ইনসাইড বাংলাদেশ

বন অধিদপ্তর নিয়ে নানা অভিযোগ, তদন্ত করবে সংসদীয় কমিটি

প্রকাশ: ০৭:৩৩ পিএম, ২২ ডিসেম্বর, ২০২২


Thumbnail জাতীয় সংসদ ভবন। ফাইল ছবি

বন অধিদপ্তরে নিয়োগ, পদোন্নতি, বদলি ও পদায়নে অর্থনৈতিক লেনদেন ও অনিয়মের ১৫ থেকে ১৬টি অভিযোগ পেয়েছে পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়–সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটি। তারা এসব বিষয় তদন্ত করবে। 

বৃহস্পতিবার (২২ ডিসেম্বর) জাতীয় সংসদ ভবনে অনুষ্ঠিত কমিটির বৈঠকে এ সিদ্ধান্ত নেয়া হয়।

বৈঠক শেষে সংসদীয় কমিটির সভাপতি সাবের হোসেন চৌধুরী সাংবাদিকদের বলেন, ‘বন অধিদপ্তরে নিয়োগ, বদলি, পদায়নে লেনদেন, প্রভাবশালীদের তদবির হয় বলে অভিযোগ আছে। একটি স্তর থেকে আরেকটি স্তরে যেতে ন্যূনতম একটি সময় পর্যন্ত নির্দিষ্ট পদে দায়িত্ব পালন করতে হয়। সেটা না করেও পদোন্নতি হচ্ছে। কমিটি এ ধরনের ১৫-১৬টি অভিযোগ পেয়েছে। এসব অভিযোগ তদন্ত করে মন্ত্রণালয়ে দেওয়া হবে।’

তিনি বলেন, ‘সাধারণত কমিটি কারও বেনামি চিঠি গ্রহণ করে না। তবে যদি অভিযোগ সুনির্দিষ্ট হয়, তথ্য সঠিক হয়, তাহলে কমিটি এ ধরনের চিঠিও আমলে নেবে।’

সাবের হোসেন চৌধুরী জানান, ‘দেশের প্রাকৃতিক সম্পদের অর্থনৈতিক মূল্য নিরূপণে (সিস্টেম অব এনভায়রনমেন্টাল ইকোনমিক অ্যাকাউন্টিং) কাজ শুরু হচ্ছে। ইউএনডিপির সঙ্গে বিবিএস যৌথভাবে কাজটি করবে। প্রতিবছর দেশে আড়াই শতাংশ বন উজাড় হচ্ছে, এর অর্থনৈতিক মূল্য কত? সুন্দরবন অনেক ঘূর্ণিঝড়ের ক্ষতি কমিয়ে দেয়, সেটার মূল্য কত? সুন্দরবনে যে কার্বন আছে, সেটার অর্থনৈতিক মূল্য কত? এখান থেকে মানুষ মাছ, মধু আহরণ করে, এসবের মূল্য কত? -সব ধরনের প্রাকৃতিক সম্পদের ক্ষেত্রে এ বিষয়গুলো বের করা হবে। পরে সেটা জিডিপির সঙ্গে যুক্ত করা হবে। আবার জলবায়ু পরিবর্তনসহ বিভিন্ন কারণে প্রাকৃতিক সম্পদের যে ক্ষতি, তার মূল্যমানও জানা যাবে।’

সূত্র জানায়, এর আগে সংসদীয় কমিটিতে সাভারের চামড়াশিল্প নগরীর ১৯টি ট্যানারি বন্ধ করার সিদ্ধান্ত হয়েছিল। কমিটির আজকের বৈঠকে জানানো হয়, পাঁচটি ট্যানারি বন্ধ রয়েছে। বাকি ট্যানারিগুলোকে দ্রুত বন্ধ করতে বলেছে কমিটি। এর আগে কমিটি সেন্ট মার্টিনে অবৈধভাবে গড়ে ওঠা হোটেল, মোটেলের তালিকা চেয়েছিল। মন্ত্রণালয় কমিটিকে জানায়, এ ধরনের ১৬৬টি অবৈধ স্থাপনা আছে। তবে এসব প্রতিষ্ঠানের মালিক কারা, তা প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়নি। কমিটি এসব প্রতিষ্ঠানের প্রকৃত মালিক কারা, কারা পেছনে আছে, তা বিস্তারিত জানাতে বলেছে।

