ইনসাইড বাংলাদেশ

বিদেশী পিস্তল, ম্যাগজিন ও গুলিসহ অস্ত্র ব্যবসায়ী গ্রেফতার

প্রকাশ: ০৫:৩৫ পিএম, ২৪ ডিসেম্বর, ২০২২


Thumbnail

রাজশাহী র‌্যাব-৫ মোল্লাপাড়া ক্যাম্পের সদস্যরা অভিযান চালিয়ে আল আমিন নামে এক অস্ত্র ব্যবসায়ীকে গ্রেফতার করেছে। শুক্রবার রাত সাড়ে ১০টার দিকে রাজশাহীর পুঠিয়া উপজেলার সাধুরমোড় এলাকা থেকে তাকে গ্রেফতার করা হয়। এসময় উদ্ধার করা হয়েছে দুইটি বিদেশী পিস্তল, তিনটি ম্যাগজিন ও চার রাউন্ড গুলি। গ্রেফতার আল আমিন চারঘাট থানার চকমোক্তারপুর গ্রামের আলাউদ্দিনের ছেলে।

আজ শনিবার (২৪ডিসেম্বর) দুপুরে র‌্যাবের পাঠানো সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে র‌্যাব মোল্লাপাড়া ক্যাম্পের সদস্যরা জানতে পারে, পুঠিয়া থানার সাধুরমোড় ঈদগাহ মাঠের পাশে অস্ত্র কেনাবেচা হচ্ছে। এমন সংবাদের ভিত্তি র‌্যাব ওই এলাকায় অভিযান চালিয়ে আল আমিনকে গ্রেফতার করে। পরে তার কাছে তল্লাশী চালিয়ে বিদেশী পিস্তল, ম্যাগজিন ও গুলি উদ্ধার হয়।

গ্রেফতার আল আমি র‌্যাবের কাছে স্বীকার করেছে অস্ত্রগুলো তিনি বিক্রির জন্য সেখানে অবস্থান করছিল। তবে অস্ত্র ক্রেতা র‌্যাবের উপস্থিতি টের পেয়ে পালিয়ে যায়। পরে গ্রেফতার আল আমিনকে পুঠিয়া থানায় সোপর্দ করে তার বিরুদ্ধে অস্ত্র আইনে মামলা দায়ের করা হয়েছে।


বিদেশী পিস্তল   অস্ত্র ব্যবসায়ী  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড বাংলাদেশ

ভারতের হাইকমিশনারের সাথে মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রীর সৌজন্য সাক্ষাত অনুষ্ঠিত

প্রকাশ: ০৬:১০ পিএম, ১২ মে, ২০২৪


Thumbnail

মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের সভাপতিমন্ডলীর সদস্য বীরমুক্তিযোদ্ধা মোঃ আব্দুর রহমান এর সাথে বাংলাদেশে নিযুক্ত ভারতের হাইকমিশনার প্রণয় ভার্মার সৌজন্য সাক্ষাত অনুষ্ঠিত হয়েছে। 

রোববার (১২ মে)  দুপুরে সচিবালয়ে মন্ত্রীর দপ্তর কক্ষে এ সৌজন্য সাক্ষাত অনুষ্ঠিত হয়।

সৌজন্য সাক্ষাতকালে মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ সেক্টরে দুই দেশের স্বার্থ সংশ্লিষ্ট অভিন্ন ইস্যু রয়েছে উল্লেখ করে মন্ত্রী বলেন, আমাদের এসকল ইস্যু খুঁজে বের করে একসাথে কাজ করতে হবে। মৎস্য ও প্রাণিসম্পদের উন্নয়নে প্রযুক্তি হস্তান্তর, ক্যাপাসিটি বিল্ডিং, প্রশিক্ষণ, গবেষণাসহ এ সংক্রান্ত অভিন্ন ইস্যুতে একসাথে কাজ করলে দু’দেশই লাভবান হবে বলে এসময় আলোচনা করা হয়। 

ভারতের হাইকমিশনার   মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রী  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড বাংলাদেশ

হাসপাতালের লিফটে আটকা ৪৫ মিনিট, রোগীর মৃত্যু

প্রকাশ: ০৬:১৪ পিএম, ১২ মে, ২০২৪


Thumbnail

গাজীপুরের শহীদ তাজউদ্দীন আহমদ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের লিফটে আটকে পড়ে এক নারী রোগীর মৃত্যু হয়েছে। 

