওয়ায় লোকজনের আসতে কিছুটা ভোগান্তিতে পড়তে হচেছ। শিগগির রাস্তাটি সংস্কারের উদ্যোগ নেওয়া হবে। এছাড়া মসজিদটি প্রত্নতত্ত্ব অধিদপ্তরের লোকজন তত্ত্বাবধানে রয়েছেন।’
মিয়াবাড়ি মসজিদ বরিশাল প্রত্নতাত্ত্বিক নিদর্শন
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
সিরাজগঞ্জে গণমাধ্যম কর্মীদেরকে নিয়ে ভাষায় লিঙ্গীয় বৈষম্য নারী পক্ষ নামে একটি সংগঠন সিরাজগঞ্জ ও পাবনার সাংবাদিকদের সাথে মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়।
রবিবার (১৯ মে') দুপুরে শহরের এস. এস রোডস্থ নর্থ টাউন রেস্তোরাঁয় প্রোগ্রাম ফর উইম্যান ডেভোলপমেন্ট (পি ডাব্লিউডি) সার্বিক সহযোগিতা ও নারীপক্ষ আয়োজনে ভাষায় লিঙ্গীয় বৈষম্য দিনব্যাপী মতবিনিময় সভার শুভ উদ্বোধন করেন নারীপক্ষ চেয়ার পারসন গীতা দাস।
মতবিনময় সভায় নারীপক্ষ চেয়ারপার্সন গীতা দাস বলেন, মানুষ কোনো ভালো কর্ম করলে তাকে বিশেষায়িত করা যায়। কিন্তু নারীরা নির্যাতিত হলেও তাদেরকে বিশেষায়িত করা হয়। যেমন ধর্ষণের শিকার হলে তাকে ধর্ষিতা, নির্যাতনের শিকার হলে নির্যাতিতা বলা হয়। অথচ ধর্ষণের শিকার, নির্যাতনের শিকার লিখলেও হয়।’ একজন নারীকে মানুষ হিসেবে দেখলে এ অবস্থার পরিবর্তন ঘটবে বলেও উল্লেখ করেন তিনি।
এসময়ে উপস্থিত ছিলেন কামরুন নাহার, ফেরদৌসী আখতার, পিডাব্লিউডি নির্বাহী পরিচালক হুসনে আরা জলি।
এছাড়াও আরো উপস্থিত ছিলেন বেসরকারি চ্যানেল টুয়েন্টিফর সিনিয়র রিপোর্টার সাংবাদিক হীরুকগুণ, এনটিভি জেলা প্রতিনিধি শরিফুল ইসলাম ইন্না, দৈনিক মানবজমিন পত্রিকার সিরাজগঞ্জ প্রতিনিধি সুজন সরকার, বৈশাখী টেলিভিশন সিরাজগঞ্জ প্রতিনিধি সুজিত সরকার, দীপ্ত টিভির সিরাজগঞ্জ প্রতিনিধি শিশির, দীপ্ত টিভি পাবনা জেলা প্রতিনিধি শামসুল আলম সহ অনেকে।
মন্তব্য করুন
পাবনার আটঘরিয়া উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান প্রার্থী সাইফুল ইসলাম কামালের বিরুদ্ধে জীবন্ত ঘোড়া নিয়ে প্রচারণার অভিযোগ উঠেছে। শুক্রবার (১৭ মে) বিকেলে উপজেলার একদন্ত ইউনিয়নের শিবপুর বাজার এলাকা থেকে জীবন্ত ঘোড়া নিয়ে নির্বাচনী প্রচারণা করেন চেয়ারম্যার প্রার্থী সাইফুল ইসলাম কামাল।
ষষ্ঠ উপজেলা পরিষদের তৃতীয় ধাপে আটঘরিয়া উপজেলা পরিষদের নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। এই উপজেলা চেয়ারম্যান পদে ২ জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। এদের মধ্যে সাইফুল ইসলাম ঘোড়া প্রতীক নিয়ে নির্বাচনে অংশ নিচ্ছেন।
এ বিষয়ে উপজেলা চেয়ারম্যান ও মোটরসাইকেল প্রতীকের চেয়ারম্যার প্রার্থী তানভীর ইসলাম বলেন, সাইফুল ইসলাম কামালের গুন্ডা সন্ত্রাসীরা প্রতিনিয়ত আমার কর্মী, সমর্থক, ভোটারদের ভয়ভীতি, হুমকী, উচ্ছৃঙ্খল আচরণ করে ভোট দিতে নিরুৎসাহিত করছে। ফলে নির্বাচন কমিশনের ষষ্ঠ উপজেলা পরিষদ নির্বাচন আচরণবিধি সাইফুল ইসলাম কামাল বারবার লঙ্ঘন করে উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে ক্ষমতার প্রভাব বিস্তার করছেন।
অভিযোগের বিষয়ে জানতে চাইলে চেয়ারম্যান প্রার্থী সাইফুল ইসলাম কামাল বলেন, ‘ঘোড়া নিয়ে প্রচার প্রচারণা করিনি। তবে আমি ঘেড়ার গাড়ি নিয়ে প্রচার প্রচারণা করেছি। এটাও যদি বিধি নিষেধ থাকে তাহলে এটাও পরিহার করবো।’
পাবনার অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্টেট ও রিটার্নিং অফিসার আব্দুল্লাহ আল মামুন বলেন, জীবন্ত ঘোড়া নিয়ে নির্বাচনী প্রচারণায় চেয়ারম্যান প্রার্থী এমন একটি অভিযোগ পেয়েছি আমরা। তদন্ত পূর্বক প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে জানান তিনি।
মন্তব্য করুন