কমিটির সভাপতি সাবের হোসেন চৌধুরীর সভাপতিত্বে কমিটির সদস্য পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী মো. শাহাব উদ্দিন, উপমন্ত্রী হাবিবুন নাহার, নাজিম উদ্দিন আহমেদ এবং খোদেজা নাসরিন আক্তার হোসেন বৈঠকে অংশ নেন।


বন অধিদপ্তর   জাতীয় সংসদ ভবন   সংসদীয় কমিটি  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড বাংলাদেশ

শাহ আমানতে কমে যাচ্ছে বিদেশি এয়ারলাইনসের ফ্লাইট

প্রকাশ: ০৯:২০ এএম, ১৫ মে, ২০২৪


Thumbnail

দেশের দ্বিতীয় বৃহৎ আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর শাহ আমানতের সক্ষমতা বৃদ্ধির জন্য নেওয়া হয়েছে মেগা সব প্রকল্প। বৃদ্ধি করা হয়েছে রানওয়ের সক্ষমতা। মেগা প্রকল্পের ফলে দিন দিন বিমানবন্দরের সক্ষমতা বাড়লেও বিপরীত দিকে হাঁটছে বিমান সংস্থাগুলো। একের পর এক আন্তর্জাতিক রুটের ফ্লাইট পরিচালনা সংস্থা শাহ আমানত থেকে নিজেদের গুটিয়ে নিচ্ছে। এ পর্যন্ত ১৩টি বিদেশি এয়ারলাইনসের ফ্লাইট এখান থেকে বিমান পরিচালনা বন্ধ করেছে।

বিমানবন্দরসূত্রে জানা গেছে, শাহ আমানত আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর দিয়ে ১৯টি বিমান সংস্থা ফ্লাইট পরিচালনা করলেও বর্তমানে তা নেমে হয়েছে ৬টি। সময়ের সঙ্গে সঙ্গে বন্ধ হয়ে গেছে শাহ আমানত আন্তর্জাতিক রুটও। বন্ধ হয়ে যাওয়া বিমান সংস্থাগুলোর মধ্যে রয়েছে থাই এয়ার, থাই স্মাইল এয়ার, কুয়েত এয়ার, ফুকেট এয়ার, মালিন্দো এয়ার, রোটানা এয়ার, হিমালয়ান এয়ার, রাস আল কাইমা (আরএকে) এয়ার, টাইগার এয়ারওয়েজ, সিল্ক এয়ার, ভারতভিত্তিক স্পাইসজেট বিমান, ওমান এয়ার, আলজাজিরা এয়ারওয়েজ, কুয়েতভিত্তিক এয়ারলাইনস জাজিরা এয়ারওয়েজ ইত্যাদি। বর্তমানে এ বিমানবন্দর দিয়ে আন্তর্জাতিক রুটে ফ্লাইট পরিচালনাকারী সংস্থাগুলোর মধ্যে রয়েছে বাংলাদেশ বিমান, ইউএস-বাংলা, এয়ার অ্যারাবিয়া, সালাম এয়ার ও ফ্লাই দুবাই।

এ বিষয়ে চট্টগ্রাম শাহ আমানত আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের পরিচালক গ্রুপ ক্যাপ্টেন তাসলিম আহমেদ বলেন, ‘বিদেশি বিমান সংস্থাগুলো এখানে এসেছে ব্যবসা করতে। প্রয়োজনীয়সংখ্যক যাত্রী পাচ্ছে না বলেই তারা ফ্লাইট বন্ধ করে দিয়েছে। এখানে আমাদের কিছু করার নেই।’ আটাব চট্টগ্রাম অঞ্চলের সাবেক যুগ্মসম্পাদক এম এ মান্নান বলেন, ‘শাহ আমানত আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে একের পর এক বিমান সংস্থার সেবা বন্ধের বিষয়টি দুঃখজনক। সংস্থাগুলোর চলে যাওয়ার নেপথ্যে রয়েছে বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষের নানান গাফিলতি এবং প্রয়োজনীয় যাত্রী না পাওয়া। বিমান সংস্থাগুলো চলে যাওয়ার কারণে প্রতিযোগিতা কমে গেছে। ফলে যাত্রীরা ন্যায্যমূল্যে টিকেট প্রাপ্তি থেকে বঞ্চিত হচ্ছে।’