রোববার (১২ মে) সকালে হাসপাতালের ৩ নম্বর লিফটে এ ঘটনা ঘটে।

এ ব্যাপারে নিহতের স্বজনরা সাংবাদিকদের কাছে লিফট অপারেটরদের দায়িত্বে অবহেলার অভিযোগ করেছেন। 

মৃত মমতাজ বেগম (৫০) গাজীপুরের কাপাসিয়া উপজেলার রাণীগঞ্জ ইউনিয়নের বাড়িগাঁও গ্রামের শারফুদ্দিন বিএসসি'র স্ত্রী। 

মৃতের ভাগ্নে খন্দকার শাহদত হোসেন সেলিম বলেন, আমার মামি মমতাজ বেগম শ্বাসকষ্ট ও হৃদরোগ নিয়ে রোববার সকাল সাড়ে ৬টার দিকে ওই হাসপাতালের ১১ তলার মেডিসিন বিভাগে ভর্তি হন। চিকিৎসকরা তাকে একই ভবনের ৪র্থ তলায় থাকা কার্ডিওলজি বিভাগে ট্রান্সফার করেন। মামি হাঁটাচলা করতে পারলেও দ্রুত হৃদরোগ বিভাগে নেওয়ার জন্য ট্রলিতে ওঠানো হয়। পরে মামি, তার ছেলে আব্দুল মান্নান, মেয়ে শারমিন ও আমি হাসপাতালের ৩নং লিফটে উঠি। ৯ম ও ১০ তলার মাঝমাঝি থাকা অবস্থায় লিফটি হঠাৎ ঝাঁকুনি দিয়ে থেমে যায়। তখন আমি লিফটে থাকা মোবাইল নম্বরে একাধিক ব্যক্তিকে বার বার ফোন করলেও তারা কোনো কর্ণপাত করেননি। উল্টো আমাদের সঙ্গে দুর্ব্যবহার করেছেন।

এমতাবস্থায় রোগী ছটফট করতে থাকলে ৯৯৯ নম্বরে ফোন করি। প্রায় ৪৫ মিনিট পর এক পর্যায়ে কয়েকজন অপারেটর দরজা কিছুটা ফাঁক করে আবার বন্ধ করে চলে যায়। এসময় অনেক কষ্টে আমরা তিনজন বেরিয়ে আসতে পারলেও মামীকে বের করা সম্ভব হয়নি। পরে ৯৯৯ নম্বরের কলের মাধ্যমে পুলিশের কাছ থেকে খবর পেয়ে ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা  ঘটনাস্থল যান। কিন্তু ততক্ষণে লিফটের ভেতরেই আমার মামি শেষ নিশ্বাস ত্যাগ করেন।

পরে জয়দেবপুর ফায়ার স্টেশনের কর্মীরা দরজা খুলে মমতাজ বেগমের মরদেহ উদ্ধার করে। যদি সঠিক সময়ে তাকে উদ্ধার করা হতো তাহলে হয়তো বাঁচানো যেত।

এর আগে গত ৪ মে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের দায়িত্বে অবহেলার কারণে ১২ তলার ভেতরের দেয়াল ও মেঝের মধ্যে থাকা ফাঁকা স্থান দিয়ে এক রোগী ১০ তলায় পড়ে গিয়ে মারা যান। এসব অবহেলায় জড়িতদের উপযুক্ত শাস্তি দাবি করেছেন রোগীর স্বজনরা।

লিফটে আটকা পড়ে রোগীর মৃত্যুর খবরের সত্যতা স্বীকার করে হাসপাতালের উপ-পরিচালক মো. জাহাঙ্গীর আলম বলেন, প্রাথমিকভাবে জানা গেছে হাসপাতালে সকাল সাড়ে ৯টার দিকে হঠাৎ বিদ্যুৎ চলে গেলে লিফটে যান্ত্রিক ত্রুটি দেখা দেয়। এতে রোগী মমতাজ বেগম ও তার কয়েকজন স্বজনসহ লিফটে আটকা পড়েন। লিফটের অপারেটর ও জয়দেবপুর ফায়ার স্টেশনের কর্মীরা ঘটনার ১৫/২০ মিনিটের মধ্যে মমতাজের লাশ ও তার স্বজনদের উদ্ধার করে।

বিষয়টি খতিয়ে দেখতে তদন্ত কমিটি গঠন করা হবে। তদন্তের পর প্রকৃত ঘটনা বেরিয়ে আসবে। এ ঘটনায় কারো গাফিলতি থাকলে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।


হাসপাতাল   লিফট   মৃত্যু  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড বাংলাদেশ

সিটি টোলের নামে চাঁদাবাজি উন্নয়নকে মলিন করে দিচ্ছে: সাঈদ খোকন

প্রকাশ: ০৬:০০ পিএম, ১২ মে, ২০২৪


Thumbnail

ঢাকা শহরে সিটি টোলের নামে চাঁদাবাজি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার উন্নয়ন-অগ্রযাত্রা মলিন করে দিচ্ছে বলে মন্তব্য করেছেন ঢাকা-৬ আসনের সংসদ সদস্য মোহাম্মদ সাঈদ খোকন। 

রোববার (১২ মে) দুপুর ১২টায় পুরান ঢাকার নর্থ-সাউথ রোডের সুরিটোলা সরকারি মডেল প্রাথমিক বিদ্যালয় মাঠে তিন হাজার পরিবারকে ‘প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার উপহারের’ খাদ্যসামগ্রী বিতরণ অনুষ্ঠানে তিনি এই মন্তব্য করেন। সরকারের দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয় এই খাদ্যসামগ্রী ঢাকা-৬ আসনে বরাদ্দ দিয়েছে।

ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের সাবেক এই মেয়র বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রীর নেতৃত্বে দেশের প্রতিটি ক্ষেত্রে আমরা উন্নতি করার চেষ্টা করছি। এই উন্নয়ন, পরিশ্রম ও বদলে যাওয়া বাংলাদেশ কিছু আচরণে প্রশ্নবিদ্ধ হচ্ছে। এখন পুরান ঢাকার রাস্তার মোড়ে মোড়ে সিটি টোলের নামে চাঁদাবাজি চলছে। হাতে লাঠি আর মুখে বাঁশি বাজিয়ে রিকশা, ভ্যান, ট্রাক, বাস থামিয়ে টাকা নিচ্ছে। এই চাঁদাবাজিতে জনগণ আতঙ্কিত। কোমলমতি শিক্ষার্থীরা রিকশায় স্কুলে যাতায়াতের সময় হাতে লাঠি নিয়ে কেউ আসলে ভয় পেয়ে যায়, তাদের সঙ্গে থাকা মায়েরাও ভয় পেয়ে যায়। এই কাজ নেত্রীর উন্নয়ন-অগ্রযাত্রাকে মলিন করে দিচ্ছে।’

টোলের নামে যারা চাঁদাবাজি করে তারা সরকারের ভালো চায় না জানিয়ে মোহাম্মদ সাঈদ খোকন বলেন, ‘চাঁদাবাজরা দল এবং নেত্রীর ভালো চায় না। তারা নেত্রীর ভালো চাইলে এসব কাজ থেকে বিরত থাকত এবং জনগণের সেবায় কাজ করত। আমি আশা করব অনতিবিলম্বে এই ধরণের কর্মকাণ্ড বন্ধ করে নেত্রীর নির্দেশে জনগণের সেবায় নিজেকে নিয়োজিত করুন, জনগণের কাতারে আসুন।’

সাঈদ খোকন আরও বলেন, ‘সিটি টোলের নামে চাঁদাবাজি বিষয়টি সম্প্রতি সংসদীয় স্থায়ী কমিটিতে উপস্থাপন করেছি। স্থানীয় সরকার মন্ত্রীকে বলেছি আমার নেত্রীর অর্জন মলিন হয়ে যাচ্ছে। আপনি অনতিবিলম্বে এ বিষয়ে ব্যবস্থা নিন। তিনি ব্যবস্থা নিবেন বলে আমাকে আশ্বস্ত করেছেন।’

খাদ্যসামগ্রী বিতরণ অনুষ্ঠানে উপস্থিত পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের উদ্দেশে ঢাকা-৬ আসনের সংসদ সদস্য বলেন, ‘এই ধরণের অরাজকতা এবং চাঁদাবাজি অনতিবিলম্বে বন্ধ করতে হবে। আমরা শেখ হাসিনার কর্মী হিসেবে জনগণের পাশে আছি, পাশে থাকব ইনশাআল্লাহ। আপনারা (পুলিশ) এবং আমরা জনগণ হাতে হাত রেখে, কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে এই দেশের উন্নয়নে শেখ হাসিনার নেতৃত্বে কাজ করে যাব ইনশাআল্লাহ।’