এদিকে শাহ আমানত বিমানবন্দরের আন্তর্জাতিক রুটে বিমান বন্ধের নেপথ্যে রয়েছে অভিযোগের পাহাড়। এর মধ্যে রয়েছে বিমানবন্দরের নানান অব্যবস্থাপনা, আন্তর্জাতিক মানের সুবিধা না থাকা, অবকাঠামো, প্যাসেঞ্জারি বিল্ডিং সক্ষমতা না থাকা, প্রয়োজনীয়সংখ্যক লাগেজ বেল্ট না থাকা অন্যতম। তবে রানওয়ের উন্নতিসহ নানান পদক্ষেপের কারণে বিমানবন্দর রানওয়ে দিয়ে এখন বাংলাদেশে আসা সবচেয়ে বড় উড়োজাহাজ ‘বোয়িং ৭৭৭’ কিংবা ‘বোয়িং ৭৮৭ ড্রিমলাইনার’ এবং ‘এয়ারবাস এ ৩২০’ নামতে পারছে অনায়াসে। তবে একসঙ্গে তিন-চার শ যাত্রীর ইমিগ্রেশন সম্পন্ন করার জন্য পর্যাপ্ত কাউন্টার নেই। নেই পর্যাপ্ত ব্যাগেজ বেল্ট। বেল্ট কক্ষেই যাত্রীদের জটলা লেগে যায়। আর যাত্রী বেশি হওয়ায় একেকটি লাগেজ পেতে দেড় ঘণ্টার বেশি সময় লাগছে। তবে সংশ্লিষ্টদের মতে, বিদেশি এয়ার?লাইনসের ফ্লাইট চট্টগ্রাম বিমানবন্দর থেকে পরিচালনা বন্ধ হলেও বর্তমানে চালু থাকা এয়ারলাইনগুলো ফ্লাইট সংখ্যা বৃদ্ধির পরিকল্পনা করছে। তবে সংস্থাগুলো কবে থেকে ফ্লাইট বাড়াবে সে বিষয়ে জানাতে অপারগতা প্রকাশ করেছে।


শাহ আমানত বিমানবন্দর   বিদেশি এয়ারলাইনস   ফ্লাইট  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড বাংলাদেশ

মার্কিন প্রতিষ্ঠানগুলো কবে নিজ অর্থ নিতে পারবে, জানতে চেয়েছেন ডোনাল্ড লু

প্রকাশ: ০৮:৫১ এএম, ১৫ মে, ২০২৪


Thumbnail

ডলার সংকটের কারণে বাংলাদেশে বিনিয়োগের লভ্যাংশ নিতে পারছে না যুক্তরাষ্ট্রের বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান। এ অর্থ কত দিনে পরিশোধ করবে, তা জানতে চেয়েছেন সফররত দেশটির পররাষ্ট্র দপ্তরের দক্ষিণ ও মধ্য এশিয়াবিষয়ক সহকারি সেক্রেটারি ডোনাল্ড লু।

মঙ্গলবার (১৪ মে) প্রধানমন্ত্রীর বেসরকারি শিল্প ও বিনিয়োগ উপদেষ্টা সালমান এফ রহমানের গুলশানের বাসভবনে নৈশভোজে এ বিষয়ে জানতে চান তিনি। নৈশভোজ শেষে নিজ বাসভবনে সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানান সালমান এফ রহমান।

তিনি বলেন, ‘ডলার সংকট নিয়ে আলোচনা হয়েছে। তারা বলেছেন, মার্কিন যেসব প্রতিষ্ঠান ব্যবসা করছে, অর্থছাড়ে দেরি হচ্ছে বলে তাদের অভিযোগ। তারা এও বলেছেন, আমরা বুঝি বাংলাদেশের রিজার্ভের ওপর চাপ রয়েছে। আলোচনার একপর্যায়ে বাংলাদেশ কত দিনে এ অর্থ দিতে পারবে, তা জানতে চান ডোনাল্ড লু’।