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বাংলাদেশকে বদলে দিয়েছেন জানিয়ে সাঈদ খোকন বলেন, ‘ভারতের চেয়েও বাংলাদেশ অর্থনৈতিক ও সামাজিক সূচকে অনেক দূর এগিয়ে গেছে। এই সরকারের আমলে প্রায় একশোর ওপরে সামাজিক নিরাপত্তা কর্মসূচি চলমান রয়েছে। যার মাধ্যমে গরীব-দুঃখী মানুষ খেতে পারে, চলতে পারে। ইউনিয়ন লেভেলে কমিউনিটি হেলথ কেয়ার সেন্টারের মাধ্যমে মানুষকে চিকিৎসাসেবা দেওয়া হচ্ছে। কোটি মানুষকে বিনামূল্যে-স্বল্পমূল্যে খাদ্যসামগ্রী দেওয়া হচ্ছে। ঢাকা শহরের প্রতি ওয়ার্ডে হাজারো গরীব-দুঃখী মানুষকে চাল, ডাল, তেল, লবণ দেওয়া হচ্ছে।’

মোহাম্মদ সাঈদ খোকন  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড বাংলাদেশ

সুবর্ণচরে আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের বাড়িঘরে হামলা-ভাঙচুরের অভিযোগ

প্রকাশ: ০৫:২৫ পিএম, ১২ মে, ২০২৪


Thumbnail

নোয়াখালীর সুবর্ণচর উপজেলার বিভিন্ন ইউনিয়নে আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের বাড়ি ঘরে হামলা-ভাঙচুর ও লুটপাটের অভিযোগ উঠেছে। গত ৮ মে অনুষ্ঠিত উপজেলা নির্বাচনে জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি খায়রুল আনম সেলিমের ভোট করায় এমপি পুত্র সাবাব চৌধুরীর লোকজন এ হামলা করে।

রোববার (১২ মে) সকালে নোয়াখালী জেলা আওয়ামী লীগ কার্যালয়ে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে দলের নেতারা এমন অভিযোগ করেন। 

এ সময় বক্তব্য রাখেন সদ্য শেষ হওয়া সুবর্ণচর উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান প্রার্থী ও জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি অধ্যক্ষ এএইচএম খায়রুল আনম চৌধুরী সেলিম, সাধারণ সম্পাদক ও নোয়াখালী পৌর মেয়র সহিদ উল্যাহ খান সোহেল, শহর আওয়ামী লীগের সভাপতি ও জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান আবদুল ওয়াদুদ পিন্টুসহ বিভিন্ন পর্যায়ের নেতৃবৃন্দ।

সংবাদ সম্মেলনে নেতারা বলেন, গত ৮মে অনুষ্ঠিত সুবর্ণচর উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে কেন্দ্রে ভোটারদের আসতে বাধা দেয় আনারস প্রতীকের কর্মীরা। কুপিয়ে আহত করে দোয়াত কলমের কর্মীদের। সন্ধ্যায় চারটি কেন্দ্রের ভোট উলটপালটও করা হয়। চরমহি উদ্দিন উচ্চ বিদ্যালয়, চরমহি উদ্দিন সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, চরমহি উদ্দিন এনএ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, হাজীপুর বেসরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ও বহুমুখী আশ্রয় কেন্দ্রের ফলাফল স্থগিত রেখে পুনঃভোট দেয়া এবং বাতিল হওয়া ১৯১৪টি ভোট পুনঃগননা করার পর চুড়ান্ত ফলাফল ঘোষণার দাবী জানান তারা।