সালমান এফ রহমান বলেন, আমরা আশা করছি, আমাদের রিজার্ভ, রপ্তানি, সঙ্গে রেমিট্যান্সও বাড়বে। তাদের জানিয়েছি, আমাদের অর্থ পরিশোধে একটু সমস্যা হচ্ছে, দেরি হচ্ছে। তবে ক্রমাগত অর্থছাড় হচ্ছে, একেবারে বন্ধ হয়নি।

সালমান এফ রহমান আরও বলেন, ‘বৈঠকে ওনারা বলেছেন, বাংলাদেশের সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্র সম্পর্ক উন্নয়ন করতে চায়। আমরা চাই বিশ্বাস পুনঃস্থাপন করতে। তখন আমরা বলেছি—হ্যাঁ, আমরাও চাই’।

নির্বাচনের আগে ও পরেও যুক্তরাষ্ট্রের দিক থেকে কিছু ইস্যু ছিল জানিয়ে সালমান এফ রহমান বলেন, ‘নির্বাচনের পর মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন আমাদের প্রধানমন্ত্রীকে চিঠি লিখেন। সেটা খুবই ইতিবাচক একটা চিঠি ছিল। তার পর থেকে আমরা তাদের সঙ্গে অ্যাংগেজমেন্ট শুরু করে দিলাম। সম্পর্ক পুনঃস্থাপনের ক্ষেত্রে প্রথমত জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবিলাকে গুরুত্ব দেওয়া হচ্ছে। এ বিষয়ে তারা আমাদের সঙ্গে কাজ করতে চায়। এ ছাড়া তারা বিদ্যুৎ খাত নিয়েও কাজ করতে চায়। ভুটান, নেপাল ও ভারতের সঙ্গে আমাদের বিদ্যুতের একটা আন্তঃযোগাযোগ চায়। আমরা ভারতসহ এ দেশগুলোর সঙ্গে কার্যক্রম এগিয়ে নিচ্ছি, এটা জেনে তারা খুশি হয়েছে’।

রোহিঙ্গা সমস্যা সমাধানের বিষয়েও আলোচনা হয়েছে বলে জানান সালমান এফ রহমান। এ বিষয়ে জানতে চাইলে প্রধানমন্ত্রীর উপদেষ্টা বলেন, রোহিঙ্গাদের আশ্রয় দেওয়ার জন্য যথারীতি তারা ধন্যবাদ জানিয়েছে। একই সঙ্গে যতটুকু সাপোর্ট দেওয়া যায় সেটি দেবে বলে জানিয়েছে তারা। আমরা বলেছি রোহিঙ্গাদের যাতে ফেরত নেয় সে জন্য মিয়ানমারের ওপর চাপ প্রয়োগ করতে হবে। তারা বলেছে, আমরা চেষ্টা করছি। আবার এটাও বলেছে, মিয়ানমারের এখন যে অবস্থা তাতে প্রত্যাবাসনে সময় লাগবে।

ভিসানীতি এবং র‍্যাবের ওপর নিষেধাজ্ঞার বিষয়ে প্রশ্নের জবাবে সালমান এফ রহমান বলেন, ভিসানীতি নিয়ে কোনো আলাপ হয়নি। তারাও কথা তোলেনি, আমরাও না। এখন তো মনে হচ্ছে ভিসা নিষেধাজ্ঞা বিএনপির ওপর দেওয়া উচিত। তবে র‍্যাবের ওপর নিষেধাজ্ঞার বিষয়টি আমরা তুলেছি। একই সঙ্গে বঙ্গবন্ধুর খুনিদের ফেরত দেওয়ার বিষয়েও কথা বলেছি। তখন তারা বলেছে, এ দুটো বিষয় তাদের বিচার বিভাগের বিষয়। তারা বিচার বিভাগকে জানিয়েছে, আমাদের র‍্যাবের বিষয়গুলোর উন্নতি হয়েছে। কিন্তু এটার একটা প্রক্রিয়া রয়েছে, সে অনুযায়ী তারা কার্যক্রম এগিয়ে নেবে।