নেতৃবৃন্দ অভিযোগ করে বলেন, নির্বাচনী ফলাফল ঘোষণার পর থেকে প্রতিদিন সুবর্ণচরের বিভিন্ন উপজেলায় হামলা চালানো হচ্ছে। সবচেয়ে বেশি হামলা, ভাঙচুর ও লুটের ঘটনা ঘটেছে চরজব্বার ইউনিয়নে। সেখানকার চাউয়াখালী বাজারে অন্তত ১৫টি দোকানপাট, আশপাশে অন্তত ২০টি বসত বাড়িতে হামলা-ভাঙচুর ও লুটপাট চালানো হয়। এ সময় পিটিয়ে আহত করা হয় অর্ধশত কর্মী ও তাদের স্বজনদের। বিয়ে বাড়িতে হামলা চালিয়ে বিয়ে বন্ধ করে দেয়া হয়। সংবাদ সম্মেলনে এসব ঘটনার একটি ভিডিও উপস্থাপন করা হয়। অভিযোগকারীরা, ঘটনার বিষয়ে খতিয়ে দেখে অভিযুক্তদের বিচারের আওতায় আনার দাবি জানান।

সুবর্ণচর   আওয়ামী লীগ   সাবাব চৌধুরী   নোয়াখালী  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড বাংলাদেশ

উপজেলা নির্বাচনে প্রভাব বিস্তারের অভিযোগ, নির্বাচন থেকে সড়ে দাড়ালেন চেয়ারম্যান প্রার্থী

প্রকাশ: ০৪:৫৯ পিএম, ১২ মে, ২০২৪


Thumbnail

পাবনার ভাঙ্গুড়া উপজেলা পরিষদ নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়ানোর ঘোষণা দিলেন চেয়ারম্যান প্রার্থী বর্তমান উপজেলা চেয়ারম্যান বাকিবিল্লাহ। পাবনা- আসনের এমপি মকবুল হোসেন তার ছেলে চেয়ারম্যান প্রার্থী গোলাম হাসনাইন রাসেলের পক্ষে প্রভাব বিস্তার করছেন এবং এতে গ্রহণযোগ্য নির্বাচন সম্ভব নয় বলে অভিযোগ করেন তিনি। এতে নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়ানোর ঘোষণা দেন তিনি।

রোববার (১২ মে) দুপুরে পাবনা প্রেসক্লাবের ভিআইপি মিলনায়তনে এক সংবাদ সম্মেলনে ঘোষণা দেন বাকিবিল্লাহ। তিনি জেলা আওয়ামী লীগের সদস্য।

সংবাদ সম্মেলনে তিনি অভিযোগ করে বলেন, ‘উপজেলা নির্বাচনে পাবনা- আসনের সংসদ সদস্য মকবুল হোসেনের ছেলে গোলাম হাসনাইন রাসেল উপজেলা চেয়ারম্যান প্রার্থী হয়ে আমার কর্মী-সমর্থকদের উপর বিভিন্ন ধরনের অত্যাচার নির্যাতন ভয়-ভীতি প্রদর্শন করে আসছেন। যে কারণে নির্বাচনে ব্যাপক প্রভাব পড়েছে। আমার কর্মী সমর্থকরা ঘর থেকে বের হতে পারছে না।’

বাকিবিল্লাহ বলেন, ‘এমপিপুত্র রাসেল ভাঙ্গুড়া পৌরসভার মেয়র পদ থেকে পদত্যাগ করে উপজেলা চেয়ারম্যান প্রার্থী হয়েছেন। বাবা এমপি আর ছেলে উপজেলা চেয়ারম্যান উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক হলে আমাদের মত দীর্ঘ দিনের বঙ্গবন্ধুর আদর্শের পরিক্ষিত ব্যক্তির জন্য জায়গা কোথায়? তাদের লক্ষ্য বর্তমান এমপি মকবুল আগামীতে নির্বাচন করতে পারবেন না। তাই নিজের ছেলেকে আগামী নির্বাচনে এমপি প্রার্থী করতে এবার উপজেলা চেয়ারম্যান বানানোর পরিকল্পনা নিয়েছেন।’

তিনি আরও বলেন, ‘বঙ্গবন্ধু হত্যার বিচার চাইতে এগিয়ে গ্রেপ্তার হয়ে জেল খেটেছি, বারবার লাঞ্ছিত হয়েছি, তখন এমপি মকবুল তার পুত্র রাসেলের রাজনীতির কি পরিচয় ছিল? মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনা দিয়েছেন এমপির স্ত্রী-সন্তানরা উপজেলা নির্বাচন করতে পারবে না, তারপরও সেই ঘোষণা উপেক্ষা করে নির্বাচন করছে এমপির ছেলে রাসেল।’

নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়ানোর ঘোষণা দিয়ে বাকিবিল্লাহ বলেন, ‘গত সংসদ নির্বাচনে স্বতন্ত্র প্রার্থী নির্বাচন করায় কিছু আওয়ামী লীগ নেতা কর্মীর উপরে ব্যাপক নির্যাতন করা হয়েছে, থানায় এসবের অভিযোগ দিয়েও কোন লাভ হয় নাই। আমার উপজেলা নির্বাচনে আমার কর্মী সমর্থকদের উপর হামলা মামলার ভয় ভীতি প্রদর্শনের কারণে আমার কর্মীরা হতাশাগ্রস্থ। কোথাও কোনো প্রতিকার মিলছে না। এমন পরিস্থিতিতে আমার নির্বাচন করা মোটেও সম্ভব নয়, তাই নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়ালাম।’

সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন ভাঙ্গুড়া উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি লোকমান হোসেন, উপজেলা আওয়ামী লীগ নেতা গোলাম মোস্তফা, হাসিনুর ইসলাম, নুরুল ইসলাম প্রমুখ।

সংবাদ সম্মেলনে ভাঙ্গুড়া উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি লোকমান হোসেন বলেন, এমপি সাহেব তার ছেলে অর্থের দাপটে আমাদের নেতাকর্মীকে ভয় দেখিয়ে, লোভ লালসা দিয়ে, টাকা দিয়ে উপজেলা নির্বাচনকে প্রশ্নবিদ্ধ প্রভাবিত করছেন। এমপির ছেলে ঘোষণা করছেন নির্বাচন করতে কত টাকা লাগবে। তাই দেওয়া হবে। এত টাকা কোথায় পাচ্ছেন তা জানি না। ১৫ বছর এমপির দায়িত্বে আছেন মকবুল সাহেব, অথচ তিনি উপজেলা আওয়ামীলীগের সভাপতির সাথে ১৫টি কথাও বলেননি। ভাঙ্গুড়া উপজেলা আওয়ামী লীগে তার কোনো সহযোগিতা পাইনা।’

এসব অভিযোগের বিষয়ে চেয়ারম্যান প্রার্থী এমপির ছেলে গোলাম হাসনায়েন রাসেল বলেন, 'নির্বাচনের শেষ সময়ে এসে নির্বাচন থেকে সড়ে দাঁড়ানো অসাংবিধানিক। তিনি (বাকিবিল্লাহ) ইতোমধ্যে কর্মী শূণ্য হয়ে পড়েছেন। আমার বিরুদ্ধে অভিযোগ সঠিক নয়। অভিযোগ করলে তদন্ত করে ব্যবস্থা গ্রহণ করবেন নির্বাচন কমিশন তথা সংশ্লিষ্ট দপ্তর। তিনি সরেজমিনে এলাকা ঘুরে যাওয়ার দাবি জানিয়ে বলেন, মিথ্যাচারের কিছু সীমা থাকে, সেটা তিনি অতিক্রম করে গেছেন। গত জাতীয় নির্বাচনে আওয়ামী লীগের বিপক্ষে কাজ করে নিজেই দল থেকে ছুটে গেছেন।'

বিষয়ে কথা বলার জন্য পাবনা- আসনের এমপি মকবুল হোসেনের সাথে একাধিকবার যোগাযোগের চেষ্টা করেও তাকে পাওয়া যায়নি। তিনি ফোন রিসিভ করেননি।

উল্লেখ্য, ৬ষ্ঠ উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে দ্বিতীয় ধাপে আগামী ২১ মে পাবনার ভাঙ্গুড়া উপজেলা পরিষদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন বর্তমান চেয়ারম্যান জেলা আওয়ামী লীগের সদস্য আলহাজ মো. বাকী বিল্লাহ (আনারস), উপজেলা আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক সাবেক মেয়র আলহাজ গোলাম হাসনাইন রাসেল (মোটরসাইকেল) তিনি পাবনা- এর সাংসদ আলহাজ্ব মো. মকবুল হোসেনের বড় ছেলে। অপর প্রার্থী হলেন, পাবনা জেলা কৃষক লীগের সহ-সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা মেজবাহুর রহমান রোজ (ঘোড়া)


উপজেলা নির্বাচন   চেয়ারম্যান প্রার্থী   প্রভাব বিস্তার   এমপি  


মন্তব্য করুন


বিজ্ঞাপন