প্রধানমন্ত্রীর উপদেষ্টা বলেন, আন্তর্জাতিক শ্রম সংস্থার (আইএলও) সঙ্গে আমাদের কিছু বিষয় নিয়ে আলোচনা চলছে। এ বিষয়ে তারা বলেছেন, তোমরা যদি আইএলওর নীতিমালা অনুযায়ী শ্রমনীতি তৈরি কর, আইএলও থেকে যদি কোনো আপত্তি না থাকে তাহলে আমাদেরও কোনো আপত্তি নেই। কারণ যুক্তরাষ্ট্র ও আইএলও দুপক্ষেরই নিয়মনীতি এখন এক। একটা সময় কিছুটা আলাদা ছিল কিন্তু এখন আর সেটা নেই। আমরা খুব আশাবাদী যে আইএলওর সঙ্গে আমাদের সমঝোতা হয়ে যাবে। হয়ে গেলে আর যুক্তরাষ্ট্র থেকে আলাদা কোনো আপত্তি থাকবে না বলে তারা জানিয়েছে।

নৈশভোজে আরও উপস্থিত ছিলেন আইনমন্ত্রী আনিসুল হক, বাণিজ্য প্রতিমন্ত্রী আহসানুল ইসলাম টিটু, তথ্যমন্ত্রী প্রতিমন্ত্রী আলী আরাফাত, পররাষ্ট্র সচিব মাসুদ বিন মোমেন, সাবেক পররাষ্ট্রমন্ত্রী শাহরিয়ার আলম, সাবেক রাষ্ট্রদূত ফারুক সোবহান ও ঢাকা স্কুল অব বিজনেসের চেয়ারম্যান ড. কাজী খলিকুজ্জামান আহমেদ।


ডোনাল্ড লু   সালমান এফ রহমান   মার্কিন প্রতিষ্ঠান  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড বাংলাদেশ

উখিয়ায় আরসার আস্তানায় র‌্যাবের অভিযানে বিপুল অস্ত্র উদ্ধার

প্রকাশ: ০৮:৩৪ এএম, ১৫ মে, ২০২৪


Thumbnail

কক্সবাজারের উখিয়ার রোহিঙ্গা ক্যাম্পসংলগ্ন লাল পাহাড়ে মিয়ানমারের সশস্ত্র গোষ্ঠী আরাকান স্যালভেশন আর্মি (আরসা) এর আস্তানায় র‌্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়নের (র‌্যাব) অভিযান চালাচ্ছে। চলমান এই অভিযানে এরইমধ্যে আস্তানা থেকে বিপুল পরিমাণ অস্ত্র, গ্রেনেড রকেট শেল উদ্ধারসহ আরসার দুই সদস্যকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে বলে র‌্যাব সূত্রে জানা গেছে।

বুধবার (১৫ মে) ভোররাত থেকে উখিয়া উপজেলার রাজাপালং ইউনিয়নের গহীন পাহাড়ে অভিযান শুরু হয়। শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত অভিযান চলমান আছে।

র‌্যাব-১৫ এর অধিনায়ক লে. কর্নেল এইচ এম সাজ্জাদ হোসেন বলেন, বেশকিছু দিন ধরে রোহিঙ্গা ক্যাম্পে হেড মাঝিসহ কয়েক রোহিঙ্গাকে গুলি গলা কেটে হত্যার ঘটনা ঘটছে। এরই প্রেক্ষিতে র‌্যাব ক্যাম্পে গোয়েন্দা তৎপরতা বৃদ্ধি করে। তারই ধারাবাহিকতায় সুনির্দিষ্ট তথ্যের ভিত্তিতে উখিয়ার ক্যাম্পসংলগ্ন গহীন পাহাড়ে মিয়ানমারের সন্ত্রাসী সংগঠন আরসার আস্তানা অবস্থান শনাক্ত করা হয়।

তিনি আরও বলেন, মঙ্গলবার (১৪ মে) রাত ২টা থেকে অভিযান শুরু হয় এবং পুরো লাল পাহাড় ঘিরে ফেলা হয়। এক পর্যায়ে র‌্যাবের উপস্থিতি টের পেয়ে সন্ত্রাসীরা গুলিবর্ষণ শুরু করে। এরপর র‌্যাব  পাল্টা গুলি ছোড়ে। পর্যন্ত একটি আস্তানা থেকে দুই সন্ত্রাসী গ্রেপ্তার করা হয়েছে। আর আস্তানা থেকে বিপুল পরিমাণ অস্ত্র, গ্রেনেড রকেট সেল উদ্ধার করা হয়েছে। অভিযান এখনো চলমান রয়েছে। পরে বিস্তারিত জানানো হবে বলে জানান র‌্যাবের ওই অধিনায়ক।


উখিয়া   আরসা   অস্ত্র  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড বাংলাদেশ

বন্ধুর ছুরিকাঘাতে বন্ধু খুন

প্রকাশ: ০৮:২৫ এএম, ১৫ মে, ২০২৪


Thumbnail

বগুড়ায় আওয়ামী লীগ নেতা মমিনুল ইসলাম রকি হত্যা মামলার আসামি আলী হাসান (৩০) বন্ধুর ছুরিকাঘাতে খুন হয়েছে। নিহত আলী হাসান বগুড়া শহরের মালগ্রাম পশ্চিমপাড়া এলাকার জিন্নাহর ছেলে।

মঙ্গলবার (১৪ মে) বিকেলে সদর উপজেলার শহরদিঘি গ্রামের পশ্চিমপাড়ায় এ ঘটনা ঘটে।

পেশায় তিনি ট্রাকচালকের সহকারী। এ ছাড়াও আলী হাসান বগুড়া সদরের ফাঁপোড় ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের যুগ্ম আহ্বায়ক মমিনুল ইসলাম রকি হত্যা মামলার আসামি ছিলেন। এসব তথ্য নিশ্চিত করেছেন বগুড়া সদর থানার ওসি সাইহান ওলিউল্লাহ।

এ ঘটনায় জড়িত হাসানের বন্ধু সবুজ সওদাগর পলাতক রয়েছে। সবুজ সওদাগর বঙ্গবন্ধু সৈনিক লীগের বগুড়া জেলা সভাপতি। তার বিরুদ্ধেও হত্যাসহ একাধিক মামলা রয়েছে।

স্থানীয়রা জানায়, দুপুরের দিকে সবুজ সওদাগরের বাড়িতে হাসান নামে এক যুবককে ছুরিকাঘাত করা হয়। পরে হাসানকে হাসপাতালে নিয়ে যায় সবুজ। বিকালে ওই যুবকের মৃত্যু হয়। সবুজ হত্যা মামলার আসামি। সে এবং তার পরিবারের সবাই মাদকাসক্ত। আমরা এলাকাবাসী অনেকবার তাদের সতর্ক করলেও কোনো কথা শোনেনি। হাসান সবুজের বাড়িতে নিয়মিত আসত। এখানে এসে তারা মাদক গ্রহণ করত।

ফাঁপোড় ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মেহেদী হাসান বলেন, আমাকে অপরিচিত একটা নম্বর থেকে জানায় সবুজ সওদাগর এক যুবককে ছুরিকাঘাত করে ঘরে ফেলে রেখেছে। পরে এলাকার লোকজন সবুজের বাড়িতে যায় এবং তাকে আটকানোর চেষ্টা করে। পরে পুলিশকে জানানো হয়।

তিনি আরও বলেন, সবুজ ও হাসান ঘনিষ্ঠ বন্ধু ছিল। এমনকি তারা একই হত্যা মামলার আসামিও ছিল। তাদের নানা অপকর্মে এলাকাবাসী অতিষ্ঠ ছিল।

বগুড়া সদর থানার ওসি সাইহান ওলিউল্লাহ বলেন, ‘ছুরিকাঘাতে আলী হাসান নামে এক যুবকের মৃত্যু হয়েছে। এ ঘটনায় জড়িত সে পলাতক রয়েছে। আমরা তাকে আইনের আওতায় আনতে অভিযান শুরু করেছি’।


খুন  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড বাংলাদেশ

মৌসুমের শুরুতেই আম ও লিচুর দখলে বাজার

প্রকাশ: ০৮:০০ এএম, ১৫ মে, ২০২৪


Thumbnail

মৌসুমের শুরুতেই বাজার দখল করেছে আম ও লিচু। বাজারে মিলছে হিমসাগর, গোপালভোগ, গোবিন্দভোগ, বারিফল এবং কাঠিমনসহ কয়েক প্রজাতির আম। পাশাপাশি উচ্চদামে বিক্রি হচ্ছে থাইল্যান্ডের জাম্বু আম ও কয়েক প্রজাতির লিচুও। তবে দেশীয় আমের দামও কম নয়। প্রতিকেজি দেশীয় প্রজাতির আম বিক্রি হচ্ছে ১৮০ থেকে ৩৫০ টাকা কেজিতে।

অপরদিকে প্রতি একশ পিস লিচু বিক্রি হচ্ছে ৬০০ থেকে ১৬শ টাকায়। তবে বাজারে এমন চড়া দামে ফল কিনতে একদিকে ক্রেতারা হিমশিম খাচ্ছেন। নির্ধারিত সময়ের আগেই এসব ফল বাজারে আসায় স্বাদ নিয়েও রয়েছে অভিযোগ।

মঙ্গলবার (১৪ মে) রাজধানীর কারওয়ান বাজার ,পুরাতন পল্টন, মতিঝিল এবং এর আশেপাশের ফলের বাজার ঘুরে এবং সংশ্লিষ্টদের সাথে কথা বলে এমন চিত্র দেখা গেছে।

ক্রেতারা বলছেন, দাম কমলে মানুষ বেশি করে ফল কিনতে পারবে। সবার খাওয়ার চাহিদাও বাড়বে। অন্যসব বছরের তুলনায় লিচুর দাম অনেক বেশি। আমের দামও অনেক বেড়েছে। বিক্রেতারা বলছেন- প্রাকৃতিক দুর্যোগে ফলন কমেছে রসালো ফল আম ও লিচুর। ফলে সঙ্গত কারণে একদিকে যেমন বাজারে আম এবং লিচুর সংকট তৈরি হবে তেমনি বিক্রিও হবে চড়া দামে। তবে মৌসুম পুরোপুরি শুরু হওয়ার পর দাম অপেক্ষাকৃত কমবে বলেও দাবি বিক্রেতাদের।

বাজার ঘুরে দেখা গেছে মৌসুমের শুরুতেই ৬ থেকে ৭ প্রজাতির আম পাওয়া যাচ্ছে। এসব আমের মধ্যে হিমসাগর প্রতিকেজি ২০০ টাকা, গোপালভোগ প্রতিকেজি ২০০ টাকা, গোবিন্দভোগ প্রতিকেজি ১৮০ টাকা, বারিফল প্রতিকেজি ৩০০ টাকা, কাঠিমন প্রতিকেজি ২০০ টাকা, সাতক্ষীরার গোপালভোগ প্রতিকেজি ৩৫০ টাকা, থাইল্যান্ডের জাম্বু আম (সবুজ প্রজাতি) প্রতিকেজি ১ হাজার টাকা এবং থাইল্যান্ডের জাম্বু আম (লাল প্রজাতি) ১২শ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।

এদিকে বাজারে প্রতি একশ পিস বোম্বাই লিচু ৫০০ টাকা, প্রতি একশ পিস কদমি লিচু ৬০০ থেকে ৬৫০ টাকা, চায়না লিচু প্রতি একশ পিস ১৪শ টাকা, বেলোয়ারি লিচু প্রতি একশ পিস ৮০০ টাকা এবং হাওয়াই মিঠাই প্রজাতির একশ পিস লিচু ১৬শ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে।

এক লিচু ব্যবসায়ী বলেন, এবছর লিচুর দাম বেশি। পাইকারি বাজারে অতিরিক্ত দামে লিচু কিনতে হচ্ছে বলেই বেশি দামে বিক্রি করা লাগছে। সাধারণ ৩০০ টাকায় একশ পিস লিচু বিক্রি যৌক্তিক থাকলেও তা দাম বেড়ে ৬০০ থেকে ৬৫০ টাকা বিক্রি করতে বেশ বেগ পেতে হচ্ছে বিক্রেতাদেরও।

ফল কিনতে আসা গোলাম রাব্বী বলেন, সবকিছুতেই দাম বেশি। তবে ফলের বাজারে দামের আগুন আরেকটু বেশি। এক কেজি আম যদি ৩০০ টাকায় কিনতে হয় তাহলে যার দৈনিক আয় ৪০০ টাকা সে কি করবে? কীভাবে খাবে? দেশীয় ফলের দাম এত বেশি হওয়া একদম উচিত নয়।


আম   লিচু  


মন্তব্য করুন


বিজ্ঞাপন